লাইফস্টাইল ডেস্ক
ভারতের দক্ষিণী বা বলিউড অভিনেতা–অভিনেত্রীদের বিয়ে মানেই এক জাঁকালো ব্যাপার। গয়নাগাটি, পোশাকের যে ব্যাপক আয়োজন থাকে এসব বিয়েতে, তা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। দক্ষিণী এবং বলিউড অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশের বিয়েও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
১৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক গত বছরের ১১ ডিসেম্বর গড়ায় ছাদনাতলা পর্যন্ত। বর সেই ১৫ বছরের প্রেমিক অ্যান্টনি থাতিল। বিয়ের প্রথম অনুষ্ঠানে কীর্তি পরেছিলেন লাল রঙের শাড়ি। এত দিন পর কীর্তির বিয়ের কথা উঠছে মূলত এই লাল শাড়ির প্রসঙ্গেই।
কীর্তির বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল সৈকতের শহর হানিমুন ডেস্টিনেশন গোয়াতে। আয়োজন ছিল একেবারে ঘরোয়া। সে অনুষ্ঠানের ছবি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে বর অ্যান্টনি থাতিল পরেছিলেন ঐতিহ্যবাহী কুর্তা ও ধুতি। আর কনে কীর্তির পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতীয় স্টাইলে পরা শাড়ি।
‘গালট্টা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, সম্প্রতি দক্ষিণী এই অভিনেত্রী নিজের বিয়ের সবচেয়ে স্পর্শকাতর মুহূর্তটির কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, বিয়ের সময় তাঁর পরনের লাল শাড়িটি ছিল তাঁর মায়ের বিয়ের শাড়ি। কীর্তির বিয়ে উপলক্ষে সে শাড়ি সংস্কার করেছেন বিখ্যাত ডিজাইনার অনিতা দোংগ্রে। গাঢ় লাল জমিনের সে শাড়িতে ছিল রুপালি নকশা। রুপালি ও লালের সংমিশ্রণ কীর্তির বিয়ের পোশাকে যোগ করেছিল রাজকীয় আভা।
শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছিল কীর্তির জন্য। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের রংটা একদম মিলিয়ে নিয়ে যার গোল আকৃতির নেকলাইন এবং কনুইয়ের ওপর পর্যন্ত লম্বা হাত রাখা হয় ব্লাউজের। ব্লাউজের পেছনে একটি নকশা করা কাটআউট বসানো ছিল। যা ৩০ বছর পুরোনো শাড়িটিতে একটি আধুনিক ছোঁয়া যোগ করেছিল। সব মিলিয়ে কীর্তি সুরেশের বিয়ের লুক ছিল ঐতিহ্য ও আধুনিকতার একটি চমৎকার মিশ্রণ। তাঁর মায়ের শাড়ি পরা ছিল মায়ের আশীর্বাদের চিহ্ন।
এই শাড়িটি পরার পরিকল্পনা সম্পর্কে কীর্তি জানান, এটি আগে থেকে পরিকল্পনায় ছিল না। তিনি প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বর পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া একটি শাড়ি পরবেন অনুষ্ঠানের দিন। তবে, বিয়ের প্রাথমিক রীতি পালনের জন্য আলাদা আরও একটি পোশাকের প্রয়োজন ছিল তাঁর। সেই পোশাক খুঁজতে গিয়ে বাড়ির আলমারিতে থাকা মায়ের বিয়ের শাড়িটি চোখে পড়ে তাঁর। কীর্তি মুগ্ধ হন শাড়ির সৌন্দর্যে। তিনি একই সঙ্গে বিস্মিত হন এটা ভেবে যে তাঁর মা নিজের বিয়ের শাড়ি সংরক্ষণ করছেন বছরের পর বছর ধরে!
বিয়ের লুক সম্পূর্ণ করতে কীর্তি ঐতিহ্যবাহী নকশার হার, টিকলি এবং রিং পরেছিলেন। সেগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের পাথর এবং লাল রত্ন। শাড়ির রং ও নান্দনিক নকশার সঙ্গে মিল রেখে অলংকার পরেছিলেন তিনি। চুল বেঁধেছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় কনেদের চুল বাঁধার ঐতিহ্যবাহী নিয়মে। চুল সোজা করে একটি স্লিক বান করে তা মুড়ে দেওয়া হয়েছিল তাজা গজরা ফুল দিয়ে। এটি দক্ষিণ ভারতীয় কনেদের ক্ল্যাসিক লুক। এই আয়োজনে অ্যান্টনি পরেছিলেন অফহোয়াইট শেরওয়ানি।
আরেকটি অনুষ্ঠানে কীর্তি পরেছিলেন সবুজ পাড়ের হলুদ একটি শাড়ি। সেখানেও ছিল দক্ষিণী ঐতিহ্যবাহী লুক বজায় রেখেছিলেন। সেই আয়োজনে বর অ্যান্টনির পরনে ছিল সবুজ পারের অফহোয়াইট রঙের ধুতি।
এর আগে মায়ের শাড়ি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জামি গৌতম। তাঁর সেই লুককে বলা হয়েছিল ‘সিম্পল অ্যান্ড সুইট’। লাল সিল্কের শাড়ির ওপরে সুতোর কাজ করা মায়ের শাড়িটি পরেই নতুন জীবনে পা রেখেছিলেন জামি। শুধু শাড়ি নয়, অনেক অভিনেত্রীকে দেখা গেছে মায়ের গয়না পরতে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সোনম কাপুর। বিয়েতে পরার জন্য সোনম মা সুনিতা কাপুরের সংগ্রহ থেকে বেছে নিয়েছিলেন গয়না। ভিনটেজ সে গয়নায় তিনি সেজে ওঠেন চিরাচরিত ভারতীয় নববধূর সাজে। পরিনীতি চোপড়া বিয়েতে লেহেঙ্গার সঙ্গে কোমরে গুঁজেছিলেন তাঁর নানির অর্নামেনটেড চাবির গোছা।
ভারতের দক্ষিণী বা বলিউড অভিনেতা–অভিনেত্রীদের বিয়ে মানেই এক জাঁকালো ব্যাপার। গয়নাগাটি, পোশাকের যে ব্যাপক আয়োজন থাকে এসব বিয়েতে, তা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। দক্ষিণী এবং বলিউড অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশের বিয়েও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
১৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক গত বছরের ১১ ডিসেম্বর গড়ায় ছাদনাতলা পর্যন্ত। বর সেই ১৫ বছরের প্রেমিক অ্যান্টনি থাতিল। বিয়ের প্রথম অনুষ্ঠানে কীর্তি পরেছিলেন লাল রঙের শাড়ি। এত দিন পর কীর্তির বিয়ের কথা উঠছে মূলত এই লাল শাড়ির প্রসঙ্গেই।
কীর্তির বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল সৈকতের শহর হানিমুন ডেস্টিনেশন গোয়াতে। আয়োজন ছিল একেবারে ঘরোয়া। সে অনুষ্ঠানের ছবি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে বর অ্যান্টনি থাতিল পরেছিলেন ঐতিহ্যবাহী কুর্তা ও ধুতি। আর কনে কীর্তির পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতীয় স্টাইলে পরা শাড়ি।
‘গালট্টা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, সম্প্রতি দক্ষিণী এই অভিনেত্রী নিজের বিয়ের সবচেয়ে স্পর্শকাতর মুহূর্তটির কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, বিয়ের সময় তাঁর পরনের লাল শাড়িটি ছিল তাঁর মায়ের বিয়ের শাড়ি। কীর্তির বিয়ে উপলক্ষে সে শাড়ি সংস্কার করেছেন বিখ্যাত ডিজাইনার অনিতা দোংগ্রে। গাঢ় লাল জমিনের সে শাড়িতে ছিল রুপালি নকশা। রুপালি ও লালের সংমিশ্রণ কীর্তির বিয়ের পোশাকে যোগ করেছিল রাজকীয় আভা।
শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছিল কীর্তির জন্য। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের রংটা একদম মিলিয়ে নিয়ে যার গোল আকৃতির নেকলাইন এবং কনুইয়ের ওপর পর্যন্ত লম্বা হাত রাখা হয় ব্লাউজের। ব্লাউজের পেছনে একটি নকশা করা কাটআউট বসানো ছিল। যা ৩০ বছর পুরোনো শাড়িটিতে একটি আধুনিক ছোঁয়া যোগ করেছিল। সব মিলিয়ে কীর্তি সুরেশের বিয়ের লুক ছিল ঐতিহ্য ও আধুনিকতার একটি চমৎকার মিশ্রণ। তাঁর মায়ের শাড়ি পরা ছিল মায়ের আশীর্বাদের চিহ্ন।
এই শাড়িটি পরার পরিকল্পনা সম্পর্কে কীর্তি জানান, এটি আগে থেকে পরিকল্পনায় ছিল না। তিনি প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বর পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া একটি শাড়ি পরবেন অনুষ্ঠানের দিন। তবে, বিয়ের প্রাথমিক রীতি পালনের জন্য আলাদা আরও একটি পোশাকের প্রয়োজন ছিল তাঁর। সেই পোশাক খুঁজতে গিয়ে বাড়ির আলমারিতে থাকা মায়ের বিয়ের শাড়িটি চোখে পড়ে তাঁর। কীর্তি মুগ্ধ হন শাড়ির সৌন্দর্যে। তিনি একই সঙ্গে বিস্মিত হন এটা ভেবে যে তাঁর মা নিজের বিয়ের শাড়ি সংরক্ষণ করছেন বছরের পর বছর ধরে!
বিয়ের লুক সম্পূর্ণ করতে কীর্তি ঐতিহ্যবাহী নকশার হার, টিকলি এবং রিং পরেছিলেন। সেগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের পাথর এবং লাল রত্ন। শাড়ির রং ও নান্দনিক নকশার সঙ্গে মিল রেখে অলংকার পরেছিলেন তিনি। চুল বেঁধেছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় কনেদের চুল বাঁধার ঐতিহ্যবাহী নিয়মে। চুল সোজা করে একটি স্লিক বান করে তা মুড়ে দেওয়া হয়েছিল তাজা গজরা ফুল দিয়ে। এটি দক্ষিণ ভারতীয় কনেদের ক্ল্যাসিক লুক। এই আয়োজনে অ্যান্টনি পরেছিলেন অফহোয়াইট শেরওয়ানি।
আরেকটি অনুষ্ঠানে কীর্তি পরেছিলেন সবুজ পাড়ের হলুদ একটি শাড়ি। সেখানেও ছিল দক্ষিণী ঐতিহ্যবাহী লুক বজায় রেখেছিলেন। সেই আয়োজনে বর অ্যান্টনির পরনে ছিল সবুজ পারের অফহোয়াইট রঙের ধুতি।
এর আগে মায়ের শাড়ি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জামি গৌতম। তাঁর সেই লুককে বলা হয়েছিল ‘সিম্পল অ্যান্ড সুইট’। লাল সিল্কের শাড়ির ওপরে সুতোর কাজ করা মায়ের শাড়িটি পরেই নতুন জীবনে পা রেখেছিলেন জামি। শুধু শাড়ি নয়, অনেক অভিনেত্রীকে দেখা গেছে মায়ের গয়না পরতে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সোনম কাপুর। বিয়েতে পরার জন্য সোনম মা সুনিতা কাপুরের সংগ্রহ থেকে বেছে নিয়েছিলেন গয়না। ভিনটেজ সে গয়নায় তিনি সেজে ওঠেন চিরাচরিত ভারতীয় নববধূর সাজে। পরিনীতি চোপড়া বিয়েতে লেহেঙ্গার সঙ্গে কোমরে গুঁজেছিলেন তাঁর নানির অর্নামেনটেড চাবির গোছা।
পশ্চিমা ঘরানার পোশাক পরায় যাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা এবারের ঈদে আরামদায়ক কাপড়ের মিডি ড্রেস বেছে নিতে পারেন। চলতি ট্রেন্ডে আঁটসাঁট ও ঢিলেঢালা—দুই ধরনের মিডি ড্রেসই চলছে। হাঁটু বা তার একটু নিচের দৈর্ঘ্যের ফ্রক, ম্যাক্সি কাটিং জামা কিংবা গাউন স্টাইলের পোশাকগুলো মিডি ড্রেসের অন্তর্ভুক্ত।
৬ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদে পশু জবাই এবং মাংস কাটাকাটির ফলে কাপড়ে রক্তের দাগ লেগে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে এই দাগ তোলার জন্য কাপড়ভেদে আলাদা উপায় আছে। ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেই কাপড় থেকে রক্তের দাগ তোলা সম্ভব।
৬ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদ বলে কথা। গরুর মাংসের রেজালা, কালা ভুনা, আস্ত রসুন দিয়ে মাংসের তরকারি তো খাবেনই, সেই সঙ্গে রান্না করে নিতে পারেন গরুর মাংসের টার্কিশ পদ। তাতে খাবারে চমক ও স্বাদবদল—দুটোই থাকবে...
৬ ঘণ্টা আগেযাঁরা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন, তাঁদের বিশেষ দিন নিয়ে আলাদা ভাবতে হয় না। যাঁরা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন না, তাঁরা যদি হঠাৎ একদিন অতিরিক্ত যত্ন নেন, তাহলে ত্বকে র্যাশ, লালচে ভাব বা ব্রণ দেখা দিতে পারে। তাই শরীরের যত্ন নেওয়াটা প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে ত্বক বা চুল ভালো থাকে। ঈদে সবাই চায়...
৬ ঘণ্টা আগে