Ajker Patrika

উৎমাছড়ার পর্যটকদের ‘সার্বিক নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করবে প্রশাসন

ভুল শব্দচয়নের মাধ্যমে এমনটা হয়ে গেছে, দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন নিষেধকারীরা: ইউএনও-ওসি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, ২০: ৫৭
সিলেটের উৎমাছড়া পর্যটন কেন্দ্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটের উৎমাছড়া পর্যটন কেন্দ্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

উৎমাছড়া সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে অবস্থিত। এর পাশে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত। কালো পাথরের মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের পাহাড় ঘেঁষে আসা ঠান্ডা পানি দেখতে এবং সেখানে গা ভেজাতে বসে পর্যটকদের মেলা। তবে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় স্থানটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে তেমন পরিচিতি পায়নি। মূলত উৎমা একটি পাথর কোয়ারি এলাকা ছিল। এই ছড়া দিয়ে ভারত থেকে পাথর আসত। তা কুড়িয়ে বিক্রি করে স্থানীয় বাসিন্দারা জীবিকা নির্বাহ করতেন। কয়েক বছর ধরে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় সেখানে পাথর জমে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের অবতারণা হয়। ফলে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে।

ঈদুল আজহার আগের দিন গত শুক্রবার ওই এলাকার ‘তৌহিদি জনতা’ বসে বৈঠক করে ফেসবুকে উৎমাছড়া ও কুলিছড়ায় (তুরুং) পর্যটকদের যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধের ঘোষণা করে। তারা ঈদ উপলক্ষে উৎমাছড়া ও কুলিছড়ায় (তুরুং) কোনো ধরনের পর্যটকের না আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়। কিন্তু ঈদুল আজহার দিন গত শনিবার থেকে পর্যটকেরা ছোটেন উৎমা ও তুরুংছড়ায়। এর পরদিন রোববার বিকেলে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা উৎমাছড়া থেকে পর্যটকদের উঠে আসার জন্য বলেন। ছড়ায় আর কাউকে না যাওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন। এসব কর্মকাণ্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় নেতিবাচক আলোচনা-সমালোচনা।

আজ বুধবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের উৎমাছড়ায় এসে সৌন্দর্য উপভোগ করতে উৎসাহিত করছি। ‘‘অনাকাঙ্ক্ষিত’’ ওই ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনো অভিযোগ আসেনি। গতকাল ও আজকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এসেছেন।’

গত মঙ্গলবার তোলা ছবি। উৎমাছড়া, সিলেট। ছবি: আজকের পত্রিকা
গত মঙ্গলবার তোলা ছবি। উৎমাছড়া, সিলেট। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজিজুন্নাহার বলেন, ‘আমাদের কাছে বলেছেন, তাঁরা নেহাত ধর্ম প্রচার করতেই সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের এটা আসলে যেভাবে উপস্থাপন হয়েছে, সেটা তাঁরা ওইভাবে করতে চান নাই। যদিও তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে প্রকাশিত ভিডিওর সত্যতা নাই। তবে তাঁরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে এ রকম কিছু হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা। যদি এ রকম কিছু হয়, তাহলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। পর্যটকের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। তা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এসব বিষয়ে সচেতন থাকবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

একই সময়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘যারা এই কাজ করছিলেন তাঁদের সঙ্গে গতকাল আমাদের বৈঠক হয়েছে। তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করেছেন। পর্যটকদের বাধা দেওয়া তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না। তাঁদের কথা ছিল, এখানে পর্যটকেরা অনেক সময় বাইকের বহর নিয়ে আসেন, উচ্চশব্দে হর্ন বাজান এবং মাঝেমধ্যে শালীনতা ভঙ্গ হয় এমন দৃশ্যের অবতারণার সৃষ্টি করেন। মাঝেমধ্যে দু-একজন পর্যটক মাদকও সেবন করেন এবং সীমানা পার হয়ে চলে যান। এসব বিষয়ে তাঁরা ‘‘ইসলামের বার্তা’’ দিতে গিয়েছিলেন। বাধা দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল না। হয়তোবা ভুল শব্দচয়নের মাধ্যমে এমনটা হয়ে গেছে। সে জন্য তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

ওসি জানান, ‘এখন আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, উৎমাছড়ায় পর্যটকদের জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এখানে কোনো বাধা বা হুমকি নেই। অনেক পর্যটক এখন উৎমাছড়ায় আছেনও। আমরা পর্যটকদের সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’

উৎমাছড়ার এই মনোরম প্রকৃতি দেখতেই পর্যটকেরা ভিড় করে সেখানে। ছবি: আজকের পত্রিকা
উৎমাছড়ার এই মনোরম প্রকৃতি দেখতেই পর্যটকেরা ভিড় করে সেখানে। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘উচ্চশব্দে হর্ন বাজানো, অশালীনতা, মাদক সেবন ও সীমানা পার হয়ে ওপারে চলে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে পড়েনি। কেউ অভিযোগ করেনি, জানায়নি। তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সেখানে গিয়েও আমরা এমন কিছু দেখিনি। তবুও এ রকম বেআইনি কিছু হলে আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

পর্যটকদের নিষেধ করার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এলাকার বাসিন্দা ও যুব জমিয়তের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুফতি রুহুল আমিন সিরাজী গতকাল বলেন, ‘আমরা এখানে কাউকে আসতে নিষেধ করিনি। আমরা শুধু বলেছি যে এখানে এসে কেউ যেন মাদক সেবন না করেন এবং অশ্লীলতা না করেন। আর এই ছড়ায় আসতে সরাসরি কোনো রাস্তা নেই।’

ভিডিওতে একজনকে পর্যটকদের আসতে নিষেধ করতে শোনা গেছে, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রুহুল আমিন সিরাজী বলেন, ‘ভিডিওতে আমাদের এখানকার একজন বলে ফেলেছেন যে এখানে আর আসবেন না। এ কারণে মূলত সমস্যাটা হয়েছে। আমরা ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে বসে এটার সমাধান করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মৌসুমি রোগবালাই থেকে বাঁচতে চৌদ্দ শাক খাবেন যেভাবে

ফিচার ডেস্ক
রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

একেকটা মৌসুমে একেক ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়। আর এসব রোগবালাই থেকে বাঁচতে সে মৌসুমে যেসব ফলমূল ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়, সেসব খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কার্তিক মাসে চৌদ্দ শাক খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। শহুরে জীবনে এ ধরনের নিয়ম হয়তো অনেকেই জানেন না বা মেনে চলেন না। তবে গ্রামাঞ্চলে ঠিকই মৌসুমভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারদাবারের আয়োজন থাকে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই। আজ থাকছে চৌদ্দ শাক রান্নার রেসিপি। রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

শজনে শাক, কলমি শাক, কচু শাক, পালং শাক, পুঁই শাক, ডাঁটা শাক, লাউ শাক, কুমড়ো শাক, লম্বা সেঁচি শাক, গোল সেঁচি শাক, মুলা শাক, লাল শাক, আলু শাক, তেলাকুচা পাতা (সবগুলোর পরিমাণ ১০০ গ্রাম করে), কাঁচা মরিচ ফালি ৭-৮টা, পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ, ডালের বড়ি ৮-১০টা, চিনি ও লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ৩-৪টা, সয়াবিন তেল আধা কাপ, লেবুপাতা, আদা কুচি ও হলুদ গুঁড়া (ইচ্ছা)।

প্রণালি

সব শাক ধুয়ে কেটে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম হলে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। এবার ধুয়ে রাখা বড়ি সামান্য ভেজে তুলে রাখুন। ফোড়নের তেলে পাঁচ ফোড়ন দিন। তারপর কেটে রাখা শাক দিয়ে লবণ দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন পাঁচ মিনিট। পরের লবণ ও মিষ্টি দিন স্বাদমতো। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন শাকের রং যেন ঠিক থাকে। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি ভাজা বড়ি আবারও নেড়ে রান্না করুন। শেষে লেবুপাতা ছিঁড়ে দিয়ে সামান্য নেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে আদা কুচি ও সামান্য হলুদ গুঁড়া দিতে পারেন। গরম-গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চৌদ্দ শাক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বে সাইকেল ব্যবহারে সেরা ১০ দেশ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সুস্থ জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছবি: ফ্রিপিক
স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সুস্থ জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছবি: ফ্রিপিক

সাইকেল শুধু পরিবহন নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বে প্রায় ১ বিলিয়ন সাইকেল রয়েছে—এ সংখ্যা গাড়ির সংখ্যার দ্বিগুণ। করোনা মহামারির পর সাইকেল ব্যবহার আরও বেড়েছে। মানুষ এখন ব্যায়াম, অবসর ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও অসংখ্য সাইকেল চলাচল করে বটে; তবে আমরা কোনো তালিকায় নেই। চলুন, দেখে নিই সাইকেল ব্যবহারে বিশ্বের সেরা ১০ দেশের তালিকা।

চীন

চীনে বাইসাইকেলের জন্য আলাদা লেন রয়েছে। ছবি: পেক্সেলস
চীনে বাইসাইকেলের জন্য আলাদা লেন রয়েছে। ছবি: পেক্সেলস

একবার শুধু ভাবুন যে একটি দেশের শহরাঞ্চলে বাইসাইকেলের জ্যাম লেগে যাচ্ছে! আর আপনি সেই জ্যামে বসে আছেন। বাংলাদেশে বসে সেটা ভাবা কঠিনই বটে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে বেইজিংয়ে সাইকেলের জন্য আলাদা ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ছিল। কারণ, সেখানে বাইসাইকেলের জ্যাম ছিল প্রতিদিনের ব্যাপার। অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে গাড়ি থেকে শুরু করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পুরো পৃথিবীতে চীন এখন এক নম্বরে উঠে এসেছে বা সেদিকে এগিয়ে চলেছে। এমন অবস্থায় বাইসাইকেলের ব্যবহারের দিকে তারা পিছিয়ে থাকবে, সেটা কি স্বাভাবিক? সে কারণেই হয়তো চীনে বাইসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন! এই সংখ্যার কারণেই দেশটিকে বলা হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাইসাইকেল ব্যবহারকারী দেশ। সাংহাই শহরের ৬০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন সাইকেল ব্যবহার করে। হাংঝো ও চেংদু শহরে রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। বলে রাখা ভালো, চীন হলো আধুনিক শেয়ার্ড বাইসাইকেল সেবার জন্মস্থান। পরিবেশবান্ধব ও শহুরে জীবনে সুবিধাজনক বলে সাইকেলের ব্যবহার আরও জনপ্রিয় হচ্ছে দেশটিতে।

জার্মানি

জার্মানির জনসংখ্যা প্রায় ৮২ মিলিয়ন। কিন্তু দেশটিতে বাইসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ৮১ মিলিয়ন! অবসরে ঘুরে বেড়ানো বা ভ্রমণের জন্য জার্মানিতে সাইকেল বেশ জনপ্রিয়। এ জন্য দেশটিকে ‘সাইকেল আরোহীদের দেশ’ বলা হয়। মোটরগাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাইসাইকেল চালানো জার্মানদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। দেশটিতে আয়োজিত হয় বার্ষিক ডয়েচল্যান্ড ট্যুর ইভেন্ট। এই আয়োজনের সময় দেশজুড়ে রোমান্টিক রোড ও বার্লিন ওয়াল ট্রেইলের মতো রুটে সাইকেলপ্রেমীরা বেরিয়ে পড়ে। এভাবে জার্মানি সাইকেলকে পরিবহন, পর্যটন এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

জার্মানিকে বলা হয় ‘সাইকেল আরোহীদের দেশ’। সেখানে মানুষ ও বাইসাইকেলের সংখ্যা প্রায় সমান। ছবি: পেক্সেলস
জার্মানিকে বলা হয় ‘সাইকেল আরোহীদের দেশ’। সেখানে মানুষ ও বাইসাইকেলের সংখ্যা প্রায় সমান। ছবি: পেক্সেলস

নেদারল্যান্ডস

নেদারল্যান্ডসকে বলা হয় ‘সাইকেলের দেশ’। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে সাইকেলের সংখ্যা বেশি। সেখানে আছে প্রায় ২৩ মিলিয়ন সাইকেল। সেগুলোর মধ্যে প্রায় ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ই-বাইক। সেখানে একজন ব্যক্তি গড়ে ১ দশমিক ৩টি সাইকেলের মালিক। দেশটিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে রয়েছে প্রায় ৬৮০টি সাইকেল। নেদারল্যান্ডসে সাইকেল চলাচলের জন্য রয়েছে উন্নত অবকাঠামো। সে কারণে দেশটিতে তৈরি হয়েছে সাইকেল সংস্কৃতি। এ দুটি কারণে দৈনন্দিন যাতায়াতের ২৮ শতাংশ সাইকেলেই করা হয়। নেদারল্যান্ডস সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন সাইকেলের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা, কর্মক্ষেত্রে সাইকেল পার্কিং এবং অফিসে সাইকেল চলাচলের জন্য করছাড়।

ডেনমার্ক

ডেনমার্কে সাইকেল ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। এখানে জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ সাইকেল ব্যবহার করে। একজন ব্যক্তি গড়ে দৈনিক সাইকেল চালান ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার। কোপেনহেগেন শহরকে ২০১৫ সালে বিশ্বের সাইকেলবান্ধব শহর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য রাস্তায় লেন, সাইকেল ব্রিজ এবং পার্কিং সুবিধায় বড় বিনিয়োগ করেছে। সেখানে ‘ট্যুর দে ডেনমার্ক’ নামের সাইকেল প্রতিযোগিতা খুব জনপ্রিয়।

সুইডেন

সুইডেনের জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এর প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ সাইকেল ব্যবহার করে। স্টকহোম, গোথেনবার্গ ও মলমো শহরে সাইকেলের বিশেষ পথ, পার্কিং সুবিধা এবং রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা রয়েছে। দেশটির গটল্যান্ড ও ওল্যান্ড দ্বীপে সাইকেল পর্যটন জনপ্রিয়।

নরওয়ে

নরওয়েতে জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ মানুষ সাইকেল ব্যবহার করে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সাইকেল যাত্রার হার ১১ শতাংশ বেড়েছে। নরওয়ের, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকার মানুষ এবং বয়স্কদের মধ্যে ই-বাইকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

ফিনল্যান্ড

দেশটি সাইকেল অবকাঠামো, সাইকেল পার্কিং ও নিরাপদ বাইক লেনে বড় বিনিয়োগ করেছে। ফিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিস্তীর্ণ খোলা জায়গা এবং সাইকেল পর্যটনের জন্য স্থানীয়রা সাইকেল চালাতে বেশ আগ্রহী।

জাপান

জাপানে সাইকেল সাধারণত অল্প দূরত্বে যাতায়াত এবং শহরে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। ২০২২ সালে প্রায় ১৫ লাখ সাইকেল বিক্রি হয়েছে দেশটিতে। টোকিও ও অন্যান্য বড় শহরে সাইকেল বেশ জনপ্রিয় বাহন। দেশটিতে ‘শিমানামি কাইডো’ নামে ৬০ কিলোমিটার সেতু ও দ্বীপ রুটে সাইকেল রেস হিসেবে পরিচিত। জাপানে বিশেষ ধরনের সাইকেল মামাচারি বেশ জনপ্রিয়।

সুইজারল্যান্ড

দেশটিতে ১২ হাজার কিলোমিটার সাইকেল পথ আছে। সেখানে ইদানীং ই-বাইকের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সুইজারল্যান্ডে ‘ট্যুর দে সুইস’ ও ‘ট্যুর দে রোমানডিয়া’ ইভেন্টের জন্য প্রতিবছর হাজারো সাইকেলপ্রেমী একত্র হয়।

বেলজিয়াম

দেশটির রাজধানী ব্রাসেলস, অ্যান্টওয়ার্প ও ঘেন্ট শহরে সাইকেল চালানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। দেশটিতে আছে বিশেষ সাইকেল লেন, পার্কিং ব্যবস্থা এবং ভাড়ায় সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ। দেশটিতে বহু খ্যাতনামা পেশাদার সাইক্লিস্ট বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে এডি মার্কস ও ফিলিপ গিলবার্ট বিশ্বব্যাপী পরিচিত। প্রতিবছর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘রোন্দে ভান ফ্লান্দেরেন’। এটি বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ সাইকেল রেস হিসেবে পরিচিত।

বিশ্বে শুধু যাতায়াতের উদ্দেশ্যে সাইকেল ব্যবহৃত হয় না। এটি স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সুস্থ জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উন্নত সাইকেল অবকাঠামো, নিরাপদ পথ, সরকারি প্রণোদনা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি মিলিয়ে মানুষ সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত হয়। নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, জাপান থেকে শুরু করে চীন পর্যন্ত দেখিয়েছে কীভাবে সাইকেলের ব্যবহার বৃদ্ধি করে যানজট ও দূষণ কমিয়ে জীবনের মান উন্নয়ন সম্ভব।

সূত্র: র‍্যাঙ্কিং রয়েলস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ‘বিশেষ কারও’ দেখা পাবে সিঙ্গেলরা, মন গলবে বসের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: ‘বিশেষ কারও’ দেখা পাবে সিঙ্গেলরা, মন গলবে বসের

আজ শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন! আসলে দোষটা আর কারও নয়, শুধু আপনার অলসতা।

মেষ রাশি

আজ আপনার ‘ফাইটিং স্পিরিট’ তুঙ্গে! ট্র্যাফিক সিগন্যাল আপনার দিকে তাকিয়ে হাসলেও মেজাজ খারাপ হবে। আপনার এনার্জি আজ আদা দিয়ে চা খেতে গেছে, তাই সেটিকে খুঁজে লাভ নেই। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো আগামীকালের জন্য তুলে রাখুন। নইলে ভুল করে হয়তো পুরোনো প্রেমের মানুষটিকে ফোন করে বসবেন!

বৃষ রাশি

আপনার জিহ্বা আর মস্তিষ্ক আজ একে অপরের সঙ্গে ডিভোর্স চাইছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার আগে তিনবার ভাবুন। কাউকে টাকা ধার দেবেন না—শুধু ঝালমুড়ি কিনে খান, কারণ এটাই সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ! অন্তত পেট খারাপ হলে দুদিন ছুটি নিতে পারবেন! সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পড়ুন, আপনাকে নিয়ে কারও ভাবার টাইম নাই!

মিথুন রাশি

আজ আপনার মনে হবে আপনি বুঝি লটারি জিতেছেন! হুট করে বাড়ি সাজানোর ভূত চাপবে। আপনার বন্ধুরা আজ ‘হ্যাঁ’ বলতে রাজি, তাই তাদের দিয়ে কঠিন কাজগুলো করিয়ে নিতে পারেন। তবে বন্ধুর কফি বিল যেন আপনাকে না দিতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

কর্কট রাশি

আজ ভাগ্য আপনার কাঁধে টিয়াপাখির মতো বসে আছে। সামান্য হাঁসফাঁস করলেই প্রচুর লাভ! তাই আজ অফিসে কেবল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলুন—হয়তো তাতেই বসের মন গলে স্যালারি বেড়ে যাবে! অতীত থেকে পাওয়া কোনো লাভ আজ হঠাৎ আপনার পকেটে আসতে পারে।

সিংহ রাশি

আজ আপনার রাজার মতো এনার্জি লেভেল হঠাৎ করেই ঘুমিয়ে পড়েছে। ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকুন, বিশেষত শেষ রসগোল্লাটা কে খেল, এই নিয়ে তুলকালাম বাঁধাবেন না। দ্রুত গাড়ি চালানো বা তাড়াহুড়ো করে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ আজ গ্রহরা চায় আপনি একটু আলসেমি করুন।

কন্যা রাশি

আজ আপনার ভেতরে একজন শিল্পী জেগে উঠবে। বিলাসবহুল জিনিস কেনার আগে দেখুন, ব্যাংক ব্যালেন্সে শূন্য কয়টা আছে। আর মনে রাখবেন, ভাগ্য পাশে থাকলেও বাসন আপনাকেই মাজতে হবে। সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা ছাড়ুন, একটা ছোট ভুল আজ খুবই কিউট লাগতে পারে!

তুলা রাশি

কর্মক্ষেত্রে বস আজ আপনার দিকে প্রমোশনের ফাইল ছুড়ে দিতে পারেন। কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে একটু শান্ত থাকুন। পার্টনারকে বোঝাতে যাবেন না যে আপনি কেন তার চেয়ে বেশি সঠিক! ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইলে, ঝগড়ার সময় চুপ থাকুন।

বৃশ্চিক রাশি

আজ আপনার ফোকাস এতটাই তীক্ষ্ণ যে আপনি এক বছর আগে হারানো টিভি রিমোটটাও খুঁজে বের করতে পারবেন। এই সুপারপাওয়ারটা শুধু অফিসের কাজে ব্যবহার করুন, ঘরের ঝগড়ায় নয়। আজ যা চাইবেন, সেটাই পাবেন—তবে পাওয়ার পর যেন আফসোস না হয়!

ধনু রাশি

আজ মনটা একটু ‘হালকা’ থাকবে। শেয়ার বাজারে টাকা ঢালার চেয়ে বরং ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ফুচকা খান। অযথা তর্ক করে এনার্জি নষ্ট করবেন না, কারণ আজ ধৈর্যই আপনার একমাত্র বন্ধু। নিজেকে নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন না, গ্রহরা আপনার জন্য একটা ভালো ঘুম বরাদ্দ করেছে।

মকর রাশি

আপনার কঠিন জীবন আজ একটু মিষ্টি হতে চলেছে। সিঙ্গেলরা ‘বিশেষ কারও’ দেখা পেতে পারেন, যার সঙ্গে কফি বিল ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। আর অফিসের টিমের কথা? আজ তারা আপনার কথা শুনবে! এটা অলৌকিক, উপভোগ করুন।

কুম্ভ রাশি

বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে আজ আপনাকে একটু ‘নীরব সাধনা’ করতে হবে। প্রতিবেশীর পর্দা বা টিভির ভলিউম নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। আপনার এনার্জিটা আপাতত গঠনমূলক কাজে লাগান। নিজের স্বাধীনতা দেখানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় বিদ্রোহ করবেন না।

মীন রাশি

আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে মানবিক মানুষ! সবাইকে সাহায্য করার জন্য আপনার মন আনচান করবে। নিজের এই ‘ভালো মানুষ’ ইমেজটা বজায় রাখুন। তবে দয়া করে কাউকে খুব বেশি জ্ঞান দেবেন না, আর লাঞ্চটা খেতে ভুলবেন না! আপনার সৃজনশীলতা আজ বাথরুমের দেওয়ালেও দেখা দিতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে যেমন হবে জীবনযাপন

ডা. নাদিয়া ফারহীন
মডেল: শিরিন শিলা। ছবি: মঞ্জু আলম
মডেল: শিরিন শিলা। ছবি: মঞ্জু আলম

চলছে অক্টোবর মাস। এটি স্তন ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির মাস। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী এ মাসে স্তন ক্যানসারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জীবনের মানোন্নয়ন নিয়ে স্বাস্থ্যসেবকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রতিটি গল্প অনন্য, প্রতিটি যাত্রা মূল্যবান’।

২০২৫ সালে এসেও স্তন ক্যানসার নিয়ে ভীতি, অসচেতনতা ও কুসংস্কার একজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। তাই সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। এ জন্য স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাপন কেমন হওয়া জরুরি, তা জানা দরকার। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতন হওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য কিছু বিষয় দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা

যেসব খাবার সুষম ও শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, সেসব খাবার খেতে হবে। এগুলোর মধ্য়ে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফলমূল, শাকসবজি, কম চর্বিযুক্ত খাবার রাখা চাই। পাশাপাশি বাদ দিতে হবে সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিনিযুক্ত পানীয়।

শারীরিক পরিশ্রম করা

প্রতিদিনের জন্য ব্যায়ামের একটি নির্দিষ্ট রুটিন থাকতে হবে। দিনে ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে মাঝারি থেকে উচ্চ তীব্রতার শারীরিক কার্যকলাপ স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা চলছে, তাঁদের জন্যও চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যায়ামের রুটিন থাকা জরুরি। চিকিৎসার কারণে যে শারীরিক অবসাদ চলে আসে, তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে ব্যায়াম। কারণ, ব্যায়াম এন্ডোরফিন হরমোন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভালো বোধ করাতে সহায়ক।

কিছু প্রসাধনী এড়িয়ে চলা

বেশ কয়েকটি গবেষণায় ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট ব্যবহারের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের যোগসূত্র মিলেছে; বিশেষ করে যদি আন্ডারআর্ম শেভ করার পরপরই সেগুলো ব্যবহার করা হয়, তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি এবং দ্রুত হতে পারে। কিছু প্রসাধনীতে প্যারাবেন বা অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা এখনো চলছে। যাঁদের স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে, তাঁরা তো বটেই, যেকোনো বয়সের যে কেউ প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

মানসিক শক্তি বাড়ানো

ক্যানসার যদি শনাক্ত হয়েই যায়, তাহলে ভয় পাবেন না। এর প্রতিকারের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করাতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো, শখের চর্চা করলে আমাদের শরীরে ভালো হরমোন নিঃসৃত হয়, যা অনেক সময় আপনাকে ক্যানসারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অনেকটাই বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম।

সব শেষে প্রতিবছর নিয়ম করে স্ক্রিনিং ম্যামোগ্রাম করানো জরুরি। যদি আপনার পরিবারে কারও স্তন ক্যানসার থাকে, তাহলে আপনার স্তনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা এবং আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে পরিবর্তনগুলো জানানো অপরিহার্য।

প্রতিরোধের উপায়

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।
  • খাদ্যতালিকায় তাজা ফল ও শাকসবজি রাখুন।
  • ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
  • প্রসবের পর বুকে পর্যাপ্ত দুধ উৎপন্ন হলে সন্তানকে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

কাদের ঝুঁকি বেশি

  • বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে এ ক্যানসারের স্বাভাবিক ঝুঁকি বাড়ে (বিশেষ করে
  • ৪০ বছরের পর)।
  • যাদের পরিবারের কোনো সদস্যের স্তন অথবা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ইতিহাস আছে।
  • হরমোনের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার।
  • স্থূলকায় শরীর, কায়িক পরিশ্রমের অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যাদের রয়েছে।
  • অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান।
  • প্রথম সন্তান দেরিতে নেওয়া বা দুধের পর্যাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো।

স্ক্রিনিং ও পরীক্ষার উপায়

  • নিজে পরীক্ষা: মাসে একবার, মাসিক শেষ হওয়ার ৫ থেকে ৭ দিন পর নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত। স্তনে কোনো ব্যথাহীন চাকা, স্তনের বোঁটায় রং পরিবর্তন অথবা কোনো কিছু নিঃসরণ হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে। ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি ৩ বছর পর চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করাতে হবে।
  • ম্যামোগ্রাম: বয়স ৪০ পার হওয়ার পর ১ থেকে ২ বছর অন্তর ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। যদি স্তন ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তাহলে এটি আরও আগে শুরু করা দরকার।

হাত বাড়িয়ে দিন

রোগ ধরা পড়লে স্বাভাবিকভাবেই রোগী তীব্র মানসিক চাপে থাকবে। সে ক্ষেত্রে পরিবারকে সহানুভূতির হাত বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং নিতে হবে। এ ছাড়া মানসিক ও সামাজিক সহায়তার মাধ্যমে রোগীর ভয়, উদ্বেগ, হতাশা, একাকিত্বের ভোগান্তি কমানো এবং ডিব্রিফিং ও আত্মিক সেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

ডা. নাদিয়া ফারহীন, এমডি, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন, চিকিৎসক ও কো-অর্ডিনেটর, মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্প

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত