ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
আমাদের মা-দাদিরা প্রায়ই মুরগি বা গরুর হাড় দিয়ে তৈরি করেন স্বাদে ভরপুর ঝোল। যেটা আমরা সাধারণত ‘শুরুয়া’ বলি। এখনকার গবেষণা বলছে, এই হাড়ের ঝোল আমাদের জয়েন্টের শক্তি বাড়ায়, ত্বক টান টান রাখে আর হজমও ভালো করে।
সাধারণত গরু, খাসি, মুরগির হাড় ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অল্প আঁচে ফুটিয়ে তৈরি হয় এই ঝোল। এতে ধীরে ধীরে হাড় থেকে বেরিয়ে আসে কোলাজেন, খনিজ পদার্থ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও নানান ভিটামিন। পশ্চিমা দুনিয়ায় এখন একে বলছে ‘লিকুইড গোল্ড’ বা তরল সোনা। দাবি করা হচ্ছে, এটি খেলে শরীরের প্রদাহ কমে, হজম ভালো হয়, ত্বক হয় টান টান আর হাড়ের জয়েন্ট থাকে সুস্থ।
হাড়ের ঝোলে যা থাকে
কোলাজেন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্ট, ত্বক ও হাড় দুর্বল হয়। কোলাজেন সঠিক মাত্রা এসবের স্থায়িত্ব বাড়ায়।
অ্যামিনো অ্যাসিড: পেশি গঠন ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন: হাড় মজবুত করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে।
প্রোটিন: শরীরের গঠন ও শক্তির জন্য অপরিহার্য।
এ ছাড়া এতে ক্যালরি কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এটি হতে পারে ভালো বিকল্প।
কোন ধরনের উপকার পাওয়া যায়
গিঁটের ব্যথা ও হাড়ের স্বাস্থ্য
বয়স বাড়লে হাড় ও গিঁটে ব্যথা হওয়া সাধারণ সমস্যা। কোলাজেন হাড়ের জয়েন্ট নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। যদিও হাড়ের ঝোলের কোলাজেন সরাসরি শরীরে কোলাজেন বাড়ায় এমন প্রমাণ কম। তবে নিয়মিত খাওয়া গেলে উপকার পেতে পারেন।
হজমশক্তি বাড়ায়
যাদের গ্যাস্ট্রিক, হজমে সমস্যা বা লিকি গাট সিনড্রোম আছে, তাঁদের জন্য হাড়ের ঝোল উপকারী হতে পারে। এটি অন্ত্রের আবরন শক্তিশালী করে এবং হজমে সহায়তা করে।
ত্বকের সৌন্দর্য
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন কমে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক ও ঢিলে হয়ে পড়ে। হাড়ের ঝোলের মতো কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল ও কোমল থাকে।
প্রদাহ ও রোগ প্রতিরোধ
গবেষণায় দেখা গেছে, হাড়ের ঝোলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে।
প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস
হাড়ের ঝোলে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। পর্যাপ্ত প্রোটিন বিপাক ক্রিয়া, কোষের গঠন ও যোগাযোগ এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ সেদ্ধ করার কারণে সাধারণ স্টকের চেয়ে হাড়ের স্যুপে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে প্রতি কাপ প্রায় ১০ গ্রাম। সাধারণ স্যুপের চেয়ে এই পরিমাণ অনেক বেশি।
ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ
হাড়ের ঝোলে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট থাকে, যা শরীরে তরল ভারসাম্য, পেশি সংকোচন ও স্নায়ু সংকেত প্রেরণে ভূমিকা রাখে।
যেভাবে তৈরি করবেন স্বাস্থ্যকর হাড়ের ঝোল
এটি তৈরি করাও খুব কঠিন নয়। চাইলে ঘরেই বানানো যায়।
উপকরণ
গরু, মুরগি বা খাসির হাড়, পেঁয়াজ, গাজর, রসুন, হাড় থেকে সহজে ক্যালসিয়াম বের করার জন্য ১ থেকে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার এবং পানি ও অল্প লবণ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে বড় পাতিলে নিয়ে অল্প আঁচে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা ফোটান। পরে ছেঁকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এটি ঠান্ডা হলে একটু জেলির মতো জমে যাবে। এটাই ভালো মানের হাড়ের ঝোলের চিহ্ন।
সতর্কতা
হাড়ের ঝোলে সাধারণত সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপ বা সোডিয়ামের সমস্যা আছে এমন মানুষদের জন্য এটি সাবধানে খেতে হবে। প্রয়োজনে তৈরি স্যুপ কেনার সময় কম লবণযুক্ত স্যুপ কিনুন বা ঘরে বানান।
ঝোল খাওয়ার সঠিক সময়
ঈদের দিনের ব্যস্ততায় হাড়ের ঝোল অনেক সময় রাতে রাতেই খাওয়া হয়। তবে মনে রাখতে হবে, ঝোল একাই পূর্ণাঙ্গ খাবার নয়। দিনের বাকি খাবার থেকে যথেষ্ট পুষ্টি না নিলে শরীর সবকিছু পাবে না। তাই বিকেলে হালকা ক্ষুধায় বা রাতের খাবারে অল্প মসলা ও লবণ দিয়ে তৈরি ঝোল খান।
হাড়ের ঝোল আমাদের দেশের রান্নার এক পুরোনো অংশ হলেও এখন নতুন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এটি এমন একটি খাবার, যা শরীরের ক্ষতি তো করেই না, বরং উপকার করতে পারে।
আসছে ঈদ। প্রচুর মাংস খাওয়া হবে এ সময়। তবে মাংসের পাশাপাশি হাড়ের ঝোল খান। তাতে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য উপকারিতা।
সূত্র: হেলথ
আমাদের মা-দাদিরা প্রায়ই মুরগি বা গরুর হাড় দিয়ে তৈরি করেন স্বাদে ভরপুর ঝোল। যেটা আমরা সাধারণত ‘শুরুয়া’ বলি। এখনকার গবেষণা বলছে, এই হাড়ের ঝোল আমাদের জয়েন্টের শক্তি বাড়ায়, ত্বক টান টান রাখে আর হজমও ভালো করে।
সাধারণত গরু, খাসি, মুরগির হাড় ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অল্প আঁচে ফুটিয়ে তৈরি হয় এই ঝোল। এতে ধীরে ধীরে হাড় থেকে বেরিয়ে আসে কোলাজেন, খনিজ পদার্থ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও নানান ভিটামিন। পশ্চিমা দুনিয়ায় এখন একে বলছে ‘লিকুইড গোল্ড’ বা তরল সোনা। দাবি করা হচ্ছে, এটি খেলে শরীরের প্রদাহ কমে, হজম ভালো হয়, ত্বক হয় টান টান আর হাড়ের জয়েন্ট থাকে সুস্থ।
হাড়ের ঝোলে যা থাকে
কোলাজেন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্ট, ত্বক ও হাড় দুর্বল হয়। কোলাজেন সঠিক মাত্রা এসবের স্থায়িত্ব বাড়ায়।
অ্যামিনো অ্যাসিড: পেশি গঠন ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন: হাড় মজবুত করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে।
প্রোটিন: শরীরের গঠন ও শক্তির জন্য অপরিহার্য।
এ ছাড়া এতে ক্যালরি কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এটি হতে পারে ভালো বিকল্প।
কোন ধরনের উপকার পাওয়া যায়
গিঁটের ব্যথা ও হাড়ের স্বাস্থ্য
বয়স বাড়লে হাড় ও গিঁটে ব্যথা হওয়া সাধারণ সমস্যা। কোলাজেন হাড়ের জয়েন্ট নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। যদিও হাড়ের ঝোলের কোলাজেন সরাসরি শরীরে কোলাজেন বাড়ায় এমন প্রমাণ কম। তবে নিয়মিত খাওয়া গেলে উপকার পেতে পারেন।
হজমশক্তি বাড়ায়
যাদের গ্যাস্ট্রিক, হজমে সমস্যা বা লিকি গাট সিনড্রোম আছে, তাঁদের জন্য হাড়ের ঝোল উপকারী হতে পারে। এটি অন্ত্রের আবরন শক্তিশালী করে এবং হজমে সহায়তা করে।
ত্বকের সৌন্দর্য
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন কমে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক ও ঢিলে হয়ে পড়ে। হাড়ের ঝোলের মতো কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল ও কোমল থাকে।
প্রদাহ ও রোগ প্রতিরোধ
গবেষণায় দেখা গেছে, হাড়ের ঝোলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে।
প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস
হাড়ের ঝোলে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। পর্যাপ্ত প্রোটিন বিপাক ক্রিয়া, কোষের গঠন ও যোগাযোগ এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ সেদ্ধ করার কারণে সাধারণ স্টকের চেয়ে হাড়ের স্যুপে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে প্রতি কাপ প্রায় ১০ গ্রাম। সাধারণ স্যুপের চেয়ে এই পরিমাণ অনেক বেশি।
ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ
হাড়ের ঝোলে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট থাকে, যা শরীরে তরল ভারসাম্য, পেশি সংকোচন ও স্নায়ু সংকেত প্রেরণে ভূমিকা রাখে।
যেভাবে তৈরি করবেন স্বাস্থ্যকর হাড়ের ঝোল
এটি তৈরি করাও খুব কঠিন নয়। চাইলে ঘরেই বানানো যায়।
উপকরণ
গরু, মুরগি বা খাসির হাড়, পেঁয়াজ, গাজর, রসুন, হাড় থেকে সহজে ক্যালসিয়াম বের করার জন্য ১ থেকে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার এবং পানি ও অল্প লবণ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে বড় পাতিলে নিয়ে অল্প আঁচে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা ফোটান। পরে ছেঁকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এটি ঠান্ডা হলে একটু জেলির মতো জমে যাবে। এটাই ভালো মানের হাড়ের ঝোলের চিহ্ন।
সতর্কতা
হাড়ের ঝোলে সাধারণত সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপ বা সোডিয়ামের সমস্যা আছে এমন মানুষদের জন্য এটি সাবধানে খেতে হবে। প্রয়োজনে তৈরি স্যুপ কেনার সময় কম লবণযুক্ত স্যুপ কিনুন বা ঘরে বানান।
ঝোল খাওয়ার সঠিক সময়
ঈদের দিনের ব্যস্ততায় হাড়ের ঝোল অনেক সময় রাতে রাতেই খাওয়া হয়। তবে মনে রাখতে হবে, ঝোল একাই পূর্ণাঙ্গ খাবার নয়। দিনের বাকি খাবার থেকে যথেষ্ট পুষ্টি না নিলে শরীর সবকিছু পাবে না। তাই বিকেলে হালকা ক্ষুধায় বা রাতের খাবারে অল্প মসলা ও লবণ দিয়ে তৈরি ঝোল খান।
হাড়ের ঝোল আমাদের দেশের রান্নার এক পুরোনো অংশ হলেও এখন নতুন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এটি এমন একটি খাবার, যা শরীরের ক্ষতি তো করেই না, বরং উপকার করতে পারে।
আসছে ঈদ। প্রচুর মাংস খাওয়া হবে এ সময়। তবে মাংসের পাশাপাশি হাড়ের ঝোল খান। তাতে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য উপকারিতা।
সূত্র: হেলথ
ঈদুল আজহায় কাবাব খাওয়া হবে না, তা কি হয়? পোলাওয়ের সঙ্গে প্রথম পাতে শামি কাবাব কিন্তু দারুণ জমে যায়। আপনাদের জন্য গরুর মাংসের শামি কাবাবের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন কোহিনূর বেগম।
১০ ঘণ্টা আগেএকটু এপাশ-ওপাশ করে নিলেই এই ঈদে খাওয়া যাবে সুস্বাদু সব খাবার। রসুন দিয়ে রান্না করতে পারেন খাসির মাংসের শাহি রেজালা। এর গালভরা নাম দিতে পারেন গার্লিক মাটন। রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আনিসা আক্তার নূপুর।
১৫ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদে একঘেয়ে মাংসের ঝোল বা ভুনা রান্না না করে এবার তৈরি করতে পারেন নতুন রেসিপি। কড়াই কষা মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আনিসা আক্তার নূপুর।
১৭ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদে গরুর মাংস রান্না হবে, এটাই স্বাভাবিক। ঐতিহ্যবাহী রান্নার পাশাপাশি রেঁধে ফেলুন চমকজাগানো ভিন্ন স্বাদের নতুন নতুন খাবার।
১৮ ঘণ্টা আগে