ফিচার ডেস্ক
বিমানবন্দর এমন এক জায়গা, যেখান থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা না থাকলে যেকোনো মুহূর্তে রাষ্ট্র চরম বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। এমনকি চোখের পলকেই একটি রাষ্ট্র অরক্ষিত হয়ে পড়তে পারে। তাই জনসাধারণের সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ২০২৪ সালেই ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ৯০৪ মিলিয়নের বেশি যাত্রীকে স্ক্রিনিং করেছে। বেশির ভাগ স্ক্রিনিংই স্বাভাবিক এবং রুটিনমাফিক হয়। তবে একটি ভয়ংকর চার অক্ষরের কোড আপনার এয়ারপোর্ট অভিজ্ঞতাকে ধীর করে দিতে পারে। যার নাম এসএসএসএস। এই কোড আপনাকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং লাগেজ চেকের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে।
কী এই এসএসএসএস কোড
এসএসএসএস হলো সেকেন্ডারি সিকিউরিটি স্ক্রিনিং সিলেকশন; যা যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ব্যবহার করে। এটি বোর্ডিং পাসে চার অক্ষরের কোড আকারে দেখানো হয়। এই কোড থাকলে নিরাপত্তাকর্মীরা যাত্রীর ওপর অতিরিক্ত পরীক্ষা চালান। এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক—উভয় ধরনের ফ্লাইটের বোর্ডিং পাসে দেখা যেতে পারে। যাঁদের বোর্ডিং পাসে এসএসএসএস থাকে, তাঁরা সাধারণত লাগেজ তল্লাশি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস চেক, এমনকি বডি প্যাট-ডাউন পরীক্ষার মুখোমুখি হন। এসব অতিরিক্ত প্রক্রিয়া কখনো কয়েক মিনিট আবার কখনো আধা ঘণ্টার বেশি সময় নিতে পারে।
কেন এসএসএসএস দেওয়া হয়
যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশির ভাগ সময় এসএসএসএস সম্পূর্ণ র্যান্ডমভাবে একজন যাত্রীর টিকিটে দেওয়া হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি দেওয়া হয় ওয়াচলিস্টে থাকা যাত্রীদের জন্য। আবার অনেক সময় অস্বাভাবিক ভ্রমণ প্যাটার্ন থাকলে সেই যাত্রীকেও এই এসএসএসএসের অধীনে নেওয়া হয়। এই অতিরিক্ত চেক ফেডারেল সরকারের ‘লেয়ার্ড সিকিউরিটি’ সিস্টেমের একটি অংশ। ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, তারা পূর্বপরিকল্পিত ও অপ্রত্যাশিত বিভিন্ন নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়, যা যাত্রী এয়ারপোর্টে প্রবেশ করার আগেই শুরু হয়ে যায়।
বারবার এসএসএসএস হলে কী করবেন
একই যাত্রী বারবার এসএসএসএস পেলে সেটি বিরক্তিকর হতে পারে। এর সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চালু করেছে একটি বিশেষ ব্যবস্থা; যাকে বলা হয়, ট্রাভেলার রিড্রেস ইনকোয়ারি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে যাত্রীরা একটি রিড্রেস কন্ট্রোল নম্বর পান, যা পরবর্তী টিকিট বুকিংয়ে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত হয় এবং বারবার অযথা অতিরিক্ত চেকের সম্ভাবনা কমে যায়। যদিও এ নম্বর থাকলে কখনোই এসএসএসএস আসবে না—এমন গ্যারান্টি নেই। তবে এর ব্যবহার নিরাপত্তা ঝামেলা অনেকটা কমাতে পারে।
আর কী কারণে অতিরিক্ত চেক হতে পারে
–যদি ব্যাগ স্ক্যানারে কিছু অস্পষ্ট বা সন্দেহজনক দেখা যায়
–বডি স্ক্যানার বা মেটাল ডিটেক্টরে সমস্যা হলে
–যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে
নেভাডা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও সাবেক এয়ারলাইনস পাইলট ড্যান বাব জানান, যদিও এ ধরনের ঘটনা বিরল, তবে যাত্রী যদি সন্দেহজনক আচরণ করেন, সে ক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রশ্ন করতে পারে। অনেক সময় এর সঙ্গে ড্রাগ পাচারের সম্পর্ক থাকে। এ জন্য ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এজেন্টরা এসব লক্ষণ শনাক্ত করতে প্রশিক্ষিত।
এসএসএসএস আন্তর্জাতিক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক নিয়ম নয়, যা সব বিমানবন্দর বা সব দেশে প্রয়োগ হয়। এটি মূলত একটি যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা দেশটির ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ন্ত্রণে। বোর্ডিং পাসে যদি এসএসএসএস লেখা দেখেন, তাহলে ঘাবড়ে যাবেন না। মনে রাখবেন, এটা মানে শুধু আরও কিছু বাড়তি নিরাপত্তা পরীক্ষা। এর কারণে আপনার ভ্রমণটা একটু ধীরে শুরু হতে পারে, কিন্তু নিরাপদেই শুরু হবে। এই বাড়তি ঝামেলাটাই আমাদের আকাশযাত্রাকে আরও নিরাপদ রাখে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার
বিমানবন্দর এমন এক জায়গা, যেখান থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা না থাকলে যেকোনো মুহূর্তে রাষ্ট্র চরম বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। এমনকি চোখের পলকেই একটি রাষ্ট্র অরক্ষিত হয়ে পড়তে পারে। তাই জনসাধারণের সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ২০২৪ সালেই ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ৯০৪ মিলিয়নের বেশি যাত্রীকে স্ক্রিনিং করেছে। বেশির ভাগ স্ক্রিনিংই স্বাভাবিক এবং রুটিনমাফিক হয়। তবে একটি ভয়ংকর চার অক্ষরের কোড আপনার এয়ারপোর্ট অভিজ্ঞতাকে ধীর করে দিতে পারে। যার নাম এসএসএসএস। এই কোড আপনাকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং লাগেজ চেকের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে।
কী এই এসএসএসএস কোড
এসএসএসএস হলো সেকেন্ডারি সিকিউরিটি স্ক্রিনিং সিলেকশন; যা যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ব্যবহার করে। এটি বোর্ডিং পাসে চার অক্ষরের কোড আকারে দেখানো হয়। এই কোড থাকলে নিরাপত্তাকর্মীরা যাত্রীর ওপর অতিরিক্ত পরীক্ষা চালান। এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক—উভয় ধরনের ফ্লাইটের বোর্ডিং পাসে দেখা যেতে পারে। যাঁদের বোর্ডিং পাসে এসএসএসএস থাকে, তাঁরা সাধারণত লাগেজ তল্লাশি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস চেক, এমনকি বডি প্যাট-ডাউন পরীক্ষার মুখোমুখি হন। এসব অতিরিক্ত প্রক্রিয়া কখনো কয়েক মিনিট আবার কখনো আধা ঘণ্টার বেশি সময় নিতে পারে।
কেন এসএসএসএস দেওয়া হয়
যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশির ভাগ সময় এসএসএসএস সম্পূর্ণ র্যান্ডমভাবে একজন যাত্রীর টিকিটে দেওয়া হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি দেওয়া হয় ওয়াচলিস্টে থাকা যাত্রীদের জন্য। আবার অনেক সময় অস্বাভাবিক ভ্রমণ প্যাটার্ন থাকলে সেই যাত্রীকেও এই এসএসএসএসের অধীনে নেওয়া হয়। এই অতিরিক্ত চেক ফেডারেল সরকারের ‘লেয়ার্ড সিকিউরিটি’ সিস্টেমের একটি অংশ। ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, তারা পূর্বপরিকল্পিত ও অপ্রত্যাশিত বিভিন্ন নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়, যা যাত্রী এয়ারপোর্টে প্রবেশ করার আগেই শুরু হয়ে যায়।
বারবার এসএসএসএস হলে কী করবেন
একই যাত্রী বারবার এসএসএসএস পেলে সেটি বিরক্তিকর হতে পারে। এর সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চালু করেছে একটি বিশেষ ব্যবস্থা; যাকে বলা হয়, ট্রাভেলার রিড্রেস ইনকোয়ারি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে যাত্রীরা একটি রিড্রেস কন্ট্রোল নম্বর পান, যা পরবর্তী টিকিট বুকিংয়ে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত হয় এবং বারবার অযথা অতিরিক্ত চেকের সম্ভাবনা কমে যায়। যদিও এ নম্বর থাকলে কখনোই এসএসএসএস আসবে না—এমন গ্যারান্টি নেই। তবে এর ব্যবহার নিরাপত্তা ঝামেলা অনেকটা কমাতে পারে।
আর কী কারণে অতিরিক্ত চেক হতে পারে
–যদি ব্যাগ স্ক্যানারে কিছু অস্পষ্ট বা সন্দেহজনক দেখা যায়
–বডি স্ক্যানার বা মেটাল ডিটেক্টরে সমস্যা হলে
–যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে
নেভাডা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও সাবেক এয়ারলাইনস পাইলট ড্যান বাব জানান, যদিও এ ধরনের ঘটনা বিরল, তবে যাত্রী যদি সন্দেহজনক আচরণ করেন, সে ক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রশ্ন করতে পারে। অনেক সময় এর সঙ্গে ড্রাগ পাচারের সম্পর্ক থাকে। এ জন্য ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এজেন্টরা এসব লক্ষণ শনাক্ত করতে প্রশিক্ষিত।
এসএসএসএস আন্তর্জাতিক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক নিয়ম নয়, যা সব বিমানবন্দর বা সব দেশে প্রয়োগ হয়। এটি মূলত একটি যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা, যা দেশটির ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ন্ত্রণে। বোর্ডিং পাসে যদি এসএসএসএস লেখা দেখেন, তাহলে ঘাবড়ে যাবেন না। মনে রাখবেন, এটা মানে শুধু আরও কিছু বাড়তি নিরাপত্তা পরীক্ষা। এর কারণে আপনার ভ্রমণটা একটু ধীরে শুরু হতে পারে, কিন্তু নিরাপদেই শুরু হবে। এই বাড়তি ঝামেলাটাই আমাদের আকাশযাত্রাকে আরও নিরাপদ রাখে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার
শীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
১ ঘণ্টা আগেনতুন বাড়ি মানেই এক দারুণ শিহরণ! তাই সে বাড়িতে ওঠার বিষয়টিও হয় বিশেষ। নতুন বাড়িতে ওঠার সঙ্গে সৌভাগ্য বিষয়টির এক অদৃশ্য যোগাযোগ থাকে বলে মনে করে অনেকে। ফলে সবাই চায়, সেই বাড়ি সৌভাগ্যে ভরে থাক, ভরে থাক ইতিবাচক শক্তিতে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে বা সংস্কৃতিতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলে মানুষ। অধিবাসীদের...
৩ ঘণ্টা আগেদেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে...
১১ ঘণ্টা আগেবিকেল বেলা ছাদে ফুরফুরে হাওয়া খেতে যাচ্ছেন? খালি হাতে যাবেন নাকি? সঙ্গে জিবে জল আনা টক-ঝাল-মিষ্টি কিছু নেবেন না? এখন পেয়ারার মৌসুম। এক বাটি মসলামাখা পেয়ারা সঙ্গে নিয়ে ছাদে বসে খান। গল্পও জমবে, সময়টাও ভালো কাটবে। আপনাদের জন্য টক-ঝাল-মিষ্টি পেয়ারা মাখার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক
১৯ ঘণ্টা আগে