Ajker Patrika

বুটেক্সে ভালো ফল করতে

আলভী আহমেদ
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ৩৩
বুটেক্সে ভালো ফল করতে

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ৪৪তম ব্যাচের চূড়ান্ত বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে ‘ভালো’ করতে অনুজদের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সদ্য স্নাতকেরা।

ফ্যাব্রিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রেদওয়ানুর রহমান। অনুজদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একেকজনের পড়ালেখার ধরন একেক রকম। আমি ক্লাস ও ল্যাব নিয়মিত করতাম। ক্লাস টেস্টগুলো ভালো করে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। সেমিস্টার পরীক্ষার আগের দুই সপ্তাহ বা প্রিপারেটরি লিভ (পিএল)-এ সব নোট গুছিয়ে রাখতাম আর পরীক্ষার আগে ভালো করে পড়তাম। পরামর্শ হলো, কাজের পাশাপাশি সময়মতো পড়ালেখা করো এবং শিক্ষাজীবন উপভোগ করো।’

ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমন বলেন, ‘প্রথমত, গুরুত্বের সঙ্গে যে বিষয়টি করতে হবে, তা হলো ক্লাসে লেকচার শোনা। লেকচারগুলো বোঝা এবং নিজের ভাষায় পরীক্ষায় লেখা। দ্বিতীয়ত, সম্পূর্ণ নোটের ওপর নির্ভরশীলতা বর্জন করে বইমুখী হতে হবে। তৃতীয়ত, পরিশ্রমী হতে হবে। নিজেকে মোটিভেট রাখতে হবে। চতুর্থত, বিভিন্ন জিনিসে যুক্ত থেকে নিজেকে কর্মঠ রাখা। সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন, তবে সবার আগে নিজের অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট ঠিক রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, সিজিপিএ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ফল হলে অনেক বিকল্প পথ তৈরি হবে। ভালো ফল না হলে পথগুলো কমে যাবে। ব্যাপারগুলো বিবেচনায় রেখে প্রথম বর্ষ থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।

টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী অভিষেক দাশ গুপ্ত বলেন, উপদেশ হলো, প্রথম বর্ষের দুই সেমিস্টারে ফল যথাসম্ভব ভালো করা। ফল খারাপ হলে পরে ভালো করা যাবে না, এমন না। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ফল ভালো করার জন্য পরের সেমিস্টারে অনেক বেশি জিপিএ তুলতে হবে, যেটা কঠিন। কোনো বিষয়ে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য সিলেবাসে যা আছে, সবকিছু পড়ে ফেলতে হবে। কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা কম; তা ক্লাস, প্রশ্নব্যাংক, সিটিতে প্রশ্নের ধরন থেকে বোঝা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস বিসিএসের সিলেবাসের মতো বিশাল নয়। চাইলে সব পড়ে ফেলা যায় এবং সেটা করার জন্য অনুজদের পরামর্শ দেব। তা ছাড়া পৃথিবীতে সফল হওয়ার সংক্ষিপ্ত কোনো রাস্তা নেই।’

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাফসান বিন নূর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পদ্ধতি বা মৌলিক ব্যাপারগুলো মেনে চললে ফল ভালো করা সম্ভব। নিয়মিত মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে হবে। ক্লাস লেকচার যথাসম্ভব ভালোভাবে খাতায় তুলতে হবে। ক্লাসেই ভালোভাবে বুঝতে পারলে পরে সহজ হয়ে যায়, নিজে পড়ার সময় কমও সময় লাগে। ক্লাস টেস্টে গুরুত্ব দিতে হবে। এতে এগিয়ে থাকলে তার জন্য চূড়ান্ত সেমিস্টার পরীক্ষায় ভালো করা সহজ হয়ে যায়। ব্যাপারগুলো বলা যতটা সহজ, মেনে চলা ততটাই কঠিন। সমস্যার তো শেষ নেই জীবনে। আমাদের হাতে সবকিছুর কন্ট্রোল থাকে না। সেসব আমরা চাইলেও পরিবর্তন করতে পারব না বা সেগুলোর সমাধান আমাদের হাতে নেই। তা নিয়ে পড়ে না থেকে সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’

টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন, ‘মাইকেল জর্ডানের একটি কথা খুব বিশ্বাস করি। তা হলো, আমি ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারি, কিন্তু চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারি না। যতক্ষণ না তুমি শতভাগ চেষ্টা করছ, ততক্ষণ তুমি তোমার স্বপ্ন পূরণের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার যোগ্য নও। চেষ্টা করো, সৃষ্টিকর্তা তোমাকে ফেরাবেন না। ক্লাস উপভোগ করতে হবে, বেশি করে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে হবে শিক্ষকদের। পড়াশোনার ক্ষেত্রে, পড়ার মাঝে বিরতি নিতে হবে। যে বিষয় ভালো লাগে, সেটা দিয়ে শুরু করতে হবে। গ্রুপ স্টাডি এ ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে। অনেক বিষয়ের অনীহা বা ভীতি দূর করতে পারে গ্রুপ স্টাডি। আর চাইলে প্রযুক্তির মাধ্যমে পড়াটাই অনেক সহজ করা যায়। পাশাপাশি ল্যাবে ব্যবহারিক বিষয়গুলো শেখায় আগ্রহী থাকতে হবে। এগুলো তোমার তাত্ত্বিক পড়া অনেকটা সহজ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ৪ বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর যা বলল ইইউ

আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না, বিস্ফোরক তামিম

কাগজে-কলমে মেয়র হওয়ায় দায়িত্ব পালন করলাম: জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে ইশরাক

এপ্রিলে নির্বাচন ঘোষণায় বিএনপি ও জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত