মনের গভীরে বাস করে ভালোবাসা। তাই কারও মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন। তবে মনের অবস্থাটি অনেক সময় প্রকাশ পায় মানুষের আচরণে। এভাবে সত্যিকার ভালোবাসার বিষয়টিও অনুধাবন করা সম্ভব। সম্প্রতি ভালোবাসা পরীক্ষা করার জন্য একটি উপায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপায় না বলে এটিকে তত্ত্ব বলা ভালো—কমলার খোসা তত্ত্ব। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে এই তত্ত্ব ভাইরাল হয়েছে।
‘কমলার খোসা তত্ত্ব’ মূলত আপনাকে কোনো সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর চিন্তাশীল প্রক্রিয়াটির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এ বিষয়ে দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সঙ্গী যদি জিজ্ঞাসা না করেই আপনার জন্য বরাদ্দ কমলার খোসা ফেলে দেয়, তবে এটি সত্যিকার ভালোবাসার একটি লক্ষণ। কমলার খোসা তত্ত্ব অনুযায়ী, তিনি আপনার প্রতি যত্নশীলও।
আক্ষরিক অর্থেই যে কমলার খোসা ছাড়ানোর মাধ্যমে সত্যিকার ভালোবাসা পরিমাপ করতে হবে, এমন নয়। যিনি আপনার জীবনকে সহজ করতে বা আপনার দিনকে একটু রঙিন করে দিতে ছোট ছোট কাজ করেন; যেমন, না জিজ্ঞেস করেই খাবার তৈরি বা পছন্দের ফুলের তোড়া কিনে দেন; কমলার খোসার তত্ত্ব অনুসারে এগুলো খাঁটি ভালোবাসারই লক্ষণ।
সম্প্রতি জেনাস্কেটস নামে এক টিকটকারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জেনাস্কেটসের জন্য তাঁর প্রেমিক বেশ কিছু ডিমের কুসুম থেকে সাদা অংশটিকে আলাদা করে একটি পাত্রের মধ্যে ভরে রেখেছেন। দীর্ঘ নখের কারণে এই কাজ করতে জেনাস্কেটসকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়। বিষয়টি হয়তো খেয়াল করেছিলেন তাঁর প্রেমিক।
ভিডিওতে বিষয়টি দেখাতে গিয়ে জেনাস্কেটস আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘কখনো ভাবিনি ডিমের সাদা অংশ আমাকে কাঁদাবে।’
ভিডিওটির নিচে যাঁরা মন্তব্য করেছিলেন, তাঁদের অনেকে বিষয়টিকে কমলার খোসা তত্ত্বের সঙ্গে তুলনা করেন। জেনাস্কেটসকে বাহবা দিয়ে তাঁরা দাবি করেন, প্রেমিক তাঁকে সত্যিকার ভালোবাসে এবং যত্ন নেয়।
কমলার খোসা তত্ত্বের নিখুঁত উদাহরণ দিতে গিয়ে একজন মন্তব্য করেছেন, আপনি কোনো কাজ করতে পুরোপুরি সক্ষম, কিন্তু তারপরও যদি আপনার সঙ্গী তা নিজে করে দেয়, তাহলে তত্ত্বটি কাজ করছে।
মনের গভীরে বাস করে ভালোবাসা। তাই কারও মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন। তবে মনের অবস্থাটি অনেক সময় প্রকাশ পায় মানুষের আচরণে। এভাবে সত্যিকার ভালোবাসার বিষয়টিও অনুধাবন করা সম্ভব। সম্প্রতি ভালোবাসা পরীক্ষা করার জন্য একটি উপায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপায় না বলে এটিকে তত্ত্ব বলা ভালো—কমলার খোসা তত্ত্ব। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে এই তত্ত্ব ভাইরাল হয়েছে।
‘কমলার খোসা তত্ত্ব’ মূলত আপনাকে কোনো সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর চিন্তাশীল প্রক্রিয়াটির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এ বিষয়ে দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সঙ্গী যদি জিজ্ঞাসা না করেই আপনার জন্য বরাদ্দ কমলার খোসা ফেলে দেয়, তবে এটি সত্যিকার ভালোবাসার একটি লক্ষণ। কমলার খোসা তত্ত্ব অনুযায়ী, তিনি আপনার প্রতি যত্নশীলও।
আক্ষরিক অর্থেই যে কমলার খোসা ছাড়ানোর মাধ্যমে সত্যিকার ভালোবাসা পরিমাপ করতে হবে, এমন নয়। যিনি আপনার জীবনকে সহজ করতে বা আপনার দিনকে একটু রঙিন করে দিতে ছোট ছোট কাজ করেন; যেমন, না জিজ্ঞেস করেই খাবার তৈরি বা পছন্দের ফুলের তোড়া কিনে দেন; কমলার খোসার তত্ত্ব অনুসারে এগুলো খাঁটি ভালোবাসারই লক্ষণ।
সম্প্রতি জেনাস্কেটস নামে এক টিকটকারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জেনাস্কেটসের জন্য তাঁর প্রেমিক বেশ কিছু ডিমের কুসুম থেকে সাদা অংশটিকে আলাদা করে একটি পাত্রের মধ্যে ভরে রেখেছেন। দীর্ঘ নখের কারণে এই কাজ করতে জেনাস্কেটসকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়। বিষয়টি হয়তো খেয়াল করেছিলেন তাঁর প্রেমিক।
ভিডিওতে বিষয়টি দেখাতে গিয়ে জেনাস্কেটস আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘কখনো ভাবিনি ডিমের সাদা অংশ আমাকে কাঁদাবে।’
ভিডিওটির নিচে যাঁরা মন্তব্য করেছিলেন, তাঁদের অনেকে বিষয়টিকে কমলার খোসা তত্ত্বের সঙ্গে তুলনা করেন। জেনাস্কেটসকে বাহবা দিয়ে তাঁরা দাবি করেন, প্রেমিক তাঁকে সত্যিকার ভালোবাসে এবং যত্ন নেয়।
কমলার খোসা তত্ত্বের নিখুঁত উদাহরণ দিতে গিয়ে একজন মন্তব্য করেছেন, আপনি কোনো কাজ করতে পুরোপুরি সক্ষম, কিন্তু তারপরও যদি আপনার সঙ্গী তা নিজে করে দেয়, তাহলে তত্ত্বটি কাজ করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাউডারের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। যাঁরা প্রতিদিন জিমে যান, তাঁরা তো বটেই; এখন ট্রেন্ড ফলোয়াররাও ঝুঁকছেন প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের দিকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন ও প্রোটিন পাউডার দিয়ে তৈরি পানীয় গ্রহণ করেন তাঁদের পেশির বৃদ্ধি ভালো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে১৯ অক্টোবর, রোববার এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মাঝেই চুরি হয়েছে রাজা নেপোলিয়ন ও জোসেফাইনের ব্যবহৃত গয়নার মতো বহুমূল্য অলংকার। এ ঘটনার পর আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লুভর মিউজিয়াম।
১০ ঘণ্টা আগেমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।...
১১ ঘণ্টা আগেআজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো! কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাউডারের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। যাঁরা প্রতিদিন জিমে যান, তাঁরা তো বটেই; এখন ট্রেন্ড ফলোয়াররাও ঝুঁকছেন প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের দিকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন ও প্রোটিন পাউডার দিয়ে তৈরি পানীয় গ্রহণ করেন তাঁদের পেশির বৃদ্ধি ভালো হয়। এটি শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও শরীরে শক্তি জোগায়। তবে মনে রাখতে হবে, বিষয়টি শর্তহীন নয়। অর্থাৎ সবার জন্য সমান নয়।
এ বিষয়ে বারিধারা ফরাজি হসপিটালের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ‘মেয়েদের ঋতু ও গর্ভকালে প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। প্রোটিন শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই ইচ্ছেমতো গ্রহণ করা যাবে না। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াসহ নানান সমস্যা দেখা দিতে হতে পারে। কিডনি রোগসহ বিশেষ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে পরিমাণ চিকিৎসকের পরামর্শমতো কমতে থাকবে।’
প্রোটিন পাউডার কী
প্রোটিন পাউডার সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় পুষ্টিকর সম্পূরক হিসেবে পরিচিত। প্রোটিন একটি অপরিহার্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা পেশি গঠন, টিস্যু মেরামত, এনজাইম ও হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে। নিয়মিত প্রোটিন পাউডার গ্রহণ ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশিগুলোকে টোন করতে সাহায্য করে এই সম্পূরক।
প্রোটিন পাউডারে কী কী থাকে
হুই (পনির তৈরির উপজাত থেকে তৈরি), ডিম, সয়া, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও বাদাম, মটর বা চাল, মূলত এগুলোই এর উপাদান। এ ছাড়া, অনেক পাউডারে ভিটামিন, খনিজ, আঁশ, চর্বি এবং বিভিন্ন উদ্ভিদজাত উপাদান, যেমন সবুজ শাকসবজি যুক্ত করা হয়। প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার কেনার বিষয়ে যদি আপনার সন্দেহ থাকে, তাহলে আপনি বাড়িতেও এটি তৈরি করতে পারেন। বাজারে পাওয়া যায় এমন সহজলভ্য উপকরণ দিয়েই তৈরি করা সম্ভব এই প্রোটিন পাউডার।
কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। নাহিদা আহমেদ, পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা
রেসিপি
যাঁরা প্রথম প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করার কথা ভাবছেন, একই সঙ্গে একটু স্বাদযুক্ত প্রোটিন পাউডার তৈরি করতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্যই এই রেসিপি। প্রায় ৩ কাপ প্রোটিন পাউডার তৈরির রেসিপিটি দেখে নিন।
যা যা লাগবে
বাদাম ১ কাপ, আখরোট আধা কাপ, কাঁচা চিনাবাদাম আধা কাপ, পেস্তা ও কাজু বাদাম ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ করে, তরমুজের বীজ ২ টেবিল চামচ (সহজলভ্য হলে), কুমড়োর বীজ ২ টেবিল চামচ, সূর্যমুখী বীজ ২ টেবিল চামচ, তিসির বীজ ১ টেবিল চামচ, চিয়া বীজ ২ টেবিল চামচ, শুকনো খেজুর ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ।
প্রণালি
খেজুর বাদে বাকি সব উপকরণ একটি কড়াইয়ে অল্প আঁচে ৩ থেকে ৪ মিনিট টেলে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায়। এবার একটি চওড়া প্লেটে এগুলো ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটি সম্পূর্ণ ঠান্ডা হলে শুকনো খেজুরসহ একটি ব্লেন্ডার জারে ঢালুন। তারপর একেবারে সূক্ষ্ম গুঁড়ো করে ব্লেন্ড করুন। ব্যস্, আপনার ঘরে তৈরি প্রোটিন পাউডার তৈরি!
যেভাবে ব্যবহার করবেন
প্রোটিন পাউডার দিয়ে শেক তৈরি করতে একটি গ্লাসে ১ কাপ গরম দুধ নিন। তাতে ৩ টেবিল চামচ ঘরে তৈরি প্রোটিন পাউডার যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
প্রোটিন শেক পান করার উপকারিতা
প্রোটিন শেক পান করলে আপনার প্রতিদিনের প্রোটিনের ঘাটতি দূর হবে। ব্যায়ামের সঙ্গে যদি উচ্চ প্রোটিন ডায়েট যোগ করা যায়, তাহলে ওজন কমে বলে বিভিন্ন গবেষণার তথ্যে জানা যায়। প্রোটিন শেক খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে। সেগুলো হলো–
কখন প্রোটিন শেক পান করা উচিত
ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা ব্যায়াম করার ১৫ থেকে ৬০ মিনিট পরে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দেন। এই সময়সীমাকে অ্যানাবলিক উইন্ডো বলা হয় এবং এটি প্রোটিনের মতো পুষ্টি থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করার আগে জেনে নিন
যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা বেশি। তাঁদের শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দৈনিক দেড় থেকে দুই গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। তবে প্রোটিন বেশি হয়ে গেলেও কিন্তু শরীরে নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। যেমন–
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাউডারের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। যাঁরা প্রতিদিন জিমে যান, তাঁরা তো বটেই; এখন ট্রেন্ড ফলোয়াররাও ঝুঁকছেন প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের দিকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন ও প্রোটিন পাউডার দিয়ে তৈরি পানীয় গ্রহণ করেন তাঁদের পেশির বৃদ্ধি ভালো হয়। এটি শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও শরীরে শক্তি জোগায়। তবে মনে রাখতে হবে, বিষয়টি শর্তহীন নয়। অর্থাৎ সবার জন্য সমান নয়।
এ বিষয়ে বারিধারা ফরাজি হসপিটালের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ‘মেয়েদের ঋতু ও গর্ভকালে প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। প্রোটিন শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই ইচ্ছেমতো গ্রহণ করা যাবে না। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াসহ নানান সমস্যা দেখা দিতে হতে পারে। কিডনি রোগসহ বিশেষ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে পরিমাণ চিকিৎসকের পরামর্শমতো কমতে থাকবে।’
প্রোটিন পাউডার কী
প্রোটিন পাউডার সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় পুষ্টিকর সম্পূরক হিসেবে পরিচিত। প্রোটিন একটি অপরিহার্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা পেশি গঠন, টিস্যু মেরামত, এনজাইম ও হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে। নিয়মিত প্রোটিন পাউডার গ্রহণ ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশিগুলোকে টোন করতে সাহায্য করে এই সম্পূরক।
প্রোটিন পাউডারে কী কী থাকে
হুই (পনির তৈরির উপজাত থেকে তৈরি), ডিম, সয়া, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও বাদাম, মটর বা চাল, মূলত এগুলোই এর উপাদান। এ ছাড়া, অনেক পাউডারে ভিটামিন, খনিজ, আঁশ, চর্বি এবং বিভিন্ন উদ্ভিদজাত উপাদান, যেমন সবুজ শাকসবজি যুক্ত করা হয়। প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার কেনার বিষয়ে যদি আপনার সন্দেহ থাকে, তাহলে আপনি বাড়িতেও এটি তৈরি করতে পারেন। বাজারে পাওয়া যায় এমন সহজলভ্য উপকরণ দিয়েই তৈরি করা সম্ভব এই প্রোটিন পাউডার।
কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। নাহিদা আহমেদ, পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা
রেসিপি
যাঁরা প্রথম প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করার কথা ভাবছেন, একই সঙ্গে একটু স্বাদযুক্ত প্রোটিন পাউডার তৈরি করতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্যই এই রেসিপি। প্রায় ৩ কাপ প্রোটিন পাউডার তৈরির রেসিপিটি দেখে নিন।
যা যা লাগবে
বাদাম ১ কাপ, আখরোট আধা কাপ, কাঁচা চিনাবাদাম আধা কাপ, পেস্তা ও কাজু বাদাম ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ করে, তরমুজের বীজ ২ টেবিল চামচ (সহজলভ্য হলে), কুমড়োর বীজ ২ টেবিল চামচ, সূর্যমুখী বীজ ২ টেবিল চামচ, তিসির বীজ ১ টেবিল চামচ, চিয়া বীজ ২ টেবিল চামচ, শুকনো খেজুর ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ।
প্রণালি
খেজুর বাদে বাকি সব উপকরণ একটি কড়াইয়ে অল্প আঁচে ৩ থেকে ৪ মিনিট টেলে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায়। এবার একটি চওড়া প্লেটে এগুলো ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটি সম্পূর্ণ ঠান্ডা হলে শুকনো খেজুরসহ একটি ব্লেন্ডার জারে ঢালুন। তারপর একেবারে সূক্ষ্ম গুঁড়ো করে ব্লেন্ড করুন। ব্যস্, আপনার ঘরে তৈরি প্রোটিন পাউডার তৈরি!
যেভাবে ব্যবহার করবেন
প্রোটিন পাউডার দিয়ে শেক তৈরি করতে একটি গ্লাসে ১ কাপ গরম দুধ নিন। তাতে ৩ টেবিল চামচ ঘরে তৈরি প্রোটিন পাউডার যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
প্রোটিন শেক পান করার উপকারিতা
প্রোটিন শেক পান করলে আপনার প্রতিদিনের প্রোটিনের ঘাটতি দূর হবে। ব্যায়ামের সঙ্গে যদি উচ্চ প্রোটিন ডায়েট যোগ করা যায়, তাহলে ওজন কমে বলে বিভিন্ন গবেষণার তথ্যে জানা যায়। প্রোটিন শেক খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে। সেগুলো হলো–
কখন প্রোটিন শেক পান করা উচিত
ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা ব্যায়াম করার ১৫ থেকে ৬০ মিনিট পরে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দেন। এই সময়সীমাকে অ্যানাবলিক উইন্ডো বলা হয় এবং এটি প্রোটিনের মতো পুষ্টি থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করার আগে জেনে নিন
যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা বেশি। তাঁদের শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দৈনিক দেড় থেকে দুই গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। তবে প্রোটিন বেশি হয়ে গেলেও কিন্তু শরীরে নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। যেমন–
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য
মনের গভীরে বাস করে ভালোবাসা। তাই কারও মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন। তবে মনের অবস্থাটি অনেক সময় প্রকাশ পায় মানুষের আচরণে। এভাবে সত্যিকার ভালোবাসার বিষয়টিও অনুধাবন করা সম্ভব।
২৩ নভেম্বর ২০২৩১৯ অক্টোবর, রোববার এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মাঝেই চুরি হয়েছে রাজা নেপোলিয়ন ও জোসেফাইনের ব্যবহৃত গয়নার মতো বহুমূল্য অলংকার। এ ঘটনার পর আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লুভর মিউজিয়াম।
১০ ঘণ্টা আগেমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।...
১১ ঘণ্টা আগেআজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো! কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
১৯ অক্টোবর, রোববার এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মাঝেই চুরি হয়েছে রাজা নেপোলিয়ন ও জোসেফাইনের ব্যবহৃত গয়নার মতো বহুমূল্য অলংকার। এ ঘটনার পর আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লুভর মিউজিয়াম।
চলচ্চিত্রে কিংবা উপন্যাসে পড়া জাদুঘরে চুরির ঘটনা বেশ রোমাঞ্চকর মনে হয়। বাস্তবেও বিষয়টি কম নাটকীয় নয়। শতকের পর শতক পৃথিবীর বিখ্যাত জাদুঘরগুলোতে হয়েছে অসংখ্য চুরি। সেগুলো কখনো সফল, আবার কখনো ব্যর্থ হয়েছে। সেসব চুরির জন্য প্রয়োজন ছিল ব্যাপক সাহস, দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা আর নিখুঁত পরিকল্পনা। ঘটনার পর অনেক সময় অপরাধীরা ধরা পড়ে, আবার কখনো চুরি যাওয়া শিল্পকর্মের খোঁজই মেলে না। জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত পাঁচ জাদুঘরের চুরির কাহিনি।
মোনালিসা চুরি
বিশ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পকর্ম চুরি হিসেবে ধরা হয় লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা ‘মোনালিসা’ নামের শিল্পকর্ম চুরির ঘটনা। ১৯১১ সালের ২১ আগস্ট সকাল। জাদুঘরের সাবেক কর্মী ভিনসেনজো পেরুজিয়াসহ তিনজন ইতালীয় নাগরিক রাতে লুকিয়ে থেকে সকালে চিত্রকর্মটি দেয়াল থেকে খুলে নিয়ে যান। তাঁরা চিত্রকর্মটি একটি কম্বলে জড়িয়ে লুভর মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে পড়েন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, কেউই প্রথমে খেয়াল করেনি যে ছবিটি নেই। প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর ফাঁকা দেয়ালটি দেখে সবাই আঁতকে ওঠে। চুরির আগে মোনালিসা তেমন পরিচিত ছিল না, এই ঘটনার পরই শিল্পকর্মটি বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। দুই বছর পর পেরুজিয়া ছবিটি বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। ইতালির ফ্লোরেন্স থেকে মোনালিসাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সেটি লুভর মিউজিয়ামেই প্রদর্শিত হচ্ছে।
ইসাবেলা স্টুয়ার্ট গার্ডনার মিউজিয়ামের চুরি
১৯৯০ সালের ১৮ মার্চ ভোর। দুই ব্যক্তি পুলিশ সেজে জাদুঘরের নিরাপত্তাকর্মীদের চোক ফাঁকি দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। এরপর নিরাপত্তাকর্মীদের হাতকড়া পরিয়ে বেসমেন্টে আটকে রেখে ৮১ মিনিট ধরে ১৩টি মূল্যবান শিল্পকর্ম চুরি করেন। চুরি হওয়া ছবির মধ্যে ছিল রেমব্রান্ট, এডুয়ার্ড মানে ও ইয়োহানেস ভেরমিয়ারের ‘দ্য কনসার্ট’ নামের চিত্রকর্ম। এগুলোকে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে দামি নিখোঁজ শিল্পকর্ম ধরা হয়। তদন্তে বহুবার নতুন সূত্র পাওয়া গেলেও রহস্য অমীমাংসিত আছে আজও। এখনো সেই খালি ফ্রেমগুলো ঝুলে আছে মিউজিয়ামের দেয়ালে। জাদুঘরের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া আছে, চুরি যাওয়া শিল্পকর্মের তথ্য দিতে পারলে ১ কোটি ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।
আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির রত্ন চুরি
এই কাহিনির নায়ক ‘মার্ফ দ্য সার্ফ’ নামে পরিচিত জ্যাক রোল্যান্ড মারফি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অ্যালান কুন ও রজার ক্লার্ক। তাঁরা প্রথমে জাদুঘরের ভেতরের নকশা হাতিয়ে নেন। তারপর ১৯৬৪ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে ফায়ার এস্কেপ বেয়ে চতুর্থ তলার খোলা জানালা দিয়ে জাদুঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েন। আশ্চর্যের ঘটনা হলো, তখন কোনো অ্যালার্ম সিস্টেমই কাজ করছিল না। তাঁরা চুরি করেন স্টার অব ইন্ডিয়া, ইগল ডায়মন্ড, ডিলং স্টার রুবিসহ বহু মূল্যবান রত্ন। এসবের বর্তমান মূল্য প্রায় ৩০ লাখ ডলার। কিন্তু চুরি করে পার পাননি চোরেরা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা ধরা পড়েন এবং বেশির ভাগ রত্ন উদ্ধার হয়। চুরির পরও মারফি সংবাদমাধ্যমের ছবির জন্য সিগারেট হাতে হাসিমুখে পোজ দেন, যেন কোনো দুঃসাহসিক অভিযানের নায়ক তিনি।
গ্রিন ভল্ট থেকে গয়না চুরি
ইউরোপের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী গয়নার জাদুঘর গ্রিন ভল্টে ঘটে এক বিশাল চুরি। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভোরে চোরেরা প্রথমে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুন লাগান, যাতে আশপাশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। এরপর জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১২৮ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ গয়না লুট করেন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য তাঁরা পালানোর সময় আরেকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এক বছর তদন্তের পর বার্লিনে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৩ সালে তাঁদের চার থেকে ছয় বছরের সাজা হলেও এখনো সব গয়না উদ্ধার হয়নি।
মন্ট্রিয়ল মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টসে চুরি
১৯৭২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত। এক ব্যক্তি স্কি মাস্ক ও কাঁটাযুক্ত ক্লাইম্বিং জুতা পরে গাছে উঠে জাদুঘরের ছাদে পৌঁছে যান। মই ফেলে দুই সহযোগীকে ওপরে তোলেন। এরপর দড়ি বেয়ে একটি খোলা স্কাইলাইট দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। সেখানে গার্ডদের বেঁধে রেখে ১৮টি চিত্রকর্ম ও ৩৯টি নিদর্শন চুরি করেন। সেসবের মূল্য বর্তমান হিসাবে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার। তবে দুর্ঘটনাবশত অ্যালার্ম বেজে গেলে চোরেরা তড়িঘড়ি পালিয়ে যান, রেখে যান কিছু চিত্রকর্ম। তবে তাঁরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দশকের পর দশক তদন্ত চললেও এই মামলা আজ পর্যন্ত অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
সূত্র: হিস্ট্রি ফ্যাক্ট
১৯ অক্টোবর, রোববার এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মাঝেই চুরি হয়েছে রাজা নেপোলিয়ন ও জোসেফাইনের ব্যবহৃত গয়নার মতো বহুমূল্য অলংকার। এ ঘটনার পর আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লুভর মিউজিয়াম।
চলচ্চিত্রে কিংবা উপন্যাসে পড়া জাদুঘরে চুরির ঘটনা বেশ রোমাঞ্চকর মনে হয়। বাস্তবেও বিষয়টি কম নাটকীয় নয়। শতকের পর শতক পৃথিবীর বিখ্যাত জাদুঘরগুলোতে হয়েছে অসংখ্য চুরি। সেগুলো কখনো সফল, আবার কখনো ব্যর্থ হয়েছে। সেসব চুরির জন্য প্রয়োজন ছিল ব্যাপক সাহস, দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা আর নিখুঁত পরিকল্পনা। ঘটনার পর অনেক সময় অপরাধীরা ধরা পড়ে, আবার কখনো চুরি যাওয়া শিল্পকর্মের খোঁজই মেলে না। জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত পাঁচ জাদুঘরের চুরির কাহিনি।
মোনালিসা চুরি
বিশ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পকর্ম চুরি হিসেবে ধরা হয় লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা ‘মোনালিসা’ নামের শিল্পকর্ম চুরির ঘটনা। ১৯১১ সালের ২১ আগস্ট সকাল। জাদুঘরের সাবেক কর্মী ভিনসেনজো পেরুজিয়াসহ তিনজন ইতালীয় নাগরিক রাতে লুকিয়ে থেকে সকালে চিত্রকর্মটি দেয়াল থেকে খুলে নিয়ে যান। তাঁরা চিত্রকর্মটি একটি কম্বলে জড়িয়ে লুভর মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে পড়েন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, কেউই প্রথমে খেয়াল করেনি যে ছবিটি নেই। প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর ফাঁকা দেয়ালটি দেখে সবাই আঁতকে ওঠে। চুরির আগে মোনালিসা তেমন পরিচিত ছিল না, এই ঘটনার পরই শিল্পকর্মটি বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। দুই বছর পর পেরুজিয়া ছবিটি বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। ইতালির ফ্লোরেন্স থেকে মোনালিসাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সেটি লুভর মিউজিয়ামেই প্রদর্শিত হচ্ছে।
ইসাবেলা স্টুয়ার্ট গার্ডনার মিউজিয়ামের চুরি
১৯৯০ সালের ১৮ মার্চ ভোর। দুই ব্যক্তি পুলিশ সেজে জাদুঘরের নিরাপত্তাকর্মীদের চোক ফাঁকি দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। এরপর নিরাপত্তাকর্মীদের হাতকড়া পরিয়ে বেসমেন্টে আটকে রেখে ৮১ মিনিট ধরে ১৩টি মূল্যবান শিল্পকর্ম চুরি করেন। চুরি হওয়া ছবির মধ্যে ছিল রেমব্রান্ট, এডুয়ার্ড মানে ও ইয়োহানেস ভেরমিয়ারের ‘দ্য কনসার্ট’ নামের চিত্রকর্ম। এগুলোকে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে দামি নিখোঁজ শিল্পকর্ম ধরা হয়। তদন্তে বহুবার নতুন সূত্র পাওয়া গেলেও রহস্য অমীমাংসিত আছে আজও। এখনো সেই খালি ফ্রেমগুলো ঝুলে আছে মিউজিয়ামের দেয়ালে। জাদুঘরের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া আছে, চুরি যাওয়া শিল্পকর্মের তথ্য দিতে পারলে ১ কোটি ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।
আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির রত্ন চুরি
এই কাহিনির নায়ক ‘মার্ফ দ্য সার্ফ’ নামে পরিচিত জ্যাক রোল্যান্ড মারফি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অ্যালান কুন ও রজার ক্লার্ক। তাঁরা প্রথমে জাদুঘরের ভেতরের নকশা হাতিয়ে নেন। তারপর ১৯৬৪ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে ফায়ার এস্কেপ বেয়ে চতুর্থ তলার খোলা জানালা দিয়ে জাদুঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েন। আশ্চর্যের ঘটনা হলো, তখন কোনো অ্যালার্ম সিস্টেমই কাজ করছিল না। তাঁরা চুরি করেন স্টার অব ইন্ডিয়া, ইগল ডায়মন্ড, ডিলং স্টার রুবিসহ বহু মূল্যবান রত্ন। এসবের বর্তমান মূল্য প্রায় ৩০ লাখ ডলার। কিন্তু চুরি করে পার পাননি চোরেরা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা ধরা পড়েন এবং বেশির ভাগ রত্ন উদ্ধার হয়। চুরির পরও মারফি সংবাদমাধ্যমের ছবির জন্য সিগারেট হাতে হাসিমুখে পোজ দেন, যেন কোনো দুঃসাহসিক অভিযানের নায়ক তিনি।
গ্রিন ভল্ট থেকে গয়না চুরি
ইউরোপের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী গয়নার জাদুঘর গ্রিন ভল্টে ঘটে এক বিশাল চুরি। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভোরে চোরেরা প্রথমে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুন লাগান, যাতে আশপাশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। এরপর জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১২৮ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ গয়না লুট করেন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য তাঁরা পালানোর সময় আরেকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এক বছর তদন্তের পর বার্লিনে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৩ সালে তাঁদের চার থেকে ছয় বছরের সাজা হলেও এখনো সব গয়না উদ্ধার হয়নি।
মন্ট্রিয়ল মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টসে চুরি
১৯৭২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত। এক ব্যক্তি স্কি মাস্ক ও কাঁটাযুক্ত ক্লাইম্বিং জুতা পরে গাছে উঠে জাদুঘরের ছাদে পৌঁছে যান। মই ফেলে দুই সহযোগীকে ওপরে তোলেন। এরপর দড়ি বেয়ে একটি খোলা স্কাইলাইট দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। সেখানে গার্ডদের বেঁধে রেখে ১৮টি চিত্রকর্ম ও ৩৯টি নিদর্শন চুরি করেন। সেসবের মূল্য বর্তমান হিসাবে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার। তবে দুর্ঘটনাবশত অ্যালার্ম বেজে গেলে চোরেরা তড়িঘড়ি পালিয়ে যান, রেখে যান কিছু চিত্রকর্ম। তবে তাঁরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দশকের পর দশক তদন্ত চললেও এই মামলা আজ পর্যন্ত অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
সূত্র: হিস্ট্রি ফ্যাক্ট
মনের গভীরে বাস করে ভালোবাসা। তাই কারও মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন। তবে মনের অবস্থাটি অনেক সময় প্রকাশ পায় মানুষের আচরণে। এভাবে সত্যিকার ভালোবাসার বিষয়টিও অনুধাবন করা সম্ভব।
২৩ নভেম্বর ২০২৩সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাউডারের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। যাঁরা প্রতিদিন জিমে যান, তাঁরা তো বটেই; এখন ট্রেন্ড ফলোয়াররাও ঝুঁকছেন প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের দিকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন ও প্রোটিন পাউডার দিয়ে তৈরি পানীয় গ্রহণ করেন তাঁদের পেশির বৃদ্ধি ভালো হয়।
৬ ঘণ্টা আগেমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।...
১১ ঘণ্টা আগেআজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো! কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ইংরেজিতে একটা প্রচলিত কথা আছে, ‘মানি টকস’ অর্থাৎ টাকা কথা বলে। আসলেই কি এই কাগজের টুকরা কথা বলে? একেক মানুষের কাছে আছে এর একেক রকম উত্তর। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই উপলব্ধি করে না যে টাকার পাশাপাশি মানুষের পরিহিত পোশাকের ধরন ফিসফিস করে কথা বলে। এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।
বিষয়টি ট্রেন্ডের পেছনে ছোটা বা সেলিব্রিটিদের স্টাইল নকল করা নয়, বরং সূক্ষ্ম বিষয়। এই ছোট ছোট বিষয় একজন মানুষের রুচি, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান অন্যের সামনে তুলে ধরে। তাই অনেক বেশি খরচ না করেও নিজেকে আকর্ষণীয় করে অন্যের সামনে তুলে ধরা ‘আর্ট’ হিসেবে পরিচিত।
নিখুঁত মাপ
ভালো ফিটিংয়ের পোশাকে একধরনের আকর্ষণ থাকে। আপনার পরনে যদি কম দামের কিন্তু ভালো ফিটিংয়ের একটি টি-শার্টও থাকে, তাহলেও আপনাকে মানানসই দেখাবে। উল্টোটাও সত্য যে কয়েক হাজার টাকার মাপ ভুল হওয়া ব্লেজারও যদি আপনার গায়ে থাকে, তবে সেই ‘দামি’ হওয়ার ধারণাটি তৎক্ষণাৎ শেষ হয়ে যায়। তাই আপনার সাধারণ পোশাক, যেমন টি-শার্ট বা লিনেনের শার্টও টেইলার্সের কাছে নিয়ে যান। কাঁধ বা অন্যান্য জায়গায় সামান্য পরিবর্তন করলেই তা হাই-এন্ড বুটিকের পোশাকের মতো দেখতে পারে।
বিখ্যাত লোগো না রেখেও আত্মবিশ্বাসী থাকুন
অনেকে মনে করেন, দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা লোগোই স্ট্যাটাস প্রকাশ করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সংযমই আত্মবিশ্বাস। পোশাকে কোনো লোগো না থাকা বা খুব কম থাকা বোঝায় যে আপনার কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই। যাঁরা ‘মনে মনে ধনী’, তাঁদের পোশাক লোগো দিয়ে বিচার করতে হয় না। তাঁরা পরিচিত হওয়ার জন্য পোশাক পরেন না, বরং সম্মানিত হওয়ার জন্য পোশাক পরেন। একটি পুরোনো প্রবাদ আছে, যার বাংলা অর্থ, ‘টাকা চিৎকার করে, আর সম্পদ ফিসফিস করে।’ ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। আপনার ব্র্যান্ডিং যত বেশি নিরবচ্ছিন্ন হবে, আপনার পোশাক তত বেশি উদ্দেশ্যমূলক ও ব্যয়বহুল মনে হবে।
নিরপেক্ষ ও পরিচ্ছন্ন রঙের উপস্থিতি
আপনি কি লক্ষ করেছেন, বিলাসবহুল পোশাকের কালেকশনগুলো কয়েকটি নির্দিষ্ট রঙের চারপাশে ঘোরাফেরা করে? যেমন বেইজ, কালো, সাদা, নেভি, অলিভ ও ধূসর। কিংবা মার্ক জাকারবার্গকে কখনো রঙিন পোশাকে দেখেছেন? বরং একটা নির্দিষ্ট রঙের টি-শার্ট পরেই তিনি সব সময় স্টেজে কথা বলেন। নিরপেক্ষ টোন বা নিউট্রাল রংগুলো শান্ত ও সংযম প্রকাশ করে। এই দুটি বৈশিষ্ট্য আমরা অবচেতনভাবে ক্ষমতা ও সম্পদের সঙ্গে সংযুক্ত করি। উজ্জ্বল রং চমৎকার লাগতে পারে, কিন্তু তারা প্রায়ই ট্রেন্ডি হয়, ক্ল্যাসিক নয়। নিউট্রাল রং পরা মানে বিরক্তিকর হওয়া নয়। এর মানে আপনি স্থায়িত্ব বোঝেন। আপনি যদি ফরেস্ট গ্রিন বা হালকা গোলাপির মতো একটি স্টেটমেন্ট রংও যোগ করেন, তবে বাকি পোশাকটিকে সংযত রাখলে তা বিশৃঙ্খল না হয়ে সুচিন্তিত বলে মনে হবে।
অনুভবযোগ্য মানসম্পন্ন ফ্যাব্রিকস
দামি দেখানোর জন্য পোশাকের একটি নিজস্ব টেক্সচার বা বুনন থাকে। এটি চকচকে উপায়ে নয়, বরং স্পর্শযোগ্য উপায়ে উপস্থিত হয় মানুষের সামনে। লিনেন প্রাকৃতিকভাবে ভাঁজ হয়ে ঝুলে থাকে। তবে এটি নরম কিন্তু সুগঠিত তুলা দিয়ে তৈরি। উলের কাপড় ঘন, কিন্তু খসখসে নয়। কাপড়টি কীভাবে নড়ে, তা দেখেও আপনি বুঝতে পারবেন, পোশাকটি কতটা দামি। সিনথেটিক ফাইবারগুলো শরীরকে আঁকড়ে ধরে এবং সহজে কুঁচকে যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদানগুলো স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হয়। মানের জন্য বেশি খরচ করা জরুরি নয়। আপনাকে জানতে হবে মানের অনুভূতি কেমন। ওজন ও বুনন চিনতে পারলে আপনি ব্যবহৃত কাপড় দেখেই তার গুণাগুণ বুঝতে পারবেন।
ত্রুটিহীন সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণ
বিষয়টি শুধু পোশাক নিয়ে নয়, কিন্তু এটি অনেক কিছুর বেলাতেই সত্য। আমরা পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকাকে সমৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করি। যেমন একটি ভাঁজহীন ইস্তিরি করা শার্ট। এক জোড়া পুরোনো কিন্তু পরিষ্কার জুতা, কিংবা পরিপাটি নখ, গোছানো চুল, সতেজ নিশ্বাস। আপনি কী কিনছেন, তার মধ্যে সব সময় সম্পদ থাকে না। সম্পদ থাকে আপনার যা আছে তার প্রতি আপনি কতটা যত্নশীল, তার মধ্যে। আপনার পোশাক ইস্তিরি করতে, জুতা পরিষ্কার করতে এবং ছেঁড়া ফিতা বা নিস্তেজ বোতামের মতো ছোট বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে সময় নিন। এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো আত্মসম্মানের সংকেত দেয়। এগুলোকেই মানুষ আপনার আত্মবিশ্বাস হিসেবে পড়বে। আর জানেন তো, আত্মবিশ্বাসকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
সুচিন্তিত অ্যাকসেসরিজ
অ্যাকসেসরিজ হলো স্টাইলের বিরামচিহ্ন। তারা হয় আপনাকে সম্পূর্ণ করবে, অথবা আপনাকে সম্পূর্ণভাবে বিশৃঙ্খল করে তুলবে। একটি একটি ভালো ঘড়ি, চামড়ার ব্রেসলেট বা মিনিমালিস্ট সানগ্লাসের মতো সাধারণ জিনিস আপনার পুরো সাজকে উন্নত করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হলো সংযম ও ধারাবাহিকতা। একটি দারুণ মানের জিনিস সব সময় কয়েকটি ট্রেন্ডি জিনিসের চেয়ে ভালো দেখাবে।
সঠিক জুতা এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ
মানুষ অবচেতনভাবে প্রথম যে জিনিসগুলো লক্ষ করে, জুতা তার মধ্যে অন্যতম। আপনি বেশি দামের পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু আপনার জুতা যদি নোংরা বা পুরোনো হয়, তবে আপনার লুকে ছেদ পড়ে যাবে। অন্যদিকে, পরিষ্কার, ভালো ভাবে যত্নে রাখা জুতা সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের হলেও আপনার পুরো পোশাক উন্নত করে তুলতে পারে।
পোশাকের স্তরবিন্যাস
লেয়ারিং বা স্তরে স্তরে পোশাক পরা একটি শিল্প। সঠিকভাবে করা হলে এটি আভিজাত্য প্রকাশ করে। যেমন একটি বোনা সোয়েটারের নিচে একটি কড়কড়ে শার্ট, সঙ্গে একটি হালকা ট্রেঞ্চ কোট বা একটি খোলা ওভারশার্টের নিচে একটি সাধারণ টি-শার্ট। এটি আপাতদৃষ্টে সাধারণ দেখালেও এর জন্য সামান্য কৌশল প্রয়োজন। লেয়ারিং করার সময় কেবল রং নয়, টেক্সচার বা বুননের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। ম্যাট কাপড়ের সঙ্গে নরম চকচকে টেনসেল বা সাটিনের মতো কাপড় যোগ করুন। এটি সূক্ষ্ম আকর্ষণ তৈরি করে রুচিশীলতার ইঙ্গিত দেবে।
শান্ত দেহভঙ্গি ও অঙ্গবিন্যাস
পোশাক আপনাকে কেবল একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই নিয়ে যেতে পারে। আপনার দেহভঙ্গি তার সঙ্গে মানানসই না হলে আপনি ব্যর্থ। যাঁরা নীরব আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন, তাঁরা সোজা হয়ে দাঁড়ান, ধীরে ধীরে চলাফেরা করেন এবং অস্থির হন না। তাঁরা তাড়াহুড়ো করেন না বা ক্রমাগত তাঁদের পোশাক ঠিক করেন না। তাঁদের উপস্থিতি স্থিতিশীল মনে হয়। আপনি এটি অনুশীলন করতে পারেন। ঘরে প্রবেশ করার পর কথা বলার আগে এক সেকেন্ড থামুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। আপনার অঙ্গভঙ্গি কম ও শিথিল রাখুন।
সূত্র: ভেজ আউট
ইংরেজিতে একটা প্রচলিত কথা আছে, ‘মানি টকস’ অর্থাৎ টাকা কথা বলে। আসলেই কি এই কাগজের টুকরা কথা বলে? একেক মানুষের কাছে আছে এর একেক রকম উত্তর। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই উপলব্ধি করে না যে টাকার পাশাপাশি মানুষের পরিহিত পোশাকের ধরন ফিসফিস করে কথা বলে। এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।
বিষয়টি ট্রেন্ডের পেছনে ছোটা বা সেলিব্রিটিদের স্টাইল নকল করা নয়, বরং সূক্ষ্ম বিষয়। এই ছোট ছোট বিষয় একজন মানুষের রুচি, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান অন্যের সামনে তুলে ধরে। তাই অনেক বেশি খরচ না করেও নিজেকে আকর্ষণীয় করে অন্যের সামনে তুলে ধরা ‘আর্ট’ হিসেবে পরিচিত।
নিখুঁত মাপ
ভালো ফিটিংয়ের পোশাকে একধরনের আকর্ষণ থাকে। আপনার পরনে যদি কম দামের কিন্তু ভালো ফিটিংয়ের একটি টি-শার্টও থাকে, তাহলেও আপনাকে মানানসই দেখাবে। উল্টোটাও সত্য যে কয়েক হাজার টাকার মাপ ভুল হওয়া ব্লেজারও যদি আপনার গায়ে থাকে, তবে সেই ‘দামি’ হওয়ার ধারণাটি তৎক্ষণাৎ শেষ হয়ে যায়। তাই আপনার সাধারণ পোশাক, যেমন টি-শার্ট বা লিনেনের শার্টও টেইলার্সের কাছে নিয়ে যান। কাঁধ বা অন্যান্য জায়গায় সামান্য পরিবর্তন করলেই তা হাই-এন্ড বুটিকের পোশাকের মতো দেখতে পারে।
বিখ্যাত লোগো না রেখেও আত্মবিশ্বাসী থাকুন
অনেকে মনে করেন, দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা লোগোই স্ট্যাটাস প্রকাশ করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সংযমই আত্মবিশ্বাস। পোশাকে কোনো লোগো না থাকা বা খুব কম থাকা বোঝায় যে আপনার কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই। যাঁরা ‘মনে মনে ধনী’, তাঁদের পোশাক লোগো দিয়ে বিচার করতে হয় না। তাঁরা পরিচিত হওয়ার জন্য পোশাক পরেন না, বরং সম্মানিত হওয়ার জন্য পোশাক পরেন। একটি পুরোনো প্রবাদ আছে, যার বাংলা অর্থ, ‘টাকা চিৎকার করে, আর সম্পদ ফিসফিস করে।’ ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। আপনার ব্র্যান্ডিং যত বেশি নিরবচ্ছিন্ন হবে, আপনার পোশাক তত বেশি উদ্দেশ্যমূলক ও ব্যয়বহুল মনে হবে।
নিরপেক্ষ ও পরিচ্ছন্ন রঙের উপস্থিতি
আপনি কি লক্ষ করেছেন, বিলাসবহুল পোশাকের কালেকশনগুলো কয়েকটি নির্দিষ্ট রঙের চারপাশে ঘোরাফেরা করে? যেমন বেইজ, কালো, সাদা, নেভি, অলিভ ও ধূসর। কিংবা মার্ক জাকারবার্গকে কখনো রঙিন পোশাকে দেখেছেন? বরং একটা নির্দিষ্ট রঙের টি-শার্ট পরেই তিনি সব সময় স্টেজে কথা বলেন। নিরপেক্ষ টোন বা নিউট্রাল রংগুলো শান্ত ও সংযম প্রকাশ করে। এই দুটি বৈশিষ্ট্য আমরা অবচেতনভাবে ক্ষমতা ও সম্পদের সঙ্গে সংযুক্ত করি। উজ্জ্বল রং চমৎকার লাগতে পারে, কিন্তু তারা প্রায়ই ট্রেন্ডি হয়, ক্ল্যাসিক নয়। নিউট্রাল রং পরা মানে বিরক্তিকর হওয়া নয়। এর মানে আপনি স্থায়িত্ব বোঝেন। আপনি যদি ফরেস্ট গ্রিন বা হালকা গোলাপির মতো একটি স্টেটমেন্ট রংও যোগ করেন, তবে বাকি পোশাকটিকে সংযত রাখলে তা বিশৃঙ্খল না হয়ে সুচিন্তিত বলে মনে হবে।
অনুভবযোগ্য মানসম্পন্ন ফ্যাব্রিকস
দামি দেখানোর জন্য পোশাকের একটি নিজস্ব টেক্সচার বা বুনন থাকে। এটি চকচকে উপায়ে নয়, বরং স্পর্শযোগ্য উপায়ে উপস্থিত হয় মানুষের সামনে। লিনেন প্রাকৃতিকভাবে ভাঁজ হয়ে ঝুলে থাকে। তবে এটি নরম কিন্তু সুগঠিত তুলা দিয়ে তৈরি। উলের কাপড় ঘন, কিন্তু খসখসে নয়। কাপড়টি কীভাবে নড়ে, তা দেখেও আপনি বুঝতে পারবেন, পোশাকটি কতটা দামি। সিনথেটিক ফাইবারগুলো শরীরকে আঁকড়ে ধরে এবং সহজে কুঁচকে যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদানগুলো স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হয়। মানের জন্য বেশি খরচ করা জরুরি নয়। আপনাকে জানতে হবে মানের অনুভূতি কেমন। ওজন ও বুনন চিনতে পারলে আপনি ব্যবহৃত কাপড় দেখেই তার গুণাগুণ বুঝতে পারবেন।
ত্রুটিহীন সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণ
বিষয়টি শুধু পোশাক নিয়ে নয়, কিন্তু এটি অনেক কিছুর বেলাতেই সত্য। আমরা পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকাকে সমৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করি। যেমন একটি ভাঁজহীন ইস্তিরি করা শার্ট। এক জোড়া পুরোনো কিন্তু পরিষ্কার জুতা, কিংবা পরিপাটি নখ, গোছানো চুল, সতেজ নিশ্বাস। আপনি কী কিনছেন, তার মধ্যে সব সময় সম্পদ থাকে না। সম্পদ থাকে আপনার যা আছে তার প্রতি আপনি কতটা যত্নশীল, তার মধ্যে। আপনার পোশাক ইস্তিরি করতে, জুতা পরিষ্কার করতে এবং ছেঁড়া ফিতা বা নিস্তেজ বোতামের মতো ছোট বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে সময় নিন। এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো আত্মসম্মানের সংকেত দেয়। এগুলোকেই মানুষ আপনার আত্মবিশ্বাস হিসেবে পড়বে। আর জানেন তো, আত্মবিশ্বাসকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
সুচিন্তিত অ্যাকসেসরিজ
অ্যাকসেসরিজ হলো স্টাইলের বিরামচিহ্ন। তারা হয় আপনাকে সম্পূর্ণ করবে, অথবা আপনাকে সম্পূর্ণভাবে বিশৃঙ্খল করে তুলবে। একটি একটি ভালো ঘড়ি, চামড়ার ব্রেসলেট বা মিনিমালিস্ট সানগ্লাসের মতো সাধারণ জিনিস আপনার পুরো সাজকে উন্নত করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হলো সংযম ও ধারাবাহিকতা। একটি দারুণ মানের জিনিস সব সময় কয়েকটি ট্রেন্ডি জিনিসের চেয়ে ভালো দেখাবে।
সঠিক জুতা এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ
মানুষ অবচেতনভাবে প্রথম যে জিনিসগুলো লক্ষ করে, জুতা তার মধ্যে অন্যতম। আপনি বেশি দামের পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু আপনার জুতা যদি নোংরা বা পুরোনো হয়, তবে আপনার লুকে ছেদ পড়ে যাবে। অন্যদিকে, পরিষ্কার, ভালো ভাবে যত্নে রাখা জুতা সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের হলেও আপনার পুরো পোশাক উন্নত করে তুলতে পারে।
পোশাকের স্তরবিন্যাস
লেয়ারিং বা স্তরে স্তরে পোশাক পরা একটি শিল্প। সঠিকভাবে করা হলে এটি আভিজাত্য প্রকাশ করে। যেমন একটি বোনা সোয়েটারের নিচে একটি কড়কড়ে শার্ট, সঙ্গে একটি হালকা ট্রেঞ্চ কোট বা একটি খোলা ওভারশার্টের নিচে একটি সাধারণ টি-শার্ট। এটি আপাতদৃষ্টে সাধারণ দেখালেও এর জন্য সামান্য কৌশল প্রয়োজন। লেয়ারিং করার সময় কেবল রং নয়, টেক্সচার বা বুননের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। ম্যাট কাপড়ের সঙ্গে নরম চকচকে টেনসেল বা সাটিনের মতো কাপড় যোগ করুন। এটি সূক্ষ্ম আকর্ষণ তৈরি করে রুচিশীলতার ইঙ্গিত দেবে।
শান্ত দেহভঙ্গি ও অঙ্গবিন্যাস
পোশাক আপনাকে কেবল একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই নিয়ে যেতে পারে। আপনার দেহভঙ্গি তার সঙ্গে মানানসই না হলে আপনি ব্যর্থ। যাঁরা নীরব আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন, তাঁরা সোজা হয়ে দাঁড়ান, ধীরে ধীরে চলাফেরা করেন এবং অস্থির হন না। তাঁরা তাড়াহুড়ো করেন না বা ক্রমাগত তাঁদের পোশাক ঠিক করেন না। তাঁদের উপস্থিতি স্থিতিশীল মনে হয়। আপনি এটি অনুশীলন করতে পারেন। ঘরে প্রবেশ করার পর কথা বলার আগে এক সেকেন্ড থামুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। আপনার অঙ্গভঙ্গি কম ও শিথিল রাখুন।
সূত্র: ভেজ আউট
মনের গভীরে বাস করে ভালোবাসা। তাই কারও মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন। তবে মনের অবস্থাটি অনেক সময় প্রকাশ পায় মানুষের আচরণে। এভাবে সত্যিকার ভালোবাসার বিষয়টিও অনুধাবন করা সম্ভব।
২৩ নভেম্বর ২০২৩সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাউডারের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। যাঁরা প্রতিদিন জিমে যান, তাঁরা তো বটেই; এখন ট্রেন্ড ফলোয়াররাও ঝুঁকছেন প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের দিকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন ও প্রোটিন পাউডার দিয়ে তৈরি পানীয় গ্রহণ করেন তাঁদের পেশির বৃদ্ধি ভালো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে১৯ অক্টোবর, রোববার এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মাঝেই চুরি হয়েছে রাজা নেপোলিয়ন ও জোসেফাইনের ব্যবহৃত গয়নার মতো বহুমূল্য অলংকার। এ ঘটনার পর আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লুভর মিউজিয়াম।
১০ ঘণ্টা আগেআজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো! কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মেষ
আজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
বৃষ
আজ আপনার পেটের ডাক মহাজাগতিক শব্দের চেয়েও জোরালো। আরাম আর পছন্দের খাবারের জন্য মন সারা দিন ছটফট করবে। বিকেলের দিকে প্রেমের জীবন নিয়ে একটা মিষ্টি স্বপ্ন মনে উদয় হতে পারে, কিন্তু বাস্তবের কঠিন মাটিতে পা রাখুন, না হলে দেখবেন স্বপ্নে দেখা খাবারটাও হাতছাড়া! মানিব্যাগকে আজকের জন্য ‘আত্মগোপনে’ যেতে বলুন।
মিথুন
আজ আপনি একই সঙ্গে দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন, যেমন ‘অফিস যাব’ বনাম ‘কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাব।’ গ্রহরা বলছে, কোনো একটি বেছে নেওয়ার দরকার নেই। দুটোই এড়িয়ে যান এবং বাকিদের চিন্তায় ফেলে দিন। আপনার দ্বিচারিতাই আজ আপনার সুপার পাওয়ার। তবে ভুল করেও একসঙ্গে দুজনকে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দেবেন না!
কর্কট
আপনার আবেগ আজ সাগরের জোয়ারের মতো, সকালে উথলে উঠবে, দুপুরে সামান্য শান্ত হবে, আর রাতে আবার পূর্ণিমার চাঁদ দেখে কেঁদে ফেলবে। পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে না ধরে একটু সামনের দিকে তাকান। প্লিজ, আপনার প্রাক্তন কী করছে তা আজ গুগল করা থেকে বিরত থাকুন। সাবধান! কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে অনুমতি নিন।
সিংহ
আজ আপনি যেখানেই যান, লাইমলাইট আপনাকেই খুঁজবে। আপনার তেজ এতটাই বেশি যে আশপাশের মানুষজন সানগ্লাস পরে থাকতে পারে! অতিরিক্ত নাটকীয়তা আজ চলবে, তবে খেয়াল রাখবেন নিজে ভালো সেজে অন্যকে যেন অন্ধকারে না ফেলে দেন। আজকের চ্যালেঞ্জ হলো, নিজেকে ছাড়া অন্য কারও প্রশংসা করুন। আপনার জন্য এটা কঠিন, তবে পারতে হবে।
কন্যা
আজ আপনার চোখে পড়বে ডেস্কে পড়ে থাকা একফোঁটা ধুলো অথবা ই-মেইলের বানান ভুলের মতো তুচ্ছ অনেক কিছু। নিখুঁত হওয়ার এই রোগ আজ আপনাকে একটু ভোগাবে। সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা না করে, বরং আরাম করুন। মহাবিশ্ব আপনাকে বলতে চাইছে: ‘সবকিছু ১০০ ভাগ ঠিক না হলেও চলে, বস!’
তুলা
সিদ্ধান্ত নিতে না পারাটা আপনার জন্মগত ব্যারাম, আর আজ সেটা আরও প্রকট হবে। শার্টের রং কী হবে, লাঞ্চে কী খাবেন—এসব ভাবতে ভাবতেই আজকের অর্ধেক দিন পার। চিন্তা করবেন না, সময় আপনার হয়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে (মানে, হয়তো ততক্ষণে খাবার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে)। ঝগড়া মিটিয়ে ফেলার আজ দারুণ সুযোগ, যদি ‘সরি’ বলা না বলা নিয়ে দ্বিধায় না ভোগেন!
বৃশ্চিক
আপনার চোখে আজ গভীর রহস্য। মনে হবে যেন কোনো গোপন অভিযানের পরিকল্পনা করছেন। আপনার তীব্র চাহনি আজ সহকর্মীদের একটু অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আজকের জন্য আপনার গোপন মিশন: লোকদেখানো হাসি দিয়ে সবাইকে কনফিউজ করে দেওয়া। সামান্য ব্যাপারেও সন্দেহ করা আজ একটু কমালে ভালো হয়।
ধনু
আজ আপনি মহৎ কোনো জ্ঞান দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আপনার অতিসরল সত্যগুলো অন্যকে আঘাত দিতে পারে। সবার সামনে নিজেকে ‘পৃথিবীর দার্শনিক’ প্রমাণ না করে, চুপচাপ থাকুন। ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটা আজ ক্যানসেল করুন, না হলে টিকিট কেটে চাঁদেই চলে যেতে পারেন! সঙ্গীকে কোনো অপ্রিয় সত্য বলার আগে ১০ বার ভাবুন।
মকর
আজ কাজ, কাজ আর শুধুই কাজ। আপনি যদি এখন নিজের শরীরের কথা না শোনেন, তবে শরীর আপনাকে ছুটি নিতে বাধ্য করবে। আপনার গ্রহরা চাইছে, আজ একটু রিলাক্স করুন। হ্যাঁ, সারা পৃথিবীতে কাজ জমে থাকুক, তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি যদি আজ ৩০ মিনিট কাজের ডেস্ক থেকে দূরে থাকেন, পৃথিবী ধ্বংস হবে না তো! খেয়াল রাখবেন, আজ দুপুরের লাঞ্চটাইম ভুলে যাওয়ার চান্স আছে।
কুম্ভ
আপনার উদ্ভট আইডিয়াগুলো আজ তুঙ্গে থাকবে। আপনার উদ্ভট সব পরিকল্পনা অফিসে পেশ করার আগে ভালো করে ভাবুন। সমাজের মূল স্রোত থেকে আপনি আরও দূরে সরে যেতে পারেন, এটা অবশ্য আপনার জন্য খুব স্বাভাবিক। আজকের লক্ষ্য ঠিক করুন—এমন কাজ করবেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি!
মীন
বাস্তবতা আজ আপনার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগবে। পুরো দিনটা স্বপ্ন দেখবেন বলে আলস্যে কাটাতে পারেন, যেমন আপনি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন আর এখন একটা প্রমোদতরিতে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছেন। স্বপ্ন দেখতে কোনো বাধা নেই, তবে বসের ডাকে সাড়া দিতে ভুলবেন না। না হলে স্বপ্ন থেকে জাগতেই দেখবেন আপনার ‘রিয়েলিটি চেক’ হয়ে গেছে। সাবধান! দিনের শেষে জলখাবারটা একটু সাবধানে!
বিশেষ দ্রষ্টব্য: গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন! আসলে দোষটা আর কারও নয়, শুধু আপনার অলসতা।
মেষ
আজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
বৃষ
আজ আপনার পেটের ডাক মহাজাগতিক শব্দের চেয়েও জোরালো। আরাম আর পছন্দের খাবারের জন্য মন সারা দিন ছটফট করবে। বিকেলের দিকে প্রেমের জীবন নিয়ে একটা মিষ্টি স্বপ্ন মনে উদয় হতে পারে, কিন্তু বাস্তবের কঠিন মাটিতে পা রাখুন, না হলে দেখবেন স্বপ্নে দেখা খাবারটাও হাতছাড়া! মানিব্যাগকে আজকের জন্য ‘আত্মগোপনে’ যেতে বলুন।
মিথুন
আজ আপনি একই সঙ্গে দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন, যেমন ‘অফিস যাব’ বনাম ‘কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাব।’ গ্রহরা বলছে, কোনো একটি বেছে নেওয়ার দরকার নেই। দুটোই এড়িয়ে যান এবং বাকিদের চিন্তায় ফেলে দিন। আপনার দ্বিচারিতাই আজ আপনার সুপার পাওয়ার। তবে ভুল করেও একসঙ্গে দুজনকে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দেবেন না!
কর্কট
আপনার আবেগ আজ সাগরের জোয়ারের মতো, সকালে উথলে উঠবে, দুপুরে সামান্য শান্ত হবে, আর রাতে আবার পূর্ণিমার চাঁদ দেখে কেঁদে ফেলবে। পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে না ধরে একটু সামনের দিকে তাকান। প্লিজ, আপনার প্রাক্তন কী করছে তা আজ গুগল করা থেকে বিরত থাকুন। সাবধান! কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে অনুমতি নিন।
সিংহ
আজ আপনি যেখানেই যান, লাইমলাইট আপনাকেই খুঁজবে। আপনার তেজ এতটাই বেশি যে আশপাশের মানুষজন সানগ্লাস পরে থাকতে পারে! অতিরিক্ত নাটকীয়তা আজ চলবে, তবে খেয়াল রাখবেন নিজে ভালো সেজে অন্যকে যেন অন্ধকারে না ফেলে দেন। আজকের চ্যালেঞ্জ হলো, নিজেকে ছাড়া অন্য কারও প্রশংসা করুন। আপনার জন্য এটা কঠিন, তবে পারতে হবে।
কন্যা
আজ আপনার চোখে পড়বে ডেস্কে পড়ে থাকা একফোঁটা ধুলো অথবা ই-মেইলের বানান ভুলের মতো তুচ্ছ অনেক কিছু। নিখুঁত হওয়ার এই রোগ আজ আপনাকে একটু ভোগাবে। সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা না করে, বরং আরাম করুন। মহাবিশ্ব আপনাকে বলতে চাইছে: ‘সবকিছু ১০০ ভাগ ঠিক না হলেও চলে, বস!’
তুলা
সিদ্ধান্ত নিতে না পারাটা আপনার জন্মগত ব্যারাম, আর আজ সেটা আরও প্রকট হবে। শার্টের রং কী হবে, লাঞ্চে কী খাবেন—এসব ভাবতে ভাবতেই আজকের অর্ধেক দিন পার। চিন্তা করবেন না, সময় আপনার হয়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে (মানে, হয়তো ততক্ষণে খাবার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে)। ঝগড়া মিটিয়ে ফেলার আজ দারুণ সুযোগ, যদি ‘সরি’ বলা না বলা নিয়ে দ্বিধায় না ভোগেন!
বৃশ্চিক
আপনার চোখে আজ গভীর রহস্য। মনে হবে যেন কোনো গোপন অভিযানের পরিকল্পনা করছেন। আপনার তীব্র চাহনি আজ সহকর্মীদের একটু অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আজকের জন্য আপনার গোপন মিশন: লোকদেখানো হাসি দিয়ে সবাইকে কনফিউজ করে দেওয়া। সামান্য ব্যাপারেও সন্দেহ করা আজ একটু কমালে ভালো হয়।
ধনু
আজ আপনি মহৎ কোনো জ্ঞান দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আপনার অতিসরল সত্যগুলো অন্যকে আঘাত দিতে পারে। সবার সামনে নিজেকে ‘পৃথিবীর দার্শনিক’ প্রমাণ না করে, চুপচাপ থাকুন। ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটা আজ ক্যানসেল করুন, না হলে টিকিট কেটে চাঁদেই চলে যেতে পারেন! সঙ্গীকে কোনো অপ্রিয় সত্য বলার আগে ১০ বার ভাবুন।
মকর
আজ কাজ, কাজ আর শুধুই কাজ। আপনি যদি এখন নিজের শরীরের কথা না শোনেন, তবে শরীর আপনাকে ছুটি নিতে বাধ্য করবে। আপনার গ্রহরা চাইছে, আজ একটু রিলাক্স করুন। হ্যাঁ, সারা পৃথিবীতে কাজ জমে থাকুক, তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি যদি আজ ৩০ মিনিট কাজের ডেস্ক থেকে দূরে থাকেন, পৃথিবী ধ্বংস হবে না তো! খেয়াল রাখবেন, আজ দুপুরের লাঞ্চটাইম ভুলে যাওয়ার চান্স আছে।
কুম্ভ
আপনার উদ্ভট আইডিয়াগুলো আজ তুঙ্গে থাকবে। আপনার উদ্ভট সব পরিকল্পনা অফিসে পেশ করার আগে ভালো করে ভাবুন। সমাজের মূল স্রোত থেকে আপনি আরও দূরে সরে যেতে পারেন, এটা অবশ্য আপনার জন্য খুব স্বাভাবিক। আজকের লক্ষ্য ঠিক করুন—এমন কাজ করবেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি!
মীন
বাস্তবতা আজ আপনার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগবে। পুরো দিনটা স্বপ্ন দেখবেন বলে আলস্যে কাটাতে পারেন, যেমন আপনি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন আর এখন একটা প্রমোদতরিতে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছেন। স্বপ্ন দেখতে কোনো বাধা নেই, তবে বসের ডাকে সাড়া দিতে ভুলবেন না। না হলে স্বপ্ন থেকে জাগতেই দেখবেন আপনার ‘রিয়েলিটি চেক’ হয়ে গেছে। সাবধান! দিনের শেষে জলখাবারটা একটু সাবধানে!
বিশেষ দ্রষ্টব্য: গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন! আসলে দোষটা আর কারও নয়, শুধু আপনার অলসতা।
মনের গভীরে বাস করে ভালোবাসা। তাই কারও মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন। তবে মনের অবস্থাটি অনেক সময় প্রকাশ পায় মানুষের আচরণে। এভাবে সত্যিকার ভালোবাসার বিষয়টিও অনুধাবন করা সম্ভব।
২৩ নভেম্বর ২০২৩সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাউডারের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। যাঁরা প্রতিদিন জিমে যান, তাঁরা তো বটেই; এখন ট্রেন্ড ফলোয়াররাও ঝুঁকছেন প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের দিকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন ও প্রোটিন পাউডার দিয়ে তৈরি পানীয় গ্রহণ করেন তাঁদের পেশির বৃদ্ধি ভালো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে১৯ অক্টোবর, রোববার এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে! নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মাঝেই চুরি হয়েছে রাজা নেপোলিয়ন ও জোসেফাইনের ব্যবহৃত গয়নার মতো বহুমূল্য অলংকার। এ ঘটনার পর আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লুভর মিউজিয়াম।
১০ ঘণ্টা আগেমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।...
১১ ঘণ্টা আগে