Ajker Patrika

বিমানবন্দরে ১০ ভুল এড়িয়ে চলুন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
কিছু ছোট প্রস্তুতি ও সচেতনতা পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
কিছু ছোট প্রস্তুতি ও সচেতনতা পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ ভ্রমণের আনন্দ শুরু হয় বিমানবন্দর থেকে। সেই আনন্দ ধরে রাখতে চাইলে কিছুটা পরিকল্পনা, সময়জ্ঞান ও সচেতনতা প্রয়োজন। দীর্ঘ সারি, লাগেজের ঝামেলা, সময়মতো না পৌঁছানো, এমনকি বোর্ডিং পাস হারানোর মতো সাধারণ ভুল যাত্রাকে করে তুলতে পারে বিরক্তিকর। এই ভুলগুলোর বেশির ভাগই হয় পরিকল্পনার অভাবে। কিছু ছোট প্রস্তুতি ও সচেতনতা পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে পারে।

যাত্রার আগে গাড়ি ঠিক করবেন না

যাত্রার দিন গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে অনেকে অনলাইনে গাড়ি বুক করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পেলে এতে বড় বিপত্তি তৈরি হয়। তাই নির্দিষ্ট দিনের জন্য আগেই গাড়ি ঠিক করে রাখা উচিত। এতে বের হওয়ার সময় কোনো সমস্যা পড়তে হয় না।

খুব আগে পৌঁছে যাওয়াও ভুল

অনেকে মনে করেন, যত আগে বিমানবন্দরে পৌঁছানো যায়, তত ভালো। কিন্তু তা সব সময় নয়। বেশির ভাগ এয়ারপোর্টে ব্যাগ ড্রপ বা চেক-ইন কাউন্টার খোলে ফ্লাইট ছাড়ার তিন ঘণ্টা আগে। তার আগে গেলে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকে না।

দেরি করা বিপজ্জনক

কিছু যাত্রী মনে করেন, অনলাইনে চেক-ইন থাকলে শেষ মুহূর্তে পৌঁছানো যাবে। কিন্তু অনেক এয়ারলাইনস ফ্লাইট ছাড়ার ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে গেট বন্ধ করে দেয়; বিশেষ করে বড় বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন ও গেটে পৌঁছাতে সময় লাগে অনেক। তাই অন্তত এক ঘণ্টা আগে উপস্থিত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আর অনলাইন চেকিং না থাকলে অবশ্যই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হবে।

বিমানবন্দরে মুদ্রা বদল করবেন না

এয়ারপোর্টে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ কাউন্টারে রেট সব সময় কম পাওয়া যায়। ভালো সমাধান হলো ভ্রমণের এক বা দুদিন আগে অনলাইনে বা শহরের কোনো নির্ভরযোগ্য মানি এক্সচেঞ্জে আগেভাগে টাকা বদলে নেওয়া। এতে অনেক টাকা সাশ্রয়ী হয়।

দাম না জেনে ডিউটি ফ্রি কেনাকাটা করবেন না

‘ডিউটি ফ্রি’ শব্দটি শুনলেই মনে হয় সবকিছু সস্তা, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। তাই কেনার আগে মোবাইল ফোনে গুগলে দাম দেখে নিন। না হলে আপনাকে ‘ডিউটি ফ্রি’ ট্যাগের জন্যই বাড়তি টাকা গুনতে হবে।

পানির খালি বোতল সঙ্গে না নেওয়া

নিরাপত্তা চেকের সময় পানি নিয়ে ঢোকা যায় না, কিন্তু খালি বোতল নিয়ে ঢোকা যায়। এখন প্রায় সব বিমানবন্দরে পানির ফিলিং স্টেশন আছে। খালি বোতল নিয়ে গেলে নিরাপত্তা পার হওয়ার পর পানি ভরে নিতে পারবেন। এতে দোকানে অতিরিক্ত দামে পানির বোতল কিনতে হবে না।

লাগেজের ওজন না মাপা

এয়ারলাইনসের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাগের ওজন ও মাপ ভিন্ন হয়। বাড়তি ওজনের জন্য বেশ ভালো অঙ্কের অতিরিক্ত ওজন ফি দিতে হয়। তাই ঘর থেকে ব্যাগ ওজন করে নিন। না হলে অপ্রত্যাশিত খরচ ভ্রমণের বাজেট নষ্ট করবে।

অনলাইনে চেক-ইন না করা

বর্তমানে প্রায় সব এয়ারলাইনস অনলাইন চেক-ইন সুবিধা দেয়। এতে বিমানবন্দরে সময় বাঁচে, আবার কিছু ক্ষেত্রে টাকাও বাঁচে। তাই আগেই মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে চেক-ইন সম্পন্ন করুন।

ফাস্ট ট্র্যাক ব্যবহার না করা

যদিও অনেকের কাছে অতিরিক্ত ৫ বা ১০ ডলার খরচ করে ফাস্ট ট্র্যাক টিকিটের খরচ অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। তবে ভিড়ের সময় এটি বেশ কাজে দেয়; বিশেষ করে ছুটির মৌসুমে দীর্ঘ নিরাপত্তা সারি এড়াতে অনলাইনে আগে থেকে ফাস্ট ট্র্যাক পাস বুক করা বুদ্ধিমানের কাজ।

ফ্লাইট ট্র্যাক না করা

এয়ারপোর্টের ডিসপ্লে বোর্ডে ফ্লাইট বিলম্ব বা গেট পরিবর্তনের তথ্য অনেক সময় দেরিতে আপডেট হয়। অনলাইন ফ্লাইট ট্র্যাকারে আপনার ফ্লাইট নম্বর লিখলেই আগেভাগে রিয়েল টাইম তথ্য পাওয়া যায়। এতে অপ্রয়োজনীয় দৌড়ঝাঁপ ও বিভ্রান্তি কমে।

সময়মতো পৌঁছানো, লাগেজ যাচাই, অনলাইন চেক-ইন বা ফ্লাইট ট্র্যাক করার মতো ছোট ছোট সচেতনতা ভ্রমণকে অনেক সহজ করে তুলতে পারে। যাত্রার শুরুটা যদি সুন্দর হয়, তাহলে পুরো ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত