বিভুরঞ্জন সরকার
আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে... এই বাক্যটি উচ্চারণ করলেই যেন বাতাসে মেঘের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, দিগন্তে জমতে থাকে বাদলের নীলাভ ছায়া। বর্ষার আগমন শুধু একটি ঋতুর সূচনা নয়। এ এক আত্মিক আন্দোলন— যা বাঙালির হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে অনন্তের আকুলতা, প্রেমের গভীরতা, স্মৃতির শ্যামল রেখা। আষাঢ় মানে অপেক্ষার প্রতিধ্বনি, প্রথম বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া মাটির ঘ্রাণ আর এক অমোঘ আকর্ষণ, যা প্রতি বছর এই সময়টায় আমাদের মনকে উড়ু উড়ু করে তোলে। অথচ প্রশ্ন জাগে, বৃষ্টি তো শুধু আষাঢ় মাসেই হয় না, শ্রাবণ-ভাদ্রেও বর্ষণ আসে, আশ্বিনেও নামে হালকা জলধারা অথবা অন্য যেকোনো মাসে! তবে কেন এই আষাঢ় নিয়ে এত আবেগ, এত আদিখ্যেতা?
এর উত্তর খুঁজতে হলে যেতে হয় আমাদের মনের গোপন কোণে, যেখানে প্রকৃতি ও স্মৃতির সহাবস্থান। আষাঢ় বাঙালির জন্য কেবল এক ঋতু নয়, এক সাংস্কৃতিক স্মারক। এই মাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষকের নতুন স্বপ্ন, প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ের অস্থিরতা, শিল্পীর ক্যানভাসের ভেজা রং, আর কবির কলমের অসংখ্য বৃষ্টিস্নাত শব্দ। বৃষ্টি যেমন ঝরে পড়ে আকাশ থেকে, তেমনি আষাঢ় ঝরে পড়ে আমাদের চেতনায়।
বাংলার প্রকৃতি বর্ষায় হয়ে ওঠে অপার রূপসী। ধানখেতের শ্যামল ঢেউ, কাদামাটি মাখা আলপথ, তাল-নারিকেল-শিমুলের ভেজা পাতায় ঝরে পড়া জলবিন্দু। এ যেন জীবনেরই অনুবাদ। আকাশে জমে ওঠা কালো মেঘ, দূরে বাজতে থাকা মৃদু মেঘের গর্জন, মাঠঘাটে পানি জমে জলের আয়না হয়ে ওঠা—সব মিলিয়ে বর্ষাকালের আড়ালে ফুটে ওঠে এক শাশ্বত সৌন্দর্য।
আর এই রূপকল্পের কেন্দ্রেই রয়েছে আষাঢ়, যার প্রথম দিনে কল্পনার মেঘেরা যেন কালিদাসের ‘মেঘদূত’ হয়ে ভেসে আসে। ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ শুধু একটি সময় নির্দেশ করে না, বরং সেটি হয়ে ওঠে এক চিরন্তন চিত্রকল্প, যেখানে বিরহী যক্ষের আহ্বানে মেঘ হয়ে ওঠে দূত। কালিদাসের এই কবিতা, যার সূচনা আষাঢ়ের দিনেই, যেন আষাঢ়ের অস্থিরতা ও সৌন্দর্যকে একযোগে প্রকাশ করে। সেই কাব্যের ছায়া পড়েছে রবীন্দ্রনাথের গানে, জীবনানন্দের কবিতায়, হুমায়ূন আহমেদের গদ্যে, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের নস্টালজিয়ায়।
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় বর্ষা এক চিরন্তন সঙ্গী, যেখানে প্রকৃতির সঙ্গে প্রেম ও বিরহের অনুপম সংলাপ ঘটে। ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে/ আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে...’ এই পঙ্ক্তিতে যেমন আষাঢ়ের আগমনের গন্ধমাখা পরিবেশ পাওয়া যায়, তেমনি ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে/ তিল ঠাঁই আর নাহিরে...’ এই চিত্রকল্পে ধরা পড়ে মেঘমেদুর আবহের ঘনত্ব, আকাশে জমে ওঠা কালো মেঘের দোলাচল। এমন আরও অসংখ্য পঙ্ক্তি আছে যেখানে আষাঢ় হয়ে ওঠে কবির প্রেম, অপেক্ষা ও অন্তরের আহ্বান। ‘বাদল দিনের প্রথম কদমফুল করেছ দান...’ কানে বাজলে মনটা কী একটু কেমন করে না!
আষাঢ়ের বৃষ্টি যে শুধু প্রেম-ভালোবাসার কথা বলে তা নয়। এই বৃষ্টি কৃষকের কাছে আশার সিঁড়ি। চৈত্র-বৈশাখের খরায় তৃষ্ণার্ত জমি আষাঢ়ের প্রথম জলধারায় প্রাণ ফিরে পায়। মাঠে নামে কৃষকের নতুন উদ্যম, বীজ পড়ে, চারা গজায়, আগামী ধান খেতের স্বপ্ন জাগে। তাই আষাঢ় যেন কৃষিভিত্তিক সমাজের কাছে উৎসবের সময়, সৃষ্টির প্রতীক্ষা ও প্রস্তুতির ঋতু। আমাদের লোভে, দখলদারি মনোভাবের কারণে, হেলাফেলায় প্রকৃতির রূপ বদলে যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তারপরও আষাঢ় এলে ভাষা খেই হারায়, শব্দেরা করে জলকেলি।
শহরের কোলাহলে হয়তো সরাসরি কৃষিকাজের টান নেই। কিন্তু মন তো এখনো প্রকৃতিরই সন্তান। শহরের তরুণী বৃষ্টিতে ছাতা ফেলে দেয়, ছেলেটি বৃষ্টিতে হাঁটে নিরুদ্দেশ ভিজে, কেউ বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক কাপ চা নিয়ে স্মৃতির খাতায় ডুব দেয়, কেউ বা মোবাইল ফোনের পর্দায় প্রিয়জনের সঙ্গে এক ফোঁটা বৃষ্টি ভাগ করে নেয়। পথের ধারে জমে থাকা জলে কাদামাখা পায়ে হেঁটে যাওয়া ছোট্ট শিশুটি কিংবা রিকশাচালকের গা ভিজিয়ে চালিয়ে যাওয়া ক্লান্ত ভ্যান— সবই এই বৃষ্টির বাস্তবচিত্র।
গ্রামে আষাঢ়ের রাত মানে জোনাকির আলো, মেঘের গর্জন, বৃষ্টির শব্দে ঘুমিয়ে পড়া। এই সব কারণে হয়তো বাঙালির মনে আষাঢ়ের এক স্থায়ী আবেগ রয়েছে। এই সময়টা আমাদের মনে একধরনের উদাসীনতা ও উন্মাদনার সম্মিলন ঘটায়। বর্ষা মানে যেন প্রেম ও বিরহের সহাবস্থান, যন্ত্রণার গভীরতা আর ভালোবাসার প্রবল আকুতি। আষাঢ় মানে একটা প্রশ্ন, তুমি কোথায়? আমি তো ভিজছি একা। সেই প্রশ্নই প্রতিধ্বনিত হয় রবীন্দ্রনাথের গানে, ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি।…’
এই ঋতু তাই কেবল প্রাকৃতিক অভিজ্ঞান নয়, হয়ে দাঁড়ায় আমাদের আবেগ ও অনুভবের এক বিশেষ রূপ। শহর, গ্রাম, প্রকৃতি সব এক সঙ্গে ভিজে ওঠে এই ঋতুতে। আষাঢ় মানে ভেজা দিন, কুয়াশাচ্ছন্ন বিকেল, আলসে দুপুর, দীর্ঘশ্বাস মেশানো রাত।
আসলে আষাঢ়ের প্রেমিক শুধু মেঘ নয়, সে আমাদের আত্মাও। তাই আমরা চেয়ে থাকি আকাশে, মেঘ জমলেই কাঁপে মন, প্রথম বৃষ্টিতে বুক জুড়ে নামে এক বিস্ময়। এই বিস্ময় নতুন কিছু নয়। বরং যুগযুগান্তর ধরে সঞ্চিত হয়ে আসা এক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। তাই আষাঢ়ের বৃষ্টিতে বাঙালি শুধু ভেজে না, সে খুঁজে ফেরে তার নিজস্ব চিহ্ন— তার শেকড়, তার ভালোবাসা, তার স্বপ্ন।
আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে... এই বাক্যটি উচ্চারণ করলেই যেন বাতাসে মেঘের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, দিগন্তে জমতে থাকে বাদলের নীলাভ ছায়া। বর্ষার আগমন শুধু একটি ঋতুর সূচনা নয়। এ এক আত্মিক আন্দোলন— যা বাঙালির হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে অনন্তের আকুলতা, প্রেমের গভীরতা, স্মৃতির শ্যামল রেখা। আষাঢ় মানে অপেক্ষার প্রতিধ্বনি, প্রথম বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া মাটির ঘ্রাণ আর এক অমোঘ আকর্ষণ, যা প্রতি বছর এই সময়টায় আমাদের মনকে উড়ু উড়ু করে তোলে। অথচ প্রশ্ন জাগে, বৃষ্টি তো শুধু আষাঢ় মাসেই হয় না, শ্রাবণ-ভাদ্রেও বর্ষণ আসে, আশ্বিনেও নামে হালকা জলধারা অথবা অন্য যেকোনো মাসে! তবে কেন এই আষাঢ় নিয়ে এত আবেগ, এত আদিখ্যেতা?
এর উত্তর খুঁজতে হলে যেতে হয় আমাদের মনের গোপন কোণে, যেখানে প্রকৃতি ও স্মৃতির সহাবস্থান। আষাঢ় বাঙালির জন্য কেবল এক ঋতু নয়, এক সাংস্কৃতিক স্মারক। এই মাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষকের নতুন স্বপ্ন, প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ের অস্থিরতা, শিল্পীর ক্যানভাসের ভেজা রং, আর কবির কলমের অসংখ্য বৃষ্টিস্নাত শব্দ। বৃষ্টি যেমন ঝরে পড়ে আকাশ থেকে, তেমনি আষাঢ় ঝরে পড়ে আমাদের চেতনায়।
বাংলার প্রকৃতি বর্ষায় হয়ে ওঠে অপার রূপসী। ধানখেতের শ্যামল ঢেউ, কাদামাটি মাখা আলপথ, তাল-নারিকেল-শিমুলের ভেজা পাতায় ঝরে পড়া জলবিন্দু। এ যেন জীবনেরই অনুবাদ। আকাশে জমে ওঠা কালো মেঘ, দূরে বাজতে থাকা মৃদু মেঘের গর্জন, মাঠঘাটে পানি জমে জলের আয়না হয়ে ওঠা—সব মিলিয়ে বর্ষাকালের আড়ালে ফুটে ওঠে এক শাশ্বত সৌন্দর্য।
আর এই রূপকল্পের কেন্দ্রেই রয়েছে আষাঢ়, যার প্রথম দিনে কল্পনার মেঘেরা যেন কালিদাসের ‘মেঘদূত’ হয়ে ভেসে আসে। ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ শুধু একটি সময় নির্দেশ করে না, বরং সেটি হয়ে ওঠে এক চিরন্তন চিত্রকল্প, যেখানে বিরহী যক্ষের আহ্বানে মেঘ হয়ে ওঠে দূত। কালিদাসের এই কবিতা, যার সূচনা আষাঢ়ের দিনেই, যেন আষাঢ়ের অস্থিরতা ও সৌন্দর্যকে একযোগে প্রকাশ করে। সেই কাব্যের ছায়া পড়েছে রবীন্দ্রনাথের গানে, জীবনানন্দের কবিতায়, হুমায়ূন আহমেদের গদ্যে, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের নস্টালজিয়ায়।
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় বর্ষা এক চিরন্তন সঙ্গী, যেখানে প্রকৃতির সঙ্গে প্রেম ও বিরহের অনুপম সংলাপ ঘটে। ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে/ আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে...’ এই পঙ্ক্তিতে যেমন আষাঢ়ের আগমনের গন্ধমাখা পরিবেশ পাওয়া যায়, তেমনি ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে/ তিল ঠাঁই আর নাহিরে...’ এই চিত্রকল্পে ধরা পড়ে মেঘমেদুর আবহের ঘনত্ব, আকাশে জমে ওঠা কালো মেঘের দোলাচল। এমন আরও অসংখ্য পঙ্ক্তি আছে যেখানে আষাঢ় হয়ে ওঠে কবির প্রেম, অপেক্ষা ও অন্তরের আহ্বান। ‘বাদল দিনের প্রথম কদমফুল করেছ দান...’ কানে বাজলে মনটা কী একটু কেমন করে না!
আষাঢ়ের বৃষ্টি যে শুধু প্রেম-ভালোবাসার কথা বলে তা নয়। এই বৃষ্টি কৃষকের কাছে আশার সিঁড়ি। চৈত্র-বৈশাখের খরায় তৃষ্ণার্ত জমি আষাঢ়ের প্রথম জলধারায় প্রাণ ফিরে পায়। মাঠে নামে কৃষকের নতুন উদ্যম, বীজ পড়ে, চারা গজায়, আগামী ধান খেতের স্বপ্ন জাগে। তাই আষাঢ় যেন কৃষিভিত্তিক সমাজের কাছে উৎসবের সময়, সৃষ্টির প্রতীক্ষা ও প্রস্তুতির ঋতু। আমাদের লোভে, দখলদারি মনোভাবের কারণে, হেলাফেলায় প্রকৃতির রূপ বদলে যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তারপরও আষাঢ় এলে ভাষা খেই হারায়, শব্দেরা করে জলকেলি।
শহরের কোলাহলে হয়তো সরাসরি কৃষিকাজের টান নেই। কিন্তু মন তো এখনো প্রকৃতিরই সন্তান। শহরের তরুণী বৃষ্টিতে ছাতা ফেলে দেয়, ছেলেটি বৃষ্টিতে হাঁটে নিরুদ্দেশ ভিজে, কেউ বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক কাপ চা নিয়ে স্মৃতির খাতায় ডুব দেয়, কেউ বা মোবাইল ফোনের পর্দায় প্রিয়জনের সঙ্গে এক ফোঁটা বৃষ্টি ভাগ করে নেয়। পথের ধারে জমে থাকা জলে কাদামাখা পায়ে হেঁটে যাওয়া ছোট্ট শিশুটি কিংবা রিকশাচালকের গা ভিজিয়ে চালিয়ে যাওয়া ক্লান্ত ভ্যান— সবই এই বৃষ্টির বাস্তবচিত্র।
গ্রামে আষাঢ়ের রাত মানে জোনাকির আলো, মেঘের গর্জন, বৃষ্টির শব্দে ঘুমিয়ে পড়া। এই সব কারণে হয়তো বাঙালির মনে আষাঢ়ের এক স্থায়ী আবেগ রয়েছে। এই সময়টা আমাদের মনে একধরনের উদাসীনতা ও উন্মাদনার সম্মিলন ঘটায়। বর্ষা মানে যেন প্রেম ও বিরহের সহাবস্থান, যন্ত্রণার গভীরতা আর ভালোবাসার প্রবল আকুতি। আষাঢ় মানে একটা প্রশ্ন, তুমি কোথায়? আমি তো ভিজছি একা। সেই প্রশ্নই প্রতিধ্বনিত হয় রবীন্দ্রনাথের গানে, ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি।…’
এই ঋতু তাই কেবল প্রাকৃতিক অভিজ্ঞান নয়, হয়ে দাঁড়ায় আমাদের আবেগ ও অনুভবের এক বিশেষ রূপ। শহর, গ্রাম, প্রকৃতি সব এক সঙ্গে ভিজে ওঠে এই ঋতুতে। আষাঢ় মানে ভেজা দিন, কুয়াশাচ্ছন্ন বিকেল, আলসে দুপুর, দীর্ঘশ্বাস মেশানো রাত।
আসলে আষাঢ়ের প্রেমিক শুধু মেঘ নয়, সে আমাদের আত্মাও। তাই আমরা চেয়ে থাকি আকাশে, মেঘ জমলেই কাঁপে মন, প্রথম বৃষ্টিতে বুক জুড়ে নামে এক বিস্ময়। এই বিস্ময় নতুন কিছু নয়। বরং যুগযুগান্তর ধরে সঞ্চিত হয়ে আসা এক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। তাই আষাঢ়ের বৃষ্টিতে বাঙালি শুধু ভেজে না, সে খুঁজে ফেরে তার নিজস্ব চিহ্ন— তার শেকড়, তার ভালোবাসা, তার স্বপ্ন।
বলিউডের জবরদস্ত হিরোরাও কিন্তু বাড়ি ফিরে ফ্যামিলি ম্যান। বাবা হিসেবে তাঁদের অনেকের তুলনা হয় না। কেউ সন্তান ছাড়া কিছুই বোঝেন না, আবার কেউ সন্তানকে বড় করতে চান নিখুঁত মানুষ হিসেবে। বাবা দিবসে বি-টাউন সেলিব্রিটি বাবাদের প্যারেন্টিং ভাবনা রইল আপনাদের জন্য।
৫ ঘণ্টা আগেগরমের তীব্রতা যত বাড়ে, ততই বাড়ে এসির ওপর নির্ভরতা। তবে দিনের পর দিন এসি চালালে যেমন বিদ্যুৎ বিল আকাশ ছোঁয়, তেমনি মেশিনটির আয়ুও কমে যায়। আবার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করলে তা হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণও। তাই এসি শুধু আরাম দিতেই নয়, সেটিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করাটাও জরুরি। কয়েকটি সহজ অভ্যাস, সময়মতো
১০ ঘণ্টা আগে‘বাবা’ শব্দটি শুনলেই মনে পড়ে যায় একজন ছায়ার মতো মানুষের কথা। যিনি সারা জীবন পরিবারকে আগলে রাখেন নিঃশব্দে, কখনো ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে বলেন না, আবার স্নেহের চাদরও খোলাখুলিভাবে মেলে ধরেন না। তবু তিনি থাকেন—প্রতিটি দায়িত্বে, প্রতিটি শূন্যতায়, প্রতিটি অনিশ্চয়তায়।
১৫ ঘণ্টা আগেশহরের বাসাগুলোর একফালি বারান্দায় বিভিন্ন প্রজাতির রংবেরঙের গাছ চোখ জুড়িয়ে দেয় এখন। দিন দিন এই শখের বাগানিদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু গাছ লাগানো আর সেটিকে টিকিয়ে রাখা—দুটো এক নয়। অনেকে ভালোবাসা থেকে গাছ রোপণ করলেও পরিচর্যার কিছু সাধারণ ভুলে কাঙ্ক্ষিত ফল পান না। জেনে নিতে পারেন যত্নের নিয়মগুলো।
১ দিন আগে