রিক্তা রিচি, ঢাকা
কটির ফ্যাশন কি চলে গেছে? এ নিয়ে ভাবছিলাম। উত্তর মিলল হিমশীতল বিকেলে হাতিরঝিলে হেঁটে যাওয়া দুজন কিশোরীকে দেখে। ফুলহাতা কামিজের ওপর সানন্দে জড়িয়ে নিয়েছে রঙিন কটি। দেখা গেল, তাদের পরনের কটিগুলোয় আছে এমব্রয়ডারি করা বিভিন্ন নকশা।
কামিজ, গাউন কিংবা টপসের সঙ্গে একটি কটি যোগ করা হলে নতুনত্ব আসে। ডিজিটাল প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ করা কটি বাড়ায় পোশাকের সৌন্দর্য। অফিস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা ভ্রমণ—সব অবস্থায়ই মানিয়ে যায় এটি। যেকোনো দাওয়ায় অনায়াসে যাওয়া যায় কটি পরে। শর্ট, লং ও সেমি লং—এই তিন ধরনের কটি ডিজাইন করে থাকেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কটি কি কেবল শীতের পোশাক? না, সব ঋতু মাথায় রেখেই কটি ডিজাইন ও তৈরি করে থাকেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। অবশ্য শীতে কটি পায় আলাদা কদর।
কটির পাশাপাশি কটিযুক্ত জামাও তৈরি করছেন অনেকে। অন্যান্য সাধারণ পোশাকের তুলনায় অন্য রকম ব্যঞ্জনা তৈরি করে কটিযুক্ত পোশাক। রঙ বাংলাদেশ, তাগা, লা রিভ, হরীতকী, অম্বর, কারভি কিউসহ বেশ কিছু পোশাকের ব্র্যান্ড ও কিছু অনলাইন পেজ কটি নিয়ে কাজ করছে।
তাগায় পাওয়া যাচ্ছে কোট স্টাইলের লং কটি ও শর্ট কটি। সেগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি, ভিসকস ও লিনেন কাপড়। কটিতে রয়েছে স্ক্রিনপ্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ। ফুলেল নকশা, জিগজ্যাগ রেখা, জ্যামিতিক প্যাটার্ন ইত্যাদি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লং ও শর্ট কটিতে। তাগা থেকে কোট কলারের কটি কিনতে পারবেন ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
লা রিভেও পাওয়া যাচ্ছে স্লিভলেস ও শর্ট কটি। লাল, কালো, হলুদ ইত্যাদি উজ্জ্বল রঙের কটি রয়েছে ব্র্যান্ডটিতে। এগুলোর কলারে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যান্ড ও কোট কলার। সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে ডলারের কাজ, স্ক্রিনপ্রিন্ট ও টার্সেল। দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। সাধ্যের মধ্যে নিজের পছন্দের কটি পাবেন লা রিভে।
শীত ও ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে হরীতকী নিয়ে এসেছে নতুন কিছু কটি। হরীতকীর ডিজাইনার ও কো-ফাউন্ডার অনিক কুন্ডু বলেন, ‘আমাদের কটিগুলো মূলত তিন ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি। বিভিন্ন মোটিফে প্রিন্টেড কটিগুলো মূলত ৬০/৬০ দেশি সুতি কাপড়ের দুই স্তরে তৈরি। ওপরের স্তর প্রিন্ট করা আর ভেতরের স্তর প্রিন্ট ছাড়া। আমাদের মোটিফগুলো মূলত ফোক ফর্ম ও ফোক প্রাচীন চিত্রকলা থেকে অনুপ্রাণিত।’
অনিক কুন্ডু জানান, শীতের কথা বিবেচনায় রেখে সুতি কাপড়ের ওপর আরও দুটি স্তর দিয়ে কটিগুলো তৈরি করা হয়েছে। আর কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জিনস, গ্যাবার্ডিন ও সুতির মোটা কাপড়।
হরীতকীর এমব্রয়ডারি কাজের কটিগুলোর মধ্যে লাল ও কালো রঙের যে কটিগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো গ্যাবার্ডিন কাপড় এবং নীল কটিগুলো ডেনিম কাপড়ের তৈরি বলে জানান হরীতকীর আরেক কো-ফাউন্ডার ও ডিজাইনার বলরাম পাল।
হরীতকীর ডিজাইনার জানান, হরীতকীর সুতি কটিগুলোর সঙ্গে ম্যাচিং করে ব্যাগও আনা হয়েছে। কটিগুলোর দাম ৫০০ থেকে শুরু করে ৬৯০ টাকা পর্যন্ত। এগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ব্যাগ কেনা যাবে ২৯০ টাকা দিয়ে।
অম্বরে পাওয়া যাচ্ছে কটিযুক্ত জামা। অর্থাৎ কটিগুলো মূল জামার সঙ্গে যুক্ত। অম্বর সুতি কাপড়ের জামায় করেছে স্ক্রিন প্রিন্ট ও সুতার এমব্রয়ডারির কাজ।
অম্বরের কর্ণধার ও ডিজাইনার শ্রাবণী রায় বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত কটিযুক্ত জামা কিশোরীরা অর্থাৎ অল্প বয়সীরা পরতে পছন্দ করে। কিন্তু এখন দেখা যায়, যাঁরা মধ্যবয়স্ক, তাঁরাও শখ করে কটিযুক্ত জামা পরতে ভালোবাসেন। আর এ জামাগুলো সারা বছরই চলে। কটিযুক্ত জামায় আমরা উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য দিয়ে থাকি।’
শ্রাবণী রায় বলেন, ‘কটিতে ফুল, জ্যামিতিক ইত্যাদি মোটিফ ব্যবহার করি আমরা। এ ছাড়া প্রিন্টের সঙ্গে এমব্রয়ডারি, ডলারের কাজ, হাতের কাজ রাখি। এগুলো কটির সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে তোলে। আমরা কটিতে বিভিন্ন প্যাটার্ন ব্যবহার করি। যেমন কোট টাইপের কটি, ঘের দিয়ে কুঁচির মতো করে বানানো কটি, রাউন্ড শেপ অর্থাৎ গোল আকৃতির কটি। আবার অনেক সময় আমরা সামনে ফাড়া দিই না। ওপর থেকে পরা যায় এমন ধরনের কটিও করা হয়।’ অম্বরের কটিযুক্ত জামাগুলোর দাম ১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে।
কারভি কিউতে পাওয়া যাচ্ছে লং কটি ও কামিজ। ফুল হাতার লং কটি শীতে উষ্ণতা দেবে। কারভি কিউ থেকে কটি কেনা যাবে ১ হাজার ৩৫০ টাকা করে। সেমিজসহ কটি কেনা যাবে ১ হাজার ৭৫০ টাকা দামে।
আরও পড়ুন:
কটির ফ্যাশন কি চলে গেছে? এ নিয়ে ভাবছিলাম। উত্তর মিলল হিমশীতল বিকেলে হাতিরঝিলে হেঁটে যাওয়া দুজন কিশোরীকে দেখে। ফুলহাতা কামিজের ওপর সানন্দে জড়িয়ে নিয়েছে রঙিন কটি। দেখা গেল, তাদের পরনের কটিগুলোয় আছে এমব্রয়ডারি করা বিভিন্ন নকশা।
কামিজ, গাউন কিংবা টপসের সঙ্গে একটি কটি যোগ করা হলে নতুনত্ব আসে। ডিজিটাল প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ করা কটি বাড়ায় পোশাকের সৌন্দর্য। অফিস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা ভ্রমণ—সব অবস্থায়ই মানিয়ে যায় এটি। যেকোনো দাওয়ায় অনায়াসে যাওয়া যায় কটি পরে। শর্ট, লং ও সেমি লং—এই তিন ধরনের কটি ডিজাইন করে থাকেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কটি কি কেবল শীতের পোশাক? না, সব ঋতু মাথায় রেখেই কটি ডিজাইন ও তৈরি করে থাকেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। অবশ্য শীতে কটি পায় আলাদা কদর।
কটির পাশাপাশি কটিযুক্ত জামাও তৈরি করছেন অনেকে। অন্যান্য সাধারণ পোশাকের তুলনায় অন্য রকম ব্যঞ্জনা তৈরি করে কটিযুক্ত পোশাক। রঙ বাংলাদেশ, তাগা, লা রিভ, হরীতকী, অম্বর, কারভি কিউসহ বেশ কিছু পোশাকের ব্র্যান্ড ও কিছু অনলাইন পেজ কটি নিয়ে কাজ করছে।
তাগায় পাওয়া যাচ্ছে কোট স্টাইলের লং কটি ও শর্ট কটি। সেগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি, ভিসকস ও লিনেন কাপড়। কটিতে রয়েছে স্ক্রিনপ্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ। ফুলেল নকশা, জিগজ্যাগ রেখা, জ্যামিতিক প্যাটার্ন ইত্যাদি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লং ও শর্ট কটিতে। তাগা থেকে কোট কলারের কটি কিনতে পারবেন ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
লা রিভেও পাওয়া যাচ্ছে স্লিভলেস ও শর্ট কটি। লাল, কালো, হলুদ ইত্যাদি উজ্জ্বল রঙের কটি রয়েছে ব্র্যান্ডটিতে। এগুলোর কলারে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যান্ড ও কোট কলার। সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে ডলারের কাজ, স্ক্রিনপ্রিন্ট ও টার্সেল। দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। সাধ্যের মধ্যে নিজের পছন্দের কটি পাবেন লা রিভে।
শীত ও ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে হরীতকী নিয়ে এসেছে নতুন কিছু কটি। হরীতকীর ডিজাইনার ও কো-ফাউন্ডার অনিক কুন্ডু বলেন, ‘আমাদের কটিগুলো মূলত তিন ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি। বিভিন্ন মোটিফে প্রিন্টেড কটিগুলো মূলত ৬০/৬০ দেশি সুতি কাপড়ের দুই স্তরে তৈরি। ওপরের স্তর প্রিন্ট করা আর ভেতরের স্তর প্রিন্ট ছাড়া। আমাদের মোটিফগুলো মূলত ফোক ফর্ম ও ফোক প্রাচীন চিত্রকলা থেকে অনুপ্রাণিত।’
অনিক কুন্ডু জানান, শীতের কথা বিবেচনায় রেখে সুতি কাপড়ের ওপর আরও দুটি স্তর দিয়ে কটিগুলো তৈরি করা হয়েছে। আর কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জিনস, গ্যাবার্ডিন ও সুতির মোটা কাপড়।
হরীতকীর এমব্রয়ডারি কাজের কটিগুলোর মধ্যে লাল ও কালো রঙের যে কটিগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো গ্যাবার্ডিন কাপড় এবং নীল কটিগুলো ডেনিম কাপড়ের তৈরি বলে জানান হরীতকীর আরেক কো-ফাউন্ডার ও ডিজাইনার বলরাম পাল।
হরীতকীর ডিজাইনার জানান, হরীতকীর সুতি কটিগুলোর সঙ্গে ম্যাচিং করে ব্যাগও আনা হয়েছে। কটিগুলোর দাম ৫০০ থেকে শুরু করে ৬৯০ টাকা পর্যন্ত। এগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ব্যাগ কেনা যাবে ২৯০ টাকা দিয়ে।
অম্বরে পাওয়া যাচ্ছে কটিযুক্ত জামা। অর্থাৎ কটিগুলো মূল জামার সঙ্গে যুক্ত। অম্বর সুতি কাপড়ের জামায় করেছে স্ক্রিন প্রিন্ট ও সুতার এমব্রয়ডারির কাজ।
অম্বরের কর্ণধার ও ডিজাইনার শ্রাবণী রায় বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত কটিযুক্ত জামা কিশোরীরা অর্থাৎ অল্প বয়সীরা পরতে পছন্দ করে। কিন্তু এখন দেখা যায়, যাঁরা মধ্যবয়স্ক, তাঁরাও শখ করে কটিযুক্ত জামা পরতে ভালোবাসেন। আর এ জামাগুলো সারা বছরই চলে। কটিযুক্ত জামায় আমরা উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য দিয়ে থাকি।’
শ্রাবণী রায় বলেন, ‘কটিতে ফুল, জ্যামিতিক ইত্যাদি মোটিফ ব্যবহার করি আমরা। এ ছাড়া প্রিন্টের সঙ্গে এমব্রয়ডারি, ডলারের কাজ, হাতের কাজ রাখি। এগুলো কটির সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে তোলে। আমরা কটিতে বিভিন্ন প্যাটার্ন ব্যবহার করি। যেমন কোট টাইপের কটি, ঘের দিয়ে কুঁচির মতো করে বানানো কটি, রাউন্ড শেপ অর্থাৎ গোল আকৃতির কটি। আবার অনেক সময় আমরা সামনে ফাড়া দিই না। ওপর থেকে পরা যায় এমন ধরনের কটিও করা হয়।’ অম্বরের কটিযুক্ত জামাগুলোর দাম ১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে।
কারভি কিউতে পাওয়া যাচ্ছে লং কটি ও কামিজ। ফুল হাতার লং কটি শীতে উষ্ণতা দেবে। কারভি কিউ থেকে কটি কেনা যাবে ১ হাজার ৩৫০ টাকা করে। সেমিজসহ কটি কেনা যাবে ১ হাজার ৭৫০ টাকা দামে।
আরও পড়ুন:
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৪ ঘণ্টা আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২ দিন আগে