ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আর বাঙালির উৎসব মানেই খাবারদাবার; সে কথা না বললেও চলে। সেই মানসিকতা, ‘এক দিন খেলে কিছু হয় না’। কিন্তু তেলে ভাজা আর ঘিয়ে রান্না খাবার এক দিন খেলেও যে সমস্যা হতে পারে, তা আমাদের মনে থাকে না। সুস্থ শরীরে উৎসব উদ্যাপন করতে হলে পরিমিত খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি মানতেই হবে। নইলে সমূহ বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
দুর্গাপূজায়; বিশেষ করে লুচি খাওয়ার প্রচলন বেশি। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। এর বাইরে বিজয়া দশমীর মাংস-পোলাও আর বিরিয়ানি তো আছেই। ফলে খাবারের আয়োজন নেহাত কম নয়। আর এগুলো আপনাকে অসুস্থ করতে পারে খুব সহজে।
বলে রাখা ভালো, শারীরিক সমস্যা বা বিশেষ করে নির্দিষ্ট কোনো রোগের জন্য নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ না থাকলে সব খাবার খাওয়া যেতে পারে পরিমিত। ডুব তেলে ভাজা লুচি খাওয়ার প্রবণতা যেহেতু বেশি থাকে, এ বিষয়ে বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের সতর্কতার বিকল্প নেই। একটি বা দুটি লুচি সবজি বা ডাল দিয়ে খাওয়া অন্যায় নয়; কিন্তু ফুলকো লুচির প্রেমে পরে ‘গন্ডা’ হিসাব করে লুচি খাওয়া যাবে না। ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। কারণ, এই খাবারগুলোতে ক্যালরি ও ট্রান্সফ্যাট বেশি থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায় তেল বারবার ব্যবহারের কারণে এটি বিষাক্ত হয়ে যায় এবং এতে থাকা ট্রান্সফ্যাট খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বাড়ায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল কমায়, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণে লুচি খেলে দ্রুত রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এর জন্য হতে পারে বুকে জ্বালাপোড়া, পেট ভারী হয়ে অস্বস্তিকর অবস্থা।
লুচির সঙ্গে সাধারণত খাওয়া হয় বুটের ডাল কিংবা সবজি। সেসবেও অতিরিক্ত তেল-ঝাল ও মসলার ব্যবহার না করাই ভালো। লুচি আর ডাল বা সবজি মিলে একটা ‘প্যাকেজ’, বিশেষ করে সকালের খাবারে। ফলে খাবারটা সাবধানেই খাওয়া উচিত। নইলে সারা দিন বিফলে যেতে পারে।
পূজার আরেকটা জনপ্রিয় খাবার হলো মিষ্টি। কী নেই তাতে! নারকেলের নাড়ু, রসগোল্লা, বুন্দিয়া থেকে পায়েস—সব মিষ্টি খাবারই হাজির থাকে হাতের নাগালে। শিশুদের তাতে উৎসব আরও বেড়ে গেলেও বড়দের; বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের সতর্কতার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে ‘এক দিন খেলে কিছু হয় না’ জাতীয় কথাবার্তায় মন দেওয়া যাবে না। তাতে নিজের উৎসব তো মাটি হবেই, সঙ্গে পরিবারের মানুষদের উৎসবও পণ্ড হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করে, একজন মানুষের দিনে ১ থেকে ২ চামচ (১০-২০ গ্রাম) চিনি খাওয়া উচিত। চিনি খাওয়া বলতে বোঝায়, খাবার বা পানীয়তে যোগ করা চিনি, যেমন, মিষ্টি, পায়েস, চা-কফিতে চিনি ইত্যাদি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা চিনি, যেমন সফট ড্রিংক, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি। এদিকে একটি মাঝারি আকারের রসগোল্লায় ১৫ থেকে ২০ গ্রাম চিনি থাকে। এক কাপ চিনিযুক্ত পায়েসেও সমপরিমাণ চিনি থাকে। তাই একটি মিষ্টি বা এক কাপ পরিমাণ পায়েস খেলে বাকি দিন চিনির পরিমাণ কমিয়ে রাখুন। লুচি বা মাংসের সঙ্গে প্রচুর সবজি, সালাদ বা শসার মতো কাঁচা খাবার খান। এতে আঁশ পাওয়া যাবে, যা হজমে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর সঙ্গে ডাল, পনির বা ছানার তরকারি রাখুন খাদ্যতালিকায়। এগুলো পুষ্টিকর এবং কম খেয়েও পেট ভর্তি রাখবে। খাওয়ার সময় ও পরে প্রচুর পানি পান করুন। লেবু পানি বা গ্রিন টি হজমে সহায়ক হতে পারে। আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র।
ডায়াবেটিসের রোগী বা যেকোনো কারণে যাঁদের মিষ্টি খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে, তাঁদের মিষ্টি না খাওয়াই ভালো। তবে একান্ত খেতে চাইলে কম মিষ্টিযুক্ত বা মিষ্টি মুক্ত (সুইট ফ্রি) মিষ্টি এক-আধটা খেতে পারেন; তবে বেশি খাওয়া চলবে না। চিনি ছাড়াও পায়েস রান্না করা যায়, সেটা খাওয়া যেতে পারে। আর মিষ্টির পরিমাণ কমাতে গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, পায়েসে দুধ থাকে। যাঁদের গরুর দুধ বা সেই দুধ দিয়ে তৈরি খাবার খেলে সমস্যা হয় বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট আছে বা দুধ হজম করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়, তাঁদের পায়েস না খাওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে গুঁড়া দুধের পায়েস রান্না করা যেতে পারে।
নাড়ু খাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হলো নারকেল, চিনি ও তেল বা ঘি। এই উপকরণগুলো দিয়ে নাড়ু তৈরি হয়। এটি উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিযুক্ত খাবার। এটি বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া, উচ্চ কোলেস্টেরল ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়ার আশঙ্কা আছে। আবার নারকেলের প্রতি অ্যালার্জি আছে এমন মানুষের ক্ষেত্রেও এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। নারকেলে থাকে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম। যাঁদের কিডনি-সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এবার আসা যাক দশমীর খাবারে। দুর্গাপূজার অন্যান্য দিন নিরামিষ খাওয়া হলেও দশমীর তিথি শেষ হওয়ার পর আমিষ খাবারের আয়োজন হয়ে থাকে। সেদিন মাংস ও মাছ খাওয়ার প্রচলন আছে ব্যাপকভাবে।
খাসির মাংস রেড মিট গোত্রভুক্ত। ফলে এতে থাকে উচ্চ ক্যালরি, প্রোটিন ও অন্যান্য উপাদান। প্রতি ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম খাসির মাংসে থাকে ১২২ ক্যালরি, প্রোটিন থাকে ২৩ গ্রাম, চর্বি থাকে ২ দশমিক ৬ গ্রাম। ফলে এটি উচ্চ ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার। খাসির মাংস খাওয়ার প্রধান স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে—
এক দিন বেশি পরিমাণে খাসির মাংস খেলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি, ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি এবং হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
মাংসের বদলে মাছ বেশ নিরাপদ খাবার। তবে মনে রাখতে হবে, মাছ বেশি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বড় আঁশের মাছও খেতে হবে পরিমিত।
উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ খাবার। তাই উৎসব নিরাপদ করতে বুঝেশুনে খাবার খাওয়া উচিত।
সূত্র: হেলথ লাইন, এফডিসি ডট এনএএল ডট ইউএসডিএ ডট জিওভি
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আর বাঙালির উৎসব মানেই খাবারদাবার; সে কথা না বললেও চলে। সেই মানসিকতা, ‘এক দিন খেলে কিছু হয় না’। কিন্তু তেলে ভাজা আর ঘিয়ে রান্না খাবার এক দিন খেলেও যে সমস্যা হতে পারে, তা আমাদের মনে থাকে না। সুস্থ শরীরে উৎসব উদ্যাপন করতে হলে পরিমিত খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি মানতেই হবে। নইলে সমূহ বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
দুর্গাপূজায়; বিশেষ করে লুচি খাওয়ার প্রচলন বেশি। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। এর বাইরে বিজয়া দশমীর মাংস-পোলাও আর বিরিয়ানি তো আছেই। ফলে খাবারের আয়োজন নেহাত কম নয়। আর এগুলো আপনাকে অসুস্থ করতে পারে খুব সহজে।
বলে রাখা ভালো, শারীরিক সমস্যা বা বিশেষ করে নির্দিষ্ট কোনো রোগের জন্য নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ না থাকলে সব খাবার খাওয়া যেতে পারে পরিমিত। ডুব তেলে ভাজা লুচি খাওয়ার প্রবণতা যেহেতু বেশি থাকে, এ বিষয়ে বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের সতর্কতার বিকল্প নেই। একটি বা দুটি লুচি সবজি বা ডাল দিয়ে খাওয়া অন্যায় নয়; কিন্তু ফুলকো লুচির প্রেমে পরে ‘গন্ডা’ হিসাব করে লুচি খাওয়া যাবে না। ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। কারণ, এই খাবারগুলোতে ক্যালরি ও ট্রান্সফ্যাট বেশি থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায় তেল বারবার ব্যবহারের কারণে এটি বিষাক্ত হয়ে যায় এবং এতে থাকা ট্রান্সফ্যাট খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বাড়ায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল কমায়, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণে লুচি খেলে দ্রুত রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এর জন্য হতে পারে বুকে জ্বালাপোড়া, পেট ভারী হয়ে অস্বস্তিকর অবস্থা।
লুচির সঙ্গে সাধারণত খাওয়া হয় বুটের ডাল কিংবা সবজি। সেসবেও অতিরিক্ত তেল-ঝাল ও মসলার ব্যবহার না করাই ভালো। লুচি আর ডাল বা সবজি মিলে একটা ‘প্যাকেজ’, বিশেষ করে সকালের খাবারে। ফলে খাবারটা সাবধানেই খাওয়া উচিত। নইলে সারা দিন বিফলে যেতে পারে।
পূজার আরেকটা জনপ্রিয় খাবার হলো মিষ্টি। কী নেই তাতে! নারকেলের নাড়ু, রসগোল্লা, বুন্দিয়া থেকে পায়েস—সব মিষ্টি খাবারই হাজির থাকে হাতের নাগালে। শিশুদের তাতে উৎসব আরও বেড়ে গেলেও বড়দের; বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের সতর্কতার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে ‘এক দিন খেলে কিছু হয় না’ জাতীয় কথাবার্তায় মন দেওয়া যাবে না। তাতে নিজের উৎসব তো মাটি হবেই, সঙ্গে পরিবারের মানুষদের উৎসবও পণ্ড হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করে, একজন মানুষের দিনে ১ থেকে ২ চামচ (১০-২০ গ্রাম) চিনি খাওয়া উচিত। চিনি খাওয়া বলতে বোঝায়, খাবার বা পানীয়তে যোগ করা চিনি, যেমন, মিষ্টি, পায়েস, চা-কফিতে চিনি ইত্যাদি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা চিনি, যেমন সফট ড্রিংক, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি। এদিকে একটি মাঝারি আকারের রসগোল্লায় ১৫ থেকে ২০ গ্রাম চিনি থাকে। এক কাপ চিনিযুক্ত পায়েসেও সমপরিমাণ চিনি থাকে। তাই একটি মিষ্টি বা এক কাপ পরিমাণ পায়েস খেলে বাকি দিন চিনির পরিমাণ কমিয়ে রাখুন। লুচি বা মাংসের সঙ্গে প্রচুর সবজি, সালাদ বা শসার মতো কাঁচা খাবার খান। এতে আঁশ পাওয়া যাবে, যা হজমে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর সঙ্গে ডাল, পনির বা ছানার তরকারি রাখুন খাদ্যতালিকায়। এগুলো পুষ্টিকর এবং কম খেয়েও পেট ভর্তি রাখবে। খাওয়ার সময় ও পরে প্রচুর পানি পান করুন। লেবু পানি বা গ্রিন টি হজমে সহায়ক হতে পারে। আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র।
ডায়াবেটিসের রোগী বা যেকোনো কারণে যাঁদের মিষ্টি খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে, তাঁদের মিষ্টি না খাওয়াই ভালো। তবে একান্ত খেতে চাইলে কম মিষ্টিযুক্ত বা মিষ্টি মুক্ত (সুইট ফ্রি) মিষ্টি এক-আধটা খেতে পারেন; তবে বেশি খাওয়া চলবে না। চিনি ছাড়াও পায়েস রান্না করা যায়, সেটা খাওয়া যেতে পারে। আর মিষ্টির পরিমাণ কমাতে গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, পায়েসে দুধ থাকে। যাঁদের গরুর দুধ বা সেই দুধ দিয়ে তৈরি খাবার খেলে সমস্যা হয় বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট আছে বা দুধ হজম করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়, তাঁদের পায়েস না খাওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে গুঁড়া দুধের পায়েস রান্না করা যেতে পারে।
নাড়ু খাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হলো নারকেল, চিনি ও তেল বা ঘি। এই উপকরণগুলো দিয়ে নাড়ু তৈরি হয়। এটি উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিযুক্ত খাবার। এটি বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া, উচ্চ কোলেস্টেরল ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়ার আশঙ্কা আছে। আবার নারকেলের প্রতি অ্যালার্জি আছে এমন মানুষের ক্ষেত্রেও এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। নারকেলে থাকে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম। যাঁদের কিডনি-সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এবার আসা যাক দশমীর খাবারে। দুর্গাপূজার অন্যান্য দিন নিরামিষ খাওয়া হলেও দশমীর তিথি শেষ হওয়ার পর আমিষ খাবারের আয়োজন হয়ে থাকে। সেদিন মাংস ও মাছ খাওয়ার প্রচলন আছে ব্যাপকভাবে।
খাসির মাংস রেড মিট গোত্রভুক্ত। ফলে এতে থাকে উচ্চ ক্যালরি, প্রোটিন ও অন্যান্য উপাদান। প্রতি ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম খাসির মাংসে থাকে ১২২ ক্যালরি, প্রোটিন থাকে ২৩ গ্রাম, চর্বি থাকে ২ দশমিক ৬ গ্রাম। ফলে এটি উচ্চ ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার। খাসির মাংস খাওয়ার প্রধান স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে—
এক দিন বেশি পরিমাণে খাসির মাংস খেলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি, ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি এবং হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
মাংসের বদলে মাছ বেশ নিরাপদ খাবার। তবে মনে রাখতে হবে, মাছ বেশি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বড় আঁশের মাছও খেতে হবে পরিমিত।
উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ খাবার। তাই উৎসব নিরাপদ করতে বুঝেশুনে খাবার খাওয়া উচিত।
সূত্র: হেলথ লাইন, এফডিসি ডট এনএএল ডট ইউএসডিএ ডট জিওভি
সাইকেল শুধু পরিবহন নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বে প্রায় ১ বিলিয়ন সাইকেল রয়েছে—এ সংখ্যা গাড়ির সংখ্যার দ্বিগুণ। করোনা মহামারির পর সাইকেল ব্যবহার আরও বেড়েছে। মানুষ এখন ব্যায়াম, অবসর ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও অসংখ্য সাইকেল চলাচল করে বটে...
২ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন।
২ ঘণ্টা আগেচলছে অক্টোবর মাস। এটি স্তন ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির মাস। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী এ মাসে স্তন ক্যানসারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জীবনের মানোন্নয়ন নিয়ে স্বাস্থ্যসেবকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রতিটি গল্প অনন্য, প্রতিটি যাত্রা মূল্যবান’।
৩ ঘণ্টা আগেত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ ও তারুণ্যময় রাখতে আমরা বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করি। সেসব পণ্যের বেশির ভাগ নানা রকমের রাসায়নিকে তৈরি। অনেক সময় ত্বকের যত্নে এসব রাসায়নিক উপাদান একটার সঙ্গে আরেকটা মিশে গেলে ফল খারাপ হতে পারে। ত্বকের প্রকৃত পরিচর্যায় আসলে ‘কমই যথেষ্ট’।
৪ ঘণ্টা আগে