ফিচার ডেস্ক
বিটরুট জুস আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ ব্যায়ামের আগে পান করেন শক্তি বাড়ানোর জন্য, তো কেউ সকালের নাশতার সঙ্গে। লাল রঙের এই জুস শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এটি শরীরের জন্যও উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি, নাইট্রেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সতেজ রাখে। তবে যেকোনো স্বাস্থ্যকর খাবারের মতোই এটি খুব বেশি পান করলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে শরীরে।
বিটরুট জুসের উপকারিতা:
বিটরুট জুসে থাকে নাইট্রেট। এই উপাদান রক্তনালি প্রশস্ত করতে সাহায্য করে। ফলে রক্ত চলাচল সহজ হয়। নিয়মিত পান করলে হার্টের ওপর চাপ কমে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বিটরুট জুস পান করলে হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
খেলোয়াড়দের অনেকে ব্যায়ামের আগে বিটরুট জুস পান করেন। কারণ, এটি পেশিতে রক্ত চলাচল বাড়ায়, ক্লান্তি কমায় এবং ব্যায়াম করার ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে দেহ ভালোভাবে শক্তি ধরে রাখতে পারে এবং ব্যায়াম আরও কার্যকর হয়।
বিটরুটে থাকা নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি পায়। এতে মনোযোগ ঠিক থাকে, স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং নতুন কিছু শিখতে বা সমস্যা সমাধান করতে মস্তিষ্ক আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।
বিটরুটের জুসে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর। এটি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাধারণ ঠান্ডা, জ্বর বা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ায় এটি দৈনন্দিন জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিটরুট জুস লিভারের জন্যও সহায়ক। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিটরুট জুসের অপকারিতা:
বিটরুটে অক্সালেট থাকে। এটি শরীরে থাকা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। যাঁরা আগে থেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জরুরি।
যাঁদের রক্তচাপ প্রাকৃতিকভাবে কম, তাঁদের জন্য বেশি বিটরুট জুস পান করা ঝুঁকিপূর্ণ। হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে মাথা ঘোরা বা বমি হতে পারে।
বিটরুট জুসে অ্যাসিড থাকে। খুব বেশি বা খালি পেটে পান করলে গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে পারে। তাই দিনের খাবারের সঙ্গে বা মাঝারি পরিমাণে পান করা ভালো।
অক্সালেট শরীরে জিংকের মতো খনিজের শোষণ কমায়। জিংক চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত জুস পান করলে চুল পাতলা হতে বা পড়ে যেতে পারে।
বিটরুটে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। পুরো বিটে আঁশ থাকায় রক্তের চিনি ধীরে বাড়ে। কিন্তু জুসে আঁশ কম থাকে, তাই রক্তে চিনি দ্রুত বাড়তে পারে। এটি বিশেষভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
বিটরুট জুসে ভিটামিন কে থাকে। এটি রক্ত জমাট বাঁধাতে ভূমিকা রাখে। এটি কিছু রক্ত পাতলা করার ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
নিরাপদ মাত্রা এবং ব্যবহারের টিপস
বিটরুট জুস স্বাস্থ্যকর, শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। তবে সবকিছুতে মিতব্যয়িতা জরুরি। নিরাপদ মাত্রায় পান করলে শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত হলে কিডনি, রক্তচাপ, হজম, চুল পড়া এবং রক্তের চিনি সমস্যা হতে পারে।
সূত্র: হেলথশট
বিটরুট জুস আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ ব্যায়ামের আগে পান করেন শক্তি বাড়ানোর জন্য, তো কেউ সকালের নাশতার সঙ্গে। লাল রঙের এই জুস শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এটি শরীরের জন্যও উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি, নাইট্রেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সতেজ রাখে। তবে যেকোনো স্বাস্থ্যকর খাবারের মতোই এটি খুব বেশি পান করলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে শরীরে।
বিটরুট জুসের উপকারিতা:
বিটরুট জুসে থাকে নাইট্রেট। এই উপাদান রক্তনালি প্রশস্ত করতে সাহায্য করে। ফলে রক্ত চলাচল সহজ হয়। নিয়মিত পান করলে হার্টের ওপর চাপ কমে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বিটরুট জুস পান করলে হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
খেলোয়াড়দের অনেকে ব্যায়ামের আগে বিটরুট জুস পান করেন। কারণ, এটি পেশিতে রক্ত চলাচল বাড়ায়, ক্লান্তি কমায় এবং ব্যায়াম করার ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে দেহ ভালোভাবে শক্তি ধরে রাখতে পারে এবং ব্যায়াম আরও কার্যকর হয়।
বিটরুটে থাকা নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি পায়। এতে মনোযোগ ঠিক থাকে, স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং নতুন কিছু শিখতে বা সমস্যা সমাধান করতে মস্তিষ্ক আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।
বিটরুটের জুসে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর। এটি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাধারণ ঠান্ডা, জ্বর বা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ায় এটি দৈনন্দিন জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিটরুট জুস লিভারের জন্যও সহায়ক। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিটরুট জুসের অপকারিতা:
বিটরুটে অক্সালেট থাকে। এটি শরীরে থাকা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। যাঁরা আগে থেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জরুরি।
যাঁদের রক্তচাপ প্রাকৃতিকভাবে কম, তাঁদের জন্য বেশি বিটরুট জুস পান করা ঝুঁকিপূর্ণ। হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে মাথা ঘোরা বা বমি হতে পারে।
বিটরুট জুসে অ্যাসিড থাকে। খুব বেশি বা খালি পেটে পান করলে গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে পারে। তাই দিনের খাবারের সঙ্গে বা মাঝারি পরিমাণে পান করা ভালো।
অক্সালেট শরীরে জিংকের মতো খনিজের শোষণ কমায়। জিংক চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত জুস পান করলে চুল পাতলা হতে বা পড়ে যেতে পারে।
বিটরুটে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। পুরো বিটে আঁশ থাকায় রক্তের চিনি ধীরে বাড়ে। কিন্তু জুসে আঁশ কম থাকে, তাই রক্তে চিনি দ্রুত বাড়তে পারে। এটি বিশেষভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
বিটরুট জুসে ভিটামিন কে থাকে। এটি রক্ত জমাট বাঁধাতে ভূমিকা রাখে। এটি কিছু রক্ত পাতলা করার ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
নিরাপদ মাত্রা এবং ব্যবহারের টিপস
বিটরুট জুস স্বাস্থ্যকর, শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। তবে সবকিছুতে মিতব্যয়িতা জরুরি। নিরাপদ মাত্রায় পান করলে শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত হলে কিডনি, রক্তচাপ, হজম, চুল পড়া এবং রক্তের চিনি সমস্যা হতে পারে।
সূত্র: হেলথশট
‘সফট স্কিল’ শব্দটি এখন মানুষের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ ও গুরুত্ব অনেক সময় ধোঁয়াশার মধ্যে থেকে যায়। সফট স্কিল বলতে বোঝানো হয়, ব্যক্তিগত চরিত্র, সম্পর্ক ও মনোভাবের দক্ষতা, যা আমাদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনে সমানভাবে প্রয়োজনীয়।
৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ জীবনের কথা উঠলে সাধারণত গ্রিসের ইকারিয়া, জাপানের ওকিনাওয়া, কোস্টারিকার নিকোয়া কিংবা ইতালির সার্দিনিয়ার নাম শোনা যায়। এই জায়গাগুলোকে বলা হয় বিশ্বের ‘ব্লু জোন’। এসব জায়গার মানুষ অন্য যেকোনো জায়গার তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
৭ ঘণ্টা আগেরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গিয়ে বুক ধড়ফড় করা কিংবা অদ্ভুত ভয়ের ঘোরে ডুবে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকের রয়েছে। স্বপ্নের জগৎ রহস্যে ভরা হলেও দুঃস্বপ্ন বা নাইটমেয়ার যেন তারই এক ভীতিকর দিক। অনেকে মনে করেন, দুঃস্বপ্ন ভবিষ্যৎ বিপদের আগাম সংকেত দেয়। কিন্তু বিজ্ঞান কী বলছে?
১ দিন আগেভিদ্যা বালান না বলে আপনি যদি বিদ্যা বালান নামে ডাকেন, তাহলেই তিনি বাঙালি। তাঁর শারীরিক গঠন, শাড়ির প্রতি তীব্র ভালোবাসা—সবই তাঁকে দীর্ঘকাল বাঙালি হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। এ শাড়ি পরাকে তিনি ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে নিয়েছেন, তাতে মনে প্রশ্ন জাগে, কেন?
১ দিন আগে