Ajker Patrika

১০০ বছর, জেমস বন্ডের এশিয়া ভ্রমণ

রজত কান্তি রায়, ঢাকা  
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭: ৪৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‘মাই নেম ইজ বন্ড। জেমস বন্ড।’

ব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের সুদর্শন ও চৌকস গুপ্তচর জেমস বন্ডের জন্ম নভেম্বর মাসে বলে ধরে নেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে খানিক বিতর্ক আছে। জন পিয়ারসনের কল্পিত জীবনী ‘জেমস বন্ড: দ্য অথরাইজড বায়োগ্রাফি অব ০০৭ ’-এ বন্ডের জন্মতারিখ ১১ নভেম্বর ১৯২০ হিসেবে লেখা হয়েছে। আবার বন্ড বিশেষজ্ঞ জন গ্রিসওল্ড বলেছেন, বন্ডের জন্মতারিখ ১১ নভেম্বর ১৯২১। তবে বন্ডের জন্মসাল পাওয়া যায় চারটি। এগুলো হলো ১৯১৭, ১৯২০, ১৯২১ ও ১৯২৪। জন্ম ১৯২৪ সাল ধরলে এ বছর বন্ডের জন্মশতবর্ষ। আর অন্য সালগুলো ধরলে হয় ১০৩, ১০৪ ও ১০৭ বছর।

এত রহস্যঘেরা যাঁর জন্মখণ্ড, তাঁর জীবন যে রোমাঞ্চকর হবে, সেটা তো বলাই বাহুল্য। বন্ডের রোমাঞ্চকর জীবনের উল্লেখযোগ্য বিষয় নিঃসন্দেহে ভ্রমণ। বিভিন্ন সূত্রে দেখা যায়, জেমস বন্ড কৈশোরকাল থেকে ভ্রমণ করছেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি চলে গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। বন্ড সিরিজের ২৫টি চলচ্চিত্রে বন্ডকে অসংখ্য দেশে ভ্রমণ করতে দেখা যায়। এই ভ্রমণ কেবল তাঁর মিশনকে আন্তর্জাতিকই করেনি, করেছে উত্তেজনাময় ও চিত্তাকর্ষক।

ব্রিটিশ এজেন্ট হিসেবে বন্ড বেশি ভ্রমণ করেছেন ইউরোপ। বেশ কয়েকটি আইকনিক দেশ জেমস বন্ডের রহস্যময় বিচরণক্ষেত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। এগুলোর মধ্যে আছে যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানি।

এসব দেশের প্রেক্ষাপটে যেসব চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছিল, সেগুলো যথাক্রমে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ’ (১৯৯৯), ‘স্কাইফল’ (২০১২), ‘মুনরেকার’ (১৯৭৯), ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ (২০০৬), ‘স্পেক্টার’ (২০১৫), ‘ফর ইয়োর আইজ অনলি’ (১৯৮১), ‘আ ভিউ টু আ কিল’ (১৯৮৫), ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫), ‘অন হার ম্যাজেস্টি’ (১৯৬৯), ‘ডাই অ্যানাদার ডে’ (২০০২), ‘ফ্রম রাশিয়া উইদ লাভ’ (১৯৬৩), ‘গোল্ডেন আই’ (১৯৯৫), ‘অক্টোপুসি’ (১৯৮৩), ‘টুমরো নেভার ডাইস’ (১৯৯৭)। বন্ড শুধু যে ইউরোপ বা আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিলাসী জীবন উপভোগ আর অ্যাকশন করে কাটিয়েছেন, তা নয়। এশিয়াতেও ছিল তাঁর রহস্যময় কর্মকাণ্ড।

জাপান

বন্ড সিরিজের ষাটের দশকের ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইস’ (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে বন্ডকে জাপান ভ্রমণ করতে দেখা যায়। সেখানে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন ভিলেন ব্লোফেল্ডের। প্রাচীন ঐতিহ্য আর আধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে ষাটের দশকের জাপানকে ধরে রাখা হয়েছে এই সিনেমায়।

জেমস বন্ড সিরিজের তিনটি বই। ছবি: সংগৃহীত
জেমস বন্ড সিরিজের তিনটি বই। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ড ছিল ‘দ্য ম্যান উইদ দ্য গোল্ডেন গান’ (১৯৭৪) ছবির পটভূমি। সেখানে বন্ড ভাড়াটে খুনি স্কারামাঙ্গার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। ছবিটি বিশেষভাবে বিখ্যাত চুনাপাথর অনন্যতা আর ফাং নাগা উপসাগরের দৃশ্যের কারণে।

চীন

বন্ডের চীন সফর ছিল সংক্ষিপ্ত। ২০১২ সালের ছবি ‘স্কাইফল’-এ সাংহাইয়ের একটি স্মরণীয় দৃশ্য রয়েছে। সেই দৃশ্য বন্ড একজন আততায়ীকে তাড়া করে। সেই অ্যাকশন দৃশ্যে সাংহাইয়ের আকাশচুম্বী দালানগুলো দারুণ দৃশ্য তৈরি করেছিল। এই চমকপ্রদ দৃশ্য ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে তৈরি আধুনিক চীনকে তুলে ধরেছিল।

ভারত

‘অক্টোপুসি’ ছবিতে জেমস বন্ড ভারতের উদয়পুর ভ্রমণ করেন। গুপ্তচরবৃত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য বিখ্যাত তিনি। কিন্তু উদয়পুরের প্রাসাদ, প্রাণবন্ত স্থানীয় বাজার এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সেই উচ্চ প্রযুক্তির সঙ্গে বৈপরীত্য তৈরি করায় তা হয়েছিল দারুণ হাস্যরস। সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল উদয়পুরের প্রাকৃতিক দৃশ্য।

হংকং

‘দ্য ম্যান উইদ দ্য গোল্ডেন গান’সহ (১৯৭৪) আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে হংকংয়ের ব্যস্ত রাস্তা এবং ঝলমলে নাইট লাইফ নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছিল।

মরুভূমিতেও গুপ্তচরবৃত্তি আর রহস্যের কিনারা করেছিলেন জেমস বন্ড। মধ্যপ্রাচ্যের বৈশ্বিক রাজনীতিতে কৌশলগত গুরুত্ব পাওয়ার কারণে বন্ডের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।

উদয়পুর, ভারত। ‘অক্টোপুসি’ (১৯৮৩) সিনেমায় এ শহরকে দেখানো হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
উদয়পুর, ভারত। ‘অক্টোপুসি’ (১৯৮৩) সিনেমায় এ শহরকে দেখানো হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্ক

সেই ষাটের দশকে ‘ফ্রম রাশিয়া উইদ লাভ’ (১৯৬৩) এবং ২০১২ সালে ‘স্কাইফল’ চলচ্চিত্রে ইস্তাম্বুলকে দেখানো হয়েছিল। এ শহরের ঐতিহাসিক পূর্ব-পশ্চিম সেতুবন্ধন, পুরোনো বাজার, প্রকৃতি আর মানুষ দেখা গিয়েছিল সেই সিনেমাগুলোতে।

মিসর

১৯৭৭ সালের ‘দ্য স্পাই হু লাভড মি’ ছবিতে বন্ড মিসর ভ্রমণ করেছিলেন। সেই সিনেমায় দেখা গিয়েছিল সত্তর দশকের পিরামিড আর মরুভূমি।

জেমস বন্ড চরিত্রটি ২৫টির বেশি চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে দর্শকদের নিয়ে গেছে প্রায় প্রতিটি মহাদেশে। দর্শক হিসেবে আমরা করেছি মানসভ্রমণ। বিভিন্ন সময়ে নানা দেশের দৃশ্য ধরা আছে বন্ড সিরিজের সিনেমাগুলোতে। সময় ধরে ধরে যদি দেখা যায়, তাহলে সেগুলো এক দারুণ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেয়। কারণ, চলচ্চিত্রগুলো বিখ্যাতই হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক পরিবেশের জন্য। সঙ্গে গ্ল্যামার আর হিরোইজম তো রয়েছেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাঁতারের পর রুক্ষ হয়ে উঠেছে ত্বক

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৫০
সাঁতারের পর রুক্ষ হয়ে উঠেছে ত্বক

সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু স্কিন কেয়ার পণ্য সুইমিংপুলের পানিতে থাকা ক্লোরিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে ত্বকের শুষ্কতা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। সেগুলো আলো সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ত্বকে জ্বালা, র‍্যাশ বা সানট্যানের ঝুঁকি বাড়ায়।

সাঁতারের আগে যেসব উপাদান ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না

ত্বক বিশেষজ্ঞরা বহুল ব্যবহৃত কিছু উপাদানের কথা বলেছেন, যেগুলো পানির ক্লোরিনের সঙ্গে মিশলে ত্বকের ক্ষতি করে।

  • রেটিনল: বলিরেখা দূর করা এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত এই উপাদান বেশ সংবেদনশীল। ক্লোরিনের সংস্পর্শে এলে এটি ত্বকের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করে বেশি।
  • আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড এবং বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড: গ্লাইকোলিক, ল্যাকটিক বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো ত্বক এক্সফোলিয়েট করে। কিন্তু ক্লোরিনের সঙ্গে মিশলে এগুলো তেল দ্রুত শুষে নিয়ে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক করে দেয়।
  • বেনজয়েল পারক্সাইড: এটি ব্রণের চিকিৎসায় খুব ভালো কাজ করে। কিন্তু ক্লোরিনের প্রভাবে এর ত্বক শুষ্ক করার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
  • সাঁতারের আগে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়া পানিতে থাকা ক্লোরিন এগুলোর কার্যকারিতাও নষ্ট করে দেয়।

সাঁতারের আগে কী ব্যবহার করতে হবে

বিষয়টি এমন নয় যে সাঁতার এবং সুস্থ ত্বকের মধ্যে আপনাকে যেকোনো

একটি বেছে নিতে হবে। সাঁতার কাটতে যাওয়ার আগে আপনার রুটিনে কিছু কোমল উপাদান অন্তর্ভুক্ত করলে আর তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না। ত্বক বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ হিসেবে যে উপাদানগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো—

  • বাকুচিওল: এটি রেটিনলের মতো কার্যকর। কিন্তু ত্বকের জন্য অনেক বেশি সহনশীল।
  • পেপটাইডস বা নিয়াসিনামাইড: এগুলো ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে, কিন্তু তীব্রভাবে এক্সফোলিয়েট করে না। আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডের বদলে ব্যবহার করা যায়।
  • টি ট্রি অয়েল: এতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে জীবাণু থেকে রক্ষা করে। বেনজয়েল পারক্সাইডের বদলে এটি ব্যবহার করা যায়।

সাঁতার শেষে করণীয়

সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে ওঠার পর সাধারণ পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিয়ে প্রথমে একটি ক্রিম-বেজড এবং পরে একটি অয়েল-বেজড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো সাঁতারের আগে ও পরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। এতে ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা এড়ানো সম্ভব হবে।

সূত্র: ওমেনস হেলথ ম্যাগ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রান্নাঘরের কিছু সহজ টিপস

ফিচার ডেস্ক
রান্নাঘরের কিছু সহজ টিপস

নতুন রাঁধুনিদের রান্নার সময় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।

  • রান্নার সময় হঠাৎ টক দই দরকার হলে এক কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভিনেগার বা লেবুর রস মিশিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিলে সহজে টক দই পাওয়া যাবে। এভাবে বাসায় ব্যবহারের জন্যও তৈরি করতে পারবেন টক দই।
  • প্লাস্টিকের বক্সে পেপার টাওয়েল রেখে তার ওপর শাক, সবজি, ধনেপাতা
  • বা পুদিনাপাতা রেখে সেই বক্স ফ্রিজে রাখুন। পেপার টাওয়েল অতিরিক্ত আর্দ্রতা শুষে শাকসবজি বেশি সময় ভালো রাখবে।
  • পোলাও রান্নার সময় চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে হালকা করে তেলে ভেজে নিয়ে তারপর পানি দিন। এতে পোলাও ঝরঝরে হবে।
  • রান্নার সময় খাবারে লবণ দেওয়ার পরেও স্বাদ কম মনে হলে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার না করে ভিনেগার বা লেবুর রস যোগ করতে পারেন। অনেক সময় খাবারে অ্যাসিডের অভাবকে আমরা লবণের অভাব মনে করি। তাই স্বাদ কম মনে হয়।
  • রান্নার শুরুতে খুব কম আঁচে হলুদ, জিরা, ধনে হালকা করে টেলে নিন। একে ‘ব্লুমিং’ বলে, যা মসলার স্বাদ-গন্ধ পুরোপুরি বের করে আনে।
  • সহজে খোসা ছাড়ানোর জন্য রসুনের কোয়া ১৫ সেকেন্ড মাইক্রোওয়েভে গরম করুন। এতে খুব সহজে রসুনের খোসা ছাড়ানো যাবে।

সূত্র: বাজফিড

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফুকেট ভ্রমণে মজার খাবার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৫৩
ফুকেটে পাওয়া যায় থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার। ছবি: পেক্সেল
ফুকেটে পাওয়া যায় থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার। ছবি: পেক্সেল

পুরো থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য কোনো না কোনোভাবে সেজে থাকে। এই যেমন ফুকেটের কথা বলি। খাবারের জন্য দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে ‘সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে। চায়নিজ-পেরানাকান, মুসলিম, দক্ষিণ থাই এবং ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। হক্কিয়েন নুডলস, প্যান্ডান চিকেন কারি, চা-চাক, ডিম সাম ও স্থানীয় স্ট্রিট ফুড—সবই যেন স্বাদে অনন্য।

ফুকেটে সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এর বিশেষত্ব হলো, চাইলে এসব খাবার কম বা বেশি ঝাল দিয়ে নিজের মতো করে খাওয়া যায়।

কাং ক্রাটি নুডলস। ছবি: পেক্সেলস
কাং ক্রাটি নুডলস। ছবি: পেক্সেলস

সকালের স্থানীয় খাবার

ফুকেটের সকালের শুরুটা করতে পারেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মন সম্প্রদায়ের তৈরি নুডলস দিয়ে। এটি সাধারণ নুডলসের মতো নয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই নুডলস থাই পরিবারগুলো সাধারণত বড় টেবিলে বসে একসঙ্গে খায়। নুডলসের সঙ্গে থাকে তরকারি। সবাই নিজের মতো করে তরকারির সঙ্গে নুডলস মিশিয়ে নেয়। কেউ একটু বেশি ঝাল পছন্দ করে, কেউ হালকা। ব্যাংককের লোকেরা এটাকে কানোম জিন নামইয়া বলে ডাকে। এ ছাড়া এই নুডলসের আরও একটি বিশেষ রেসিপি আছে। তাকে বলা হয় কাং ক্রাটি। এটি নারকেলের দুধে তৈরি ক্রিমি তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সবজি, সরিষাপাতার আচার, থাই বেসিল ও শুকনা সারডিন।

ঠান্ডা পানীয়

ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ভাবতে পারেন, চা আবার ঠান্ডা হয় কীভাবে! সেখানকার শ্রমিকেরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারতেন না। তাই চায়ের তেতো স্বাদ কমানোর জন্য গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হতো। সেখান থেকে আজকের চা-চাক। এখন এটি হয় ক্রিমি ও মিষ্টি। অনেকটা ক্যারামেলের মতো স্বাদ এর। এতে সাধারণত বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তাই গরমের দিন এটির বেশ চাহিদা থাকে।

ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ছবি: পেক্সেলস
ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ছবি: পেক্সেলস

হক্কিয়েন নুডলস

ফুকেটের চুই-চুই নুডলস চীনের জনপ্রিয় খাবার। তবে চীনের মূল রেসিপি থেকে ফুকেটের রেসিপিতে পরিবর্তন রয়েছে। এখানকার চায়নিজ সম্প্রদায় এই নুডলস সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করে। ছোট ছোট শামুক, ডিমের কুসুম, শুকনা পেঁয়াজ, সবুজ সবজি ও কালো মরিচ দিয়ে এই নুডলস রান্না করা হয়। এর সঙ্গে চুলায় রান্নার কারণে নুডলসে যোগ হয় ধোঁয়াটে স্বাদ। ফলে এই স্মোকি নুডলস হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।

মিষ্টি ও ডেজার্ট

ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ থাকে। ফুকেটে গেলে ওহ আউ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি মূলত ঠান্ডা জেলিজাতীয় মিষ্টি। পাকা কলা, রেড বিন ও সামান্য চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ওপরে দেওয়া হয় বরফের কুচি। এই খাবার ফুকেটের সংস্কৃতির অংশ। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে এটি পাওয়া যায় খুব সহজে; বিশেষ করে গরমের সময় এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

ঝাল ও টক স্বাদের স্যুপ

ফুকেটের বিশেষ স্যুপ তোম সোম প্লা। এটি তৈরি হয় কলাগাছের আঁশসমৃদ্ধ নরম কাণ্ড ব্যবহার করে। এটি স্যুপে যোগ করে হালকা মিষ্টি ও টক স্বাদ। এ স্যুপে থাকে কাজুবাদাম, সুইট গ্রুপার মাছ, বিভিন্ন স্থানীয় সবজি ও তেঁতুল। এটি প্রথম চুমুকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ফুকেটে সকালের বা মধ্যাহ্নভোজের জন্য এটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার।

ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান

খাবারের জন্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন বাহারি ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান খাবারের সমাহার চোখে পড়ে। ফুকেটেও এ ধরনের খাবারের অভাব নেই। অনেক রেস্টুরেন্টে নারকেলের স্যুপ, টফু ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। হক্কিয়েন নুডলসও ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়।

থাইল্যান্ডে যাঁরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই ফুকেট। পাশাপাশি বাহারি খাবারের জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই ভোজনরসিক পর্যটকেরা এখানে একের মধ্যে দুই আনন্দ উপভোগ করেন।

সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপনি যে ভুল ধারণাগুলো বিশ্বাস করে চলেছেন

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫২
আপনি যে ভুল ধারণাগুলো বিশ্বাস করে চলেছেন

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।

সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।

ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।

সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।

ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।

সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।

ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।

সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।

ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।

সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।

ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।

সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।

ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।

সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।

ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।

সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।

ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।

সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্‌বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।

ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।

সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।

ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।

সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।

ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।

সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।

ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।

সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।

ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।

সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।

ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।

সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।

ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।

সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!

ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।

সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।

ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।

সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।

সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।

ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।

সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।

সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত