নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজানের ছুটি। সব মিলিয়ে ৪০ দিনের মতো বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ এই ছুটিতে বাসায় পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাদের হাতে এখনো সব বই পৌঁছায়নি, তাই বাড়ির পড়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত প্রভাতী বিদ্যানিকেতনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শিরীন জাহান জানায়, তারা দুটি বই এখনো পায়নি। কিন্তু সব বই থেকে কয়েক অধ্যায় করে ছুটিতে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। যে বই হাতে নেই, তা থেকে পড়বে কীভাবে— প্রশ্ন তার।
শুধু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, রাজধানীসহ সারা দেশের একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে একই তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে সব বই পৌঁছে গেছে। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে সব বই পৌঁছায়নি।
ঢাকার মগবাজার এলাকার বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, মাধ্যমিকের একটি শ্রেণির বই এখনো এসে পৌঁছায়নি। একই ধরনের তথ্য জানান পাবনার সুজানগর উপজেলার খলিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ রাজু। তিনি বলেন, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির একটি বই এখনো এসে পৌঁছায়নি।
এদিকে রমজান মাসের ছুটি শুরুর আগে সব বই না পৌঁছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা আসফিয়া খাতুন বলেন, ‘ছুটির আগে সব বই না পৌঁছানোয় বাসার পড়ায় ব্যাঘাত ঘটবে। এর মধ্যে স্কুল থেকে হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে। বই ছাড়া শিক্ষার্থীরা হোমওয়ার্ক কীভাবে করবে?’
একই সুরে কথা বলেন ফেনী সদরের বাসিন্দা একরাম উদ্দিন মিয়া। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম ছুটির আগে আমার অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে সব বই পাবে; কিন্তু সব বই পায়নি। এর নেতিবাচক প্রভাব অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় পড়বে।’
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, এখনো সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বিষয়টি বিবেচনা করে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি বিশেষ সিলেবাস করা উচিত, যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাই।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্লাস হওয়ার পর মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলগুলোতে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজানের ছুটি। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্লাস করার পর। ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল প্রাথমিক এবং ৯ এপ্রিল মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজানের ছুটি। সব মিলিয়ে ৪০ দিনের মতো বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ এই ছুটিতে বাসায় পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাদের হাতে এখনো সব বই পৌঁছায়নি, তাই বাড়ির পড়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত প্রভাতী বিদ্যানিকেতনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শিরীন জাহান জানায়, তারা দুটি বই এখনো পায়নি। কিন্তু সব বই থেকে কয়েক অধ্যায় করে ছুটিতে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। যে বই হাতে নেই, তা থেকে পড়বে কীভাবে— প্রশ্ন তার।
শুধু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, রাজধানীসহ সারা দেশের একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে একই তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে সব বই পৌঁছে গেছে। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে সব বই পৌঁছায়নি।
ঢাকার মগবাজার এলাকার বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, মাধ্যমিকের একটি শ্রেণির বই এখনো এসে পৌঁছায়নি। একই ধরনের তথ্য জানান পাবনার সুজানগর উপজেলার খলিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ রাজু। তিনি বলেন, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির একটি বই এখনো এসে পৌঁছায়নি।
এদিকে রমজান মাসের ছুটি শুরুর আগে সব বই না পৌঁছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা আসফিয়া খাতুন বলেন, ‘ছুটির আগে সব বই না পৌঁছানোয় বাসার পড়ায় ব্যাঘাত ঘটবে। এর মধ্যে স্কুল থেকে হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে। বই ছাড়া শিক্ষার্থীরা হোমওয়ার্ক কীভাবে করবে?’
একই সুরে কথা বলেন ফেনী সদরের বাসিন্দা একরাম উদ্দিন মিয়া। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম ছুটির আগে আমার অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে সব বই পাবে; কিন্তু সব বই পায়নি। এর নেতিবাচক প্রভাব অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় পড়বে।’
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, এখনো সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বিষয়টি বিবেচনা করে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি বিশেষ সিলেবাস করা উচিত, যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাই।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্লাস হওয়ার পর মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলগুলোতে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজানের ছুটি। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্লাস করার পর। ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল প্রাথমিক এবং ৯ এপ্রিল মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে দলটির ২৪ নেতা–কর্মী নিহত হয়। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলারই রায় দেন।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরির দায়িত্ব কেবলমাত্র শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয়। আপনারা যারা সংগ্রামে আছেন, যারা আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আপনারা আপনাদের...
৪ ঘণ্টা আগেবুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন; শুধু এই অভিযোগে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। কিন্তু কোনো বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির, এমন নির্মম নির্যাতন ও অমানবিকভাবে কাউকে হত্যা করার যুক্তি হতে...
১১ ঘণ্টা আগেকলেজছাত্রীকে ইভটিজিং করে ফেসবুকে ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডেমরা থানা-পুলিশ। শনিবার (৩ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় ডেমরা সারুলিয়া বাজার এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোন— মো. রোমান সিকদার (২০) ও শুভ হাওলাদার (২০)।
১৩ ঘণ্টা আগে