Ajker Patrika

মেটা কানেক্ট সম্মেলনে তিন স্মার্ট চশমাসহ যেসব ঘোষণা দিলেন জাকারবার্গ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেটার স্মার্ট চশমার আয় বছরে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ছবি: ফিউচার
মেটার স্মার্ট চশমার আয় বছরে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ছবি: ফিউচার

আজ ভোরে শুরু হয়েছে সিলিকন ভ্যালীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘মেটা কানেক্ট ২০২৫ ’। মার্ক জাকারবার্গের কিনোট বা মূল বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে মেটার পরিকল্পনা তুলে ধরেন জাকারবার্গ। এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে মেটার তিনটি নতুন স্মার্ট গ্লাস এবং এআইভিত্তিক নতুন কিছু ফিচার।

এই নতুন স্মার্ট চশমাগুলো ব্যবহারকারীদের ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানোর পরিবর্তে সরাসরি এআই প্রযুক্তি, মেসেজ, ছবি এবং অনলাইন জীবনের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দেবে।

জাকারবার্গ বলেন, ‘চশমা হল ব্যক্তিগত সুপার ইন্টেলিজেন্সের আদর্শ ফর্ম ফ্যাক্টর। কারণ এটি আপনাকে বর্তমানে উপস্থিত থাকতে দেয় এবং একই সঙ্গে এআই ক্ষমতা ব্যবহার করে বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে, ভালো যোগাযোগ করতে, স্মৃতি ও ইন্দ্রিয় উন্নত করতে সাহায্য করে।’

স্মার্ট চশমা এখনো বেশ নিস্তেজ পণ্য হলেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মেটার অংশীদার ‘রে-ব্যান’ এর মূল প্রতিষ্ঠান এসিলরলুক্সোটিকা জানিয়েছে, মেটার স্মার্ট চশমার আয় বছরে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। তারা ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ১ কোটি চশমা উৎপাদনের লক্ষ্য রাখছে।

মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ জানান, মেটার স্মার্ট চশমার বিক্রির প্রবণতা সবচেয়ে জনপ্রিয় কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সগুলোর মতোই।

যদিও মেটা স্মার্ট চশমার বাজারে আগে এসেছে, গুগল, স্যামসাং, স্ন্যাপ এবং সম্ভাব্য আমাজন এর মতো বড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্রমেই এই খাতে প্রবেশ করায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে।

মেটা রে-ব্যান ডিসপ্লে চশমা

এবারের সম্মেলনের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবন এটি। গুগল গ্লাসের ব্যর্থতার পর এটিই প্রথম কোনো বড় ব্র্যান্ডের স্মার্ট গ্লাস, যাতে একটি হেডস-আপ ডিসপ্লে (HUD) রয়েছে।

মেটা বলেছে, রে-ব্যান স্মার্ট চশমাগুলো ‘আপনি যা দেখছেন এবং শোনাচ্ছেন তা দেখতে এবং শুনতে পারে।’ এবার নতুন রেই-ব্যান ডিসপ্লেতে ডান লেন্সের ভেতরে একটি ছোট ডিসপ্লে রয়েছে, যা শুধু ব্যবহারকারী দেখতে পায়।

ফোনের স্ক্রিনে যা করা যায়, তাই এর ডিসপ্লেতে করা সম্ভব। যেমন: মেসেজ দেখা ও পাঠানো, ছবি–ভিডিও ধারণ ও রিভিউ, ইনস্টাগ্রাম রিল দেখা, ভিডিও কল করা যেখানে কলের অন্য প্রান্তের মানুষকে দেখা যাবে।

নেভিগেশন ফিচার দিয়ে চলাফেরার সময় রিয়েল-টাইম ম্যাপ দেখা যাবে। লাইভ ক্যাপশন ও অনুবাদ সুবিধা দেওয়া হয়েছে যা কথোপকথন চলাকালীন কথাগুলো দেখাবে এবং সেই ক্যাপশনগুলো মেটা এআই অ্যাপে সংরক্ষণ হবে।

ব্যবহারকারীরা মেটা এআই অ্যাসিস্ট্যান্টকে প্রশ্ন করতে পারবে, যার উত্তর ডিসপ্লেতে তথ্য প্যানেল হিসেবে দেখানো হবে এবং অডিও আকারেও পাওয়া যাবে।

আগের মডেলগুলো শুধুমাত্র ভয়েস কমান্ডে কাজ করত, এবার ‘নিউরাল’ রিস্টব্যান্ডের মাধ্যমে হাতের বিভিন্ন ইশারায় নিয়ন্ত্রণের সুবিধা এসেছে। যেমন: বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী আঙুল একসঙ্গে ট্যাপ করলে মিউজিক চালু হবে।

ডিসপ্লেটি কেবলমাত্র ব্যবহারকারীই দেখতে পারে, যা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করে। তবে এটি মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর মুহূর্ত সৃষ্টি করতে পারে যখন অন্যরা বুঝতে পারবে না আপনি কথোপকথনের মাঝে টেক্সট পড়ছেন। ব্যবহারকারী চাইলে ডিসপ্লে বন্ধ করে সাধারণ চশমার মতো ব্যবহার করতে পারবেন।

জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা এমন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ডিজাইন করি যা শক্তিশালী টুল যখন দরকার তখন পাওয়া যায় এবং যখন দরকার না তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে যায়।’

গুগলের ২০১৩ সালের গুগল গ্লাসের ব্যর্থতার পর প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। ডিসপ্লেগুলো দেখতে স্বাভাবিক চশমার মতো হলেও একটু ভারী।

একবার চার্জে ডিসপ্লে ৬ ঘণ্টা চলবে, চার্জিং কেসে ৩০ ঘণ্টার অতিরিক্ত শক্তি আছে। রিস্টব্যান্ডের ব্যাটারি ১৮ ঘণ্টা চলে এবং এটি পানি প্রতিরোধী।

মেটা রেই-ব্যান ডিসপ্লে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭৯৯ ডলারে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নির্বাচিত স্টোরে বিক্রি শুরু হবে। যেমন: ভেরিজন, লেন্সক্রাফটার, রেই-ব্যান ও বেস্ট বাই।

রেই-ব্যান মেটা জেন ২

এই স্মার্ট চশমা দেখতে আগের মতো হলেও রং, ব্যাটারি লাইফ ও ক্যামেরা আপডেট করা হয়েছে। ব্যাটারি লাইফ এখন ৮ ঘণ্টা এবং চার্জিং কেস ৪৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত শক্তি দেয়।

স্মার্ট চশমাটি ৩কে মানের ভিডিও ধারণ ক্ষমতা আছে, এই শরতে স্লো মোশন ও হাইপারল্যাপস ভিডিওর আপডেট আসবে। একটি নতুন ‘কনভারসেশন ফোকাস’ ফিচার আনা হয়েছে, যা কোলাহল পূর্ণ জায়গায় কথোপকথন সহজ করবে, চশমার ওপেন-ইয়ার স্পিকার অন্য ব্যক্তির কণ্ঠকে তীব্র করবে।

স্মার্ট চশমার এই প্রযুক্তি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয়। সম্মেলনে পণ্যটির বিভিন্ন ফিচার দেখানোর সময় ওয়াইফাই–এর সঙ্গে ঠিকমতো যুক্ত হতে পারেনি চশমাটি। ফলে মেটা এআই সঠিকভাবে কাজ করেনি, আর ভিডিও কল ধরার বাটন ডিসপ্লেতে দেখানো হয়নি। এই চশমার মূল্য ৩৭৯ ডলার।

মেটা ওকলি ভ্যাংগার্ড স্পোর্টস চশমা

খেলাধুলা ও ঘরের বাইরে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এই চশমা ব্যবহারের উপযোগী। জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ট্রাভা ও গারমিন কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে চশমাটি ব্যায়ামের তথ্য দেয়।

মেটা এআই অ্যাপে ‘ওয়ার্কআউটস’ সেকশন থাকবে। এই সেকশনে ব্যায়ামের বিস্তারিত তথ্য, ছবি, ভিডিও ও এআই সারাংশ দেখাবে। এই চশমায় বড় ও জোরালো স্পিকার ব্যবহার রয়েছে। এর ব্যাটারি লাইফ প্রায় ৯ ঘণ্টা। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য চশমার নিচের প্রান্তে বোতাম দেওয়া হয়েছে। ফলে হেলমেট পড়ে থাকলেও এটি সহজে ব্যবহার করা যাবে।

পানি ও ধুলা প্রতিরোধী, ক্যামেরা নাক বরাবর থাকবে। ফলে চশমাটি ব্যবহারকারীর সামনে যা আছে তা আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে ও ৩কে ভিডিও ধারণ করতে পারবে।

জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি সেগুলো নিয়ে সার্ফিং করেছি, ভালোই ছিল।’ মেটা ওকলি ভ্যাংগার্ড স্পোর্টস চশমার মূল্য ৪৯৯ ডলার।

এআই এবং মেটাভার্সের অগ্রগতি

স্মার্ট গ্লাসের পাশাপাশি মেটা তাদের এআই এবং মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মেও বড় কিছু পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে—

মেটা হরাইজন স্টুডিও: এটি একটি নতুন এডিটর, যা নির্মাতাদের জন্য এআই ব্যবহার করে সহজে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরির সুবিধা দেবে।

হরাইজন টিভি: কোয়েস্ট হেডসেট ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন বিনোদন কেন্দ্র। এখানে ব্যবহারকারীরা সিনেমা, শো এবং লাইভ স্পোর্টস দেখতে পারবেন, যা মেটাভার্স অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ১০ রুটি

ফিচার ডেস্ক
বোলানি, আফগানিস্তান। ছবি: উইকিপিডিয়া
বোলানি, আফগানিস্তান। ছবি: উইকিপিডিয়া

রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।

‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।

পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।

এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।

বোলানি, আফগানিস্তান

আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।

লাভাশ, আর্মেনিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া
লাভাশ, আর্মেনিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া

লাভাশ, আর্মেনিয়া

আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

লুচি, বাংলাদেশ। ছবি: উইকিপিডিয়া
লুচি, বাংলাদেশ। ছবি: উইকিপিডিয়া

লুচি, বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।

শাওবিং, চীন। ছবি: উইকিপিডিয়া
শাওবিং, চীন। ছবি: উইকিপিডিয়া

শাওবিং, চীন

চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।

পরোটা, ভারত। ছবি: উইকিপিডিয়া
পরোটা, ভারত। ছবি: উইকিপিডিয়া

পরোটা, ভারত

ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।

গামবাং, ইন্দোনেশিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া

গামবাং, ইন্দোনেশিয়া

জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।

সানগাক, ইরান। ছবি: উইকিপিডিয়া
সানগাক, ইরান। ছবি: উইকিপিডিয়া

সানগাক, ইরান

ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।

কারে পান, জাপান। ছবি: উইকিপিডিয়া
কারে পান, জাপান। ছবি: উইকিপিডিয়া

কারে পান, জাপান

জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।

আপ্পম, শ্রীলঙ্কা। ছবি: উইকিপিডিয়া
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা। ছবি: উইকিপিডিয়া

আপ্পম, শ্রীলঙ্কা

চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।

মালাওয়াচ, ইয়েমেন। ছবি: উইকিপিডিয়া
মালাওয়াচ, ইয়েমেন। ছবি: উইকিপিডিয়া

মালাওয়াচ, ইয়েমেন

মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।

হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।

সূত্র: সিএনএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হেমন্তের সকালে দুধ লাউ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
দুধ লাউ।
দুধ লাউ।

রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।

দুধ লাউয়ের সঙ্গে রাখুন ফুলকো লুচি।
দুধ লাউয়ের সঙ্গে রাখুন ফুলকো লুচি।

প্রণালি

লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ১৮
আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেম জীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধাবেন না যেন!

বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।

মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!

কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।

সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।

কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!

তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।

বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।

ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!

মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!

কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!

মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ করে যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুলে তেল মাখলে কী করবেন ও কী করবেন না

সানজিদা সামরিন, ঢাকা 
তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। মডেল: সুমাইয়া, ছবি: মঞ্জু আলম
তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। মডেল: সুমাইয়া, ছবি: মঞ্জু আলম

শত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে আপনি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার ওপর। চুলের তেল মাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলবেন ও যা বর্জন করতে হবে, তা জেনে নিন।

যা করবেন

সঠিক তেল নির্বাচন করুন

চুলের যত্নে সঠিক তেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে। প্রতিটি তেলই আবার গুণের দিক থেকে আলাদা। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল বেছে নিতে হবে, তা আগে বুঝতে হবে। যেমন নারকেল ডিপ ক্লিনজিংয়ের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে আরগান তেল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়, পেঁয়াজের তেল চুল গজাতে ও বড় করতে সহায়তা করে। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল ব্যবহার করতে হবে, সেটা বুঝে তেল বাছাই করুন।

মাথার ত্বকের ধরন অনুসারে সঠিক তেল নির্বাচন করুন। ছবি: পেক্সেলস
মাথার ত্বকের ধরন অনুসারে সঠিক তেল নির্বাচন করুন। ছবি: পেক্সেলস

মাথার ত্বক, চুলের দৈর্ঘ্য ও ডগায় তেল দিন

চুলে তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখুন। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলই পাবে। চুল ফিরে পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও কোমলতা।

আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন

মাথার ত্বকে তেল দিয়ে আঙুলের ডগার সাহায্যে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আপনার মাথার ত্বকে নখের আঁচড় যেন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে শুষে নিতে পারবে। চুলেও ছড়িয়ে পড়বে জেল্লা।

চুলে তেল মেখে কয়েক ঘণ্টা রাখুন

চুলে তেল মাখার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রাখতে পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। চুল যদি খুব বেশি শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিলেই চুল মসৃণ দেখাবে।

যা করবেন না

অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন

অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমার আশঙ্কা থাকে। আর এই ময়লা থেকেই হতে পারে সংক্রমণ। কারণ অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে শ্যাম্পু করে যদি বাড়তি তেল তুলে ফেলা না যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ধুলাবালু ও দূষণ খুব সহজেই চুলে আটকে থাকে। এর ফল কিন্তু ভালো হয় না।

তৈলাক্ত চুলে বেশিক্ষণ তেল রাখবেন না

যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই তৈলাক্ত, তাঁরা দীর্ঘক্ষণ চুলে তেল রাখলে ভালোর পরিবর্তে খারাপই হতে পারে। এতে করে মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ও ব্যবহৃত তেল জমা হয়ে ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। এতে খুশকি ও চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল জমা হলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।

চুল ধুতে গরম পানি ব্যবহার করবেন না

অনেকের ধারণা, চুলে তেল মাখার পর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে সহজে তেল অপসারিত হয়। কিন্তু চুলে কেবল ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। তাতে চুল হয়ে উঠতে পারে অতিরিক্ত শুষ্ক।

অতিরিক্ত সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না

সোডিয়াম লরেল সালফেট ও সোডিয়াম লরেথ সালফেট, সাধারণত এই দুই ধরনের সালফেট শ্যাম্পু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু করার সময় যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ সালফেট রয়েছে। মাথার ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে পারলেও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এ সালফেট ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠার জন্যও এটি দায়ী। এ ছাড়া, চড়া গন্ধযুক্ত ও ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো। ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব বা কোনো সংক্রমণ থাকলে এই রাসায়নিকনির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো মাথার ত্বকে তেল মেখে উপকার পাওয়া যাবে না।

এসব নিয়ম মেনে যদি তেল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে, চুলও হয়ে উঠবে ঝলমলে।

সূত্র: হেলথলাইন, স্কিনক্র‍্যাফট ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত