শোভন সাহা

ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে। ইদানীং খেয়াল করলে দেখবেন, বিভিন্ন ফেসবুক পেজেও রং ফরসা করার ক্রিম ও সাবান বিক্রি হচ্ছে। সেসব পোস্ট ও রিলসেও হাজার হাজার রিঅ্যাকশন। কিন্তু একজন মানুষের সৌন্দর্যের অর্থ কি শুধু নিখুঁত ত্বক আর চুলের অধিকারী হওয়া? নিশ্চয়ই নয়; বরং একজন মানুষ আমিত্বকে কীভাবে গ্রহণ করে বয়ে নিয়ে চলেছেন, সেখানেই আসল সৌন্দর্য নিহিত।
বিউটি স্ট্যান্ডার্ড বলে আদৌ কিছু নেই
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এক তারকা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একজন নারী কত দিন এবং কোন বয়সে দেখতে সুন্দর লাগবে বা খারাপ লাগবে—এই সিদ্ধান্তটা আসলে কে নেবে?’ চল্লিশ বছরের পর চড়া রঙের লিপস্টিক দেওয়া যাবে না, জমকালো শাড়ি না পরলেই ভালো; এসব মন্তব্য়ের বিপক্ষে এই কথা বলেছিলেন তিনি।
আমাদের সমাজে অবাস্তব বিউটি স্ট্যান্ডার্ডের যেসব কথা প্রচলিত আছে, সেটাই যে ধ্রুব, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? একজন মানুষ তাঁর জীবনে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান, সেটাই
তো মুখ্য হওয়ার কথা। বাহ্যিক পরিচর্যায় নিজেকে উপস্থাপনযোগ্য করে তোলা নিশ্চয় সম্ভব কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে তা জরুরিও বটে। কিন্তু পুরোপুরি নিজেকে বদলে ফেলা কখনোই সম্ভব নয়। তার প্রয়োজনও নেই। আর সেই কারণে সমাজের চাপিয়ে দেওয়া অবাস্তব বিউটি স্ট্যান্ডার্ডকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে নিজের মতো সুন্দর রাখাতে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
নিজেকে জয় করা
সৌন্দর্যপণ্য়ের রমরমার সময় চলছে এখন। বেশির ভাগ মানুষ অন্যকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রসাধনসামগ্রী কেনেন এবং ব্যবহার করেন। এর ফল ভালো হয় না। ত্বক মেরামতের জন্য ১০-১২ পর্যায়ে যত্ন নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনার ত্বকের ধরন, সময় ও সাধ্য় বুঝে যত্ন নিন। নিজের নিয়ন্ত্রণে যতটুকু রয়েছে, তা-ই করুন। হয়তো শ্বেতী বা গভীর ক্ষতের দাগ রয়েছে শরীরে। এগুলোর স্থায়ী প্রতিকার সহজ নয় ঠিকই, তবে নিজেকে এর আড়ালে গুটিয়ে নেওয়াও কোনো সমাধান নয়। ধরে নিন, ওটাই আপনার পরিচয়, যা আপনাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে। প্রতিনিয়ত যদি সমাজ আপনার তথাকথিত খুঁতগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে থাকে, সে ক্ষেত্রে নিজেকে নিজের সৌন্দর্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। খুব ছোট বয়সে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আত্মবিশ্বাসেও বড়সড় আঘাত লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার দিকে ধেয়ে আসা বিদ্রূপ বা ব্যঙ্গকে মোটিভেশন হিসেবে দেখতে চেষ্টা করুন।

আজকাল লেজার, বডি শেপিং, কসমেটিক সার্জারি এবং অন্যান্য অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের বরাতে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হচ্ছে। তবে শরীরের কোনো অংশ বা ত্বকের যেকোনো চিহ্ন যদি সমস্যা তৈরি না করে, তাহলে সেটাকে নিজের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারলে জয়টা আপনারই হবে।
রূপচর্চায় নিজের শর্ত মেনে চলা
আপনার ত্বকের রং ও ধরন যা-ই হোক না কেন, দিনের একটা ভাগে নিজের যত্ন নিন। সপ্তাহে বা মাসে এক দিন যদি পারলারে গিয়ে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ, পেডিকিউর, মেনিকিউর ও ফেসিয়াল করে আসতে হয়, ক্ষতি নেই তো। উপার্জন বা সঞ্চয়ের ছোট্ট অংশ নিজের জন্য খরচ করাতে অপরাধবোধের কিছু নেই। মাঝেমধ্যে বডি স্পাতে গিয়ে রিল্যাক্সিং ম্যাসাজ নেওয়া কিংবা হেয়ার কালার বা হেয়ারস্টাইল বদলানোর মতো সাধারণ কোনো মেকওভার নিলেও দেখবেন, মন ভালো লাগছে। তবে মূল যত্নটা করতে হবে বাড়িতে এবং নিয়মিত। ত্বকের উপযোগী ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া, পেডিকিউর-মেনিকিউর, স্ক্র্যাবিং, হারবাল ফেস ও হেয়ারপ্যাক বাড়িতে বানিয়ে ব্যবহার করুন। হঠাৎ একদিন দিনরাত এক করে যত্ন নিলে হয়তো সাময়িকভাবে মন ভালো হবে। তবে যদি বাহ্যিক পরিবর্তন দেখতে চান, সে ক্ষেত্রে নিয়মিত যত্নের কোনো বিকল্প নেই।
বেসিক ইজ দ্য বেস্ট
হালের ট্রেন্ড অনুসরণ করে দেড়-দুই ঘণ্টা ধরে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু নেই; বরং বেসিক ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং এবং চুলের জন্য অয়েল ম্যাসাজ, সপ্তাহান্তে ডিম, কলা, পাতিলেবুর মতো উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানানো কোনো নারিশিং প্যাক এবং নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও সেরাম ব্যবহার করুন। নিয়মিত চিরুনি, মেকআপ ব্রাশ, পাফ ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। বাইরে থেকে ফিরে শ্যাম্পু অথবা বডিওয়াশ মেখে পামিস স্টোনে পা ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এরপর অলিভ অয়েল মালিশ করে নিন। পা এমনিতেই নরম ও পেলব থাকবে।
ত্বকের খুব বেশি সমস্যা না থাকলে কিংবা ত্বক বিশেষজ্ঞ মনে না করলে, সকালে বিকেলে আলাদা ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের কোনো দরকার নেই। অ্যালোভেরা, কাঁচা হলুদ, মসুর ডাল, চন্দনবাটা, লেবুর রস, জবা ফুল, মুলতানি মাটি, শসার রস, মৌসুমি ফল ও সবজির রস ত্বকে ব্যবহার করলে ধীরে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল পাবেন।
নিজেকে নিজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখুন। এটা বাইরে থেকে কেউ শিখিয়ে দেবে না। নিজের কোঁকড়া চুল, শ্যামলা রং, ঘাড়ের পেছনের অতিরিক্ত মাংসল অংশ—সবটা মিলেই আপনি। এই পুরো ‘আপনি’র প্রতি যত্নশীল হোন, তাকে নিয়ে গর্ব করুন। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে নিখুঁত মুখগুলো দেখে হীনম্মন্যতায় ভোগেন, সেগুলো প্রায় সবই বিউটি ক্যামেরায় তোলা ছবি। মেকি সৌন্দর্যের মোহে না পড়ে, বরং নিজের স্বকীয়তা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন। সুন্দর থাকুন নিজের শর্তে।
শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী

ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে। ইদানীং খেয়াল করলে দেখবেন, বিভিন্ন ফেসবুক পেজেও রং ফরসা করার ক্রিম ও সাবান বিক্রি হচ্ছে। সেসব পোস্ট ও রিলসেও হাজার হাজার রিঅ্যাকশন। কিন্তু একজন মানুষের সৌন্দর্যের অর্থ কি শুধু নিখুঁত ত্বক আর চুলের অধিকারী হওয়া? নিশ্চয়ই নয়; বরং একজন মানুষ আমিত্বকে কীভাবে গ্রহণ করে বয়ে নিয়ে চলেছেন, সেখানেই আসল সৌন্দর্য নিহিত।
বিউটি স্ট্যান্ডার্ড বলে আদৌ কিছু নেই
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এক তারকা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একজন নারী কত দিন এবং কোন বয়সে দেখতে সুন্দর লাগবে বা খারাপ লাগবে—এই সিদ্ধান্তটা আসলে কে নেবে?’ চল্লিশ বছরের পর চড়া রঙের লিপস্টিক দেওয়া যাবে না, জমকালো শাড়ি না পরলেই ভালো; এসব মন্তব্য়ের বিপক্ষে এই কথা বলেছিলেন তিনি।
আমাদের সমাজে অবাস্তব বিউটি স্ট্যান্ডার্ডের যেসব কথা প্রচলিত আছে, সেটাই যে ধ্রুব, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? একজন মানুষ তাঁর জীবনে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান, সেটাই
তো মুখ্য হওয়ার কথা। বাহ্যিক পরিচর্যায় নিজেকে উপস্থাপনযোগ্য করে তোলা নিশ্চয় সম্ভব কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে তা জরুরিও বটে। কিন্তু পুরোপুরি নিজেকে বদলে ফেলা কখনোই সম্ভব নয়। তার প্রয়োজনও নেই। আর সেই কারণে সমাজের চাপিয়ে দেওয়া অবাস্তব বিউটি স্ট্যান্ডার্ডকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে নিজের মতো সুন্দর রাখাতে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
নিজেকে জয় করা
সৌন্দর্যপণ্য়ের রমরমার সময় চলছে এখন। বেশির ভাগ মানুষ অন্যকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রসাধনসামগ্রী কেনেন এবং ব্যবহার করেন। এর ফল ভালো হয় না। ত্বক মেরামতের জন্য ১০-১২ পর্যায়ে যত্ন নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনার ত্বকের ধরন, সময় ও সাধ্য় বুঝে যত্ন নিন। নিজের নিয়ন্ত্রণে যতটুকু রয়েছে, তা-ই করুন। হয়তো শ্বেতী বা গভীর ক্ষতের দাগ রয়েছে শরীরে। এগুলোর স্থায়ী প্রতিকার সহজ নয় ঠিকই, তবে নিজেকে এর আড়ালে গুটিয়ে নেওয়াও কোনো সমাধান নয়। ধরে নিন, ওটাই আপনার পরিচয়, যা আপনাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে। প্রতিনিয়ত যদি সমাজ আপনার তথাকথিত খুঁতগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে থাকে, সে ক্ষেত্রে নিজেকে নিজের সৌন্দর্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। খুব ছোট বয়সে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আত্মবিশ্বাসেও বড়সড় আঘাত লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার দিকে ধেয়ে আসা বিদ্রূপ বা ব্যঙ্গকে মোটিভেশন হিসেবে দেখতে চেষ্টা করুন।

আজকাল লেজার, বডি শেপিং, কসমেটিক সার্জারি এবং অন্যান্য অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের বরাতে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হচ্ছে। তবে শরীরের কোনো অংশ বা ত্বকের যেকোনো চিহ্ন যদি সমস্যা তৈরি না করে, তাহলে সেটাকে নিজের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারলে জয়টা আপনারই হবে।
রূপচর্চায় নিজের শর্ত মেনে চলা
আপনার ত্বকের রং ও ধরন যা-ই হোক না কেন, দিনের একটা ভাগে নিজের যত্ন নিন। সপ্তাহে বা মাসে এক দিন যদি পারলারে গিয়ে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ, পেডিকিউর, মেনিকিউর ও ফেসিয়াল করে আসতে হয়, ক্ষতি নেই তো। উপার্জন বা সঞ্চয়ের ছোট্ট অংশ নিজের জন্য খরচ করাতে অপরাধবোধের কিছু নেই। মাঝেমধ্যে বডি স্পাতে গিয়ে রিল্যাক্সিং ম্যাসাজ নেওয়া কিংবা হেয়ার কালার বা হেয়ারস্টাইল বদলানোর মতো সাধারণ কোনো মেকওভার নিলেও দেখবেন, মন ভালো লাগছে। তবে মূল যত্নটা করতে হবে বাড়িতে এবং নিয়মিত। ত্বকের উপযোগী ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া, পেডিকিউর-মেনিকিউর, স্ক্র্যাবিং, হারবাল ফেস ও হেয়ারপ্যাক বাড়িতে বানিয়ে ব্যবহার করুন। হঠাৎ একদিন দিনরাত এক করে যত্ন নিলে হয়তো সাময়িকভাবে মন ভালো হবে। তবে যদি বাহ্যিক পরিবর্তন দেখতে চান, সে ক্ষেত্রে নিয়মিত যত্নের কোনো বিকল্প নেই।
বেসিক ইজ দ্য বেস্ট
হালের ট্রেন্ড অনুসরণ করে দেড়-দুই ঘণ্টা ধরে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু নেই; বরং বেসিক ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং এবং চুলের জন্য অয়েল ম্যাসাজ, সপ্তাহান্তে ডিম, কলা, পাতিলেবুর মতো উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানানো কোনো নারিশিং প্যাক এবং নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও সেরাম ব্যবহার করুন। নিয়মিত চিরুনি, মেকআপ ব্রাশ, পাফ ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। বাইরে থেকে ফিরে শ্যাম্পু অথবা বডিওয়াশ মেখে পামিস স্টোনে পা ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এরপর অলিভ অয়েল মালিশ করে নিন। পা এমনিতেই নরম ও পেলব থাকবে।
ত্বকের খুব বেশি সমস্যা না থাকলে কিংবা ত্বক বিশেষজ্ঞ মনে না করলে, সকালে বিকেলে আলাদা ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের কোনো দরকার নেই। অ্যালোভেরা, কাঁচা হলুদ, মসুর ডাল, চন্দনবাটা, লেবুর রস, জবা ফুল, মুলতানি মাটি, শসার রস, মৌসুমি ফল ও সবজির রস ত্বকে ব্যবহার করলে ধীরে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল পাবেন।
নিজেকে নিজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখুন। এটা বাইরে থেকে কেউ শিখিয়ে দেবে না। নিজের কোঁকড়া চুল, শ্যামলা রং, ঘাড়ের পেছনের অতিরিক্ত মাংসল অংশ—সবটা মিলেই আপনি। এই পুরো ‘আপনি’র প্রতি যত্নশীল হোন, তাকে নিয়ে গর্ব করুন। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে নিখুঁত মুখগুলো দেখে হীনম্মন্যতায় ভোগেন, সেগুলো প্রায় সবই বিউটি ক্যামেরায় তোলা ছবি। মেকি সৌন্দর্যের মোহে না পড়ে, বরং নিজের স্বকীয়তা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন। সুন্দর থাকুন নিজের শর্তে।
শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
শোভন সাহা

ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে। ইদানীং খেয়াল করলে দেখবেন, বিভিন্ন ফেসবুক পেজেও রং ফরসা করার ক্রিম ও সাবান বিক্রি হচ্ছে। সেসব পোস্ট ও রিলসেও হাজার হাজার রিঅ্যাকশন। কিন্তু একজন মানুষের সৌন্দর্যের অর্থ কি শুধু নিখুঁত ত্বক আর চুলের অধিকারী হওয়া? নিশ্চয়ই নয়; বরং একজন মানুষ আমিত্বকে কীভাবে গ্রহণ করে বয়ে নিয়ে চলেছেন, সেখানেই আসল সৌন্দর্য নিহিত।
বিউটি স্ট্যান্ডার্ড বলে আদৌ কিছু নেই
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এক তারকা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একজন নারী কত দিন এবং কোন বয়সে দেখতে সুন্দর লাগবে বা খারাপ লাগবে—এই সিদ্ধান্তটা আসলে কে নেবে?’ চল্লিশ বছরের পর চড়া রঙের লিপস্টিক দেওয়া যাবে না, জমকালো শাড়ি না পরলেই ভালো; এসব মন্তব্য়ের বিপক্ষে এই কথা বলেছিলেন তিনি।
আমাদের সমাজে অবাস্তব বিউটি স্ট্যান্ডার্ডের যেসব কথা প্রচলিত আছে, সেটাই যে ধ্রুব, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? একজন মানুষ তাঁর জীবনে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান, সেটাই
তো মুখ্য হওয়ার কথা। বাহ্যিক পরিচর্যায় নিজেকে উপস্থাপনযোগ্য করে তোলা নিশ্চয় সম্ভব কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে তা জরুরিও বটে। কিন্তু পুরোপুরি নিজেকে বদলে ফেলা কখনোই সম্ভব নয়। তার প্রয়োজনও নেই। আর সেই কারণে সমাজের চাপিয়ে দেওয়া অবাস্তব বিউটি স্ট্যান্ডার্ডকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে নিজের মতো সুন্দর রাখাতে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
নিজেকে জয় করা
সৌন্দর্যপণ্য়ের রমরমার সময় চলছে এখন। বেশির ভাগ মানুষ অন্যকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রসাধনসামগ্রী কেনেন এবং ব্যবহার করেন। এর ফল ভালো হয় না। ত্বক মেরামতের জন্য ১০-১২ পর্যায়ে যত্ন নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনার ত্বকের ধরন, সময় ও সাধ্য় বুঝে যত্ন নিন। নিজের নিয়ন্ত্রণে যতটুকু রয়েছে, তা-ই করুন। হয়তো শ্বেতী বা গভীর ক্ষতের দাগ রয়েছে শরীরে। এগুলোর স্থায়ী প্রতিকার সহজ নয় ঠিকই, তবে নিজেকে এর আড়ালে গুটিয়ে নেওয়াও কোনো সমাধান নয়। ধরে নিন, ওটাই আপনার পরিচয়, যা আপনাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে। প্রতিনিয়ত যদি সমাজ আপনার তথাকথিত খুঁতগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে থাকে, সে ক্ষেত্রে নিজেকে নিজের সৌন্দর্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। খুব ছোট বয়সে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আত্মবিশ্বাসেও বড়সড় আঘাত লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার দিকে ধেয়ে আসা বিদ্রূপ বা ব্যঙ্গকে মোটিভেশন হিসেবে দেখতে চেষ্টা করুন।

আজকাল লেজার, বডি শেপিং, কসমেটিক সার্জারি এবং অন্যান্য অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের বরাতে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হচ্ছে। তবে শরীরের কোনো অংশ বা ত্বকের যেকোনো চিহ্ন যদি সমস্যা তৈরি না করে, তাহলে সেটাকে নিজের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারলে জয়টা আপনারই হবে।
রূপচর্চায় নিজের শর্ত মেনে চলা
আপনার ত্বকের রং ও ধরন যা-ই হোক না কেন, দিনের একটা ভাগে নিজের যত্ন নিন। সপ্তাহে বা মাসে এক দিন যদি পারলারে গিয়ে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ, পেডিকিউর, মেনিকিউর ও ফেসিয়াল করে আসতে হয়, ক্ষতি নেই তো। উপার্জন বা সঞ্চয়ের ছোট্ট অংশ নিজের জন্য খরচ করাতে অপরাধবোধের কিছু নেই। মাঝেমধ্যে বডি স্পাতে গিয়ে রিল্যাক্সিং ম্যাসাজ নেওয়া কিংবা হেয়ার কালার বা হেয়ারস্টাইল বদলানোর মতো সাধারণ কোনো মেকওভার নিলেও দেখবেন, মন ভালো লাগছে। তবে মূল যত্নটা করতে হবে বাড়িতে এবং নিয়মিত। ত্বকের উপযোগী ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া, পেডিকিউর-মেনিকিউর, স্ক্র্যাবিং, হারবাল ফেস ও হেয়ারপ্যাক বাড়িতে বানিয়ে ব্যবহার করুন। হঠাৎ একদিন দিনরাত এক করে যত্ন নিলে হয়তো সাময়িকভাবে মন ভালো হবে। তবে যদি বাহ্যিক পরিবর্তন দেখতে চান, সে ক্ষেত্রে নিয়মিত যত্নের কোনো বিকল্প নেই।
বেসিক ইজ দ্য বেস্ট
হালের ট্রেন্ড অনুসরণ করে দেড়-দুই ঘণ্টা ধরে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু নেই; বরং বেসিক ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং এবং চুলের জন্য অয়েল ম্যাসাজ, সপ্তাহান্তে ডিম, কলা, পাতিলেবুর মতো উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানানো কোনো নারিশিং প্যাক এবং নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও সেরাম ব্যবহার করুন। নিয়মিত চিরুনি, মেকআপ ব্রাশ, পাফ ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। বাইরে থেকে ফিরে শ্যাম্পু অথবা বডিওয়াশ মেখে পামিস স্টোনে পা ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এরপর অলিভ অয়েল মালিশ করে নিন। পা এমনিতেই নরম ও পেলব থাকবে।
ত্বকের খুব বেশি সমস্যা না থাকলে কিংবা ত্বক বিশেষজ্ঞ মনে না করলে, সকালে বিকেলে আলাদা ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের কোনো দরকার নেই। অ্যালোভেরা, কাঁচা হলুদ, মসুর ডাল, চন্দনবাটা, লেবুর রস, জবা ফুল, মুলতানি মাটি, শসার রস, মৌসুমি ফল ও সবজির রস ত্বকে ব্যবহার করলে ধীরে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল পাবেন।
নিজেকে নিজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখুন। এটা বাইরে থেকে কেউ শিখিয়ে দেবে না। নিজের কোঁকড়া চুল, শ্যামলা রং, ঘাড়ের পেছনের অতিরিক্ত মাংসল অংশ—সবটা মিলেই আপনি। এই পুরো ‘আপনি’র প্রতি যত্নশীল হোন, তাকে নিয়ে গর্ব করুন। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে নিখুঁত মুখগুলো দেখে হীনম্মন্যতায় ভোগেন, সেগুলো প্রায় সবই বিউটি ক্যামেরায় তোলা ছবি। মেকি সৌন্দর্যের মোহে না পড়ে, বরং নিজের স্বকীয়তা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন। সুন্দর থাকুন নিজের শর্তে।
শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী

ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে। ইদানীং খেয়াল করলে দেখবেন, বিভিন্ন ফেসবুক পেজেও রং ফরসা করার ক্রিম ও সাবান বিক্রি হচ্ছে। সেসব পোস্ট ও রিলসেও হাজার হাজার রিঅ্যাকশন। কিন্তু একজন মানুষের সৌন্দর্যের অর্থ কি শুধু নিখুঁত ত্বক আর চুলের অধিকারী হওয়া? নিশ্চয়ই নয়; বরং একজন মানুষ আমিত্বকে কীভাবে গ্রহণ করে বয়ে নিয়ে চলেছেন, সেখানেই আসল সৌন্দর্য নিহিত।
বিউটি স্ট্যান্ডার্ড বলে আদৌ কিছু নেই
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এক তারকা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একজন নারী কত দিন এবং কোন বয়সে দেখতে সুন্দর লাগবে বা খারাপ লাগবে—এই সিদ্ধান্তটা আসলে কে নেবে?’ চল্লিশ বছরের পর চড়া রঙের লিপস্টিক দেওয়া যাবে না, জমকালো শাড়ি না পরলেই ভালো; এসব মন্তব্য়ের বিপক্ষে এই কথা বলেছিলেন তিনি।
আমাদের সমাজে অবাস্তব বিউটি স্ট্যান্ডার্ডের যেসব কথা প্রচলিত আছে, সেটাই যে ধ্রুব, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? একজন মানুষ তাঁর জীবনে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান, সেটাই
তো মুখ্য হওয়ার কথা। বাহ্যিক পরিচর্যায় নিজেকে উপস্থাপনযোগ্য করে তোলা নিশ্চয় সম্ভব কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে তা জরুরিও বটে। কিন্তু পুরোপুরি নিজেকে বদলে ফেলা কখনোই সম্ভব নয়। তার প্রয়োজনও নেই। আর সেই কারণে সমাজের চাপিয়ে দেওয়া অবাস্তব বিউটি স্ট্যান্ডার্ডকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে নিজের মতো সুন্দর রাখাতে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
নিজেকে জয় করা
সৌন্দর্যপণ্য়ের রমরমার সময় চলছে এখন। বেশির ভাগ মানুষ অন্যকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রসাধনসামগ্রী কেনেন এবং ব্যবহার করেন। এর ফল ভালো হয় না। ত্বক মেরামতের জন্য ১০-১২ পর্যায়ে যত্ন নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনার ত্বকের ধরন, সময় ও সাধ্য় বুঝে যত্ন নিন। নিজের নিয়ন্ত্রণে যতটুকু রয়েছে, তা-ই করুন। হয়তো শ্বেতী বা গভীর ক্ষতের দাগ রয়েছে শরীরে। এগুলোর স্থায়ী প্রতিকার সহজ নয় ঠিকই, তবে নিজেকে এর আড়ালে গুটিয়ে নেওয়াও কোনো সমাধান নয়। ধরে নিন, ওটাই আপনার পরিচয়, যা আপনাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে। প্রতিনিয়ত যদি সমাজ আপনার তথাকথিত খুঁতগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে থাকে, সে ক্ষেত্রে নিজেকে নিজের সৌন্দর্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। খুব ছোট বয়সে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আত্মবিশ্বাসেও বড়সড় আঘাত লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার দিকে ধেয়ে আসা বিদ্রূপ বা ব্যঙ্গকে মোটিভেশন হিসেবে দেখতে চেষ্টা করুন।

আজকাল লেজার, বডি শেপিং, কসমেটিক সার্জারি এবং অন্যান্য অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের বরাতে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হচ্ছে। তবে শরীরের কোনো অংশ বা ত্বকের যেকোনো চিহ্ন যদি সমস্যা তৈরি না করে, তাহলে সেটাকে নিজের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারলে জয়টা আপনারই হবে।
রূপচর্চায় নিজের শর্ত মেনে চলা
আপনার ত্বকের রং ও ধরন যা-ই হোক না কেন, দিনের একটা ভাগে নিজের যত্ন নিন। সপ্তাহে বা মাসে এক দিন যদি পারলারে গিয়ে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ, পেডিকিউর, মেনিকিউর ও ফেসিয়াল করে আসতে হয়, ক্ষতি নেই তো। উপার্জন বা সঞ্চয়ের ছোট্ট অংশ নিজের জন্য খরচ করাতে অপরাধবোধের কিছু নেই। মাঝেমধ্যে বডি স্পাতে গিয়ে রিল্যাক্সিং ম্যাসাজ নেওয়া কিংবা হেয়ার কালার বা হেয়ারস্টাইল বদলানোর মতো সাধারণ কোনো মেকওভার নিলেও দেখবেন, মন ভালো লাগছে। তবে মূল যত্নটা করতে হবে বাড়িতে এবং নিয়মিত। ত্বকের উপযোগী ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া, পেডিকিউর-মেনিকিউর, স্ক্র্যাবিং, হারবাল ফেস ও হেয়ারপ্যাক বাড়িতে বানিয়ে ব্যবহার করুন। হঠাৎ একদিন দিনরাত এক করে যত্ন নিলে হয়তো সাময়িকভাবে মন ভালো হবে। তবে যদি বাহ্যিক পরিবর্তন দেখতে চান, সে ক্ষেত্রে নিয়মিত যত্নের কোনো বিকল্প নেই।
বেসিক ইজ দ্য বেস্ট
হালের ট্রেন্ড অনুসরণ করে দেড়-দুই ঘণ্টা ধরে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু নেই; বরং বেসিক ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং এবং চুলের জন্য অয়েল ম্যাসাজ, সপ্তাহান্তে ডিম, কলা, পাতিলেবুর মতো উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানানো কোনো নারিশিং প্যাক এবং নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও সেরাম ব্যবহার করুন। নিয়মিত চিরুনি, মেকআপ ব্রাশ, পাফ ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। বাইরে থেকে ফিরে শ্যাম্পু অথবা বডিওয়াশ মেখে পামিস স্টোনে পা ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এরপর অলিভ অয়েল মালিশ করে নিন। পা এমনিতেই নরম ও পেলব থাকবে।
ত্বকের খুব বেশি সমস্যা না থাকলে কিংবা ত্বক বিশেষজ্ঞ মনে না করলে, সকালে বিকেলে আলাদা ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের কোনো দরকার নেই। অ্যালোভেরা, কাঁচা হলুদ, মসুর ডাল, চন্দনবাটা, লেবুর রস, জবা ফুল, মুলতানি মাটি, শসার রস, মৌসুমি ফল ও সবজির রস ত্বকে ব্যবহার করলে ধীরে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল পাবেন।
নিজেকে নিজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখুন। এটা বাইরে থেকে কেউ শিখিয়ে দেবে না। নিজের কোঁকড়া চুল, শ্যামলা রং, ঘাড়ের পেছনের অতিরিক্ত মাংসল অংশ—সবটা মিলেই আপনি। এই পুরো ‘আপনি’র প্রতি যত্নশীল হোন, তাকে নিয়ে গর্ব করুন। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে নিখুঁত মুখগুলো দেখে হীনম্মন্যতায় ভোগেন, সেগুলো প্রায় সবই বিউটি ক্যামেরায় তোলা ছবি। মেকি সৌন্দর্যের মোহে না পড়ে, বরং নিজের স্বকীয়তা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন। সুন্দর থাকুন নিজের শর্তে।
শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে।
২৩ জুন ২০২৫
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে।
২৩ জুন ২০২৫
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন। আপনার রসবোধ আজ একটি ছোটখাটো পারিবারিক অশান্তি এড়াতে সাহায্য করবে। দুপুরে অতিরিক্ত বিরিয়ানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। নইলে সন্ধ্যায় হাঁটার পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে দিনটি বেশ শুভ। হঠাৎ করে পকেটে বা পুরোনো জ্যাকেটের পকেটে কিছু অপ্রত্যাশিত খুচরা পয়সা খুঁজে পেতে পারেন। এই অর্থ দিয়ে লটারির টিকিট কাটার আগে দুবার ভাবুন। আজ আপনাকে খুব মিষ্টি করে কেউ কিছু বললেও সেই প্রস্তাবের ফাঁদে পা দেবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিশ্রুতি দেওয়া বা নেওয়ার দিন এটি নয়। ‘ঠিক আছে, কাল দেখা যাক!’ —এই বাক্যটি আজ আপনার জন্য রক্ষাকবচ। বিকেল বেলা হালকা হলুদ পোশাক পরে ছাদে এক কাপ চা খেতে বসলে মন ভালো থাকবে।
মিথুন
আপনার দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলছে ঘর গুছিয়ে ফেলুন, আরেক মন বলছে গোটা বিশ্বের আবর্জনা আপনার ঘরেই জমা থাকুক! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ একজন দার্শনিক, কিন্তু বাস্তবে আপনার কফি মগটি কোথায়, তা খুঁজে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ। আজ কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাবেন না। আপনার দেওয়া উপদেশ বুমেরাং হয়ে নিজের দিকেই ফিরে আসতে পারে। দিনের শেষে নিজের কাজ গুছিয়ে রাখলে শান্তি পাবেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ১০ মিনিট প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন।
কর্কট
আজ আপনার মন চাইবে অতীতচারণা করতে। পুরোনো প্রেমপত্র বা ফেলে আসা ছবির অ্যালবাম ঘাঁটতে ঘাঁটতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে পারেন। আপনার বাড়িতে কোনো নতুন সদস্যের আগমন হতে পারে, হতে পারে এটি আপনার বাড়িতে আসা ডেলিভারি পার্সেল বা একটি নতুন গাছ। রান্নাঘরে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন না। বিশেষ করে যদি নতুন কোনো রেসিপি ট্রাই করেন, তবে ফায়ার এক্সটিংগুইশার হাতের কাছে রাখুন। আপনার যত্নশীলতা আজ আপনাকে সামাজিক মহলে প্রশংসা এনে দেবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় একটি মজার গেম খেলুন।
সিংহ
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ লাইমলাইটে থাকতে পারেন, যেমনটি আপনি চান! তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আজ কারও কাছে ‘অতিরিক্ত নাটকীয়তা’ মনে হতে পারে। তাই নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সব আলোচনায় নিজেকে সেরা প্রমাণ করার চেষ্টা না করে শুধু শুনুন। কেউ একজন আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে পারে, যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। তবে ভুলেও আজ কাউকে অযথা ধার দেবেন না! আপনার পোষা প্রাণী বা ছোট ভাই-বোনকে সময় দিন।
কন্যা
পারফেকশনিস্ট কন্যা রাশি আজ সবকিছু নিখুঁত করতে গিয়ে সময়ের দিকে নজর না-ও দিতে পারে। সব কাজ বারবার চেক করতে গিয়ে দেখবেন, শেষ পর্যন্ত ট্রেন মিস হয়ে গেছে। আপনার সমালোচনা করার স্বভাব আজ আপনাকে একটু সমস্যায় ফেলতে পারে। কোনো কিছু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করে, যা আছে তা মেনে নিন। আজ যদি বাইরে যান, তবে বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর থাকায় মাস্ক ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। কাজে ছোট ছোট ব্রেক নিন। একটি বড় কাজকে পাঁচটি ছোট ভাগে ভাগ করুন।
তুলা
শুক্রের প্রভাবে আজ আপনি ভারসাম্যের সন্ধানে অস্থির থাকতে পারেন। হয় আপনি একপাশে অতিরিক্ত ঘুমাবেন, না হয় অতিরিক্ত কাজ করবেন। মাঝে থাকার কোনো মধ্যম পথ খুঁজে পাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। আপনার যুক্তি আজ যতই ক্ষুরধার হোক না কেন, অন্যেরা তা না-ও বুঝতে পারে। বরং নিজের পছন্দের কিছু সৃজনশীল কাজ করে মন শান্ত রাখুন। অপ্রত্যাশিত কোনো স্থান থেকে উপহার পেতে পারেন। সন্ধ্যায় রোমান্টিক ডিনারের পরিকল্পনা করুন।
বৃশ্চিক
প্লুটো আপনার মধ্যে রহস্যময় শক্তি এনেছে। আজ আপনি এমন কিছু গোপন তথ্য জানতে পারেন, যা আপনাকে হাসাবে বা ভাবাবে। তবে এ তথ্যটি যেন গোপনই থাকে। আজকের আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় আবেগের বহিঃপ্রকাশও কিছুটা শুষ্ক হতে পারে। পুরোনো কোনো অপ্রীতিকর স্মৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে পাত্তা দেবেন না। অতীতকে তার জায়গায় বিশ্রাম নিতে দিন। নতুন কোনো বিনিয়োগের আগে অবশ্যই সব দিক বিবেচনা করে নিন। আজ একটু মেডিটেশন করলে মানসিক শান্তি পাবেন।
ধনু
অ্যাডভেঞ্চারের নেশা আজ আপনাকে হয়তো বিছানা থেকে উঠতেই দেবে না! মনের মধ্যে বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবে ফ্রিজ পর্যন্ত যাওয়াই কঠিন। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করার জন্য এটি দারুণ দিন। আপনার অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে কোনো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে। তাই স্বপ্ন দেখতে দেখতেও মাটিতে পা রাখুন। দিনের শুরুতে সামান্য হাঁটা বা ব্যায়াম আপনাকে সতেজ রাখবে। নিজের পছন্দের খাবার রান্না করে অন্যকে খাওয়ান।
মকর
শনিদেব আজ আপনাকে অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা দিতে পারেন। মনে হবে, আপনার কাঁধে পৃথিবীর সব অফিসের কাজ আর পরিবারের গুরুদায়িত্ব চেপে বসেছে। তবে কঠোর পরিশ্রমের জন্য আপনি প্রশংসা পাবেন। আপনার কাজের চাপ যতই বাড়ুক, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করবেন না। বিশেষ করে রাতের ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। কাউকে ঋণ দেওয়ার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন। বিকেল ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন। এটি আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
কুম্ভ
আজ আপনার উদ্ভাবনী মস্তিষ্ক নতুন নতুন ধারণায় পূর্ণ থাকবে। এমন কিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসতে পারেন যা কেউ ভাবেনি। তবে এই আইডিয়াগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব যেন অন্য কারও কাঁধে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আবেগের বশে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার মানবিক দিকটি আজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হবে। কোনো সমাজসেবামূলক কাজে সামান্য হলেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন।
মীন
আপনার কল্পনা আজ আকাশ ছুঁতে পারে। আপনি হয়তো দিনের আলোতেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন, যা আপনার দৈনন্দিন কাজকে বিঘ্নিত করতে পারে। আশপাশে যা ঘটছে, তার প্রতি আপনার সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। আজ কারও কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা শুনলে তাকে এড়িয়ে চলুন। নিজের মনকে শান্ত রাখতে আপনার পছন্দের শিল্প বা সংগীতের শরণাপন্ন হন। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দিনটি অনুকূল নয়। সন্ধ্যায় হালকা উষ্ণ পানীয় পান করুন এবং মিষ্টি গান শুনুন।

মেষ
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন। আপনার রসবোধ আজ একটি ছোটখাটো পারিবারিক অশান্তি এড়াতে সাহায্য করবে। দুপুরে অতিরিক্ত বিরিয়ানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। নইলে সন্ধ্যায় হাঁটার পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে দিনটি বেশ শুভ। হঠাৎ করে পকেটে বা পুরোনো জ্যাকেটের পকেটে কিছু অপ্রত্যাশিত খুচরা পয়সা খুঁজে পেতে পারেন। এই অর্থ দিয়ে লটারির টিকিট কাটার আগে দুবার ভাবুন। আজ আপনাকে খুব মিষ্টি করে কেউ কিছু বললেও সেই প্রস্তাবের ফাঁদে পা দেবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিশ্রুতি দেওয়া বা নেওয়ার দিন এটি নয়। ‘ঠিক আছে, কাল দেখা যাক!’ —এই বাক্যটি আজ আপনার জন্য রক্ষাকবচ। বিকেল বেলা হালকা হলুদ পোশাক পরে ছাদে এক কাপ চা খেতে বসলে মন ভালো থাকবে।
মিথুন
আপনার দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলছে ঘর গুছিয়ে ফেলুন, আরেক মন বলছে গোটা বিশ্বের আবর্জনা আপনার ঘরেই জমা থাকুক! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ একজন দার্শনিক, কিন্তু বাস্তবে আপনার কফি মগটি কোথায়, তা খুঁজে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ। আজ কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাবেন না। আপনার দেওয়া উপদেশ বুমেরাং হয়ে নিজের দিকেই ফিরে আসতে পারে। দিনের শেষে নিজের কাজ গুছিয়ে রাখলে শান্তি পাবেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ১০ মিনিট প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন।
কর্কট
আজ আপনার মন চাইবে অতীতচারণা করতে। পুরোনো প্রেমপত্র বা ফেলে আসা ছবির অ্যালবাম ঘাঁটতে ঘাঁটতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে পারেন। আপনার বাড়িতে কোনো নতুন সদস্যের আগমন হতে পারে, হতে পারে এটি আপনার বাড়িতে আসা ডেলিভারি পার্সেল বা একটি নতুন গাছ। রান্নাঘরে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন না। বিশেষ করে যদি নতুন কোনো রেসিপি ট্রাই করেন, তবে ফায়ার এক্সটিংগুইশার হাতের কাছে রাখুন। আপনার যত্নশীলতা আজ আপনাকে সামাজিক মহলে প্রশংসা এনে দেবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় একটি মজার গেম খেলুন।
সিংহ
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ লাইমলাইটে থাকতে পারেন, যেমনটি আপনি চান! তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আজ কারও কাছে ‘অতিরিক্ত নাটকীয়তা’ মনে হতে পারে। তাই নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সব আলোচনায় নিজেকে সেরা প্রমাণ করার চেষ্টা না করে শুধু শুনুন। কেউ একজন আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে পারে, যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। তবে ভুলেও আজ কাউকে অযথা ধার দেবেন না! আপনার পোষা প্রাণী বা ছোট ভাই-বোনকে সময় দিন।
কন্যা
পারফেকশনিস্ট কন্যা রাশি আজ সবকিছু নিখুঁত করতে গিয়ে সময়ের দিকে নজর না-ও দিতে পারে। সব কাজ বারবার চেক করতে গিয়ে দেখবেন, শেষ পর্যন্ত ট্রেন মিস হয়ে গেছে। আপনার সমালোচনা করার স্বভাব আজ আপনাকে একটু সমস্যায় ফেলতে পারে। কোনো কিছু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করে, যা আছে তা মেনে নিন। আজ যদি বাইরে যান, তবে বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর থাকায় মাস্ক ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। কাজে ছোট ছোট ব্রেক নিন। একটি বড় কাজকে পাঁচটি ছোট ভাগে ভাগ করুন।
তুলা
শুক্রের প্রভাবে আজ আপনি ভারসাম্যের সন্ধানে অস্থির থাকতে পারেন। হয় আপনি একপাশে অতিরিক্ত ঘুমাবেন, না হয় অতিরিক্ত কাজ করবেন। মাঝে থাকার কোনো মধ্যম পথ খুঁজে পাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। আপনার যুক্তি আজ যতই ক্ষুরধার হোক না কেন, অন্যেরা তা না-ও বুঝতে পারে। বরং নিজের পছন্দের কিছু সৃজনশীল কাজ করে মন শান্ত রাখুন। অপ্রত্যাশিত কোনো স্থান থেকে উপহার পেতে পারেন। সন্ধ্যায় রোমান্টিক ডিনারের পরিকল্পনা করুন।
বৃশ্চিক
প্লুটো আপনার মধ্যে রহস্যময় শক্তি এনেছে। আজ আপনি এমন কিছু গোপন তথ্য জানতে পারেন, যা আপনাকে হাসাবে বা ভাবাবে। তবে এ তথ্যটি যেন গোপনই থাকে। আজকের আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় আবেগের বহিঃপ্রকাশও কিছুটা শুষ্ক হতে পারে। পুরোনো কোনো অপ্রীতিকর স্মৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে পাত্তা দেবেন না। অতীতকে তার জায়গায় বিশ্রাম নিতে দিন। নতুন কোনো বিনিয়োগের আগে অবশ্যই সব দিক বিবেচনা করে নিন। আজ একটু মেডিটেশন করলে মানসিক শান্তি পাবেন।
ধনু
অ্যাডভেঞ্চারের নেশা আজ আপনাকে হয়তো বিছানা থেকে উঠতেই দেবে না! মনের মধ্যে বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবে ফ্রিজ পর্যন্ত যাওয়াই কঠিন। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করার জন্য এটি দারুণ দিন। আপনার অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে কোনো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে। তাই স্বপ্ন দেখতে দেখতেও মাটিতে পা রাখুন। দিনের শুরুতে সামান্য হাঁটা বা ব্যায়াম আপনাকে সতেজ রাখবে। নিজের পছন্দের খাবার রান্না করে অন্যকে খাওয়ান।
মকর
শনিদেব আজ আপনাকে অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা দিতে পারেন। মনে হবে, আপনার কাঁধে পৃথিবীর সব অফিসের কাজ আর পরিবারের গুরুদায়িত্ব চেপে বসেছে। তবে কঠোর পরিশ্রমের জন্য আপনি প্রশংসা পাবেন। আপনার কাজের চাপ যতই বাড়ুক, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করবেন না। বিশেষ করে রাতের ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। কাউকে ঋণ দেওয়ার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন। বিকেল ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন। এটি আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
কুম্ভ
আজ আপনার উদ্ভাবনী মস্তিষ্ক নতুন নতুন ধারণায় পূর্ণ থাকবে। এমন কিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসতে পারেন যা কেউ ভাবেনি। তবে এই আইডিয়াগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব যেন অন্য কারও কাঁধে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আবেগের বশে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার মানবিক দিকটি আজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হবে। কোনো সমাজসেবামূলক কাজে সামান্য হলেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন।
মীন
আপনার কল্পনা আজ আকাশ ছুঁতে পারে। আপনি হয়তো দিনের আলোতেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন, যা আপনার দৈনন্দিন কাজকে বিঘ্নিত করতে পারে। আশপাশে যা ঘটছে, তার প্রতি আপনার সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। আজ কারও কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা শুনলে তাকে এড়িয়ে চলুন। নিজের মনকে শান্ত রাখতে আপনার পছন্দের শিল্প বা সংগীতের শরণাপন্ন হন। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দিনটি অনুকূল নয়। সন্ধ্যায় হালকা উষ্ণ পানীয় পান করুন এবং মিষ্টি গান শুনুন।

ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে।
২৩ জুন ২০২৫
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
আপনারও যদি সামনে কোনো দীর্ঘ লেওভার থাকে, আর ভাবছেন কীভাবে সেই সময়টুকু পার করবেন, তাহলে নিচের কয়েকটি টিপস কাজে লাগতে পারে। বিরতি এক ঘণ্টার হোক বা ১৮ ঘণ্টার।
আলাদা ব্যাগ রাখুন
লেওভারকে আরামদায়ক করার প্রথম ধাপ হলো আলাদা ব্যাগ রাখা। একটি ছোট ব্যাগে ভ্রমণের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখুন।
এই ব্যাগে রাখুন:
–ফেসওয়াশ
–টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট
–ওয়েট টিস্যু বা ফেস ওয়াইপ
–ফোন ও ল্যাপটপ চার্জার
–প্লাগ কনভার্টার
–হালকা খাবার
–এক জোড়া অতিরিক্ত পোশাক
–বই এবং হেডফোন
এই ব্যাগটি থাকলে বিমানবন্দরে বা বিমানে যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় জিনিস বের করা সহজ। আর বারবার ব্যাগ খোঁজার ঝামেলা থাকে না।
ফ্লাইট বিরতির সময় কম হলে দু-তিন ঘণ্টার ফ্লাইট বিরতি সাধারণ বিষয়। এ সময়ে আপনি চাইলে নিজেকে একদম সতেজ করে তুলতে পারেন। শুরুতে মুখ ধুয়ে দাঁত ব্রাশ করুন, এরপর একটা বড় বোতল পানি কিনে নিন। দীর্ঘ ভ্রমণে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, তাই এটি খুবই দরকারি। পরবর্তী সময়ে টার্মিনালের ভেতর একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এতে পায়ের পেশি শিথিল হয়, ক্লান্তিও কমে। অনেক এয়ারপোর্টে এখন বিনা মূল্যে যোগ বা স্ট্রেচিং রুম আছে। যেমন—সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর। চাইলে একটু সময় কাটাতে পারেন সেখানে। এ ছাড়া দোকানগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় স্ন্যাকস বা ছোট স্মারকও কিনে নিতে পারেন।
মাঝারি ফ্লাইট বিরতি
চার থেকে ছয় ঘণ্টার বিরতি অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। বাইরে যাওয়ার মতো সময়ও না, আবার শুধু বসে থাকাও কষ্টকর। এই সময়টা সবচেয়ে ভালো কাটে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে। সেখানে আরাম করে বসা যায়, থাকে বিনা মূল্যে খাবার, ওয়াইফাই, এমনকি কিছু লাউঞ্জে ঘুমানোর জায়গাও থাকে।
যদি আপনার কাছে প্রিমিয়াম ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে অনেক সময় ফ্রি বা কম খরচে লাউঞ্জে ঢোকা যায়। যাঁদের কার্ড নেই, তাঁরা অনলাইনে ডে পাস কিনে নিতে পারেন। দাম সাধারণত ৩০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে হয়, বিমানবন্দরভেদে।
সময় যদি একটু বেশি থাকে (৫-৬ ঘণ্টা), তাহলে এয়ারপোর্টের কাছাকাছি কোনো বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে ঘুরে আসতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসার বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত করতে হবে। আপনি রওনা দেওয়ার আগে যেখানে বিরতি দেবে, সেখানকার ট্রানজিট ভিসা নিয়ে নিতে পারেন।
দীর্ঘ বিরতি
৮ ঘণ্টা বা তার বেশি বিরতি হলে সেটাকে ঝটিকা সফরের সুযোগ হিসেবে নিন। যদি শহরটা এয়ারপোর্ট থেকে খুব দূরে না হয়, তাহলে একটু ঘুরে আসুন। বেশির ভাগ এয়ারপোর্টেই লাগেজ স্টোরেজ সার্ভিস থাকে। অল্প কিছু টাকায় ব্যাগ রেখে নির্ভারভাবে শহরে বের হতে পারেন।
অনেক এয়ারপোর্ট বা ট্রাভেল ওয়েবসাইটে শহরের কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান, ট্রানজিট ট্যুর বা ভ্রমণ প্যাকেজের তথ্যও দেওয়া থাকে।
অন্যদিকে, যদি বাইরে যেতে না চান, তাহলে নিতে পারেন হোটেল ডে পাস। অনেক হোটেলেই এমন পাস থাকে যেখানে আপনি কয়েক ঘণ্টার জন্য রুম, পুল, রেস্টুরেন্টসহ হোটেলের সব সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। রিসোর্ট পাস ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দেশের হোটেল পাস বুক করা যায়। দাম সাধারণত ২৫ থেকে ৩০০ ডলারের মধ্যে।
ফ্লাইট বিরতি বিরক্তিকর মনে করবেন না। একটু প্রস্তুতি আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সময়টাও আপনার ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য ও স্মরণীয় করে তুলবে। এ ছাড়া সঙ্গে যদি বাচ্চা থাকে তাহলে তার জন্যও আলাদা প্রস্তুতি রাখুন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
আপনারও যদি সামনে কোনো দীর্ঘ লেওভার থাকে, আর ভাবছেন কীভাবে সেই সময়টুকু পার করবেন, তাহলে নিচের কয়েকটি টিপস কাজে লাগতে পারে। বিরতি এক ঘণ্টার হোক বা ১৮ ঘণ্টার।
আলাদা ব্যাগ রাখুন
লেওভারকে আরামদায়ক করার প্রথম ধাপ হলো আলাদা ব্যাগ রাখা। একটি ছোট ব্যাগে ভ্রমণের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখুন।
এই ব্যাগে রাখুন:
–ফেসওয়াশ
–টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট
–ওয়েট টিস্যু বা ফেস ওয়াইপ
–ফোন ও ল্যাপটপ চার্জার
–প্লাগ কনভার্টার
–হালকা খাবার
–এক জোড়া অতিরিক্ত পোশাক
–বই এবং হেডফোন
এই ব্যাগটি থাকলে বিমানবন্দরে বা বিমানে যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় জিনিস বের করা সহজ। আর বারবার ব্যাগ খোঁজার ঝামেলা থাকে না।
ফ্লাইট বিরতির সময় কম হলে দু-তিন ঘণ্টার ফ্লাইট বিরতি সাধারণ বিষয়। এ সময়ে আপনি চাইলে নিজেকে একদম সতেজ করে তুলতে পারেন। শুরুতে মুখ ধুয়ে দাঁত ব্রাশ করুন, এরপর একটা বড় বোতল পানি কিনে নিন। দীর্ঘ ভ্রমণে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, তাই এটি খুবই দরকারি। পরবর্তী সময়ে টার্মিনালের ভেতর একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এতে পায়ের পেশি শিথিল হয়, ক্লান্তিও কমে। অনেক এয়ারপোর্টে এখন বিনা মূল্যে যোগ বা স্ট্রেচিং রুম আছে। যেমন—সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর। চাইলে একটু সময় কাটাতে পারেন সেখানে। এ ছাড়া দোকানগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় স্ন্যাকস বা ছোট স্মারকও কিনে নিতে পারেন।
মাঝারি ফ্লাইট বিরতি
চার থেকে ছয় ঘণ্টার বিরতি অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। বাইরে যাওয়ার মতো সময়ও না, আবার শুধু বসে থাকাও কষ্টকর। এই সময়টা সবচেয়ে ভালো কাটে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে। সেখানে আরাম করে বসা যায়, থাকে বিনা মূল্যে খাবার, ওয়াইফাই, এমনকি কিছু লাউঞ্জে ঘুমানোর জায়গাও থাকে।
যদি আপনার কাছে প্রিমিয়াম ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে অনেক সময় ফ্রি বা কম খরচে লাউঞ্জে ঢোকা যায়। যাঁদের কার্ড নেই, তাঁরা অনলাইনে ডে পাস কিনে নিতে পারেন। দাম সাধারণত ৩০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে হয়, বিমানবন্দরভেদে।
সময় যদি একটু বেশি থাকে (৫-৬ ঘণ্টা), তাহলে এয়ারপোর্টের কাছাকাছি কোনো বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে ঘুরে আসতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসার বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত করতে হবে। আপনি রওনা দেওয়ার আগে যেখানে বিরতি দেবে, সেখানকার ট্রানজিট ভিসা নিয়ে নিতে পারেন।
দীর্ঘ বিরতি
৮ ঘণ্টা বা তার বেশি বিরতি হলে সেটাকে ঝটিকা সফরের সুযোগ হিসেবে নিন। যদি শহরটা এয়ারপোর্ট থেকে খুব দূরে না হয়, তাহলে একটু ঘুরে আসুন। বেশির ভাগ এয়ারপোর্টেই লাগেজ স্টোরেজ সার্ভিস থাকে। অল্প কিছু টাকায় ব্যাগ রেখে নির্ভারভাবে শহরে বের হতে পারেন।
অনেক এয়ারপোর্ট বা ট্রাভেল ওয়েবসাইটে শহরের কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান, ট্রানজিট ট্যুর বা ভ্রমণ প্যাকেজের তথ্যও দেওয়া থাকে।
অন্যদিকে, যদি বাইরে যেতে না চান, তাহলে নিতে পারেন হোটেল ডে পাস। অনেক হোটেলেই এমন পাস থাকে যেখানে আপনি কয়েক ঘণ্টার জন্য রুম, পুল, রেস্টুরেন্টসহ হোটেলের সব সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। রিসোর্ট পাস ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দেশের হোটেল পাস বুক করা যায়। দাম সাধারণত ২৫ থেকে ৩০০ ডলারের মধ্যে।
ফ্লাইট বিরতি বিরক্তিকর মনে করবেন না। একটু প্রস্তুতি আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সময়টাও আপনার ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য ও স্মরণীয় করে তুলবে। এ ছাড়া সঙ্গে যদি বাচ্চা থাকে তাহলে তার জন্যও আলাদা প্রস্তুতি রাখুন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

ইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে।
২৩ জুন ২০২৫
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন।
৫ ঘণ্টা আগে