
কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ।
নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা।
সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা।
যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়।
সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে—
* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।
* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।
* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।
* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন।
উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম।
সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম।
সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন।
শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ।
নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা।
সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা।
যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়।
সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে—
* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।
* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।
* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।
* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন।
উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম।
সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম।
সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন।
শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ।
নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা।
সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা।
যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়।
সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে—
* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।
* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।
* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।
* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন।
উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম।
সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম।
সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন।
শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ।
নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা।
সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা।
যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়।
সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে—
* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।
* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।
* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।
* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন।
উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম।
সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম।
সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন।
শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
৪ মিনিট আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।
লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।
দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।
লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।
দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
২৬ এপ্রিল ২০২৪
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
৪ মিনিট আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
৪ মিনিট আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
৪ মিনিট আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে