মানসিক স্বাস্থ্য
বিভুরঞ্জন সরকার

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি। এটি যে নেতিবাচক শব্দ, সেটা বলে দিতে হয় না। অদ্ভুত বিষয় হলো, এই দুটি শব্দ মিলেই আমাদের জীবন। সে জন্যই ইতি আর নেতির ভারসাম্য জরুরি।
চিন্তা ও দুশ্চিন্তা, ভাবনা ও দুর্ভাবনা—শব্দের উচ্চারণে মিল থাকলেও এদের অন্তর্নিহিত অর্থ ও প্রভাব একেবারে বিপরীতমুখী, সে কথা একটু আগে একবার বলা হয়েছে। মানুষ যখন চিন্তা করে, তখন সেই জগৎকে নতুন করে বোঝার চেষ্টা থাকে, বাস্তবতাকে উপলব্ধির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। চিন্তা তাকে আগলে রাখে না, তাকে উন্মুক্ত করে; যেমন খোলা জানালা দিয়ে নতুন হাওয়া ঘরে প্রবেশ করে, চিন্তাও তেমনি জীবনে তাজা বাতাস আনে। কিন্তু দুশ্চিন্তা সেই জানালাকেই বন্ধ করে দেয়। সে বলে, বাইরে ঝড় আছে, বাইরে অন্ধকার আছে—তুমি ভেবো না, তুমি ভয় পাও।
চিন্তা মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়, দুশ্চিন্তা অতীতের প্রেতাত্মাকে সামনে দাঁড় করিয়ে রাখে। একদিকে উন্নয়নের সম্ভাবনা, অন্যদিকে ব্যর্থতার ভীতি। চিন্তা মানুষকে সাহস দেয়, দুশ্চিন্তা তাকে সংকোচে ফেলে। যখন কেউ গভীর চিন্তায় ডুবে থাকে, সে তখন নিজের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছুর খোঁজে থাকে। অন্যদিকে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ নিজেরই বানানো শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। তার স্বপ্নগুলো কুঁকড়ে যায়, মনুষ্যত্বের সম্ভাবনা চুপসে যায়।

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটক, বাঙালি চলচ্চিত্রকার
ভাবনা হচ্ছে মননের একটি সৌন্দর্যময় রূপ। ভাবনায় থাকে জীবন দেখার একধরনের আলো, থাকে অনুভবের কোমলতা, অনুভবের গভীরতা। ভাবনা কবিতার মতো, দর্শনের মতো, ভালোবাসার মতো মানুষকে উজ্জীবিত করে। মানুষ যখন ভাবনায় ডুবে থাকে, সে তখন কেবল নিজের জন্যই নয়, অন্যদের জন্যও চিন্তিত হয়। ভাবনার এই সৌন্দর্য আমাদের মাঝে সহমর্মিতা সৃষ্টি করে, উদারতা জাগায়, একটি বৃহৎ অর্থ খোঁজার প্রেরণা জোগায়।
কিন্তু দুর্ভাবনা সেই আলো নিভিয়ে দেয়। সে ভয় দেখায়, সংশয় ছড়ায়, উদ্যম কমিয়ে দেয়। দুর্ভাবনার চেহারা কুয়াশাচ্ছন্ন, তার শব্দগুলো অস্পষ্ট, তার পথ নিরাশার দিকে। দুর্ভাবনায় থাকা মানুষ কারও পাশে দাঁড়াতে পারে না, নিজের দেহটুকুও সোজা রাখতে পারে না। দুর্ভাবনা মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দেয়।
চিন্তা হচ্ছে কাঠামো তৈরির নির্মাণশিল্প, দুশ্চিন্তা সেই কাঠামোতে ফাটল ধরায়। ভাবনা হচ্ছে হৃদয়ের অন্তঃকরণে আলো জ্বালানোর প্রয়াস, আর দুর্ভাবনা সেই আলোকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয়। তাই আমাদের পছন্দ করতে হবে কোনটি বেছে নেব—চিন্তার স্বাধীনতা, না দুশ্চিন্তার জেলখানা; ভাবনার প্রেরণা, না দুর্ভাবনার নিঃসঙ্গতা।
মানুষের জীবনে সব সময় আলো থাকে না, প্রতিকূলতা আসে, অনিশ্চয়তা আছড়ে পড়ে। তখনই আমাদের যাচাই হয়—আমরা কি চিন্তাকে আপন করে দুশ্চিন্তার থাবা থেকে মুক্ত হতে পারব? আমরা কি ভাবনার স্বপ্নকে ধরে রাখতে পারব দুর্ভাবনার বিষ থেকে দূরে থেকে?
চিন্তা করলে আমরা পথ খুঁজি, পথ তৈরি করি। দুশ্চিন্তা করলে আমরা পথ ভুলে যাই। ভাবনা আমাদের ভাবায়—জীবনের অর্থ নিয়ে, অন্যদের কষ্ট নিয়ে, নিজের দায় নিয়ে। দুর্ভাবনা কেবল আত্মকেন্দ্রিক এক ক্লান্তিকর চিন্তায় নিয়ে যায়, যার শেষ নেই, শান্তি নেই।
তাই, আমাদের চিন্তা করা ও ভাবা শিখতে হবে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মাঝে সম্ভাবনার আলো খুঁজতে। আর ধীরে ধীরে শিখে যেতে হবে দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখা, দুর্ভাবনাকে অতিক্রম করা। কারণ, এই পৃথিবীতে যত বড় অর্জনই হোক না কেন, তার শুরুতে ছিল একটি চিন্তা, একটি ভাবনা—যা কখনো দুশ্চিন্তার ভয়ে থেমে যায়নি, দুর্ভাবনার বাধায় ভেঙে পড়েনি।
এই তো জীবন। এই তো বেঁচে থাকার শর্ত। চিন্তার পথে হেঁটে ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়া।

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি। এটি যে নেতিবাচক শব্দ, সেটা বলে দিতে হয় না। অদ্ভুত বিষয় হলো, এই দুটি শব্দ মিলেই আমাদের জীবন। সে জন্যই ইতি আর নেতির ভারসাম্য জরুরি।
চিন্তা ও দুশ্চিন্তা, ভাবনা ও দুর্ভাবনা—শব্দের উচ্চারণে মিল থাকলেও এদের অন্তর্নিহিত অর্থ ও প্রভাব একেবারে বিপরীতমুখী, সে কথা একটু আগে একবার বলা হয়েছে। মানুষ যখন চিন্তা করে, তখন সেই জগৎকে নতুন করে বোঝার চেষ্টা থাকে, বাস্তবতাকে উপলব্ধির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। চিন্তা তাকে আগলে রাখে না, তাকে উন্মুক্ত করে; যেমন খোলা জানালা দিয়ে নতুন হাওয়া ঘরে প্রবেশ করে, চিন্তাও তেমনি জীবনে তাজা বাতাস আনে। কিন্তু দুশ্চিন্তা সেই জানালাকেই বন্ধ করে দেয়। সে বলে, বাইরে ঝড় আছে, বাইরে অন্ধকার আছে—তুমি ভেবো না, তুমি ভয় পাও।
চিন্তা মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়, দুশ্চিন্তা অতীতের প্রেতাত্মাকে সামনে দাঁড় করিয়ে রাখে। একদিকে উন্নয়নের সম্ভাবনা, অন্যদিকে ব্যর্থতার ভীতি। চিন্তা মানুষকে সাহস দেয়, দুশ্চিন্তা তাকে সংকোচে ফেলে। যখন কেউ গভীর চিন্তায় ডুবে থাকে, সে তখন নিজের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছুর খোঁজে থাকে। অন্যদিকে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ নিজেরই বানানো শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। তার স্বপ্নগুলো কুঁকড়ে যায়, মনুষ্যত্বের সম্ভাবনা চুপসে যায়।

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটক, বাঙালি চলচ্চিত্রকার
ভাবনা হচ্ছে মননের একটি সৌন্দর্যময় রূপ। ভাবনায় থাকে জীবন দেখার একধরনের আলো, থাকে অনুভবের কোমলতা, অনুভবের গভীরতা। ভাবনা কবিতার মতো, দর্শনের মতো, ভালোবাসার মতো মানুষকে উজ্জীবিত করে। মানুষ যখন ভাবনায় ডুবে থাকে, সে তখন কেবল নিজের জন্যই নয়, অন্যদের জন্যও চিন্তিত হয়। ভাবনার এই সৌন্দর্য আমাদের মাঝে সহমর্মিতা সৃষ্টি করে, উদারতা জাগায়, একটি বৃহৎ অর্থ খোঁজার প্রেরণা জোগায়।
কিন্তু দুর্ভাবনা সেই আলো নিভিয়ে দেয়। সে ভয় দেখায়, সংশয় ছড়ায়, উদ্যম কমিয়ে দেয়। দুর্ভাবনার চেহারা কুয়াশাচ্ছন্ন, তার শব্দগুলো অস্পষ্ট, তার পথ নিরাশার দিকে। দুর্ভাবনায় থাকা মানুষ কারও পাশে দাঁড়াতে পারে না, নিজের দেহটুকুও সোজা রাখতে পারে না। দুর্ভাবনা মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দেয়।
চিন্তা হচ্ছে কাঠামো তৈরির নির্মাণশিল্প, দুশ্চিন্তা সেই কাঠামোতে ফাটল ধরায়। ভাবনা হচ্ছে হৃদয়ের অন্তঃকরণে আলো জ্বালানোর প্রয়াস, আর দুর্ভাবনা সেই আলোকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয়। তাই আমাদের পছন্দ করতে হবে কোনটি বেছে নেব—চিন্তার স্বাধীনতা, না দুশ্চিন্তার জেলখানা; ভাবনার প্রেরণা, না দুর্ভাবনার নিঃসঙ্গতা।
মানুষের জীবনে সব সময় আলো থাকে না, প্রতিকূলতা আসে, অনিশ্চয়তা আছড়ে পড়ে। তখনই আমাদের যাচাই হয়—আমরা কি চিন্তাকে আপন করে দুশ্চিন্তার থাবা থেকে মুক্ত হতে পারব? আমরা কি ভাবনার স্বপ্নকে ধরে রাখতে পারব দুর্ভাবনার বিষ থেকে দূরে থেকে?
চিন্তা করলে আমরা পথ খুঁজি, পথ তৈরি করি। দুশ্চিন্তা করলে আমরা পথ ভুলে যাই। ভাবনা আমাদের ভাবায়—জীবনের অর্থ নিয়ে, অন্যদের কষ্ট নিয়ে, নিজের দায় নিয়ে। দুর্ভাবনা কেবল আত্মকেন্দ্রিক এক ক্লান্তিকর চিন্তায় নিয়ে যায়, যার শেষ নেই, শান্তি নেই।
তাই, আমাদের চিন্তা করা ও ভাবা শিখতে হবে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মাঝে সম্ভাবনার আলো খুঁজতে। আর ধীরে ধীরে শিখে যেতে হবে দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখা, দুর্ভাবনাকে অতিক্রম করা। কারণ, এই পৃথিবীতে যত বড় অর্জনই হোক না কেন, তার শুরুতে ছিল একটি চিন্তা, একটি ভাবনা—যা কখনো দুশ্চিন্তার ভয়ে থেমে যায়নি, দুর্ভাবনার বাধায় ভেঙে পড়েনি।
এই তো জীবন। এই তো বেঁচে থাকার শর্ত। চিন্তার পথে হেঁটে ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়া।
মানসিক স্বাস্থ্য
বিভুরঞ্জন সরকার

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি। এটি যে নেতিবাচক শব্দ, সেটা বলে দিতে হয় না। অদ্ভুত বিষয় হলো, এই দুটি শব্দ মিলেই আমাদের জীবন। সে জন্যই ইতি আর নেতির ভারসাম্য জরুরি।
চিন্তা ও দুশ্চিন্তা, ভাবনা ও দুর্ভাবনা—শব্দের উচ্চারণে মিল থাকলেও এদের অন্তর্নিহিত অর্থ ও প্রভাব একেবারে বিপরীতমুখী, সে কথা একটু আগে একবার বলা হয়েছে। মানুষ যখন চিন্তা করে, তখন সেই জগৎকে নতুন করে বোঝার চেষ্টা থাকে, বাস্তবতাকে উপলব্ধির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। চিন্তা তাকে আগলে রাখে না, তাকে উন্মুক্ত করে; যেমন খোলা জানালা দিয়ে নতুন হাওয়া ঘরে প্রবেশ করে, চিন্তাও তেমনি জীবনে তাজা বাতাস আনে। কিন্তু দুশ্চিন্তা সেই জানালাকেই বন্ধ করে দেয়। সে বলে, বাইরে ঝড় আছে, বাইরে অন্ধকার আছে—তুমি ভেবো না, তুমি ভয় পাও।
চিন্তা মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়, দুশ্চিন্তা অতীতের প্রেতাত্মাকে সামনে দাঁড় করিয়ে রাখে। একদিকে উন্নয়নের সম্ভাবনা, অন্যদিকে ব্যর্থতার ভীতি। চিন্তা মানুষকে সাহস দেয়, দুশ্চিন্তা তাকে সংকোচে ফেলে। যখন কেউ গভীর চিন্তায় ডুবে থাকে, সে তখন নিজের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছুর খোঁজে থাকে। অন্যদিকে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ নিজেরই বানানো শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। তার স্বপ্নগুলো কুঁকড়ে যায়, মনুষ্যত্বের সম্ভাবনা চুপসে যায়।

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটক, বাঙালি চলচ্চিত্রকার
ভাবনা হচ্ছে মননের একটি সৌন্দর্যময় রূপ। ভাবনায় থাকে জীবন দেখার একধরনের আলো, থাকে অনুভবের কোমলতা, অনুভবের গভীরতা। ভাবনা কবিতার মতো, দর্শনের মতো, ভালোবাসার মতো মানুষকে উজ্জীবিত করে। মানুষ যখন ভাবনায় ডুবে থাকে, সে তখন কেবল নিজের জন্যই নয়, অন্যদের জন্যও চিন্তিত হয়। ভাবনার এই সৌন্দর্য আমাদের মাঝে সহমর্মিতা সৃষ্টি করে, উদারতা জাগায়, একটি বৃহৎ অর্থ খোঁজার প্রেরণা জোগায়।
কিন্তু দুর্ভাবনা সেই আলো নিভিয়ে দেয়। সে ভয় দেখায়, সংশয় ছড়ায়, উদ্যম কমিয়ে দেয়। দুর্ভাবনার চেহারা কুয়াশাচ্ছন্ন, তার শব্দগুলো অস্পষ্ট, তার পথ নিরাশার দিকে। দুর্ভাবনায় থাকা মানুষ কারও পাশে দাঁড়াতে পারে না, নিজের দেহটুকুও সোজা রাখতে পারে না। দুর্ভাবনা মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দেয়।
চিন্তা হচ্ছে কাঠামো তৈরির নির্মাণশিল্প, দুশ্চিন্তা সেই কাঠামোতে ফাটল ধরায়। ভাবনা হচ্ছে হৃদয়ের অন্তঃকরণে আলো জ্বালানোর প্রয়াস, আর দুর্ভাবনা সেই আলোকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয়। তাই আমাদের পছন্দ করতে হবে কোনটি বেছে নেব—চিন্তার স্বাধীনতা, না দুশ্চিন্তার জেলখানা; ভাবনার প্রেরণা, না দুর্ভাবনার নিঃসঙ্গতা।
মানুষের জীবনে সব সময় আলো থাকে না, প্রতিকূলতা আসে, অনিশ্চয়তা আছড়ে পড়ে। তখনই আমাদের যাচাই হয়—আমরা কি চিন্তাকে আপন করে দুশ্চিন্তার থাবা থেকে মুক্ত হতে পারব? আমরা কি ভাবনার স্বপ্নকে ধরে রাখতে পারব দুর্ভাবনার বিষ থেকে দূরে থেকে?
চিন্তা করলে আমরা পথ খুঁজি, পথ তৈরি করি। দুশ্চিন্তা করলে আমরা পথ ভুলে যাই। ভাবনা আমাদের ভাবায়—জীবনের অর্থ নিয়ে, অন্যদের কষ্ট নিয়ে, নিজের দায় নিয়ে। দুর্ভাবনা কেবল আত্মকেন্দ্রিক এক ক্লান্তিকর চিন্তায় নিয়ে যায়, যার শেষ নেই, শান্তি নেই।
তাই, আমাদের চিন্তা করা ও ভাবা শিখতে হবে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মাঝে সম্ভাবনার আলো খুঁজতে। আর ধীরে ধীরে শিখে যেতে হবে দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখা, দুর্ভাবনাকে অতিক্রম করা। কারণ, এই পৃথিবীতে যত বড় অর্জনই হোক না কেন, তার শুরুতে ছিল একটি চিন্তা, একটি ভাবনা—যা কখনো দুশ্চিন্তার ভয়ে থেমে যায়নি, দুর্ভাবনার বাধায় ভেঙে পড়েনি।
এই তো জীবন। এই তো বেঁচে থাকার শর্ত। চিন্তার পথে হেঁটে ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়া।

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি। এটি যে নেতিবাচক শব্দ, সেটা বলে দিতে হয় না। অদ্ভুত বিষয় হলো, এই দুটি শব্দ মিলেই আমাদের জীবন। সে জন্যই ইতি আর নেতির ভারসাম্য জরুরি।
চিন্তা ও দুশ্চিন্তা, ভাবনা ও দুর্ভাবনা—শব্দের উচ্চারণে মিল থাকলেও এদের অন্তর্নিহিত অর্থ ও প্রভাব একেবারে বিপরীতমুখী, সে কথা একটু আগে একবার বলা হয়েছে। মানুষ যখন চিন্তা করে, তখন সেই জগৎকে নতুন করে বোঝার চেষ্টা থাকে, বাস্তবতাকে উপলব্ধির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। চিন্তা তাকে আগলে রাখে না, তাকে উন্মুক্ত করে; যেমন খোলা জানালা দিয়ে নতুন হাওয়া ঘরে প্রবেশ করে, চিন্তাও তেমনি জীবনে তাজা বাতাস আনে। কিন্তু দুশ্চিন্তা সেই জানালাকেই বন্ধ করে দেয়। সে বলে, বাইরে ঝড় আছে, বাইরে অন্ধকার আছে—তুমি ভেবো না, তুমি ভয় পাও।
চিন্তা মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়, দুশ্চিন্তা অতীতের প্রেতাত্মাকে সামনে দাঁড় করিয়ে রাখে। একদিকে উন্নয়নের সম্ভাবনা, অন্যদিকে ব্যর্থতার ভীতি। চিন্তা মানুষকে সাহস দেয়, দুশ্চিন্তা তাকে সংকোচে ফেলে। যখন কেউ গভীর চিন্তায় ডুবে থাকে, সে তখন নিজের সীমা অতিক্রম করে নতুন কিছুর খোঁজে থাকে। অন্যদিকে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ নিজেরই বানানো শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। তার স্বপ্নগুলো কুঁকড়ে যায়, মনুষ্যত্বের সম্ভাবনা চুপসে যায়।

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটক, বাঙালি চলচ্চিত্রকার
ভাবনা হচ্ছে মননের একটি সৌন্দর্যময় রূপ। ভাবনায় থাকে জীবন দেখার একধরনের আলো, থাকে অনুভবের কোমলতা, অনুভবের গভীরতা। ভাবনা কবিতার মতো, দর্শনের মতো, ভালোবাসার মতো মানুষকে উজ্জীবিত করে। মানুষ যখন ভাবনায় ডুবে থাকে, সে তখন কেবল নিজের জন্যই নয়, অন্যদের জন্যও চিন্তিত হয়। ভাবনার এই সৌন্দর্য আমাদের মাঝে সহমর্মিতা সৃষ্টি করে, উদারতা জাগায়, একটি বৃহৎ অর্থ খোঁজার প্রেরণা জোগায়।
কিন্তু দুর্ভাবনা সেই আলো নিভিয়ে দেয়। সে ভয় দেখায়, সংশয় ছড়ায়, উদ্যম কমিয়ে দেয়। দুর্ভাবনার চেহারা কুয়াশাচ্ছন্ন, তার শব্দগুলো অস্পষ্ট, তার পথ নিরাশার দিকে। দুর্ভাবনায় থাকা মানুষ কারও পাশে দাঁড়াতে পারে না, নিজের দেহটুকুও সোজা রাখতে পারে না। দুর্ভাবনা মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দেয়।
চিন্তা হচ্ছে কাঠামো তৈরির নির্মাণশিল্প, দুশ্চিন্তা সেই কাঠামোতে ফাটল ধরায়। ভাবনা হচ্ছে হৃদয়ের অন্তঃকরণে আলো জ্বালানোর প্রয়াস, আর দুর্ভাবনা সেই আলোকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয়। তাই আমাদের পছন্দ করতে হবে কোনটি বেছে নেব—চিন্তার স্বাধীনতা, না দুশ্চিন্তার জেলখানা; ভাবনার প্রেরণা, না দুর্ভাবনার নিঃসঙ্গতা।
মানুষের জীবনে সব সময় আলো থাকে না, প্রতিকূলতা আসে, অনিশ্চয়তা আছড়ে পড়ে। তখনই আমাদের যাচাই হয়—আমরা কি চিন্তাকে আপন করে দুশ্চিন্তার থাবা থেকে মুক্ত হতে পারব? আমরা কি ভাবনার স্বপ্নকে ধরে রাখতে পারব দুর্ভাবনার বিষ থেকে দূরে থেকে?
চিন্তা করলে আমরা পথ খুঁজি, পথ তৈরি করি। দুশ্চিন্তা করলে আমরা পথ ভুলে যাই। ভাবনা আমাদের ভাবায়—জীবনের অর্থ নিয়ে, অন্যদের কষ্ট নিয়ে, নিজের দায় নিয়ে। দুর্ভাবনা কেবল আত্মকেন্দ্রিক এক ক্লান্তিকর চিন্তায় নিয়ে যায়, যার শেষ নেই, শান্তি নেই।
তাই, আমাদের চিন্তা করা ও ভাবা শিখতে হবে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মাঝে সম্ভাবনার আলো খুঁজতে। আর ধীরে ধীরে শিখে যেতে হবে দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখা, দুর্ভাবনাকে অতিক্রম করা। কারণ, এই পৃথিবীতে যত বড় অর্জনই হোক না কেন, তার শুরুতে ছিল একটি চিন্তা, একটি ভাবনা—যা কখনো দুশ্চিন্তার ভয়ে থেমে যায়নি, দুর্ভাবনার বাধায় ভেঙে পড়েনি।
এই তো জীবন। এই তো বেঁচে থাকার শর্ত। চিন্তার পথে হেঁটে ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়া।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আগোডার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্রমণ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ ভ্রমণে যাওয়ার আগে এআই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে তথ্য নিয়ে তারপর ভ্রমণে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন।
২৯ মিনিট আগে
প্রতি সন্তান জন্মের জন্য দিতে হবে ৩ লাখ ডলার এবং যমজ হলে ৬ লাখ ডলার। দিতে হবে একটি হীরার আংটি, নতুন গাড়ি, জরুরি খরচের জন্য ক্রেডিট কার্ড! বিয়ের শর্তে আছে, কোনো পক্ষই বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু রাখতে পারবেন না। স্বামীর সঙ্গে না থাকলে ২৪ ঘণ্টা লোকেশন ট্র্যাকিং চালু রাখতে হবে। বিয়ের এমন শর্ত কেউ দেখেছে কখনো?
১২ ঘণ্টা আগে
মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে...
১৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আগোডার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্রমণ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ ভ্রমণে যাওয়ার আগে এআই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে তথ্য নিয়ে তারপর ভ্রমণে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন। এআইয়ের সহায়তা নিয়ে ভ্রমণে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ভিয়েতনামের ভ্রমণকারীরা।
ভিয়েতনামের নজিরবিহীন এআই ব্যবহার
আগোডার জরিপে দেখা গেছে, ৮১ শতাংশ ভিয়েতনামী উত্তরদাতা তাঁদের পরবর্তী ভ্রমণ পরিকল্পনায় এআই ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। জরিপ করা এশিয়ার নয়টি বাজারের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ হার। অর্থাৎ তাঁরা এআই তথ্যে আস্থা রাখছেন। এআইয়ের সরবরাহ করা তথ্যের ওপর আস্থা রাখেন ভিয়েতনামের ২৮ শতাংশ ভ্রমণকারী। তবে সেই জরিপে অংশ নেওয়া ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা নিরপেক্ষ ছিলেন।
আর ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা এআইয়ের সরবরাহ করা তথ্যে অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। ভিয়েতনাম শীর্ষে থাকলেও সামগ্রিকভাবে এশীয় ভ্রমণকারীরা প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের দিকে ঝুঁকছেন। জরিপে দেখা গেছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এশীয় ভ্রমণকারী ভবিষ্যতে ভ্রমণের পরিকল্পনায় এআই ব্যবহারে আগ্রহী।
জরিপটি ভিয়েতনামী ভ্রমণকারীদের কিছু বিশেষ প্রবণতা তুলে ধরেছে। সেগুলোর মধ্যে আছে—
সূত্র: আগোডা

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আগোডার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্রমণ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ ভ্রমণে যাওয়ার আগে এআই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে তথ্য নিয়ে তারপর ভ্রমণে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন। এআইয়ের সহায়তা নিয়ে ভ্রমণে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ভিয়েতনামের ভ্রমণকারীরা।
ভিয়েতনামের নজিরবিহীন এআই ব্যবহার
আগোডার জরিপে দেখা গেছে, ৮১ শতাংশ ভিয়েতনামী উত্তরদাতা তাঁদের পরবর্তী ভ্রমণ পরিকল্পনায় এআই ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। জরিপ করা এশিয়ার নয়টি বাজারের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ হার। অর্থাৎ তাঁরা এআই তথ্যে আস্থা রাখছেন। এআইয়ের সরবরাহ করা তথ্যের ওপর আস্থা রাখেন ভিয়েতনামের ২৮ শতাংশ ভ্রমণকারী। তবে সেই জরিপে অংশ নেওয়া ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা নিরপেক্ষ ছিলেন।
আর ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা এআইয়ের সরবরাহ করা তথ্যে অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। ভিয়েতনাম শীর্ষে থাকলেও সামগ্রিকভাবে এশীয় ভ্রমণকারীরা প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের দিকে ঝুঁকছেন। জরিপে দেখা গেছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এশীয় ভ্রমণকারী ভবিষ্যতে ভ্রমণের পরিকল্পনায় এআই ব্যবহারে আগ্রহী।
জরিপটি ভিয়েতনামী ভ্রমণকারীদের কিছু বিশেষ প্রবণতা তুলে ধরেছে। সেগুলোর মধ্যে আছে—
সূত্র: আগোডা

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫
প্রতি সন্তান জন্মের জন্য দিতে হবে ৩ লাখ ডলার এবং যমজ হলে ৬ লাখ ডলার। দিতে হবে একটি হীরার আংটি, নতুন গাড়ি, জরুরি খরচের জন্য ক্রেডিট কার্ড! বিয়ের শর্তে আছে, কোনো পক্ষই বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু রাখতে পারবেন না। স্বামীর সঙ্গে না থাকলে ২৪ ঘণ্টা লোকেশন ট্র্যাকিং চালু রাখতে হবে। বিয়ের এমন শর্ত কেউ দেখেছে কখনো?
১২ ঘণ্টা আগে
মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে...
১৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দুবাইয়ের বিলাসী জীবন অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। ঠিক সেই স্বপ্নের জীবনেই ছিলেন ২৬ বছর বয়সী ব্রিটিশ নারী সৌদি আল নাদাক। ২০২০ সালে ব্যবসায়ী জামাল আল নাদাককে বিয়ে করার পর থেকে তাঁর আড়ম্বরপূর্ণ জীবনধারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। কিন্তু সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে তাঁর বিবাহের শর্তাবলি। চমকপ্রদ সেসব শর্ত আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিয়ের আগে থেকে ছিল ‘নিয়মের তালিকা’
সৌদি জানান, তাঁদের বিয়েতে দুজনের জন্যই কিছু কঠোর নিয়ম বেঁধে দেওয়া ছিল। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, কোনো পক্ষই বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু রাখতে পারবেন না। যাতে সন্দেহ বা বিবাদ তৈরি না হয়। এ ছাড়া সৌদিকে বাধ্যতামূলকভাবে স্বামীর সঙ্গে সব ধরনের ডিভাইসের পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে হয় এবং তিনি স্বামীর সঙ্গে না থাকলে ২৪ ঘণ্টা লোকেশন ট্র্যাকিং চালু রাখতে হয়।

সৌদি বলেন, ‘আমাদের মাঝে কোনো গোপনীয়তা নেই। সব সময় লোকেশন অন থাকলে আমরা দুজনই জানি অন্যজন কোথায়, কী করছে।’
বাড়িতে রান্নাঘরে প্রবেশ নিষেধ
বিলাসী জীবনযাপনের আরেকটি অংশ হলো সৌদির কঠোর রুটিন। তিনি ঘরে রান্না করতে পারবেন না, এটিই স্বামীর শর্ত। তাঁর খাবারের ব্যবস্থা হয় রেস্টুরেন্টে বা ব্যক্তিগত শেফের মাধ্যমে। বাইরে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘরে থাকা সব সময় তাঁকে নিখুঁতভাবে সেজে থাকতে হয়। প্রতিদিন মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইল করতে পেশাদারদের সহায়তা নিতে হয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁকে সতর্ক থাকতে হয়, যেন স্বামী বা তাঁর পরিবারের প্রতি কোনো অসম্মানের ইঙ্গিত না থাকে।

বিলাসের বিনিময়ে
এই শর্তগুলোর বিনিময়ে সৌদি পেয়েছেন অঢেল সম্পদ ও বিলাসিতা। তাঁর সংগ্রহে আছে দামি হীরার গয়না, ডিজাইনার ব্যাগ, বিরল শিল্পকর্ম। স্বামী জামাল শুধু তাঁর স্বচ্ছন্দের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ কিনে দেন, যাতে সৌদি সমুদ্রে সাঁতার কাটতে বা বিকিনি পরতে গিয়ে কোনো তাঁকে দেখে ফেলার শঙ্কায় না থাকেন।
গর্ভধারণের আগে আর্থিক চুক্তি

সৌদি আরও জানান, সন্তান নেওয়ার আগে স্বামীর সঙ্গে একটি বিস্তারিত আর্থিক চুক্তি হয়। তাঁর দাবি ছিল, প্রতি সন্তান জন্মের জন্য ৩ লাখ ডলার এবং যমজ হলে ৬ লাখ ডলার দিতে হবে। শুধু টাকা নয়, এই তালিকায় আরও আছে—
সৌদি বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর আমার শরীরের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। তাই এই কষ্টের বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ পাওয়াটা ন্যায্য।’ প্রসবের পর পুরো সময় রাতের নার্স, ন্যানি এবং বিউটি টিম রাখাও স্বামীর দায়িত্ব ছিল।
সমালোচনা ও বিতর্ক
সৌদির এই স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে তাঁর বিলাসী শর্ত এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা না করাকে স্বার্থপরতা ও নির্ভরশীলতার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। সমালোচকদের দাবি, এমন সম্পর্ক নারী স্বাধীনতা ও পারস্পরিক সমতার ধারণার সঙ্গে বেমানান এবং এটি তরুণদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।
তবে আরেকটি পক্ষ সৌদির সিদ্ধান্তকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক যদি পরস্পরের সম্মতিতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তবে তা নৈতিকতার মানদণ্ডে বিচার করা উচিত নয়। কেউ বিলাসিতাকে অগ্রাধিকার দিলে এবং অন্যজন তা গ্রহণ করলে সেটি তাঁদের ব্যক্তিগত সমঝোতার বিষয়।
এক স্ত্রী নীতি দাবি
দুবাইয়ের আইনে একজন পুরুষ চারজন পর্যন্ত স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু সৌদি দাবি করেন, তিনি স্বামীর একমাত্র স্ত্রী। যদিও তিনি খোলাখুলিভাবে বলেন, ‘যদি কখনো আর কেউ আসে, তবে আমার জন্য আলাদা একটি প্রাসাদ লাগবে। আমি কারও সঙ্গে ঘর শেয়ার করব না।’
সূত্র: ডেইলি মেইল

দুবাইয়ের বিলাসী জীবন অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। ঠিক সেই স্বপ্নের জীবনেই ছিলেন ২৬ বছর বয়সী ব্রিটিশ নারী সৌদি আল নাদাক। ২০২০ সালে ব্যবসায়ী জামাল আল নাদাককে বিয়ে করার পর থেকে তাঁর আড়ম্বরপূর্ণ জীবনধারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। কিন্তু সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে তাঁর বিবাহের শর্তাবলি। চমকপ্রদ সেসব শর্ত আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিয়ের আগে থেকে ছিল ‘নিয়মের তালিকা’
সৌদি জানান, তাঁদের বিয়েতে দুজনের জন্যই কিছু কঠোর নিয়ম বেঁধে দেওয়া ছিল। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, কোনো পক্ষই বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু রাখতে পারবেন না। যাতে সন্দেহ বা বিবাদ তৈরি না হয়। এ ছাড়া সৌদিকে বাধ্যতামূলকভাবে স্বামীর সঙ্গে সব ধরনের ডিভাইসের পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে হয় এবং তিনি স্বামীর সঙ্গে না থাকলে ২৪ ঘণ্টা লোকেশন ট্র্যাকিং চালু রাখতে হয়।

সৌদি বলেন, ‘আমাদের মাঝে কোনো গোপনীয়তা নেই। সব সময় লোকেশন অন থাকলে আমরা দুজনই জানি অন্যজন কোথায়, কী করছে।’
বাড়িতে রান্নাঘরে প্রবেশ নিষেধ
বিলাসী জীবনযাপনের আরেকটি অংশ হলো সৌদির কঠোর রুটিন। তিনি ঘরে রান্না করতে পারবেন না, এটিই স্বামীর শর্ত। তাঁর খাবারের ব্যবস্থা হয় রেস্টুরেন্টে বা ব্যক্তিগত শেফের মাধ্যমে। বাইরে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘরে থাকা সব সময় তাঁকে নিখুঁতভাবে সেজে থাকতে হয়। প্রতিদিন মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইল করতে পেশাদারদের সহায়তা নিতে হয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁকে সতর্ক থাকতে হয়, যেন স্বামী বা তাঁর পরিবারের প্রতি কোনো অসম্মানের ইঙ্গিত না থাকে।

বিলাসের বিনিময়ে
এই শর্তগুলোর বিনিময়ে সৌদি পেয়েছেন অঢেল সম্পদ ও বিলাসিতা। তাঁর সংগ্রহে আছে দামি হীরার গয়না, ডিজাইনার ব্যাগ, বিরল শিল্পকর্ম। স্বামী জামাল শুধু তাঁর স্বচ্ছন্দের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ কিনে দেন, যাতে সৌদি সমুদ্রে সাঁতার কাটতে বা বিকিনি পরতে গিয়ে কোনো তাঁকে দেখে ফেলার শঙ্কায় না থাকেন।
গর্ভধারণের আগে আর্থিক চুক্তি

সৌদি আরও জানান, সন্তান নেওয়ার আগে স্বামীর সঙ্গে একটি বিস্তারিত আর্থিক চুক্তি হয়। তাঁর দাবি ছিল, প্রতি সন্তান জন্মের জন্য ৩ লাখ ডলার এবং যমজ হলে ৬ লাখ ডলার দিতে হবে। শুধু টাকা নয়, এই তালিকায় আরও আছে—
সৌদি বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর আমার শরীরের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। তাই এই কষ্টের বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ পাওয়াটা ন্যায্য।’ প্রসবের পর পুরো সময় রাতের নার্স, ন্যানি এবং বিউটি টিম রাখাও স্বামীর দায়িত্ব ছিল।
সমালোচনা ও বিতর্ক
সৌদির এই স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে তাঁর বিলাসী শর্ত এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা না করাকে স্বার্থপরতা ও নির্ভরশীলতার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। সমালোচকদের দাবি, এমন সম্পর্ক নারী স্বাধীনতা ও পারস্পরিক সমতার ধারণার সঙ্গে বেমানান এবং এটি তরুণদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।
তবে আরেকটি পক্ষ সৌদির সিদ্ধান্তকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক যদি পরস্পরের সম্মতিতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তবে তা নৈতিকতার মানদণ্ডে বিচার করা উচিত নয়। কেউ বিলাসিতাকে অগ্রাধিকার দিলে এবং অন্যজন তা গ্রহণ করলে সেটি তাঁদের ব্যক্তিগত সমঝোতার বিষয়।
এক স্ত্রী নীতি দাবি
দুবাইয়ের আইনে একজন পুরুষ চারজন পর্যন্ত স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু সৌদি দাবি করেন, তিনি স্বামীর একমাত্র স্ত্রী। যদিও তিনি খোলাখুলিভাবে বলেন, ‘যদি কখনো আর কেউ আসে, তবে আমার জন্য আলাদা একটি প্রাসাদ লাগবে। আমি কারও সঙ্গে ঘর শেয়ার করব না।’
সূত্র: ডেইলি মেইল

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আগোডার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্রমণ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ ভ্রমণে যাওয়ার আগে এআই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে তথ্য নিয়ে তারপর ভ্রমণে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন।
২৯ মিনিট আগে
মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে...
১৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

আমরা প্রায় সবাই জানি, গাজর চোখের জন্য ভালো এবং দুধ হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী। তবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খাবেন, তা নিয়ে অনেকের ধারণা নেই। বাস্তবতা হলো, মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউরোসায়েন্টিস্ট লিসা মোসকোনি বলেন, ‘খাবার আমাদের মস্তিষ্ক কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক পুষ্টির ওপর নির্ভরশীল। তাই শরীরের অন্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খেতে হবে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।’
শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত নতুন নিউরন তৈরি এবং বিকাশ লাভ করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্ক এত দ্রুত পরিবর্তন হয় যে এক শিশুর মস্তিষ্কে নিউরনের সংখ্যা মিল্কিওয়েতে থাকা তারার থেকে বেশি হতে পারে। এ জন্য শিশুদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে প্রোটিন, জিংক, আয়রন, কোলিন, ফলেট, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উল্লেখযোগ্য। এসব উপাদান শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে এবং বড়দের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বেরি
ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাসবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি বেরি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ফলগুলোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এগুলো মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং নিউরোট্রান্সমিটার (স্নায়ু সংকেত) তৈরিতে সাহায্য করে। আপনি বেরি দই বা চকলেটে ডুবিয়ে খেতে পারেন অথবা এগুলো দিয়ে সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন।

আলু
আলুতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সাহায্য করে, যা আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রাতে ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে। আলু একটি সহজ এবং পুষ্টিকর খাবার, যা শিশুদের খাবারে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
মিষ্টিআলু
মিষ্টিআলুতে থাকা প্রচুর ভিটামিন এই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। মিষ্টিআলু সরাসরি খেতে ভালো না লাগলে বেকড, ফ্রাই বা স্যুপে দিয়ে খেতে পারেন। এটি স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মাছ
মস্তিষ্কের প্রায় ৫০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। এই চর্বির মধ্যে ডোকোসাহেক্সেনিক অ্যাসিড বা ডিএইচএ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ এবং শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানির মাছ; যেমন স্যামন, মাকেরেল, সারডিন ইত্যাদি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান থাকে। এটি আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের একটি রাসায়নিক তৈরিতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তবে অতিরিক্ত চিনি ও ক্যালরি যুক্ত চকলেট থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ডিম
ডিমে কোলিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোলিন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে চিন্তা করার ক্ষমতা ও শেখার শক্তি বাড়ে এবং মনোযোগ বজায় রাখতে সহায়তা হয়। ডিম শিশুদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শুধু খাবার নয়, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোও জরুরি। শিশুদের জন্য খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদের কাছে পুষ্টিকর খাবারগুলো বিভিন্নভাবে তৈরি করে দিতে হবে। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদেরও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করতে হবে। মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ওপরের পুষ্টিকর খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে তা আপনার এবং আপনার পরিবারের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

আমরা প্রায় সবাই জানি, গাজর চোখের জন্য ভালো এবং দুধ হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী। তবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খাবেন, তা নিয়ে অনেকের ধারণা নেই। বাস্তবতা হলো, মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউরোসায়েন্টিস্ট লিসা মোসকোনি বলেন, ‘খাবার আমাদের মস্তিষ্ক কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক পুষ্টির ওপর নির্ভরশীল। তাই শরীরের অন্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খেতে হবে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।’
শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত নতুন নিউরন তৈরি এবং বিকাশ লাভ করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্ক এত দ্রুত পরিবর্তন হয় যে এক শিশুর মস্তিষ্কে নিউরনের সংখ্যা মিল্কিওয়েতে থাকা তারার থেকে বেশি হতে পারে। এ জন্য শিশুদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে প্রোটিন, জিংক, আয়রন, কোলিন, ফলেট, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উল্লেখযোগ্য। এসব উপাদান শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে এবং বড়দের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বেরি
ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাসবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি বেরি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ফলগুলোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এগুলো মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং নিউরোট্রান্সমিটার (স্নায়ু সংকেত) তৈরিতে সাহায্য করে। আপনি বেরি দই বা চকলেটে ডুবিয়ে খেতে পারেন অথবা এগুলো দিয়ে সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন।

আলু
আলুতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সাহায্য করে, যা আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রাতে ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে। আলু একটি সহজ এবং পুষ্টিকর খাবার, যা শিশুদের খাবারে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
মিষ্টিআলু
মিষ্টিআলুতে থাকা প্রচুর ভিটামিন এই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। মিষ্টিআলু সরাসরি খেতে ভালো না লাগলে বেকড, ফ্রাই বা স্যুপে দিয়ে খেতে পারেন। এটি স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মাছ
মস্তিষ্কের প্রায় ৫০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। এই চর্বির মধ্যে ডোকোসাহেক্সেনিক অ্যাসিড বা ডিএইচএ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ এবং শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানির মাছ; যেমন স্যামন, মাকেরেল, সারডিন ইত্যাদি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান থাকে। এটি আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের একটি রাসায়নিক তৈরিতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তবে অতিরিক্ত চিনি ও ক্যালরি যুক্ত চকলেট থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ডিম
ডিমে কোলিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোলিন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে চিন্তা করার ক্ষমতা ও শেখার শক্তি বাড়ে এবং মনোযোগ বজায় রাখতে সহায়তা হয়। ডিম শিশুদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শুধু খাবার নয়, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোও জরুরি। শিশুদের জন্য খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদের কাছে পুষ্টিকর খাবারগুলো বিভিন্নভাবে তৈরি করে দিতে হবে। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদেরও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করতে হবে। মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ওপরের পুষ্টিকর খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে তা আপনার এবং আপনার পরিবারের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আগোডার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্রমণ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ ভ্রমণে যাওয়ার আগে এআই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে তথ্য নিয়ে তারপর ভ্রমণে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন।
২৯ মিনিট আগে
প্রতি সন্তান জন্মের জন্য দিতে হবে ৩ লাখ ডলার এবং যমজ হলে ৬ লাখ ডলার। দিতে হবে একটি হীরার আংটি, নতুন গাড়ি, জরুরি খরচের জন্য ক্রেডিট কার্ড! বিয়ের শর্তে আছে, কোনো পক্ষই বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু রাখতে পারবেন না। স্বামীর সঙ্গে না থাকলে ২৪ ঘণ্টা লোকেশন ট্র্যাকিং চালু রাখতে হবে। বিয়ের এমন শর্ত কেউ দেখেছে কখনো?
১২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত ‘টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশনস ইনডেক্স ২০২৫’-এ ফ্রান্সের রাজধানী সেরা হয়েছে।
২০২৫ সাল প্যারিসের জন্য ছিল বেশ ব্যস্ত বছর। এ বছর নটর ডেম ক্যাথেড্রাল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যারিসের ফুটবল ক্লাব পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের জয় করে এ বছরেই। সেই ট্রফি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফুটবলভক্তদের ভিড় হয় প্যারিসে। সব মিলিয়ে পর্যটকদের আগমন ছিল ব্যাপক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পর্যটন নীতি, অবকাঠামো এবং প্রস্তুতির দিক থেকে এগিয়ে থাকায় শহরটি এই চাপ সামলাতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল।
ইউরো মনিটরের এই সূচকে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরের সামগ্রিক আকর্ষণীয় দিকগুলো মূল্যায়ন করা হয়। এর মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে পর্যটন ও অর্থনৈতিক কার্যকারিতা, টেকসই ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, অবকাঠামো ও পর্যটন নীতি।
এ বছরও তালিকায় ইউরোপ আধিপত্য বজায় রেখেছে। তালিকার শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ছয়টিই ইউরোপের। প্যারিসের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মাদ্রিদ। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রোম ও মিলান। সপ্তমে আমস্টারডাম আর অষ্টমে উঠে এসেছে বার্সেলোনার নাম।
অন্যদিকে, লন্ডন গত বছর টপ টেন থেকে ছিটকে ১৩তম হয়েছিল। এবার আরও নিচে নেমে জায়গা হয়েছে ১৮ নম্বরে। এর ওপরে ১৭ নম্বরে আছে হংকং এবং নিচে ১৯ নম্বরে কিয়োটো। পর্যটন অবকাঠামোর দিক থেকে লন্ডন বিশ্বে চতুর্থ হলেও নীতি, নিরাপত্তা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যটনে শীর্ষে ব্যাংকক
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের রাজধানীগুলো ভালো অবস্থানে রয়েছে তালিকায়। টোকিও রয়েছে তৃতীয় স্থানে, সিঙ্গাপুর নবম আর সিউল দশম। টোকিওর বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বড় বিনিয়োগের কারণে পর্যটন অবকাঠামো র্যাঙ্কিংয়েও শহরটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। নারিতা এয়ারপোর্টে নতুন রানওয়ে এবং দ্বিতীয় রানওয়ের সম্প্রসারণ—সব মিলিয়ে ২০৩৯ সালের মধ্যে যাত্রী ধারণক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা চলছে জাপানে।
আমেরিকা মহাদেশ থেকে শীর্ষ ১০-এর একমাত্র শহর নিউইয়র্ক। এর অবস্থান তালিকার ৬ নম্বরে। লস অ্যাঞ্জেলেস পাঁচ ধাপ এগিয়ে এখন ১৩তম অবস্থানে। পর্যটন পারফরম্যান্সের দিক থেকে বিশ্বে সবার ওপরে আছে অরল্যান্ডো। দেশীয় পর্যটনের বড় চাপ, ইউনিভার্সাল অরল্যান্ডোর নতুন ‘এপিক ইউনিভার্স’ থিম পার্ক, সি ওয়ার্ল্ড ও ডিজনি ওয়ার্ল্ডের বড় উন্নয়ন মিলিয়ে অরল্যান্ডো ছিল চলতি বছরের অন্যতম আকর্ষণ।
আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমনের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ব্যাংকক। ইউরো মনিটরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর শহরটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে হংকং। এর পর্যটক সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি ৩২ লাখ। ২ কোটি ২৭ লাখ পর্যটক নিয়ে তৃতীয় লন্ডন এবং প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ পর্যটক নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে জুয়ার নগরী ম্যাকাউ।
২০২৫ সালে পর্যটন প্রবণতায় বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরগুলো এখন শুধু দর্শনার্থীর সংখ্যা নয়, এর সঙ্গে তাদের থাকার মেয়াদ, ব্যয় এবং স্থানীয় পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
নিরাপত্তা চাহিদা, বাড়তি ভ্রমণ, অতিরিক্ত ভিড় এবং মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক দেশ নতুন প্রবেশ ফি, ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ব্যবস্থা এবং আরও কড়াকড়ি নীতি বাস্তবায়ন করছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ভিসা ও ভ্রমণ ফি বাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও আগামী বছর নতুন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে। জাপান ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন ভিসা ফি ও ই-অথরাইজেশন ব্যবস্থা চালুর কথা বিবেচনা করছে।
ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনালের ২০২৫ সালের শীর্ষ ১০ সিটি ডেস্টিনেশন
১. প্যারিস
২. মাদ্রিদ
৩. টোকিও
৪. রোম
৫. মিলান
৬. নিউইয়র্ক
৭. আমস্টারডাম
৮. বার্সেলোনা
৯. সিঙ্গাপুর
১০. সিউল
২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যার ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ শহর
১. ব্যাংকক (৩ কোটি ৩ লাখ)
২. হংকং (২ কোটি ৩২ লাখ)
৩. লন্ডন (২ কোটি ২৭ লাখ)
৪. ম্যাকাউ (২ কোটি ৪ লাখ)
৫. ইস্তাম্বুল (১ কোটি ৯৭ লাখ)
৬. দুবাই (১ কোটি ৯৫ লাখ)
৭. মক্কা (১ কোটি ৮৭ লাখ)
৮. আনাতোলিয়া (১ কোটি ৮৬ লাখ)
৯. প্যারিস (১ কোটি ৮৩ লাখ)
১০. কুয়ালালামপুর (১ কোটি ৭৩ লাখ)
সূত্র: সিএনএন

বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত ‘টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশনস ইনডেক্স ২০২৫’-এ ফ্রান্সের রাজধানী সেরা হয়েছে।
২০২৫ সাল প্যারিসের জন্য ছিল বেশ ব্যস্ত বছর। এ বছর নটর ডেম ক্যাথেড্রাল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যারিসের ফুটবল ক্লাব পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের জয় করে এ বছরেই। সেই ট্রফি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফুটবলভক্তদের ভিড় হয় প্যারিসে। সব মিলিয়ে পর্যটকদের আগমন ছিল ব্যাপক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পর্যটন নীতি, অবকাঠামো এবং প্রস্তুতির দিক থেকে এগিয়ে থাকায় শহরটি এই চাপ সামলাতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল।
ইউরো মনিটরের এই সূচকে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরের সামগ্রিক আকর্ষণীয় দিকগুলো মূল্যায়ন করা হয়। এর মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে পর্যটন ও অর্থনৈতিক কার্যকারিতা, টেকসই ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, অবকাঠামো ও পর্যটন নীতি।
এ বছরও তালিকায় ইউরোপ আধিপত্য বজায় রেখেছে। তালিকার শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ছয়টিই ইউরোপের। প্যারিসের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মাদ্রিদ। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রোম ও মিলান। সপ্তমে আমস্টারডাম আর অষ্টমে উঠে এসেছে বার্সেলোনার নাম।
অন্যদিকে, লন্ডন গত বছর টপ টেন থেকে ছিটকে ১৩তম হয়েছিল। এবার আরও নিচে নেমে জায়গা হয়েছে ১৮ নম্বরে। এর ওপরে ১৭ নম্বরে আছে হংকং এবং নিচে ১৯ নম্বরে কিয়োটো। পর্যটন অবকাঠামোর দিক থেকে লন্ডন বিশ্বে চতুর্থ হলেও নীতি, নিরাপত্তা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যটনে শীর্ষে ব্যাংকক
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের রাজধানীগুলো ভালো অবস্থানে রয়েছে তালিকায়। টোকিও রয়েছে তৃতীয় স্থানে, সিঙ্গাপুর নবম আর সিউল দশম। টোকিওর বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বড় বিনিয়োগের কারণে পর্যটন অবকাঠামো র্যাঙ্কিংয়েও শহরটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। নারিতা এয়ারপোর্টে নতুন রানওয়ে এবং দ্বিতীয় রানওয়ের সম্প্রসারণ—সব মিলিয়ে ২০৩৯ সালের মধ্যে যাত্রী ধারণক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা চলছে জাপানে।
আমেরিকা মহাদেশ থেকে শীর্ষ ১০-এর একমাত্র শহর নিউইয়র্ক। এর অবস্থান তালিকার ৬ নম্বরে। লস অ্যাঞ্জেলেস পাঁচ ধাপ এগিয়ে এখন ১৩তম অবস্থানে। পর্যটন পারফরম্যান্সের দিক থেকে বিশ্বে সবার ওপরে আছে অরল্যান্ডো। দেশীয় পর্যটনের বড় চাপ, ইউনিভার্সাল অরল্যান্ডোর নতুন ‘এপিক ইউনিভার্স’ থিম পার্ক, সি ওয়ার্ল্ড ও ডিজনি ওয়ার্ল্ডের বড় উন্নয়ন মিলিয়ে অরল্যান্ডো ছিল চলতি বছরের অন্যতম আকর্ষণ।
আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমনের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ব্যাংকক। ইউরো মনিটরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর শহরটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে হংকং। এর পর্যটক সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি ৩২ লাখ। ২ কোটি ২৭ লাখ পর্যটক নিয়ে তৃতীয় লন্ডন এবং প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ পর্যটক নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে জুয়ার নগরী ম্যাকাউ।
২০২৫ সালে পর্যটন প্রবণতায় বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরগুলো এখন শুধু দর্শনার্থীর সংখ্যা নয়, এর সঙ্গে তাদের থাকার মেয়াদ, ব্যয় এবং স্থানীয় পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
নিরাপত্তা চাহিদা, বাড়তি ভ্রমণ, অতিরিক্ত ভিড় এবং মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক দেশ নতুন প্রবেশ ফি, ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ব্যবস্থা এবং আরও কড়াকড়ি নীতি বাস্তবায়ন করছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ভিসা ও ভ্রমণ ফি বাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও আগামী বছর নতুন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে। জাপান ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন ভিসা ফি ও ই-অথরাইজেশন ব্যবস্থা চালুর কথা বিবেচনা করছে।
ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনালের ২০২৫ সালের শীর্ষ ১০ সিটি ডেস্টিনেশন
১. প্যারিস
২. মাদ্রিদ
৩. টোকিও
৪. রোম
৫. মিলান
৬. নিউইয়র্ক
৭. আমস্টারডাম
৮. বার্সেলোনা
৯. সিঙ্গাপুর
১০. সিউল
২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যার ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ শহর
১. ব্যাংকক (৩ কোটি ৩ লাখ)
২. হংকং (২ কোটি ৩২ লাখ)
৩. লন্ডন (২ কোটি ২৭ লাখ)
৪. ম্যাকাউ (২ কোটি ৪ লাখ)
৫. ইস্তাম্বুল (১ কোটি ৯৭ লাখ)
৬. দুবাই (১ কোটি ৯৫ লাখ)
৭. মক্কা (১ কোটি ৮৭ লাখ)
৮. আনাতোলিয়া (১ কোটি ৮৬ লাখ)
৯. প্যারিস (১ কোটি ৮৩ লাখ)
১০. কুয়ালালামপুর (১ কোটি ৭৩ লাখ)
সূত্র: সিএনএন

‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১১ আগস্ট ২০২৫
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আগোডার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্রমণ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ ভ্রমণে যাওয়ার আগে এআই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে তথ্য নিয়ে তারপর ভ্রমণে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন।
২৯ মিনিট আগে
প্রতি সন্তান জন্মের জন্য দিতে হবে ৩ লাখ ডলার এবং যমজ হলে ৬ লাখ ডলার। দিতে হবে একটি হীরার আংটি, নতুন গাড়ি, জরুরি খরচের জন্য ক্রেডিট কার্ড! বিয়ের শর্তে আছে, কোনো পক্ষই বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু রাখতে পারবেন না। স্বামীর সঙ্গে না থাকলে ২৪ ঘণ্টা লোকেশন ট্র্যাকিং চালু রাখতে হবে। বিয়ের এমন শর্ত কেউ দেখেছে কখনো?
১২ ঘণ্টা আগে
মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে...
১৬ ঘণ্টা আগে