Ajker Patrika

ফুকেটের আকর্ষণীয় ১০টি পর্যটন গন্তব্য

আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫: ০৯
ফুকেটের আকর্ষণীয় ১০টি পর্যটন গন্তব্য

আন্দামান সাগরের স্বচ্ছ জল, আকর্ষণীয় সব সৈকত, অরণ্যে ঢাকা পর্বত, ছোট ছোট দ্বীপ—একজন পর্যটককে আকৃষ্ট করার মতো মোটামুটি সবকিছুই পাবেন ফুকেটে। তারপর আছে সাগরতীরের দুর্দান্ত সব রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ আর স্পা। মোটের ওপর বেড়াবার জন্য এর চেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা আর মিলবে কমই। ফুকেটে দেখার মতো এত এত জায়গা আছে যে নির্দিষ্ট কয়েকটিকে বেছে নেওয়া মুশকিল। তাও আমরা আজ সেখানকার দশটি ভ্রমণ গন্তব্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। বিশেষ করে অল্প সময় হাতে নিয়ে যাঁরা বেড়াতে যাবেন তাঁদের এই তালিকাটি কাজে লাগবে বলে আশা করি। 

১. পাতং সৈকত 
ফুকেট শহরের প্রাণকেন্দ্র বলতে পারেন পাতং সৈকতকে। সোনালি বালুর সৈকতটির এখানে-সেখানে ও আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রেস্তোরাঁগুলো একে বর্ণিল করে তুলেছে। সৈকত ঘিরে থাকা পর্বত আর সাগরের স্বচ্ছ জল এর আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। এখানে শান্ত কোনো জায়গা পাওয়াটা মুশকিল, কিন্তু পানির নানা ধরনের স্পোর্ট বা খেলার অভাব নেই। 

জেট স্কি, ফ্লাই বোর্ড, প্যাডলবোর্ডিং, প্যারাসেইলিংসহ আরও নানা কিছুর ব্যবস্থা আছে। চাইলে ব্যানানা বোট নামের কলার আদলে বানানো নৌকায়ও ভ্রমণ করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে খরচটা একটু চড়া। দরাদরিও চলে এখানে। সৈকতের আশপাশে পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু রিসোর্টও আছে।

ফুকেটে গেলে কোহ পানে নামের গ্রামটির জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ না রাখলে ভুল করবেন২. কোহ পানে
ফুকেটের ঐতিহ্যকে আরও বেশি করে বুঝতে চাইলে দ্বীপের পূর্ব উপকূলের কোহ পানে নামের গ্রামটিতে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। ফাং নগা বের বুক এর অবস্থান। ‘সাগরের জিপসি’ নামে পরিচিত মোকেন গোত্রের মানুষদের আশ্চর্য জীবন দেখার সুযোগ মিলবে এখানে। 

নিজস্ব বিশ্বাস ও রীতিনীতি টিকিয়ে রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মোকেনরা। কিছু মোকেন সমুদ্রের ধারে বাস করেন। অনেকে আবার ডাঙায় আধা-যাযাবর জীবন বেছে নেয়। গ্রামের পুরুষের বেশির ভাগ পেশায় জেলে এবং কখনো কখনো সমুদ্র ভ্রমণে গাইড হিসেবে কাজ করেন। 

চাইলে রাওয়াই নামের অন্য একটি গ্রামেও যেতে পারেন। রাওয়াইয়ের নিজস্ব একটি ছোট পোতাশ্রয় আছে। পাম ও ওক গাছে ঘেরা চমৎকার একটি সমুদ্রসৈকতও গ্রামটির সম্পত্তি। আপনি সমুদ্রতীরবর্তী বিভিন্ন দ্বীপে যাওয়ার জন্য এখান থেকে নৌকা ভাড়া করতে পারবেন। গ্রামটি সি ফুডের জন্যও বিখ্যাত। 

৩. কারন ভিউ পয়েন্ট
নাই হার্ন এবং কাতা কোই সৈকতের মোটামুটি মাঝখানে জায়গাটির অবস্থান। এখান থেকে কাতা নোই, কাতা ইয়াই এবং কারন সৈকতও আপনার চোখে ধরা দেবে মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে। পর্যটক ও আলোকচিত্রীতে ভরপুর থাকে জায়গাটি। গনগনে সূর্যের আঁচ থেকে শরীরটা বাঁচানোর জন্য এখানে কয়েকটি চালাঘরের মতো আছে। সেখানে চা-কফি পানের পাশাপাশি হালকা নাশতাও সেরে নিতে পারবেন। 

জেমস বন্ড আইল্যান্ড চুনাপাথরের অসাধারণ সব প্রাকৃতিক কাঠামোর জন্য বিখ্যাত৪. জেমস বন্ড আইল্যান্ড
ফাং নগা জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত জেমস বন্ড আইল্যান্ড চুনাপাথরের অসাধারণ সব প্রাকৃতিক কাঠামোর জন্য বিখ্যাত। এগুলোর মধ্যে আছে আশ্চর্য সব আকৃতির স্ট্যালাকলাইট (গুহার ছাদ থেকে ঝুলন্ত চুনাপাথরের স্তম্ভ) ও স্ট্যালাগমাইট (গুহার তল থেকে ওঠে যাওয়া চুনাপাথরের স্তম্ভ)। দ্বীপটি আগে পরিচিত ছিল ভাও ফিং কান নামে। ১৯৭৪ সালে জেমস বন্ডের দ্য মেন উইথ দ্য গোল্ডেন গান চলচ্চিত্রটির কিছু দৃশ্য দ্বীপটিতে চিত্রায়িত হওয়ার পর জেমস বন্ড আইল্যান্ড নামে পরিচিতি পেয়ে যায় এটি। বলা চলে তারপর থেকেই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যায় এটি। 

৫. কাতা সৈকত
পাম ও ঝাও গাছে ভরা সোনালি বালুর কাতা সৈকত মুগ্ধ করবে আপনাকে। এখানকার বাঁকানো উপসাগরটি ও সাগরতীরে ঢালের মতো দাঁড়িয়ে থাকা পর্বতও নজর কাড়বে। পাতং সৈকতের তুলনায় এখানে ভিড়-বাট্টা ও হকারদের উৎপাত কম। কাছেই ছোট্ট একটা দ্বীপ আছে। স্নরকেলিং অর্থাৎ চোখে গগলস, স্নরকেল বা শ্বাস নেওয়ার নল ও সাঁতরানোর ফিন ব্যবহার করে সাঁতার কাটতে কাটতে জলের রাজ্যের প্রাণীদের দেখার জন্যও জায়গাটি আদর্শ। 

আপনি যদি ক্ষুধার্ত হন, সমুদ্রসৈকতের ধারের কোনো ছাউনি থেকে পেঁপের জুস কিংবা হালকা খাবার খেতে পারেন। বড় রেস্তোরাঁগুলোও পাবেন হাঁটা দূরত্বে। 

ফুকেটের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হিসেবে একে বিবেচনা করা হয় ফি ফি দ্বীপকে৬. ফি ফি আইল্যান্ড
আন্দামান সাগর ধরে মোটামুটি এক ঘণ্টা নৌভ্রমণ করলে ফি ফি আইল্যান্ড নামের আশ্চর্য সুন্দর এই দ্বীপটিতে পৌঁছে যাবেন। ফুকেটের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হিসেবে একে বিবেচনা করা হয়। চারপাশের সৈকতের সৌন্দর্য মন্ত্রমুগ্ধকর, নীলাভ-সবুজ জল, নানান পাথুরে কাঠামো মুগ্ধ করবে আপনাকে। ফি ফি আইল্যান্ডে আনন্দময় একটা রাত কাটাতে পারবেন যেমন, তেমনি চাইলে ফুকেট থেকে ডে ট্যুরেও আসতে পারবেন। 

 বসে থাকা অবস্থায় থাকা বুদ্ধ মূর্তিটির উচ্চতা ৪৫ মিটার৭. বিগ বুদ্ধ
কাতা সৈকত ও চালং-এর মোটামুটি মাঝখানে নাকারড পাহাড়ে ফুকেট বিগ বুদ্ধের অবস্থান। বুদ্ধ মূর্তিটি বসে থাকা অবস্থায় আছে। পাহাড়ের চূড়ায় যেখানে ৪৫ মিটার দীর্ঘ বুদ্ধ মূর্তিটির দেখা পাবেন, সেখান থেকে চারপাশের এলাকার ৩৬০ ডিগ্রি ভিও পাওয়া যায়। কংক্রিট এবং সাদা মর্মর পাথর দিয়ে তৈরি বুদ্ধমূর্তিটি ২০০৪ সালে বানানো হয়। আপনি একটি ট্যাক্সি বা টুক-টুক নিয়ে আঁকাবাঁকা ছয় কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে পারেন। তবে মূর্তিটির সামনে পৌঁছার জন্য বেশ কতগুলো সিঁড়ি টপকাতে হবে। 

৮. গ্রিন এলিফ্যান্ট স্যাংচুয়ারি পার্ক
বন্য প্রাণী ও হাতি যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের জন্য একটি চমৎকার ভ্রমণগন্তব্য হতে পারে এটি। সুরিন সৈকতের কাছে জঙ্গলের মাঝখানে গড়ে তোলা হয়েছে গ্রিন এলিফ্যান্ট স্যাংচুয়ারি পার্ক। প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশালদেহী পোষা ঐরাবতদের একটি নিরাপদ আবাসস্থল বলতে পারেন একে। 

হাতিপ্রেমীরা হাতিদের গোসল করানো, শরীর পরিষ্কার করা, খাওয়ানোসহ নানা কাজে অংশ নিতে পারেন। তবে এগুলো করতে হয় এখানে উপস্থিত প্রশিক্ষকদের পরামর্শ ও নজরদারিতে। হ্রদের জলে হাতিদের খেলা করার দৃশ্যও আপনাদের আনন্দ দেবে। চাইলে তাদের পাশে একটি ডুব দিতে পারেন। হাতি শিশুদের নানা কাণ্ডকীর্তিও মুগ্ধ করবে। 

সকালে ও বিকেলে এই পার্কে আধা দিনের ট্যুর পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে হোটেল পিকআপ, হাতিদের খাওয়ানো, হাতি সম্পর্কে একটি শিক্ষামূলক উপস্থাপনা, হাতিদের ধোয়ানো এবং থাই ম্যানুর চমৎকার একটা বুফে। পার্ক রেঞ্জাররা হাতিদের সঙ্গে আপনার চমৎকার মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দী করবেন। যেন স্মারক হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন। 

হাতিদের গোসল করানো, শরীর পরিষ্কার করায় ভারি মজা৯. পুরোনো ফুকেট শহর
ফুকেটে যাবেন আর এখানকার পুরোনো শহরটি দেখবেন না তা কি হয়! চীনা ও পর্তুগিজ নকশায় নির্মিত বাড়ি, রঙিন দেয়াল, সরু রাস্তা, নানান সাজের ক্যাফে, বেকারি এবং ছোট ছোট খাবারের দোকানগুলো পুরোনো এক জনপদের কথাই মনে করিয়ে দেবে আপনাকে। 

১০. র‍্যাং হিল
ফুকেটের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত র‍্যাং হিল ভিও পয়েন্ট হিসেবে দুর্দান্ত। এখান থেকে গোটা ফুকেট ও আশপাশের দ্বীপ, পাহাড়ের চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়। পাশাপাশি সাগরের সবুজে-নীল পানি এবং বিগ বুদ্ধমূর্তিটিও এই পাহাড়চূড়া থেকে পরিষ্কার দেখা যায়। র‍্যাং হিলে চমৎকার একটি সু-সজ্জিত পার্ক আছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলার জায়গা, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে শরীরচর্চাকেন্দ্র পর্যন্ত পাবেন। সূর্যাস্তের পরে ঝলমলে শহরটিও অন্য এক চেহারায় দেখা দেয় এখানকার ভিও পয়েন্ট থেকে। 

সূত্র: ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল, প্ল্যানেট ওয়্যার ডট কম, উইকিপিডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বসুন্দরী মণিকা বিশ্বকর্মার গ্লো-আপ সিক্রেট

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।

কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার

মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।

মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন

ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র‍্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।

ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন

মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।

সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন

ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।

মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।

সূত্র: জি নিউজ

ছবি: ইনস্টাগ্রাম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাওয়া বদলের মৌসুমে শিশুর ত্বক ও চুলের যত্ন

ডা. নূরজাহান বেগম
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৩৫
হাওয়া বদলের মৌসুমে শিশুর ত্বক ও চুলের যত্ন

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।

ত্বকের যত্ন

এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।

তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।

শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

baby

চুলের যত্ন

দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।

আরাম পরিধেয়

এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোল

ফিচার ডেস্ক
ছবি: রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
ছবি: রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।

প্রণালি

আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিজনির খরচ বাঁচানোর নতুন কৌশল

ফিচার ডেস্ক
ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। ছবি: পেক্সেলস
ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। ছবি: পেক্সেলস

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুক গ্রুপ

নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।

প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি

পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

অনেকে ব্যবহার করা জিনিস রেখে যাচ্ছেন হোটেল রুমে এবং সেই ছবি দিচ্ছেন ফেসবুক পোস্টে। ছবি: সংগৃহীত
অনেকে ব্যবহার করা জিনিস রেখে যাচ্ছেন হোটেল রুমে এবং সেই ছবি দিচ্ছেন ফেসবুক পোস্টে। ছবি: সংগৃহীত

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ

এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত