ফিচার ডেস্ক
খুশকি নিয়ে সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারও মাথায় সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি উড়ে বেড়ায়, কারও আবার চুল সব সময় ভারী ও আঠালো লাগে। অনেক সময় মানুষ ধরে নেয়, এটি শুধু চুলে তেল জমে থাকার কারণে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে, তেলতেলে এবং আঠালো খুশকি একধরনের সমস্যা। এর যত্ন আলাদা ও নিয়মিত নিতে হয়।
ভারতে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও কসমেটোলজিস্ট অমিত ভাসিন বলেন, তেলতেলে খুশকি আসলে মাথার অতিরিক্ত তেল আর একধরনের ছত্রাকের মিশ্র ফল। এই অবস্থায় মাথার ত্বকে ঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছায় না। ফলে চুলও দুর্বল হয়ে যায়।
তেলতেলে ও আঠালো খুশকি আসলে কী
খুশকির মূল কারণ হলো মাথার ত্বকে থাকা একধরনের ছত্রাক। সাধারণ অবস্থায় এটি ক্ষতিকর নয়। কিন্তু মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন করে, তখনই এই ছত্রাক দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলাফল—চুলকানি, আঠালো সাদা খুশকি, মাথার ত্বকে অস্বস্তি, এমনকি চুল পড়াও। এই ধরনের খুশকি শুধু চুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে না, বরং আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে। তাই সময়মতো সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি।
ডিপ ক্লিনিং অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
সাধারণ শ্যাম্পু নয়, এমন শ্যাম্পু বেছে নিন, যা বিশেষভাবে তেলতেলে খুশকি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। শ্যাম্পুতে নিচের উপাদান দুটি থাকলে তা সবচেয়ে কার্যকর—
পাইরোকটন ওলামিন: এটি ছত্রাকনাশক উপাদান, যা খুশকির মূল কারণ মালাসেজিয়াকে দমন করে।
অ্যাকটিভেটেড চারকোল: এটি মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা টেনে নেয়, কিন্তু প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে না।
আর্দ্রতা বা গরমে চুল ধোয়ার ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ান
আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘাম, ধুলো ও তেল মিশে খুশকি দ্রুত বাড়ায়। তাই—
– সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার চুল ধোয়া উচিত।
– ব্যায়াম অথবা বাইরে থেকে ফেরার পর মাথা ধুয়ে ফেলুন।
– খুব গরম পানিতে নয়, কুসুম গরম বা ঠান্ডা পানিতে চুল ধোয়া ভালো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিষ্কার মাথার ত্বকই খুশকি নিয়ন্ত্রণের প্রথম শর্ত।
শ্যাম্পু করার সময় ‘ডাবল রিন্স’ পদ্ধতি অনুসরণ করুন
অনেক সময় শ্যাম্পুর অবশিষ্টাংশই মাথায় খুশকি বাড়ায়। তাই চুল ধোয়ার সময় দুই ধাপে পরিষ্কার করুন—
– প্রথম ধাপে হালকা শ্যাম্পু করে ময়লা ও তেল তুলুন।
– দ্বিতীয় ধাপে অল্প শ্যাম্পু নিয়ে ভালোভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হয় এবং আঠালো খুশকি জমার সুযোগ কমে যায়।
তেল ও সেরাম ব্যবহার কমান
অনেকে মনে করেন, চুলে নিয়মিত তেল দিলে খুশকি কমে। কিন্তু তেলতেলে খুশকির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। অতিরিক্ত তেল ছত্রাকের বৃদ্ধি বাড়ায়। তাই—
– সপ্তাহে একবার হালকা তেল দিন।
– রাতভর তেল রেখে ঘুমাবেন না।
তেল দেওয়ার পর পরদিন সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ভারী ওয়্যাক্স, জেল বা হেয়ার ক্রিম এড়িয়ে চলুন
চুল সাজাতে ব্যবহার করা ভারী জেল বা ওয়্যাক্স মাথার ত্বক বন্ধ করে দেয়। এতে তেল ও মৃত ত্বককোষ আটকে গিয়ে খুশকি বাড়ে। এর পরিবর্তে—
– হালকা হেয়ার সেরাম বা অয়েল ফ্রি স্প্রে ব্যবহার করুন।
– স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে একই দিন চুল ধুয়ে ফেলুন।
খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপের যত্ন নিন
মাথার ত্বকও শরীরের অংশ। তাই অভ্যন্তরীণ যত্নও জরুরি।
খাবারে পরিবর্তন আনুন: চিনি, ভাজাপোড়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে ফল, সবজি ও পূর্ণ শস্য বাড়ান।
পানি পান করুন: শরীর হাইড্রেটেড রাখলে ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মানসিক চাপ কমান: নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম বা ধ্যান চুল ও ত্বক—দুটোই সুস্থ রাখে।
অতিরিক্ত কিছু ঘরোয়া টিপস
শ্যাম্পুর আগে লেবুর রস বা আপেল সিডার ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালে ত্বক পরিষ্কার হয়।
– অ্যালোভেরা জেল খুশকি কমাতে এবং চুল ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
– টি ট্রি অয়েলের কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ছত্রাকনাশক কাজ করে।
তবে এসব ঘরোয়া উপায় সবার ত্বকে মানিয়ে না-ও নিতে পারে। তাই নতুন কিছু ব্যবহার করার আগে অল্প জায়গায় পরীক্ষা করে নিন।
সূত্র: হেলথশট
খুশকি নিয়ে সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারও মাথায় সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি উড়ে বেড়ায়, কারও আবার চুল সব সময় ভারী ও আঠালো লাগে। অনেক সময় মানুষ ধরে নেয়, এটি শুধু চুলে তেল জমে থাকার কারণে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে, তেলতেলে এবং আঠালো খুশকি একধরনের সমস্যা। এর যত্ন আলাদা ও নিয়মিত নিতে হয়।
ভারতে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও কসমেটোলজিস্ট অমিত ভাসিন বলেন, তেলতেলে খুশকি আসলে মাথার অতিরিক্ত তেল আর একধরনের ছত্রাকের মিশ্র ফল। এই অবস্থায় মাথার ত্বকে ঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছায় না। ফলে চুলও দুর্বল হয়ে যায়।
তেলতেলে ও আঠালো খুশকি আসলে কী
খুশকির মূল কারণ হলো মাথার ত্বকে থাকা একধরনের ছত্রাক। সাধারণ অবস্থায় এটি ক্ষতিকর নয়। কিন্তু মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন করে, তখনই এই ছত্রাক দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলাফল—চুলকানি, আঠালো সাদা খুশকি, মাথার ত্বকে অস্বস্তি, এমনকি চুল পড়াও। এই ধরনের খুশকি শুধু চুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে না, বরং আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে। তাই সময়মতো সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি।
ডিপ ক্লিনিং অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
সাধারণ শ্যাম্পু নয়, এমন শ্যাম্পু বেছে নিন, যা বিশেষভাবে তেলতেলে খুশকি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। শ্যাম্পুতে নিচের উপাদান দুটি থাকলে তা সবচেয়ে কার্যকর—
পাইরোকটন ওলামিন: এটি ছত্রাকনাশক উপাদান, যা খুশকির মূল কারণ মালাসেজিয়াকে দমন করে।
অ্যাকটিভেটেড চারকোল: এটি মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা টেনে নেয়, কিন্তু প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে না।
আর্দ্রতা বা গরমে চুল ধোয়ার ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ান
আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘাম, ধুলো ও তেল মিশে খুশকি দ্রুত বাড়ায়। তাই—
– সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার চুল ধোয়া উচিত।
– ব্যায়াম অথবা বাইরে থেকে ফেরার পর মাথা ধুয়ে ফেলুন।
– খুব গরম পানিতে নয়, কুসুম গরম বা ঠান্ডা পানিতে চুল ধোয়া ভালো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিষ্কার মাথার ত্বকই খুশকি নিয়ন্ত্রণের প্রথম শর্ত।
শ্যাম্পু করার সময় ‘ডাবল রিন্স’ পদ্ধতি অনুসরণ করুন
অনেক সময় শ্যাম্পুর অবশিষ্টাংশই মাথায় খুশকি বাড়ায়। তাই চুল ধোয়ার সময় দুই ধাপে পরিষ্কার করুন—
– প্রথম ধাপে হালকা শ্যাম্পু করে ময়লা ও তেল তুলুন।
– দ্বিতীয় ধাপে অল্প শ্যাম্পু নিয়ে ভালোভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হয় এবং আঠালো খুশকি জমার সুযোগ কমে যায়।
তেল ও সেরাম ব্যবহার কমান
অনেকে মনে করেন, চুলে নিয়মিত তেল দিলে খুশকি কমে। কিন্তু তেলতেলে খুশকির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। অতিরিক্ত তেল ছত্রাকের বৃদ্ধি বাড়ায়। তাই—
– সপ্তাহে একবার হালকা তেল দিন।
– রাতভর তেল রেখে ঘুমাবেন না।
তেল দেওয়ার পর পরদিন সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ভারী ওয়্যাক্স, জেল বা হেয়ার ক্রিম এড়িয়ে চলুন
চুল সাজাতে ব্যবহার করা ভারী জেল বা ওয়্যাক্স মাথার ত্বক বন্ধ করে দেয়। এতে তেল ও মৃত ত্বককোষ আটকে গিয়ে খুশকি বাড়ে। এর পরিবর্তে—
– হালকা হেয়ার সেরাম বা অয়েল ফ্রি স্প্রে ব্যবহার করুন।
– স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে একই দিন চুল ধুয়ে ফেলুন।
খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপের যত্ন নিন
মাথার ত্বকও শরীরের অংশ। তাই অভ্যন্তরীণ যত্নও জরুরি।
খাবারে পরিবর্তন আনুন: চিনি, ভাজাপোড়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে ফল, সবজি ও পূর্ণ শস্য বাড়ান।
পানি পান করুন: শরীর হাইড্রেটেড রাখলে ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মানসিক চাপ কমান: নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম বা ধ্যান চুল ও ত্বক—দুটোই সুস্থ রাখে।
অতিরিক্ত কিছু ঘরোয়া টিপস
শ্যাম্পুর আগে লেবুর রস বা আপেল সিডার ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালে ত্বক পরিষ্কার হয়।
– অ্যালোভেরা জেল খুশকি কমাতে এবং চুল ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
– টি ট্রি অয়েলের কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ছত্রাকনাশক কাজ করে।
তবে এসব ঘরোয়া উপায় সবার ত্বকে মানিয়ে না-ও নিতে পারে। তাই নতুন কিছু ব্যবহার করার আগে অল্প জায়গায় পরীক্ষা করে নিন।
সূত্র: হেলথশট
ডেজার্ট হিসেবে মিষ্টি কমবেশি সবার প্রিয়। বিশেষ দিনে প্রিয়জনের জন্য ঘরেই বানাতে পারেন সুস্বাদু রসে ভরা কাঁচাগোল্লা। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৩ ঘণ্টা আগেকম শক্তি, পেট ফাঁপা কিংবা ত্বকের সমস্যার মতো উপসর্গগুলোকে অনেকে ব্যস্ত জীবন বা ভুল খাদ্যাভ্যাসের ফল বলে মনে করেন। এর জন্য তাঁরা ব্যস্ত জীবন বা বাজে খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করেন। ফলে এই বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে খাদ্য অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা।
৫ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন! ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন। আসলে দোষটা আর কারও নয়,
৮ ঘণ্টা আগেকোথাও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, ঋণের বোঝা এবং আর্থিক অস্থিতিশীলতার কারণে তরুণ প্রজন্ম বিয়ে বিলম্বিত করছে বা এড়িয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও প্রথাগত বিয়ের গুরুত্ব কমে আসছে।
৯ ঘণ্টা আগে