বেনজীর আহমেদ সিদ্দিকী
দেশের প্রাচীন জনপদগুলোর একটি কিশোরগঞ্জ। পুরোনো বলে এই অঞ্চল ঐতিহ্যে ভরপুর। সেই ঐতিহ্যের একটি ধারা খাবার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে মিষ্টিজাতীয় খাবারের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার খ্যাতি রয়েছে। সেই খ্যাতি ধরে রাখতেই মনে হয় এখনো বেশ কিছু মিষ্টির দোকান টিকে রয়েছে বংশপরম্পরায়। তেমনই এক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান ‘মদন গোপাল সুইটস কেবিন’।
কিশোরগঞ্জের গৌরাঙ্গ বাজারের মোড়ে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে চোখ পড়ে গেল বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘মদন গোপাল সুইটস কেবিন’-এর দিকে। কাছে যেতেই কাচের ঘেরা জায়গায় দেখা মিলল হরেক রকমের মিষ্টির। জিভে জল আনা লোভনীয় মিষ্টি অর্ডার করার ফাঁকে কথা হলো এই দোকানের অন্যতম স্বত্বাধিকারী নিবেদন বসাকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, প্রায় ১৫০ বছর আগে এই মিষ্টির দোকানের সূচনা করেন মুরারী মোহন তালুকদার। শুরুতে এটি বাঁশ, শণ ও মাটি দিয়ে তৈরি ছোট্ট একটি ঘর ছিল। সেখানে মুরারী মোহন তালুকদার দুধের ছানা, কাঁচাগোল্লা ও রসগোল্লা বানিয়ে বিক্রি করতেন। শুরুতে বেচাকেনা কম হলেও মিষ্টির গুণাগুণ ও স্বাদ ভালো থাকায় মদন গোপালের মজাদার মিষ্টির কথা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তে থাকে তাঁর মিষ্টির সুনাম।
মুরারী মোহনের মৃত্যুর পর এই মিষ্টি ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে ধীরেন্দ্র চন্দ্র বসাক। তিনি মারা যাওয়ার পর বংশপরম্পরায় দোকানটির হাল ধরেন তাঁর দুই ছেলে নিবেদন বসাক ও চন্দন বসাক। বর্তমানে তাঁরা দুজনই দোকানটি পরিচালনা করছেন।
নিবেদন বসাক বেশ আমুদে মানুষ। আমার আগ্রহ দেখে তিনি প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও গল্পের ঝাঁপি খুলে বসেন। তিনি বলে চলেন, ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টির দোকানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। তাই খাঁটি দুধের ছানা দিয়ে মিষ্টি তৈরি করেন। সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে তাঁদের। সুনাম ধরে রাখতে মিষ্টির মানের ব্যাপারে তাঁরা কোনো আপস করেন না। তিনি জানান, মদন গোপালের সব ধরনের মিষ্টিই কমবেশি ভালো বিক্রি হয়। তবে বেশি বিক্রি হয় রসমুঞ্জরী ও কাঁচাগোল্লা। এ ছাড়া মদন গোপালের ছানার জিলাপি, আমিত্তি, বরফি, রসগোল্লার বেশ কদর রয়েছে।
লাড্ডু, প্যারা, সন্দেশ, মালাইকারি, চমচমসহ এখানকার বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক মিষ্টির জুড়ি মেলা ভার।
দরদাম
রসমুঞ্জরী প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কাঁচাগোল্লা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ছানার জিলাপি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, বরফি প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ছোট রসগোল্লা প্রতি কেজি ২২০ টাকা ও বড় রসগোল্লা ৩৫০ টাকা, লাড্ডু প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, প্যারা প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, সন্দেশ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, মালাইকারি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা এবং চমচম প্রতি কেজি ২২০ টাকা।
দেশের প্রাচীন জনপদগুলোর একটি কিশোরগঞ্জ। পুরোনো বলে এই অঞ্চল ঐতিহ্যে ভরপুর। সেই ঐতিহ্যের একটি ধারা খাবার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে মিষ্টিজাতীয় খাবারের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার খ্যাতি রয়েছে। সেই খ্যাতি ধরে রাখতেই মনে হয় এখনো বেশ কিছু মিষ্টির দোকান টিকে রয়েছে বংশপরম্পরায়। তেমনই এক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান ‘মদন গোপাল সুইটস কেবিন’।
কিশোরগঞ্জের গৌরাঙ্গ বাজারের মোড়ে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে চোখ পড়ে গেল বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘মদন গোপাল সুইটস কেবিন’-এর দিকে। কাছে যেতেই কাচের ঘেরা জায়গায় দেখা মিলল হরেক রকমের মিষ্টির। জিভে জল আনা লোভনীয় মিষ্টি অর্ডার করার ফাঁকে কথা হলো এই দোকানের অন্যতম স্বত্বাধিকারী নিবেদন বসাকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, প্রায় ১৫০ বছর আগে এই মিষ্টির দোকানের সূচনা করেন মুরারী মোহন তালুকদার। শুরুতে এটি বাঁশ, শণ ও মাটি দিয়ে তৈরি ছোট্ট একটি ঘর ছিল। সেখানে মুরারী মোহন তালুকদার দুধের ছানা, কাঁচাগোল্লা ও রসগোল্লা বানিয়ে বিক্রি করতেন। শুরুতে বেচাকেনা কম হলেও মিষ্টির গুণাগুণ ও স্বাদ ভালো থাকায় মদন গোপালের মজাদার মিষ্টির কথা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তে থাকে তাঁর মিষ্টির সুনাম।
মুরারী মোহনের মৃত্যুর পর এই মিষ্টি ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে ধীরেন্দ্র চন্দ্র বসাক। তিনি মারা যাওয়ার পর বংশপরম্পরায় দোকানটির হাল ধরেন তাঁর দুই ছেলে নিবেদন বসাক ও চন্দন বসাক। বর্তমানে তাঁরা দুজনই দোকানটি পরিচালনা করছেন।
নিবেদন বসাক বেশ আমুদে মানুষ। আমার আগ্রহ দেখে তিনি প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও গল্পের ঝাঁপি খুলে বসেন। তিনি বলে চলেন, ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টির দোকানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। তাই খাঁটি দুধের ছানা দিয়ে মিষ্টি তৈরি করেন। সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে তাঁদের। সুনাম ধরে রাখতে মিষ্টির মানের ব্যাপারে তাঁরা কোনো আপস করেন না। তিনি জানান, মদন গোপালের সব ধরনের মিষ্টিই কমবেশি ভালো বিক্রি হয়। তবে বেশি বিক্রি হয় রসমুঞ্জরী ও কাঁচাগোল্লা। এ ছাড়া মদন গোপালের ছানার জিলাপি, আমিত্তি, বরফি, রসগোল্লার বেশ কদর রয়েছে।
লাড্ডু, প্যারা, সন্দেশ, মালাইকারি, চমচমসহ এখানকার বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক মিষ্টির জুড়ি মেলা ভার।
দরদাম
রসমুঞ্জরী প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কাঁচাগোল্লা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ছানার জিলাপি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, বরফি প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ছোট রসগোল্লা প্রতি কেজি ২২০ টাকা ও বড় রসগোল্লা ৩৫০ টাকা, লাড্ডু প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, প্যারা প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, সন্দেশ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, মালাইকারি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা এবং চমচম প্রতি কেজি ২২০ টাকা।
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
১ দিন আগেটেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিংক, এক্সএআই ও দ্য বোরিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মাস্ককে ঘিরে রহস্যের কমতি নেই। এই বিশাল কর্মভারের মাঝেও তিনি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি চালু করছেন, সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তুলছেন, আবার কখনো হয়ে উঠছেন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তবে সবকিছু তিনি সামলান কীভাবে তা নিয়ে মনে প্রশ্ন
২ দিন আগেএবার বেশিরভাগ মানুষের ছুটির কোনো সমস্যা নেই। ঈদ শেষেও ছুটি হাতে থেকে যাবে। সেই থেকে যাওয়া ছুটিকে কাজে লাগাতে পারেন। এই ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মৌলভীবাজার।
২ দিন আগেঈদে দাওয়াত রক্ষা করতে যাওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বারবিকিউ পার্টি হবে না, সেটা ভাবা কষ্টকর। সেসব বিশেষ অনুষ্ঠানে খাবারের লিস্টে অনেকেই স্টেক রাখার কথা ভাবেন। স্টেকের স্বাদ তখনই সঠিকভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠে যখন এর সাইড ডিশগুলোও ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে মিলিয়ে এমন সাইড ডিশ বাছাই করত
৩ দিন আগে