মাহবুবুর রহমান রাজন
সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা যায় মালয়েশিয়ার অনেক পর্যটন গন্তব্যকে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র বাতু কেভস তার মধ্যে অন্যতম। মূলত তামিলদের পবিত্র স্থান হলো বাতু কেভস।
এখানে পাহাড়ের সামনে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেব মূর্তি। হিন্দু দেবতা মুরুগানের ১৪০ ফুট দীর্ঘ মূর্তি আশীর্বাদের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে এখানে। সোনালি রঙের মূর্তিটি বসানো হয়েছে বাতু কেভসের বাইরে।
গুহামুখ দেখে আকৃষ্ট হয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ী কে থাম্বুসামি পিল্লাইয়ের উদ্যোগে মূর্তিটি তৈরিতে ব্যয় হয় প্রায় আড়াই কোটি রুপি। এটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১ হাজার ৫৫০ কিউবিক কংক্রিট, ২৫০ টন স্টিলের বার ও ৩০০ লিটার গোল্ড পেইন্ট, যেগুলো কেনা হয়েছিল থাইল্যান্ড থেকে। মূর্তির সামনে বিশাল চত্বরে একঝাঁক কবুতর নিশ্চিন্ত মনে খেলে বেড়ায়।
মূর্তির পেছনে পাহাড়ে ওঠার জন্য খাড়া ২৭২টি ধাপযুক্ত প্রায় ১০ তলা সমান একটি সিঁড়ি আছে। বাতু কেভসের পুরো সৌন্দর্যটাই মূলত পাহাড়কে কেন্দ্র করে। এখানে আছে বিভিন্ন জাতের প্রচুর গাছগাছালি এবং তার চেয়ে বেশি আছে বানর। এখানকার বিশাল আকৃতির পাহাড়ে রয়েছে একাধিক প্রাগৈতিহাসিক গুহা। গুহাগুলোতেই স্থাপন করা হয়েছে হিন্দু দেবতাদের বিভিন্ন মন্দির। স্থানীয় লোকজনের কাছে এটি মুরুগান নামে পরিচিত। মুরুগানের বাবা শিব। শিব হলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রগুলোতে তিনি পরসত্তা রূপে ঘোষিত। আর মুরুগানের মা দেবী পার্বতী। দেবী পার্বতীর আরেক নাম দেবী দুর্গা।
দেবী পার্বতী বা আর শিবের ছোট ছেলে এই মুরুগান। বাংলাদেশ ও ভারতীয়রা যাঁকে কার্তিক নামে চেনেন। তিনি যুদ্ধ ও জয়ের দেবতা। দেবতাদের প্রধান সেনাপতি। এখানে গড়া আকাশছোঁয়া মূর্তিটি সারা বিশ্বের মধ্যে মুরুগানের সর্বোচ্চ মূর্তি। মুরুগান বা কার্তিকের ১০ তীর্থের অন্যতম এই তীর্থ। তার ১০ তীর্থের ৬টিই ভারতে। বাকি ৪টি মালয়েশিয়ায়। এখানকার আইপোহ, পেনাং ও মালাক্কা শহরেও তীর্থ রয়েছে মুরুগানের।
থাইপুসাম উৎসবে শোভাযাত্রা এসে শেষ হয় বাতু কেভসের সামনে। ভক্তরা তখন দুধ নিয়ে আসেন মাটি বা কাঠের তৈরি গামলার মতো দেখতে কাভাদিতে, পিঠের মধ্যে হুক বা শূল বেঁধে। কাভাদি আনার পর পূজার জন্য টেম্পল কেভে যান ভক্তরা। বাতু কেভ এলাকা তখন হয়ে ওঠে লাখো মানুষের মিলনমেলা।
প্রাগৈতিহাসিক বাতু কেভস গুহা যতটা ধর্মীয় তীর্থ, তার চেয়ে বেশি ট্যুরিস্ট স্পট। পূজারি ছাড়াও নানান দেশের মানুষে তাই সরগরম থাকে বাতু কেভস। কেউ মালয়েশিয়ায় বেড়াতে গেলে ভ্রমণতালিকায় এই স্পটটা থাকবেই।
৪০ কোটি বছর আগে প্রাকৃতিকভাবে গঠন হওয়া এ গুহায় একসময় বসবাস করত তেমুয়ান নামে এক আদিবাসী গোষ্ঠী। তারা ছিল মালয়েশিয়ার আদি মানব। টিন খনিতে কাজ করতে আসা চায়নিজরা এ গুহার ইতিহাস একেবারেই ঘুরিয়ে দেয়। সবজি চাষের জন্য সারের প্রয়োজনে চুনাপাথরের এ পাহাড়ের এখানে-ওখানে খুঁড়তে থাকে তারা। এভাবে ১৮৬০ সালে বাতু কেভসের সন্ধান পেয়ে যায় চায়নিজরা।
বাতু কেভসের অবস্থান কুয়ালালামপুর শহর থেকে উত্তরে গমবাক জেলায়। কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার বা কেএলসিসি থেকে সেখানকার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। ট্যাক্সিতে ভাড়া ওঠে ৪০ থেকে ৫০ রিঙ্গিত। তবে বাঙালি অধ্যুষিত কোতারায়া থেকে বাসে এখানে আসতে ভাড়া পড়ে মাত্র আড়াই রিঙ্গিত। কেএল সেন্ট্রাল থেকে কমিউটার ট্রেনে প্রায় ৩ রিঙ্গিত ভাড়ায় এসে নামা যায় বাতু কেভ স্টেশনে।
ক্ল্যাং ভ্যালির অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার সেলায়াংওয়ের অবস্থান বাতু কেভ পাহাড়ের কাছেই। সুনগাই বাতু নামে একটি নদীও আছে পাহাড়ের ওপাশে। ওই নদীর নামেই বাতু কেভ নাম হয়ে যায় প্রাগৈতিহাসিক গুহাগুচ্ছের।
সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা যায় মালয়েশিয়ার অনেক পর্যটন গন্তব্যকে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র বাতু কেভস তার মধ্যে অন্যতম। মূলত তামিলদের পবিত্র স্থান হলো বাতু কেভস।
এখানে পাহাড়ের সামনে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেব মূর্তি। হিন্দু দেবতা মুরুগানের ১৪০ ফুট দীর্ঘ মূর্তি আশীর্বাদের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে এখানে। সোনালি রঙের মূর্তিটি বসানো হয়েছে বাতু কেভসের বাইরে।
গুহামুখ দেখে আকৃষ্ট হয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ী কে থাম্বুসামি পিল্লাইয়ের উদ্যোগে মূর্তিটি তৈরিতে ব্যয় হয় প্রায় আড়াই কোটি রুপি। এটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১ হাজার ৫৫০ কিউবিক কংক্রিট, ২৫০ টন স্টিলের বার ও ৩০০ লিটার গোল্ড পেইন্ট, যেগুলো কেনা হয়েছিল থাইল্যান্ড থেকে। মূর্তির সামনে বিশাল চত্বরে একঝাঁক কবুতর নিশ্চিন্ত মনে খেলে বেড়ায়।
মূর্তির পেছনে পাহাড়ে ওঠার জন্য খাড়া ২৭২টি ধাপযুক্ত প্রায় ১০ তলা সমান একটি সিঁড়ি আছে। বাতু কেভসের পুরো সৌন্দর্যটাই মূলত পাহাড়কে কেন্দ্র করে। এখানে আছে বিভিন্ন জাতের প্রচুর গাছগাছালি এবং তার চেয়ে বেশি আছে বানর। এখানকার বিশাল আকৃতির পাহাড়ে রয়েছে একাধিক প্রাগৈতিহাসিক গুহা। গুহাগুলোতেই স্থাপন করা হয়েছে হিন্দু দেবতাদের বিভিন্ন মন্দির। স্থানীয় লোকজনের কাছে এটি মুরুগান নামে পরিচিত। মুরুগানের বাবা শিব। শিব হলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রগুলোতে তিনি পরসত্তা রূপে ঘোষিত। আর মুরুগানের মা দেবী পার্বতী। দেবী পার্বতীর আরেক নাম দেবী দুর্গা।
দেবী পার্বতী বা আর শিবের ছোট ছেলে এই মুরুগান। বাংলাদেশ ও ভারতীয়রা যাঁকে কার্তিক নামে চেনেন। তিনি যুদ্ধ ও জয়ের দেবতা। দেবতাদের প্রধান সেনাপতি। এখানে গড়া আকাশছোঁয়া মূর্তিটি সারা বিশ্বের মধ্যে মুরুগানের সর্বোচ্চ মূর্তি। মুরুগান বা কার্তিকের ১০ তীর্থের অন্যতম এই তীর্থ। তার ১০ তীর্থের ৬টিই ভারতে। বাকি ৪টি মালয়েশিয়ায়। এখানকার আইপোহ, পেনাং ও মালাক্কা শহরেও তীর্থ রয়েছে মুরুগানের।
থাইপুসাম উৎসবে শোভাযাত্রা এসে শেষ হয় বাতু কেভসের সামনে। ভক্তরা তখন দুধ নিয়ে আসেন মাটি বা কাঠের তৈরি গামলার মতো দেখতে কাভাদিতে, পিঠের মধ্যে হুক বা শূল বেঁধে। কাভাদি আনার পর পূজার জন্য টেম্পল কেভে যান ভক্তরা। বাতু কেভ এলাকা তখন হয়ে ওঠে লাখো মানুষের মিলনমেলা।
প্রাগৈতিহাসিক বাতু কেভস গুহা যতটা ধর্মীয় তীর্থ, তার চেয়ে বেশি ট্যুরিস্ট স্পট। পূজারি ছাড়াও নানান দেশের মানুষে তাই সরগরম থাকে বাতু কেভস। কেউ মালয়েশিয়ায় বেড়াতে গেলে ভ্রমণতালিকায় এই স্পটটা থাকবেই।
৪০ কোটি বছর আগে প্রাকৃতিকভাবে গঠন হওয়া এ গুহায় একসময় বসবাস করত তেমুয়ান নামে এক আদিবাসী গোষ্ঠী। তারা ছিল মালয়েশিয়ার আদি মানব। টিন খনিতে কাজ করতে আসা চায়নিজরা এ গুহার ইতিহাস একেবারেই ঘুরিয়ে দেয়। সবজি চাষের জন্য সারের প্রয়োজনে চুনাপাথরের এ পাহাড়ের এখানে-ওখানে খুঁড়তে থাকে তারা। এভাবে ১৮৬০ সালে বাতু কেভসের সন্ধান পেয়ে যায় চায়নিজরা।
বাতু কেভসের অবস্থান কুয়ালালামপুর শহর থেকে উত্তরে গমবাক জেলায়। কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার বা কেএলসিসি থেকে সেখানকার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। ট্যাক্সিতে ভাড়া ওঠে ৪০ থেকে ৫০ রিঙ্গিত। তবে বাঙালি অধ্যুষিত কোতারায়া থেকে বাসে এখানে আসতে ভাড়া পড়ে মাত্র আড়াই রিঙ্গিত। কেএল সেন্ট্রাল থেকে কমিউটার ট্রেনে প্রায় ৩ রিঙ্গিত ভাড়ায় এসে নামা যায় বাতু কেভ স্টেশনে।
ক্ল্যাং ভ্যালির অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার সেলায়াংওয়ের অবস্থান বাতু কেভ পাহাড়ের কাছেই। সুনগাই বাতু নামে একটি নদীও আছে পাহাড়ের ওপাশে। ওই নদীর নামেই বাতু কেভ নাম হয়ে যায় প্রাগৈতিহাসিক গুহাগুচ্ছের।
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৭ ঘণ্টা আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২ দিন আগে