সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন

সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে। হোটেলের দু-একজন কর্মচারী যাঁরা জেনেছিলেন, আমরা অসুস্থ হওয়ায় তাঁরা এসে শেষবারের মতো খোঁজ নিয়ে গেলেন। বাস দুপুর আড়াইটায়। এর আগে খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা প্রস্তুত। খেতে তো আর ওইভাবে পারছিলাম না তখনো। তবু যতটুকু পারলাম খেলাম। ২টার আগেই কিংশুকদা চলে এসেছিলেন আমাদের বিদায় জানাতে।
তিনি হোটেল থেকে চেকআউটের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। অসুস্থ ভুবনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দিলেন না। আমাদের তল্পিতল্পা বাসে ওঠাতেও সাহায্য করলেন কিংশুকদা। বাসে উঠলে পরে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তিনি হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন। এই মানুষটার উপকার আমরা সারা জীবনেও ভুলব না। কী অদ্ভুত! আমি আমার যে সহকর্মীকে কোনো দিন সামনাসামনি দেখিনি, শুধু ই-মেইলে কথা হয়, সেই নারীর ভাইকে তো চেনার প্রশ্নই ছিল না। অথচ দুই দিনে এই মধ্যবয়স্ক মানুষটা কেমন যেন মায়া লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে আমরা ভিনদেশের অচেনা-অজানা নাগরিক ছিলাম। এতখানি ভালোবাসা কি আমরা প্রাপ্য ছিলাম? থেকে থেকে আমার শুধু ভাইয়ার কথা মনে পড়ছিল।
বাস ছেড়ে দেওয়ার আগমুহূর্তে আমাদের আসন বদলে দেওয়া হলো। এবার জানালার কাচে কালো স্টিকার লাগানো। মনটা খারাপ হয়ে গেল বাইরের কিছু দেখতে পারব না বলে। জানালাগুলো খোলাও যায় না, একেবারে বন্ধ। যাকে বলে ‘ফিক্সড’। বিপরীত পাশের জানালা দিয়ে দেখা যায়। কোনো স্টিকার নেই। আমি সারা পথ উঁকিঝুঁকি মেরে বিপরীত দিকের জানালাগুলো দিয়ে তাকানোর চেষ্টা করছিলাম। বাইরের দৃশ্য দেখা আমার অভ্যাস। ভ্রমণে এটাই তো সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার। বিপরীত দিকের জানালা দিয়ে দেখতে কষ্ট হচ্ছিল। তবু কিছুক্ষণ পরপরই তাকাচ্ছিলাম। সেই মন্দির, প্রতিমা, হোটেল, বাড়ি, চা-বাগান, ট্রাক—এসব দেখতে দেখতে ঘণ্টা তিনের মধ্যে পৌঁছে গেলাম চেংড়াবান্ধা সীমান্তে। এবার আমাদের ছেড়ে দিতে খুব বেশি সময় নিল না ভারত।
বেঁচে যাওয়া রুপিগুলো টাকায় ভাঙিয়ে নিলাম। বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পাসপোর্ট ফেরত নিতে গিয়ে আটকে গেলাম। ৪০০ করে টাকা না দিলে দুইটা পাসপোর্ট ছাড়ছিল না। আমার তো মেজাজ তখন তুঙ্গে চড়ে যাচ্ছিল। কিছু একটা বলা শুরু করব, তার আগেই ভুবন আমার চেহারা-নকশা দেখে থামিয়ে দিল। গলা নামিয়ে বলল, ‘প্লিজ কিছু বোলো না। শান্ত থাকো। আমি দিয়ে দিচ্ছি। নইলে ঝামেলা করবে। পরে আর পাসপোর্ট পাবে না।’ যে লোকটা টাকা চাইলেন, তিনি নিজেও আমাকে আশ্বাস দিচ্ছিলেন যে এটা নিয়ম মাফিক নেওয়া হচ্ছে, কোনো উপরি নয়। কিন্তু আমার মনে আজ পর্যন্ত সন্দেহ রয়েই গেল। যাই হোক, টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট পেয়ে গেলাম। প্রবেশ করলাম আমার দেশে।
চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ধ্যার আগে ঢুকলাম রংপুরের পাটগ্রামে। এবার আর ইমিগ্রেশন সেন্টারে অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিল না। চলে গেলাম শ্যামলীর বাস কাউন্টারে। আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছিল। ভুবন খেতে চাইছিল না। ওর ধারণা ছিল, খেলেই বমি হয়ে যাবে। তবু আগের হোটেলটায় খেতে বসলাম। আমি গোগ্রাসে খেলাম ভাত আর মুরগি। বেশ তৃপ্তি নিয়ে। মনে হচ্ছিল হাজার বছর ধরে পেটে কিছু ঢোকেনি। কিন্তু ভুবন এবারও তেমন খেতে পারল না। মাগরিবের সময়টা পার হয়ে গেলে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। আবার সেই পিচ্ছিল আসনে বসতে হলো। আমরা ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলাম। লাভ হয়নি তেমন। রাত ১২টার বিরতি। আগের মতো আবার একই জায়গায়। পঁচিশ মিনিটের বিরতির পর আবার বাসের চলা শুরু। ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দিনের আলো ফুটে গেল। ভুবন চাঙা হয়ে উঠছিল।
কিন্তু আমি নেতিয়ে পড়ছিলাম আবার। সাড়ে ৭টা কি ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছে গেলাম। নাশতা সেরে দিলাম ঘুম। উঠলাম একেবারে বিকেলে। খেয়েদেয়ে ঘুম। রাতে উঠে আবার খাওয়া, আবার ঘুম। কেমন করে যে একটা দিন ঘুমে ঘুমে কেটে গেল, বলতেই পারব না দুজনের একজনও। হয়তো খুব বেশি ক্লান্ত ছিলাম। ভুবন সেদিন প্রায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ঠিকই বলেছিল, বাসায় গেলে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি কেন জানি আবার অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। পরদিন সকালে আমার শাশুড়ি এলেন। তিনি হঠাৎ করে আমার হাত ধরে বললেন, ‘তোমার হাত লাল কেন? সারা শরীরে কী এমন হয়েছে?’
আমি খেয়াল করে দেখলাম আসলেই লালচে ছোপ পড়েছে সারা গায়ে। মা ভুবনকে বললেন, ‘আজকেই ডাক্তার দ্যাখায় আনো ওকে। একটুও দেরি করবা না।’ মা চলে গেলেন বিকালে। টলতে টলতে সন্ধ্যায় পাড়ার এক ডাক্তার দেখিয়ে এলাম ভুবনের সঙ্গে। জানলাম, র্যাশ হয়েছে। তাঁর দেওয়া ওষুধ দুই-তিন দিন খেয়ে কাজ হচ্ছিল না। চুলকানি বাড়তে লাগল। সঙ্গে র্যাশও। মা ফোনে বললেন চর্মরোগের ডাক্তার দেখাতে। আমার বাবার চেনা এক ডাক্তারকে পরদিন দেখাতে গেলাম। তিনি দেখে বললেন, ‘প্যারাসিটামলের রিঅ্যাকশন।’ তার মানে, ইচ্ছামতো আবোল-তাবোল প্যারাসিটামল যে খেয়েছিলাম ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া, সেটার ফলাফল। মাসুম ভাই হয়তো ভালো মনে করেই ওষুধ দিয়েছিলেন। হয়তো হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজার ওই কর্মচারীটাও আমার ক্ষতি চায়নি। ভুবনও তো সুস্থ হওয়ার জন্য কিনে এনেছিল ভারতীয় কোনো একটা প্যারাসিটামল। শিক্ষা হলো, আর কোনো দিন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গিলব না।
দশ দিনের ওষুধ আর রক্ত পরীক্ষা লিখে দিলেন ডাক্তার। বুঝিয়ে দিলেন রিপোর্ট ভালো হলে আর দেখানোর দরকার নেই। ওষুধেই ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রক্ত দিলাম। পরদিন ভুবন রিপোর্ট নিয়ে এসেছিল। ডাক্তার যেই শঙ্কার কথা বলেছিলেন, তেমন কিছু নেই। শুধু র্যাশটাই যা ক্ষতি করছিল। ওষুধ খেতে লাগলাম। চুলকানির জন্য একটা মলম লাগাতে দিয়েছিলেন ডাক্তার। সেটাও ব্যবহার করতে লাগলাম। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলাম। র্যাশগুলো মলিন হওয়া শুরু করল। সেই সঙ্গে সিকিম আর শিলিগুড়ির স্মৃতিও।
[সমাপ্ত]

সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে। হোটেলের দু-একজন কর্মচারী যাঁরা জেনেছিলেন, আমরা অসুস্থ হওয়ায় তাঁরা এসে শেষবারের মতো খোঁজ নিয়ে গেলেন। বাস দুপুর আড়াইটায়। এর আগে খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা প্রস্তুত। খেতে তো আর ওইভাবে পারছিলাম না তখনো। তবু যতটুকু পারলাম খেলাম। ২টার আগেই কিংশুকদা চলে এসেছিলেন আমাদের বিদায় জানাতে।
তিনি হোটেল থেকে চেকআউটের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। অসুস্থ ভুবনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দিলেন না। আমাদের তল্পিতল্পা বাসে ওঠাতেও সাহায্য করলেন কিংশুকদা। বাসে উঠলে পরে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তিনি হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন। এই মানুষটার উপকার আমরা সারা জীবনেও ভুলব না। কী অদ্ভুত! আমি আমার যে সহকর্মীকে কোনো দিন সামনাসামনি দেখিনি, শুধু ই-মেইলে কথা হয়, সেই নারীর ভাইকে তো চেনার প্রশ্নই ছিল না। অথচ দুই দিনে এই মধ্যবয়স্ক মানুষটা কেমন যেন মায়া লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে আমরা ভিনদেশের অচেনা-অজানা নাগরিক ছিলাম। এতখানি ভালোবাসা কি আমরা প্রাপ্য ছিলাম? থেকে থেকে আমার শুধু ভাইয়ার কথা মনে পড়ছিল।
বাস ছেড়ে দেওয়ার আগমুহূর্তে আমাদের আসন বদলে দেওয়া হলো। এবার জানালার কাচে কালো স্টিকার লাগানো। মনটা খারাপ হয়ে গেল বাইরের কিছু দেখতে পারব না বলে। জানালাগুলো খোলাও যায় না, একেবারে বন্ধ। যাকে বলে ‘ফিক্সড’। বিপরীত পাশের জানালা দিয়ে দেখা যায়। কোনো স্টিকার নেই। আমি সারা পথ উঁকিঝুঁকি মেরে বিপরীত দিকের জানালাগুলো দিয়ে তাকানোর চেষ্টা করছিলাম। বাইরের দৃশ্য দেখা আমার অভ্যাস। ভ্রমণে এটাই তো সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার। বিপরীত দিকের জানালা দিয়ে দেখতে কষ্ট হচ্ছিল। তবু কিছুক্ষণ পরপরই তাকাচ্ছিলাম। সেই মন্দির, প্রতিমা, হোটেল, বাড়ি, চা-বাগান, ট্রাক—এসব দেখতে দেখতে ঘণ্টা তিনের মধ্যে পৌঁছে গেলাম চেংড়াবান্ধা সীমান্তে। এবার আমাদের ছেড়ে দিতে খুব বেশি সময় নিল না ভারত।
বেঁচে যাওয়া রুপিগুলো টাকায় ভাঙিয়ে নিলাম। বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পাসপোর্ট ফেরত নিতে গিয়ে আটকে গেলাম। ৪০০ করে টাকা না দিলে দুইটা পাসপোর্ট ছাড়ছিল না। আমার তো মেজাজ তখন তুঙ্গে চড়ে যাচ্ছিল। কিছু একটা বলা শুরু করব, তার আগেই ভুবন আমার চেহারা-নকশা দেখে থামিয়ে দিল। গলা নামিয়ে বলল, ‘প্লিজ কিছু বোলো না। শান্ত থাকো। আমি দিয়ে দিচ্ছি। নইলে ঝামেলা করবে। পরে আর পাসপোর্ট পাবে না।’ যে লোকটা টাকা চাইলেন, তিনি নিজেও আমাকে আশ্বাস দিচ্ছিলেন যে এটা নিয়ম মাফিক নেওয়া হচ্ছে, কোনো উপরি নয়। কিন্তু আমার মনে আজ পর্যন্ত সন্দেহ রয়েই গেল। যাই হোক, টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট পেয়ে গেলাম। প্রবেশ করলাম আমার দেশে।
চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ধ্যার আগে ঢুকলাম রংপুরের পাটগ্রামে। এবার আর ইমিগ্রেশন সেন্টারে অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিল না। চলে গেলাম শ্যামলীর বাস কাউন্টারে। আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছিল। ভুবন খেতে চাইছিল না। ওর ধারণা ছিল, খেলেই বমি হয়ে যাবে। তবু আগের হোটেলটায় খেতে বসলাম। আমি গোগ্রাসে খেলাম ভাত আর মুরগি। বেশ তৃপ্তি নিয়ে। মনে হচ্ছিল হাজার বছর ধরে পেটে কিছু ঢোকেনি। কিন্তু ভুবন এবারও তেমন খেতে পারল না। মাগরিবের সময়টা পার হয়ে গেলে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। আবার সেই পিচ্ছিল আসনে বসতে হলো। আমরা ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলাম। লাভ হয়নি তেমন। রাত ১২টার বিরতি। আগের মতো আবার একই জায়গায়। পঁচিশ মিনিটের বিরতির পর আবার বাসের চলা শুরু। ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দিনের আলো ফুটে গেল। ভুবন চাঙা হয়ে উঠছিল।
কিন্তু আমি নেতিয়ে পড়ছিলাম আবার। সাড়ে ৭টা কি ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছে গেলাম। নাশতা সেরে দিলাম ঘুম। উঠলাম একেবারে বিকেলে। খেয়েদেয়ে ঘুম। রাতে উঠে আবার খাওয়া, আবার ঘুম। কেমন করে যে একটা দিন ঘুমে ঘুমে কেটে গেল, বলতেই পারব না দুজনের একজনও। হয়তো খুব বেশি ক্লান্ত ছিলাম। ভুবন সেদিন প্রায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ঠিকই বলেছিল, বাসায় গেলে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি কেন জানি আবার অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। পরদিন সকালে আমার শাশুড়ি এলেন। তিনি হঠাৎ করে আমার হাত ধরে বললেন, ‘তোমার হাত লাল কেন? সারা শরীরে কী এমন হয়েছে?’
আমি খেয়াল করে দেখলাম আসলেই লালচে ছোপ পড়েছে সারা গায়ে। মা ভুবনকে বললেন, ‘আজকেই ডাক্তার দ্যাখায় আনো ওকে। একটুও দেরি করবা না।’ মা চলে গেলেন বিকালে। টলতে টলতে সন্ধ্যায় পাড়ার এক ডাক্তার দেখিয়ে এলাম ভুবনের সঙ্গে। জানলাম, র্যাশ হয়েছে। তাঁর দেওয়া ওষুধ দুই-তিন দিন খেয়ে কাজ হচ্ছিল না। চুলকানি বাড়তে লাগল। সঙ্গে র্যাশও। মা ফোনে বললেন চর্মরোগের ডাক্তার দেখাতে। আমার বাবার চেনা এক ডাক্তারকে পরদিন দেখাতে গেলাম। তিনি দেখে বললেন, ‘প্যারাসিটামলের রিঅ্যাকশন।’ তার মানে, ইচ্ছামতো আবোল-তাবোল প্যারাসিটামল যে খেয়েছিলাম ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া, সেটার ফলাফল। মাসুম ভাই হয়তো ভালো মনে করেই ওষুধ দিয়েছিলেন। হয়তো হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজার ওই কর্মচারীটাও আমার ক্ষতি চায়নি। ভুবনও তো সুস্থ হওয়ার জন্য কিনে এনেছিল ভারতীয় কোনো একটা প্যারাসিটামল। শিক্ষা হলো, আর কোনো দিন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গিলব না।
দশ দিনের ওষুধ আর রক্ত পরীক্ষা লিখে দিলেন ডাক্তার। বুঝিয়ে দিলেন রিপোর্ট ভালো হলে আর দেখানোর দরকার নেই। ওষুধেই ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রক্ত দিলাম। পরদিন ভুবন রিপোর্ট নিয়ে এসেছিল। ডাক্তার যেই শঙ্কার কথা বলেছিলেন, তেমন কিছু নেই। শুধু র্যাশটাই যা ক্ষতি করছিল। ওষুধ খেতে লাগলাম। চুলকানির জন্য একটা মলম লাগাতে দিয়েছিলেন ডাক্তার। সেটাও ব্যবহার করতে লাগলাম। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলাম। র্যাশগুলো মলিন হওয়া শুরু করল। সেই সঙ্গে সিকিম আর শিলিগুড়ির স্মৃতিও।
[সমাপ্ত]
সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন

সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে। হোটেলের দু-একজন কর্মচারী যাঁরা জেনেছিলেন, আমরা অসুস্থ হওয়ায় তাঁরা এসে শেষবারের মতো খোঁজ নিয়ে গেলেন। বাস দুপুর আড়াইটায়। এর আগে খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা প্রস্তুত। খেতে তো আর ওইভাবে পারছিলাম না তখনো। তবু যতটুকু পারলাম খেলাম। ২টার আগেই কিংশুকদা চলে এসেছিলেন আমাদের বিদায় জানাতে।
তিনি হোটেল থেকে চেকআউটের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। অসুস্থ ভুবনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দিলেন না। আমাদের তল্পিতল্পা বাসে ওঠাতেও সাহায্য করলেন কিংশুকদা। বাসে উঠলে পরে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তিনি হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন। এই মানুষটার উপকার আমরা সারা জীবনেও ভুলব না। কী অদ্ভুত! আমি আমার যে সহকর্মীকে কোনো দিন সামনাসামনি দেখিনি, শুধু ই-মেইলে কথা হয়, সেই নারীর ভাইকে তো চেনার প্রশ্নই ছিল না। অথচ দুই দিনে এই মধ্যবয়স্ক মানুষটা কেমন যেন মায়া লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে আমরা ভিনদেশের অচেনা-অজানা নাগরিক ছিলাম। এতখানি ভালোবাসা কি আমরা প্রাপ্য ছিলাম? থেকে থেকে আমার শুধু ভাইয়ার কথা মনে পড়ছিল।
বাস ছেড়ে দেওয়ার আগমুহূর্তে আমাদের আসন বদলে দেওয়া হলো। এবার জানালার কাচে কালো স্টিকার লাগানো। মনটা খারাপ হয়ে গেল বাইরের কিছু দেখতে পারব না বলে। জানালাগুলো খোলাও যায় না, একেবারে বন্ধ। যাকে বলে ‘ফিক্সড’। বিপরীত পাশের জানালা দিয়ে দেখা যায়। কোনো স্টিকার নেই। আমি সারা পথ উঁকিঝুঁকি মেরে বিপরীত দিকের জানালাগুলো দিয়ে তাকানোর চেষ্টা করছিলাম। বাইরের দৃশ্য দেখা আমার অভ্যাস। ভ্রমণে এটাই তো সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার। বিপরীত দিকের জানালা দিয়ে দেখতে কষ্ট হচ্ছিল। তবু কিছুক্ষণ পরপরই তাকাচ্ছিলাম। সেই মন্দির, প্রতিমা, হোটেল, বাড়ি, চা-বাগান, ট্রাক—এসব দেখতে দেখতে ঘণ্টা তিনের মধ্যে পৌঁছে গেলাম চেংড়াবান্ধা সীমান্তে। এবার আমাদের ছেড়ে দিতে খুব বেশি সময় নিল না ভারত।
বেঁচে যাওয়া রুপিগুলো টাকায় ভাঙিয়ে নিলাম। বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পাসপোর্ট ফেরত নিতে গিয়ে আটকে গেলাম। ৪০০ করে টাকা না দিলে দুইটা পাসপোর্ট ছাড়ছিল না। আমার তো মেজাজ তখন তুঙ্গে চড়ে যাচ্ছিল। কিছু একটা বলা শুরু করব, তার আগেই ভুবন আমার চেহারা-নকশা দেখে থামিয়ে দিল। গলা নামিয়ে বলল, ‘প্লিজ কিছু বোলো না। শান্ত থাকো। আমি দিয়ে দিচ্ছি। নইলে ঝামেলা করবে। পরে আর পাসপোর্ট পাবে না।’ যে লোকটা টাকা চাইলেন, তিনি নিজেও আমাকে আশ্বাস দিচ্ছিলেন যে এটা নিয়ম মাফিক নেওয়া হচ্ছে, কোনো উপরি নয়। কিন্তু আমার মনে আজ পর্যন্ত সন্দেহ রয়েই গেল। যাই হোক, টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট পেয়ে গেলাম। প্রবেশ করলাম আমার দেশে।
চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ধ্যার আগে ঢুকলাম রংপুরের পাটগ্রামে। এবার আর ইমিগ্রেশন সেন্টারে অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিল না। চলে গেলাম শ্যামলীর বাস কাউন্টারে। আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছিল। ভুবন খেতে চাইছিল না। ওর ধারণা ছিল, খেলেই বমি হয়ে যাবে। তবু আগের হোটেলটায় খেতে বসলাম। আমি গোগ্রাসে খেলাম ভাত আর মুরগি। বেশ তৃপ্তি নিয়ে। মনে হচ্ছিল হাজার বছর ধরে পেটে কিছু ঢোকেনি। কিন্তু ভুবন এবারও তেমন খেতে পারল না। মাগরিবের সময়টা পার হয়ে গেলে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। আবার সেই পিচ্ছিল আসনে বসতে হলো। আমরা ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলাম। লাভ হয়নি তেমন। রাত ১২টার বিরতি। আগের মতো আবার একই জায়গায়। পঁচিশ মিনিটের বিরতির পর আবার বাসের চলা শুরু। ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দিনের আলো ফুটে গেল। ভুবন চাঙা হয়ে উঠছিল।
কিন্তু আমি নেতিয়ে পড়ছিলাম আবার। সাড়ে ৭টা কি ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছে গেলাম। নাশতা সেরে দিলাম ঘুম। উঠলাম একেবারে বিকেলে। খেয়েদেয়ে ঘুম। রাতে উঠে আবার খাওয়া, আবার ঘুম। কেমন করে যে একটা দিন ঘুমে ঘুমে কেটে গেল, বলতেই পারব না দুজনের একজনও। হয়তো খুব বেশি ক্লান্ত ছিলাম। ভুবন সেদিন প্রায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ঠিকই বলেছিল, বাসায় গেলে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি কেন জানি আবার অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। পরদিন সকালে আমার শাশুড়ি এলেন। তিনি হঠাৎ করে আমার হাত ধরে বললেন, ‘তোমার হাত লাল কেন? সারা শরীরে কী এমন হয়েছে?’
আমি খেয়াল করে দেখলাম আসলেই লালচে ছোপ পড়েছে সারা গায়ে। মা ভুবনকে বললেন, ‘আজকেই ডাক্তার দ্যাখায় আনো ওকে। একটুও দেরি করবা না।’ মা চলে গেলেন বিকালে। টলতে টলতে সন্ধ্যায় পাড়ার এক ডাক্তার দেখিয়ে এলাম ভুবনের সঙ্গে। জানলাম, র্যাশ হয়েছে। তাঁর দেওয়া ওষুধ দুই-তিন দিন খেয়ে কাজ হচ্ছিল না। চুলকানি বাড়তে লাগল। সঙ্গে র্যাশও। মা ফোনে বললেন চর্মরোগের ডাক্তার দেখাতে। আমার বাবার চেনা এক ডাক্তারকে পরদিন দেখাতে গেলাম। তিনি দেখে বললেন, ‘প্যারাসিটামলের রিঅ্যাকশন।’ তার মানে, ইচ্ছামতো আবোল-তাবোল প্যারাসিটামল যে খেয়েছিলাম ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া, সেটার ফলাফল। মাসুম ভাই হয়তো ভালো মনে করেই ওষুধ দিয়েছিলেন। হয়তো হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজার ওই কর্মচারীটাও আমার ক্ষতি চায়নি। ভুবনও তো সুস্থ হওয়ার জন্য কিনে এনেছিল ভারতীয় কোনো একটা প্যারাসিটামল। শিক্ষা হলো, আর কোনো দিন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গিলব না।
দশ দিনের ওষুধ আর রক্ত পরীক্ষা লিখে দিলেন ডাক্তার। বুঝিয়ে দিলেন রিপোর্ট ভালো হলে আর দেখানোর দরকার নেই। ওষুধেই ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রক্ত দিলাম। পরদিন ভুবন রিপোর্ট নিয়ে এসেছিল। ডাক্তার যেই শঙ্কার কথা বলেছিলেন, তেমন কিছু নেই। শুধু র্যাশটাই যা ক্ষতি করছিল। ওষুধ খেতে লাগলাম। চুলকানির জন্য একটা মলম লাগাতে দিয়েছিলেন ডাক্তার। সেটাও ব্যবহার করতে লাগলাম। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলাম। র্যাশগুলো মলিন হওয়া শুরু করল। সেই সঙ্গে সিকিম আর শিলিগুড়ির স্মৃতিও।
[সমাপ্ত]

সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে। হোটেলের দু-একজন কর্মচারী যাঁরা জেনেছিলেন, আমরা অসুস্থ হওয়ায় তাঁরা এসে শেষবারের মতো খোঁজ নিয়ে গেলেন। বাস দুপুর আড়াইটায়। এর আগে খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা প্রস্তুত। খেতে তো আর ওইভাবে পারছিলাম না তখনো। তবু যতটুকু পারলাম খেলাম। ২টার আগেই কিংশুকদা চলে এসেছিলেন আমাদের বিদায় জানাতে।
তিনি হোটেল থেকে চেকআউটের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। অসুস্থ ভুবনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দিলেন না। আমাদের তল্পিতল্পা বাসে ওঠাতেও সাহায্য করলেন কিংশুকদা। বাসে উঠলে পরে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তিনি হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন। এই মানুষটার উপকার আমরা সারা জীবনেও ভুলব না। কী অদ্ভুত! আমি আমার যে সহকর্মীকে কোনো দিন সামনাসামনি দেখিনি, শুধু ই-মেইলে কথা হয়, সেই নারীর ভাইকে তো চেনার প্রশ্নই ছিল না। অথচ দুই দিনে এই মধ্যবয়স্ক মানুষটা কেমন যেন মায়া লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে আমরা ভিনদেশের অচেনা-অজানা নাগরিক ছিলাম। এতখানি ভালোবাসা কি আমরা প্রাপ্য ছিলাম? থেকে থেকে আমার শুধু ভাইয়ার কথা মনে পড়ছিল।
বাস ছেড়ে দেওয়ার আগমুহূর্তে আমাদের আসন বদলে দেওয়া হলো। এবার জানালার কাচে কালো স্টিকার লাগানো। মনটা খারাপ হয়ে গেল বাইরের কিছু দেখতে পারব না বলে। জানালাগুলো খোলাও যায় না, একেবারে বন্ধ। যাকে বলে ‘ফিক্সড’। বিপরীত পাশের জানালা দিয়ে দেখা যায়। কোনো স্টিকার নেই। আমি সারা পথ উঁকিঝুঁকি মেরে বিপরীত দিকের জানালাগুলো দিয়ে তাকানোর চেষ্টা করছিলাম। বাইরের দৃশ্য দেখা আমার অভ্যাস। ভ্রমণে এটাই তো সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার। বিপরীত দিকের জানালা দিয়ে দেখতে কষ্ট হচ্ছিল। তবু কিছুক্ষণ পরপরই তাকাচ্ছিলাম। সেই মন্দির, প্রতিমা, হোটেল, বাড়ি, চা-বাগান, ট্রাক—এসব দেখতে দেখতে ঘণ্টা তিনের মধ্যে পৌঁছে গেলাম চেংড়াবান্ধা সীমান্তে। এবার আমাদের ছেড়ে দিতে খুব বেশি সময় নিল না ভারত।
বেঁচে যাওয়া রুপিগুলো টাকায় ভাঙিয়ে নিলাম। বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পাসপোর্ট ফেরত নিতে গিয়ে আটকে গেলাম। ৪০০ করে টাকা না দিলে দুইটা পাসপোর্ট ছাড়ছিল না। আমার তো মেজাজ তখন তুঙ্গে চড়ে যাচ্ছিল। কিছু একটা বলা শুরু করব, তার আগেই ভুবন আমার চেহারা-নকশা দেখে থামিয়ে দিল। গলা নামিয়ে বলল, ‘প্লিজ কিছু বোলো না। শান্ত থাকো। আমি দিয়ে দিচ্ছি। নইলে ঝামেলা করবে। পরে আর পাসপোর্ট পাবে না।’ যে লোকটা টাকা চাইলেন, তিনি নিজেও আমাকে আশ্বাস দিচ্ছিলেন যে এটা নিয়ম মাফিক নেওয়া হচ্ছে, কোনো উপরি নয়। কিন্তু আমার মনে আজ পর্যন্ত সন্দেহ রয়েই গেল। যাই হোক, টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট পেয়ে গেলাম। প্রবেশ করলাম আমার দেশে।
চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ধ্যার আগে ঢুকলাম রংপুরের পাটগ্রামে। এবার আর ইমিগ্রেশন সেন্টারে অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিল না। চলে গেলাম শ্যামলীর বাস কাউন্টারে। আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছিল। ভুবন খেতে চাইছিল না। ওর ধারণা ছিল, খেলেই বমি হয়ে যাবে। তবু আগের হোটেলটায় খেতে বসলাম। আমি গোগ্রাসে খেলাম ভাত আর মুরগি। বেশ তৃপ্তি নিয়ে। মনে হচ্ছিল হাজার বছর ধরে পেটে কিছু ঢোকেনি। কিন্তু ভুবন এবারও তেমন খেতে পারল না। মাগরিবের সময়টা পার হয়ে গেলে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। আবার সেই পিচ্ছিল আসনে বসতে হলো। আমরা ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলাম। লাভ হয়নি তেমন। রাত ১২টার বিরতি। আগের মতো আবার একই জায়গায়। পঁচিশ মিনিটের বিরতির পর আবার বাসের চলা শুরু। ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দিনের আলো ফুটে গেল। ভুবন চাঙা হয়ে উঠছিল।
কিন্তু আমি নেতিয়ে পড়ছিলাম আবার। সাড়ে ৭টা কি ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছে গেলাম। নাশতা সেরে দিলাম ঘুম। উঠলাম একেবারে বিকেলে। খেয়েদেয়ে ঘুম। রাতে উঠে আবার খাওয়া, আবার ঘুম। কেমন করে যে একটা দিন ঘুমে ঘুমে কেটে গেল, বলতেই পারব না দুজনের একজনও। হয়তো খুব বেশি ক্লান্ত ছিলাম। ভুবন সেদিন প্রায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ঠিকই বলেছিল, বাসায় গেলে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি কেন জানি আবার অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। পরদিন সকালে আমার শাশুড়ি এলেন। তিনি হঠাৎ করে আমার হাত ধরে বললেন, ‘তোমার হাত লাল কেন? সারা শরীরে কী এমন হয়েছে?’
আমি খেয়াল করে দেখলাম আসলেই লালচে ছোপ পড়েছে সারা গায়ে। মা ভুবনকে বললেন, ‘আজকেই ডাক্তার দ্যাখায় আনো ওকে। একটুও দেরি করবা না।’ মা চলে গেলেন বিকালে। টলতে টলতে সন্ধ্যায় পাড়ার এক ডাক্তার দেখিয়ে এলাম ভুবনের সঙ্গে। জানলাম, র্যাশ হয়েছে। তাঁর দেওয়া ওষুধ দুই-তিন দিন খেয়ে কাজ হচ্ছিল না। চুলকানি বাড়তে লাগল। সঙ্গে র্যাশও। মা ফোনে বললেন চর্মরোগের ডাক্তার দেখাতে। আমার বাবার চেনা এক ডাক্তারকে পরদিন দেখাতে গেলাম। তিনি দেখে বললেন, ‘প্যারাসিটামলের রিঅ্যাকশন।’ তার মানে, ইচ্ছামতো আবোল-তাবোল প্যারাসিটামল যে খেয়েছিলাম ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া, সেটার ফলাফল। মাসুম ভাই হয়তো ভালো মনে করেই ওষুধ দিয়েছিলেন। হয়তো হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজার ওই কর্মচারীটাও আমার ক্ষতি চায়নি। ভুবনও তো সুস্থ হওয়ার জন্য কিনে এনেছিল ভারতীয় কোনো একটা প্যারাসিটামল। শিক্ষা হলো, আর কোনো দিন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গিলব না।
দশ দিনের ওষুধ আর রক্ত পরীক্ষা লিখে দিলেন ডাক্তার। বুঝিয়ে দিলেন রিপোর্ট ভালো হলে আর দেখানোর দরকার নেই। ওষুধেই ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রক্ত দিলাম। পরদিন ভুবন রিপোর্ট নিয়ে এসেছিল। ডাক্তার যেই শঙ্কার কথা বলেছিলেন, তেমন কিছু নেই। শুধু র্যাশটাই যা ক্ষতি করছিল। ওষুধ খেতে লাগলাম। চুলকানির জন্য একটা মলম লাগাতে দিয়েছিলেন ডাক্তার। সেটাও ব্যবহার করতে লাগলাম। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলাম। র্যাশগুলো মলিন হওয়া শুরু করল। সেই সঙ্গে সিকিম আর শিলিগুড়ির স্মৃতিও।
[সমাপ্ত]

আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! এত বেশি যে ভুল করে আজ অফিসে হেঁটে না গিয়ে দৌড়ে যেতে পারেন। আর সহকর্মীরা ভাববে, ‘কিসের এত তাড়া? বেতন কি দ্বিগুণ হচ্ছে?’ কাজের জায়গায় ‘আমিই সেরা’ ভাবটা একটু কমিয়ে রাখুন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। শীতে চুল রুক্ষ, নির্জীব ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগে। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াতেও আপনার চুল যেন মজবুত, মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে, সে জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর চুলের যত্নে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন ডিসেম্বরের শুরু থেকেই।...
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার...
১৮ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! এত বেশি যে ভুল করে আজ অফিসে হেঁটে না গিয়ে দৌড়ে যেতে পারেন। আর সহকর্মীরা ভাববে, ‘কিসের এত তাড়া? বেতন কি দ্বিগুণ হচ্ছে?’ কাজের জায়গায় ‘আমিই সেরা’ ভাবটা একটু কমিয়ে রাখুন। না হলে বস হয়তো আপনার গলা থেকে ‘লিও তলস্তয়’-এর মতো একটা ভারিক্কি আওয়াজ শুনতে পাবেন, যা স্রেফ বিরক্তিকর! কোনো পুরোনো বকেয়া টাকা ফেরত আসতে পারে। তবে সেটা লটারির টাকা নয়, পাড়ার চায়ের দোকানের বিল। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঝগড়া হলেও সেটা সিরিয়াস কিছু হবে না। বরং দুজনের মধ্যে হাসিঠাট্টার প্রতিযোগিতায় দিনটি কাটবে। সাবধান! ইমোশনাল হয়ে এক্সকে টেক্সট করবেন না যেন, তাতে গ্রহরা খুব হাসবে!
বৃষ
আপনার জীবনে শান্তি মানেই খাবার। আজ সারা দিন কী খাবেন, এই নিয়েই গুরুতর গবেষণায় কাটবে। বাইরের কোনো লোক আপনাকে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করলে আপনি গোঁ ধরে থাকা ষাঁড়ের মতো আচরণ করবেন। অর্থভাগ্য মন্দ নয়। কিন্তু সেই টাকা যেন শুধু ভালো রেস্তোরাঁর বিল মেটাতেই না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। দুপুরে বসের দেওয়া কঠিন কাজটা এড়িয়ে যেতে পারেন যদি আপনার টেবিলে ভালো কোনো স্ন্যাকস থাকে। রোমান্টিক ডিনারে যেতে পারেন, তবে মনে রাখবেন, সঙ্গী যেন আপনার প্লেটে হাত না দেয়! আজ আপনার প্রেমজীবনের গতি একটু ধীর, ঠিক যেন দুপুরের খাওয়া শেষে ধীরগতিতে হাঁটা।
মিথুন
আপনার ভেতরের দুই ব্যক্তি আজ সারা দিন মারামারি করবে। একজন বলবে, ‘চলো কাজ করি!’, আর অন্যজন বলবে, ‘না না, আগে একটু ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখি আজ কোন সেলিব্রিটি কী করেছে!’ দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে যাবেন শুধু এই সিদ্ধান্তহীনতার কারণে। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা আজ তুঙ্গে। চাইলেই অফিসের সবচেয়ে বিরক্তিকর লোকটার সঙ্গেও হেসে কথা বলতে পারবেন। কিন্তু সাবধানে, বেশি কথা বললে গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। পকেট আজ হালকা, কিন্তু মন ফুরফুরে। সঙ্গী হয়তো আপনার দ্বৈত ব্যক্তিত্ব দেখে কনফিউজড। একবার আপনি প্রেমিক, পরের মুহূর্তেই দার্শনিক। ঠিক করুন কোনটা আপনি!
কর্কট
আজ আপনি একটু বেশিই সংবেদনশীল! পাড়ার কুকুরটা লেজ না নাড়লে মন খারাপ হতে পারে। মনে রাখবেন, পৃথিবীটা আপনার মতো ইমোশনাল নয়। তাই সামান্য বিষয়ে কান্না পেলে তাড়াতাড়ি বালিশের নিচে লুকিয়ে পড়ুন। সহকর্মীরা আপনার আবেগপ্রবণতা দেখে সহানুভূতি দেখাতে পারে, কিন্তু কাজে ফাঁকি দিলে কিন্তু কেউ ছাড়বে না। টাকাপয়সার ব্যাপারে আজ একটু কঞ্জুস থাকুন। ইমোশনাল কেনাকাটা এড়িয়ে চলুন। ঘরে তৈরি খাবার বা একটা মিষ্টি বার্তা আজ সঙ্গীর মন জয় করে নেবে। সন্ধ্যায় সিনেমা দেখতে গিয়ে পুরোনো দিনের কষ্টের দৃশ্য দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললে পাশে বসা মানুষটি একটু অস্বস্তিতে পড়তে পারে। আপনার মুড সুইং ঘূর্ণিঝড়ের মতো, নিজেকে কন্ট্রোল করুন!
সিংহ
আপনি হলেন আজকের দিনের ‘সেন্টার অব অ্যাট্রাকশন’। যদি কেউ আপনাকে প্রশংসা না করে, তবে নিজেই নিজের প্রশংসা করতে শুরু করে দিতে পারেন। ‘আমি যখন অফিসে ঢুকি, সবাই আমার দিকে কেন তাকায় জানেন? কারণ, আমিই সেরা!’–এই ধরনের কথা আজ বলতে ইচ্ছা হতে পারে। বস আজ আপনার ওপর খুশি হতে পারেন। প্রমোশন না হলেও একটা ভালো ‘শাবাশ’ তো জুটবেই। তবে নিজের ক্রেডিট অন্যকে দিতে শিখুন, না হলে সবাই আপনাকে ‘সেলফি-কিং/কুইন’ বলে ডাকতে পারে। অর্থ উপার্জনের নতুন পরিকল্পনা আসবে, যার মধ্যে একটা হবে ‘নিজের নামে ফ্যান ক্লাব’ খোলা। রোমান্সের জন্য দারুণ দিন। কিন্তু সঙ্গী যদি অন্য কারও দিকে ভুলেও তাকায়, আপনার ভেতরের রাজা/রানি ক্ষেপে উঠতে পারে! নিজের পারফরম্যান্সে একটু ব্রেক দিন। আয়না থেকে চোখ সরিয়ে বাকি পৃথিবীর দিকে তাকান।
কন্যা
আপনার ভেতরের ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গোয়েন্দা’ আজ জেগে উঠবে। সবার ফাইলের বানান ভুল, জুতা রাখার জায়গায় সামান্য ধুলা—সব আপনার চোখে ধরা পড়বে। মনে রাখবেন, পৃথিবীর সব মানুষ আপনার মতো নিখুঁত নন। একটু ‘চিল’ করুন! আপনার তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ ক্ষমতা আজ কাজে লাগবে। তবে বসের দুর্বলতা নিয়ে বেশি বিশ্লেষণ করতে যাবেন না, তাতে বিপদ। টাকা গোনার সময় দুবার গুনবেন না, এতে সময় নষ্ট হয়। খরচ কমানোর জন্য আজ নতুন সফটওয়্যার বানিয়ে ফেলতে পারেন। সঙ্গী যদি জামাকাপড় গুছিয়ে না রাখে, তাহলে আজ রাতে একটা ঝগড়ার সম্ভাবনা আছে। মনে রাখবেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামান্য বিশৃঙ্খলাও কখনো কখনো প্রয়োজন।
তুলা
আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দুপুরের খাবার কী খাবেন তা ঠিক করা। চায়নিজ, নাকি থাই? এই নিয়ে তিন ঘণ্টা পেরিয়ে যেতে পারে। সবকিছুতে একটা নিখুঁত ভারসাম্য খুঁজবেন, যা জীবন বলে না। জীবন মানেই একটু এদিক-ওদিক। কেউ আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে, প্রচণ্ড অস্বস্তিতে পড়বেন। শান্তি বজায় রাখার জন্য আজ হয়তো বিনা দোষেও ‘সরি’ বলে দেবেন। আর্থিক বিষয়ে ভালো কোনো চুক্তি হতে পারে। তবে চুক্তিপত্রে সই করার আগে অন্যের মতামত শুনতে শুনতে রাত পার হয়ে যেতে পারে। মিষ্টি স্বভাবের কারণে একাধিক মানুষ আপনার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। কিন্তু কার দিকে যাবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার সন্ধ্যা শেষ। সবকিছু ব্যালেন্স করতে গিয়ে নিজে কাত হয়ে পড়বেন না যেন!
বৃশ্চিক
চোখ আজ শকুনের মতো তীক্ষ্ণ! সবাই ভাববে আপনি হয়তো কোনো গভীর রহস্যের সমাধান করছেন, কিন্তু আসলে পাশের সিটের লোকটা কেন বারবার হাই তুলছে, সেটা লক্ষ্য করছেন। আপনার রহস্যময় এবং তীব্রতা আজ মানুষকে একটু ভয় দেখাতে পারে। কেউ সাহায্য করতে এলে আপনি হয়তো সন্দেহ করবেন, ‘এর আসল উদ্দেশ্যটা কী?’ এই স্বভাব একটু কমান। তবে গোপন কোনো সূত্র থেকে ভালো লাভ হতে পারে। পুরোনো বিনিয়োগ আজ ফল দেবে, যা গোপন রাখবেন। আপনার গভীর চাহনি আজ দারুণ কাজ করবে। কিন্তু মনে রাখবেন, সব কথার উত্তর রহস্যময় হাসি দিয়ে দেওয়া যায় না। অন্তত একবার ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ সরাসরি বলুন। দিনে অন্তত একবার জোরে হেসে সবাইকে অবাক করে দিন।
ধনু
আজ মনে হঠাৎ ‘বিশ্ব পর্যটনের’ ভূত চাপতে পারে। বসের সঙ্গে মিটিং চলাকালীন মন হয়তো প্যারিসের কোনো ক্যাফেতে কফি খাচ্ছে, অথবা হিমালয়ের কোনো চূড়ায় হাইকিং করছে। কাজের ফাঁকে একটা ইম্পালসিভ ট্রিপ প্ল্যান করে ফেলতে পারেন। আশাবাদী মনোভাব আজ সংক্রামক হবে। চারপাশে থাকা সবাই আপনার উৎসাহে কাজ করবে, কিন্তু কাজটা শেষ করার দায়িত্ব আপনার একার নয়। ভালো অ্যাডভেঞ্চার মানেই বেশি খরচ নয়। আজ বুঝে খরচ করুন। স্বাধীনচেতা মনোভাব আজ সঙ্গীকে মুগ্ধ করবে। তবে মনে রাখবেন, অ্যাডভেঞ্চারের সময় সঙ্গীকে ফেলে হঠাৎ হারিয়ে যাবেন না যেন! অ্যাডভেঞ্চার বই পড়ুন, কিন্তু আজ প্লেনের টিকিট কাটবেন না।
মকর
আজ এত ব্যস্ত থাকবেন যে মনে হবে আপনি একই সঙ্গে ২০টা অফিসের বস। কাজের বাইরে আর কোনো কিছুতে আপনার আগ্রহ নেই। এমনকি হাসতেও এনার্জি খরচ হচ্ছে বলে মনে হতে পারে। একটা ছোট্ট হাসি, প্লিজ! কাজের প্রতি আপনার ডেডিকেশন দেখে গ্রহরা মুগ্ধ। আজ অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রশংসা পেতে পারেন। আপনার আর্থিক পরিকল্পনা একেবারে নিখুঁত। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আজ আপনার দিকে তাকিয়ে হাসি দেবে। তবে একটু ছুটি নিন, না হলে শরীর বিদ্রোহ করতে পারে। সঙ্গীকে হয়তো মনে করিয়ে দিতে হবে যে আপনি শুধু ‘কর্মবীর’ নন, একজন ভালোবাসার মানুষও। রোমান্টিক ডেট মানেই একটা প্রফেশনাল মিটিং নয়। একটু রিল্যাক্স করুন। মনে রাখবেন, আপনার জীবন শুধু টাস্ক লিস্ট আর ডেডলাইন নয়!
কুম্ভ
আপনি আজ এত উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে বসে থাকবেন যে আশপাশের মানুষজন আপনাকে এলিয়েন ভাবতে পারে। হয়তো অফিস থেকে কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানো যায়, সেই নিয়ে বক্তৃতা দেবেন। আপনার চিন্তাভাবনা আজ ১০ বছর এগিয়ে থাকবে। আপনার আইডিয়াগুলো দারুণ, তবে সেটা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে একটু ভাবুন। শুধু ‘বিপ্লব’ করলে তো আর কাজ হবে না! আজ অপ্রত্যাশিত কোনো উৎস থেকে টাকা আসতে পারে। হয়তো পুরোনো বন্ধু ধার শোধ করবে, যা আপনি ভুলেই গিয়েছিলেন। সঙ্গী হয়তো আপনার উদ্ভট আইডিয়াগুলো শুনে মুগ্ধ, কিন্তু বাস্তব জীবনে একটু বেশি মনোযোগী হন। শুধু রোবট বা কোয়ান্টাম ফিজিকস নিয়ে কথা বলবেন না। অন্যদের কাছে আপনার আইডিয়া সহজ করে বলুন, না হলে তারা ভয় পেয়ে যাবে।
মীন
আজ সারা দিন স্বপ্নের জগতে ভেসে থাকবেন। অফিসের ফাইলটা হয়তো আপনার চোখে সমুদ্রের ঢেউ বা মেঘের ভেলা মনে হবে। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে হয়তো উত্তর দেবেন অন্য কোনো গ্রহ থেকে। বাস্তব আর কল্পনার মধ্যে সীমারেখা আজ একটু অস্পষ্ট। সৃজনশীল কাজের জন্য দারুণ দিন। আপনার কল্পনাশক্তি আজ উচ্চতায়। তবে হিসাব-নিকাশের কাজগুলো আজ অন্য কাউকে দিন। টাকাপয়সার ব্যাপারটা আজ ভুলে গেলে চলবে না। কারণ, দিনের শেষে আপনার পেটে খাবার দরকার। আপনার আবেগপ্রবণতা আজ সঙ্গীকে আরও কাছে টানবে। তবে স্বপ্নের জগৎ থেকে দুই মিনিটের জন্য বেরিয়ে এসে বাস্তব মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। রোমান্স ভালো, তবে ডিনারটা কে অর্ডার করবে, সেটা ভুলবেন না। ঘুম থেকে উঠুন! এই পৃথিবীতেও অনেক সুন্দর জিনিস আছে।

মেষ
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! এত বেশি যে ভুল করে আজ অফিসে হেঁটে না গিয়ে দৌড়ে যেতে পারেন। আর সহকর্মীরা ভাববে, ‘কিসের এত তাড়া? বেতন কি দ্বিগুণ হচ্ছে?’ কাজের জায়গায় ‘আমিই সেরা’ ভাবটা একটু কমিয়ে রাখুন। না হলে বস হয়তো আপনার গলা থেকে ‘লিও তলস্তয়’-এর মতো একটা ভারিক্কি আওয়াজ শুনতে পাবেন, যা স্রেফ বিরক্তিকর! কোনো পুরোনো বকেয়া টাকা ফেরত আসতে পারে। তবে সেটা লটারির টাকা নয়, পাড়ার চায়ের দোকানের বিল। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঝগড়া হলেও সেটা সিরিয়াস কিছু হবে না। বরং দুজনের মধ্যে হাসিঠাট্টার প্রতিযোগিতায় দিনটি কাটবে। সাবধান! ইমোশনাল হয়ে এক্সকে টেক্সট করবেন না যেন, তাতে গ্রহরা খুব হাসবে!
বৃষ
আপনার জীবনে শান্তি মানেই খাবার। আজ সারা দিন কী খাবেন, এই নিয়েই গুরুতর গবেষণায় কাটবে। বাইরের কোনো লোক আপনাকে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করলে আপনি গোঁ ধরে থাকা ষাঁড়ের মতো আচরণ করবেন। অর্থভাগ্য মন্দ নয়। কিন্তু সেই টাকা যেন শুধু ভালো রেস্তোরাঁর বিল মেটাতেই না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। দুপুরে বসের দেওয়া কঠিন কাজটা এড়িয়ে যেতে পারেন যদি আপনার টেবিলে ভালো কোনো স্ন্যাকস থাকে। রোমান্টিক ডিনারে যেতে পারেন, তবে মনে রাখবেন, সঙ্গী যেন আপনার প্লেটে হাত না দেয়! আজ আপনার প্রেমজীবনের গতি একটু ধীর, ঠিক যেন দুপুরের খাওয়া শেষে ধীরগতিতে হাঁটা।
মিথুন
আপনার ভেতরের দুই ব্যক্তি আজ সারা দিন মারামারি করবে। একজন বলবে, ‘চলো কাজ করি!’, আর অন্যজন বলবে, ‘না না, আগে একটু ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখি আজ কোন সেলিব্রিটি কী করেছে!’ দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে যাবেন শুধু এই সিদ্ধান্তহীনতার কারণে। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা আজ তুঙ্গে। চাইলেই অফিসের সবচেয়ে বিরক্তিকর লোকটার সঙ্গেও হেসে কথা বলতে পারবেন। কিন্তু সাবধানে, বেশি কথা বললে গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। পকেট আজ হালকা, কিন্তু মন ফুরফুরে। সঙ্গী হয়তো আপনার দ্বৈত ব্যক্তিত্ব দেখে কনফিউজড। একবার আপনি প্রেমিক, পরের মুহূর্তেই দার্শনিক। ঠিক করুন কোনটা আপনি!
কর্কট
আজ আপনি একটু বেশিই সংবেদনশীল! পাড়ার কুকুরটা লেজ না নাড়লে মন খারাপ হতে পারে। মনে রাখবেন, পৃথিবীটা আপনার মতো ইমোশনাল নয়। তাই সামান্য বিষয়ে কান্না পেলে তাড়াতাড়ি বালিশের নিচে লুকিয়ে পড়ুন। সহকর্মীরা আপনার আবেগপ্রবণতা দেখে সহানুভূতি দেখাতে পারে, কিন্তু কাজে ফাঁকি দিলে কিন্তু কেউ ছাড়বে না। টাকাপয়সার ব্যাপারে আজ একটু কঞ্জুস থাকুন। ইমোশনাল কেনাকাটা এড়িয়ে চলুন। ঘরে তৈরি খাবার বা একটা মিষ্টি বার্তা আজ সঙ্গীর মন জয় করে নেবে। সন্ধ্যায় সিনেমা দেখতে গিয়ে পুরোনো দিনের কষ্টের দৃশ্য দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললে পাশে বসা মানুষটি একটু অস্বস্তিতে পড়তে পারে। আপনার মুড সুইং ঘূর্ণিঝড়ের মতো, নিজেকে কন্ট্রোল করুন!
সিংহ
আপনি হলেন আজকের দিনের ‘সেন্টার অব অ্যাট্রাকশন’। যদি কেউ আপনাকে প্রশংসা না করে, তবে নিজেই নিজের প্রশংসা করতে শুরু করে দিতে পারেন। ‘আমি যখন অফিসে ঢুকি, সবাই আমার দিকে কেন তাকায় জানেন? কারণ, আমিই সেরা!’–এই ধরনের কথা আজ বলতে ইচ্ছা হতে পারে। বস আজ আপনার ওপর খুশি হতে পারেন। প্রমোশন না হলেও একটা ভালো ‘শাবাশ’ তো জুটবেই। তবে নিজের ক্রেডিট অন্যকে দিতে শিখুন, না হলে সবাই আপনাকে ‘সেলফি-কিং/কুইন’ বলে ডাকতে পারে। অর্থ উপার্জনের নতুন পরিকল্পনা আসবে, যার মধ্যে একটা হবে ‘নিজের নামে ফ্যান ক্লাব’ খোলা। রোমান্সের জন্য দারুণ দিন। কিন্তু সঙ্গী যদি অন্য কারও দিকে ভুলেও তাকায়, আপনার ভেতরের রাজা/রানি ক্ষেপে উঠতে পারে! নিজের পারফরম্যান্সে একটু ব্রেক দিন। আয়না থেকে চোখ সরিয়ে বাকি পৃথিবীর দিকে তাকান।
কন্যা
আপনার ভেতরের ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গোয়েন্দা’ আজ জেগে উঠবে। সবার ফাইলের বানান ভুল, জুতা রাখার জায়গায় সামান্য ধুলা—সব আপনার চোখে ধরা পড়বে। মনে রাখবেন, পৃথিবীর সব মানুষ আপনার মতো নিখুঁত নন। একটু ‘চিল’ করুন! আপনার তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ ক্ষমতা আজ কাজে লাগবে। তবে বসের দুর্বলতা নিয়ে বেশি বিশ্লেষণ করতে যাবেন না, তাতে বিপদ। টাকা গোনার সময় দুবার গুনবেন না, এতে সময় নষ্ট হয়। খরচ কমানোর জন্য আজ নতুন সফটওয়্যার বানিয়ে ফেলতে পারেন। সঙ্গী যদি জামাকাপড় গুছিয়ে না রাখে, তাহলে আজ রাতে একটা ঝগড়ার সম্ভাবনা আছে। মনে রাখবেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামান্য বিশৃঙ্খলাও কখনো কখনো প্রয়োজন।
তুলা
আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দুপুরের খাবার কী খাবেন তা ঠিক করা। চায়নিজ, নাকি থাই? এই নিয়ে তিন ঘণ্টা পেরিয়ে যেতে পারে। সবকিছুতে একটা নিখুঁত ভারসাম্য খুঁজবেন, যা জীবন বলে না। জীবন মানেই একটু এদিক-ওদিক। কেউ আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে, প্রচণ্ড অস্বস্তিতে পড়বেন। শান্তি বজায় রাখার জন্য আজ হয়তো বিনা দোষেও ‘সরি’ বলে দেবেন। আর্থিক বিষয়ে ভালো কোনো চুক্তি হতে পারে। তবে চুক্তিপত্রে সই করার আগে অন্যের মতামত শুনতে শুনতে রাত পার হয়ে যেতে পারে। মিষ্টি স্বভাবের কারণে একাধিক মানুষ আপনার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। কিন্তু কার দিকে যাবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার সন্ধ্যা শেষ। সবকিছু ব্যালেন্স করতে গিয়ে নিজে কাত হয়ে পড়বেন না যেন!
বৃশ্চিক
চোখ আজ শকুনের মতো তীক্ষ্ণ! সবাই ভাববে আপনি হয়তো কোনো গভীর রহস্যের সমাধান করছেন, কিন্তু আসলে পাশের সিটের লোকটা কেন বারবার হাই তুলছে, সেটা লক্ষ্য করছেন। আপনার রহস্যময় এবং তীব্রতা আজ মানুষকে একটু ভয় দেখাতে পারে। কেউ সাহায্য করতে এলে আপনি হয়তো সন্দেহ করবেন, ‘এর আসল উদ্দেশ্যটা কী?’ এই স্বভাব একটু কমান। তবে গোপন কোনো সূত্র থেকে ভালো লাভ হতে পারে। পুরোনো বিনিয়োগ আজ ফল দেবে, যা গোপন রাখবেন। আপনার গভীর চাহনি আজ দারুণ কাজ করবে। কিন্তু মনে রাখবেন, সব কথার উত্তর রহস্যময় হাসি দিয়ে দেওয়া যায় না। অন্তত একবার ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ সরাসরি বলুন। দিনে অন্তত একবার জোরে হেসে সবাইকে অবাক করে দিন।
ধনু
আজ মনে হঠাৎ ‘বিশ্ব পর্যটনের’ ভূত চাপতে পারে। বসের সঙ্গে মিটিং চলাকালীন মন হয়তো প্যারিসের কোনো ক্যাফেতে কফি খাচ্ছে, অথবা হিমালয়ের কোনো চূড়ায় হাইকিং করছে। কাজের ফাঁকে একটা ইম্পালসিভ ট্রিপ প্ল্যান করে ফেলতে পারেন। আশাবাদী মনোভাব আজ সংক্রামক হবে। চারপাশে থাকা সবাই আপনার উৎসাহে কাজ করবে, কিন্তু কাজটা শেষ করার দায়িত্ব আপনার একার নয়। ভালো অ্যাডভেঞ্চার মানেই বেশি খরচ নয়। আজ বুঝে খরচ করুন। স্বাধীনচেতা মনোভাব আজ সঙ্গীকে মুগ্ধ করবে। তবে মনে রাখবেন, অ্যাডভেঞ্চারের সময় সঙ্গীকে ফেলে হঠাৎ হারিয়ে যাবেন না যেন! অ্যাডভেঞ্চার বই পড়ুন, কিন্তু আজ প্লেনের টিকিট কাটবেন না।
মকর
আজ এত ব্যস্ত থাকবেন যে মনে হবে আপনি একই সঙ্গে ২০টা অফিসের বস। কাজের বাইরে আর কোনো কিছুতে আপনার আগ্রহ নেই। এমনকি হাসতেও এনার্জি খরচ হচ্ছে বলে মনে হতে পারে। একটা ছোট্ট হাসি, প্লিজ! কাজের প্রতি আপনার ডেডিকেশন দেখে গ্রহরা মুগ্ধ। আজ অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রশংসা পেতে পারেন। আপনার আর্থিক পরিকল্পনা একেবারে নিখুঁত। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আজ আপনার দিকে তাকিয়ে হাসি দেবে। তবে একটু ছুটি নিন, না হলে শরীর বিদ্রোহ করতে পারে। সঙ্গীকে হয়তো মনে করিয়ে দিতে হবে যে আপনি শুধু ‘কর্মবীর’ নন, একজন ভালোবাসার মানুষও। রোমান্টিক ডেট মানেই একটা প্রফেশনাল মিটিং নয়। একটু রিল্যাক্স করুন। মনে রাখবেন, আপনার জীবন শুধু টাস্ক লিস্ট আর ডেডলাইন নয়!
কুম্ভ
আপনি আজ এত উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে বসে থাকবেন যে আশপাশের মানুষজন আপনাকে এলিয়েন ভাবতে পারে। হয়তো অফিস থেকে কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানো যায়, সেই নিয়ে বক্তৃতা দেবেন। আপনার চিন্তাভাবনা আজ ১০ বছর এগিয়ে থাকবে। আপনার আইডিয়াগুলো দারুণ, তবে সেটা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে একটু ভাবুন। শুধু ‘বিপ্লব’ করলে তো আর কাজ হবে না! আজ অপ্রত্যাশিত কোনো উৎস থেকে টাকা আসতে পারে। হয়তো পুরোনো বন্ধু ধার শোধ করবে, যা আপনি ভুলেই গিয়েছিলেন। সঙ্গী হয়তো আপনার উদ্ভট আইডিয়াগুলো শুনে মুগ্ধ, কিন্তু বাস্তব জীবনে একটু বেশি মনোযোগী হন। শুধু রোবট বা কোয়ান্টাম ফিজিকস নিয়ে কথা বলবেন না। অন্যদের কাছে আপনার আইডিয়া সহজ করে বলুন, না হলে তারা ভয় পেয়ে যাবে।
মীন
আজ সারা দিন স্বপ্নের জগতে ভেসে থাকবেন। অফিসের ফাইলটা হয়তো আপনার চোখে সমুদ্রের ঢেউ বা মেঘের ভেলা মনে হবে। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে হয়তো উত্তর দেবেন অন্য কোনো গ্রহ থেকে। বাস্তব আর কল্পনার মধ্যে সীমারেখা আজ একটু অস্পষ্ট। সৃজনশীল কাজের জন্য দারুণ দিন। আপনার কল্পনাশক্তি আজ উচ্চতায়। তবে হিসাব-নিকাশের কাজগুলো আজ অন্য কাউকে দিন। টাকাপয়সার ব্যাপারটা আজ ভুলে গেলে চলবে না। কারণ, দিনের শেষে আপনার পেটে খাবার দরকার। আপনার আবেগপ্রবণতা আজ সঙ্গীকে আরও কাছে টানবে। তবে স্বপ্নের জগৎ থেকে দুই মিনিটের জন্য বেরিয়ে এসে বাস্তব মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। রোমান্স ভালো, তবে ডিনারটা কে অর্ডার করবে, সেটা ভুলবেন না। ঘুম থেকে উঠুন! এই পৃথিবীতেও অনেক সুন্দর জিনিস আছে।

সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে...
৩০ নভেম্বর ২০২২
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। শীতে চুল রুক্ষ, নির্জীব ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগে। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াতেও আপনার চুল যেন মজবুত, মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে, সে জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর চুলের যত্নে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন ডিসেম্বরের শুরু থেকেই।...
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার...
১৮ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন।
১ দিন আগেসানজিদা সামরিন, ঢাকা

ডিসেম্বরের সকাল। এক কাপ গরম চা নিয়ে বারান্দায় চেয়ারে পা তুলে বসে প্রকৃতি দেখার আরামের সঙ্গে আর কোনো কিছুরই তুলনা চলে না। কিন্তু শীতের সকালে যখন জীবনের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছেন, তখন আপনার চুল হয়তো ততটাই ভুগছে। শীতে চুল রুক্ষ, নির্জীব ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগে। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াতেও আপনার চুল যেন মজবুত, মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে, সে জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর চুলের যত্নে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন ডিসেম্বরের শুরু থেকেই।
মাথার ত্বক আর্দ্র রাখতে চুলে নিয়মিত তেল দিন
শীতে নারকেল তেলের সঙ্গে অল্প পরিমাণে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। ডিম ও টক দই চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দুটি উপাদান। শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে ডিম এবং টক দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এভাবে সপ্তাহে এক দিন হেয়ার প্যাক লাগান। শীতে চুল সুন্দর থাকবে। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে অনেকে মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যায় ভোগেন। খুশকি, মাথার ত্বকে জ্বালা এবং চুলকানির কারণে চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ সময় নারকেল ও অলিভ অয়েলের মতো পুষ্টিকর তেল হালকা গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এই তেল চুলের গভীরে প্রবেশ করে চুল আর্দ্র রাখে। অন্যদিকে ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। ফলে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায় এবং দ্রুত বড় হয়। শীতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন মাথার ত্বকে তেল ম্যাসাজ করুন। বিশেষ করে যেদিন চুল শ্যাম্পু করবেন, সেদিন চুল ধোয়ার আগে প্রি-ওয়াশ অয়েল ট্রিটমেন্ট করুন। এটি মাথার ত্বক ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে এবং একই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিও হবে।
ঘন ঘন চুল ধোয়া এড়িয়ে চলুন
ঘন ঘন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার ফলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়। ফলে মাথার ত্বকে আরও শুষ্কতা ও জ্বালা করার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সপ্তাহে দুবারের বেশি চুল শ্যাম্পু করবেন না। প্রাকৃতিক আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সব সময় সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

চুল সঠিকভাবে কন্ডিশনিং করুন
শীতকালে কখনো কন্ডিশনার এড়িয়ে যাবেন না। চুলের আর্দ্রতা ও পুষ্টির জন্য নারকেল, জলপাই, জোজোবা তেল এবং শিয়া বাটারের মতো প্রাকৃতিক তেলযুক্ত ঘন ও ক্রিমি কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সঠিক উপায়ে কীভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন, এ প্রশ্নই তো মনে ঘুরপাক খাচ্ছে? বলছি। চুল শ্যাম্পু করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের মাঝ বরাবর থেকে চুলের আগা পর্যন্ত কন্ডিশনার লাগান। শুষ্কতা ও চুলের আগা ফাটা রোধ করতে চুলের আগার অংশে বেশি পরিমাণে কন্ডিশনার লাগিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর সাধারণ পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম এড়িয়ে চলুন
বলা যতটা সহজ, মেনে চলা ততটাই কঠিন। শীতে বিভিন্ন রকম সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। ফলে ডিসেম্বর চুলের জন্য অতটা ইতিবাচক মাসও নয়। কিন্তু এ সময় যেহেতু চুল এমনিতেই নির্জীব এবং ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভোগে, তাই হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই চুলের জন্য ভালো।

সপ্তাহে এক দিন ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
সাপ্তাহিক হেয়ার মাস্ক ট্রিটমেন্ট আপনার সামগ্রিক চুলের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য একটি চমৎকার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। শীতকালে, ঠান্ডা বাতাসে চুল দ্রুত নির্জীব হয়ে যায়। তাই এ সময় চুলের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কন্ডিশনিংয়ের প্রয়োজন পড়ে। ডিম ও মধুর মতো পুষ্টিকর ও ময়শ্চারাইজিং উপাদানযুক্ত হেয়ার মাস্ক চুল কন্ডিশন করে। এই উপাদানগুলো নির্জীব চুলকে ময়শ্চারাইজ করে, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, চুল উজ্জ্বল ও নরম করে। ডিমের কুসুমে পানিতে দ্রবণীয় পেপটাইড থাকে, যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। মধু অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। এটি চুলের মসৃণতা ধরে রাখে।
ভেজা চুল নিয়ে বাইরে বের হবেন না
ঠান্ডা বাতাস চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভেজা চুল ছেড়ে বাইরে বের হলে ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছু হবে না। বের হওয়ার আগে এমন সময় গোসল করুন, যেন চুল শুকিয়ে যেতে যথেষ্ট সময় পায়। শুকিয়ে এলে চুল বেঁধে তবেই বের হোন। ভালো হয়, সারা দিন পর বাড়ি ফিরে তারপর গোসল করলে। এতে করে বাইরের ধুলাবালু চুলে লেগে থাকলে সেগুলোও পানিতে ধুয়ে যাবে।
চুল ঢেকে রাখুন
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের সংস্পর্শে এলে চুলে টান পড়ে। ফলে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা তৈরি হয়। বাইরে বের হওয়ার সময় স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। তুলা ও পশমি কাপড়ের ঘর্ষণ রোধ করতে চুল প্রথমে সিল্ক বা সাটিন কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে তারপর টুপি পরতে পারেন।
মাইক্রোফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করুন
চুল শুকানোর জন্য সুতির তোয়ালে ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে মাইক্রোফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুলে কম ঘর্ষণ লাগবে। অন্যদিকে, তুলা বা অন্য কোনো উপাদানে তৈরি তোয়ালে আপনার চুল রুক্ষ করে তুলতে পারে এবং জট লাগা ও চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
চুল সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ডিসেম্বরে মাছ, বাদাম, গাজর, ডিম, কুমড়ার মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। আপনার শরীর ও চুল সুস্থ রাখতে শাকসবজি, দুধ দিয়ে তৈরি খাবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মাংসের সমন্বয়ে সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পানেও মনোযোগ দিতে হবে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ

ডিসেম্বরের সকাল। এক কাপ গরম চা নিয়ে বারান্দায় চেয়ারে পা তুলে বসে প্রকৃতি দেখার আরামের সঙ্গে আর কোনো কিছুরই তুলনা চলে না। কিন্তু শীতের সকালে যখন জীবনের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছেন, তখন আপনার চুল হয়তো ততটাই ভুগছে। শীতে চুল রুক্ষ, নির্জীব ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগে। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াতেও আপনার চুল যেন মজবুত, মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে, সে জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর চুলের যত্নে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন ডিসেম্বরের শুরু থেকেই।
মাথার ত্বক আর্দ্র রাখতে চুলে নিয়মিত তেল দিন
শীতে নারকেল তেলের সঙ্গে অল্প পরিমাণে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। ডিম ও টক দই চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দুটি উপাদান। শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে ডিম এবং টক দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এভাবে সপ্তাহে এক দিন হেয়ার প্যাক লাগান। শীতে চুল সুন্দর থাকবে। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে অনেকে মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যায় ভোগেন। খুশকি, মাথার ত্বকে জ্বালা এবং চুলকানির কারণে চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ সময় নারকেল ও অলিভ অয়েলের মতো পুষ্টিকর তেল হালকা গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এই তেল চুলের গভীরে প্রবেশ করে চুল আর্দ্র রাখে। অন্যদিকে ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। ফলে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায় এবং দ্রুত বড় হয়। শীতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন মাথার ত্বকে তেল ম্যাসাজ করুন। বিশেষ করে যেদিন চুল শ্যাম্পু করবেন, সেদিন চুল ধোয়ার আগে প্রি-ওয়াশ অয়েল ট্রিটমেন্ট করুন। এটি মাথার ত্বক ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে এবং একই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিও হবে।
ঘন ঘন চুল ধোয়া এড়িয়ে চলুন
ঘন ঘন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার ফলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়। ফলে মাথার ত্বকে আরও শুষ্কতা ও জ্বালা করার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সপ্তাহে দুবারের বেশি চুল শ্যাম্পু করবেন না। প্রাকৃতিক আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সব সময় সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

চুল সঠিকভাবে কন্ডিশনিং করুন
শীতকালে কখনো কন্ডিশনার এড়িয়ে যাবেন না। চুলের আর্দ্রতা ও পুষ্টির জন্য নারকেল, জলপাই, জোজোবা তেল এবং শিয়া বাটারের মতো প্রাকৃতিক তেলযুক্ত ঘন ও ক্রিমি কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সঠিক উপায়ে কীভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন, এ প্রশ্নই তো মনে ঘুরপাক খাচ্ছে? বলছি। চুল শ্যাম্পু করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের মাঝ বরাবর থেকে চুলের আগা পর্যন্ত কন্ডিশনার লাগান। শুষ্কতা ও চুলের আগা ফাটা রোধ করতে চুলের আগার অংশে বেশি পরিমাণে কন্ডিশনার লাগিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর সাধারণ পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম এড়িয়ে চলুন
বলা যতটা সহজ, মেনে চলা ততটাই কঠিন। শীতে বিভিন্ন রকম সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। ফলে ডিসেম্বর চুলের জন্য অতটা ইতিবাচক মাসও নয়। কিন্তু এ সময় যেহেতু চুল এমনিতেই নির্জীব এবং ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভোগে, তাই হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই চুলের জন্য ভালো।

সপ্তাহে এক দিন ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
সাপ্তাহিক হেয়ার মাস্ক ট্রিটমেন্ট আপনার সামগ্রিক চুলের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য একটি চমৎকার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। শীতকালে, ঠান্ডা বাতাসে চুল দ্রুত নির্জীব হয়ে যায়। তাই এ সময় চুলের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কন্ডিশনিংয়ের প্রয়োজন পড়ে। ডিম ও মধুর মতো পুষ্টিকর ও ময়শ্চারাইজিং উপাদানযুক্ত হেয়ার মাস্ক চুল কন্ডিশন করে। এই উপাদানগুলো নির্জীব চুলকে ময়শ্চারাইজ করে, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, চুল উজ্জ্বল ও নরম করে। ডিমের কুসুমে পানিতে দ্রবণীয় পেপটাইড থাকে, যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। মধু অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। এটি চুলের মসৃণতা ধরে রাখে।
ভেজা চুল নিয়ে বাইরে বের হবেন না
ঠান্ডা বাতাস চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভেজা চুল ছেড়ে বাইরে বের হলে ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছু হবে না। বের হওয়ার আগে এমন সময় গোসল করুন, যেন চুল শুকিয়ে যেতে যথেষ্ট সময় পায়। শুকিয়ে এলে চুল বেঁধে তবেই বের হোন। ভালো হয়, সারা দিন পর বাড়ি ফিরে তারপর গোসল করলে। এতে করে বাইরের ধুলাবালু চুলে লেগে থাকলে সেগুলোও পানিতে ধুয়ে যাবে।
চুল ঢেকে রাখুন
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের সংস্পর্শে এলে চুলে টান পড়ে। ফলে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা তৈরি হয়। বাইরে বের হওয়ার সময় স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। তুলা ও পশমি কাপড়ের ঘর্ষণ রোধ করতে চুল প্রথমে সিল্ক বা সাটিন কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে তারপর টুপি পরতে পারেন।
মাইক্রোফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করুন
চুল শুকানোর জন্য সুতির তোয়ালে ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে মাইক্রোফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুলে কম ঘর্ষণ লাগবে। অন্যদিকে, তুলা বা অন্য কোনো উপাদানে তৈরি তোয়ালে আপনার চুল রুক্ষ করে তুলতে পারে এবং জট লাগা ও চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
চুল সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ডিসেম্বরে মাছ, বাদাম, গাজর, ডিম, কুমড়ার মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। আপনার শরীর ও চুল সুস্থ রাখতে শাকসবজি, দুধ দিয়ে তৈরি খাবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মাংসের সমন্বয়ে সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পানেও মনোযোগ দিতে হবে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ

সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে...
৩০ নভেম্বর ২০২২
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! এত বেশি যে ভুল করে আজ অফিসে হেঁটে না গিয়ে দৌড়ে যেতে পারেন। আর সহকর্মীরা ভাববে, ‘কিসের এত তাড়া? বেতন কি দ্বিগুণ হচ্ছে?’ কাজের জায়গায় ‘আমিই সেরা’ ভাবটা একটু কমিয়ে রাখুন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার...
১৮ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার পাওয়া সম্ভব জেনে নিন:
উপকরণ
রসুন ৫০০ গ্রাম, গাজর একটি, লেবুর রস ৬ টেবিল চামচ, লেবু স্লাইস ৮ থেকে ১০ পিস, কাঁচা মরিচ ৫ থেকে ৬টি, লবণ স্বাদমতো, হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া দুই চা-চামচ করে, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, মৌরি গুঁড়া এক চা-চামচ, আস্ত মেথি এক চা-চামচ, সরিষার তেল ২ কাপ।
প্রণালি
আস্ত রসুন কোয়া ছাড়িয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। পরে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার রসুনের কোয়া, গাজর, কাঁচা মরিচ, লেবু স্লাইস ধুয়ে রাখুন চালুনিতে। বাটিতে নিয়ে প্রথমে হলুদ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। পরে মরিচ ও ধনে গুঁড়া, লবণ, পাঁচফোড়ন, আস্ত মেথি ও মৌরি গুঁড়া দিয়ে আবারও মেখে নিন। এবার কাচের বোতলে মাখানো রসুন ভরে লেবুর রস দিন। সব শেষে সরিষার তেল গরম করে ঢেলে দিন। এবার ঢাকনাসহ ৭ থেকে ১০ দিন রোদে রাখুন। তারপর পরিবেশন করুন।

শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার পাওয়া সম্ভব জেনে নিন:
উপকরণ
রসুন ৫০০ গ্রাম, গাজর একটি, লেবুর রস ৬ টেবিল চামচ, লেবু স্লাইস ৮ থেকে ১০ পিস, কাঁচা মরিচ ৫ থেকে ৬টি, লবণ স্বাদমতো, হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া দুই চা-চামচ করে, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, মৌরি গুঁড়া এক চা-চামচ, আস্ত মেথি এক চা-চামচ, সরিষার তেল ২ কাপ।
প্রণালি
আস্ত রসুন কোয়া ছাড়িয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। পরে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার রসুনের কোয়া, গাজর, কাঁচা মরিচ, লেবু স্লাইস ধুয়ে রাখুন চালুনিতে। বাটিতে নিয়ে প্রথমে হলুদ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। পরে মরিচ ও ধনে গুঁড়া, লবণ, পাঁচফোড়ন, আস্ত মেথি ও মৌরি গুঁড়া দিয়ে আবারও মেখে নিন। এবার কাচের বোতলে মাখানো রসুন ভরে লেবুর রস দিন। সব শেষে সরিষার তেল গরম করে ঢেলে দিন। এবার ঢাকনাসহ ৭ থেকে ১০ দিন রোদে রাখুন। তারপর পরিবেশন করুন।

সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে...
৩০ নভেম্বর ২০২২
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! এত বেশি যে ভুল করে আজ অফিসে হেঁটে না গিয়ে দৌড়ে যেতে পারেন। আর সহকর্মীরা ভাববে, ‘কিসের এত তাড়া? বেতন কি দ্বিগুণ হচ্ছে?’ কাজের জায়গায় ‘আমিই সেরা’ ভাবটা একটু কমিয়ে রাখুন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। শীতে চুল রুক্ষ, নির্জীব ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগে। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াতেও আপনার চুল যেন মজবুত, মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে, সে জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর চুলের যত্নে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন ডিসেম্বরের শুরু থেকেই।...
২ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গী আজ এমন কিছু চাইবেন যা আমাজন বা আলিবাবাতেও পাওয়া যায় না—যেমন, আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ। ঝগড়া শুরু হওয়ার আগেই ‘সরি’ বলে দিন, আজকের দিনে ঝামেলা না বাঁধাতে চাইলে এর বিকল্প নেই।
বৃষ
আপনার আর্থিক পরিস্থিতি আজ মজবুত হবে, কারণ অনলাইন শপিং-এর পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। প্রেম জীবন নিয়ে গ্রহরা বলছে, আজ বাড়িতে রান্না হতে পারে আপনার প্রিয় পদ। কিন্তু সেই পদটি এতটাই তেল-মসলাযুক্ত হবে যে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সেটা এড়িয়ে চলতেই হবে। অতএব, মন ও পেটের মধ্যে আজ সারা দিন একটা মহাযুদ্ধ চলবে। নিজেকে ‘খাদ্য-সংযমী’ প্রমাণ করতে গিয়ে আজ হয়তো শুধু ডাল-ভাতেই থাকবেন, কিন্তু মনে মনে চাইবেন এক প্লেট বিরিয়ানি।
মিথুন
মিথুন রাশি মানেই দুই দিকে মন! আজ দুটো মন একসঙ্গে কাজ করবে—একটা বলবে কাজে মনোযোগ দাও, অন্যটা বলবে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করো। এই দ্বৈত-আচরণে নিজেই কনফিউজড হয়ে যাবেন। গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ দিচ্ছে গ্রহ, তাই আজ কারোর ফোন এলে তার সামনে হাঁচি দিলেও যেন মনে হয় কোনো গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। বন্ধুরা আজ আপনার কাজের প্রশংসা করবে, কারণ আজ আপনি তাদের ধার দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলবেন।
কর্কট
আজকের দিনে আপনার আবেগ একটা রকেটের মতো ছুটবে, আর সেই রকেটটা নামবে গিয়ে সোজা ওয়ালেটের ওপর। গ্রহরা বলছে, অযাচিত খরচ হতে পারে। মনে রাখবেন, ‘অযাচিত’ মানে এমন কিছু, যা আপনার প্রয়োজন ছিল না, তবুও শপিং মলে ঢুকে কিনেছেন। পুরোনো প্রেম আজ নতুন করে ফিরে আসতে চাইবে, কিন্তু যদি পুরোনো লোন পরিশোধ করতে চান, তবে সেদিকে মনোযোগ দিন। হতাশ হবেন না, কারণ হতাশ হওয়ার মতো অনেক সময় আপনার কাছে এমনিতেই আছে! আজকের দিনটা ফোন সাইলেন্ট করে রাখুন, কারণ অপ্রত্যাশিত বার্তা মানেই হয়তো কোনো প্রাক্তন বা কোনো পাওনাদার।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ভাগ্য আপনার ওপর নির্ভর করবে না—বরং ভাগ্য নির্ভর করবে আজ কতটা আলসেমি করবেন তার ওপর। গ্রহরা আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে তার জন্য সোফা ছেড়ে জিম-এর মেম্বারশিপ নিতে হবে। টাকা-পয়সা পরিশোধ হওয়ার দরুন আর্থিক অবস্থা উন্নত হবে, তবে সেই টাকা কোথায় খরচ করবেন তা ভাবতে ভাবতেই রাত কাবার। সামাজিক অনুষ্ঠানে আজ আপনিই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবেন, তবে কেউ যদি আপনার থেকে লোন চায়, তাহলে দ্রুত সেই কেন্দ্র থেকে সটকে পড়ুন। রাজার মতো থাকুন, কিন্তু বিল মেটানোর সময় নিজেকে সাধারণ প্রজা ভাবুন।
কন্যা
আজ আবেগের বশে দৈনন্দিন রুটিনের বাইরে যাওয়ায় একটু সমস্যা আসতে পারে। যদি সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠার বদলে ৮টা ০৫ মিনিটে ওঠেন, তাহলেই সমস্যা। গ্রহরা বলছে, কর্মচারীর ব্যবহারে খুশি হবেন। এর মানে হলো, বাড়ির কাজের লোক আজ হয়তো চা-টা একটু বেশি গরম করে দেবে। প্রেমের ক্ষেত্রে, যিনি আপনার থেকে দূরে থাকেন, তাকে গভীরভাবে মিস করতে পারেন। তবে মেসেজ করার আগে বানান ভুলগুলো একবার চেক করে নিন, আবেগ যেন বানান ভুল না করায়! রুটিন মেনেই জীবনে নতুনত্ব আনুন—যেমন, প্রতিদিন এক কাপ বেশি চা খান।
তুলা
তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা সব সময় ভারসাম্য খোঁজেন। আজ খুঁজে পাবেন যে, ভারসাম্য বজায় রাখাটা আসলে একটা মিথ। গ্রহরা আপনাকে ভালোবাসা, আশা, বিশ্বাস এসব ইতিবাচক অনুভূতি গ্রহণে উৎসাহিত করছে, কিন্তু মনে রাখবেন, আজ সকালে আপনার টুথপেস্টের শেষ ফোঁটাটা ফুরিয়ে যেতে পারে—তখনো কি আপনি ইতিবাচক থাকবেন? আজ মনকে শান্ত করার জন্য ধ্যান করতে চাইবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, ধ্যান করার সেরা জায়গা হলো বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া। যেদিকে আপনার পছন্দের মিষ্টির দোকান, সেদিকে হাঁটা দিন।
বৃশ্চিক
আপনার তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি আজ আপনাকে কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত করবে। আজ স্বাভাবিক জিনিসকেও অস্বাভাবিক বলে মনে করবেন। যেমন, অফিসের ফাইলটা হঠাৎ সবুজ রঙের মনে হতে পারে, বা পোষা মাছের কথাগুলো আরও বেশি বুদ্ধিমত্তার মনে হতে পারে। বাড়ির কোনো দায়িত্বে ফাঁকি দিতে চাইলেও কোনো উপায় থাকবে না, কারণ গ্রহের অবস্থান বলছে আজ আপনার মা আপনাকে বাইরে যেতে বলতে পারেন। আর মায়ের সঙ্গে বাইরে যাওয়া মানেই বিনা মূল্যে কেনাকাটার গাইড পাওয়া!
ধনু
প্রতিবেশীরা আপনার কাজের এতটাই প্রশংসা করবে যে, পাড়ায় আপনার সুনাম প্রতিষ্ঠিত হবে। সাবধানে থাকবেন, কারণ এই প্রশংসা সম্ভবত আপনার ওপর কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার প্ল্যান। অফিসের কাজ ছাড়াও আজ আপনাকে ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যস্ত থাকতে হবে। এই ‘ব্যক্তিগত কাজ’ হলো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার স্ট্যাটাস দেখা বা বন্ধুর বিয়েতে কী পরবেন, তা নিয়ে গবেষণা করা। লেনদেনে অতিরিক্ত সতর্ক হোন, না হলে এমন কারও কাছে টাকা চাইতে যাবেন, যিনি উল্টো আপনার কাছেই টাকা চেয়ে বসবেন। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, বিশেষ করে যদি সেটা মাঝরাতে পিৎজা অর্ডার করার সিদ্ধান্ত হয়।
মকর
মকর রাশি, আজ ব্যবসার কাজে নিজেকে খুব বেশি ব্যস্ত রাখবেন। ফলস্বরূপ, বাড়ির কোনো দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত আসবে। পরিবার আজ আপনাকে মিস করবে না, কারণ আপনি এমনিতেই এত কাজ করেন যে, তারা ধরেই নিয়েছে আপনি অন্য কোনো গ্রহে কাজ করছেন। তাই, যদি আজ বাড়িতে আপনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, তবে বাড়ির লোক আপনাকে সন্দেহ করতে পারে। নিজেকে একটু কম ব্যস্ত রাখুন, না হলে দেখবেন আপনার কাজের চাপে আপনার পোষা প্রাণীও স্ট্রেস নিতে শুরু করেছে।
কুম্ভ
কিছু আমোদপ্রমোদের জন্য আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে চেষ্টা করুন। এই আমোদপ্রমোদ মানেই হলো, ঘরে ফিরে রিমোট হাতে নিয়ে শুয়ে থাকা। আজ অর্থ-সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, আর সেই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনার পিতাকে বা পিতার মতো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। গ্রহের এই ইঙ্গিত মনে হচ্ছে অনেকটা পুরোনো দিনের ভারতীয় সিনেমার মতো, যেখানে টাকার জন্য বাবাকেই ভরসা করতে হয়। সঙ্গীর ভালোবাসার জন্য যদি আপনি ক্ষুধিত থাকেন, তবে এই দিনটি মঙ্গলময় হবে, যদি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারেন।
মীন
আজ কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে। তবে মনে রাখবেন, আপনার পরিকল্পনা মানেই কিন্তু কাজের শুরুতে দশ কাপ চা খাওয়া, আর তারপরে ঘুমিয়ে পড়া। পেশাদাররা সহায়ক হবে, অর্থাৎ সহকর্মীরা আজ অন্তত আপনার কফিটা ফেলে দেবেন না। আপনার নাম নিয়ে কেউ আপনাকে মিথ্যা অপবাদে ফাঁসাতে পারে। যেমন, আড্ডার শেষ বিস্কুটটা হয়তো আপনি খাননি, কিন্তু সবাই আপনাকে দোষ দেবে। ভালোবাসার বিষয়ে, ছোট ছোট যত্নের কাজগুলো ভাগ করে নিন—যেমন, সঙ্গীর প্লেট থেকে শেষ আইসক্রিমটুকু আপনি খেয়ে ফেলুন।

মেষ
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গী আজ এমন কিছু চাইবেন যা আমাজন বা আলিবাবাতেও পাওয়া যায় না—যেমন, আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ। ঝগড়া শুরু হওয়ার আগেই ‘সরি’ বলে দিন, আজকের দিনে ঝামেলা না বাঁধাতে চাইলে এর বিকল্প নেই।
বৃষ
আপনার আর্থিক পরিস্থিতি আজ মজবুত হবে, কারণ অনলাইন শপিং-এর পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। প্রেম জীবন নিয়ে গ্রহরা বলছে, আজ বাড়িতে রান্না হতে পারে আপনার প্রিয় পদ। কিন্তু সেই পদটি এতটাই তেল-মসলাযুক্ত হবে যে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সেটা এড়িয়ে চলতেই হবে। অতএব, মন ও পেটের মধ্যে আজ সারা দিন একটা মহাযুদ্ধ চলবে। নিজেকে ‘খাদ্য-সংযমী’ প্রমাণ করতে গিয়ে আজ হয়তো শুধু ডাল-ভাতেই থাকবেন, কিন্তু মনে মনে চাইবেন এক প্লেট বিরিয়ানি।
মিথুন
মিথুন রাশি মানেই দুই দিকে মন! আজ দুটো মন একসঙ্গে কাজ করবে—একটা বলবে কাজে মনোযোগ দাও, অন্যটা বলবে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করো। এই দ্বৈত-আচরণে নিজেই কনফিউজড হয়ে যাবেন। গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ দিচ্ছে গ্রহ, তাই আজ কারোর ফোন এলে তার সামনে হাঁচি দিলেও যেন মনে হয় কোনো গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। বন্ধুরা আজ আপনার কাজের প্রশংসা করবে, কারণ আজ আপনি তাদের ধার দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলবেন।
কর্কট
আজকের দিনে আপনার আবেগ একটা রকেটের মতো ছুটবে, আর সেই রকেটটা নামবে গিয়ে সোজা ওয়ালেটের ওপর। গ্রহরা বলছে, অযাচিত খরচ হতে পারে। মনে রাখবেন, ‘অযাচিত’ মানে এমন কিছু, যা আপনার প্রয়োজন ছিল না, তবুও শপিং মলে ঢুকে কিনেছেন। পুরোনো প্রেম আজ নতুন করে ফিরে আসতে চাইবে, কিন্তু যদি পুরোনো লোন পরিশোধ করতে চান, তবে সেদিকে মনোযোগ দিন। হতাশ হবেন না, কারণ হতাশ হওয়ার মতো অনেক সময় আপনার কাছে এমনিতেই আছে! আজকের দিনটা ফোন সাইলেন্ট করে রাখুন, কারণ অপ্রত্যাশিত বার্তা মানেই হয়তো কোনো প্রাক্তন বা কোনো পাওনাদার।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ভাগ্য আপনার ওপর নির্ভর করবে না—বরং ভাগ্য নির্ভর করবে আজ কতটা আলসেমি করবেন তার ওপর। গ্রহরা আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে তার জন্য সোফা ছেড়ে জিম-এর মেম্বারশিপ নিতে হবে। টাকা-পয়সা পরিশোধ হওয়ার দরুন আর্থিক অবস্থা উন্নত হবে, তবে সেই টাকা কোথায় খরচ করবেন তা ভাবতে ভাবতেই রাত কাবার। সামাজিক অনুষ্ঠানে আজ আপনিই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবেন, তবে কেউ যদি আপনার থেকে লোন চায়, তাহলে দ্রুত সেই কেন্দ্র থেকে সটকে পড়ুন। রাজার মতো থাকুন, কিন্তু বিল মেটানোর সময় নিজেকে সাধারণ প্রজা ভাবুন।
কন্যা
আজ আবেগের বশে দৈনন্দিন রুটিনের বাইরে যাওয়ায় একটু সমস্যা আসতে পারে। যদি সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠার বদলে ৮টা ০৫ মিনিটে ওঠেন, তাহলেই সমস্যা। গ্রহরা বলছে, কর্মচারীর ব্যবহারে খুশি হবেন। এর মানে হলো, বাড়ির কাজের লোক আজ হয়তো চা-টা একটু বেশি গরম করে দেবে। প্রেমের ক্ষেত্রে, যিনি আপনার থেকে দূরে থাকেন, তাকে গভীরভাবে মিস করতে পারেন। তবে মেসেজ করার আগে বানান ভুলগুলো একবার চেক করে নিন, আবেগ যেন বানান ভুল না করায়! রুটিন মেনেই জীবনে নতুনত্ব আনুন—যেমন, প্রতিদিন এক কাপ বেশি চা খান।
তুলা
তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা সব সময় ভারসাম্য খোঁজেন। আজ খুঁজে পাবেন যে, ভারসাম্য বজায় রাখাটা আসলে একটা মিথ। গ্রহরা আপনাকে ভালোবাসা, আশা, বিশ্বাস এসব ইতিবাচক অনুভূতি গ্রহণে উৎসাহিত করছে, কিন্তু মনে রাখবেন, আজ সকালে আপনার টুথপেস্টের শেষ ফোঁটাটা ফুরিয়ে যেতে পারে—তখনো কি আপনি ইতিবাচক থাকবেন? আজ মনকে শান্ত করার জন্য ধ্যান করতে চাইবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, ধ্যান করার সেরা জায়গা হলো বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া। যেদিকে আপনার পছন্দের মিষ্টির দোকান, সেদিকে হাঁটা দিন।
বৃশ্চিক
আপনার তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি আজ আপনাকে কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত করবে। আজ স্বাভাবিক জিনিসকেও অস্বাভাবিক বলে মনে করবেন। যেমন, অফিসের ফাইলটা হঠাৎ সবুজ রঙের মনে হতে পারে, বা পোষা মাছের কথাগুলো আরও বেশি বুদ্ধিমত্তার মনে হতে পারে। বাড়ির কোনো দায়িত্বে ফাঁকি দিতে চাইলেও কোনো উপায় থাকবে না, কারণ গ্রহের অবস্থান বলছে আজ আপনার মা আপনাকে বাইরে যেতে বলতে পারেন। আর মায়ের সঙ্গে বাইরে যাওয়া মানেই বিনা মূল্যে কেনাকাটার গাইড পাওয়া!
ধনু
প্রতিবেশীরা আপনার কাজের এতটাই প্রশংসা করবে যে, পাড়ায় আপনার সুনাম প্রতিষ্ঠিত হবে। সাবধানে থাকবেন, কারণ এই প্রশংসা সম্ভবত আপনার ওপর কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার প্ল্যান। অফিসের কাজ ছাড়াও আজ আপনাকে ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যস্ত থাকতে হবে। এই ‘ব্যক্তিগত কাজ’ হলো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার স্ট্যাটাস দেখা বা বন্ধুর বিয়েতে কী পরবেন, তা নিয়ে গবেষণা করা। লেনদেনে অতিরিক্ত সতর্ক হোন, না হলে এমন কারও কাছে টাকা চাইতে যাবেন, যিনি উল্টো আপনার কাছেই টাকা চেয়ে বসবেন। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, বিশেষ করে যদি সেটা মাঝরাতে পিৎজা অর্ডার করার সিদ্ধান্ত হয়।
মকর
মকর রাশি, আজ ব্যবসার কাজে নিজেকে খুব বেশি ব্যস্ত রাখবেন। ফলস্বরূপ, বাড়ির কোনো দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত আসবে। পরিবার আজ আপনাকে মিস করবে না, কারণ আপনি এমনিতেই এত কাজ করেন যে, তারা ধরেই নিয়েছে আপনি অন্য কোনো গ্রহে কাজ করছেন। তাই, যদি আজ বাড়িতে আপনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, তবে বাড়ির লোক আপনাকে সন্দেহ করতে পারে। নিজেকে একটু কম ব্যস্ত রাখুন, না হলে দেখবেন আপনার কাজের চাপে আপনার পোষা প্রাণীও স্ট্রেস নিতে শুরু করেছে।
কুম্ভ
কিছু আমোদপ্রমোদের জন্য আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে চেষ্টা করুন। এই আমোদপ্রমোদ মানেই হলো, ঘরে ফিরে রিমোট হাতে নিয়ে শুয়ে থাকা। আজ অর্থ-সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, আর সেই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনার পিতাকে বা পিতার মতো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। গ্রহের এই ইঙ্গিত মনে হচ্ছে অনেকটা পুরোনো দিনের ভারতীয় সিনেমার মতো, যেখানে টাকার জন্য বাবাকেই ভরসা করতে হয়। সঙ্গীর ভালোবাসার জন্য যদি আপনি ক্ষুধিত থাকেন, তবে এই দিনটি মঙ্গলময় হবে, যদি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারেন।
মীন
আজ কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে। তবে মনে রাখবেন, আপনার পরিকল্পনা মানেই কিন্তু কাজের শুরুতে দশ কাপ চা খাওয়া, আর তারপরে ঘুমিয়ে পড়া। পেশাদাররা সহায়ক হবে, অর্থাৎ সহকর্মীরা আজ অন্তত আপনার কফিটা ফেলে দেবেন না। আপনার নাম নিয়ে কেউ আপনাকে মিথ্যা অপবাদে ফাঁসাতে পারে। যেমন, আড্ডার শেষ বিস্কুটটা হয়তো আপনি খাননি, কিন্তু সবাই আপনাকে দোষ দেবে। ভালোবাসার বিষয়ে, ছোট ছোট যত্নের কাজগুলো ভাগ করে নিন—যেমন, সঙ্গীর প্লেট থেকে শেষ আইসক্রিমটুকু আপনি খেয়ে ফেলুন।

সেদিন ভারতে আমাদের শেষ দিন। শিলিগুড়ি থেকে চেংড়াবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাব নিজ দেশে। এ কথা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছিল। সকাল থেকে ভুবনকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। ডাক্তারের কথা তাহলে ঠিক ছিল। ওষুধ কাজ করেছে...
৩০ নভেম্বর ২০২২
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! এত বেশি যে ভুল করে আজ অফিসে হেঁটে না গিয়ে দৌড়ে যেতে পারেন। আর সহকর্মীরা ভাববে, ‘কিসের এত তাড়া? বেতন কি দ্বিগুণ হচ্ছে?’ কাজের জায়গায় ‘আমিই সেরা’ ভাবটা একটু কমিয়ে রাখুন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। শীতে চুল রুক্ষ, নির্জীব ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগে। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াতেও আপনার চুল যেন মজবুত, মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে, সে জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর চুলের যত্নে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন ডিসেম্বরের শুরু থেকেই।...
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার...
১৮ ঘণ্টা আগে