নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিজের ইচ্ছায় নয়, সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারাই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ রোববার স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় তিনি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৬ মার্চ দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হান্নান সাহেব প্রথম ঘোষণা পাঠ করেন। পর্যায়ক্রমে ওখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা একে একে পাঠ করেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী সাহেব তখন বলেছিলেন, একটা আর্মির লোক নিয়ে আসো, তাহলে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আসবে। মেজর রফিকের বইয়ে এ কথা উল্লেখ আছে।’
জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানিদের অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চ থেকে সে (জিয়াউর রহমান) তো কোনো বাঙালি সৈনিক বা কাউকে বাঁচাতে চেষ্টা করেনি। যার জন্য সেখানে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়। সেখানে বাকি যে বাঙালি অফিসার ছিল তারা তাদের সৈন্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে চলে গিয়েছিল। কিন্তু জিয়া কেন ২৫ মার্চ পর্যন্ত থাকে? চট্টগ্রামে যারা ব্যারিকেড দিয়েছিল উল্টো তাদের গুলি করেছে। তাদেরকে মেরেছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘সোয়াত জাহাজ থেকে যখন অস্ত্র নামাতে যায়, তখন তাকে ধরা হয়, সবাই আটকায়। তারপর তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এবং এটা পাঠ করানো হয়। আওয়ামী লীগ এটি কখনোই অস্বীকার করেনি। যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু সেটা রক্ষা করতে পারেনি। কারণ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত ছিল। মোশতাক-জিয়া একসঙ্গে মিলেইতো এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। যে কারণে খুনিদের দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তা আসলাম বেগ জিয়াউর রহমানকে প্রশংসামূলক চিঠি দিয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী যখন দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমানকে এই চিঠি কেন লিখবে? জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার থাকতে পারে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে থাকেনি। যেখানে গোলাগুলি হতো, তার থেকে তিন মাইল পেছনে চলে যেতো। আমাদের চট্টগ্রামের মোশাররফ ভাই এখনো জীবিত, তাঁরা একই সঙ্গে রণক্ষেত্রে ছিলেন। পাকিস্তানি কোনো সৈনিকের ওপর জিয়া একটা গুলি চালিয়েছে বা পাকিস্তানিদের বিপক্ষে একটি গুলি চালিয়েছে, এটা বিএনপি দেখাতে পারবে না। কিন্তু সে নাকি মুক্তিযোদ্ধা।’
১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্রদের মাধ্যমে নিউক্লিয়াস তৈরি করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, সব মহকুমায় এটা তৈরি করেছিলেন, যাতে তারা স্বাধীনতার একটা নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করবে। ধীরে ধীরে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। এইভাবে ধাপে ধাপে তিনি এগিয়েছেন। হঠাৎ করে একদিনে ঘোষণা দেন নাই। কিন্তু প্রত্যেকটা পদক্ষেপ অত্যন্ত সুচারুভাবে নিয়েছিলেন বলেই এবং কখন কী হবে তিনি জানতেন। সেইভাবে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলেই আমরা এত তাড়াতাড়ি স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।’
মিথ্যা কথায় বিএনপি এক্সপার্ট মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমরা পারব না। তারা ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেই যাচ্ছে। অবশ্য এখন আর ভাঙা রেকর্ড কেউ চিনবে না। সবতো ডিজিটাল। একটার পর একটা কথা বলেই যাচ্ছে।’
বিএনপির আমলে প্রতিটি নির্বাচনেই গোলমাল হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা করেছিল। আজকে যে ভোটের উন্নতি সেটাতো আওয়ামী লীগের উদ্যোগে। ছবিসহ ভোটার তালিকা আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই হয়েছিল। স্বচ্ছ ব্যালট ব্যবস্থা, সাদাকালো পোস্টার করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব— সেই স্লোগান আওয়ামী লীগের। যখন ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য এই স্লোগান দিয়েছি আমরা। আজকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের ক্ষমতা, জনগণের কাছে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। যে ক্ষমতা সেনানিবাসে বন্দী ছিল, জিয়া এবং এরশাদের পকেটে ছিল বা খালেদা জিয়ার আঁচলে ছিল। আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আজকে জনগণের ক্ষমতায়ন আমরা করেছি। সেখানে যদি বিএনপির নেতারা আজকে গণতন্ত্র না দেখে আর উন্নয়ন চোখে না দেখে, তাহলে আর বলার কিছু থাকে না।’
মিথ্যা বলা বিএনপির ভালো গুণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাঙা সুটকেস, ছেঁড়া গেঞ্জি থেকে কোকো লঞ্চ, ১, ২,৩ বেরোল। তারপর ড্যান্ডি ডাইং বেরোল। কত কিছু বেরোল! খালেদা জিয়ার ছেলের পাচার করা কিছু টাকা আমরা ফেরত এনেছি। এরা দুর্নীতি আর ভোটের কথা কীভাবে বলে? উন্নয়ন ওদের চোখে পড়ে না কী করে?’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ওদের ভোট দেবে কেন? ওদের নেতা কে? এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী অথবা গ্রেনেড হামলার আসামি, অর্থপাচারকারী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে তাদের নেতা। সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দিতে যাবে? মানুষতো ভোট দেবে না। মাটি ও মানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আমরা যে ওয়াদা করেছি সেটা পূরণ করেছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশ এগিয়ে যাবে। কেউ পেছনে টানতে পারবে না।’

নিজের ইচ্ছায় নয়, সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারাই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ রোববার স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় তিনি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৬ মার্চ দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হান্নান সাহেব প্রথম ঘোষণা পাঠ করেন। পর্যায়ক্রমে ওখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা একে একে পাঠ করেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী সাহেব তখন বলেছিলেন, একটা আর্মির লোক নিয়ে আসো, তাহলে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আসবে। মেজর রফিকের বইয়ে এ কথা উল্লেখ আছে।’
জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানিদের অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চ থেকে সে (জিয়াউর রহমান) তো কোনো বাঙালি সৈনিক বা কাউকে বাঁচাতে চেষ্টা করেনি। যার জন্য সেখানে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়। সেখানে বাকি যে বাঙালি অফিসার ছিল তারা তাদের সৈন্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে চলে গিয়েছিল। কিন্তু জিয়া কেন ২৫ মার্চ পর্যন্ত থাকে? চট্টগ্রামে যারা ব্যারিকেড দিয়েছিল উল্টো তাদের গুলি করেছে। তাদেরকে মেরেছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘সোয়াত জাহাজ থেকে যখন অস্ত্র নামাতে যায়, তখন তাকে ধরা হয়, সবাই আটকায়। তারপর তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এবং এটা পাঠ করানো হয়। আওয়ামী লীগ এটি কখনোই অস্বীকার করেনি। যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু সেটা রক্ষা করতে পারেনি। কারণ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত ছিল। মোশতাক-জিয়া একসঙ্গে মিলেইতো এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। যে কারণে খুনিদের দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তা আসলাম বেগ জিয়াউর রহমানকে প্রশংসামূলক চিঠি দিয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী যখন দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমানকে এই চিঠি কেন লিখবে? জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার থাকতে পারে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে থাকেনি। যেখানে গোলাগুলি হতো, তার থেকে তিন মাইল পেছনে চলে যেতো। আমাদের চট্টগ্রামের মোশাররফ ভাই এখনো জীবিত, তাঁরা একই সঙ্গে রণক্ষেত্রে ছিলেন। পাকিস্তানি কোনো সৈনিকের ওপর জিয়া একটা গুলি চালিয়েছে বা পাকিস্তানিদের বিপক্ষে একটি গুলি চালিয়েছে, এটা বিএনপি দেখাতে পারবে না। কিন্তু সে নাকি মুক্তিযোদ্ধা।’
১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্রদের মাধ্যমে নিউক্লিয়াস তৈরি করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, সব মহকুমায় এটা তৈরি করেছিলেন, যাতে তারা স্বাধীনতার একটা নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করবে। ধীরে ধীরে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। এইভাবে ধাপে ধাপে তিনি এগিয়েছেন। হঠাৎ করে একদিনে ঘোষণা দেন নাই। কিন্তু প্রত্যেকটা পদক্ষেপ অত্যন্ত সুচারুভাবে নিয়েছিলেন বলেই এবং কখন কী হবে তিনি জানতেন। সেইভাবে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলেই আমরা এত তাড়াতাড়ি স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।’
মিথ্যা কথায় বিএনপি এক্সপার্ট মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমরা পারব না। তারা ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেই যাচ্ছে। অবশ্য এখন আর ভাঙা রেকর্ড কেউ চিনবে না। সবতো ডিজিটাল। একটার পর একটা কথা বলেই যাচ্ছে।’
বিএনপির আমলে প্রতিটি নির্বাচনেই গোলমাল হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা করেছিল। আজকে যে ভোটের উন্নতি সেটাতো আওয়ামী লীগের উদ্যোগে। ছবিসহ ভোটার তালিকা আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই হয়েছিল। স্বচ্ছ ব্যালট ব্যবস্থা, সাদাকালো পোস্টার করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব— সেই স্লোগান আওয়ামী লীগের। যখন ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য এই স্লোগান দিয়েছি আমরা। আজকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের ক্ষমতা, জনগণের কাছে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। যে ক্ষমতা সেনানিবাসে বন্দী ছিল, জিয়া এবং এরশাদের পকেটে ছিল বা খালেদা জিয়ার আঁচলে ছিল। আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আজকে জনগণের ক্ষমতায়ন আমরা করেছি। সেখানে যদি বিএনপির নেতারা আজকে গণতন্ত্র না দেখে আর উন্নয়ন চোখে না দেখে, তাহলে আর বলার কিছু থাকে না।’
মিথ্যা বলা বিএনপির ভালো গুণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাঙা সুটকেস, ছেঁড়া গেঞ্জি থেকে কোকো লঞ্চ, ১, ২,৩ বেরোল। তারপর ড্যান্ডি ডাইং বেরোল। কত কিছু বেরোল! খালেদা জিয়ার ছেলের পাচার করা কিছু টাকা আমরা ফেরত এনেছি। এরা দুর্নীতি আর ভোটের কথা কীভাবে বলে? উন্নয়ন ওদের চোখে পড়ে না কী করে?’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ওদের ভোট দেবে কেন? ওদের নেতা কে? এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী অথবা গ্রেনেড হামলার আসামি, অর্থপাচারকারী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে তাদের নেতা। সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দিতে যাবে? মানুষতো ভোট দেবে না। মাটি ও মানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আমরা যে ওয়াদা করেছি সেটা পূরণ করেছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশ এগিয়ে যাবে। কেউ পেছনে টানতে পারবে না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিজের ইচ্ছায় নয়, সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারাই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ রোববার স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় তিনি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৬ মার্চ দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হান্নান সাহেব প্রথম ঘোষণা পাঠ করেন। পর্যায়ক্রমে ওখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা একে একে পাঠ করেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী সাহেব তখন বলেছিলেন, একটা আর্মির লোক নিয়ে আসো, তাহলে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আসবে। মেজর রফিকের বইয়ে এ কথা উল্লেখ আছে।’
জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানিদের অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চ থেকে সে (জিয়াউর রহমান) তো কোনো বাঙালি সৈনিক বা কাউকে বাঁচাতে চেষ্টা করেনি। যার জন্য সেখানে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়। সেখানে বাকি যে বাঙালি অফিসার ছিল তারা তাদের সৈন্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে চলে গিয়েছিল। কিন্তু জিয়া কেন ২৫ মার্চ পর্যন্ত থাকে? চট্টগ্রামে যারা ব্যারিকেড দিয়েছিল উল্টো তাদের গুলি করেছে। তাদেরকে মেরেছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘সোয়াত জাহাজ থেকে যখন অস্ত্র নামাতে যায়, তখন তাকে ধরা হয়, সবাই আটকায়। তারপর তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এবং এটা পাঠ করানো হয়। আওয়ামী লীগ এটি কখনোই অস্বীকার করেনি। যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু সেটা রক্ষা করতে পারেনি। কারণ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত ছিল। মোশতাক-জিয়া একসঙ্গে মিলেইতো এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। যে কারণে খুনিদের দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তা আসলাম বেগ জিয়াউর রহমানকে প্রশংসামূলক চিঠি দিয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী যখন দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমানকে এই চিঠি কেন লিখবে? জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার থাকতে পারে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে থাকেনি। যেখানে গোলাগুলি হতো, তার থেকে তিন মাইল পেছনে চলে যেতো। আমাদের চট্টগ্রামের মোশাররফ ভাই এখনো জীবিত, তাঁরা একই সঙ্গে রণক্ষেত্রে ছিলেন। পাকিস্তানি কোনো সৈনিকের ওপর জিয়া একটা গুলি চালিয়েছে বা পাকিস্তানিদের বিপক্ষে একটি গুলি চালিয়েছে, এটা বিএনপি দেখাতে পারবে না। কিন্তু সে নাকি মুক্তিযোদ্ধা।’
১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্রদের মাধ্যমে নিউক্লিয়াস তৈরি করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, সব মহকুমায় এটা তৈরি করেছিলেন, যাতে তারা স্বাধীনতার একটা নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করবে। ধীরে ধীরে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। এইভাবে ধাপে ধাপে তিনি এগিয়েছেন। হঠাৎ করে একদিনে ঘোষণা দেন নাই। কিন্তু প্রত্যেকটা পদক্ষেপ অত্যন্ত সুচারুভাবে নিয়েছিলেন বলেই এবং কখন কী হবে তিনি জানতেন। সেইভাবে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলেই আমরা এত তাড়াতাড়ি স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।’
মিথ্যা কথায় বিএনপি এক্সপার্ট মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমরা পারব না। তারা ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেই যাচ্ছে। অবশ্য এখন আর ভাঙা রেকর্ড কেউ চিনবে না। সবতো ডিজিটাল। একটার পর একটা কথা বলেই যাচ্ছে।’
বিএনপির আমলে প্রতিটি নির্বাচনেই গোলমাল হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা করেছিল। আজকে যে ভোটের উন্নতি সেটাতো আওয়ামী লীগের উদ্যোগে। ছবিসহ ভোটার তালিকা আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই হয়েছিল। স্বচ্ছ ব্যালট ব্যবস্থা, সাদাকালো পোস্টার করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব— সেই স্লোগান আওয়ামী লীগের। যখন ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য এই স্লোগান দিয়েছি আমরা। আজকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের ক্ষমতা, জনগণের কাছে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। যে ক্ষমতা সেনানিবাসে বন্দী ছিল, জিয়া এবং এরশাদের পকেটে ছিল বা খালেদা জিয়ার আঁচলে ছিল। আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আজকে জনগণের ক্ষমতায়ন আমরা করেছি। সেখানে যদি বিএনপির নেতারা আজকে গণতন্ত্র না দেখে আর উন্নয়ন চোখে না দেখে, তাহলে আর বলার কিছু থাকে না।’
মিথ্যা বলা বিএনপির ভালো গুণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাঙা সুটকেস, ছেঁড়া গেঞ্জি থেকে কোকো লঞ্চ, ১, ২,৩ বেরোল। তারপর ড্যান্ডি ডাইং বেরোল। কত কিছু বেরোল! খালেদা জিয়ার ছেলের পাচার করা কিছু টাকা আমরা ফেরত এনেছি। এরা দুর্নীতি আর ভোটের কথা কীভাবে বলে? উন্নয়ন ওদের চোখে পড়ে না কী করে?’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ওদের ভোট দেবে কেন? ওদের নেতা কে? এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী অথবা গ্রেনেড হামলার আসামি, অর্থপাচারকারী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে তাদের নেতা। সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দিতে যাবে? মানুষতো ভোট দেবে না। মাটি ও মানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আমরা যে ওয়াদা করেছি সেটা পূরণ করেছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশ এগিয়ে যাবে। কেউ পেছনে টানতে পারবে না।’

নিজের ইচ্ছায় নয়, সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারাই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ রোববার স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় তিনি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৬ মার্চ দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হান্নান সাহেব প্রথম ঘোষণা পাঠ করেন। পর্যায়ক্রমে ওখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা একে একে পাঠ করেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী সাহেব তখন বলেছিলেন, একটা আর্মির লোক নিয়ে আসো, তাহলে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আসবে। মেজর রফিকের বইয়ে এ কথা উল্লেখ আছে।’
জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানিদের অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চ থেকে সে (জিয়াউর রহমান) তো কোনো বাঙালি সৈনিক বা কাউকে বাঁচাতে চেষ্টা করেনি। যার জন্য সেখানে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়। সেখানে বাকি যে বাঙালি অফিসার ছিল তারা তাদের সৈন্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে চলে গিয়েছিল। কিন্তু জিয়া কেন ২৫ মার্চ পর্যন্ত থাকে? চট্টগ্রামে যারা ব্যারিকেড দিয়েছিল উল্টো তাদের গুলি করেছে। তাদেরকে মেরেছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘সোয়াত জাহাজ থেকে যখন অস্ত্র নামাতে যায়, তখন তাকে ধরা হয়, সবাই আটকায়। তারপর তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এবং এটা পাঠ করানো হয়। আওয়ামী লীগ এটি কখনোই অস্বীকার করেনি। যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু সেটা রক্ষা করতে পারেনি। কারণ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত ছিল। মোশতাক-জিয়া একসঙ্গে মিলেইতো এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। যে কারণে খুনিদের দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তা আসলাম বেগ জিয়াউর রহমানকে প্রশংসামূলক চিঠি দিয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী যখন দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমানকে এই চিঠি কেন লিখবে? জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার থাকতে পারে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে থাকেনি। যেখানে গোলাগুলি হতো, তার থেকে তিন মাইল পেছনে চলে যেতো। আমাদের চট্টগ্রামের মোশাররফ ভাই এখনো জীবিত, তাঁরা একই সঙ্গে রণক্ষেত্রে ছিলেন। পাকিস্তানি কোনো সৈনিকের ওপর জিয়া একটা গুলি চালিয়েছে বা পাকিস্তানিদের বিপক্ষে একটি গুলি চালিয়েছে, এটা বিএনপি দেখাতে পারবে না। কিন্তু সে নাকি মুক্তিযোদ্ধা।’
১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্রদের মাধ্যমে নিউক্লিয়াস তৈরি করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, সব মহকুমায় এটা তৈরি করেছিলেন, যাতে তারা স্বাধীনতার একটা নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করবে। ধীরে ধীরে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। এইভাবে ধাপে ধাপে তিনি এগিয়েছেন। হঠাৎ করে একদিনে ঘোষণা দেন নাই। কিন্তু প্রত্যেকটা পদক্ষেপ অত্যন্ত সুচারুভাবে নিয়েছিলেন বলেই এবং কখন কী হবে তিনি জানতেন। সেইভাবে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলেই আমরা এত তাড়াতাড়ি স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।’
মিথ্যা কথায় বিএনপি এক্সপার্ট মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমরা পারব না। তারা ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেই যাচ্ছে। অবশ্য এখন আর ভাঙা রেকর্ড কেউ চিনবে না। সবতো ডিজিটাল। একটার পর একটা কথা বলেই যাচ্ছে।’
বিএনপির আমলে প্রতিটি নির্বাচনেই গোলমাল হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা করেছিল। আজকে যে ভোটের উন্নতি সেটাতো আওয়ামী লীগের উদ্যোগে। ছবিসহ ভোটার তালিকা আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই হয়েছিল। স্বচ্ছ ব্যালট ব্যবস্থা, সাদাকালো পোস্টার করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব— সেই স্লোগান আওয়ামী লীগের। যখন ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য এই স্লোগান দিয়েছি আমরা। আজকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের ক্ষমতা, জনগণের কাছে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। যে ক্ষমতা সেনানিবাসে বন্দী ছিল, জিয়া এবং এরশাদের পকেটে ছিল বা খালেদা জিয়ার আঁচলে ছিল। আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আজকে জনগণের ক্ষমতায়ন আমরা করেছি। সেখানে যদি বিএনপির নেতারা আজকে গণতন্ত্র না দেখে আর উন্নয়ন চোখে না দেখে, তাহলে আর বলার কিছু থাকে না।’
মিথ্যা বলা বিএনপির ভালো গুণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাঙা সুটকেস, ছেঁড়া গেঞ্জি থেকে কোকো লঞ্চ, ১, ২,৩ বেরোল। তারপর ড্যান্ডি ডাইং বেরোল। কত কিছু বেরোল! খালেদা জিয়ার ছেলের পাচার করা কিছু টাকা আমরা ফেরত এনেছি। এরা দুর্নীতি আর ভোটের কথা কীভাবে বলে? উন্নয়ন ওদের চোখে পড়ে না কী করে?’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ওদের ভোট দেবে কেন? ওদের নেতা কে? এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী অথবা গ্রেনেড হামলার আসামি, অর্থপাচারকারী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে তাদের নেতা। সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দিতে যাবে? মানুষতো ভোট দেবে না। মাটি ও মানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আমরা যে ওয়াদা করেছি সেটা পূরণ করেছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশ এগিয়ে যাবে। কেউ পেছনে টানতে পারবে না।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়
১ মিনিট আগে
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন মামলায় পরোয়ানা
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়।
পলাতক এই ২৪ জনের বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখার সূত্র বলছে, ওই ২৪ জনের বিরুদ্ধে এখনো ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি না হওয়ার কারণ জানা যায়নি। আবেদন পেলে ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব নিয়মে আসামির সব নথি ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে নোটিশ জারি করে। সাধারণত আবেদনের তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ এর আগে ইন্টারপোলের কাছ থেকে জবাব পেয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এখনো তারা কিছু ক্ষেত্রে রেড নোটিশ জারি করেনি। হয়তো যাচাই-বাছাই করছে, এটা তাদের প্রক্রিয়া। তারা রেড নোটিশ জারি না করলেও বিচার থেমে থাকবে না। বিচার আসামির অনুপস্থিতিতেই হবে।
তিনি বলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সব প্রক্রিয়াও চালু রাখতে হবে। ইন্টারপোল এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের কূটনৈতিক ধারাও অব্যাহত রাখতে হবে।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাসহ পলাতক ২৮ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলে আবেদন করেছে। এখন পর্যন্ত ইন্টারপোল তাঁদের মধ্যে মাত্র চারজনের নামে রেড নোটিশ জারি করেছে। তাঁরা হলেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার আসামি আরিফ সরকার, মহসিন মিয়া ও আওলাদ হোসেন। মহসিন মিয়াকে গত জুলাইয়ে দুবাই থেকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে আবেদন করা হলেও ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের বাংলাদেশের তালিকায় বেনজীর আহমেদের ছবি ও নাম এখনো উঠানো হয়নি।
যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল এখনো রেড নোটিশ জারি করেনি তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম ও তাঁর তিন ভাই এবং কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।
চলতি বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের কয়েকটি আদালতের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আবেদন করলেই ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে না। সংস্থাটি তাদের নিয়মে আসামির সব নথি ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়। এনসিবি সাধারণত আবেদন জমা দেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারপোলের কাছ থেকে জবাব পায়। এত দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখে না। তিনি বলেন, আসামিরা কে কোথায় আছেন, সে বিষয়ে ইন্টারপোল জানে, বাংলাদেশকে তথ্যও দিয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে রেড নোটিশের বিষয়ে সংস্থাটি এখনো কিছু জানায়নি।
ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করা পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারপোল রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হতে চায় না। বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনের পর সাবেকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। দেশগুলো ইন্টারপোলের সহায়তা চায়। তাই এসব আবেদন ইন্টারপোল খুব সতর্কভাবে দেখে। ইন্টারপোল কোনো আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায় না, নীরবতা পালন করে। যেসব আবেদনে তারা রেড নোটিশ জারি করে, সেগুলো দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দেয়।
এনসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারপোল দুই ভাবে আবেদন মূল্যায়ন করে, জরুরি ও সাধারণ। কোনো দেশ জরুরি আবেদন করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় সংস্থাটি। আর কম গুরুত্বপূর্ণ হলে ইন্টারপোলের ফ্রান্সের কমিটি সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেয়।
আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম শাহজাহান সাইফ বলেন, আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে। তবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগও নিতে হবে।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মোট ৬ হাজার ৫১৭ জন ওয়ান্টেড ব্যক্তির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ আছে, যার মধ্যে বাংলাদেশি ৬০ জন।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব আইনি কাঠামোর মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা নিয়মের মধ্যে থেকে তাদের কাছে আবেদন করেছি। তারা রেড নোটিশ জারি করবে কি না, এটা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়।
পলাতক এই ২৪ জনের বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখার সূত্র বলছে, ওই ২৪ জনের বিরুদ্ধে এখনো ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি না হওয়ার কারণ জানা যায়নি। আবেদন পেলে ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব নিয়মে আসামির সব নথি ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে নোটিশ জারি করে। সাধারণত আবেদনের তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ এর আগে ইন্টারপোলের কাছ থেকে জবাব পেয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এখনো তারা কিছু ক্ষেত্রে রেড নোটিশ জারি করেনি। হয়তো যাচাই-বাছাই করছে, এটা তাদের প্রক্রিয়া। তারা রেড নোটিশ জারি না করলেও বিচার থেমে থাকবে না। বিচার আসামির অনুপস্থিতিতেই হবে।
তিনি বলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সব প্রক্রিয়াও চালু রাখতে হবে। ইন্টারপোল এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের কূটনৈতিক ধারাও অব্যাহত রাখতে হবে।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাসহ পলাতক ২৮ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলে আবেদন করেছে। এখন পর্যন্ত ইন্টারপোল তাঁদের মধ্যে মাত্র চারজনের নামে রেড নোটিশ জারি করেছে। তাঁরা হলেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার আসামি আরিফ সরকার, মহসিন মিয়া ও আওলাদ হোসেন। মহসিন মিয়াকে গত জুলাইয়ে দুবাই থেকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে আবেদন করা হলেও ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের বাংলাদেশের তালিকায় বেনজীর আহমেদের ছবি ও নাম এখনো উঠানো হয়নি।
যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল এখনো রেড নোটিশ জারি করেনি তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম ও তাঁর তিন ভাই এবং কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।
চলতি বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের কয়েকটি আদালতের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আবেদন করলেই ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে না। সংস্থাটি তাদের নিয়মে আসামির সব নথি ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়। এনসিবি সাধারণত আবেদন জমা দেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারপোলের কাছ থেকে জবাব পায়। এত দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখে না। তিনি বলেন, আসামিরা কে কোথায় আছেন, সে বিষয়ে ইন্টারপোল জানে, বাংলাদেশকে তথ্যও দিয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে রেড নোটিশের বিষয়ে সংস্থাটি এখনো কিছু জানায়নি।
ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করা পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারপোল রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হতে চায় না। বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনের পর সাবেকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। দেশগুলো ইন্টারপোলের সহায়তা চায়। তাই এসব আবেদন ইন্টারপোল খুব সতর্কভাবে দেখে। ইন্টারপোল কোনো আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায় না, নীরবতা পালন করে। যেসব আবেদনে তারা রেড নোটিশ জারি করে, সেগুলো দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দেয়।
এনসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারপোল দুই ভাবে আবেদন মূল্যায়ন করে, জরুরি ও সাধারণ। কোনো দেশ জরুরি আবেদন করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় সংস্থাটি। আর কম গুরুত্বপূর্ণ হলে ইন্টারপোলের ফ্রান্সের কমিটি সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেয়।
আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম শাহজাহান সাইফ বলেন, আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে। তবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগও নিতে হবে।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মোট ৬ হাজার ৫১৭ জন ওয়ান্টেড ব্যক্তির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ আছে, যার মধ্যে বাংলাদেশি ৬০ জন।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব আইনি কাঠামোর মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা নিয়মের মধ্যে থেকে তাদের কাছে আবেদন করেছি। তারা রেড নোটিশ জারি করবে কি না, এটা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

নিজের ইচ্ছায় নয়, সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারাই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২৭ মার্চ ২০২২
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র হজ পালন
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন দেশের কতজন হজ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ প্রতিবছর হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছেন। সে অনুযায়ী ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়ে আসছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিবন্ধিত অনেকে ২০২০ সাল থেকে হজে যেতে পারেননি। করোনা অতিমারির ধাক্কা ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে হজে গিয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৯০৯ জন। ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন, ২০২৪ সালে ৮৫ হাজার, ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার ২০০ এবং আগামী বছরের (২০২৬ সালে) জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৭৩ হাজার ৪১৬ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি হজ প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ২০২৩ সালে শুধু এক প্যাকেজে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ছিল।
২০২৪ সালে করা হয় ৫ লাখ ৭৮ হাজার থেকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ২০২৫ সালে করা হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ টাকা এবং আগামী বছরের জন্য করা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এদিকে প্রতিবছরই সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকেরাও বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে আসছেন। তাঁরা বরাবরই উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর পক্ষে বলে আসছেন। তবে বর্তমানে সৌদি আরব অংশে সব ধরনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মোট খরচ বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, অনেকেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ করছেন। এতে গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, তাঁদের হজ পালন হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকে নিবন্ধন করার পরও তাঁদের টাকা ফেরত নিয়েছেন। গত বছর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজন বাসিন্দা হজ নিবন্ধন করার পরও হজে যাননি। পরে তাঁরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ পালন করে আসেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাওয়া হলে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়া, সৌদি আরবে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, ব্যবসায় মন্দা ও এক বছর ধরে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধের কারণে অনেকেই হজে যেতে পারছেন না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগ স্থিতিশীল হবে এবং বেশি মানুষ হজে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে হজযাত্রী কোটা পূরণ কেন হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে। তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীকের মাধ্যমে জানান, সৌদি রোডম্যাপ অনুসারে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি প্রায় দুই মাস এগিয়ে এসেছে। এর ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। ক্রমবর্ধমানহারে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এখন বছরে এ দেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। এবং কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণেও হজযাত্রী নিবন্ধন কমে থাকতে পারে।

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন দেশের কতজন হজ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ প্রতিবছর হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছেন। সে অনুযায়ী ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়ে আসছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিবন্ধিত অনেকে ২০২০ সাল থেকে হজে যেতে পারেননি। করোনা অতিমারির ধাক্কা ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে হজে গিয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৯০৯ জন। ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন, ২০২৪ সালে ৮৫ হাজার, ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার ২০০ এবং আগামী বছরের (২০২৬ সালে) জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৭৩ হাজার ৪১৬ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি হজ প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ২০২৩ সালে শুধু এক প্যাকেজে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ছিল।
২০২৪ সালে করা হয় ৫ লাখ ৭৮ হাজার থেকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ২০২৫ সালে করা হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ টাকা এবং আগামী বছরের জন্য করা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এদিকে প্রতিবছরই সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকেরাও বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে আসছেন। তাঁরা বরাবরই উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর পক্ষে বলে আসছেন। তবে বর্তমানে সৌদি আরব অংশে সব ধরনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মোট খরচ বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, অনেকেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ করছেন। এতে গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, তাঁদের হজ পালন হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকে নিবন্ধন করার পরও তাঁদের টাকা ফেরত নিয়েছেন। গত বছর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজন বাসিন্দা হজ নিবন্ধন করার পরও হজে যাননি। পরে তাঁরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ পালন করে আসেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাওয়া হলে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়া, সৌদি আরবে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, ব্যবসায় মন্দা ও এক বছর ধরে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধের কারণে অনেকেই হজে যেতে পারছেন না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগ স্থিতিশীল হবে এবং বেশি মানুষ হজে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে হজযাত্রী কোটা পূরণ কেন হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে। তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীকের মাধ্যমে জানান, সৌদি রোডম্যাপ অনুসারে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি প্রায় দুই মাস এগিয়ে এসেছে। এর ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। ক্রমবর্ধমানহারে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এখন বছরে এ দেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। এবং কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণেও হজযাত্রী নিবন্ধন কমে থাকতে পারে।

নিজের ইচ্ছায় নয়, সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারাই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২৭ মার্চ ২০২২
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়
১ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক পর জেইসি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

নিজের ইচ্ছায় নয়, সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারাই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২৭ মার্চ ২০২২
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়
১ মিনিট আগে
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

নিজের ইচ্ছায় নয়, সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারাই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২৭ মার্চ ২০২২
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়
১ মিনিট আগে
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে