ফিচার ডেস্ক

অনেকের কাছে গোলাপি ঠোঁট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন। কিন্তু ফ্যাশন ট্রেন্ড সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। যেমন, এক দশক আগেও যে ধরনের ঠোঁটে জনপ্রিয় ছিল, এখন তা ভিন্ন। এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে গোলাপি ঠোঁট স্বাস্থ্যকর। অনেকেই মনে করেন এই রঙের ঠোঁট অন্য যেকোনো রঙের ঠোঁটের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু মজার বিষয় হল এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ব্যতিক্রম শুধু তখনই ঘটে, যখন স্বাভাবিকভাবে গোলাপি ঠোঁটের রঙ হঠাৎ পাল্টে যায়। স্বাস্থ্যকর ঠোঁটের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ফাটা বা ঘা মুক্ত, আর্দ্র বা হাইড্রেটেড ও মসৃণ।
ঠোঁট কেন কালো হয়?
ত্বকের রঙের মতোই, ঠোঁটের রংও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। যাদের ত্বক তুলনামূলকভাবে গাঢ়, তাদের ঠোঁটও সাধারণত গাঢ় হয়। এটি স্বাভাবিক। মূলত ত্বকে মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থের আধিক্যের কারণে ঘটে। মেলানিনের আধিক্যের ফলে হাইপারপিগমেন্টেশন হয়েও ঠোঁট কালো হতে পারে। হাইপারপিগমেন্টেশন হলো যখন ত্বকের কিছু অংশ পার্শ্ববর্তী এলাকার চেয়ে গাঢ় হয়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে যাদের ঠোঁট গাঢ়, তারা ঘরোয়া উপায়ে সাময়িকভাবে ঠোঁটকে আরও গোলাপি দেখাতে পারেন। তবে হাইপারপিগমেন্টেশনের শিকার ব্যক্তিরা ত্বকের চিকিৎসার মাধ্যমে বেশি উপকার পেতে পারেন। ঠোঁটে এর প্রধান কারণগুলো হলো ধূমপানের কারণে ঠোঁটে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে (যেমন হাত) দাগ পড়তে পারে। নিকোটিন ত্বকে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়, যা ঠোঁটের রঙ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে।
অতিরিক্ত সূর্যের আলোয় দীর্ঘক্ষণ থাকলে হাইপারপিগমেন্টেশন হতে পারে। ম্যালেরিয়া রোধী ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মিনোসাইক্লিন এর প্রভাবে ঠোঁট কালো হতে পারে।
অনেক সময় চিকিৎসাজনিত সমস্যা যেমন অ্যাডিসন'স ডিজিজ এর কারণে ঠোঁট কালো হয়।
গর্ভাবস্থায় অনেকের ঠোঁট কালো হয়।
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
নিম্নলিখিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ঠোঁটকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং সাময়িকভাবে ঠোঁটে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে গোলাপি আভা আনতে পারে:
লিপ স্ক্রাব নিয়মিত হালকা এক্সফোলিয়েশন বা মরা চামড়া অপসারণ করলে ঠোঁটের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব দূর হয়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠোঁট সাময়িকভাবে গোলাপি দেখায়।
ঘরে স্ক্রাব তৈরির পদ্ধতিঃ চিনি বা লবণকে মিষ্টি কাঠবাদাম বা নারকেল তেলের মতো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন।
ব্যবহারের নিয়মঃ
আলতোভাবে শুকনো ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন।
ধুয়ে ফেলে আলতো করে মুছে নিন।
এরপর অবশ্যই একটি লিপ বাম লাগান।
সতর্কতাঃ ঠোঁটের ত্বক সংবেদনশীল, তাই জোরে ঘষবেন না। সপ্তাহে একবার বা দুবারের বেশি স্ক্রাব ব্যবহার করবেন না। মুখ বা শরীরের জন্য তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ সেগুলো ঠোঁটের জন্য বেশি কঠিন হতে পারে।
ঠোঁটের ম্যাসাজ
ম্যাসাজ ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ঠোঁটকে আরও গোলাপি দেখাতে পারে। প্রতিদিন একবার নারকেল তেলের মতো খাদ্য উপযোগী তেল দিয়ে ঠোঁটে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। অথবা রাতে ঘুমের আগে তেলটি ঠোঁটে রেখে দিন, এটি আর্দ্রতারও কাজ করবে।
হলুদ ও নারকেল তেলের মাস্ক
কেউ কেউ হলুদযুক্ত লিপ মাস্ক ব্যবহার করে ঠোঁটের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত হয়েছে বলে দাবি করেন। হলুদে হাইপারপিগমেন্টেশন কমানোর গুণ থাকতে পারে। এই মাস্ক তৈরির জন্য হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে শুকনো করে নিন। তবে হলুদ ঠোঁটের চারপাশের ত্বকে সাময়িকভাবে হলুদ দাগ ফেলতে পারে।
পিপারমিন্ট তেলযুক্ত লিপ বাম
কিছু প্রসাধনী সংস্থা প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি আভা আনার জন্য লিপ বামে পিপারমিন্ট তেল ব্যবহার করে। এই তেলে থাকা মেন্থল রক্তনালিকে প্রসারিত করতে পারে, যার ফলে ঠোঁটে সাময়িকভাবে একটি হালকা লালচে বা গোলাপি আভা আসে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি ফাটা ঠোঁটে মেন্থল বা পিপারমিন্ট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। কারণ এটি জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
শুষ্কতা বা বিবর্ণতা প্রতিরোধের টিপস
ঠোঁটকে সাময়িকভাবে গোলাপি দেখানোর পাশাপাশি, শুষ্কতা, জ্বালা এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত:
প্রতিদিন ঠোঁট এবং ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হাইপারপিগমেন্টেশন এবং রোদে পোড়া রোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। বাইরে গেলে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি এবং টাইটানিয়াম অক্সাইড বা জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন। প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর তা পুনরায় লাগান।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ঠোঁটের কালো হওয়া এবং ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। ঠোঁট আর্দ্র রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
শিয়া বাটার বা পেট্রোলিয়ামের মতো উপাদানযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।
ঠোঁট চাটা, কামড়ানো বা ঠোঁটের চামড়া তোলা এড়িয়ে চলুন। এই অভ্যাসগুলো এড়াতে লিপ বাম ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সূত্রঃ মেডিকেল নিউজ টুডে

অনেকের কাছে গোলাপি ঠোঁট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন। কিন্তু ফ্যাশন ট্রেন্ড সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। যেমন, এক দশক আগেও যে ধরনের ঠোঁটে জনপ্রিয় ছিল, এখন তা ভিন্ন। এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে গোলাপি ঠোঁট স্বাস্থ্যকর। অনেকেই মনে করেন এই রঙের ঠোঁট অন্য যেকোনো রঙের ঠোঁটের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু মজার বিষয় হল এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ব্যতিক্রম শুধু তখনই ঘটে, যখন স্বাভাবিকভাবে গোলাপি ঠোঁটের রঙ হঠাৎ পাল্টে যায়। স্বাস্থ্যকর ঠোঁটের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ফাটা বা ঘা মুক্ত, আর্দ্র বা হাইড্রেটেড ও মসৃণ।
ঠোঁট কেন কালো হয়?
ত্বকের রঙের মতোই, ঠোঁটের রংও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। যাদের ত্বক তুলনামূলকভাবে গাঢ়, তাদের ঠোঁটও সাধারণত গাঢ় হয়। এটি স্বাভাবিক। মূলত ত্বকে মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থের আধিক্যের কারণে ঘটে। মেলানিনের আধিক্যের ফলে হাইপারপিগমেন্টেশন হয়েও ঠোঁট কালো হতে পারে। হাইপারপিগমেন্টেশন হলো যখন ত্বকের কিছু অংশ পার্শ্ববর্তী এলাকার চেয়ে গাঢ় হয়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে যাদের ঠোঁট গাঢ়, তারা ঘরোয়া উপায়ে সাময়িকভাবে ঠোঁটকে আরও গোলাপি দেখাতে পারেন। তবে হাইপারপিগমেন্টেশনের শিকার ব্যক্তিরা ত্বকের চিকিৎসার মাধ্যমে বেশি উপকার পেতে পারেন। ঠোঁটে এর প্রধান কারণগুলো হলো ধূমপানের কারণে ঠোঁটে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে (যেমন হাত) দাগ পড়তে পারে। নিকোটিন ত্বকে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়, যা ঠোঁটের রঙ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে।
অতিরিক্ত সূর্যের আলোয় দীর্ঘক্ষণ থাকলে হাইপারপিগমেন্টেশন হতে পারে। ম্যালেরিয়া রোধী ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মিনোসাইক্লিন এর প্রভাবে ঠোঁট কালো হতে পারে।
অনেক সময় চিকিৎসাজনিত সমস্যা যেমন অ্যাডিসন'স ডিজিজ এর কারণে ঠোঁট কালো হয়।
গর্ভাবস্থায় অনেকের ঠোঁট কালো হয়।
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
নিম্নলিখিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ঠোঁটকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং সাময়িকভাবে ঠোঁটে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে গোলাপি আভা আনতে পারে:
লিপ স্ক্রাব নিয়মিত হালকা এক্সফোলিয়েশন বা মরা চামড়া অপসারণ করলে ঠোঁটের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব দূর হয়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠোঁট সাময়িকভাবে গোলাপি দেখায়।
ঘরে স্ক্রাব তৈরির পদ্ধতিঃ চিনি বা লবণকে মিষ্টি কাঠবাদাম বা নারকেল তেলের মতো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন।
ব্যবহারের নিয়মঃ
আলতোভাবে শুকনো ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন।
ধুয়ে ফেলে আলতো করে মুছে নিন।
এরপর অবশ্যই একটি লিপ বাম লাগান।
সতর্কতাঃ ঠোঁটের ত্বক সংবেদনশীল, তাই জোরে ঘষবেন না। সপ্তাহে একবার বা দুবারের বেশি স্ক্রাব ব্যবহার করবেন না। মুখ বা শরীরের জন্য তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ সেগুলো ঠোঁটের জন্য বেশি কঠিন হতে পারে।
ঠোঁটের ম্যাসাজ
ম্যাসাজ ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ঠোঁটকে আরও গোলাপি দেখাতে পারে। প্রতিদিন একবার নারকেল তেলের মতো খাদ্য উপযোগী তেল দিয়ে ঠোঁটে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। অথবা রাতে ঘুমের আগে তেলটি ঠোঁটে রেখে দিন, এটি আর্দ্রতারও কাজ করবে।
হলুদ ও নারকেল তেলের মাস্ক
কেউ কেউ হলুদযুক্ত লিপ মাস্ক ব্যবহার করে ঠোঁটের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত হয়েছে বলে দাবি করেন। হলুদে হাইপারপিগমেন্টেশন কমানোর গুণ থাকতে পারে। এই মাস্ক তৈরির জন্য হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে শুকনো করে নিন। তবে হলুদ ঠোঁটের চারপাশের ত্বকে সাময়িকভাবে হলুদ দাগ ফেলতে পারে।
পিপারমিন্ট তেলযুক্ত লিপ বাম
কিছু প্রসাধনী সংস্থা প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি আভা আনার জন্য লিপ বামে পিপারমিন্ট তেল ব্যবহার করে। এই তেলে থাকা মেন্থল রক্তনালিকে প্রসারিত করতে পারে, যার ফলে ঠোঁটে সাময়িকভাবে একটি হালকা লালচে বা গোলাপি আভা আসে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি ফাটা ঠোঁটে মেন্থল বা পিপারমিন্ট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। কারণ এটি জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
শুষ্কতা বা বিবর্ণতা প্রতিরোধের টিপস
ঠোঁটকে সাময়িকভাবে গোলাপি দেখানোর পাশাপাশি, শুষ্কতা, জ্বালা এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত:
প্রতিদিন ঠোঁট এবং ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হাইপারপিগমেন্টেশন এবং রোদে পোড়া রোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। বাইরে গেলে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি এবং টাইটানিয়াম অক্সাইড বা জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন। প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর তা পুনরায় লাগান।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ঠোঁটের কালো হওয়া এবং ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। ঠোঁট আর্দ্র রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
শিয়া বাটার বা পেট্রোলিয়ামের মতো উপাদানযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।
ঠোঁট চাটা, কামড়ানো বা ঠোঁটের চামড়া তোলা এড়িয়ে চলুন। এই অভ্যাসগুলো এড়াতে লিপ বাম ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সূত্রঃ মেডিকেল নিউজ টুডে
ফিচার ডেস্ক

অনেকের কাছে গোলাপি ঠোঁট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন। কিন্তু ফ্যাশন ট্রেন্ড সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। যেমন, এক দশক আগেও যে ধরনের ঠোঁটে জনপ্রিয় ছিল, এখন তা ভিন্ন। এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে গোলাপি ঠোঁট স্বাস্থ্যকর। অনেকেই মনে করেন এই রঙের ঠোঁট অন্য যেকোনো রঙের ঠোঁটের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু মজার বিষয় হল এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ব্যতিক্রম শুধু তখনই ঘটে, যখন স্বাভাবিকভাবে গোলাপি ঠোঁটের রঙ হঠাৎ পাল্টে যায়। স্বাস্থ্যকর ঠোঁটের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ফাটা বা ঘা মুক্ত, আর্দ্র বা হাইড্রেটেড ও মসৃণ।
ঠোঁট কেন কালো হয়?
ত্বকের রঙের মতোই, ঠোঁটের রংও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। যাদের ত্বক তুলনামূলকভাবে গাঢ়, তাদের ঠোঁটও সাধারণত গাঢ় হয়। এটি স্বাভাবিক। মূলত ত্বকে মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থের আধিক্যের কারণে ঘটে। মেলানিনের আধিক্যের ফলে হাইপারপিগমেন্টেশন হয়েও ঠোঁট কালো হতে পারে। হাইপারপিগমেন্টেশন হলো যখন ত্বকের কিছু অংশ পার্শ্ববর্তী এলাকার চেয়ে গাঢ় হয়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে যাদের ঠোঁট গাঢ়, তারা ঘরোয়া উপায়ে সাময়িকভাবে ঠোঁটকে আরও গোলাপি দেখাতে পারেন। তবে হাইপারপিগমেন্টেশনের শিকার ব্যক্তিরা ত্বকের চিকিৎসার মাধ্যমে বেশি উপকার পেতে পারেন। ঠোঁটে এর প্রধান কারণগুলো হলো ধূমপানের কারণে ঠোঁটে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে (যেমন হাত) দাগ পড়তে পারে। নিকোটিন ত্বকে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়, যা ঠোঁটের রঙ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে।
অতিরিক্ত সূর্যের আলোয় দীর্ঘক্ষণ থাকলে হাইপারপিগমেন্টেশন হতে পারে। ম্যালেরিয়া রোধী ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মিনোসাইক্লিন এর প্রভাবে ঠোঁট কালো হতে পারে।
অনেক সময় চিকিৎসাজনিত সমস্যা যেমন অ্যাডিসন'স ডিজিজ এর কারণে ঠোঁট কালো হয়।
গর্ভাবস্থায় অনেকের ঠোঁট কালো হয়।
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
নিম্নলিখিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ঠোঁটকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং সাময়িকভাবে ঠোঁটে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে গোলাপি আভা আনতে পারে:
লিপ স্ক্রাব নিয়মিত হালকা এক্সফোলিয়েশন বা মরা চামড়া অপসারণ করলে ঠোঁটের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব দূর হয়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠোঁট সাময়িকভাবে গোলাপি দেখায়।
ঘরে স্ক্রাব তৈরির পদ্ধতিঃ চিনি বা লবণকে মিষ্টি কাঠবাদাম বা নারকেল তেলের মতো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন।
ব্যবহারের নিয়মঃ
আলতোভাবে শুকনো ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন।
ধুয়ে ফেলে আলতো করে মুছে নিন।
এরপর অবশ্যই একটি লিপ বাম লাগান।
সতর্কতাঃ ঠোঁটের ত্বক সংবেদনশীল, তাই জোরে ঘষবেন না। সপ্তাহে একবার বা দুবারের বেশি স্ক্রাব ব্যবহার করবেন না। মুখ বা শরীরের জন্য তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ সেগুলো ঠোঁটের জন্য বেশি কঠিন হতে পারে।
ঠোঁটের ম্যাসাজ
ম্যাসাজ ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ঠোঁটকে আরও গোলাপি দেখাতে পারে। প্রতিদিন একবার নারকেল তেলের মতো খাদ্য উপযোগী তেল দিয়ে ঠোঁটে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। অথবা রাতে ঘুমের আগে তেলটি ঠোঁটে রেখে দিন, এটি আর্দ্রতারও কাজ করবে।
হলুদ ও নারকেল তেলের মাস্ক
কেউ কেউ হলুদযুক্ত লিপ মাস্ক ব্যবহার করে ঠোঁটের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত হয়েছে বলে দাবি করেন। হলুদে হাইপারপিগমেন্টেশন কমানোর গুণ থাকতে পারে। এই মাস্ক তৈরির জন্য হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে শুকনো করে নিন। তবে হলুদ ঠোঁটের চারপাশের ত্বকে সাময়িকভাবে হলুদ দাগ ফেলতে পারে।
পিপারমিন্ট তেলযুক্ত লিপ বাম
কিছু প্রসাধনী সংস্থা প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি আভা আনার জন্য লিপ বামে পিপারমিন্ট তেল ব্যবহার করে। এই তেলে থাকা মেন্থল রক্তনালিকে প্রসারিত করতে পারে, যার ফলে ঠোঁটে সাময়িকভাবে একটি হালকা লালচে বা গোলাপি আভা আসে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি ফাটা ঠোঁটে মেন্থল বা পিপারমিন্ট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। কারণ এটি জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
শুষ্কতা বা বিবর্ণতা প্রতিরোধের টিপস
ঠোঁটকে সাময়িকভাবে গোলাপি দেখানোর পাশাপাশি, শুষ্কতা, জ্বালা এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত:
প্রতিদিন ঠোঁট এবং ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হাইপারপিগমেন্টেশন এবং রোদে পোড়া রোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। বাইরে গেলে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি এবং টাইটানিয়াম অক্সাইড বা জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন। প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর তা পুনরায় লাগান।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ঠোঁটের কালো হওয়া এবং ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। ঠোঁট আর্দ্র রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
শিয়া বাটার বা পেট্রোলিয়ামের মতো উপাদানযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।
ঠোঁট চাটা, কামড়ানো বা ঠোঁটের চামড়া তোলা এড়িয়ে চলুন। এই অভ্যাসগুলো এড়াতে লিপ বাম ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সূত্রঃ মেডিকেল নিউজ টুডে

অনেকের কাছে গোলাপি ঠোঁট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন। কিন্তু ফ্যাশন ট্রেন্ড সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। যেমন, এক দশক আগেও যে ধরনের ঠোঁটে জনপ্রিয় ছিল, এখন তা ভিন্ন। এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে গোলাপি ঠোঁট স্বাস্থ্যকর। অনেকেই মনে করেন এই রঙের ঠোঁট অন্য যেকোনো রঙের ঠোঁটের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু মজার বিষয় হল এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ব্যতিক্রম শুধু তখনই ঘটে, যখন স্বাভাবিকভাবে গোলাপি ঠোঁটের রঙ হঠাৎ পাল্টে যায়। স্বাস্থ্যকর ঠোঁটের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ফাটা বা ঘা মুক্ত, আর্দ্র বা হাইড্রেটেড ও মসৃণ।
ঠোঁট কেন কালো হয়?
ত্বকের রঙের মতোই, ঠোঁটের রংও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। যাদের ত্বক তুলনামূলকভাবে গাঢ়, তাদের ঠোঁটও সাধারণত গাঢ় হয়। এটি স্বাভাবিক। মূলত ত্বকে মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থের আধিক্যের কারণে ঘটে। মেলানিনের আধিক্যের ফলে হাইপারপিগমেন্টেশন হয়েও ঠোঁট কালো হতে পারে। হাইপারপিগমেন্টেশন হলো যখন ত্বকের কিছু অংশ পার্শ্ববর্তী এলাকার চেয়ে গাঢ় হয়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে যাদের ঠোঁট গাঢ়, তারা ঘরোয়া উপায়ে সাময়িকভাবে ঠোঁটকে আরও গোলাপি দেখাতে পারেন। তবে হাইপারপিগমেন্টেশনের শিকার ব্যক্তিরা ত্বকের চিকিৎসার মাধ্যমে বেশি উপকার পেতে পারেন। ঠোঁটে এর প্রধান কারণগুলো হলো ধূমপানের কারণে ঠোঁটে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে (যেমন হাত) দাগ পড়তে পারে। নিকোটিন ত্বকে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়, যা ঠোঁটের রঙ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে।
অতিরিক্ত সূর্যের আলোয় দীর্ঘক্ষণ থাকলে হাইপারপিগমেন্টেশন হতে পারে। ম্যালেরিয়া রোধী ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মিনোসাইক্লিন এর প্রভাবে ঠোঁট কালো হতে পারে।
অনেক সময় চিকিৎসাজনিত সমস্যা যেমন অ্যাডিসন'স ডিজিজ এর কারণে ঠোঁট কালো হয়।
গর্ভাবস্থায় অনেকের ঠোঁট কালো হয়।
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
নিম্নলিখিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ঠোঁটকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং সাময়িকভাবে ঠোঁটে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে গোলাপি আভা আনতে পারে:
লিপ স্ক্রাব নিয়মিত হালকা এক্সফোলিয়েশন বা মরা চামড়া অপসারণ করলে ঠোঁটের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব দূর হয়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠোঁট সাময়িকভাবে গোলাপি দেখায়।
ঘরে স্ক্রাব তৈরির পদ্ধতিঃ চিনি বা লবণকে মিষ্টি কাঠবাদাম বা নারকেল তেলের মতো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন।
ব্যবহারের নিয়মঃ
আলতোভাবে শুকনো ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন।
ধুয়ে ফেলে আলতো করে মুছে নিন।
এরপর অবশ্যই একটি লিপ বাম লাগান।
সতর্কতাঃ ঠোঁটের ত্বক সংবেদনশীল, তাই জোরে ঘষবেন না। সপ্তাহে একবার বা দুবারের বেশি স্ক্রাব ব্যবহার করবেন না। মুখ বা শরীরের জন্য তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ সেগুলো ঠোঁটের জন্য বেশি কঠিন হতে পারে।
ঠোঁটের ম্যাসাজ
ম্যাসাজ ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ঠোঁটকে আরও গোলাপি দেখাতে পারে। প্রতিদিন একবার নারকেল তেলের মতো খাদ্য উপযোগী তেল দিয়ে ঠোঁটে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। অথবা রাতে ঘুমের আগে তেলটি ঠোঁটে রেখে দিন, এটি আর্দ্রতারও কাজ করবে।
হলুদ ও নারকেল তেলের মাস্ক
কেউ কেউ হলুদযুক্ত লিপ মাস্ক ব্যবহার করে ঠোঁটের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত হয়েছে বলে দাবি করেন। হলুদে হাইপারপিগমেন্টেশন কমানোর গুণ থাকতে পারে। এই মাস্ক তৈরির জন্য হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠোঁটে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে শুকনো করে নিন। তবে হলুদ ঠোঁটের চারপাশের ত্বকে সাময়িকভাবে হলুদ দাগ ফেলতে পারে।
পিপারমিন্ট তেলযুক্ত লিপ বাম
কিছু প্রসাধনী সংস্থা প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি আভা আনার জন্য লিপ বামে পিপারমিন্ট তেল ব্যবহার করে। এই তেলে থাকা মেন্থল রক্তনালিকে প্রসারিত করতে পারে, যার ফলে ঠোঁটে সাময়িকভাবে একটি হালকা লালচে বা গোলাপি আভা আসে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি ফাটা ঠোঁটে মেন্থল বা পিপারমিন্ট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। কারণ এটি জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
শুষ্কতা বা বিবর্ণতা প্রতিরোধের টিপস
ঠোঁটকে সাময়িকভাবে গোলাপি দেখানোর পাশাপাশি, শুষ্কতা, জ্বালা এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত:
প্রতিদিন ঠোঁট এবং ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হাইপারপিগমেন্টেশন এবং রোদে পোড়া রোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। বাইরে গেলে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি এবং টাইটানিয়াম অক্সাইড বা জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন। প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর তা পুনরায় লাগান।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ঠোঁটের কালো হওয়া এবং ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। ঠোঁট আর্দ্র রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
শিয়া বাটার বা পেট্রোলিয়ামের মতো উপাদানযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।
ঠোঁট চাটা, কামড়ানো বা ঠোঁটের চামড়া তোলা এড়িয়ে চলুন। এই অভ্যাসগুলো এড়াতে লিপ বাম ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সূত্রঃ মেডিকেল নিউজ টুডে

বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে কয়েক রকম শীতের সবজি দিয়ে রান্না করা হালকা ঝোলের তরকারি খেতে কার না ভালো লাগে? আপনাদের জন্য শীতের বাহারি সবজি দিয়ে রান্না করা একটি পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
কমলার খোসা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। ফলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এই উপাদানটি শীতের রূপচর্চায় রাখা যেতে পারে। কমলার এই ভরা মৌসুমে খোসা ফেলে না দিয়ে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন ত্বকের কোন সমস্যার জন্য কমলালেবুর খোসা দিয়ে কোন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন।...
৫ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে, বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে
কাশ্মীরি সোয়েটার তৈরি হয় এক বিশেষ জাতের ছাগলের পশম থেকে। মজার তথ্য হলো, নামে ‘কাশ্মীরি’ শব্দটি থাকলেও এই বিশেষ জাতের ছাগলের ৯০ শতাংশ পশম বা লোমের জোগান দেয় মঙ্গোলিয়া ও চীন। কাশ্মীর ছিল এই মূল্যবান পশমের বাণিজ্য ও বুননের প্রাচীন কেন্দ্র। এখানে তৈরি হয়ে এ সোয়েটার ছড়িয়ে পড়ত বিশ্বব্যাপী।...
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে কয়েক রকম শীতের সবজি দিয়ে রান্না করা হালকা ঝোলের তরকারি খেতে কার না ভালো লাগে? আপনাদের জন্য শীতের বাহারি সবজি দিয়ে রান্না করা একটি পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
মুলা ৫০০ গ্রাম, শিম ১০০ গ্রাম, ফুলকপি একটি, আলু একটি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, ৫-৬টি কাঁচা মরিচ ফালি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ।
প্রণালি
সব সবজি কেটে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। পরে কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে অল্প পানি দিয়ে আদা-রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া আর লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবার কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে কষিয়ে নিন। পরিমাণমতো ঝোলের পানি দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন সেদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে রান্না করুন আরও অল্প কিছু সময়। মাখা মাখা ঝোল হলে লবণ দেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে কয়েক রকম শীতের সবজি দিয়ে রান্না করা হালকা ঝোলের তরকারি খেতে কার না ভালো লাগে? আপনাদের জন্য শীতের বাহারি সবজি দিয়ে রান্না করা একটি পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
মুলা ৫০০ গ্রাম, শিম ১০০ গ্রাম, ফুলকপি একটি, আলু একটি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, ৫-৬টি কাঁচা মরিচ ফালি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ।
প্রণালি
সব সবজি কেটে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। পরে কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে অল্প পানি দিয়ে আদা-রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া আর লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবার কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে কষিয়ে নিন। পরিমাণমতো ঝোলের পানি দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন সেদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে রান্না করুন আরও অল্প কিছু সময়। মাখা মাখা ঝোল হলে লবণ দেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

অনেকের কাছে গোলাপি ঠোঁট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন। কিন্তু ফ্যাশন ট্রেন্ড সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। যেমন, এক দশক আগেও যে ধরনের ঠোঁটে জনপ্রিয় ছিল, এখন তা ভিন্ন। এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে গোলাপি ঠোঁট স্বাস্থ্যকর। অনেকেই মনে করেন এই রঙের ঠোঁট অন্য যেকোনো রঙের ঠোঁটের...
১ দিন আগে
কমলার খোসা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। ফলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এই উপাদানটি শীতের রূপচর্চায় রাখা যেতে পারে। কমলার এই ভরা মৌসুমে খোসা ফেলে না দিয়ে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন ত্বকের কোন সমস্যার জন্য কমলালেবুর খোসা দিয়ে কোন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন।...
৫ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে, বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে
কাশ্মীরি সোয়েটার তৈরি হয় এক বিশেষ জাতের ছাগলের পশম থেকে। মজার তথ্য হলো, নামে ‘কাশ্মীরি’ শব্দটি থাকলেও এই বিশেষ জাতের ছাগলের ৯০ শতাংশ পশম বা লোমের জোগান দেয় মঙ্গোলিয়া ও চীন। কাশ্মীর ছিল এই মূল্যবান পশমের বাণিজ্য ও বুননের প্রাচীন কেন্দ্র। এখানে তৈরি হয়ে এ সোয়েটার ছড়িয়ে পড়ত বিশ্বব্যাপী।...
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতে বাজার, ফুটপাতের দোকান ও সুপার শপ ছেয়ে যায় কমলালেবুতে। শীত যত বাড়তে থাকে ঘরে ঘরে ফলের ঝুড়িতে এই ফলের তত বেশি দেখা পাওয়া যায়। এই ঋতুতে মায়েদের একটা কাজ যেন আরও বেড়ে যায়। সকাল বা বিকেলে বাড়ির সবার হাতে একটি করে কমলালেবু ধরিয়ে দেওয়া। যারা খেতে চায় না, তাদের খোসা ছাড়িয়ে খাইয়ে দিতে ভোলেন না তিনি। কমলালেবু নিয়ে মায়েদের কাজ কি এখানেই শেষ? মোটেও না।
এই কমলালেবুর খোসা যত্ন করে রোদে শুকিয়ে তা গুঁড়া করে বয়ামে ভরে রাখেন তাঁরা। এরপর নিজে তো বটেই, বাড়ির মেয়ে-বউদেরও এই গুঁড়া দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক মাখতে দেখা যায়। এখন অবশ্য দেশের স্বনামধন্য লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডগুলো কমলার খোসার গুঁড়া বাজারে এনেছে। তবে তাজা জিনিসের মর্মই তো আলাদা।
কমলার খোসা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। ফলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এই উপাদানটি শীতের রূপচর্চায় রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া এতে ভিটামিন ‘সি’, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে, ব্রণ কমাতে এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে। রূপচর্চায় ব্যবহারের পাশাপাশি এই ঋতুতে নিয়মিত কমলা ও কমলার রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতেও ত্বক ভেতর থেকে পুষ্টি পাবে ও ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে উঠতে পারবে। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভ মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
তাই কমলালেবুর এই ভরা মৌসুমে খোসা ফেলে না দিয়ে আপনিও রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন ত্বকের কোন সমস্যার জন্য কমলালেবুর খোসা দিয়ে কোন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন।
ক্লিনজিং প্যাক
এই ঋতুতে কমবেশি সবার ত্বকেই একটা কালচে ভাব চলে আসে। ত্বকের চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতে কমলার খোসা খুব ভালো কাজ করে। স্ক্র্যাব হিসেবে কমলালেবুর খোসা ত্বকের মৃত কোষকে সরিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। এক টেবিল চামচ টক দই, এক টেবিল চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়া বা বাটার সঙ্গে মিশিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড়ে মেখে নিন। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

জীবাণুনাশক প্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন
যাঁদের মুখে শীতকালেও প্রচুর ব্রণ হয় তাঁরা কমলালেবুর খোসা দিয়ে তৈরি প্যাক ব্যবহারে উপকার পাবেন। কমলালেবুর খোসায় থাকে জীবাণুনাশক, ব্যথানাশক ও ছত্রাকনাশক গুণ। মুখ ব্রণমুক্ত করে তুলতে কমলার খোসার জুড়ি মেলা ভার। একটি আস্ত কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে তাজা কমলার খোসার সঙ্গে মসুর ডাল বেটে মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হবে। ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ।
সানট্যান রিমুভাল প্যাক
ত্বকের রোদে পোড়া দাগ বা রোদে বের হওয়ার পর ত্বকে যে তামাটে ভাব আসে, তা দূর করতে কমলার খোসা দিয়ে তৈরি প্যাক জাদুকরী ভূমিকা পালন করে। ২ টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। মাসে ৩ থেকে ৪ বার এ প্যাক ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। এ ছাড়া ১ টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ হলুদ ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। ১০ মিনিট পর গোলাপজল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন, তবে ব্রণ থাকলে এ প্যাক লাগাবেন না।
স্যানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ তুলতে ও ত্বকের রং উন্নত করতে ২ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কমলার খোসা বাটা নিয়ে দুধ দিয়ে তৈরি ঘন পেস্ট ব্যবহার করুন। এই প্যাক তৈরিতে কোনো পানি ব্যবহার করবেন না। এই প্যাক ত্বকে পুরু করে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে প্যাক তুলে নিন। তারপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এ প্যাক একবার ব্যবহারেই ত্বক অনেকটা উজ্জ্বল দেখাবে। হবে মসৃণও।

শীতে বাজার, ফুটপাতের দোকান ও সুপার শপ ছেয়ে যায় কমলালেবুতে। শীত যত বাড়তে থাকে ঘরে ঘরে ফলের ঝুড়িতে এই ফলের তত বেশি দেখা পাওয়া যায়। এই ঋতুতে মায়েদের একটা কাজ যেন আরও বেড়ে যায়। সকাল বা বিকেলে বাড়ির সবার হাতে একটি করে কমলালেবু ধরিয়ে দেওয়া। যারা খেতে চায় না, তাদের খোসা ছাড়িয়ে খাইয়ে দিতে ভোলেন না তিনি। কমলালেবু নিয়ে মায়েদের কাজ কি এখানেই শেষ? মোটেও না।
এই কমলালেবুর খোসা যত্ন করে রোদে শুকিয়ে তা গুঁড়া করে বয়ামে ভরে রাখেন তাঁরা। এরপর নিজে তো বটেই, বাড়ির মেয়ে-বউদেরও এই গুঁড়া দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক মাখতে দেখা যায়। এখন অবশ্য দেশের স্বনামধন্য লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডগুলো কমলার খোসার গুঁড়া বাজারে এনেছে। তবে তাজা জিনিসের মর্মই তো আলাদা।
কমলার খোসা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। ফলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এই উপাদানটি শীতের রূপচর্চায় রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া এতে ভিটামিন ‘সি’, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে, ব্রণ কমাতে এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে। রূপচর্চায় ব্যবহারের পাশাপাশি এই ঋতুতে নিয়মিত কমলা ও কমলার রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতেও ত্বক ভেতর থেকে পুষ্টি পাবে ও ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে উঠতে পারবে। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভ মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
তাই কমলালেবুর এই ভরা মৌসুমে খোসা ফেলে না দিয়ে আপনিও রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন ত্বকের কোন সমস্যার জন্য কমলালেবুর খোসা দিয়ে কোন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন।
ক্লিনজিং প্যাক
এই ঋতুতে কমবেশি সবার ত্বকেই একটা কালচে ভাব চলে আসে। ত্বকের চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতে কমলার খোসা খুব ভালো কাজ করে। স্ক্র্যাব হিসেবে কমলালেবুর খোসা ত্বকের মৃত কোষকে সরিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। এক টেবিল চামচ টক দই, এক টেবিল চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়া বা বাটার সঙ্গে মিশিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড়ে মেখে নিন। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

জীবাণুনাশক প্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন
যাঁদের মুখে শীতকালেও প্রচুর ব্রণ হয় তাঁরা কমলালেবুর খোসা দিয়ে তৈরি প্যাক ব্যবহারে উপকার পাবেন। কমলালেবুর খোসায় থাকে জীবাণুনাশক, ব্যথানাশক ও ছত্রাকনাশক গুণ। মুখ ব্রণমুক্ত করে তুলতে কমলার খোসার জুড়ি মেলা ভার। একটি আস্ত কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে তাজা কমলার খোসার সঙ্গে মসুর ডাল বেটে মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হবে। ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ।
সানট্যান রিমুভাল প্যাক
ত্বকের রোদে পোড়া দাগ বা রোদে বের হওয়ার পর ত্বকে যে তামাটে ভাব আসে, তা দূর করতে কমলার খোসা দিয়ে তৈরি প্যাক জাদুকরী ভূমিকা পালন করে। ২ টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। মাসে ৩ থেকে ৪ বার এ প্যাক ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। এ ছাড়া ১ টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ হলুদ ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। ১০ মিনিট পর গোলাপজল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন, তবে ব্রণ থাকলে এ প্যাক লাগাবেন না।
স্যানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ তুলতে ও ত্বকের রং উন্নত করতে ২ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কমলার খোসা বাটা নিয়ে দুধ দিয়ে তৈরি ঘন পেস্ট ব্যবহার করুন। এই প্যাক তৈরিতে কোনো পানি ব্যবহার করবেন না। এই প্যাক ত্বকে পুরু করে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে প্যাক তুলে নিন। তারপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এ প্যাক একবার ব্যবহারেই ত্বক অনেকটা উজ্জ্বল দেখাবে। হবে মসৃণও।

অনেকের কাছে গোলাপি ঠোঁট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন। কিন্তু ফ্যাশন ট্রেন্ড সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। যেমন, এক দশক আগেও যে ধরনের ঠোঁটে জনপ্রিয় ছিল, এখন তা ভিন্ন। এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে গোলাপি ঠোঁট স্বাস্থ্যকর। অনেকেই মনে করেন এই রঙের ঠোঁট অন্য যেকোনো রঙের ঠোঁটের...
১ দিন আগে
বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে কয়েক রকম শীতের সবজি দিয়ে রান্না করা হালকা ঝোলের তরকারি খেতে কার না ভালো লাগে? আপনাদের জন্য শীতের বাহারি সবজি দিয়ে রান্না করা একটি পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে, বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে
কাশ্মীরি সোয়েটার তৈরি হয় এক বিশেষ জাতের ছাগলের পশম থেকে। মজার তথ্য হলো, নামে ‘কাশ্মীরি’ শব্দটি থাকলেও এই বিশেষ জাতের ছাগলের ৯০ শতাংশ পশম বা লোমের জোগান দেয় মঙ্গোলিয়া ও চীন। কাশ্মীর ছিল এই মূল্যবান পশমের বাণিজ্য ও বুননের প্রাচীন কেন্দ্র। এখানে তৈরি হয়ে এ সোয়েটার ছড়িয়ে পড়ত বিশ্বব্যাপী।...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে। কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে বস মুগ্ধ হতে পারেন, কিন্তু পাঁচ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন সেই সিদ্ধান্তটা কী ছিল! প্রেমের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে এমন কিছু বলে দেবেন না, যার জন্য কাল ক্ষমা চাইতে হয়। আর হ্যাঁ, আজ যদি রাস্তায় কোনো ভেড়ার দলের মুখোমুখি হন, তবে তাদের সম্মান দেখাবেন—তারা আপনার প্রতীক, আপনার গুরু! জরুরি কাজগুলো শুরু করুন, কিন্তু শেষ করার দায়িত্ব অন্যের ওপর ছেড়ে দিন।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে আজ সামান্য চিন্তিত থাকবেন, কিন্তু সেই চিন্তা ভুলে যাবেন যখন প্রিয় মিষ্টির বাক্সটি চোখে পড়বে। আজ মেজাজ থাকবে শান্ত, স্থির, ঠিক যেন একজন বয়োবৃদ্ধ যোগী—যতক্ষণ না কেউ আপনার প্লেট থেকে শেষ শিঙাড়াটা চুরি করে! প্রেমের সম্পর্ক আজ আরও মজবুত হবে। কারণ, সঙ্গীর সঙ্গে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাওয়ার প্ল্যান করবেন। তবে জিমে ভর্তি হওয়ার চিন্তাটা আজ ভুলেও করবেন না। কারণ, গ্রহরা বলছে, ‘আরাম, আরাম আর আরাম!’
মিথুন
আজ মস্তিষ্কে একসঙ্গে দুটি চ্যানেল চলবে। এক মন বলবে, ‘কাজ করো, জীবন বদলাও!’, আর অন্য মনটি বলবে, ‘দাঁড়াও, নতুন একটা মিম এসেছে, দেখে আসি!’ ফলে সারা দিন ধরে একটি কাজের আশপাশে ঘোরাফেরা করবেন, কিন্তু কাজটা শুরু করবেন না। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে খুব বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলবেন, কিন্তু সেটা কার সঙ্গে বলবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার দুটো দিকই দেখবে—একটি মিষ্টি, আরেকটি...যেটি স্রেফ আপনারই নিজস্ব। একটি টাস্ক লিস্ট বানান। তারপর সেই লিস্টের ওপর আরেকটি লিস্ট বানান, যাতে আপনি কোন লিস্টটি আগে করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়তে পারেন।
কর্কট
আজ মন অতিরিক্ত নরম থাকবে। বাড়িতে কেউ যদি একটু জোরে কথা বলে, তাহলে মনে করবেন, পৃথিবীর সব দুঃখ আপনার কাঁধেই চেপে আছে। পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো আজ বারবার টানবে। ফলে হয়তো ছোটবেলার জামাকাপড় বের করে ট্রাই করতে পারেন। আজকের দিনে প্রধান কাজ হবে ঘর পরিষ্কার করার সময় একটি পুরোনো চিঠি বা ছবি খুঁজে পাওয়া এবং সেটা নিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে একা একা কাঁদা। সন্ধ্যায় মায়ের হাতের রান্না বা প্রিয় মানুষের যত্ন পেলে আপনি স্বস্তি পাবেন। ফোনটা বন্ধ করে রাখুন। নইলে পুরোনো বন্ধুর মেসেজ দেখে আবার আবেগের সাগরে ভেসে যাবেন।
সিংহ
আজ ব্যক্তিত্বে যেন একটা অদৃশ্য স্পটলাইট জ্বলছে। চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক, আপনার কাজের প্রশংসা করুক, আর আপনার প্রতিটি রসিকতায় হেসে উঠুক। কর্মক্ষেত্রে এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের রেড কার্পেটে আছেন। কেউ যদি আপনার সাজ বা চুল নিয়ে মন্তব্য না করে, তাহলে সামান্য বিরক্ত হতে পারেন। আজ কাউকে যদি বলতে শোনেন, ‘বাহ, দারুণ কাজ!’, তাহলে জানবেন তারা আসলে আপনাকেই বলছে, এমনকি যদি তারা পাশের লোকটির দিকে তাকিয়েও থাকে! আজ একটা সেলফি তুলুন এবং সেই ছবিটি দেখে নিজেই নিজের প্রশংসা করুন। মনোযোগের অভাব মিটে যাবে।
কন্যা
আজ পারফেকশনিস্ট স্বভাব চরমে উঠবে। ফাইল, ডেস্ক, এমনকি জুতা রাখার ভঙ্গিও খুঁটিয়ে দেখবেন। যদি বাড়ির মেঝেতে একটি ধুলার কণা খুঁজে পান, তবে সেই কণাটি কোথা থেকে এল, কেন এল, আর তার জীবনচক্র নিয়ে একটি সম্পূর্ণ গবেষণা করে ফেলতে পারেন। এই অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে, কোনো বড় কাজ হয়তো শুরুই হবে না। তবে চিন্তা নেই, ছোটখাটো ভুল খুঁজে বের করার ক্ষমতা আজ আপনাকে সমালোচকের আসনে বসাবে। আজ একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভুলগুলো খুঁজে দেখুন। অবশ্য একটিও পাবেন না!
তুলা
আজ জীবনে ‘ভারসাম্য’ নিয়ে একটি নতুন যুদ্ধ শুরু হবে। সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন না সবুজ? কফি খাবেন না চা? সঙ্গী যদি কোনো বিষয়ে মতামত জানতে চান, তবে এমন উত্তর দেবেন যা দুই দিক থেকেই সঠিক! ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপটা আবার তার ওপরই পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে এতটা নমনীয় হবেন যে সঙ্গী আপনার আসল ইচ্ছা কী, তা বুঝতেই পারবে না। সন্ধ্যায় অনলাইন শপিংয়ে একটি জিনিস কেনার বদলে দুটো কিনে বলবেন, ‘বাজেট এবং শখ—দুটোর মধ্যেই ভারসাম্য রাখলাম!’ আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কয়েন টস করুন। কিন্তু কয়েন টস করার সময়ও দ্বিধায় ভুগতে পারেন!
বৃশ্চিক
আজ চারপাশে একটি গভীর রহস্যময়তা বিরাজ করবে। সামান্য হাসলেও মনে হবে কোনো বিশাল পরিকল্পনা করছেন। সহকর্মীরা বা বন্ধুবান্ধব আপনার নীরবতা দেখে ভয় পাবে এবং ভাববে, ‘কী জানি কী মতলব আঁটছে!’ আপনার সন্দেহপ্রবণ মন আজ তুঙ্গে থাকবে। যদি কেউ বিনা মূল্যে কিছু দিতে চায়, ভাববেন এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর চক্রান্ত আছে। কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আজ প্রবল হবে, তবে প্রতিশোধটা হয়তো হবে—তার পছন্দের গানটা জোর করে চালিয়ে দেওয়া। কাউকে বিশ্বাস করার আগে অন্তত একবার তার ফেসবুক প্রোফাইলটা খুঁটিয়ে দেখুন।
ধনু
মন আজ পাহাড়, জঙ্গল আর সমুদ্রের দিকে ছুটছে। কাজ করার সময় বারবার মনে হবে, ‘উফ! আর কত দিন এই ডেস্কে বসে থাকতে হবে?’ আপনি অফিসের মিটিংয়ে বসেও মানসিকভাবে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপের প্ল্যান করতে পারেন। দার্শনিক মন আজ জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে বের করতে চাইবে। কাউকে যদি কোনো উপদেশ দেন, তবে সেটা এতই গভীর আর দার্শনিক হবে যে উপদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয়তো কিছুই বুঝবেন না। তবে সরলতা আজ আপনাকে একটি হাস্যকর ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আজ কাজের ফাঁকে একবার ট্রাভেল ব্যাগটি গুছিয়ে নিন। কাজ না হলেও মন শান্ত হবে।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে বলছে: ‘কাজ, কাজ এবং শুধু কাজ!’ আজ এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে আপনার হাসি দেখেও মনে হবে আপনি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করছেন। ছুটির দিনেও ভাববেন, কীভাবে আরেকটু বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার এই কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসিত হবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, মাঝেমধ্যে হাসিঠাট্টা করাটা জীবনের ক্রেডিট স্কোর বাড়ায়! যদি আজ কোনো বন্ধু বাইরে খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে ডিসকাউন্টের অ্যাপ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। আজ বিনা কারণে অন্তত একবার জোরে হাসুন। হ্যাঁ, বিনা কারণেই!
কুম্ভ
আজ নিজেকে এই গ্রহের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী মনে করতে পারেন। মাথায় এমন কিছু চিন্তা আসবে, যা বাকি বিশ্বের থেকে কয়েক শ বছর এগিয়ে। আপনি আজ হয়তো আবিষ্কার করবেন, কীভাবে না হেঁটে যাওয়া যায়, কিন্তু আপনি তা কাউকে বোঝাতে পারবেন না। বন্ধু বা সহকর্মীরা যখন কোনো সাধারণ বিষয়ে কথা বলবে, আপনি তখন এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা সবে কিন্ডারগার্টেনের পাঠ শেষ করেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে সবার জন্য ভালো কিছু করতে চাইবেন, কিন্তু মানুষের কাছ থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখবেন। আজ অন্তত একবার কোনো সাধারণ বিষয়ে মন দিন, যেমন আজকের আবহাওয়া নিয়ে একটি সাধারণ আলোচনা করুন, কোনো গভীর দর্শন দেবেন না।
মীন
আজকের দিনটি আপনার জন্য স্বপ্নের মতো। তবে মুশকিল হলো, দিনের বেলাতেও স্বপ্ন দেখবেন। ফলে চারপাশে কী ঘটছে, তা নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত থাকবেন না। অফিসে বস যদি কিছু জিজ্ঞেস করেন, আপনি হয়তো উত্তর দেবেন আপনার গত রাতের দেখা স্বপ্নের কথা! প্রেমের ক্ষেত্রে এতটাই রোমান্টিক হয়ে উঠবেন যে সঙ্গী হয়তো ভাববেন, আপনি কোনো সিনেমা দেখছেন। চাবি, ফোন বা মানিব্যাগ আজ কমপক্ষে একবার হারাবেই। পকেটে একটি চিরকুট রাখুন, যাতে লেখা থাকে: ‘আমি এখন স্বপ্নে নেই, বাস্তবে আছি।’ যখনই বিভ্রান্ত হবেন, একবার পড়ে নেবেন।

মেষ
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে। কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে বস মুগ্ধ হতে পারেন, কিন্তু পাঁচ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন সেই সিদ্ধান্তটা কী ছিল! প্রেমের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে এমন কিছু বলে দেবেন না, যার জন্য কাল ক্ষমা চাইতে হয়। আর হ্যাঁ, আজ যদি রাস্তায় কোনো ভেড়ার দলের মুখোমুখি হন, তবে তাদের সম্মান দেখাবেন—তারা আপনার প্রতীক, আপনার গুরু! জরুরি কাজগুলো শুরু করুন, কিন্তু শেষ করার দায়িত্ব অন্যের ওপর ছেড়ে দিন।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে আজ সামান্য চিন্তিত থাকবেন, কিন্তু সেই চিন্তা ভুলে যাবেন যখন প্রিয় মিষ্টির বাক্সটি চোখে পড়বে। আজ মেজাজ থাকবে শান্ত, স্থির, ঠিক যেন একজন বয়োবৃদ্ধ যোগী—যতক্ষণ না কেউ আপনার প্লেট থেকে শেষ শিঙাড়াটা চুরি করে! প্রেমের সম্পর্ক আজ আরও মজবুত হবে। কারণ, সঙ্গীর সঙ্গে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাওয়ার প্ল্যান করবেন। তবে জিমে ভর্তি হওয়ার চিন্তাটা আজ ভুলেও করবেন না। কারণ, গ্রহরা বলছে, ‘আরাম, আরাম আর আরাম!’
মিথুন
আজ মস্তিষ্কে একসঙ্গে দুটি চ্যানেল চলবে। এক মন বলবে, ‘কাজ করো, জীবন বদলাও!’, আর অন্য মনটি বলবে, ‘দাঁড়াও, নতুন একটা মিম এসেছে, দেখে আসি!’ ফলে সারা দিন ধরে একটি কাজের আশপাশে ঘোরাফেরা করবেন, কিন্তু কাজটা শুরু করবেন না। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে খুব বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলবেন, কিন্তু সেটা কার সঙ্গে বলবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার দুটো দিকই দেখবে—একটি মিষ্টি, আরেকটি...যেটি স্রেফ আপনারই নিজস্ব। একটি টাস্ক লিস্ট বানান। তারপর সেই লিস্টের ওপর আরেকটি লিস্ট বানান, যাতে আপনি কোন লিস্টটি আগে করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়তে পারেন।
কর্কট
আজ মন অতিরিক্ত নরম থাকবে। বাড়িতে কেউ যদি একটু জোরে কথা বলে, তাহলে মনে করবেন, পৃথিবীর সব দুঃখ আপনার কাঁধেই চেপে আছে। পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো আজ বারবার টানবে। ফলে হয়তো ছোটবেলার জামাকাপড় বের করে ট্রাই করতে পারেন। আজকের দিনে প্রধান কাজ হবে ঘর পরিষ্কার করার সময় একটি পুরোনো চিঠি বা ছবি খুঁজে পাওয়া এবং সেটা নিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে একা একা কাঁদা। সন্ধ্যায় মায়ের হাতের রান্না বা প্রিয় মানুষের যত্ন পেলে আপনি স্বস্তি পাবেন। ফোনটা বন্ধ করে রাখুন। নইলে পুরোনো বন্ধুর মেসেজ দেখে আবার আবেগের সাগরে ভেসে যাবেন।
সিংহ
আজ ব্যক্তিত্বে যেন একটা অদৃশ্য স্পটলাইট জ্বলছে। চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক, আপনার কাজের প্রশংসা করুক, আর আপনার প্রতিটি রসিকতায় হেসে উঠুক। কর্মক্ষেত্রে এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের রেড কার্পেটে আছেন। কেউ যদি আপনার সাজ বা চুল নিয়ে মন্তব্য না করে, তাহলে সামান্য বিরক্ত হতে পারেন। আজ কাউকে যদি বলতে শোনেন, ‘বাহ, দারুণ কাজ!’, তাহলে জানবেন তারা আসলে আপনাকেই বলছে, এমনকি যদি তারা পাশের লোকটির দিকে তাকিয়েও থাকে! আজ একটা সেলফি তুলুন এবং সেই ছবিটি দেখে নিজেই নিজের প্রশংসা করুন। মনোযোগের অভাব মিটে যাবে।
কন্যা
আজ পারফেকশনিস্ট স্বভাব চরমে উঠবে। ফাইল, ডেস্ক, এমনকি জুতা রাখার ভঙ্গিও খুঁটিয়ে দেখবেন। যদি বাড়ির মেঝেতে একটি ধুলার কণা খুঁজে পান, তবে সেই কণাটি কোথা থেকে এল, কেন এল, আর তার জীবনচক্র নিয়ে একটি সম্পূর্ণ গবেষণা করে ফেলতে পারেন। এই অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে, কোনো বড় কাজ হয়তো শুরুই হবে না। তবে চিন্তা নেই, ছোটখাটো ভুল খুঁজে বের করার ক্ষমতা আজ আপনাকে সমালোচকের আসনে বসাবে। আজ একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভুলগুলো খুঁজে দেখুন। অবশ্য একটিও পাবেন না!
তুলা
আজ জীবনে ‘ভারসাম্য’ নিয়ে একটি নতুন যুদ্ধ শুরু হবে। সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন না সবুজ? কফি খাবেন না চা? সঙ্গী যদি কোনো বিষয়ে মতামত জানতে চান, তবে এমন উত্তর দেবেন যা দুই দিক থেকেই সঠিক! ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপটা আবার তার ওপরই পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে এতটা নমনীয় হবেন যে সঙ্গী আপনার আসল ইচ্ছা কী, তা বুঝতেই পারবে না। সন্ধ্যায় অনলাইন শপিংয়ে একটি জিনিস কেনার বদলে দুটো কিনে বলবেন, ‘বাজেট এবং শখ—দুটোর মধ্যেই ভারসাম্য রাখলাম!’ আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কয়েন টস করুন। কিন্তু কয়েন টস করার সময়ও দ্বিধায় ভুগতে পারেন!
বৃশ্চিক
আজ চারপাশে একটি গভীর রহস্যময়তা বিরাজ করবে। সামান্য হাসলেও মনে হবে কোনো বিশাল পরিকল্পনা করছেন। সহকর্মীরা বা বন্ধুবান্ধব আপনার নীরবতা দেখে ভয় পাবে এবং ভাববে, ‘কী জানি কী মতলব আঁটছে!’ আপনার সন্দেহপ্রবণ মন আজ তুঙ্গে থাকবে। যদি কেউ বিনা মূল্যে কিছু দিতে চায়, ভাববেন এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর চক্রান্ত আছে। কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আজ প্রবল হবে, তবে প্রতিশোধটা হয়তো হবে—তার পছন্দের গানটা জোর করে চালিয়ে দেওয়া। কাউকে বিশ্বাস করার আগে অন্তত একবার তার ফেসবুক প্রোফাইলটা খুঁটিয়ে দেখুন।
ধনু
মন আজ পাহাড়, জঙ্গল আর সমুদ্রের দিকে ছুটছে। কাজ করার সময় বারবার মনে হবে, ‘উফ! আর কত দিন এই ডেস্কে বসে থাকতে হবে?’ আপনি অফিসের মিটিংয়ে বসেও মানসিকভাবে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপের প্ল্যান করতে পারেন। দার্শনিক মন আজ জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে বের করতে চাইবে। কাউকে যদি কোনো উপদেশ দেন, তবে সেটা এতই গভীর আর দার্শনিক হবে যে উপদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয়তো কিছুই বুঝবেন না। তবে সরলতা আজ আপনাকে একটি হাস্যকর ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আজ কাজের ফাঁকে একবার ট্রাভেল ব্যাগটি গুছিয়ে নিন। কাজ না হলেও মন শান্ত হবে।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে বলছে: ‘কাজ, কাজ এবং শুধু কাজ!’ আজ এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে আপনার হাসি দেখেও মনে হবে আপনি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করছেন। ছুটির দিনেও ভাববেন, কীভাবে আরেকটু বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার এই কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসিত হবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, মাঝেমধ্যে হাসিঠাট্টা করাটা জীবনের ক্রেডিট স্কোর বাড়ায়! যদি আজ কোনো বন্ধু বাইরে খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে ডিসকাউন্টের অ্যাপ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। আজ বিনা কারণে অন্তত একবার জোরে হাসুন। হ্যাঁ, বিনা কারণেই!
কুম্ভ
আজ নিজেকে এই গ্রহের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী মনে করতে পারেন। মাথায় এমন কিছু চিন্তা আসবে, যা বাকি বিশ্বের থেকে কয়েক শ বছর এগিয়ে। আপনি আজ হয়তো আবিষ্কার করবেন, কীভাবে না হেঁটে যাওয়া যায়, কিন্তু আপনি তা কাউকে বোঝাতে পারবেন না। বন্ধু বা সহকর্মীরা যখন কোনো সাধারণ বিষয়ে কথা বলবে, আপনি তখন এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা সবে কিন্ডারগার্টেনের পাঠ শেষ করেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে সবার জন্য ভালো কিছু করতে চাইবেন, কিন্তু মানুষের কাছ থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখবেন। আজ অন্তত একবার কোনো সাধারণ বিষয়ে মন দিন, যেমন আজকের আবহাওয়া নিয়ে একটি সাধারণ আলোচনা করুন, কোনো গভীর দর্শন দেবেন না।
মীন
আজকের দিনটি আপনার জন্য স্বপ্নের মতো। তবে মুশকিল হলো, দিনের বেলাতেও স্বপ্ন দেখবেন। ফলে চারপাশে কী ঘটছে, তা নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত থাকবেন না। অফিসে বস যদি কিছু জিজ্ঞেস করেন, আপনি হয়তো উত্তর দেবেন আপনার গত রাতের দেখা স্বপ্নের কথা! প্রেমের ক্ষেত্রে এতটাই রোমান্টিক হয়ে উঠবেন যে সঙ্গী হয়তো ভাববেন, আপনি কোনো সিনেমা দেখছেন। চাবি, ফোন বা মানিব্যাগ আজ কমপক্ষে একবার হারাবেই। পকেটে একটি চিরকুট রাখুন, যাতে লেখা থাকে: ‘আমি এখন স্বপ্নে নেই, বাস্তবে আছি।’ যখনই বিভ্রান্ত হবেন, একবার পড়ে নেবেন।

অনেকের কাছে গোলাপি ঠোঁট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন। কিন্তু ফ্যাশন ট্রেন্ড সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। যেমন, এক দশক আগেও যে ধরনের ঠোঁটে জনপ্রিয় ছিল, এখন তা ভিন্ন। এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে গোলাপি ঠোঁট স্বাস্থ্যকর। অনেকেই মনে করেন এই রঙের ঠোঁট অন্য যেকোনো রঙের ঠোঁটের...
১ দিন আগে
বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে কয়েক রকম শীতের সবজি দিয়ে রান্না করা হালকা ঝোলের তরকারি খেতে কার না ভালো লাগে? আপনাদের জন্য শীতের বাহারি সবজি দিয়ে রান্না করা একটি পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
কমলার খোসা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। ফলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এই উপাদানটি শীতের রূপচর্চায় রাখা যেতে পারে। কমলার এই ভরা মৌসুমে খোসা ফেলে না দিয়ে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন ত্বকের কোন সমস্যার জন্য কমলালেবুর খোসা দিয়ে কোন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন।...
৫ ঘণ্টা আগে
কাশ্মীরি সোয়েটার তৈরি হয় এক বিশেষ জাতের ছাগলের পশম থেকে। মজার তথ্য হলো, নামে ‘কাশ্মীরি’ শব্দটি থাকলেও এই বিশেষ জাতের ছাগলের ৯০ শতাংশ পশম বা লোমের জোগান দেয় মঙ্গোলিয়া ও চীন। কাশ্মীর ছিল এই মূল্যবান পশমের বাণিজ্য ও বুননের প্রাচীন কেন্দ্র। এখানে তৈরি হয়ে এ সোয়েটার ছড়িয়ে পড়ত বিশ্বব্যাপী।...
৭ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের মা-খালাদের কাছে কাশ্মীরি সোয়েটার ভীষণ আরাধ্য। বছরের পর বছর ধরে যত্নে আলমারিতে তুলে রাখা এই কাশ্মীরি সোয়েটার আসলে কী? এই সোয়েটার তৈরি হয় এক বিশেষ জাতের ছাগলের পশম থেকে। মজার তথ্য হলো, নামে ‘কাশ্মীরি’ শব্দটি থাকলেও এই বিশেষ জাতের ছাগলের ৯০ শতাংশ পশম বা লোমের জোগান দেয় মঙ্গোলিয়া ও চীন। কাশ্মীর ছিল এই মূল্যবান পশমের বাণিজ্য ও বুননের প্রাচীন কেন্দ্র। এখানে তৈরি হয়ে এ সোয়েটার ছড়িয়ে পড়ত বিশ্বব্যাপী।
কাশ্মীরি সোয়েটার সাধারণ উলের সোয়েটারের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ, হালকা, নরম ও আরামদায়ক। এটি একটি বিলাসবহুল পোশাক হিসেবে সুপরিচিত। এটি এমন একটি ফ্যাশন পণ্য যা ভালোভাবে যত্ন নিলে সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত সুন্দরভাবে টিকে যায়।
কেন এত মূল্যবান
কাশ্মীরি সোয়েটার এত দামি হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। কাশ্মীরি সোয়েটার বুনতে যে পশম ব্যবহার করা হয় তা আসে সূক্ষ্ম-লোমযুক্ত ক্যাপ্রা হাইরকাস নামে এক প্রজাতির ছাগল থেকে। এ প্রজাতির ছাগলের সংখ্যা যে খুব বেশি আছে, তা নয়। ফলে পশম উৎপাদনের পরিমাণও কম। তা ছাড়া এই ছাগলগুলো থেকে পশম সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিও বেশ জটিল। এই প্রক্রিয়ায় পশম সংগ্রহ করতে অনেক সময় লাগে।
কাশ্মীরি সোয়েটার বুননের প্রক্রিয়াটিও সময় সাপেক্ষ। এসব কারণেই কাশ্মীরি সোয়েটার মূল্যবান হয়ে ওঠে।
জনপ্রিয় কাশ্মীরি শীতের পোশাক
ওভারসাইজড পুলওভার থেকে শুরু করে ক্রপড কার্ডিগান পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কাশ্মীরি সোয়েটার ও শীতের পোশাক পাওয়া যায়। জিনস থেকে শুরু করে স্কার্ট বা কামিজ—যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই এ ধরনের সোয়েটার মানিয়ে যায়।
যেমন কাশ্মীরি সোয়েটার পরতে পারেন

কাশ্মীরি ভি-নেক সোয়েটার
কিছুটা কম দামে নরম ও টেকসই কাশ্মীরি সোয়েটার চাইলে এটিই হবে আপনার জন্য সেরা পছন্দ। এটি গ্রেডের উল দিয়ে তৈরি। এটি সহজে ফেঁসে যায় না এবং প্রাকৃতিকভাবেই টেকসই।
টাকারনাক কাশ্মীরি রাইলি কার্ডিগান
প্রত্যেক নারীর শীতের ওয়ার্ডরোবে একটি ভালো ফিটেড কার্ডিগান থাকা দরকার। সেটি যদি টাকারনাক রাইলি কার্ডিগান হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এটি শতভাগ কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি এবং খুবই নরম ও আরামদায়ক। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে এই কার্ডিগান খুব সহজে মানিয়ে যায়।
আর্টজিয়া কাশ্মীরি রিল্যাক্সড বোট-নেক সোয়েটার
এই সোয়েটার পরলে মনে হবে যেন আপনি নিজেকে কম্বলে জড়িয়ে রেখেছেন। জার্সির সেলাই দিয়ে তৈরি হওয়ায় এ সোয়েটারের টেক্সচার খুবই মসৃণ এবং গায়ে কোনো রকম চুলকানি হয় না। এটি নরম কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি, ফলে আরামদায়ক। এর বোট-নেক ডিজাইন ও রিল্যাক্সড ফিটের কারণে এটি পরলে দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগে।
ক্রু-নেক সোয়েটার
এই ওভারসাইজড কাশ্মীরি সোয়েটার কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি হওয়ায় খুবই হালকা ও আরামদায়ক। হালকা শীত শীত আবহাওয়ার জন্য এটি আদর্শ।

লিলি সিল্ক ভি-নেক হুডি
এটি ৭০ শতাংশ মেরিনা উল ও ৩০ শতাংশ কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি। এর ভি-নেক ও রিবড ডিজাইন ক্যাজুয়াল কিন্তু মার্জিত একটা লুক দেয়। এর আরেকটি বিশেষত্ব হলো, চাইলেই এর হুডটি খুলে ফেলে এটিকে একটি ওভারসাইজড কাশ্মীরি সোয়েটারে রূপান্তরিত করা যায়।
কাশ্মীরি সোয়েটার কেনার আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
উপাদান
দাম বেশি হলেও চেষ্টা করুন আসল কাশ্মীরি সোয়েটার কেনার। বেশি স্থায়িত্বের জন্য উল বা অন্য কোনো উপাদানের সঙ্গে মিশ্রিত কাশ্মীরি সোয়েটারও কিনতে পারেন।

গ্রেড
কাশ্মীরি সোয়েটারকে এ, বি, সি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এ-গ্রেড হলো সবচেয়ে ভালো মানের, যা সবচেয়ে সূক্ষ্ম, লম্বা, নরম ও টেকসই কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি।
প্লাই
সিঙ্গেল প্লাই সুতা দিয়ে তৈরি কাশ্মীরি সোয়েটারের চেয়ে টু-প্লাই সুতা দিয়ে তৈরি সোয়েটার বেশি নরম, আরামদায়ক, উষ্ণ ও টেকসই হয়। তাই টু-প্লাই দেখে কিনুন।
জেনে রাখা ভালো
সঠিকভাবে ব্যবহার করলে একটি কাশ্মীরি সোয়েটার আপনার বহু বছরের সঙ্গী হতে পারে। তাই মৃদু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে এসব সোয়েটার হাতে ধুয়ে না ঝুলিয়ে সমান জায়গায় মেলে শুকাতে দিন। কখনোই কাশ্মীরি সোয়েটার ড্রাই-ওয়াশ করতে দেবেন না।
সূত্র ও ছবি: বার্ডি

আমাদের মা-খালাদের কাছে কাশ্মীরি সোয়েটার ভীষণ আরাধ্য। বছরের পর বছর ধরে যত্নে আলমারিতে তুলে রাখা এই কাশ্মীরি সোয়েটার আসলে কী? এই সোয়েটার তৈরি হয় এক বিশেষ জাতের ছাগলের পশম থেকে। মজার তথ্য হলো, নামে ‘কাশ্মীরি’ শব্দটি থাকলেও এই বিশেষ জাতের ছাগলের ৯০ শতাংশ পশম বা লোমের জোগান দেয় মঙ্গোলিয়া ও চীন। কাশ্মীর ছিল এই মূল্যবান পশমের বাণিজ্য ও বুননের প্রাচীন কেন্দ্র। এখানে তৈরি হয়ে এ সোয়েটার ছড়িয়ে পড়ত বিশ্বব্যাপী।
কাশ্মীরি সোয়েটার সাধারণ উলের সোয়েটারের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ, হালকা, নরম ও আরামদায়ক। এটি একটি বিলাসবহুল পোশাক হিসেবে সুপরিচিত। এটি এমন একটি ফ্যাশন পণ্য যা ভালোভাবে যত্ন নিলে সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত সুন্দরভাবে টিকে যায়।
কেন এত মূল্যবান
কাশ্মীরি সোয়েটার এত দামি হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। কাশ্মীরি সোয়েটার বুনতে যে পশম ব্যবহার করা হয় তা আসে সূক্ষ্ম-লোমযুক্ত ক্যাপ্রা হাইরকাস নামে এক প্রজাতির ছাগল থেকে। এ প্রজাতির ছাগলের সংখ্যা যে খুব বেশি আছে, তা নয়। ফলে পশম উৎপাদনের পরিমাণও কম। তা ছাড়া এই ছাগলগুলো থেকে পশম সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিও বেশ জটিল। এই প্রক্রিয়ায় পশম সংগ্রহ করতে অনেক সময় লাগে।
কাশ্মীরি সোয়েটার বুননের প্রক্রিয়াটিও সময় সাপেক্ষ। এসব কারণেই কাশ্মীরি সোয়েটার মূল্যবান হয়ে ওঠে।
জনপ্রিয় কাশ্মীরি শীতের পোশাক
ওভারসাইজড পুলওভার থেকে শুরু করে ক্রপড কার্ডিগান পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কাশ্মীরি সোয়েটার ও শীতের পোশাক পাওয়া যায়। জিনস থেকে শুরু করে স্কার্ট বা কামিজ—যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই এ ধরনের সোয়েটার মানিয়ে যায়।
যেমন কাশ্মীরি সোয়েটার পরতে পারেন

কাশ্মীরি ভি-নেক সোয়েটার
কিছুটা কম দামে নরম ও টেকসই কাশ্মীরি সোয়েটার চাইলে এটিই হবে আপনার জন্য সেরা পছন্দ। এটি গ্রেডের উল দিয়ে তৈরি। এটি সহজে ফেঁসে যায় না এবং প্রাকৃতিকভাবেই টেকসই।
টাকারনাক কাশ্মীরি রাইলি কার্ডিগান
প্রত্যেক নারীর শীতের ওয়ার্ডরোবে একটি ভালো ফিটেড কার্ডিগান থাকা দরকার। সেটি যদি টাকারনাক রাইলি কার্ডিগান হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এটি শতভাগ কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি এবং খুবই নরম ও আরামদায়ক। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে এই কার্ডিগান খুব সহজে মানিয়ে যায়।
আর্টজিয়া কাশ্মীরি রিল্যাক্সড বোট-নেক সোয়েটার
এই সোয়েটার পরলে মনে হবে যেন আপনি নিজেকে কম্বলে জড়িয়ে রেখেছেন। জার্সির সেলাই দিয়ে তৈরি হওয়ায় এ সোয়েটারের টেক্সচার খুবই মসৃণ এবং গায়ে কোনো রকম চুলকানি হয় না। এটি নরম কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি, ফলে আরামদায়ক। এর বোট-নেক ডিজাইন ও রিল্যাক্সড ফিটের কারণে এটি পরলে দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগে।
ক্রু-নেক সোয়েটার
এই ওভারসাইজড কাশ্মীরি সোয়েটার কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি হওয়ায় খুবই হালকা ও আরামদায়ক। হালকা শীত শীত আবহাওয়ার জন্য এটি আদর্শ।

লিলি সিল্ক ভি-নেক হুডি
এটি ৭০ শতাংশ মেরিনা উল ও ৩০ শতাংশ কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি। এর ভি-নেক ও রিবড ডিজাইন ক্যাজুয়াল কিন্তু মার্জিত একটা লুক দেয়। এর আরেকটি বিশেষত্ব হলো, চাইলেই এর হুডটি খুলে ফেলে এটিকে একটি ওভারসাইজড কাশ্মীরি সোয়েটারে রূপান্তরিত করা যায়।
কাশ্মীরি সোয়েটার কেনার আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
উপাদান
দাম বেশি হলেও চেষ্টা করুন আসল কাশ্মীরি সোয়েটার কেনার। বেশি স্থায়িত্বের জন্য উল বা অন্য কোনো উপাদানের সঙ্গে মিশ্রিত কাশ্মীরি সোয়েটারও কিনতে পারেন।

গ্রেড
কাশ্মীরি সোয়েটারকে এ, বি, সি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এ-গ্রেড হলো সবচেয়ে ভালো মানের, যা সবচেয়ে সূক্ষ্ম, লম্বা, নরম ও টেকসই কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি।
প্লাই
সিঙ্গেল প্লাই সুতা দিয়ে তৈরি কাশ্মীরি সোয়েটারের চেয়ে টু-প্লাই সুতা দিয়ে তৈরি সোয়েটার বেশি নরম, আরামদায়ক, উষ্ণ ও টেকসই হয়। তাই টু-প্লাই দেখে কিনুন।
জেনে রাখা ভালো
সঠিকভাবে ব্যবহার করলে একটি কাশ্মীরি সোয়েটার আপনার বহু বছরের সঙ্গী হতে পারে। তাই মৃদু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে এসব সোয়েটার হাতে ধুয়ে না ঝুলিয়ে সমান জায়গায় মেলে শুকাতে দিন। কখনোই কাশ্মীরি সোয়েটার ড্রাই-ওয়াশ করতে দেবেন না।
সূত্র ও ছবি: বার্ডি

অনেকের কাছে গোলাপি ঠোঁট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সুস্বাস্থ্যের চিহ্ন। কিন্তু ফ্যাশন ট্রেন্ড সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। যেমন, এক দশক আগেও যে ধরনের ঠোঁটে জনপ্রিয় ছিল, এখন তা ভিন্ন। এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে গোলাপি ঠোঁট স্বাস্থ্যকর। অনেকেই মনে করেন এই রঙের ঠোঁট অন্য যেকোনো রঙের ঠোঁটের...
১ দিন আগে
বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে কয়েক রকম শীতের সবজি দিয়ে রান্না করা হালকা ঝোলের তরকারি খেতে কার না ভালো লাগে? আপনাদের জন্য শীতের বাহারি সবজি দিয়ে রান্না করা একটি পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
কমলার খোসা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। ফলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এই উপাদানটি শীতের রূপচর্চায় রাখা যেতে পারে। কমলার এই ভরা মৌসুমে খোসা ফেলে না দিয়ে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন ত্বকের কোন সমস্যার জন্য কমলালেবুর খোসা দিয়ে কোন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন।...
৫ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য তেজ দেখা যাবে, ঠিক যেন সকালে খাওয়া মরিচের চপটা হঠাৎ কাজ করতে শুরু করেছে। আপনি আজ যেকোনো যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত, সেটা হোক না কেন টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে, বা ফ্রিজে কার খাবার রাখা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে