অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

যে বয়সে শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস-জীবনে প্রবেশ করে, সেই বয়সের দারুণ এক ছবি আঁকা আছে এ গানে। ক্যাম্পাস মানে ছক কাটা চেনা জীবন ও গণ্ডির বাইরে অদেখা-অচেনা এক নতুন জগৎ। ফলে এ জীবনে খানিক হোঁচট খাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কথায় বলে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে নাকি রক্ষা করা কঠিন। কাজেই ক্যাম্পাস-জীবনের স্বাধীনতার পাশাপাশি চোরাবালিও রয়েছে। আর সেখানে আছে বিপজ্জনক বন্ধুর প্রভাব। বন্ধুর আচরণ মানুষের নিজের আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে।
নেতিবাচকতার অনুসরণ ও অনুকরণ
দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর আচরণ, যেমন বিভিন্ন মাদকের অপব্যবহার, দল বেঁধে জাঙ্ক ফুড খাওয়া ইত্যাদির ব্যাপক অনুকরণ হয়। ১৯৪০ সালে হৃদ্রোগ নিয়ে এক গবেষণায় দেখা যায়, এক ব্যক্তির স্থূল হয়ে ওঠার আশঙ্কা ৫৮ শতাংশ বেশি হয়, যদি তার বন্ধু মহলে কেউ স্থূল হয়ে ওঠেন। ফলে বিপজ্জনক প্রবণতার অনুসরণ একধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে জীবনে।
তা যে শুধু আচরণগত বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা-ই নয়, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও তৈরি করে। বর্তমানে অসংক্রামক ব্যাধি, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃৎপিণ্ডের অসুখ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের অসুখ ইত্যাদি সাংঘাতিকভাবে বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে এটা ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ। ফলে নিয়মিত দৈহিক ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখন। বন্ধুরা কি বসে বসে আড্ডাই দিচ্ছে, নাকি এই দৈহিক পরিশ্রমকে স্বাগত জানাচ্ছে—সেই ভাবনা এখন খুব জরুরি। দীর্ঘ সময় বসে থাকলে স্থূলতার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত চর্বি শরীরে, বিশেষ করে কোমরের চারপাশে জমে, যা অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল বাড়ায়। সিটিং ডিজিজ এখন একটি নীরব মহামারি। এগুলো থেকে সচেতন থাকতে হবে।
বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক আমাদের মেজাজকেও নিয়ন্ত্রণ করে। ক্যাম্পাস-জীবনে ধূমপান মহামারি আকার ধারণ করার সেটাও একটা কারণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব
এ সময় মন খারাপের ঘটনা কিন্তু অদৃশ্যভাবে চলতে থাকে। এই আবেগীয় সংক্রমণটি এখন আর মুখোমুখি সীমাবদ্ধ নেই বন্ধুদের মধ্যে। এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রভাব ফেলে। সাত লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওপর সম্প্রতি এক গবেষণা হয়। সেখানে ব্যবহারকারীর নিউজফিড বিশেষভাবে ফিল্টার করা হয়। একটিতে ব্যবহারকারীদের নিউজফিডে ইতিবাচক পোস্ট কমিয়ে দেওয়া হয়, অন্যটিতে নেতিবাচক পোস্ট কমিয়ে দেওয়া হয়। দেখা গেছে, যাঁরা ইতিবাচক পোস্ট পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরাও ইতিবাচক পোস্ট দিচ্ছেন। ঠিক নেতিবাচক পোস্ট যাঁরা বেশি দেখেছেন, তাঁরা নেতিবাচক লিখছেন বেশি। ফলে এখন গবেষণায় বলা হচ্ছে, সামনাসামনি দেখা না হলেও মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর দ্বারাও আবেগীয়ভাবে সংক্রামিত হচ্ছে।
এ পর্ব মা-বাবার কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত। ফলে তাঁরা সন্তানদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন না। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া সন্তান এবং মা-বাবার মধ্যে মানসিক দূরত্ব বাড়ছে। এই দূরত্বের চাহিদা মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়াটি আরও বেশি ঝুঁকে পড়ছেন বন্ধুদের ওপর। বন্ধুরা ইতিবাচক হলে তার প্রভাব ভালো হচ্ছে। নেতিবাচক হলে তার প্রভাব হচ্ছে ভয়াবহ। মা-বাবার সঙ্গে এই দূরত্ব কমাতে এগিয়ে আসতে হবে উভয় পক্ষকেই।
মানবিক সম্পর্ক ও আত্মহত্যার প্রবণতা
বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন মানুষের মানবিক সম্পর্ক এবং এর জটিলতাকে নতুন মোড়ে এনে দাঁড় করায়। চলে আসে প্রেম, ব্রেকআপ ইত্যাদি। ইদানীং প্রেমের এই সম্পর্কের ধরন বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। তার ওপর সহজলভ্য ইন্টারনেট বর্তমান কসমোপলিটন কালচারকে স্মার্টনেসের প্রতীক বিবেচনা করে। ফলে গর্ভপাতসহ বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। 
ইদানীং অধিকাংশ পরিবার নিউক্লিয়ার বা একক পরিবার। এসব পরিবারের সন্তানেরা ছোটবেলা থেকেই আলাদা রুম, অন্তত আলাদা বিছানা পেয়ে এসেছে। ফলে আশা করে, সবকিছুই মা-বাবা তাদের মুখের সামনে গুছিয়ে দেবেন। এই সন্তানেরা যখন ঘরের বাইরে কোনো না কোনো ক্যাম্পাসে চলে যাচ্ছেন, তখন সবকিছু আশানুরূপ না হওয়ায় খুব সহজে হতাশা বা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা জানেন না কীভাবে হতাশা আর বিষণ্নতাকে সামাল দেওয়া যায়। উপরন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্টুডেন্ট কাউন্সেলরও নেই, যিনি আবেগের ব্যাপারটি বুঝতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবেন। কাজেই এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুবই প্রয়োজন। গবেষণা উপাত্তে পাওয়া গেছে, বাংলাদেশে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিষণ্নতায় ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে নারী অধিকাংশ এবং প্রথম বর্ষের ছাত্ররা বেশি।
এর সঙ্গে যে জিনিসটি না বললেই নয়, সেটি আত্মহত্যার প্রবণতা। আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছেন এমন প্রবণতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। সব থেকে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, যিনি আত্মহত্যা করছেন, তিনি নিজেও কিন্তু মুহূর্তের চিন্তায় তা করছেন। তাঁর পাশের বন্ধুটিও কিন্তু জানছেন না যে তাঁর মাথায় কী চলছে।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই, মন বাড়িয়ে ছুঁই 
এই প্রবণতা আমাদের কমে গেছে। কিন্তু জীবনের শুরুতে মানবিক হতে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। কোনো বন্ধু যদি হঠাৎ করে চুপ হয়ে যায়, মন খারাপের কথা বলে, ফেসবুকে নেতিবাচক স্ট্যাটাস দেন, তবে তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে যেতে বলা বা নিয়ে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। এই চিন্তাগুলো শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢোকানো এখন খুবই প্রয়োজন। একটা মানুষ কখনোই আত্মহত্যা করতে চায় না। যখন সে আর কিছুতেই বর্তমানের যন্ত্রণাকে নিতে পারে না, তখন নিরুপায় হয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এই সময়টুকু যদি পাশের বন্ধুটি তার হাত ধরে, মানুষটিকে কিন্তু ফিরে পাওয়া সম্ভব।
ক্যাম্পাস এক দারুণ জায়গা, জীবনের দারুণ সময়। এ সময় ও জায়গাটিকে উপভোগ করতে হবে বুঝে-শুনে, সতর্কতার সঙ্গে। নেতিবাচক অনুকরণ নয়; বরং সৃষ্টিশীলতার পুরোটা ঢেলে সাজাতে হবে এ সময়। তাতেই উপভোগ্য হয়ে উঠবে সবকিছু।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার

যে বয়সে শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস-জীবনে প্রবেশ করে, সেই বয়সের দারুণ এক ছবি আঁকা আছে এ গানে। ক্যাম্পাস মানে ছক কাটা চেনা জীবন ও গণ্ডির বাইরে অদেখা-অচেনা এক নতুন জগৎ। ফলে এ জীবনে খানিক হোঁচট খাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কথায় বলে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে নাকি রক্ষা করা কঠিন। কাজেই ক্যাম্পাস-জীবনের স্বাধীনতার পাশাপাশি চোরাবালিও রয়েছে। আর সেখানে আছে বিপজ্জনক বন্ধুর প্রভাব। বন্ধুর আচরণ মানুষের নিজের আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে।
নেতিবাচকতার অনুসরণ ও অনুকরণ
দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর আচরণ, যেমন বিভিন্ন মাদকের অপব্যবহার, দল বেঁধে জাঙ্ক ফুড খাওয়া ইত্যাদির ব্যাপক অনুকরণ হয়। ১৯৪০ সালে হৃদ্রোগ নিয়ে এক গবেষণায় দেখা যায়, এক ব্যক্তির স্থূল হয়ে ওঠার আশঙ্কা ৫৮ শতাংশ বেশি হয়, যদি তার বন্ধু মহলে কেউ স্থূল হয়ে ওঠেন। ফলে বিপজ্জনক প্রবণতার অনুসরণ একধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে জীবনে।
তা যে শুধু আচরণগত বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা-ই নয়, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও তৈরি করে। বর্তমানে অসংক্রামক ব্যাধি, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃৎপিণ্ডের অসুখ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের অসুখ ইত্যাদি সাংঘাতিকভাবে বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে এটা ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ। ফলে নিয়মিত দৈহিক ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখন। বন্ধুরা কি বসে বসে আড্ডাই দিচ্ছে, নাকি এই দৈহিক পরিশ্রমকে স্বাগত জানাচ্ছে—সেই ভাবনা এখন খুব জরুরি। দীর্ঘ সময় বসে থাকলে স্থূলতার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত চর্বি শরীরে, বিশেষ করে কোমরের চারপাশে জমে, যা অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল বাড়ায়। সিটিং ডিজিজ এখন একটি নীরব মহামারি। এগুলো থেকে সচেতন থাকতে হবে।
বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক আমাদের মেজাজকেও নিয়ন্ত্রণ করে। ক্যাম্পাস-জীবনে ধূমপান মহামারি আকার ধারণ করার সেটাও একটা কারণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব
এ সময় মন খারাপের ঘটনা কিন্তু অদৃশ্যভাবে চলতে থাকে। এই আবেগীয় সংক্রমণটি এখন আর মুখোমুখি সীমাবদ্ধ নেই বন্ধুদের মধ্যে। এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রভাব ফেলে। সাত লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওপর সম্প্রতি এক গবেষণা হয়। সেখানে ব্যবহারকারীর নিউজফিড বিশেষভাবে ফিল্টার করা হয়। একটিতে ব্যবহারকারীদের নিউজফিডে ইতিবাচক পোস্ট কমিয়ে দেওয়া হয়, অন্যটিতে নেতিবাচক পোস্ট কমিয়ে দেওয়া হয়। দেখা গেছে, যাঁরা ইতিবাচক পোস্ট পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরাও ইতিবাচক পোস্ট দিচ্ছেন। ঠিক নেতিবাচক পোস্ট যাঁরা বেশি দেখেছেন, তাঁরা নেতিবাচক লিখছেন বেশি। ফলে এখন গবেষণায় বলা হচ্ছে, সামনাসামনি দেখা না হলেও মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর দ্বারাও আবেগীয়ভাবে সংক্রামিত হচ্ছে।
এ পর্ব মা-বাবার কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত। ফলে তাঁরা সন্তানদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন না। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া সন্তান এবং মা-বাবার মধ্যে মানসিক দূরত্ব বাড়ছে। এই দূরত্বের চাহিদা মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়াটি আরও বেশি ঝুঁকে পড়ছেন বন্ধুদের ওপর। বন্ধুরা ইতিবাচক হলে তার প্রভাব ভালো হচ্ছে। নেতিবাচক হলে তার প্রভাব হচ্ছে ভয়াবহ। মা-বাবার সঙ্গে এই দূরত্ব কমাতে এগিয়ে আসতে হবে উভয় পক্ষকেই।
মানবিক সম্পর্ক ও আত্মহত্যার প্রবণতা
বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন মানুষের মানবিক সম্পর্ক এবং এর জটিলতাকে নতুন মোড়ে এনে দাঁড় করায়। চলে আসে প্রেম, ব্রেকআপ ইত্যাদি। ইদানীং প্রেমের এই সম্পর্কের ধরন বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। তার ওপর সহজলভ্য ইন্টারনেট বর্তমান কসমোপলিটন কালচারকে স্মার্টনেসের প্রতীক বিবেচনা করে। ফলে গর্ভপাতসহ বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। 
ইদানীং অধিকাংশ পরিবার নিউক্লিয়ার বা একক পরিবার। এসব পরিবারের সন্তানেরা ছোটবেলা থেকেই আলাদা রুম, অন্তত আলাদা বিছানা পেয়ে এসেছে। ফলে আশা করে, সবকিছুই মা-বাবা তাদের মুখের সামনে গুছিয়ে দেবেন। এই সন্তানেরা যখন ঘরের বাইরে কোনো না কোনো ক্যাম্পাসে চলে যাচ্ছেন, তখন সবকিছু আশানুরূপ না হওয়ায় খুব সহজে হতাশা বা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা জানেন না কীভাবে হতাশা আর বিষণ্নতাকে সামাল দেওয়া যায়। উপরন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্টুডেন্ট কাউন্সেলরও নেই, যিনি আবেগের ব্যাপারটি বুঝতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবেন। কাজেই এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুবই প্রয়োজন। গবেষণা উপাত্তে পাওয়া গেছে, বাংলাদেশে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিষণ্নতায় ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে নারী অধিকাংশ এবং প্রথম বর্ষের ছাত্ররা বেশি।
এর সঙ্গে যে জিনিসটি না বললেই নয়, সেটি আত্মহত্যার প্রবণতা। আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছেন এমন প্রবণতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। সব থেকে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, যিনি আত্মহত্যা করছেন, তিনি নিজেও কিন্তু মুহূর্তের চিন্তায় তা করছেন। তাঁর পাশের বন্ধুটিও কিন্তু জানছেন না যে তাঁর মাথায় কী চলছে।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই, মন বাড়িয়ে ছুঁই 
এই প্রবণতা আমাদের কমে গেছে। কিন্তু জীবনের শুরুতে মানবিক হতে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। কোনো বন্ধু যদি হঠাৎ করে চুপ হয়ে যায়, মন খারাপের কথা বলে, ফেসবুকে নেতিবাচক স্ট্যাটাস দেন, তবে তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে যেতে বলা বা নিয়ে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। এই চিন্তাগুলো শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢোকানো এখন খুবই প্রয়োজন। একটা মানুষ কখনোই আত্মহত্যা করতে চায় না। যখন সে আর কিছুতেই বর্তমানের যন্ত্রণাকে নিতে পারে না, তখন নিরুপায় হয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এই সময়টুকু যদি পাশের বন্ধুটি তার হাত ধরে, মানুষটিকে কিন্তু ফিরে পাওয়া সম্ভব।
ক্যাম্পাস এক দারুণ জায়গা, জীবনের দারুণ সময়। এ সময় ও জায়গাটিকে উপভোগ করতে হবে বুঝে-শুনে, সতর্কতার সঙ্গে। নেতিবাচক অনুকরণ নয়; বরং সৃষ্টিশীলতার পুরোটা ঢেলে সাজাতে হবে এ সময়। তাতেই উপভোগ্য হয়ে উঠবে সবকিছু।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার


হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
২ ঘণ্টা আগে
মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই...
৬ ঘণ্টা আগে
আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?...
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাকৃতিক উপায়ে যদি শরীরের প্রদাহ কমানো যায়, তাহলে ওষুধপত্র সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি নিজের শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমানোর জন্য ২১ দিনের ঘরোয়া পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। তাতে তিনি উপকার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
দুধ ১ লিটার, পোলাওয়ের চাল ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, চিনি ৩ থেকে ৪ কাপ, জাফরান এক চিমটি, কাঠবাদাম কুচি ১০টি, পেস্তাবাদাম কুচি ১০টি, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি
একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদাম ভেজে কুচি করে রাখতে হবে। এবার আরেকটি পাত্রে দুধ ও চাল একসঙ্গে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে ফুটে ওঠার আগে পর্যন্ত। ফুটে গেলে জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে এবং রান্না করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যায়। দুধ কমে অর্ধেক হলে দিতে হবে চিনি ও বাদাম বাটা। নিচে যেন লেগে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ পর্যায়ে বারবার নেড়ে দিতে হবে। দুধের পরিমাণ তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে গেলে দুধে ভেজানো জাফরান মিশিয়ে নিতে হবে এবং অর্ধেক বাদাম কুচি দিয়ে একটু পরে নামিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে জাফরান, বাদাম কুচি ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা অথবা গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে।

হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
দুধ ১ লিটার, পোলাওয়ের চাল ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, চিনি ৩ থেকে ৪ কাপ, জাফরান এক চিমটি, কাঠবাদাম কুচি ১০টি, পেস্তাবাদাম কুচি ১০টি, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি
একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদাম ভেজে কুচি করে রাখতে হবে। এবার আরেকটি পাত্রে দুধ ও চাল একসঙ্গে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে ফুটে ওঠার আগে পর্যন্ত। ফুটে গেলে জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে এবং রান্না করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যায়। দুধ কমে অর্ধেক হলে দিতে হবে চিনি ও বাদাম বাটা। নিচে যেন লেগে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ পর্যায়ে বারবার নেড়ে দিতে হবে। দুধের পরিমাণ তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে গেলে দুধে ভেজানো জাফরান মিশিয়ে নিতে হবে এবং অর্ধেক বাদাম কুচি দিয়ে একটু পরে নামিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে জাফরান, বাদাম কুচি ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা অথবা গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে।


যে বয়সে শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস-জীবনে প্রবেশ করে, সেই বয়সের দারুণ এক ছবি আঁকা আছে এ গানে। ক্যাম্পাস মানে ছক কাটা চেনা জীবন ও গণ্ডির বাইরে অদেখা-অচেনা এক নতুন জগৎ। ফলে এ জীবনে খানিক হোঁচট খাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই...
৬ ঘণ্টা আগে
আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?...
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাকৃতিক উপায়ে যদি শরীরের প্রদাহ কমানো যায়, তাহলে ওষুধপত্র সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি নিজের শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমানোর জন্য ২১ দিনের ঘরোয়া পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। তাতে তিনি উপকার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রাতে একা একা ঘুরে বেড়াতে আপনি কি নিরাপদ বোধ করেন? বেশির ভাগ মানুষ এ প্রশ্নে নেতিবাচক উত্তর দেবেন। কিন্তু বিশ্বে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে রাতে একা হাঁটতে বের হওয়া বা ঘোরাফেরা করা নিরাপদ। মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই বাংলাদেশ, ভারত কিংবা নেপাল, ভুটানের মতো দেশগুলোর নাম।
১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা এ সমীক্ষাটি বিশ্বজুড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা আস্থার একটি চিত্র তুলে ধরেছে। কিছু দেশ লিঙ্গনির্বিশেষে নিরাপত্তার প্রায় সর্বজনীন আস্থা বজায় রেখেছে। আর কিছু দেশে লিঙ্গবৈষম্য ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের চিত্র রয়েছে। অন্ধকার হওয়ার পর যে দেশের বাসিন্দারা বেশি সুরক্ষিত বোধ করে, তেমন শীর্ষ ৩০টি দেশের নাম রয়েছে এ তালিকায়।
সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশগুলো
এ তালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ সিঙ্গাপুর। দেশটির ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। অপরাধের কম হার, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা এর কারণ। সিঙ্গাপুরের পরই রয়েছে তাজিকিস্তান। দেশটির ৯৫ শতাংশ মানুষ রাতে একা চলাফেরা করার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত বোধ করেন। সীমিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিয়েও এ দেশের বাসিন্দারা পুলিশি ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী সামাজিক বন্ধনের মধ্যে আবদ্ধ।
এর পরই রয়েছে ওমান ও চীন। এ দুটি দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শান্তি ও আতিথেয়তার জন্য খ্যাত ওমানের খ্যাতি রাতের রাস্তায়ও প্রসারিত। ধারাবাহিক পুলিশিং ও কম অপরাধপ্রবণতা দেশটির নাগরিকদের রাতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন মনোভাবের অন্যতম কারণ। এদিকে চীনে অনেক বাসিন্দা, বিশেষ করে প্রধান শহর ও পরিবহন কেন্দ্রগুলোতে রাতে একা ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করার কথা জানান। দেশটিতে জননিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশিং ও নজরদারির ব্যবস্থা আছে। এরপরই রয়েছে সৌদি আরব। দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শহুরে নিরাপত্তা ও গণ-অবকাঠামোতে চলমান বিনিয়োগের পাশাপাশি সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

তালিকায় এরপর একসঙ্গে রয়েছে কুয়েত, নরওয়ে ও হংকং—এই তিনটি দেশ ও অঞ্চল। এসব দেশ ও অঞ্চলের ৯১ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে নিরাপদ বোধ করেন। এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ শহর, কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা, নির্ভরযোগ্য পরিবহন ও শক্তিশালী নাগরিক শৃঙ্খলা, অন্ধকার নামার পরও এসব দেশ ও অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। কুয়েতের নাগরিকদের নিরাপত্তার এই উচ্চ অনুভূতি এসেছে মূলত সামাজিক সংহতি ও দৃশ্যমান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কারণে। নরওয়ের সামাজিক আস্থা এবং কম অপরাধের হার দেশটিকে ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ দেশ করে তুলেছে। চমৎকারভাবে সজ্জিত আলোকিত রাস্তা ও সামাজিক সতর্কতা নরওয়েজিয়ানদের সূর্যাস্তের পরও অবাধে চলাচলের জন্য উৎসাহিত করে।
তালিকায় এরপর রয়েছে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দুটি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের সুরক্ষিত মনে করেন। বাহরাইনের আধুনিক পুলিশি ব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক আস্থা সৃষ্টি করেছে। এদিকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহুরে পরিবেশের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউএইর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আস্থা বজায় রেখে এখানকার বাসিন্দা ও পর্যটক উভয়ই রাতে নিরাপদ বোধ করেন।

নব্বই শতাংশের নিচে যে দেশগুলো
কসোভো ও ডেনমার্কের ৮৯ শতাংশ মানুষ নিজেদের রাতের রাস্তায় নিরাপদ মনে করেন। কসোভোর দ্রুত উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান সামাজিক সংহতি নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়িয়েছে। উন্নত অবকাঠামো এবং সামাজিক কর্মসূচি নাগরিকদের আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। ডেনমার্ক অধিবাসীদের সমতা ও নাগরিকদের দায়িত্বজ্ঞানের ওপর জোর দেয়। এ দুটি কারণে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা রেকর্ডের ভিত্তি। দেশটির শহরগুলোতে চমৎকার আলো এবং পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতি রাতের পথচারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
ভিয়েতনাম, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের ৮৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁরা রাতের রাস্তায় নিরাপদ। ভিয়েতনামের শহুরে এলাকাগুলো, বিশেষ করে সক্রিয় রাতের অর্থনীতি এবং দৃশ্যমান নিরাপত্তা টহলের কারণে নিরাপদ। সুইজারল্যান্ডের কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সুশৃঙ্খল শহরগুলো স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে। এর সংরক্ষিত অবকাঠামো রাতের নিরাপত্তার প্রতি শক্তিশালী জন-আস্থা বজায় রাখতে অবদান রেখেছে। বিশ্বে সর্বনিম্ন অপরাধপ্রবণতার হার যেসব দেশে, সেগুলোর মধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম। কম অপরাধপ্রবণতা ও সরকারের প্রতি উচ্চ জন-আস্থা রাতে একা হাঁটা দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে ফিনল্যান্ডে। বাসিন্দারা কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী কল্যাণমূলক ব্যবস্থার কৃতিত্ব দেয় তাদের নিরাপত্তার অনুভূতির জন্য।
তাইওয়ান, মন্টেনেগ্রো ও এল সালভাদরের ৮৭ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা বাইরে নিরাপদ বোধ করেন। একসময় অপরাধের উচ্চ হারের জন্য কুখ্যাত ছিল এল সালভাদর। তবে সেখানে বড় আকারের নিরাপত্তা সংস্কারের কারণে জননিরাপত্তায় বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে, যা এই অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। অন্যদিকে তাইওয়ানে কম অপরাধপ্রবণতা, কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী নাগরিক সুবিধা এশিয়ায় নিরাপত্তার ধারণার সর্বোচ্চ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি এ ধারা ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়ও বিদ্যমান।
মন্টেনেগ্রোর শান্ত জীবনযাত্রা এবং সম্প্রদায়কেন্দ্রিক সংস্কৃতি নিরাপত্তার অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। উজবেকিস্তানের ৮৬ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তাকে নিরাপদ মনে করেন। নিরাপত্তা ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ দেশটিতে জন-আস্থা বাড়িয়েছে। স্থানীয়রা অন্ধকার নামার পর শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘোরাফেরায় নিজেদের সুরক্ষিত বোধ করার কথা জানান। এরপরই রয়েছে আর্মেনিয়া। দেশটির ৮৫ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। অন্যদিকে অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়ার ৮৪ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করেন।
ইন্দোনেশিয়া ও এস্তোনিয়ার ৮৩ শতাংশ মানুষ রাতে নিজেদের নিরাপদ ভাবেন। মিসর, জর্জিয়া ও নেদারল্যান্ডসের ৮২ শতাংশ এবং স্পেন ও সুইডেনের ৮১ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা চলাচলে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন।
নিজের দেশে নিরাপত্তা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

রাতে একা একা ঘুরে বেড়াতে আপনি কি নিরাপদ বোধ করেন? বেশির ভাগ মানুষ এ প্রশ্নে নেতিবাচক উত্তর দেবেন। কিন্তু বিশ্বে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে রাতে একা হাঁটতে বের হওয়া বা ঘোরাফেরা করা নিরাপদ। মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই বাংলাদেশ, ভারত কিংবা নেপাল, ভুটানের মতো দেশগুলোর নাম।
১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা এ সমীক্ষাটি বিশ্বজুড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা আস্থার একটি চিত্র তুলে ধরেছে। কিছু দেশ লিঙ্গনির্বিশেষে নিরাপত্তার প্রায় সর্বজনীন আস্থা বজায় রেখেছে। আর কিছু দেশে লিঙ্গবৈষম্য ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের চিত্র রয়েছে। অন্ধকার হওয়ার পর যে দেশের বাসিন্দারা বেশি সুরক্ষিত বোধ করে, তেমন শীর্ষ ৩০টি দেশের নাম রয়েছে এ তালিকায়।
সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশগুলো
এ তালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ সিঙ্গাপুর। দেশটির ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। অপরাধের কম হার, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা এর কারণ। সিঙ্গাপুরের পরই রয়েছে তাজিকিস্তান। দেশটির ৯৫ শতাংশ মানুষ রাতে একা চলাফেরা করার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত বোধ করেন। সীমিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিয়েও এ দেশের বাসিন্দারা পুলিশি ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী সামাজিক বন্ধনের মধ্যে আবদ্ধ।
এর পরই রয়েছে ওমান ও চীন। এ দুটি দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শান্তি ও আতিথেয়তার জন্য খ্যাত ওমানের খ্যাতি রাতের রাস্তায়ও প্রসারিত। ধারাবাহিক পুলিশিং ও কম অপরাধপ্রবণতা দেশটির নাগরিকদের রাতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন মনোভাবের অন্যতম কারণ। এদিকে চীনে অনেক বাসিন্দা, বিশেষ করে প্রধান শহর ও পরিবহন কেন্দ্রগুলোতে রাতে একা ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করার কথা জানান। দেশটিতে জননিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশিং ও নজরদারির ব্যবস্থা আছে। এরপরই রয়েছে সৌদি আরব। দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শহুরে নিরাপত্তা ও গণ-অবকাঠামোতে চলমান বিনিয়োগের পাশাপাশি সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

তালিকায় এরপর একসঙ্গে রয়েছে কুয়েত, নরওয়ে ও হংকং—এই তিনটি দেশ ও অঞ্চল। এসব দেশ ও অঞ্চলের ৯১ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে নিরাপদ বোধ করেন। এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ শহর, কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা, নির্ভরযোগ্য পরিবহন ও শক্তিশালী নাগরিক শৃঙ্খলা, অন্ধকার নামার পরও এসব দেশ ও অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। কুয়েতের নাগরিকদের নিরাপত্তার এই উচ্চ অনুভূতি এসেছে মূলত সামাজিক সংহতি ও দৃশ্যমান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কারণে। নরওয়ের সামাজিক আস্থা এবং কম অপরাধের হার দেশটিকে ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ দেশ করে তুলেছে। চমৎকারভাবে সজ্জিত আলোকিত রাস্তা ও সামাজিক সতর্কতা নরওয়েজিয়ানদের সূর্যাস্তের পরও অবাধে চলাচলের জন্য উৎসাহিত করে।
তালিকায় এরপর রয়েছে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দুটি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের সুরক্ষিত মনে করেন। বাহরাইনের আধুনিক পুলিশি ব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক আস্থা সৃষ্টি করেছে। এদিকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহুরে পরিবেশের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউএইর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আস্থা বজায় রেখে এখানকার বাসিন্দা ও পর্যটক উভয়ই রাতে নিরাপদ বোধ করেন।

নব্বই শতাংশের নিচে যে দেশগুলো
কসোভো ও ডেনমার্কের ৮৯ শতাংশ মানুষ নিজেদের রাতের রাস্তায় নিরাপদ মনে করেন। কসোভোর দ্রুত উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান সামাজিক সংহতি নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়িয়েছে। উন্নত অবকাঠামো এবং সামাজিক কর্মসূচি নাগরিকদের আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। ডেনমার্ক অধিবাসীদের সমতা ও নাগরিকদের দায়িত্বজ্ঞানের ওপর জোর দেয়। এ দুটি কারণে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা রেকর্ডের ভিত্তি। দেশটির শহরগুলোতে চমৎকার আলো এবং পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতি রাতের পথচারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
ভিয়েতনাম, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের ৮৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁরা রাতের রাস্তায় নিরাপদ। ভিয়েতনামের শহুরে এলাকাগুলো, বিশেষ করে সক্রিয় রাতের অর্থনীতি এবং দৃশ্যমান নিরাপত্তা টহলের কারণে নিরাপদ। সুইজারল্যান্ডের কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সুশৃঙ্খল শহরগুলো স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে। এর সংরক্ষিত অবকাঠামো রাতের নিরাপত্তার প্রতি শক্তিশালী জন-আস্থা বজায় রাখতে অবদান রেখেছে। বিশ্বে সর্বনিম্ন অপরাধপ্রবণতার হার যেসব দেশে, সেগুলোর মধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম। কম অপরাধপ্রবণতা ও সরকারের প্রতি উচ্চ জন-আস্থা রাতে একা হাঁটা দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে ফিনল্যান্ডে। বাসিন্দারা কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী কল্যাণমূলক ব্যবস্থার কৃতিত্ব দেয় তাদের নিরাপত্তার অনুভূতির জন্য।
তাইওয়ান, মন্টেনেগ্রো ও এল সালভাদরের ৮৭ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা বাইরে নিরাপদ বোধ করেন। একসময় অপরাধের উচ্চ হারের জন্য কুখ্যাত ছিল এল সালভাদর। তবে সেখানে বড় আকারের নিরাপত্তা সংস্কারের কারণে জননিরাপত্তায় বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে, যা এই অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। অন্যদিকে তাইওয়ানে কম অপরাধপ্রবণতা, কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী নাগরিক সুবিধা এশিয়ায় নিরাপত্তার ধারণার সর্বোচ্চ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি এ ধারা ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়ও বিদ্যমান।
মন্টেনেগ্রোর শান্ত জীবনযাত্রা এবং সম্প্রদায়কেন্দ্রিক সংস্কৃতি নিরাপত্তার অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। উজবেকিস্তানের ৮৬ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তাকে নিরাপদ মনে করেন। নিরাপত্তা ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ দেশটিতে জন-আস্থা বাড়িয়েছে। স্থানীয়রা অন্ধকার নামার পর শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘোরাফেরায় নিজেদের সুরক্ষিত বোধ করার কথা জানান। এরপরই রয়েছে আর্মেনিয়া। দেশটির ৮৫ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। অন্যদিকে অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়ার ৮৪ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করেন।
ইন্দোনেশিয়া ও এস্তোনিয়ার ৮৩ শতাংশ মানুষ রাতে নিজেদের নিরাপদ ভাবেন। মিসর, জর্জিয়া ও নেদারল্যান্ডসের ৮২ শতাংশ এবং স্পেন ও সুইডেনের ৮১ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা চলাচলে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন।
নিজের দেশে নিরাপত্তা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার


যে বয়সে শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস-জীবনে প্রবেশ করে, সেই বয়সের দারুণ এক ছবি আঁকা আছে এ গানে। ক্যাম্পাস মানে ছক কাটা চেনা জীবন ও গণ্ডির বাইরে অদেখা-অচেনা এক নতুন জগৎ। ফলে এ জীবনে খানিক হোঁচট খাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
২ ঘণ্টা আগে
আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?...
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাকৃতিক উপায়ে যদি শরীরের প্রদাহ কমানো যায়, তাহলে ওষুধপত্র সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি নিজের শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমানোর জন্য ২১ দিনের ঘরোয়া পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। তাতে তিনি উপকার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?’ আপনার তেজি মনোভাব আজ প্রেমের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা করতে পারে—হুট করে কাউকে প্রেম নিবেদন না করে, আগে দেখে নিন তিনি ফোন ধরেছেন কি না। রাস্তায় যদি দেখেন দুটি কুকুর মারামারি করছে, প্লিজ ওদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে যাবেন না। সেটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বৃষ
আজ আপনার ভোজনরসিক মন চরম বিদ্রোহ করবে। সারা দিন শুধু ভালো-মন্দ খাওয়ার প্ল্যানিং চলবে। ডায়েট চার্ট আজ মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। সন্ধ্যায় যখন ডাল-ভাত খাওয়ার কথা, তখন আপনি বিরিয়ানি খুঁজবেন। আর্থিক দিক দিয়ে দিনটি ভালো, তবে খরচ হবে কেবল জিবের তৃপ্তি মেটানোর জন্য। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার হাতের রান্না (বা অন্তত অর্ডার করা খাবার) খেয়ে মুগ্ধ হবে। আজ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা মিষ্টিটা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। পারলে দুটোই খেয়ে ফেলুন, গ্রহ শান্ত হবে।
মিথুন
আপনার দ্বৈত সত্তা আজ এমনভাবে সক্রিয় থাকবে যে নিজেই বুঝতে পারবেন না আপনি কী চান। একবার মনে হবে পাহাড়ে যাবেন, পরক্ষণেই মনে হবে সমুদ্র। অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল লেখার আগে আপনি অন্তত পাঁচবার খসড়া পরিবর্তন করবেন। প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় একবার প্রেমিকের মতো মিষ্টি হবেন, আবার পরমুহূর্তেই দার্শনিকের মতো গভীর জ্ঞান দেবেন। সঙ্গী কিন্তু আপনার এই ‘ডাবল রোল’ দেখে চরম মজা পাবেন। আজ কোনো শপথ বা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ, যা বলবেন, ৫ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন।
কর্কট
আজ আপনার সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। রাস্তার ধারের পুরোনো চায়ের দোকানের দিকে তাকালেও শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যেতে পারে। অফিসে কেউ সামান্য মিষ্টি কথা বললেই মনে করবেন তিনি আপনার জীবনের সবচেয়ে ভালো মানুষ। দিনের শেষে বাড়িতে মা-বাবা বা প্রিয়জনের কাছে আবদার করার জন্য মন আনচান করবে। তবে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই আবেগ ঝেড়ে ফেলুন, নতুবা কেঁদে বালিশ ভেজাতে হতে পারে। টিভির সিরিয়াল দেখে আজ বেশি কাঁদবেন না। নক্ষত্র বলছে, ওটা কালকের এপিসোডেই মিটে যাবে।
সিংহ
আজ আত্মবিশ্বাস এত তুঙ্গে থাকবে যে আপনি ট্রাফিক পুলিশকে গিয়ে ট্রাফিক আইন শেখাতে পারেন। অফিসে আজ এমনভাবে কাজ করবেন, যেন আপনার জন্যই সূর্য ওঠে। সবাই আপনার প্রশংসা করুক বা না করুক, আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজেই বাহবা দেবেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার এই ‘রাজকীয়’ মেজাজ একটু কমিয়ে কথা বলার অনুরোধ করতে পারে। পাবলিক প্লেসে জোরে জোরে নিজের নাম ধরে ডাকবেন না। নক্ষত্র বলছে, তাতে লোক হাসবে আর আপনার অহমে আঘাত লাগবে।
কন্যা
আজ প্রতিটি জিনিসের মধ্যে ভুল খুঁজবেন। নিজের লেখা মেসেজেও ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পাবেন। অফিসের ডেস্কের সামান্য ধুলা বা রান্নাঘরের মসলার কৌটার সামান্য হেরফের মেজাজ খারাপের জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আজ পাড়ার সবচেয়ে ভালো ফুচকাওয়ালাকেও সন্দেহের চোখে দেখবেন। সন্ধ্যায় দুশ্চিন্তা কমিয়ে একটু রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন, নতুবা রাতে ঘুম হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারোর পারফেক্ট ছবি দেখে কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন না যে ব্যাকগ্রাউন্ডে ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে কি না। প্লিজ!
তুলা
আজ গ্রহ-নক্ষত্ররা আপনাকে এক চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে: ‘আমিষ না নিরামিষ?’ অথবা, ‘নীল শার্ট না কালো?’ এই সামান্য দ্বিধা নিয়েই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। কেউ কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, আপনি দুটো বিপরীতমুখী মতামত দেবেন এবং শেষ পর্যন্ত বলবেন, ‘তোমার যেটা ভালো মনে হয়, করো।’ প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্স থাকলেও ডেটে গিয়ে কী অর্ডার করবেন, এই চিন্তাতেই সন্ধ্যা শেষ। কাউকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার আগে একটা কয়েন টস করে নিন। অন্তত সিদ্ধান্তটা আপনার ঘাড়ে পড়বে না।
বৃশ্চিক
আজ আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ওভারটাইম করবে। চারপাশে যা ঘটবে, তার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন। অফিসের সহকর্মী কেন এত তাড়াতাড়ি লাঞ্চে গেল? আপনার দুধওয়ালার মুখটা এত হাসি হাসি কেন? এর পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? প্রেমের ক্ষেত্রে আজ তীব্র আকর্ষণ কাজ করবে, কিন্তু সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত সন্দেহ (যেমন ‘কার সঙ্গে এতক্ষণ চ্যাট করছিলে?’) ঝামেলা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার চা ঠান্ডা হওয়ার পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নেই।
ধনু
আজ মন দূর-দূরান্তে ঘুরে বেড়াবে। অফিসে বসেও হয়তো প্ল্যান করবেন, কীভাবে হেঁটে এভারেস্ট জয় করা যায়। স্বভাবসুলভ উৎসাহে এমন সব বিষয়ে জ্ঞান দেবেন, যা নিয়ে আপনার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কেউ সমস্যা নিয়ে এলে তাঁকে জীবন পাল্টে দেওয়ার মতো এমন কিছু টিপস দেবেন, যা তিনি জীবনেও মানবেন না। তবে আর্থিক ঝুঁকি আজ আপনার জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। ট্রেনে টিকিট কাটার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি এমন কোনো জায়গায় যাচ্ছেন না, যার নাম মানচিত্রে নেই!
মকর
আজ নিজেকে এমনভাবে কাজে ব্যস্ত রাখবেন যে বন্ধুবান্ধব ভাববে আপনি হয়তো বিলিয়ন ডলারের কোনো চুক্তি করছেন। কাজের প্রতি আপনার নিষ্ঠা আজ নজির সৃষ্টি করবে, কিন্তু প্লিজ লাঞ্চ ব্রেকটা স্কিপ করবেন না। পরিবার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে। মনে রাখবেন, শুধু কাজ করলেই হবে না, মাঝেমধ্যে দু-চারটা কৌতুকও শোনাতে হয়! প্রেমের জীবনে একটু অবসর নিয়ে সঙ্গীকে সময় দিন, না হলে তিনি আপনার ল্যাপটপের ওপর রাগ করতে পারেন। রাতের খাবারের মেনুটাও যদি প্রজেক্ট প্ল্যানিংয়ের মতো করে তৈরি করেন, তবে বাড়িতে অশান্তি নিশ্চিত।
কুম্ভ
আজ মাথায় অদ্ভুত সব আইডিয়া আসবে, যা হয় ব্ৰিলিয়ান্ট হবে, নয়তো হাস্যকর। আপনি হয়তো ভাববেন, কীভাবে চা না খেয়েও চায়ের স্বাদ নেওয়া যায়। বন্ধুদের আড্ডায় আজ এমন কিছু বলবেন, যা কেউ বুঝবে না, কিন্তু সবাই ভদ্রতার খাতিরে হাসবে। সামাজিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ, আপনার সঙ্গে কথা বলাটা একটু থ্রিলার সিনেমার মতো—কেউ জানে না এরপর কী হতে চলেছে। আজ ভুলেও কাউকে বলবেন না যে আপনি মানবজাতির উন্নতির জন্য রান্নাঘরের সবজি কাটার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
মীন
সারা দিন আজ দিবাস্বপ্নে মগ্ন থাকবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভুলে যাবেন যে আপনি কাল রাতে কী নিয়ে চিন্তা করছিলেন। অফিসের মিটিংয়ে আপনার মন হয়তো কোনো মেঘে ঢাকা পাহাড়ে ঘুরে বেড়াবে। সৃজনশীল কাজের জন্য দিনটি চমৎকার, তবে বাস্তব জীবনের বিল মেটানোর কথা ভুলে যাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আজ আপনাকে বাস্তবের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারে—হয়তো চায়ের কাপ হাতে ধরিয়ে দিয়েই! আজ রাতে যদি ঘুমিয়ে দেখেন লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন, প্লিজ সকালে উঠে সেই টাকা খুঁজতে যাবেন না। কারণটা খুব সহজ, সেটা শুধু স্বপ্ন ছিল।

মেষ
আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?’ আপনার তেজি মনোভাব আজ প্রেমের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা করতে পারে—হুট করে কাউকে প্রেম নিবেদন না করে, আগে দেখে নিন তিনি ফোন ধরেছেন কি না। রাস্তায় যদি দেখেন দুটি কুকুর মারামারি করছে, প্লিজ ওদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে যাবেন না। সেটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বৃষ
আজ আপনার ভোজনরসিক মন চরম বিদ্রোহ করবে। সারা দিন শুধু ভালো-মন্দ খাওয়ার প্ল্যানিং চলবে। ডায়েট চার্ট আজ মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। সন্ধ্যায় যখন ডাল-ভাত খাওয়ার কথা, তখন আপনি বিরিয়ানি খুঁজবেন। আর্থিক দিক দিয়ে দিনটি ভালো, তবে খরচ হবে কেবল জিবের তৃপ্তি মেটানোর জন্য। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার হাতের রান্না (বা অন্তত অর্ডার করা খাবার) খেয়ে মুগ্ধ হবে। আজ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা মিষ্টিটা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। পারলে দুটোই খেয়ে ফেলুন, গ্রহ শান্ত হবে।
মিথুন
আপনার দ্বৈত সত্তা আজ এমনভাবে সক্রিয় থাকবে যে নিজেই বুঝতে পারবেন না আপনি কী চান। একবার মনে হবে পাহাড়ে যাবেন, পরক্ষণেই মনে হবে সমুদ্র। অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল লেখার আগে আপনি অন্তত পাঁচবার খসড়া পরিবর্তন করবেন। প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় একবার প্রেমিকের মতো মিষ্টি হবেন, আবার পরমুহূর্তেই দার্শনিকের মতো গভীর জ্ঞান দেবেন। সঙ্গী কিন্তু আপনার এই ‘ডাবল রোল’ দেখে চরম মজা পাবেন। আজ কোনো শপথ বা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ, যা বলবেন, ৫ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন।
কর্কট
আজ আপনার সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। রাস্তার ধারের পুরোনো চায়ের দোকানের দিকে তাকালেও শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যেতে পারে। অফিসে কেউ সামান্য মিষ্টি কথা বললেই মনে করবেন তিনি আপনার জীবনের সবচেয়ে ভালো মানুষ। দিনের শেষে বাড়িতে মা-বাবা বা প্রিয়জনের কাছে আবদার করার জন্য মন আনচান করবে। তবে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই আবেগ ঝেড়ে ফেলুন, নতুবা কেঁদে বালিশ ভেজাতে হতে পারে। টিভির সিরিয়াল দেখে আজ বেশি কাঁদবেন না। নক্ষত্র বলছে, ওটা কালকের এপিসোডেই মিটে যাবে।
সিংহ
আজ আত্মবিশ্বাস এত তুঙ্গে থাকবে যে আপনি ট্রাফিক পুলিশকে গিয়ে ট্রাফিক আইন শেখাতে পারেন। অফিসে আজ এমনভাবে কাজ করবেন, যেন আপনার জন্যই সূর্য ওঠে। সবাই আপনার প্রশংসা করুক বা না করুক, আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজেই বাহবা দেবেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার এই ‘রাজকীয়’ মেজাজ একটু কমিয়ে কথা বলার অনুরোধ করতে পারে। পাবলিক প্লেসে জোরে জোরে নিজের নাম ধরে ডাকবেন না। নক্ষত্র বলছে, তাতে লোক হাসবে আর আপনার অহমে আঘাত লাগবে।
কন্যা
আজ প্রতিটি জিনিসের মধ্যে ভুল খুঁজবেন। নিজের লেখা মেসেজেও ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পাবেন। অফিসের ডেস্কের সামান্য ধুলা বা রান্নাঘরের মসলার কৌটার সামান্য হেরফের মেজাজ খারাপের জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আজ পাড়ার সবচেয়ে ভালো ফুচকাওয়ালাকেও সন্দেহের চোখে দেখবেন। সন্ধ্যায় দুশ্চিন্তা কমিয়ে একটু রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন, নতুবা রাতে ঘুম হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারোর পারফেক্ট ছবি দেখে কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন না যে ব্যাকগ্রাউন্ডে ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে কি না। প্লিজ!
তুলা
আজ গ্রহ-নক্ষত্ররা আপনাকে এক চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে: ‘আমিষ না নিরামিষ?’ অথবা, ‘নীল শার্ট না কালো?’ এই সামান্য দ্বিধা নিয়েই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। কেউ কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, আপনি দুটো বিপরীতমুখী মতামত দেবেন এবং শেষ পর্যন্ত বলবেন, ‘তোমার যেটা ভালো মনে হয়, করো।’ প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্স থাকলেও ডেটে গিয়ে কী অর্ডার করবেন, এই চিন্তাতেই সন্ধ্যা শেষ। কাউকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার আগে একটা কয়েন টস করে নিন। অন্তত সিদ্ধান্তটা আপনার ঘাড়ে পড়বে না।
বৃশ্চিক
আজ আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ওভারটাইম করবে। চারপাশে যা ঘটবে, তার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন। অফিসের সহকর্মী কেন এত তাড়াতাড়ি লাঞ্চে গেল? আপনার দুধওয়ালার মুখটা এত হাসি হাসি কেন? এর পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? প্রেমের ক্ষেত্রে আজ তীব্র আকর্ষণ কাজ করবে, কিন্তু সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত সন্দেহ (যেমন ‘কার সঙ্গে এতক্ষণ চ্যাট করছিলে?’) ঝামেলা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার চা ঠান্ডা হওয়ার পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নেই।
ধনু
আজ মন দূর-দূরান্তে ঘুরে বেড়াবে। অফিসে বসেও হয়তো প্ল্যান করবেন, কীভাবে হেঁটে এভারেস্ট জয় করা যায়। স্বভাবসুলভ উৎসাহে এমন সব বিষয়ে জ্ঞান দেবেন, যা নিয়ে আপনার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কেউ সমস্যা নিয়ে এলে তাঁকে জীবন পাল্টে দেওয়ার মতো এমন কিছু টিপস দেবেন, যা তিনি জীবনেও মানবেন না। তবে আর্থিক ঝুঁকি আজ আপনার জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। ট্রেনে টিকিট কাটার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি এমন কোনো জায়গায় যাচ্ছেন না, যার নাম মানচিত্রে নেই!
মকর
আজ নিজেকে এমনভাবে কাজে ব্যস্ত রাখবেন যে বন্ধুবান্ধব ভাববে আপনি হয়তো বিলিয়ন ডলারের কোনো চুক্তি করছেন। কাজের প্রতি আপনার নিষ্ঠা আজ নজির সৃষ্টি করবে, কিন্তু প্লিজ লাঞ্চ ব্রেকটা স্কিপ করবেন না। পরিবার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে। মনে রাখবেন, শুধু কাজ করলেই হবে না, মাঝেমধ্যে দু-চারটা কৌতুকও শোনাতে হয়! প্রেমের জীবনে একটু অবসর নিয়ে সঙ্গীকে সময় দিন, না হলে তিনি আপনার ল্যাপটপের ওপর রাগ করতে পারেন। রাতের খাবারের মেনুটাও যদি প্রজেক্ট প্ল্যানিংয়ের মতো করে তৈরি করেন, তবে বাড়িতে অশান্তি নিশ্চিত।
কুম্ভ
আজ মাথায় অদ্ভুত সব আইডিয়া আসবে, যা হয় ব্ৰিলিয়ান্ট হবে, নয়তো হাস্যকর। আপনি হয়তো ভাববেন, কীভাবে চা না খেয়েও চায়ের স্বাদ নেওয়া যায়। বন্ধুদের আড্ডায় আজ এমন কিছু বলবেন, যা কেউ বুঝবে না, কিন্তু সবাই ভদ্রতার খাতিরে হাসবে। সামাজিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ, আপনার সঙ্গে কথা বলাটা একটু থ্রিলার সিনেমার মতো—কেউ জানে না এরপর কী হতে চলেছে। আজ ভুলেও কাউকে বলবেন না যে আপনি মানবজাতির উন্নতির জন্য রান্নাঘরের সবজি কাটার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
মীন
সারা দিন আজ দিবাস্বপ্নে মগ্ন থাকবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভুলে যাবেন যে আপনি কাল রাতে কী নিয়ে চিন্তা করছিলেন। অফিসের মিটিংয়ে আপনার মন হয়তো কোনো মেঘে ঢাকা পাহাড়ে ঘুরে বেড়াবে। সৃজনশীল কাজের জন্য দিনটি চমৎকার, তবে বাস্তব জীবনের বিল মেটানোর কথা ভুলে যাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আজ আপনাকে বাস্তবের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারে—হয়তো চায়ের কাপ হাতে ধরিয়ে দিয়েই! আজ রাতে যদি ঘুমিয়ে দেখেন লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন, প্লিজ সকালে উঠে সেই টাকা খুঁজতে যাবেন না। কারণটা খুব সহজ, সেটা শুধু স্বপ্ন ছিল।


যে বয়সে শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস-জীবনে প্রবেশ করে, সেই বয়সের দারুণ এক ছবি আঁকা আছে এ গানে। ক্যাম্পাস মানে ছক কাটা চেনা জীবন ও গণ্ডির বাইরে অদেখা-অচেনা এক নতুন জগৎ। ফলে এ জীবনে খানিক হোঁচট খাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
২ ঘণ্টা আগে
মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই...
৬ ঘণ্টা আগে
প্রাকৃতিক উপায়ে যদি শরীরের প্রদাহ কমানো যায়, তাহলে ওষুধপত্র সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি নিজের শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমানোর জন্য ২১ দিনের ঘরোয়া পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। তাতে তিনি উপকার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

প্রাকৃতিক উপায়ে যদি শরীরের প্রদাহ কমানো যায়, তাহলে ওষুধপত্র সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি নিজের শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমানোর জন্য ২১ দিনের ঘরোয়া পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। তাতে তিনি উপকার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানির পরামর্শে তৈরি এই বিশেষ ঘরোয়া পানীয় তিনি প্রতিদিন পান করেছেন। শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমিয়ে সুস্থতা ফিরে পেতেই এই পানীয় পান করেন তিনি। নেহা তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন। একটি ভিডিওতে তিনি এই পানীয় পানে নিজের শরীরের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বলেছেন।
নেহার ভাষ্য, ‘২১ দিন এই পানীয় পানে আমি বুঝেছি, শরীর সুস্থ রাখতে শুধু বাহ্যিক যত্ন নয়, ভেতরের যত্নও জরুরি।’ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ, আদা, কালো গোলমরিচ ও কালিজিরা দিয়ে তৈরি একটি বিশেষ পানীয় নেহা ধুপিয়া পান করেছেন।
এই পানীয় তৈরির রেসিপিও জানা গেছে। পানীয়টি যেভাবে তৈরি করা যাবে:

কাঁচা হলুদ ১ টুকরা, কাঁচা আদা ৫ থেকে ৭টি, কালো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ ও কালিজিরা ১ চা-চামচ নিয়ে সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ হালকা গরম পানিতে একটি কিউব দিয়ে ১ চা-চামচ এমসিটি তেল যোগ করে পান করুন। এখানে এমসিটি তেল সম্পর্কে একটু বলে রাখা ভালো। মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস বা এমসিটি তেল মূলত একধরনের ফ্যাট, যা নারকেল বা পাম তেল থেকে তৈরি হয়। এটি দ্রুত হজম হয় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এই তেল ওজন কমাতে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
তবে এই তেল ঘরে না থাকলে ঘি, নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করা যায়।
ব্যথানাশক এই পানীয়ের উপকারিতা
এই পাঁচটি উপকরণের প্রতিটিতে রয়েছে অনন্য পুষ্টিগুণ, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হলুদ ও আদায় থাকা কারকিউমিন এবং জিঞ্জেরল নামে শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে। কালো গোলমরিচে থাকা পাইপেরিন কারকিউমিনের শোষণ বাড়ায়। কালিজিরা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে এমসিটি অয়েল, ঘি, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণে সাহায্য করে। নিয়মিত তিন সপ্তাহ এই পানীয় পান করলে প্রদাহ কমে, হজমশক্তি বাড়ে এবং সারা দিন শরীর থাকে তরতাজা। ২১ দিন এই পানীয় পান করে নেহা ধুপিয়া জানিয়েছেন, তাঁর অন্ত্রের স্বাস্থ্য আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে, ত্বক আগের চেয়ে উজ্জ্বল দেখাচ্ছে এবং শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমে গেছে। এ ছাড়া পেট ফাঁপার সমস্যাও অনেকটাই সেরেছে।
তবে সতর্কবার্তাও রয়েছে। রিচা গঙ্গানির এই পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থায়, যেমন পিত্তথলির সমস্যা, রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাওয়া বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকলে হলুদ ও আদা কতটুকু পরিমাণে খাওয়া যাবে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়া আবশ্যক। নয়তো উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তিন সপ্তাহের মধ্যেও কেউ যদি শরীরে প্রদাহ কিছুটা কমে যাওয়া বা হালকা স্বস্তি অনুভব করেন, সেটি ইতিবাচক লক্ষণ। তবে বিপাকীয় বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সময় লাগে এবং এর জন্য জীবনযাপনে ধারাবাহিক পরিবর্তন জরুরি।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

প্রাকৃতিক উপায়ে যদি শরীরের প্রদাহ কমানো যায়, তাহলে ওষুধপত্র সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি নিজের শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমানোর জন্য ২১ দিনের ঘরোয়া পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। তাতে তিনি উপকার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানির পরামর্শে তৈরি এই বিশেষ ঘরোয়া পানীয় তিনি প্রতিদিন পান করেছেন। শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমিয়ে সুস্থতা ফিরে পেতেই এই পানীয় পান করেন তিনি। নেহা তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন। একটি ভিডিওতে তিনি এই পানীয় পানে নিজের শরীরের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বলেছেন।
নেহার ভাষ্য, ‘২১ দিন এই পানীয় পানে আমি বুঝেছি, শরীর সুস্থ রাখতে শুধু বাহ্যিক যত্ন নয়, ভেতরের যত্নও জরুরি।’ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ, আদা, কালো গোলমরিচ ও কালিজিরা দিয়ে তৈরি একটি বিশেষ পানীয় নেহা ধুপিয়া পান করেছেন।
এই পানীয় তৈরির রেসিপিও জানা গেছে। পানীয়টি যেভাবে তৈরি করা যাবে:

কাঁচা হলুদ ১ টুকরা, কাঁচা আদা ৫ থেকে ৭টি, কালো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ ও কালিজিরা ১ চা-চামচ নিয়ে সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ হালকা গরম পানিতে একটি কিউব দিয়ে ১ চা-চামচ এমসিটি তেল যোগ করে পান করুন। এখানে এমসিটি তেল সম্পর্কে একটু বলে রাখা ভালো। মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস বা এমসিটি তেল মূলত একধরনের ফ্যাট, যা নারকেল বা পাম তেল থেকে তৈরি হয়। এটি দ্রুত হজম হয় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এই তেল ওজন কমাতে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
তবে এই তেল ঘরে না থাকলে ঘি, নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করা যায়।
ব্যথানাশক এই পানীয়ের উপকারিতা
এই পাঁচটি উপকরণের প্রতিটিতে রয়েছে অনন্য পুষ্টিগুণ, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হলুদ ও আদায় থাকা কারকিউমিন এবং জিঞ্জেরল নামে শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে। কালো গোলমরিচে থাকা পাইপেরিন কারকিউমিনের শোষণ বাড়ায়। কালিজিরা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে এমসিটি অয়েল, ঘি, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণে সাহায্য করে। নিয়মিত তিন সপ্তাহ এই পানীয় পান করলে প্রদাহ কমে, হজমশক্তি বাড়ে এবং সারা দিন শরীর থাকে তরতাজা। ২১ দিন এই পানীয় পান করে নেহা ধুপিয়া জানিয়েছেন, তাঁর অন্ত্রের স্বাস্থ্য আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে, ত্বক আগের চেয়ে উজ্জ্বল দেখাচ্ছে এবং শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমে গেছে। এ ছাড়া পেট ফাঁপার সমস্যাও অনেকটাই সেরেছে।
তবে সতর্কবার্তাও রয়েছে। রিচা গঙ্গানির এই পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থায়, যেমন পিত্তথলির সমস্যা, রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাওয়া বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকলে হলুদ ও আদা কতটুকু পরিমাণে খাওয়া যাবে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়া আবশ্যক। নয়তো উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তিন সপ্তাহের মধ্যেও কেউ যদি শরীরে প্রদাহ কিছুটা কমে যাওয়া বা হালকা স্বস্তি অনুভব করেন, সেটি ইতিবাচক লক্ষণ। তবে বিপাকীয় বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সময় লাগে এবং এর জন্য জীবনযাপনে ধারাবাহিক পরিবর্তন জরুরি।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


যে বয়সে শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস-জীবনে প্রবেশ করে, সেই বয়সের দারুণ এক ছবি আঁকা আছে এ গানে। ক্যাম্পাস মানে ছক কাটা চেনা জীবন ও গণ্ডির বাইরে অদেখা-অচেনা এক নতুন জগৎ। ফলে এ জীবনে খানিক হোঁচট খাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
২ ঘণ্টা আগে
মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই...
৬ ঘণ্টা আগে
আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?...
৭ ঘণ্টা আগে