
‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল’—বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানার এই উক্তি থেকেই বোঝা যায়, ভগ্নহৃদয় সামলে উঠতে তাঁর বেশ কষ্টই হচ্ছিল। গুঞ্জন আছে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পর দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ডায়ানার প্রেমিকেরা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিচ্ছেদের পর ডায়ানার সাত প্রেমিকের কথা।
অলিভার হোর
১৯৯৬ সালের আগস্টে ডিভোর্সের আগে চার্লসের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় আলাদা থাকছিলেন ডায়ানা। রাজপরিবার থেকে দূরে থাকার সময় বেশ কয়েকজন প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন ডায়ানা। ধারণা করা হয়, ১৯৯২ সাল থেকে বিবাহিত অলিভার হোরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ডায়ানা। তখন অলিভার তিন সন্তানের বাবা। চার বছর আগে ৭৩ বছর বয়সে ক্যানসারে মারা গেছেন অলিভার। প্রিন্সেসের চেয়ে বয়সে ১৬ বছরের বড় ছিলেন তিনি। স্ত্রীর ডিভোর্সের হুমকির মুখে ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
চার্লসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন অলিভার। প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ডায়ানার কাছ থেকে প্রায় ৩০০ ফোনকল পেয়েছিলেন তিনি।
ব্যারি ম্যানাকি
ব্যারি ম্যানাকি ছিলেন রাজপরিবারের নিরাপত্তা দলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ডায়ানার দেহরক্ষী। পরে তাঁকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মকর্তার ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রেকর্ড করা এক বার্তায় ডায়ানাকে স্বীকার করতে শোনা যায়, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তাঁর আশপাশে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। সে টেপ রেকর্ডে নাম না নিলেও ধারণা করা হয়, তিনি ম্যানাকির কথাই বলছিলেন। বন্ধুদের ডায়ানা বলেন, ‘তিনি আমার পিতৃতুল্য ছিলেন এবং আমার দেখাশোনা করতেন।’ ১৯৮৭ সালে এক মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ৩৭ বছর বয়সে ম্যানাকি নিহত হন।
জেমস গিলবি
জেমস গিলবি ছিলেন ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। স্নেহের বশে ডায়ানার নাম দিয়েছিলেন ‘স্কুইডগি’, বাংলা অর্থ কমনীয়। ১৯৮৯ সালে গোপনে রেকর্ড করা টেপ থেকে তাঁর আর ডায়ানার কথোপকথন ফাঁস হয়। চার্লসের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই জেমসের সঙ্গে পরিচয় ছিল ডায়ানার। রেকর্ড করা এই টেপ তখন বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। আর কীভাবে এ কথোপকথন ফাঁস হয়েছে, তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন ওঠে। ধারণা করা হয়, ১৯৮৯ সালের দিকে জেমসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক তুঙ্গে ছিল।
উইল কার্লিং
রাগবি লিজেন্ড উইল কার্লিংয়ের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানার দেখা হয় একটি জিমে। ১৯৯৫ সালে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে, উইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ডায়ানা। ইংল্যান্ডের হয়ে রাগবি খেলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন উইল। প্রিন্সেসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে বিবাহিত ছিলেন উইল। সম্পর্কের ছাড়াছাড়ির সময়টাতে ডায়ানার ব্যবহার নিয়ে নিন্দা জানিয়েছিলেন উইলের স্ত্রী। ডায়ানা বলেছিলেন, ‘উইল কুকুরছানার মতো তাঁর পিছু নিয়েছেন।’
হাসনাত খান
হার্ট সার্জন হাসনাত খানের সঙ্গে ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুই বছরের সম্পর্ক ছিল ডায়ানার। হাসনাতকে ‘মি. ওয়ান্ডারফুল’ বলে ডাকতেন ডায়ানা। বিয়ে করার কথাও ভাবছিলেন এ জুটি। বলা হয়, হাসনাতকে ‘জীবনের সেরা প্রেম’ আখ্যা দিয়েছিলেন ডায়ানা। হাসনাতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানের লাহোরেও এসেছিলেন তিনি। ডায়ানার মৃত্যুর পর কখনো তাঁদের সম্পর্কের অন্তরঙ্গ কোনো তথ্য নিয়ে কথা বলেননি হাসনাত। ১৯৯৭ সালের জুনে হাসনাতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানেন ডায়ানা।
জেমস হেউইট
অশ্বারোহী সেনা কর্মকর্তা এবং রাজপরিবারের এ রাইডিং প্রশিক্ষকের সঙ্গে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রেমের সম্পর্ক ছিল ডায়ানার। ১৯৯৫ সালে বিবিসির প্যানারোমার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রেমের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডায়ানা। ২০০৩ সালে হেউইট ডায়ানার দেওয়া ৬৪টি ব্যক্তিগত প্রেমপত্র ১ কোটি পাউন্ডে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।
ডায়ানার সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা কেন হোয়ার্ফ তাঁর লেখা বই ‘ডায়ানা: ক্লোজলি গার্ডেড সিক্রেট’–এ হেউইটের সঙ্গে ডায়ানার প্রেমের কথা উল্লেখ করেছেন। বইয়ে তিনি লেখেন, হেউইটের প্রবৃত্তিই ছিল নারীঘেঁষা। তিনি ডায়ানাকে যেভাবে গুরুত্ব দিতেন ও স্নেহ করতেন— ডায়ানা সেটিরই কাঙাল ছিলেন।
হোয়ার্ফ লেখেন, প্রথমে ডায়ানা তাঁদের সম্পর্কের কথা আমার কাছে স্বীকার করতে চাননি। প্রসঙ্গ উঠলেই লজ্জায় লাল হয়ে তিনি বলতেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছুই নেই।’
দোদি ফায়েদ
দোদি ফায়েদ ছিলেন ডায়ানার প্রেমিকদের মধ্যে সর্বশেষ। প্যারিসে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ডায়না ও দোদি তাঁদের গাড়িচালকসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয় দোদির বাবা মোহাম্মদ আল-ফায়েদের আয়োজিত এক ভোজ অনুষ্ঠানে। প্যালাশিয়াল ভিলার সেই অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে ৪২ বছর বয়সী দোদিও উপস্থিত ছিলেন। বিপুল ধনসম্পদ আর বাবার দেওয়া জেট প্লেনের মালিক দোদি প্লেবয় হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। ডায়ানা ও দোদি প্রিন্স হ্যারি, উইলিয়ামসহ একসঙ্গে এক গ্রীষ্মের অবকাশ কাটিয়েছিলেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে তাঁরা দোদির ব্যক্তিগত ইয়টে করে সারডিনিয়া ও সেন্ট ট্রপেজে ঘুরেছেন।
দুর্ঘটনার দিন ডায়ানা ও দোদি প্যারিসের রিজে নৈশভোজ করে ফিরছিলেন। এক আবেগঘন ফুটেজে দেখা যায়, মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য পরস্পরকে বিদায় দেওয়ার সময় একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন। কে জানত এটাই হবে তাঁদের শেষ আলিঙ্গন!

‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল’—বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানার এই উক্তি থেকেই বোঝা যায়, ভগ্নহৃদয় সামলে উঠতে তাঁর বেশ কষ্টই হচ্ছিল। গুঞ্জন আছে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পর দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ডায়ানার প্রেমিকেরা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিচ্ছেদের পর ডায়ানার সাত প্রেমিকের কথা।
অলিভার হোর
১৯৯৬ সালের আগস্টে ডিভোর্সের আগে চার্লসের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় আলাদা থাকছিলেন ডায়ানা। রাজপরিবার থেকে দূরে থাকার সময় বেশ কয়েকজন প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন ডায়ানা। ধারণা করা হয়, ১৯৯২ সাল থেকে বিবাহিত অলিভার হোরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ডায়ানা। তখন অলিভার তিন সন্তানের বাবা। চার বছর আগে ৭৩ বছর বয়সে ক্যানসারে মারা গেছেন অলিভার। প্রিন্সেসের চেয়ে বয়সে ১৬ বছরের বড় ছিলেন তিনি। স্ত্রীর ডিভোর্সের হুমকির মুখে ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
চার্লসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন অলিভার। প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ডায়ানার কাছ থেকে প্রায় ৩০০ ফোনকল পেয়েছিলেন তিনি।
ব্যারি ম্যানাকি
ব্যারি ম্যানাকি ছিলেন রাজপরিবারের নিরাপত্তা দলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ডায়ানার দেহরক্ষী। পরে তাঁকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মকর্তার ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রেকর্ড করা এক বার্তায় ডায়ানাকে স্বীকার করতে শোনা যায়, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তাঁর আশপাশে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। সে টেপ রেকর্ডে নাম না নিলেও ধারণা করা হয়, তিনি ম্যানাকির কথাই বলছিলেন। বন্ধুদের ডায়ানা বলেন, ‘তিনি আমার পিতৃতুল্য ছিলেন এবং আমার দেখাশোনা করতেন।’ ১৯৮৭ সালে এক মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ৩৭ বছর বয়সে ম্যানাকি নিহত হন।
জেমস গিলবি
জেমস গিলবি ছিলেন ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। স্নেহের বশে ডায়ানার নাম দিয়েছিলেন ‘স্কুইডগি’, বাংলা অর্থ কমনীয়। ১৯৮৯ সালে গোপনে রেকর্ড করা টেপ থেকে তাঁর আর ডায়ানার কথোপকথন ফাঁস হয়। চার্লসের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই জেমসের সঙ্গে পরিচয় ছিল ডায়ানার। রেকর্ড করা এই টেপ তখন বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। আর কীভাবে এ কথোপকথন ফাঁস হয়েছে, তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন ওঠে। ধারণা করা হয়, ১৯৮৯ সালের দিকে জেমসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক তুঙ্গে ছিল।
উইল কার্লিং
রাগবি লিজেন্ড উইল কার্লিংয়ের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানার দেখা হয় একটি জিমে। ১৯৯৫ সালে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে, উইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ডায়ানা। ইংল্যান্ডের হয়ে রাগবি খেলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন উইল। প্রিন্সেসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে বিবাহিত ছিলেন উইল। সম্পর্কের ছাড়াছাড়ির সময়টাতে ডায়ানার ব্যবহার নিয়ে নিন্দা জানিয়েছিলেন উইলের স্ত্রী। ডায়ানা বলেছিলেন, ‘উইল কুকুরছানার মতো তাঁর পিছু নিয়েছেন।’
হাসনাত খান
হার্ট সার্জন হাসনাত খানের সঙ্গে ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুই বছরের সম্পর্ক ছিল ডায়ানার। হাসনাতকে ‘মি. ওয়ান্ডারফুল’ বলে ডাকতেন ডায়ানা। বিয়ে করার কথাও ভাবছিলেন এ জুটি। বলা হয়, হাসনাতকে ‘জীবনের সেরা প্রেম’ আখ্যা দিয়েছিলেন ডায়ানা। হাসনাতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানের লাহোরেও এসেছিলেন তিনি। ডায়ানার মৃত্যুর পর কখনো তাঁদের সম্পর্কের অন্তরঙ্গ কোনো তথ্য নিয়ে কথা বলেননি হাসনাত। ১৯৯৭ সালের জুনে হাসনাতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানেন ডায়ানা।
জেমস হেউইট
অশ্বারোহী সেনা কর্মকর্তা এবং রাজপরিবারের এ রাইডিং প্রশিক্ষকের সঙ্গে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রেমের সম্পর্ক ছিল ডায়ানার। ১৯৯৫ সালে বিবিসির প্যানারোমার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রেমের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডায়ানা। ২০০৩ সালে হেউইট ডায়ানার দেওয়া ৬৪টি ব্যক্তিগত প্রেমপত্র ১ কোটি পাউন্ডে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।
ডায়ানার সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা কেন হোয়ার্ফ তাঁর লেখা বই ‘ডায়ানা: ক্লোজলি গার্ডেড সিক্রেট’–এ হেউইটের সঙ্গে ডায়ানার প্রেমের কথা উল্লেখ করেছেন। বইয়ে তিনি লেখেন, হেউইটের প্রবৃত্তিই ছিল নারীঘেঁষা। তিনি ডায়ানাকে যেভাবে গুরুত্ব দিতেন ও স্নেহ করতেন— ডায়ানা সেটিরই কাঙাল ছিলেন।
হোয়ার্ফ লেখেন, প্রথমে ডায়ানা তাঁদের সম্পর্কের কথা আমার কাছে স্বীকার করতে চাননি। প্রসঙ্গ উঠলেই লজ্জায় লাল হয়ে তিনি বলতেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছুই নেই।’
দোদি ফায়েদ
দোদি ফায়েদ ছিলেন ডায়ানার প্রেমিকদের মধ্যে সর্বশেষ। প্যারিসে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ডায়না ও দোদি তাঁদের গাড়িচালকসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয় দোদির বাবা মোহাম্মদ আল-ফায়েদের আয়োজিত এক ভোজ অনুষ্ঠানে। প্যালাশিয়াল ভিলার সেই অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে ৪২ বছর বয়সী দোদিও উপস্থিত ছিলেন। বিপুল ধনসম্পদ আর বাবার দেওয়া জেট প্লেনের মালিক দোদি প্লেবয় হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। ডায়ানা ও দোদি প্রিন্স হ্যারি, উইলিয়ামসহ একসঙ্গে এক গ্রীষ্মের অবকাশ কাটিয়েছিলেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে তাঁরা দোদির ব্যক্তিগত ইয়টে করে সারডিনিয়া ও সেন্ট ট্রপেজে ঘুরেছেন।
দুর্ঘটনার দিন ডায়ানা ও দোদি প্যারিসের রিজে নৈশভোজ করে ফিরছিলেন। এক আবেগঘন ফুটেজে দেখা যায়, মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য পরস্পরকে বিদায় দেওয়ার সময় একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন। কে জানত এটাই হবে তাঁদের শেষ আলিঙ্গন!

‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল’—বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানার এই উক্তি থেকেই বোঝা যায়, ভগ্নহৃদয় সামলে উঠতে তাঁর বেশ কষ্টই হচ্ছিল। গুঞ্জন আছে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পর দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ডায়ানার প্রেমিকেরা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিচ্ছেদের পর ডায়ানার সাত প্রেমিকের কথা।
অলিভার হোর
১৯৯৬ সালের আগস্টে ডিভোর্সের আগে চার্লসের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় আলাদা থাকছিলেন ডায়ানা। রাজপরিবার থেকে দূরে থাকার সময় বেশ কয়েকজন প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন ডায়ানা। ধারণা করা হয়, ১৯৯২ সাল থেকে বিবাহিত অলিভার হোরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ডায়ানা। তখন অলিভার তিন সন্তানের বাবা। চার বছর আগে ৭৩ বছর বয়সে ক্যানসারে মারা গেছেন অলিভার। প্রিন্সেসের চেয়ে বয়সে ১৬ বছরের বড় ছিলেন তিনি। স্ত্রীর ডিভোর্সের হুমকির মুখে ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
চার্লসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন অলিভার। প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ডায়ানার কাছ থেকে প্রায় ৩০০ ফোনকল পেয়েছিলেন তিনি।
ব্যারি ম্যানাকি
ব্যারি ম্যানাকি ছিলেন রাজপরিবারের নিরাপত্তা দলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ডায়ানার দেহরক্ষী। পরে তাঁকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মকর্তার ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রেকর্ড করা এক বার্তায় ডায়ানাকে স্বীকার করতে শোনা যায়, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তাঁর আশপাশে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। সে টেপ রেকর্ডে নাম না নিলেও ধারণা করা হয়, তিনি ম্যানাকির কথাই বলছিলেন। বন্ধুদের ডায়ানা বলেন, ‘তিনি আমার পিতৃতুল্য ছিলেন এবং আমার দেখাশোনা করতেন।’ ১৯৮৭ সালে এক মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ৩৭ বছর বয়সে ম্যানাকি নিহত হন।
জেমস গিলবি
জেমস গিলবি ছিলেন ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। স্নেহের বশে ডায়ানার নাম দিয়েছিলেন ‘স্কুইডগি’, বাংলা অর্থ কমনীয়। ১৯৮৯ সালে গোপনে রেকর্ড করা টেপ থেকে তাঁর আর ডায়ানার কথোপকথন ফাঁস হয়। চার্লসের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই জেমসের সঙ্গে পরিচয় ছিল ডায়ানার। রেকর্ড করা এই টেপ তখন বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। আর কীভাবে এ কথোপকথন ফাঁস হয়েছে, তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন ওঠে। ধারণা করা হয়, ১৯৮৯ সালের দিকে জেমসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক তুঙ্গে ছিল।
উইল কার্লিং
রাগবি লিজেন্ড উইল কার্লিংয়ের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানার দেখা হয় একটি জিমে। ১৯৯৫ সালে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে, উইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ডায়ানা। ইংল্যান্ডের হয়ে রাগবি খেলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন উইল। প্রিন্সেসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে বিবাহিত ছিলেন উইল। সম্পর্কের ছাড়াছাড়ির সময়টাতে ডায়ানার ব্যবহার নিয়ে নিন্দা জানিয়েছিলেন উইলের স্ত্রী। ডায়ানা বলেছিলেন, ‘উইল কুকুরছানার মতো তাঁর পিছু নিয়েছেন।’
হাসনাত খান
হার্ট সার্জন হাসনাত খানের সঙ্গে ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুই বছরের সম্পর্ক ছিল ডায়ানার। হাসনাতকে ‘মি. ওয়ান্ডারফুল’ বলে ডাকতেন ডায়ানা। বিয়ে করার কথাও ভাবছিলেন এ জুটি। বলা হয়, হাসনাতকে ‘জীবনের সেরা প্রেম’ আখ্যা দিয়েছিলেন ডায়ানা। হাসনাতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানের লাহোরেও এসেছিলেন তিনি। ডায়ানার মৃত্যুর পর কখনো তাঁদের সম্পর্কের অন্তরঙ্গ কোনো তথ্য নিয়ে কথা বলেননি হাসনাত। ১৯৯৭ সালের জুনে হাসনাতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানেন ডায়ানা।
জেমস হেউইট
অশ্বারোহী সেনা কর্মকর্তা এবং রাজপরিবারের এ রাইডিং প্রশিক্ষকের সঙ্গে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রেমের সম্পর্ক ছিল ডায়ানার। ১৯৯৫ সালে বিবিসির প্যানারোমার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রেমের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডায়ানা। ২০০৩ সালে হেউইট ডায়ানার দেওয়া ৬৪টি ব্যক্তিগত প্রেমপত্র ১ কোটি পাউন্ডে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।
ডায়ানার সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা কেন হোয়ার্ফ তাঁর লেখা বই ‘ডায়ানা: ক্লোজলি গার্ডেড সিক্রেট’–এ হেউইটের সঙ্গে ডায়ানার প্রেমের কথা উল্লেখ করেছেন। বইয়ে তিনি লেখেন, হেউইটের প্রবৃত্তিই ছিল নারীঘেঁষা। তিনি ডায়ানাকে যেভাবে গুরুত্ব দিতেন ও স্নেহ করতেন— ডায়ানা সেটিরই কাঙাল ছিলেন।
হোয়ার্ফ লেখেন, প্রথমে ডায়ানা তাঁদের সম্পর্কের কথা আমার কাছে স্বীকার করতে চাননি। প্রসঙ্গ উঠলেই লজ্জায় লাল হয়ে তিনি বলতেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছুই নেই।’
দোদি ফায়েদ
দোদি ফায়েদ ছিলেন ডায়ানার প্রেমিকদের মধ্যে সর্বশেষ। প্যারিসে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ডায়না ও দোদি তাঁদের গাড়িচালকসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয় দোদির বাবা মোহাম্মদ আল-ফায়েদের আয়োজিত এক ভোজ অনুষ্ঠানে। প্যালাশিয়াল ভিলার সেই অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে ৪২ বছর বয়সী দোদিও উপস্থিত ছিলেন। বিপুল ধনসম্পদ আর বাবার দেওয়া জেট প্লেনের মালিক দোদি প্লেবয় হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। ডায়ানা ও দোদি প্রিন্স হ্যারি, উইলিয়ামসহ একসঙ্গে এক গ্রীষ্মের অবকাশ কাটিয়েছিলেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে তাঁরা দোদির ব্যক্তিগত ইয়টে করে সারডিনিয়া ও সেন্ট ট্রপেজে ঘুরেছেন।
দুর্ঘটনার দিন ডায়ানা ও দোদি প্যারিসের রিজে নৈশভোজ করে ফিরছিলেন। এক আবেগঘন ফুটেজে দেখা যায়, মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য পরস্পরকে বিদায় দেওয়ার সময় একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন। কে জানত এটাই হবে তাঁদের শেষ আলিঙ্গন!

‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল’—বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানার এই উক্তি থেকেই বোঝা যায়, ভগ্নহৃদয় সামলে উঠতে তাঁর বেশ কষ্টই হচ্ছিল। গুঞ্জন আছে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পর দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ডায়ানার প্রেমিকেরা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিচ্ছেদের পর ডায়ানার সাত প্রেমিকের কথা।
অলিভার হোর
১৯৯৬ সালের আগস্টে ডিভোর্সের আগে চার্লসের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় আলাদা থাকছিলেন ডায়ানা। রাজপরিবার থেকে দূরে থাকার সময় বেশ কয়েকজন প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন ডায়ানা। ধারণা করা হয়, ১৯৯২ সাল থেকে বিবাহিত অলিভার হোরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ডায়ানা। তখন অলিভার তিন সন্তানের বাবা। চার বছর আগে ৭৩ বছর বয়সে ক্যানসারে মারা গেছেন অলিভার। প্রিন্সেসের চেয়ে বয়সে ১৬ বছরের বড় ছিলেন তিনি। স্ত্রীর ডিভোর্সের হুমকির মুখে ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
চার্লসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন অলিভার। প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ডায়ানার কাছ থেকে প্রায় ৩০০ ফোনকল পেয়েছিলেন তিনি।
ব্যারি ম্যানাকি
ব্যারি ম্যানাকি ছিলেন রাজপরিবারের নিরাপত্তা দলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ডায়ানার দেহরক্ষী। পরে তাঁকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মকর্তার ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রেকর্ড করা এক বার্তায় ডায়ানাকে স্বীকার করতে শোনা যায়, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তাঁর আশপাশে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। সে টেপ রেকর্ডে নাম না নিলেও ধারণা করা হয়, তিনি ম্যানাকির কথাই বলছিলেন। বন্ধুদের ডায়ানা বলেন, ‘তিনি আমার পিতৃতুল্য ছিলেন এবং আমার দেখাশোনা করতেন।’ ১৯৮৭ সালে এক মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ৩৭ বছর বয়সে ম্যানাকি নিহত হন।
জেমস গিলবি
জেমস গিলবি ছিলেন ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। স্নেহের বশে ডায়ানার নাম দিয়েছিলেন ‘স্কুইডগি’, বাংলা অর্থ কমনীয়। ১৯৮৯ সালে গোপনে রেকর্ড করা টেপ থেকে তাঁর আর ডায়ানার কথোপকথন ফাঁস হয়। চার্লসের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই জেমসের সঙ্গে পরিচয় ছিল ডায়ানার। রেকর্ড করা এই টেপ তখন বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। আর কীভাবে এ কথোপকথন ফাঁস হয়েছে, তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন ওঠে। ধারণা করা হয়, ১৯৮৯ সালের দিকে জেমসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক তুঙ্গে ছিল।
উইল কার্লিং
রাগবি লিজেন্ড উইল কার্লিংয়ের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানার দেখা হয় একটি জিমে। ১৯৯৫ সালে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে, উইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ডায়ানা। ইংল্যান্ডের হয়ে রাগবি খেলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন উইল। প্রিন্সেসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে বিবাহিত ছিলেন উইল। সম্পর্কের ছাড়াছাড়ির সময়টাতে ডায়ানার ব্যবহার নিয়ে নিন্দা জানিয়েছিলেন উইলের স্ত্রী। ডায়ানা বলেছিলেন, ‘উইল কুকুরছানার মতো তাঁর পিছু নিয়েছেন।’
হাসনাত খান
হার্ট সার্জন হাসনাত খানের সঙ্গে ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুই বছরের সম্পর্ক ছিল ডায়ানার। হাসনাতকে ‘মি. ওয়ান্ডারফুল’ বলে ডাকতেন ডায়ানা। বিয়ে করার কথাও ভাবছিলেন এ জুটি। বলা হয়, হাসনাতকে ‘জীবনের সেরা প্রেম’ আখ্যা দিয়েছিলেন ডায়ানা। হাসনাতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানের লাহোরেও এসেছিলেন তিনি। ডায়ানার মৃত্যুর পর কখনো তাঁদের সম্পর্কের অন্তরঙ্গ কোনো তথ্য নিয়ে কথা বলেননি হাসনাত। ১৯৯৭ সালের জুনে হাসনাতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানেন ডায়ানা।
জেমস হেউইট
অশ্বারোহী সেনা কর্মকর্তা এবং রাজপরিবারের এ রাইডিং প্রশিক্ষকের সঙ্গে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রেমের সম্পর্ক ছিল ডায়ানার। ১৯৯৫ সালে বিবিসির প্যানারোমার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রেমের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডায়ানা। ২০০৩ সালে হেউইট ডায়ানার দেওয়া ৬৪টি ব্যক্তিগত প্রেমপত্র ১ কোটি পাউন্ডে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।
ডায়ানার সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা কেন হোয়ার্ফ তাঁর লেখা বই ‘ডায়ানা: ক্লোজলি গার্ডেড সিক্রেট’–এ হেউইটের সঙ্গে ডায়ানার প্রেমের কথা উল্লেখ করেছেন। বইয়ে তিনি লেখেন, হেউইটের প্রবৃত্তিই ছিল নারীঘেঁষা। তিনি ডায়ানাকে যেভাবে গুরুত্ব দিতেন ও স্নেহ করতেন— ডায়ানা সেটিরই কাঙাল ছিলেন।
হোয়ার্ফ লেখেন, প্রথমে ডায়ানা তাঁদের সম্পর্কের কথা আমার কাছে স্বীকার করতে চাননি। প্রসঙ্গ উঠলেই লজ্জায় লাল হয়ে তিনি বলতেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছুই নেই।’
দোদি ফায়েদ
দোদি ফায়েদ ছিলেন ডায়ানার প্রেমিকদের মধ্যে সর্বশেষ। প্যারিসে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ডায়না ও দোদি তাঁদের গাড়িচালকসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয় দোদির বাবা মোহাম্মদ আল-ফায়েদের আয়োজিত এক ভোজ অনুষ্ঠানে। প্যালাশিয়াল ভিলার সেই অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে ৪২ বছর বয়সী দোদিও উপস্থিত ছিলেন। বিপুল ধনসম্পদ আর বাবার দেওয়া জেট প্লেনের মালিক দোদি প্লেবয় হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। ডায়ানা ও দোদি প্রিন্স হ্যারি, উইলিয়ামসহ একসঙ্গে এক গ্রীষ্মের অবকাশ কাটিয়েছিলেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে তাঁরা দোদির ব্যক্তিগত ইয়টে করে সারডিনিয়া ও সেন্ট ট্রপেজে ঘুরেছেন।
দুর্ঘটনার দিন ডায়ানা ও দোদি প্যারিসের রিজে নৈশভোজ করে ফিরছিলেন। এক আবেগঘন ফুটেজে দেখা যায়, মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য পরস্পরকে বিদায় দেওয়ার সময় একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন। কে জানত এটাই হবে তাঁদের শেষ আলিঙ্গন!

সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা।
৩১ মিনিট আগে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে...
৪ ঘণ্টা আগে
জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অভিভাবক হিসেবে রাগের অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশ আপনার সন্তানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সন্তানেরা সাধারণত দুষ্টুমি করবেই, আর উচ্চ মানসিক চাপের সময়ে বাবা-মায়ের জন্য সামান্য ভুলের কারণেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কার্যকরভাবে রাগ পরিচালনা করা শেখা কেবল আপনার মানসিক প্রশান্তিই দেবে না, পারিবারিক পরিবেশ এবং সন্তানের সুস্থ বিকাশের জন্যও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।
যদি আপনি প্রায়ই রাগের শিকার হন, তবে আপনার রাগের কারণ বা ’ট্রিগার’ চিহ্নিত করা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের প্রথম ধাপ। তবে যখন রাগ চরমে ওঠে, তখন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এর জন্য প্রথমে নিরাপদে সরে আসুন। রাগের সময় প্রথমে নিশ্চিত করুন যে আশপাশে সবাই নিরাপদ আছে। তারপর সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে সরে যান। রাগ থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কার্যকর উপায় হলো ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া। অথবা নীরবে ১০ পর্যন্ত গুনতে পারেন। এ ছাড়া ‘গ্রাউন্ডিং’ কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য হাতে সহজে বহনযোগ্য একটি ছোট বস্তু ধরে রাখুন কিংবা আশপাশের জিনিসপত্র চিহ্নিত অথবা গণনা করে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণকে পরিবেশের দিকে সরিয়ে দিন। আপনার শরীরের প্রতিটি অংশকে সচেতনভাবে শিথিল করার দিকে মনোযোগ দিন।

একটি কোড ওয়ার্ড ঠিক করুন, যা ব্যবহার করে আপনি অন্যদের জানাতে পারবেন, আপনি কেমন অনুভব করছেন। এটা করলে বেশি কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তির জন্য নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, পর্যাপ্ত ঘুম, শিল্প বা লেখার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ এবং প্রকৃতির কাছে যাওয়া সহায়ক হতে পারে।
রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি নেওয়া প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক উন্নতি লাভ করেন। আপনার রাগ নিয়ে আপনি একজন থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসক আপনাকে রেফার করতে পারবেন। ২০২২ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, অভিভাবকদের জন্য গ্রুপভিত্তিক রাগ ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রাম বেশ কার্যকর। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী মায়েরা প্যারেন্টিং এবং মনোভাবে এমন উন্নতি দেখেছেন, যা প্রোগ্রাম শেষেও বজায় ছিল। এটি একাকিত্ব দূর করে সামাজিক সমর্থন বাড়াতে সহায়ক। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রাগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস করতে পারেন। এমনকি ইয়েল ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠান শিক্ষাবিদদের জন্য বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স অফার করে।

শিশুদের মধ্যেও রাগ বা ক্রোধের অনুভূতি আসা স্বাভাবিক। অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো, তাদের এই অনুভূতিগুলোকে কার্যকরভাবে পরিচালনা এবং প্রক্রিয়া করতে শেখানো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজে সঠিক রাগ ব্যবস্থাপনা করে তাদের সামনে ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করা। আপনার সন্তানকে সাইকেল চালানো বা দৌড়ানোর মতো শারীরিক কার্যকলাপ অথবা জার্নালিং বা পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে তাদের অনুভূতি প্রকাশের নিরাপদ উপায় শেখান। তাদের রাগের কারণগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করুন। তারা যখনই উপযুক্ত উপায়ে রাগ সামলাবে, ছোট প্রচেষ্টার জন্যও তাদের প্রশংসা করুন।
অতিরিক্ত রাগ, বিশেষ করে চিৎকার-চেঁচামেচি, শিশুদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত রাগের প্রকাশ শিশুর মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি বদলে দিতে পারে। চিৎকার-চেঁচামেচি আচরণ সংশোধনের পরিবর্তে উল্টো প্রায়শই তারা অবাঞ্ছিত আচরণ করে। এটি শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা ও উদ্বেগের জন্ম দিতে পারে। যারা বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি দেখে বড় হয়, তাদের মধ্যে অবিশ্বাস এবং সামাজিক সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই মানসিক চাপের কারণে শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা; যেমন মাথাব্যথা এবং পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন

সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অভিভাবক হিসেবে রাগের অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশ আপনার সন্তানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সন্তানেরা সাধারণত দুষ্টুমি করবেই, আর উচ্চ মানসিক চাপের সময়ে বাবা-মায়ের জন্য সামান্য ভুলের কারণেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কার্যকরভাবে রাগ পরিচালনা করা শেখা কেবল আপনার মানসিক প্রশান্তিই দেবে না, পারিবারিক পরিবেশ এবং সন্তানের সুস্থ বিকাশের জন্যও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।
যদি আপনি প্রায়ই রাগের শিকার হন, তবে আপনার রাগের কারণ বা ’ট্রিগার’ চিহ্নিত করা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের প্রথম ধাপ। তবে যখন রাগ চরমে ওঠে, তখন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এর জন্য প্রথমে নিরাপদে সরে আসুন। রাগের সময় প্রথমে নিশ্চিত করুন যে আশপাশে সবাই নিরাপদ আছে। তারপর সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে সরে যান। রাগ থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কার্যকর উপায় হলো ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া। অথবা নীরবে ১০ পর্যন্ত গুনতে পারেন। এ ছাড়া ‘গ্রাউন্ডিং’ কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য হাতে সহজে বহনযোগ্য একটি ছোট বস্তু ধরে রাখুন কিংবা আশপাশের জিনিসপত্র চিহ্নিত অথবা গণনা করে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণকে পরিবেশের দিকে সরিয়ে দিন। আপনার শরীরের প্রতিটি অংশকে সচেতনভাবে শিথিল করার দিকে মনোযোগ দিন।

একটি কোড ওয়ার্ড ঠিক করুন, যা ব্যবহার করে আপনি অন্যদের জানাতে পারবেন, আপনি কেমন অনুভব করছেন। এটা করলে বেশি কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তির জন্য নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, পর্যাপ্ত ঘুম, শিল্প বা লেখার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ এবং প্রকৃতির কাছে যাওয়া সহায়ক হতে পারে।
রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি নেওয়া প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক উন্নতি লাভ করেন। আপনার রাগ নিয়ে আপনি একজন থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসক আপনাকে রেফার করতে পারবেন। ২০২২ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, অভিভাবকদের জন্য গ্রুপভিত্তিক রাগ ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রাম বেশ কার্যকর। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী মায়েরা প্যারেন্টিং এবং মনোভাবে এমন উন্নতি দেখেছেন, যা প্রোগ্রাম শেষেও বজায় ছিল। এটি একাকিত্ব দূর করে সামাজিক সমর্থন বাড়াতে সহায়ক। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রাগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস করতে পারেন। এমনকি ইয়েল ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠান শিক্ষাবিদদের জন্য বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স অফার করে।

শিশুদের মধ্যেও রাগ বা ক্রোধের অনুভূতি আসা স্বাভাবিক। অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো, তাদের এই অনুভূতিগুলোকে কার্যকরভাবে পরিচালনা এবং প্রক্রিয়া করতে শেখানো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজে সঠিক রাগ ব্যবস্থাপনা করে তাদের সামনে ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করা। আপনার সন্তানকে সাইকেল চালানো বা দৌড়ানোর মতো শারীরিক কার্যকলাপ অথবা জার্নালিং বা পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে তাদের অনুভূতি প্রকাশের নিরাপদ উপায় শেখান। তাদের রাগের কারণগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করুন। তারা যখনই উপযুক্ত উপায়ে রাগ সামলাবে, ছোট প্রচেষ্টার জন্যও তাদের প্রশংসা করুন।
অতিরিক্ত রাগ, বিশেষ করে চিৎকার-চেঁচামেচি, শিশুদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত রাগের প্রকাশ শিশুর মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি বদলে দিতে পারে। চিৎকার-চেঁচামেচি আচরণ সংশোধনের পরিবর্তে উল্টো প্রায়শই তারা অবাঞ্ছিত আচরণ করে। এটি শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা ও উদ্বেগের জন্ম দিতে পারে। যারা বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি দেখে বড় হয়, তাদের মধ্যে অবিশ্বাস এবং সামাজিক সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই মানসিক চাপের কারণে শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা; যেমন মাথাব্যথা এবং পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন

‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল’—বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানার এ উক্তি থেকেই বোঝা যায়, ভগ্নহৃদয় সামলে উঠতে তাঁর বেশ কষ্টই হচ্ছিল। গুঞ্জন আছে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পর দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ডায়ানার প্রেমিকেরা।
১৫ অক্টোবর ২০২৩
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে...
৪ ঘণ্টা আগে
জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে লম্বা এবং কোন প্রান্তে সবচেয়ে খর্ব মানুষজন বসবাস করে, তার একটি আকর্ষণীয় চিত্র উঠে এসেছে। গড় মানব উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ধরে রেখেছে ইউরোপীয় দেশগুলো আর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস।

বিশ্বের দীর্ঘতম মানুষ: শীর্ষস্থান ডাচদের
এই পরিসংখ্যান দেখায়, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার উন্নত মান কীভাবে একটি জাতির গড় উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। তালিকার শীর্ষে থাকা নেদারল্যান্ডসের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। এই উচ্চতাই বিশ্ব রেকর্ড। এখানে একটি মজার তথ্য পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর প্রকাশিত তথ্যগুলোতে ৫, ১০, ১৫ ও ১৯ বছর বয়সী নারী ও পুরুষদের উচ্চতার তালিকা দেওয়া হয়। সেখানে ১৯ বছরের নারী ও পুরুষের উচ্চতা অনুযায়ী নেদারল্যান্ডস শীর্ষে থাকলেও ৫ ও ১০ বছর বয়সীদের ক্যাটাগরিতে উচ্চতার ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে ফ্রান্স পলিনেশিয়া, যা মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। আর ১৫ বছর বয়সীদের তালিকায় শীর্ষে আছে মন্টিনিগ্রো। ডাচদের পরেই দীর্ঘতম জনসংখ্যার তালিকায় রয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বলকান এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের। ৬ ফুট গড় উচ্চতার তালিকায় আছে মন্টিনিগ্রো, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। যেখানে পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট। এই দেশগুলোতে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির মধ্যে। ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও মন্টিনিগ্রোর নারীরা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি গড় উচ্চতা নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন, স্লোভাকিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও লাটভিয়ার মতো দেশগুলোর পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। সেখানে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।

খর্বতম জনসংখ্যা: এশিয়া-আফ্রিকার চিত্র
তালিকায় থাকা এই দেশগুলোর জনসংখ্যা সাধারণত পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। আর এই বিষয়গুলোই তাদের শারীরিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় জনসংখ্যার সন্ধান মেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। এই তালিকায় সর্বনিম্ন গড় উচ্চতা নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরে পুরুষদের গড় উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। নারীদের গড় উচ্চতা এখানে ৫ ফুট। পূর্ব তিমুরের পর সবচেয়ে খর্বকায় জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে লাওস, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়া নিউগিনি। লাওস, পাপুয়া নিউগিনি এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বাংলাদেশ, নেপাল, ইয়েমেন, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কারের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। লাতিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার নারীদের গড় উচ্চতা মাত্র ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি। এটি এই তালিকায় সর্বনিম্ন। পুরুষদের গড় উচ্চতা এখানে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। বাংলাদেশ ও নেপালে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট।
গড় উচ্চতার এই বিশ্ব মানচিত্র একটি জাতির স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান কেমন, তার একটি নীরব সূচক। নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো প্রমাণ করে যে উন্নত জীবনধারণের ব্যবস্থা উচ্চতার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। যেখানে এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলের পরিসংখ্যান বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে লম্বা এবং কোন প্রান্তে সবচেয়ে খর্ব মানুষজন বসবাস করে, তার একটি আকর্ষণীয় চিত্র উঠে এসেছে। গড় মানব উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ধরে রেখেছে ইউরোপীয় দেশগুলো আর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস।

বিশ্বের দীর্ঘতম মানুষ: শীর্ষস্থান ডাচদের
এই পরিসংখ্যান দেখায়, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার উন্নত মান কীভাবে একটি জাতির গড় উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। তালিকার শীর্ষে থাকা নেদারল্যান্ডসের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। এই উচ্চতাই বিশ্ব রেকর্ড। এখানে একটি মজার তথ্য পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর প্রকাশিত তথ্যগুলোতে ৫, ১০, ১৫ ও ১৯ বছর বয়সী নারী ও পুরুষদের উচ্চতার তালিকা দেওয়া হয়। সেখানে ১৯ বছরের নারী ও পুরুষের উচ্চতা অনুযায়ী নেদারল্যান্ডস শীর্ষে থাকলেও ৫ ও ১০ বছর বয়সীদের ক্যাটাগরিতে উচ্চতার ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে ফ্রান্স পলিনেশিয়া, যা মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। আর ১৫ বছর বয়সীদের তালিকায় শীর্ষে আছে মন্টিনিগ্রো। ডাচদের পরেই দীর্ঘতম জনসংখ্যার তালিকায় রয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বলকান এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের। ৬ ফুট গড় উচ্চতার তালিকায় আছে মন্টিনিগ্রো, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। যেখানে পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট। এই দেশগুলোতে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির মধ্যে। ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও মন্টিনিগ্রোর নারীরা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি গড় উচ্চতা নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন, স্লোভাকিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও লাটভিয়ার মতো দেশগুলোর পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। সেখানে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।

খর্বতম জনসংখ্যা: এশিয়া-আফ্রিকার চিত্র
তালিকায় থাকা এই দেশগুলোর জনসংখ্যা সাধারণত পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। আর এই বিষয়গুলোই তাদের শারীরিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় জনসংখ্যার সন্ধান মেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। এই তালিকায় সর্বনিম্ন গড় উচ্চতা নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরে পুরুষদের গড় উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। নারীদের গড় উচ্চতা এখানে ৫ ফুট। পূর্ব তিমুরের পর সবচেয়ে খর্বকায় জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে লাওস, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়া নিউগিনি। লাওস, পাপুয়া নিউগিনি এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বাংলাদেশ, নেপাল, ইয়েমেন, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কারের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। লাতিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার নারীদের গড় উচ্চতা মাত্র ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি। এটি এই তালিকায় সর্বনিম্ন। পুরুষদের গড় উচ্চতা এখানে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। বাংলাদেশ ও নেপালে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট।
গড় উচ্চতার এই বিশ্ব মানচিত্র একটি জাতির স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান কেমন, তার একটি নীরব সূচক। নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো প্রমাণ করে যে উন্নত জীবনধারণের ব্যবস্থা উচ্চতার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। যেখানে এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলের পরিসংখ্যান বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল’—বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানার এ উক্তি থেকেই বোঝা যায়, ভগ্নহৃদয় সামলে উঠতে তাঁর বেশ কষ্টই হচ্ছিল। গুঞ্জন আছে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পর দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ডায়ানার প্রেমিকেরা।
১৫ অক্টোবর ২০২৩
সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা।
৩১ মিনিট আগে
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে...
৪ ঘণ্টা আগে
জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে ঘোষণা করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কারও ‘লাইক’ বা ‘কমেন্ট’ নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখালে কপালে দুঃখ আছে। ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন।
বৃষ
আপনার প্রতি গ্রহদের বার্তা: ‘আজ নড়া মানেই মহাপাপ!’ বিছানা বা সোফা থেকে উঠবেন না। যদি ওঠেনও, তবে তা হবে শুধু ফ্রিজ বা ফুড ডেলিভারি বয়ের উদ্দেশ্যে। আজ ডায়েট প্ল্যানটি এতটা কঠোর হবে যে এক চুমুক চা খেয়েই ভাববেন, ‘থাক, আজ অনেক ক্যালরি হলো!’ ভালোবাসার মানুষের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইলে, তাঁর প্রিয় খাবারটা নিজের হাতে রান্না করুন। রান্নার গন্ধই আপনার প্রেমজীবনকে গতি দেবে।
মিথুন
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা আজ একই সঙ্গে দুটি বিপরীত কাজ করার চেষ্টা করবেন, যেমন একদিকে মেডিটেশন করে শান্তি খুঁজবেন, আর অন্যদিকে পাশের জনের সঙ্গে অকারণে তর্ক করে সেই শান্তি নষ্ট করবেন। আজ সকালে যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন, দুপুরে নিজেই তার তীব্র বিরোধিতা শুরু করে দেবেন। বন্ধুবান্ধব আপনার ‘মিনি-পার্সোনালিটি ক্রাইসিস’ দেখে হাসবে। কোনো মিটিংয়ে এমন একটি জটিল আইডিয়া দেবেন, যা নিজেও বোঝেন না। ভাগ্য ভালো থাকলে সবাই চুপ করে থাকবে, আর খারাপ থাকলে সেই আইডিয়া আপনাকে দিয়ে করিয়ে নেবে।
কর্কট
চাঁদের প্রভাব আজ আপনার ওপর তীব্র। দিনের বেলাতেই মনে হবে, পৃথিবীর সব কষ্ট শুধু আপনার জন্যই বরাদ্দ। সামান্য চিপসের প্যাকেট ছিঁড়ে গেলে বা রিমোট খুঁজে না পেলেও আপনার চোখ ভিজে উঠতে পারে। সামান্য ব্যাপারে ড্রামা কুইন/কিং সেজে বসে থাকবেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, ‘তোমরা আমার ভেতরের কষ্টটা বুঝবে না!’ পরিবারের সবাই আজ আপনার মুড দেখে ভয়ে থাকবে। শান্তি চাইলে, সবার জন্য সুস্বাদু কিছু রান্না করুন। কারণ, পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
সিংহ
আজ সারা দিন এমন সুযোগ খুঁজবেন, যেখানে নিজেকে ‘শো-স্টপার’ হিসেবে প্রমাণ করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ স্পটলাইট আপনার দিকে নয়, বরং পেছনের দেয়ালটার দিকে থাকবে। অফিসে বা বন্ধুদের আড্ডায় এমনভাবে গল্প বলবেন, যেন আপনি নিজেই সেই গল্পের মূল চরিত্র, যিনি কোনো বিশ্ব-সমস্যা সমাধান করেছেন। আজ কেনাকাটার সময় এমন কিছু কিনতে পারেন, যা শুধু অন্যের চোখধাঁধানোর জন্য দরকার। পকেট ফাঁকা হলেও ইগো টইটম্বুর!
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ ভূতটি সক্রিয় হয়ে উঠবে। নিজের ঘর বা ডেস্ক এমনভাবে পরিপাটি করতে চাইবেন, যেন সেটা কোনো মিউজিয়ামের প্রদর্শনী। এই করতে গিয়ে সারা দিনের কাজ পণ্ড হবে। আজ রান্নাঘরের মসলার কৌটো গোছাতে গিয়ে আবিষ্কার করবেন, গত ছয় মাস ধরে ভুল মসলা ব্যবহার করছিলেন। সামান্য হাঁচি হলেও গুগলে কঠিন রোগের লক্ষণ খুঁজতে শুরু করবেন। অযথা ডাক্তার না সেজে বরং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি শেষ করুন।
তুলা
তুলা রাশির মানুষজন আজ এমনভাবে দোদুল্যমান থাকবেন, যেন পাল্লায় একদিকে আছে চা আর অন্যদিকে কফি। এই দোটানা এতটা তীব্র হবে যে নিজের জন্য একটা টুথব্রাশ কিনতেও ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে ফেলবেন। আজ কাউকে ‘হ্যাঁ’ বলতে চাইলেও মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে ‘না-এর মাঝামাঝি কিছু একটা’। প্রেমিকার/প্রেমিকের জন্মদিনে কী দেবেন, তা ঠিক করতে গিয়ে রাত কাবার হবে। আজ বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টস করুন। কারণ, গ্রহের মতে, ভাগ্য আজ আপনার ইচ্ছার চেয়েও ভালো সিদ্ধান্ত নেবে।
বৃশ্চিক
আপনার রাশিতে আজ গভীর ষড়যন্ত্রের যোগ। সারা দিন এমন গম্ভীর মুখ করে থাকবেন, যেন কোনো আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তির প্ল্যান কষছেন। কিন্তু এই রহস্যময়তা আসলে কোনো অপ্রয়োজনীয় বিল বা ভুলে যাওয়া ডেডলাইন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়। বন্ধু বা সহকর্মীরা ভাববে, আপনি কোনো মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত। কিন্তু আসলে ফোনের গ্যালারিতে গত পাঁচ বছরের সব অপ্রয়োজনীয় স্ক্রিনশট ডিলিট করছেন। ভালোবাসার মানুষকে কাছে টানুন, কিন্তু অতিরিক্ত রহস্যময় আচরণ করলে তাঁরা আপনাকে ‘পাগল’ ভাবতে পারেন। হাসি পেলে হাসুন!
ধনু
মনে আজ বিশ্বভ্রমণের ঢেউ। কিন্তু পকেট আর অফিসের কাজের চাপে সেই ঢেউ এসে আছড়ে পড়বে বাড়ির বারান্দা বা ছাদে। ছাদে পায়চারি করতে করতে জীবন ও জগতের রহস্য নিয়ে গভীর দার্শনিক মন্তব্য করতে পারেন। আজ অফিসের ড্রেস কোড নিয়ে এমন এক জটিল দর্শন ঝাড়বেন, যাতে বসও কনফিউজড হয়ে যাবেন। কোনো দূরবর্তী ভ্রমণের প্ল্যান আজ চূড়ান্ত হবে, যা শেষ পর্যন্ত শুধু আপনার ড্রয়িংরুম পর্যন্তই যাবে। তবু স্বপ্ন দেখা ছাড়বেন না।
মকর
আপনার রাশিতে আজ ‘অতি কার্যকলাপ’-এর যোগ। আজকের দিনটি এমনভাবে কাটাবেন যেন আপনিই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি, যার কাছে কাজ করার সময় আছে। অন্য সবাই আপনার চোখে শুধু অলস আর অকেজো। ছুটি থাকলেও সকালে উঠে অফিসের ই-মেইল চেক করবেন এবং মনে মনে ভাববেন, ‘আহ! কী শান্তি!’ সিনেমা দেখতে গেলে হিরো-হিরোইনদের কাজের প্রতি তাদের সিরিয়াসনেস নিয়ে সমালোচনা করবেন। আজ বিনোদনের চেয়ে কাজের তালিকা তৈরি করা আপনার কাছে বেশি আনন্দের।
কুম্ভ
আজ এমন কিছু করতে চাইবেন, যা কেউ কখনো করেনি। ধরুন, হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ থেকে শুধু উল্টো দিকে হাঁটবেন, অথবা বেগুনভাজা দিয়ে কফি খাবেন। এমন একটি অদ্ভুত বিষয়ে জ্ঞান ঝাড়বেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজেকে ‘ভবিষ্যতের মানুষ’ মনে করে বর্তমানের মানুষের প্রতি করুণা করবেন। আপনার অদ্ভুত আইডিয়াগুলো শুনে বন্ধুরা আজ মজা পাবে। তাই তাদের বিরক্ত না করে, নিজের মতো করে ‘আলাদা’ থাকুন।
মীন
আপনার মন আজ মেঘে ঢাকা। সারা দিন কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়াবেন। মিটিংয়ের মাঝে, রাস্তার ভিড়ে বা খাবার টেবিলে—হঠাৎ করে এমন এক গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন যে পাশের লোক কী বলল, তা আপনার কানেই যাবে না। হাঁটতে হাঁটতে হয়তো দেয়ালে ধাক্কা খাবেন, বা দুবার ভুল বাসে উঠে পড়বেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, আপনি নাকি মহাজাগতিক কোনো সিগন্যালের অর্থোদ্ধার করছিলেন। আজ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাঠানোর আগে দুবার চেক করুন, নইলে স্বপ্নে দেখা কোনো রেসিপি হয়তো বসের কাছে চলে যেতে পারে।

মেষ
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে ঘোষণা করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কারও ‘লাইক’ বা ‘কমেন্ট’ নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখালে কপালে দুঃখ আছে। ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন।
বৃষ
আপনার প্রতি গ্রহদের বার্তা: ‘আজ নড়া মানেই মহাপাপ!’ বিছানা বা সোফা থেকে উঠবেন না। যদি ওঠেনও, তবে তা হবে শুধু ফ্রিজ বা ফুড ডেলিভারি বয়ের উদ্দেশ্যে। আজ ডায়েট প্ল্যানটি এতটা কঠোর হবে যে এক চুমুক চা খেয়েই ভাববেন, ‘থাক, আজ অনেক ক্যালরি হলো!’ ভালোবাসার মানুষের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইলে, তাঁর প্রিয় খাবারটা নিজের হাতে রান্না করুন। রান্নার গন্ধই আপনার প্রেমজীবনকে গতি দেবে।
মিথুন
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা আজ একই সঙ্গে দুটি বিপরীত কাজ করার চেষ্টা করবেন, যেমন একদিকে মেডিটেশন করে শান্তি খুঁজবেন, আর অন্যদিকে পাশের জনের সঙ্গে অকারণে তর্ক করে সেই শান্তি নষ্ট করবেন। আজ সকালে যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন, দুপুরে নিজেই তার তীব্র বিরোধিতা শুরু করে দেবেন। বন্ধুবান্ধব আপনার ‘মিনি-পার্সোনালিটি ক্রাইসিস’ দেখে হাসবে। কোনো মিটিংয়ে এমন একটি জটিল আইডিয়া দেবেন, যা নিজেও বোঝেন না। ভাগ্য ভালো থাকলে সবাই চুপ করে থাকবে, আর খারাপ থাকলে সেই আইডিয়া আপনাকে দিয়ে করিয়ে নেবে।
কর্কট
চাঁদের প্রভাব আজ আপনার ওপর তীব্র। দিনের বেলাতেই মনে হবে, পৃথিবীর সব কষ্ট শুধু আপনার জন্যই বরাদ্দ। সামান্য চিপসের প্যাকেট ছিঁড়ে গেলে বা রিমোট খুঁজে না পেলেও আপনার চোখ ভিজে উঠতে পারে। সামান্য ব্যাপারে ড্রামা কুইন/কিং সেজে বসে থাকবেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, ‘তোমরা আমার ভেতরের কষ্টটা বুঝবে না!’ পরিবারের সবাই আজ আপনার মুড দেখে ভয়ে থাকবে। শান্তি চাইলে, সবার জন্য সুস্বাদু কিছু রান্না করুন। কারণ, পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
সিংহ
আজ সারা দিন এমন সুযোগ খুঁজবেন, যেখানে নিজেকে ‘শো-স্টপার’ হিসেবে প্রমাণ করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ স্পটলাইট আপনার দিকে নয়, বরং পেছনের দেয়ালটার দিকে থাকবে। অফিসে বা বন্ধুদের আড্ডায় এমনভাবে গল্প বলবেন, যেন আপনি নিজেই সেই গল্পের মূল চরিত্র, যিনি কোনো বিশ্ব-সমস্যা সমাধান করেছেন। আজ কেনাকাটার সময় এমন কিছু কিনতে পারেন, যা শুধু অন্যের চোখধাঁধানোর জন্য দরকার। পকেট ফাঁকা হলেও ইগো টইটম্বুর!
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ ভূতটি সক্রিয় হয়ে উঠবে। নিজের ঘর বা ডেস্ক এমনভাবে পরিপাটি করতে চাইবেন, যেন সেটা কোনো মিউজিয়ামের প্রদর্শনী। এই করতে গিয়ে সারা দিনের কাজ পণ্ড হবে। আজ রান্নাঘরের মসলার কৌটো গোছাতে গিয়ে আবিষ্কার করবেন, গত ছয় মাস ধরে ভুল মসলা ব্যবহার করছিলেন। সামান্য হাঁচি হলেও গুগলে কঠিন রোগের লক্ষণ খুঁজতে শুরু করবেন। অযথা ডাক্তার না সেজে বরং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি শেষ করুন।
তুলা
তুলা রাশির মানুষজন আজ এমনভাবে দোদুল্যমান থাকবেন, যেন পাল্লায় একদিকে আছে চা আর অন্যদিকে কফি। এই দোটানা এতটা তীব্র হবে যে নিজের জন্য একটা টুথব্রাশ কিনতেও ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে ফেলবেন। আজ কাউকে ‘হ্যাঁ’ বলতে চাইলেও মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে ‘না-এর মাঝামাঝি কিছু একটা’। প্রেমিকার/প্রেমিকের জন্মদিনে কী দেবেন, তা ঠিক করতে গিয়ে রাত কাবার হবে। আজ বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টস করুন। কারণ, গ্রহের মতে, ভাগ্য আজ আপনার ইচ্ছার চেয়েও ভালো সিদ্ধান্ত নেবে।
বৃশ্চিক
আপনার রাশিতে আজ গভীর ষড়যন্ত্রের যোগ। সারা দিন এমন গম্ভীর মুখ করে থাকবেন, যেন কোনো আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তির প্ল্যান কষছেন। কিন্তু এই রহস্যময়তা আসলে কোনো অপ্রয়োজনীয় বিল বা ভুলে যাওয়া ডেডলাইন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়। বন্ধু বা সহকর্মীরা ভাববে, আপনি কোনো মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত। কিন্তু আসলে ফোনের গ্যালারিতে গত পাঁচ বছরের সব অপ্রয়োজনীয় স্ক্রিনশট ডিলিট করছেন। ভালোবাসার মানুষকে কাছে টানুন, কিন্তু অতিরিক্ত রহস্যময় আচরণ করলে তাঁরা আপনাকে ‘পাগল’ ভাবতে পারেন। হাসি পেলে হাসুন!
ধনু
মনে আজ বিশ্বভ্রমণের ঢেউ। কিন্তু পকেট আর অফিসের কাজের চাপে সেই ঢেউ এসে আছড়ে পড়বে বাড়ির বারান্দা বা ছাদে। ছাদে পায়চারি করতে করতে জীবন ও জগতের রহস্য নিয়ে গভীর দার্শনিক মন্তব্য করতে পারেন। আজ অফিসের ড্রেস কোড নিয়ে এমন এক জটিল দর্শন ঝাড়বেন, যাতে বসও কনফিউজড হয়ে যাবেন। কোনো দূরবর্তী ভ্রমণের প্ল্যান আজ চূড়ান্ত হবে, যা শেষ পর্যন্ত শুধু আপনার ড্রয়িংরুম পর্যন্তই যাবে। তবু স্বপ্ন দেখা ছাড়বেন না।
মকর
আপনার রাশিতে আজ ‘অতি কার্যকলাপ’-এর যোগ। আজকের দিনটি এমনভাবে কাটাবেন যেন আপনিই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি, যার কাছে কাজ করার সময় আছে। অন্য সবাই আপনার চোখে শুধু অলস আর অকেজো। ছুটি থাকলেও সকালে উঠে অফিসের ই-মেইল চেক করবেন এবং মনে মনে ভাববেন, ‘আহ! কী শান্তি!’ সিনেমা দেখতে গেলে হিরো-হিরোইনদের কাজের প্রতি তাদের সিরিয়াসনেস নিয়ে সমালোচনা করবেন। আজ বিনোদনের চেয়ে কাজের তালিকা তৈরি করা আপনার কাছে বেশি আনন্দের।
কুম্ভ
আজ এমন কিছু করতে চাইবেন, যা কেউ কখনো করেনি। ধরুন, হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ থেকে শুধু উল্টো দিকে হাঁটবেন, অথবা বেগুনভাজা দিয়ে কফি খাবেন। এমন একটি অদ্ভুত বিষয়ে জ্ঞান ঝাড়বেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজেকে ‘ভবিষ্যতের মানুষ’ মনে করে বর্তমানের মানুষের প্রতি করুণা করবেন। আপনার অদ্ভুত আইডিয়াগুলো শুনে বন্ধুরা আজ মজা পাবে। তাই তাদের বিরক্ত না করে, নিজের মতো করে ‘আলাদা’ থাকুন।
মীন
আপনার মন আজ মেঘে ঢাকা। সারা দিন কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়াবেন। মিটিংয়ের মাঝে, রাস্তার ভিড়ে বা খাবার টেবিলে—হঠাৎ করে এমন এক গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন যে পাশের লোক কী বলল, তা আপনার কানেই যাবে না। হাঁটতে হাঁটতে হয়তো দেয়ালে ধাক্কা খাবেন, বা দুবার ভুল বাসে উঠে পড়বেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, আপনি নাকি মহাজাগতিক কোনো সিগন্যালের অর্থোদ্ধার করছিলেন। আজ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাঠানোর আগে দুবার চেক করুন, নইলে স্বপ্নে দেখা কোনো রেসিপি হয়তো বসের কাছে চলে যেতে পারে।

‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল’—বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানার এ উক্তি থেকেই বোঝা যায়, ভগ্নহৃদয় সামলে উঠতে তাঁর বেশ কষ্টই হচ্ছিল। গুঞ্জন আছে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পর দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ডায়ানার প্রেমিকেরা।
১৫ অক্টোবর ২০২৩
সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা।
৩১ মিনিট আগে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে। এসব সূচকের মধ্যে আছে ক্রয়ক্ষমতা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, জীবনযাত্রার ব্যয়, সম্পত্তির দাম বনাম আয়ের অনুপাত, যানজট ও যাতায়াতের সময়, দূষণ এবং জলবায়ু। এইসব সূচকের উন্নতি দেশগুলোর সরকারি নীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নাগরিকদের সার্বিক সুস্থতা, সুখ ও পূর্ণতার ফল।
আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেটাবেস ও প্ল্যাটফর্ম ‘নুম্বেও’ মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছ থেকে সংগৃহীত জরিপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করে থাকে।
নুম্বেও ২০১৫ ও ২০২৫ সালের জন্য জীবনযাত্রার মানের শীর্ষ ৩০টি দেশের তুলনামূলক গ্রাফ বা ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি করেছে। এই তুলনায় দেখা গেছে, দশক ধরে অনেক দেশের র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে।
সেরা ১০ দেশের তালিকা
লুক্সেমবার্গ
বিশ্বের ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত লুক্সেমবার্গ। এবার জীবনমান সূচক ২১৮ দশমিক ২ নিয়ে দেশটি এ বছরের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে। এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে উন্নত সরকারি সেবা, সাধারণ নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। এ ছাড়া দেশটির নিরাপদ পরিবেশ, অপরাধের কম হার এবং সামাজিক সহমর্মিতা নাগরিকদের মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। এর ফলে লুক্সেমবার্গে বসবাসরত মানুষেরা সুস্থ, নিরাপদ এবং আর্থ-সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে।

নেদারল্যান্ডস
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির জীবনমান সূচক ২১৬ দশমিক ৫। দেশটির এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে প্রগতিশীল সামাজিক নীতি, টেকসই জীবনধারা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতি। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলো পরিচ্ছন্ন এবং নাগরিকদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার দেশের জীবনমানকে আরও বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া দেশটির সামাজিক সহমর্মিতা, নিরাপদ পরিবেশ এবং সমৃদ্ধ নাগরিক সুবিধা নাগরিকদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
ডেনমার্ক
তৃতীয় অবস্থানে আছে দেশটি। এর জীবনমান সূচক ২১৫ দশমিক ১। দেশটি মানব উন্নয়ন, কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের সমন্বয়, উন্নত সামাজিক সেবা এবং পরিবেশগত সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে পরিচিত। ডেনমার্কের অধিকাংশ নাগরিক বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পায়, প্রচুর সবুজ জায়গা রয়েছে দেশটিতে এবং রয়েছে শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
ওমান
মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ ওমান এ বছরের জীবনযাত্রায় উন্নত দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে, জীবনমান সূচক ২১৫.১। এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে দেশের কম অপরাধ হার, আধুনিক ও উন্নত অবকাঠামো এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেশটির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সুশৃঙ্খল নগরব্যবস্থা এবং নিরাপদ বসবাসের সুযোগ নাগরিকদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মানসম্মত করে তুলেছে।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড নৈসর্গিক দৃশ্য, উচ্চ বেতন, সমৃদ্ধ জনস্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিখ্যাত। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাও দেশটির জীবনমানের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। সুইজারল্যান্ডের জীবনমান সূচক ২১০ দশমিক ৯।

ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ডের জীবনমান সূচক ২০৮ দশমিক ৩। এর পেছনে রয়েছে সর্বজনীন শিক্ষা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কম দুর্নীতি এবং উচ্চ সামাজিক বিশ্বাস। ফিনল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
নরওয়ে
নরওয়ে আছে তালিকার সাত নম্বরে। দেশটির জীবনমান সূচক ১৯৯ দশমিক ২। দেশটির মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর এবং শক্তিশালী পরিবেশ নীতি এই অবস্থানের কারণ।
আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের জীবনমান সূচক ১৯৮। দেশটি প্রাকৃতিক বিস্ময় এবং শক্তিশালী অবকাঠামোর জন্য বিশ্বখ্যাত।
অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ার জীবনমান সূচক ১৯৭ দশমিক ৭। দেশটি নিজেদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পরিচ্ছন্ন শহর, চমৎকার স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক জনপরিবহন ব্যবস্থার কারণে এই অবস্থানে রয়েছে। এই দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিশ্বখ্যাত।
জার্মানি
তালিকায় জার্মানি আছে দশম স্থানে। জীবনমান সূচক ১৯৫ দশমিক ২। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত শহরগুলোর কারণে দেশটি জনপ্রিয়। এ ছাড়া কর্মসংস্থান ও জনগণের সুবিধাজনক নীতির কারণে মানুষ এখানে বসবাস পছন্দ করে।
সূত্র: নুম্বেও

জীবনযাত্রার মানে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় ইউরোপের দেশগুলো প্রথম সারিতে আছে, এটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে এ বছরের এই তালিকায় এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই তালিকায় সেই সব দেশ জায়গা পায় যেগুলো জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ওপরের দিকে থাকে। এসব সূচকের মধ্যে আছে ক্রয়ক্ষমতা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, জীবনযাত্রার ব্যয়, সম্পত্তির দাম বনাম আয়ের অনুপাত, যানজট ও যাতায়াতের সময়, দূষণ এবং জলবায়ু। এইসব সূচকের উন্নতি দেশগুলোর সরকারি নীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নাগরিকদের সার্বিক সুস্থতা, সুখ ও পূর্ণতার ফল।
আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেটাবেস ও প্ল্যাটফর্ম ‘নুম্বেও’ মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছ থেকে সংগৃহীত জরিপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করে থাকে।
নুম্বেও ২০১৫ ও ২০২৫ সালের জন্য জীবনযাত্রার মানের শীর্ষ ৩০টি দেশের তুলনামূলক গ্রাফ বা ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি করেছে। এই তুলনায় দেখা গেছে, দশক ধরে অনেক দেশের র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে।
সেরা ১০ দেশের তালিকা
লুক্সেমবার্গ
বিশ্বের ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত লুক্সেমবার্গ। এবার জীবনমান সূচক ২১৮ দশমিক ২ নিয়ে দেশটি এ বছরের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে। এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে উন্নত সরকারি সেবা, সাধারণ নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। এ ছাড়া দেশটির নিরাপদ পরিবেশ, অপরাধের কম হার এবং সামাজিক সহমর্মিতা নাগরিকদের মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। এর ফলে লুক্সেমবার্গে বসবাসরত মানুষেরা সুস্থ, নিরাপদ এবং আর্থ-সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে।

নেদারল্যান্ডস
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির জীবনমান সূচক ২১৬ দশমিক ৫। দেশটির এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে প্রগতিশীল সামাজিক নীতি, টেকসই জীবনধারা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতি। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলো পরিচ্ছন্ন এবং নাগরিকদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার দেশের জীবনমানকে আরও বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া দেশটির সামাজিক সহমর্মিতা, নিরাপদ পরিবেশ এবং সমৃদ্ধ নাগরিক সুবিধা নাগরিকদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
ডেনমার্ক
তৃতীয় অবস্থানে আছে দেশটি। এর জীবনমান সূচক ২১৫ দশমিক ১। দেশটি মানব উন্নয়ন, কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের সমন্বয়, উন্নত সামাজিক সেবা এবং পরিবেশগত সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে পরিচিত। ডেনমার্কের অধিকাংশ নাগরিক বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পায়, প্রচুর সবুজ জায়গা রয়েছে দেশটিতে এবং রয়েছে শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
ওমান
মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ ওমান এ বছরের জীবনযাত্রায় উন্নত দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে, জীবনমান সূচক ২১৫.১। এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে দেশের কম অপরাধ হার, আধুনিক ও উন্নত অবকাঠামো এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেশটির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সুশৃঙ্খল নগরব্যবস্থা এবং নিরাপদ বসবাসের সুযোগ নাগরিকদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মানসম্মত করে তুলেছে।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড নৈসর্গিক দৃশ্য, উচ্চ বেতন, সমৃদ্ধ জনস্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিখ্যাত। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাও দেশটির জীবনমানের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। সুইজারল্যান্ডের জীবনমান সূচক ২১০ দশমিক ৯।

ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ডের জীবনমান সূচক ২০৮ দশমিক ৩। এর পেছনে রয়েছে সর্বজনীন শিক্ষা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কম দুর্নীতি এবং উচ্চ সামাজিক বিশ্বাস। ফিনল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
নরওয়ে
নরওয়ে আছে তালিকার সাত নম্বরে। দেশটির জীবনমান সূচক ১৯৯ দশমিক ২। দেশটির মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর এবং শক্তিশালী পরিবেশ নীতি এই অবস্থানের কারণ।
আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের জীবনমান সূচক ১৯৮। দেশটি প্রাকৃতিক বিস্ময় এবং শক্তিশালী অবকাঠামোর জন্য বিশ্বখ্যাত।
অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ার জীবনমান সূচক ১৯৭ দশমিক ৭। দেশটি নিজেদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পরিচ্ছন্ন শহর, চমৎকার স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক জনপরিবহন ব্যবস্থার কারণে এই অবস্থানে রয়েছে। এই দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিশ্বখ্যাত।
জার্মানি
তালিকায় জার্মানি আছে দশম স্থানে। জীবনমান সূচক ১৯৫ দশমিক ২। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত শহরগুলোর কারণে দেশটি জনপ্রিয়। এ ছাড়া কর্মসংস্থান ও জনগণের সুবিধাজনক নীতির কারণে মানুষ এখানে বসবাস পছন্দ করে।
সূত্র: নুম্বেও

‘আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল’—বিচ্ছেদের সময় প্রিন্সেস ডায়ানার এ উক্তি থেকেই বোঝা যায়, ভগ্নহৃদয় সামলে উঠতে তাঁর বেশ কষ্টই হচ্ছিল। গুঞ্জন আছে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পর দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ডায়ানার প্রেমিকেরা।
১৫ অক্টোবর ২০২৩
সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা।
৩১ মিনিট আগে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে...
৪ ঘণ্টা আগে