রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বলেছে, এই ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের বিষয়ে সরকার উদাসীনতা দেখিয়েছে। আজ শুক্রবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই রায়ের সমালোচনা করে অ্যামনেস্টির মৃত্যুদণ্ডবিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিয়ারা সানজর্জিও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মৃত্যুদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডের ক্রমাগত ব্যবহারের নিন্দা জানাই। এটি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের প্রতি সরকারের ক্রমাগত উদাসীনতাই তুলে ধরে।’
বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকারকে দেশে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর একটি সরকারি স্থগিতাদেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে।
এ বিষয়ে চিয়ারা সানজর্জিও বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড কখনই সমাধান নয়। আমরা বিশ্বাস করি যে রাষ্ট্রের অবশ্যই ন্যায়বিচারের নামে কারও জীবন কেড়ে নেওয়ার অধিকার থাকতে পারে না। বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান হারে মৃত্যুদণ্ড বিলোপকারী দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এই বিষয়টিকে আরও শক্তিশালী করেছে।’ চিয়ারা বলেন, ‘অপরাধ যত বড়ই হোক না কেন—এই চূড়ান্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি কাউকে ভোগ করতে দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া, মৃত্যুদণ্ড যে অপরাধ কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।’
বিবৃতিতে চিয়ারা আরও বলেছেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকারকে দেশে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ডের ওপর একটি সরকারি স্থগিতাদেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সবার মামলা পর্যালোচনা করতে হবে; যাতে তাদের সাজা কমানো যায় বা মৃত্যুদণ্ডের আশ্রয় না নিয়ে তাদের ন্যায্য পুনর্বিচারের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের অবশ্যই সব আইন ও বিচারিক অনুশীলন আনতে হবে।’
২৭ জুলাই অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এর আগে, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। একদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক এস তাহের আহমেদের গলিত মরদেহ। ওই দিন রাতে তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অধ্যাপক তাহেরের সহকর্মী সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম, তাঁর ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম। তবে বিচারে খালাস পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিন মুন্সি।
পরবর্তীকালে সাজাপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন। অন্য দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আদালত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বলেছে, এই ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের বিষয়ে সরকার উদাসীনতা দেখিয়েছে। আজ শুক্রবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই রায়ের সমালোচনা করে অ্যামনেস্টির মৃত্যুদণ্ডবিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিয়ারা সানজর্জিও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মৃত্যুদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডের ক্রমাগত ব্যবহারের নিন্দা জানাই। এটি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের প্রতি সরকারের ক্রমাগত উদাসীনতাই তুলে ধরে।’
বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকারকে দেশে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর একটি সরকারি স্থগিতাদেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে।
এ বিষয়ে চিয়ারা সানজর্জিও বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড কখনই সমাধান নয়। আমরা বিশ্বাস করি যে রাষ্ট্রের অবশ্যই ন্যায়বিচারের নামে কারও জীবন কেড়ে নেওয়ার অধিকার থাকতে পারে না। বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান হারে মৃত্যুদণ্ড বিলোপকারী দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এই বিষয়টিকে আরও শক্তিশালী করেছে।’ চিয়ারা বলেন, ‘অপরাধ যত বড়ই হোক না কেন—এই চূড়ান্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি কাউকে ভোগ করতে দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া, মৃত্যুদণ্ড যে অপরাধ কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।’
বিবৃতিতে চিয়ারা আরও বলেছেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকারকে দেশে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ডের ওপর একটি সরকারি স্থগিতাদেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সবার মামলা পর্যালোচনা করতে হবে; যাতে তাদের সাজা কমানো যায় বা মৃত্যুদণ্ডের আশ্রয় না নিয়ে তাদের ন্যায্য পুনর্বিচারের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের অবশ্যই সব আইন ও বিচারিক অনুশীলন আনতে হবে।’
২৭ জুলাই অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এর আগে, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। একদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক এস তাহের আহমেদের গলিত মরদেহ। ওই দিন রাতে তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অধ্যাপক তাহেরের সহকর্মী সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম, তাঁর ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম। তবে বিচারে খালাস পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিন মুন্সি।
পরবর্তীকালে সাজাপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন। অন্য দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আদালত।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাঁদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। খবর মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বারনামার।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে
৭ ঘণ্টা আগেসংলাপে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোকে দুই ভাগে করা হয়েছে। কতগুলো সংস্কার আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে করা যাবে। রাজনীতিকদের এ ব্যাপারে দ্বিমতের সুযোগ খুব কম। শত শত সুপারিশ আছে, যেগুলো বাস্তবায়ন করা যায়। আর কতগুলো সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মৌলিক
৭ ঘণ্টা আগে