আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

অবাক লাগলেও সত্য, চকলেট কেবল মনই ভালো করে না, এটি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাটেকিনস, পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনলস। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস। চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। চকলেট ফেস মাস্ক আপনার ত্বকে এনে...
৫ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণেরা শৈশব থেকে স্মার্টফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং দ্রুতগতির কনটেন্টের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। একে বলা হচ্ছে ‘ডিজিটাল ব্রেন রট’। এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি নিয়ে নতুন উদ্বেগ...
৭ ঘণ্টা আগে
বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়।
১২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

অবাক লাগলেও সত্য, চকলেট কেবল মনই ভালো করে না, এটি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাটেকিনস, পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনলস। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস। চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। চকলেট ফেস মাস্ক আপনার ত্বকে এনে দিতে পারে উজ্জ্বলতা। তবে এটা করতে সব সময় স্যালনে যেতে হবে, তেমনটা নয়। এটি ঘরেও করা যাবে। ঘরে তৈরি কিছু চকলেট ফেস মাস্ক সম্পর্কে জেনে নিন এখানে।
অ্যান্টি-অ্যাকনে চকলেট মাস্ক
তৈলাক্ত ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য এই মাস্ক কার্যকর। এটি তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ চিনি, ডার্ক কোকো পাউডার, এক চিমটি দারুচিনি পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মধু ও কোকোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক শুষ্ক না করেই ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে।
কোকো-দই ব্রাইটেনিং মাস্ক
উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ কোকো পাউডার, ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২ টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ও টক দই ত্বকের দাগ দূর করে এবং কোকো ও নারকেল তেল ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
হাইড্রেটিং কোকো-ক্রিম মাস্ক
১ টেবিল চামচ কোকো পাউডারের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ দুধের সর মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই মাস্ক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ থেকে ৩০ মিনিট। পরে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকে নরম, মসৃণ ও স্নিগ্ধ একটা ভাব এসেছে।

চকলেট-কলা গ্লো প্যাক
উজ্জ্বল ও নরম ত্বক পেতে প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, ১ টেবিল চামচ মধু, আধা কাপ পেস্ট করা পাকা কলা এবং ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোকো ও কলা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং টক দই মসৃণতা বাড়ায়।
ওটমিল-কোকো প্যাক
এটি তৈরি করতে আধা কাপ কোকো পাউডার, ৩ টেবিল চামচ ওটমিল, ১ টেবিল চামচ দুধের সর এবং ১ টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ওটমিল ত্বক মৃদু এক্সফোলিয়েট করে পরিষ্কার করে সতেজ করে তোলে।
ডিমের কুসুম-কোকো হাইড্রেশন মাস্ক
আধা কাপ কোকো পাউডারের সঙ্গে ১টি ডিমের কুসুম এবং ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করে আর্দ্রতা বজায় রাখে।
অ্যাভোকাডো-কোকো ফেস মাস্ক
চেহারায় বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ কমাতে মাস্কটি বেশ কার্যকরী। এর জন্য ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ পেস্ট করা অ্যাভোকাডো, ২ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ এবং ২ টেবিল চামচ জলপাই বা তিসির তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
বেসন-লেবু চকলেট মাস্ক
১ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ টক দই, আধা কাপ কোকো পাউডার এবং অর্ধেক লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। বেসন ও লেবু ত্বকের দাগ দূর করে এবং টক দই ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

অবাক লাগলেও সত্য, চকলেট কেবল মনই ভালো করে না, এটি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাটেকিনস, পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনলস। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস। চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। চকলেট ফেস মাস্ক আপনার ত্বকে এনে দিতে পারে উজ্জ্বলতা। তবে এটা করতে সব সময় স্যালনে যেতে হবে, তেমনটা নয়। এটি ঘরেও করা যাবে। ঘরে তৈরি কিছু চকলেট ফেস মাস্ক সম্পর্কে জেনে নিন এখানে।
অ্যান্টি-অ্যাকনে চকলেট মাস্ক
তৈলাক্ত ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য এই মাস্ক কার্যকর। এটি তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ চিনি, ডার্ক কোকো পাউডার, এক চিমটি দারুচিনি পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মধু ও কোকোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক শুষ্ক না করেই ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে।
কোকো-দই ব্রাইটেনিং মাস্ক
উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ কোকো পাউডার, ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২ টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ও টক দই ত্বকের দাগ দূর করে এবং কোকো ও নারকেল তেল ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
হাইড্রেটিং কোকো-ক্রিম মাস্ক
১ টেবিল চামচ কোকো পাউডারের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ দুধের সর মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই মাস্ক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ থেকে ৩০ মিনিট। পরে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকে নরম, মসৃণ ও স্নিগ্ধ একটা ভাব এসেছে।

চকলেট-কলা গ্লো প্যাক
উজ্জ্বল ও নরম ত্বক পেতে প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, ১ টেবিল চামচ মধু, আধা কাপ পেস্ট করা পাকা কলা এবং ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোকো ও কলা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং টক দই মসৃণতা বাড়ায়।
ওটমিল-কোকো প্যাক
এটি তৈরি করতে আধা কাপ কোকো পাউডার, ৩ টেবিল চামচ ওটমিল, ১ টেবিল চামচ দুধের সর এবং ১ টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ওটমিল ত্বক মৃদু এক্সফোলিয়েট করে পরিষ্কার করে সতেজ করে তোলে।
ডিমের কুসুম-কোকো হাইড্রেশন মাস্ক
আধা কাপ কোকো পাউডারের সঙ্গে ১টি ডিমের কুসুম এবং ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করে আর্দ্রতা বজায় রাখে।
অ্যাভোকাডো-কোকো ফেস মাস্ক
চেহারায় বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ কমাতে মাস্কটি বেশ কার্যকরী। এর জন্য ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ পেস্ট করা অ্যাভোকাডো, ২ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ এবং ২ টেবিল চামচ জলপাই বা তিসির তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
বেসন-লেবু চকলেট মাস্ক
১ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ টক দই, আধা কাপ কোকো পাউডার এবং অর্ধেক লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। বেসন ও লেবু ত্বকের দাগ দূর করে এবং টক দই ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণেরা শৈশব থেকে স্মার্টফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং দ্রুতগতির কনটেন্টের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। একে বলা হচ্ছে ‘ডিজিটাল ব্রেন রট’। এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি নিয়ে নতুন উদ্বেগ...
৭ ঘণ্টা আগে
বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়।
১২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

প্রযুক্তিনির্ভর জীবনযাপন জেন জেড প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই তরুণেরা শৈশব থেকে স্মার্টফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং দ্রুতগতির কনটেন্টের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। একে বলা হচ্ছে ‘ডিজিটাল ব্রেন রট’। এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ডিজিটাল ব্রেন রট: সমস্যা কোথায়
ডিজিটাল ব্রেন রট বা অতিরিক্ত স্ক্রিন আসক্তির ফলে মস্তিষ্কের মনোযোগ কমে যায়, দ্রুত ক্লান্তিবোধ হয়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয় এবং গভীর চিন্তার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে ছোট ভিডিওর হঠাৎ উত্তেজনা, উজ্জ্বল ভিজ্যুয়াল এবং দ্রুত তথ্যের স্রোত মস্তিষ্কে ধারাবাহিকভাবে ডোপামিন তৈরি করে। এতে মস্তিষ্ক স্বল্প সময়ে দ্রুত আনন্দের প্রতি আরও নির্ভর হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের অভ্যাসের ফলে—
ডিজিটাল ফিডের নিয়মিত উত্তেজনার কারণে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। যাকে ‘ব্রেন রট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন গবেষকেরা।
গবেষণা ও মেডিকেল দৃষ্টিভঙ্গি

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্র এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালিয়েছে।
মনোযোগ কমে যাওয়ার প্রমাণ: স্ট্যানফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহারকারীদের মনোযোগ ২০০০ সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দ্রুত কনটেন্ট দেখার অভ্যাসের ফলে দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্মৃতিশক্তির ক্ষতি: এমআইটির গবেষকেরা দেখিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের টানা উত্তেজনায় মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশ কম সক্রিয় হয়ে পড়ে। এই অংশ স্মৃতিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মস্তিষ্ক বার্ধক্য: মস্তিষ্কে নিয়মিত ডোপামিন ওঠা নামার কারণে নিউরাল কানেকশন দুর্বল হতে থাকে। কিছু নিউরোসায়েন্টিস্ট এটিকে ‘অ্যাক্সেলারেটেড ব্রেন এজিং’ অর্থাৎ স্বাভাবিক বয়সের তুলনায় দ্রুত স্নায়বিক ক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করছেন।
মানসিক চাপ বৃদ্ধি: ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর গবেষণায় দেখা গেছে, ডুমস্ক্রলিং উদ্বেগ, হতাশা এবং ঘুমের ব্যাঘাত তৈরি করে, যা পরে চিন্তার স্থিতিশীলতা কমিয়ে দেয়।
জেন জেডই আবার রুখে দাঁড়াচ্ছে
অদ্ভুত বিষয় হলো, যে প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, তাঁরাই আবার এ বিষয়ে বেশি সচেতন। তাঁরা সাংস্কৃতিকভাবে একধরনের নতুন ডিজিটাল সচেতনতার পথ তৈরি করছেন।
বিপরীত আন্দোলন
অনেক জনপ্রিয় টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম নির্মাতা নিয়মিত ‘অ্যান্টি-ব্রেন রট’ সিরিজ করছেন। তাঁদের ভিডিওতে থাকে—
তরুণেরা এসব ভিডিও শেয়ার করছেন, একে অপরকে উৎসাহ দিচ্ছেন। মোবাইল ফোননির্ভর জীবনের বিরুদ্ধে একধরনের যৌথ চর্চা গড়ে উঠেছে তাঁদের মধ্যে।
মাসিক ব্যক্তিগত কারিকুলাম
জেন জেডের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড হলো নিজস্ব ‘মাসিক কারিকুলাম’ তৈরি করা। তাঁরা মাসজুড়ে কোন বই পড়বেন, কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করবেন, কোন রুটিন মেনে চলবেন— এসব তালিকা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
একটি মাসিক কারিকুলামে থাকে সাধারণত—
এই ট্রেন্ড দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে; কারণ, এটি বাস্তবসম্মত এবং তরুণেরা নিজেরাই একে অনুসরণযোগ্য মনে করছেন।
টেক ফ্রি সামাজিক পরিবেশ
যেকোনো আড্ডায় মোবাইল ফোন দূরে রাখা এখন তরুণদের মধ্যে একটি নতুন নিয়ম হয়ে উঠছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন ফ্রি রেস্টুরেন্ট দিন দিন বাড়ছে। বন্ধুরা একসঙ্গে বসে গল্প করছে, বোর্ড গেম খেলছে বা কফি পানের সময় মোবাইল ফোন জমা রাখছে।
অ্যাপ দিয়ে অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ
জেন জেড এমনকি প্রযুক্তিকেও ব্যবহার করছে প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। তাঁরা স্ক্রিন টাইম সীমা সেট করা, নোটিফিকেশন বন্ধ করা বা ফোকাস মোড চালানোর জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন। ফরেস্ট, ওপাল, ওয়ান সেক, ফ্রিডম—এসব অ্যাপ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় কমাতে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
ডিজিটাল যুগে যেকোনো ধরনের স্ক্রিন এড়ানো কঠিন। কিন্তু জেন জেড এসবের মধ্য থেকেই নিজেদের সমাধানের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। এই সংস্কৃতি বদল পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে থাকবে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

প্রযুক্তিনির্ভর জীবনযাপন জেন জেড প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই তরুণেরা শৈশব থেকে স্মার্টফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং দ্রুতগতির কনটেন্টের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। একে বলা হচ্ছে ‘ডিজিটাল ব্রেন রট’। এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ডিজিটাল ব্রেন রট: সমস্যা কোথায়
ডিজিটাল ব্রেন রট বা অতিরিক্ত স্ক্রিন আসক্তির ফলে মস্তিষ্কের মনোযোগ কমে যায়, দ্রুত ক্লান্তিবোধ হয়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয় এবং গভীর চিন্তার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে ছোট ভিডিওর হঠাৎ উত্তেজনা, উজ্জ্বল ভিজ্যুয়াল এবং দ্রুত তথ্যের স্রোত মস্তিষ্কে ধারাবাহিকভাবে ডোপামিন তৈরি করে। এতে মস্তিষ্ক স্বল্প সময়ে দ্রুত আনন্দের প্রতি আরও নির্ভর হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের অভ্যাসের ফলে—
ডিজিটাল ফিডের নিয়মিত উত্তেজনার কারণে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। যাকে ‘ব্রেন রট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন গবেষকেরা।
গবেষণা ও মেডিকেল দৃষ্টিভঙ্গি

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্র এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালিয়েছে।
মনোযোগ কমে যাওয়ার প্রমাণ: স্ট্যানফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহারকারীদের মনোযোগ ২০০০ সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দ্রুত কনটেন্ট দেখার অভ্যাসের ফলে দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্মৃতিশক্তির ক্ষতি: এমআইটির গবেষকেরা দেখিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের টানা উত্তেজনায় মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশ কম সক্রিয় হয়ে পড়ে। এই অংশ স্মৃতিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মস্তিষ্ক বার্ধক্য: মস্তিষ্কে নিয়মিত ডোপামিন ওঠা নামার কারণে নিউরাল কানেকশন দুর্বল হতে থাকে। কিছু নিউরোসায়েন্টিস্ট এটিকে ‘অ্যাক্সেলারেটেড ব্রেন এজিং’ অর্থাৎ স্বাভাবিক বয়সের তুলনায় দ্রুত স্নায়বিক ক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করছেন।
মানসিক চাপ বৃদ্ধি: ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর গবেষণায় দেখা গেছে, ডুমস্ক্রলিং উদ্বেগ, হতাশা এবং ঘুমের ব্যাঘাত তৈরি করে, যা পরে চিন্তার স্থিতিশীলতা কমিয়ে দেয়।
জেন জেডই আবার রুখে দাঁড়াচ্ছে
অদ্ভুত বিষয় হলো, যে প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, তাঁরাই আবার এ বিষয়ে বেশি সচেতন। তাঁরা সাংস্কৃতিকভাবে একধরনের নতুন ডিজিটাল সচেতনতার পথ তৈরি করছেন।
বিপরীত আন্দোলন
অনেক জনপ্রিয় টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম নির্মাতা নিয়মিত ‘অ্যান্টি-ব্রেন রট’ সিরিজ করছেন। তাঁদের ভিডিওতে থাকে—
তরুণেরা এসব ভিডিও শেয়ার করছেন, একে অপরকে উৎসাহ দিচ্ছেন। মোবাইল ফোননির্ভর জীবনের বিরুদ্ধে একধরনের যৌথ চর্চা গড়ে উঠেছে তাঁদের মধ্যে।
মাসিক ব্যক্তিগত কারিকুলাম
জেন জেডের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড হলো নিজস্ব ‘মাসিক কারিকুলাম’ তৈরি করা। তাঁরা মাসজুড়ে কোন বই পড়বেন, কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করবেন, কোন রুটিন মেনে চলবেন— এসব তালিকা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
একটি মাসিক কারিকুলামে থাকে সাধারণত—
এই ট্রেন্ড দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে; কারণ, এটি বাস্তবসম্মত এবং তরুণেরা নিজেরাই একে অনুসরণযোগ্য মনে করছেন।
টেক ফ্রি সামাজিক পরিবেশ
যেকোনো আড্ডায় মোবাইল ফোন দূরে রাখা এখন তরুণদের মধ্যে একটি নতুন নিয়ম হয়ে উঠছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন ফ্রি রেস্টুরেন্ট দিন দিন বাড়ছে। বন্ধুরা একসঙ্গে বসে গল্প করছে, বোর্ড গেম খেলছে বা কফি পানের সময় মোবাইল ফোন জমা রাখছে।
অ্যাপ দিয়ে অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ
জেন জেড এমনকি প্রযুক্তিকেও ব্যবহার করছে প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। তাঁরা স্ক্রিন টাইম সীমা সেট করা, নোটিফিকেশন বন্ধ করা বা ফোকাস মোড চালানোর জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন। ফরেস্ট, ওপাল, ওয়ান সেক, ফ্রিডম—এসব অ্যাপ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় কমাতে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
ডিজিটাল যুগে যেকোনো ধরনের স্ক্রিন এড়ানো কঠিন। কিন্তু জেন জেড এসবের মধ্য থেকেই নিজেদের সমাধানের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। এই সংস্কৃতি বদল পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে থাকবে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অবাক লাগলেও সত্য, চকলেট কেবল মনই ভালো করে না, এটি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাটেকিনস, পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনলস। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস। চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। চকলেট ফেস মাস্ক আপনার ত্বকে এনে...
৫ ঘণ্টা আগে
বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়।
১২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেসুমন্ত গুপ্ত

বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়। তাই তো রহস্যপিয়াসি পর্যটকদের পদধ্বনিতে মুখর উৎলার পাড়ের পোড়ামাটির পথ।
গ্রামের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে পোড়ামাটির একটি টিলা। স্থানীয়দের কাছে সেটি আগুন পাহাড় নামে পরিচিত। টিলার গায়ে অনেক ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্ত দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে। দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেই দপ করে আগুন জ্বলে। শোনা গেল, ৭০ বছর ধরে গ্যাস এভাবেই নির্গমন হচ্ছে এই টিলা দিয়ে।
টিলা থেকে ১০ মিনিট হাঁটলেই দেখা মিলবে আরও একটি তাক লাগানো পুকুরের। ৭০ বছর ধরে এই পুকুরের পানি দিয়ে বুদ্বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে। বুদ্বুদ থেকে সৃষ্ট ফেনা জমিয়ে আগুন দিলে পুকুরের পানিতেও আগুন জ্বলে ওঠে! সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার উৎলার পাড় গ্রামে গেলে দেখা মিলবে এই টিলার।
২. ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা। ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মাঝে মোবাইল ফোন বেজে উঠল। তাকিয়ে দেখলাম, আমাদের ভ্রমণের জন্য তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নক দিচ্ছেন একজন। ক্রমে অন্য ভ্রমণসঙ্গীরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সক্রিয় হয়ে উঠলেন। সবাই আশপাশে হলেও ঘুরতে যেতে চান। এরপর মাথায় এল সিলেটের হরিপুরের আগুন পাহাড়ের কথা। ছোটবেলায় অনেক শুনেছি তার গল্প। আমার প্রস্তাবে সবাই একবাক্যে রাজি। ঠিক হলো, দুপুরের পর রওনা দেওয়া হবে।
পরদিন যথাসময়ে ভ্রমণ গ্রুপের সবাই এসে উপস্থিত। নাগরিক পরিবেশ ছেড়ে চার চাকার বাহন এগিয়ে চলল আগুন পাহাড় পানে। সময় যেন ফুরাচ্ছিল না। প্রায় এক ঘণ্টা পর আমরা উপস্থিত হলাম কাছাকাছি। সামনে গেলেই আগুন পাহাড়। তার প্রায় আধা কিলোমিটার এগিয়ে গেলে পাওয়া যাবে সেই বিস্ময়কর পুকুরের দেখা, যেখানে পানিতে আগুন জ্বলে।

আমরা গাড়ির থেকে নেমে পদব্রজে এগিয়ে যেতে লাগলাম। বাঁ পাশে সবুজ ধানখেত, তার পাশে আগুন পাহাড়। সূর্যে প্রভায় আগুনের রূপ দেখা যাচ্ছিল না ঠিকমতো। তবে আগুনের উষ্ণতা ঠাহর করা যাচ্ছে। ভ্রমণসঙ্গীরা যে যার মতো ছবি তোলায় মগ্ন হয়ে পড়লেন। আমি আর বাকি থাকি কেন! দিন ছোট, তাই এখনই পুকুরপানে না গেলে রাত হয়ে যাবে। তাই আমরা দৌড় লাগালাম সেদিকে।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পায় তৎকালীন পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল)। গ্যাস তোলার জন্য সে বছরেই কূপ খননের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। সে জন্য অনুসন্ধানে ব্যবহৃত সব যন্ত্রপাতি এবং নির্মিত ভবন ভূগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভূমিধসে ওই জায়গায় পুকুরের মতো গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে গর্তের পানিতে সব সময় বুদ্বুদ দেখা যায়। সেখানে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেই পানিতে আগুন ধরে যায়।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এখানে শাহ আহমদ আলী নামের একজন কামেল পীরের মাজার রয়েছে। গ্যাস কূপ খননের সময় তিনি নিষেধ করে অন্য জায়গা থেকে গ্যাস তোলার কথা বলেন। না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলেও তিনি সাবধান করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই পীরের কথা না শুনে কূপ খনন করায় সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মাটি উড়ে গিয়ে এবং মাটি ধসে পুকুর আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়। এই পুকুরের গভীরতা আজও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণের পর বেশ কিছুদিন পুরো এলাকায় আগুন জ্বলতে থাকে। কোনোভাবে সেই আগুন নেভাতে না পেরে সেই পীরের দ্বারস্থ হয় গ্যাস কর্তৃপক্ষ। কামেল পীরের ‘ফুঁ’ দেওয়া বালু ছিটানো হলে জ্বলন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে!

গল্প যা-ই হোক। বিস্ফোরণের পর থেকে গর্তে বুদ্বুদ দেখা দেওয়ায় ওই গ্রামের নামকরণ হয় উৎলার পাড়। পানি থেকে গ্যাস উথলে ওঠার কারণে এই নামকরণ। আমরা এগিয়ে চলেছি পুকুরপানে। পথিমধ্যে দোকান থেকে দেশলাই বক্স কিনে নেওয়া হলো পুকুরের পানিতে আগুন জ্বালানোর জন্য। আমি মনে মনে ভাবলাম, পানিতে আবার কীভাবে আগুন জ্বলবে!
পুকুরের কাছে পৌঁছতেই শোঁ শোঁ শব্দ কানে এল। পানিতে দেখা গেল বুদ্বুদ। আমাদের মতো অনেকে এসেছেন এখানে। কেউ কেউ আবার ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে পানিতে ফেলে দেখার চেষ্টা করছেন, আগুন কি ঠিকই জ্বলে পানিতে! সবার মতো আমরাও বেশ চেষ্টা করলাম। কিন্তু অন্য সবার মতো বিফল হলাম।

এর মাঝে দেখা হলো কিশোর মহসিনের সঙ্গে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ঠিকই কি পানিতে আগুন জ্বলে? আমরা তো জ্বালাতে পারলাম না। পানিতে ম্যাচের কাঠি পড়ার আগেই নিভে যায়। এবার মহসিন পানিতে নেমে আমাদের দেখাল কীভাবে পানিতে আগুন জ্বলে। এদিকে সূর্য পাটে যাচ্ছে। মহসিনের ম্যাজিক দেখে আমরা আগুন পাহাড়ের দিকে ফিরে চললাম। সেখানে ধানখেতের পাশে মানুষের জটলা দেখা গেল। আমরা এগিয়ে গেলাম সেদিকে। দেখা গেল, সেখানে মাটিতে আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে! আঁধার ঘনিয়ে আসায় আগুনের আলোর ছটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। আগুন পাহাড়ের গর্তগুলোর ভেতরে আগুন জ্বলছে। আমি চেষ্টা করলাম মোবাইল ফোনে ছবি তোলার। এ এক অন্য রকমের অভিজ্ঞতা।
কীভাবে যাবেন
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট কিংবা ধোপাদীঘির পাড় থেকে জাফলং অভিমুখী বাস, অটোরিকশা ও লেগুনায় উঠে নামতে হবে হরিপুর বাজারে। সময় লাগবে ৫০-৫৫ মিনিট। এরপর হরিপুর বাজারে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যেতে হবে উৎলার পাড়ে। জাফলং বা লালাখাল ঘুরতে গেলে হরিপুর হয়েই যেতে হয়। চাইলে খুব অল্প সময়ে জাফলং ভ্রমণের সঙ্গে আগুন পাহাড় ঘুরে দেখতে পারবেন সহজে।
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট কিংবা ধোপাদীঘির পাড় থেকে জাফলং অভিমুখী বাস, অটোরিকশা ও লেগুনায় উঠে নামতে হবে হরিপুর বাজারে। সময় লাগবে ৫০-৫৫ মিনিট। এরপর হরিপুর বাজারে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যেতে হবে উৎলার পাড়ে। জাফলং বা লালাখাল ঘুরতে গেলে হরিপুর হয়েই যেতে হয়। চাইলে খুব অল্প সময়ে জাফলং ভ্রমণের সঙ্গে আগুন পাহাড় ঘুরে দেখতে পারবেন সহজে।

বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়। তাই তো রহস্যপিয়াসি পর্যটকদের পদধ্বনিতে মুখর উৎলার পাড়ের পোড়ামাটির পথ।
গ্রামের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে পোড়ামাটির একটি টিলা। স্থানীয়দের কাছে সেটি আগুন পাহাড় নামে পরিচিত। টিলার গায়ে অনেক ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্ত দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে। দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেই দপ করে আগুন জ্বলে। শোনা গেল, ৭০ বছর ধরে গ্যাস এভাবেই নির্গমন হচ্ছে এই টিলা দিয়ে।
টিলা থেকে ১০ মিনিট হাঁটলেই দেখা মিলবে আরও একটি তাক লাগানো পুকুরের। ৭০ বছর ধরে এই পুকুরের পানি দিয়ে বুদ্বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে। বুদ্বুদ থেকে সৃষ্ট ফেনা জমিয়ে আগুন দিলে পুকুরের পানিতেও আগুন জ্বলে ওঠে! সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার উৎলার পাড় গ্রামে গেলে দেখা মিলবে এই টিলার।
২. ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা। ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মাঝে মোবাইল ফোন বেজে উঠল। তাকিয়ে দেখলাম, আমাদের ভ্রমণের জন্য তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নক দিচ্ছেন একজন। ক্রমে অন্য ভ্রমণসঙ্গীরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সক্রিয় হয়ে উঠলেন। সবাই আশপাশে হলেও ঘুরতে যেতে চান। এরপর মাথায় এল সিলেটের হরিপুরের আগুন পাহাড়ের কথা। ছোটবেলায় অনেক শুনেছি তার গল্প। আমার প্রস্তাবে সবাই একবাক্যে রাজি। ঠিক হলো, দুপুরের পর রওনা দেওয়া হবে।
পরদিন যথাসময়ে ভ্রমণ গ্রুপের সবাই এসে উপস্থিত। নাগরিক পরিবেশ ছেড়ে চার চাকার বাহন এগিয়ে চলল আগুন পাহাড় পানে। সময় যেন ফুরাচ্ছিল না। প্রায় এক ঘণ্টা পর আমরা উপস্থিত হলাম কাছাকাছি। সামনে গেলেই আগুন পাহাড়। তার প্রায় আধা কিলোমিটার এগিয়ে গেলে পাওয়া যাবে সেই বিস্ময়কর পুকুরের দেখা, যেখানে পানিতে আগুন জ্বলে।

আমরা গাড়ির থেকে নেমে পদব্রজে এগিয়ে যেতে লাগলাম। বাঁ পাশে সবুজ ধানখেত, তার পাশে আগুন পাহাড়। সূর্যে প্রভায় আগুনের রূপ দেখা যাচ্ছিল না ঠিকমতো। তবে আগুনের উষ্ণতা ঠাহর করা যাচ্ছে। ভ্রমণসঙ্গীরা যে যার মতো ছবি তোলায় মগ্ন হয়ে পড়লেন। আমি আর বাকি থাকি কেন! দিন ছোট, তাই এখনই পুকুরপানে না গেলে রাত হয়ে যাবে। তাই আমরা দৌড় লাগালাম সেদিকে।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পায় তৎকালীন পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল)। গ্যাস তোলার জন্য সে বছরেই কূপ খননের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। সে জন্য অনুসন্ধানে ব্যবহৃত সব যন্ত্রপাতি এবং নির্মিত ভবন ভূগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভূমিধসে ওই জায়গায় পুকুরের মতো গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে গর্তের পানিতে সব সময় বুদ্বুদ দেখা যায়। সেখানে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেই পানিতে আগুন ধরে যায়।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এখানে শাহ আহমদ আলী নামের একজন কামেল পীরের মাজার রয়েছে। গ্যাস কূপ খননের সময় তিনি নিষেধ করে অন্য জায়গা থেকে গ্যাস তোলার কথা বলেন। না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলেও তিনি সাবধান করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই পীরের কথা না শুনে কূপ খনন করায় সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মাটি উড়ে গিয়ে এবং মাটি ধসে পুকুর আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়। এই পুকুরের গভীরতা আজও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণের পর বেশ কিছুদিন পুরো এলাকায় আগুন জ্বলতে থাকে। কোনোভাবে সেই আগুন নেভাতে না পেরে সেই পীরের দ্বারস্থ হয় গ্যাস কর্তৃপক্ষ। কামেল পীরের ‘ফুঁ’ দেওয়া বালু ছিটানো হলে জ্বলন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে!

গল্প যা-ই হোক। বিস্ফোরণের পর থেকে গর্তে বুদ্বুদ দেখা দেওয়ায় ওই গ্রামের নামকরণ হয় উৎলার পাড়। পানি থেকে গ্যাস উথলে ওঠার কারণে এই নামকরণ। আমরা এগিয়ে চলেছি পুকুরপানে। পথিমধ্যে দোকান থেকে দেশলাই বক্স কিনে নেওয়া হলো পুকুরের পানিতে আগুন জ্বালানোর জন্য। আমি মনে মনে ভাবলাম, পানিতে আবার কীভাবে আগুন জ্বলবে!
পুকুরের কাছে পৌঁছতেই শোঁ শোঁ শব্দ কানে এল। পানিতে দেখা গেল বুদ্বুদ। আমাদের মতো অনেকে এসেছেন এখানে। কেউ কেউ আবার ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে পানিতে ফেলে দেখার চেষ্টা করছেন, আগুন কি ঠিকই জ্বলে পানিতে! সবার মতো আমরাও বেশ চেষ্টা করলাম। কিন্তু অন্য সবার মতো বিফল হলাম।

এর মাঝে দেখা হলো কিশোর মহসিনের সঙ্গে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ঠিকই কি পানিতে আগুন জ্বলে? আমরা তো জ্বালাতে পারলাম না। পানিতে ম্যাচের কাঠি পড়ার আগেই নিভে যায়। এবার মহসিন পানিতে নেমে আমাদের দেখাল কীভাবে পানিতে আগুন জ্বলে। এদিকে সূর্য পাটে যাচ্ছে। মহসিনের ম্যাজিক দেখে আমরা আগুন পাহাড়ের দিকে ফিরে চললাম। সেখানে ধানখেতের পাশে মানুষের জটলা দেখা গেল। আমরা এগিয়ে গেলাম সেদিকে। দেখা গেল, সেখানে মাটিতে আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে! আঁধার ঘনিয়ে আসায় আগুনের আলোর ছটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। আগুন পাহাড়ের গর্তগুলোর ভেতরে আগুন জ্বলছে। আমি চেষ্টা করলাম মোবাইল ফোনে ছবি তোলার। এ এক অন্য রকমের অভিজ্ঞতা।
কীভাবে যাবেন
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট কিংবা ধোপাদীঘির পাড় থেকে জাফলং অভিমুখী বাস, অটোরিকশা ও লেগুনায় উঠে নামতে হবে হরিপুর বাজারে। সময় লাগবে ৫০-৫৫ মিনিট। এরপর হরিপুর বাজারে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যেতে হবে উৎলার পাড়ে। জাফলং বা লালাখাল ঘুরতে গেলে হরিপুর হয়েই যেতে হয়। চাইলে খুব অল্প সময়ে জাফলং ভ্রমণের সঙ্গে আগুন পাহাড় ঘুরে দেখতে পারবেন সহজে।
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট কিংবা ধোপাদীঘির পাড় থেকে জাফলং অভিমুখী বাস, অটোরিকশা ও লেগুনায় উঠে নামতে হবে হরিপুর বাজারে। সময় লাগবে ৫০-৫৫ মিনিট। এরপর হরিপুর বাজারে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যেতে হবে উৎলার পাড়ে। জাফলং বা লালাখাল ঘুরতে গেলে হরিপুর হয়েই যেতে হয়। চাইলে খুব অল্প সময়ে জাফলং ভ্রমণের সঙ্গে আগুন পাহাড় ঘুরে দেখতে পারবেন সহজে।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অবাক লাগলেও সত্য, চকলেট কেবল মনই ভালো করে না, এটি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাটেকিনস, পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনলস। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস। চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। চকলেট ফেস মাস্ক আপনার ত্বকে এনে...
৫ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণেরা শৈশব থেকে স্মার্টফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং দ্রুতগতির কনটেন্টের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। একে বলা হচ্ছে ‘ডিজিটাল ব্রেন রট’। এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি নিয়ে নতুন উদ্বেগ...
৭ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে। তবে স্যাভিলস হোটেলস এবং আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ওয়াটসন ফারলে অ্যান্ড উইলিয়ামস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেশটির পর্যটন পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য, নিজ দেশে ভিয়েতনামের অধিবাসীদের ভ্রমণ এবং দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমন বন্যা-পরবর্তী বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে।
পর্যটকদের আগমন ও প্রবৃদ্ধির চিত্র
২০২৪ সালে ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেছে ১৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক। এর ধারাবাহিকতায়, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক দেশটি ঘুরে গেছে। বছর শেষে ২৫ মিলিয়ন পর্যটকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছে ভিয়েতনাম। তবে গত এক দশকে ভিয়েতনামের মিডস্কেল থেকে বিলাসবহুল হোটেলের কক্ষের সংখ্যা ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির হারে উন্নীত হয়েছে। এই সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। দেশটিতে মোট হোটেল কক্ষের প্রায় ৬০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত, যা রিসোর্টভিত্তিক পর্যটনকে বেশ শক্তিশালী করেছে। এদিকে দেশটির মূল গন্তব্যগুলোতে হোটেলের কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
দা নাং এবং নাহা ট্রাং-এর রিসোর্টগুলোতে নিয়মিতভাবে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের বেশি বুকিং হচ্ছে। এ ছাড়া ফু কোওক-এ বার্ষিক বুকিং বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
বিনিয়োগের সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের আকর্ষণ
ভিয়েতনামে পর্যটনের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন, নতুন সরবরাহের ধীরগতি এবং প্রিমিয়াম অফারগুলোর দিকে চাহিদা স্থানান্তরিত হওয়ায়, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে স্যাভিলস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ভিয়েতনামের দেশীয় ডেভেলপাররা এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ স্টক নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায় ৬৮ শতাংশ হোটেলমালিকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি সংস্কার, পুনঃস্থাপন কিংবা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ব্যবস্থাপনা চুক্তি স্থাপনের জন্য প্রচুর সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভিয়েতনামে প্রায় ৯০টি আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ড কাজ করছে। আগামী তিন বছরে এই সংখ্যা ১৩০টির বেশি হতে পারে। স্থানীয় এবং বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীই উপকূলীয় জমি, পুনর্নির্মাণের সম্ভাবনাসহ সম্পদ কেনার দিকে ঝুঁকছেন।
অবকাঠামো উন্নয়ন
ভিয়েতনামের পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিকে সাহায্য করছে বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো। এসব প্রকল্প আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে সহায়তা করছে। লং থান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নোই বাই এর সম্প্রসারণ এবং নতুন গিয়া বিন বিমানবন্দরের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে ভিয়েতনামে। নর্থ-সাউথ এক্সপ্রেসওয়ের মতো প্রকল্পগুলো দেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ আরও সহজ করে তুলছে। স্যাভিলস হোটেলস এশিয়া প্যাসিফিকের সিনিয়র ডিরেক্টর মাউরো গ্যাসপারোত্তি বলেছেন, ‘চাহিদার মৌলিক উন্নতি এবং হো চি মিন সিটি ও হ্যানয়ের মতো শহরগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় ভিয়েতনাম এখন পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উচ্চ রিটার্ন সুযোগ সন্ধানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য।’

কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে। তবে স্যাভিলস হোটেলস এবং আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ওয়াটসন ফারলে অ্যান্ড উইলিয়ামস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেশটির পর্যটন পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য, নিজ দেশে ভিয়েতনামের অধিবাসীদের ভ্রমণ এবং দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমন বন্যা-পরবর্তী বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে।
পর্যটকদের আগমন ও প্রবৃদ্ধির চিত্র
২০২৪ সালে ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেছে ১৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক। এর ধারাবাহিকতায়, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক দেশটি ঘুরে গেছে। বছর শেষে ২৫ মিলিয়ন পর্যটকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছে ভিয়েতনাম। তবে গত এক দশকে ভিয়েতনামের মিডস্কেল থেকে বিলাসবহুল হোটেলের কক্ষের সংখ্যা ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির হারে উন্নীত হয়েছে। এই সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। দেশটিতে মোট হোটেল কক্ষের প্রায় ৬০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত, যা রিসোর্টভিত্তিক পর্যটনকে বেশ শক্তিশালী করেছে। এদিকে দেশটির মূল গন্তব্যগুলোতে হোটেলের কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
দা নাং এবং নাহা ট্রাং-এর রিসোর্টগুলোতে নিয়মিতভাবে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের বেশি বুকিং হচ্ছে। এ ছাড়া ফু কোওক-এ বার্ষিক বুকিং বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
বিনিয়োগের সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের আকর্ষণ
ভিয়েতনামে পর্যটনের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন, নতুন সরবরাহের ধীরগতি এবং প্রিমিয়াম অফারগুলোর দিকে চাহিদা স্থানান্তরিত হওয়ায়, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে স্যাভিলস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ভিয়েতনামের দেশীয় ডেভেলপাররা এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ স্টক নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায় ৬৮ শতাংশ হোটেলমালিকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি সংস্কার, পুনঃস্থাপন কিংবা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ব্যবস্থাপনা চুক্তি স্থাপনের জন্য প্রচুর সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভিয়েতনামে প্রায় ৯০টি আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ড কাজ করছে। আগামী তিন বছরে এই সংখ্যা ১৩০টির বেশি হতে পারে। স্থানীয় এবং বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীই উপকূলীয় জমি, পুনর্নির্মাণের সম্ভাবনাসহ সম্পদ কেনার দিকে ঝুঁকছেন।
অবকাঠামো উন্নয়ন
ভিয়েতনামের পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিকে সাহায্য করছে বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো। এসব প্রকল্প আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে সহায়তা করছে। লং থান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নোই বাই এর সম্প্রসারণ এবং নতুন গিয়া বিন বিমানবন্দরের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে ভিয়েতনামে। নর্থ-সাউথ এক্সপ্রেসওয়ের মতো প্রকল্পগুলো দেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ আরও সহজ করে তুলছে। স্যাভিলস হোটেলস এশিয়া প্যাসিফিকের সিনিয়র ডিরেক্টর মাউরো গ্যাসপারোত্তি বলেছেন, ‘চাহিদার মৌলিক উন্নতি এবং হো চি মিন সিটি ও হ্যানয়ের মতো শহরগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় ভিয়েতনাম এখন পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উচ্চ রিটার্ন সুযোগ সন্ধানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য।’

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অবাক লাগলেও সত্য, চকলেট কেবল মনই ভালো করে না, এটি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাটেকিনস, পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনলস। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস। চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। চকলেট ফেস মাস্ক আপনার ত্বকে এনে...
৫ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণেরা শৈশব থেকে স্মার্টফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং দ্রুতগতির কনটেন্টের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। একে বলা হচ্ছে ‘ডিজিটাল ব্রেন রট’। এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি নিয়ে নতুন উদ্বেগ...
৭ ঘণ্টা আগে
বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়।
১২ ঘণ্টা আগে