জাহীদ রেজা নূর

কনের মা–বাবা এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘হাতি আর কবুতর’। দেবেন না কেন, বর তো ছিল কনের চেয়ে ২১ বছরের বড়। ১০০ কিলোগ্রামের চেয়েও বেশি ছিল তাঁর ওজন। উচ্চতাও ছিল দেখার মতো।
তবে এ কথা সবাই স্বীকার করতেন যে, দিয়েগো রিভেরার ছিল এক রসিক মন, জীবনের আনন্দের প্রতি ছিল অপরিসীম আনুগত্য, আর হৃদয়টা ছিল খুবই স্পর্শকাতর আর কোমল।
১৯২২ সালেই মেক্সিকোর কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন তিনি। ১৯২৭–২৮ সালে গিয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নে, তার কিছুদিন আগে নিজ বাড়িতে আতিথ্য দান করেছিলেন সোভিয়েত কবি মায়াকোভ্স্কিকে। তিনি বিয়ে করেছিলেন ফ্রিদা কাহলোকে। ফ্রিদা তখনো খ্যাতি পাননি।
ফ্রিদার বাবা গুয়েরমো কাহলো ছিলেন হাঙ্গেরি থেকে আসা এক ইহুদি। ছবি তোলাই ছিল তাঁর পেশা। মা ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী মাতিলদা কালদেরন। দুই সন্তান ছিল তাঁদের সংসারে। বড়টিই ফ্রিদা। ফ্রিদার চেহারার সঙ্গে তাঁর মায়ের চেহারার ছিল অদ্ভুত মিল। বাবাও মেয়েটাকে ভালোবাসত হৃদয় দিয়ে। বুদ্ধিমতী ছিল মেয়েটি। স্কুলে মেয়েটা ছুটে বেড়াত, যেন এক রঙিন প্রজাপতি। যারা জানত, ছ’বছর বয়সে মেয়েটা পোলিও–আক্রান্ত হয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে, তারা ওর এই চঞ্চল চলাচলে অবাক হতো।
ফ্রিদার এই নান্দনিক ওড়াউড়ি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, যখন তাঁর বয়স সতেরো। যে বাসে করে ফ্রিদা যাচ্ছিল, তা অকস্মাৎ দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি ট্রামের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত হন ফ্রিদা। সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। কয়েক বছর ধরে চলে চিকিৎসা। তাঁর জীবনের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তীব্র ব্যথায় মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যেতে থাকেন ফ্রিদা। মোট ৩৩টি অস্ত্রোপচার হয় তাঁর শরীরে। বলা হয়ে থাকে, নিশ্বাস নেওয়া ছাড়া তাঁর শরীরের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এ সময়টি নিয়ে ফ্রিদা তাঁর মাকে বলেছিলেন পরে, ‘শুধু ছবি আঁকতাম বলেই সে সময় বেঁচে ছিলাম।’
ছবি আঁকার ঘটনাই ফ্রিদা আর দিয়েগো রিভেরার মধ্যে গড়ে দিয়েছিল সেতুবন্ধন। সেই যে স্কুলের দিনগুলোতে ফ্রিদা তন্ময় হয়ে দেখত শিক্ষক দিয়েগোকে, সে স্মৃতি মলিন হয়নি কখনো। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দেয়াল রাঙিয়ে দিতেন দিয়েগো তাঁর নান্দনিক হাতের আঁচড়ে। কয়েক বছর পর সেই শিক্ষকের কাছে নিজের আঁকা ছবি নিয়ে গেলেন ফ্রিদা। ভয় ছিল মনে, বড় শিল্পী হয়তো তাঁকে পাত্তা দেবেন না, তাড়িয়ে দেবেন। কিন্তু ঘটল একেবারে উল্টো ব্যাপার। খুবই আগ্রহ নিয়ে ফ্রিদার ছবিগুলো দেখলেন দিয়েগো। তবে এ কথা এখন আর স্পষ্ট নয়, কোন বিষয়টি ভালো লেগেছিল দিয়েগোর—ফ্রিদার আঁকা ছবি নাকি স্বয়ং ফ্রিদা। সে রহস্যের জট না খুললেও আমরা অচিরেই দেখতে পাচ্ছি, ফ্রিদাকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন দিয়েগো, ফ্রিদার বাবার কাছে। তাতে গুয়েরমো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। মেয়ের প্রায় দ্বিগুণ বয়সী মানুষকে বর হিসেবে মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু প্রগাঢ় ভালোবাসার কাছে পরাজিত হলেন বাবা। হার মানার আগে শুধু বললেন, ‘আমার মেয়ে সারা জীবন অসুস্থ থাকবে। এটা মেনে নিয়ে যদি বিয়ে করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারো, আমি রাজি আছি মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিতে।’
ফ্রিদা বিয়েতে দিলেন জমকালো সাজ। আগুন ছড়ানো কণ্ঠহার, বড় বড় কানের দুল, মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী গাউনে তাঁকে লাগছিল অসাধারণ। ফ্রিদার অপার সৌন্দর্যে দিয়েগোর আগের বউ লুপে মারিনের মনে জ্বলে উঠল ঈর্ষার আগুন। ফ্রিদার খোঁড়া পা নিয়ে বিদ্রূপ করলেন তিনি, ‘দেখ, কি এক দেশলাই–সদৃশ পায়ের কাছে আমার লোভনীয় পা পরাজিত হয়েছে!’
সেখানেই শুরু হয়ে গেল তর্কযুদ্ধ। অন্যদের তর্কের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়লেন ফ্রিদা আর দিয়েগোও। শেষে ফ্রিদা সটান চলে এলেন বাবা–মায়ের কাছে। শুধু কয়েক দিন বাদে দিয়েগো ফ্রিদাকে নিজ ঘরে নিয়ে যেতে পারলেন।
বিয়ের কয়েক দিন পর লুপে মারিন নতুন বউ–বরের বাড়ি এলেন। তীক্ষ্ণ চোখে পর্যবেক্ষণ করলেন বাড়ি। দেখলেন তা ঠিকভাবে সাজানো গোছানো হয়েছে কিনা। তারপর ফ্রিদাকে নিয়ে বাজারে গেলেন। তাঁকে নিয়েই কিনলেন রান্নার সরঞ্জাম, দিয়েগোর পছন্দের রান্না শিখিয়ে দিলেন ফ্রিদাকে। বললেন, ‘দিয়েগো কাজ করতে করতেই নাশতা করে। একটা ট্রেতে করে ঢাকা দিয়ে খাবার নিয়ে যেতে হয় সেখানে। যে কাপড়ে ঢাকা থাকবে খাবার, সে কাপড়ে লেখা থাকতে হবে, ‘আমি তোমাকে শ্রদ্ধা করি।’ লুপে এই ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন ম্যাক্সিকান চাষিদের কাছ থেকে।

নব্য দম্পতির জীবন এর পর থেকে সুখে–স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে গিয়েছিল, এমন কথা যারা ভাবছেন, তারা ভুল করছেন। খুব দ্রুতই তাঁদের মধ্যে শুরু হলো ঝগড়াঝাঁটি। দিয়েগো তাঁর বদভ্যাসগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারছিলেন না। পুরোনো বান্ধবীদের সঙ্গে ঘোরাফেরার উৎসাহ তাঁর বিন্দুমাত্র কমেনি। তিনি সমালোচনা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। আর ফ্রিদা নিজের নান্দনিক ঔৎসুক্যে জাজ্বল্যমান হয়ে স্বামীর পাপগুলো ধরিয়ে দিতে লাগলেন। দিয়েগো তা সহ্য করতে পারতেন না, হাতের তুলি ছুড়ে ফেলে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে যেতেন। যাওয়ার সময় গালাগাল করতেন ফ্রিদাকে। কিন্তু বাড়ি তো ফিরতেই হতো। ফেরার সময় তাঁর হাত ভরে থাকত উপহারে—দামি দামি কানের দুল, গলার হারসহ কত কিছুই না উপহার দিতেন ফ্রিদাকে। ফ্রিদা খুব পছন্দ করতেন অলংকার। দামি পাথরের অলংকার হোক, হোক সস্তা কাচের—সবটাই ছিল ফ্রিদার পছন্দের। ফ্রিদা ম্যাক্সিকান পোশাক পরতে পছন্দ করতেন, নানা রঙের সুতোয় জড়িয়ে রাখতেন নিজের চুল।
খ্যাতনামা চিত্রকর দিয়েগোকে ফ্রিদা দেখতেন বড় এক খোকা হিসেবে। তিনি তাঁর ছবিতে দিয়েগোকে আঁকতেন তাঁর কোলে বসে আছেন, এমনভাবে। বড় দুর্ঘটনার পর ফ্রিদার সন্তান হবে না বলে শঙ্কা ছিল। তাই দিয়েগোর প্রতি তাঁর এক ধরনের অপত্যস্নেহ কাজ করত। বাথটাবে অনেক খেলনা ছড়িয়ে রেখে তিনি দিয়েগোকে স্নান করাতেন।
ফ্রিদা তিনবার সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন, তিনবারই অ্যাবরশন হয়ে গিয়েছিল। সন্তানের আশায় দিয়েগো এবার ফ্রিদাকে নিয়ে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে।
ফ্রিদা যুক্তরাষ্ট্রকে ভালো বাসেননি। তিনি তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘অভিজাত সমাজ আমাকে স্বস্তি দেয় না। বড়লোকদের আমার ভালো লাগে না। কারণ, আমি দেখেছি হাজার হাজার মানুষ বাস করছে চরম দারিদ্রের মধ্যে, তাদের খাবার নেই, থাকার মতো বাড়ি নেই, এটা আমাকে দারুণ আহত করে। হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে বড়লোকেরা ফুর্তি করে বেড়ায়, যা আমাকে বিরক্ত করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে শিল্পের বিকাশ আমাকে মুগ্ধ করে। আমি দেখতে পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ভুগছে রুচির বিকারে...তারা যেন বাস করে মুরগির খোঁয়াড়ে, যা ময়লা আর অস্বস্তিতে ভরপুর। বাড়িগুলো যেন ওভেন, বাড়িগুলো সম্পর্কে যা বলা হয়, তা আসলে মিথ। হতে পারে আমি ভুল করছি, কিন্তু আমি সে কথাই বলছি, যা আমি অনুভব করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র–ভ্রমণ ফ্রিদার জন্য একেবারেই সুখকর হয়নি। ডেট্রয়েটে থাকাকালীন তিনি অসুখে পড়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তিনি আর মা হতে পারবেন না। এ সময় তিনি যে ছবিটি আঁকেন, তার নাম ছিল ‘হেনরি ফোর্ড হাসপাতাল, উড়ন্ত বিছানা’।
ফ্রিদার আঁকাআঁকিতে এ সময় লেগেছে নতুন হাওয়া। দিয়েগো এই সময়টি সম্পর্কে বলেছেন, ‘এ সময়ে ফ্রিদা যা এঁকেছে, তা এর আগে দেখেনি শিল্পের ইতিহাস—কঠোর সত্যের সামনে দাঁড়ানো নারীর ছবি।’
দিয়েগো রিভেরা অবশ্য হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি এ সময়। নেলসন রকফেলার তাঁকে রেডিও সিটিতে (এখন যা রকফেলার সেন্টার) ফ্রেসকো তৈরি করার কাজ দিয়েছেন। কিন্তু দিয়েগো কী আঁকলেন? তিনি প্রকাশ করলেন পুঁজিবাদকে সিফিলিসের শেষ অধ্যায় হিসেবে। আঁকলেন মার্ক্স, এঙ্গেলস, লেনিন, ত্রোৎস্কিসহ বিপ্লবের নায়কদের ছবি। ছবিগুলো, বিশেষ করে, লেনিনের ছবি দেখে খুবই বিরক্ত হলেন রকফেলার। তিনি ছবিগুলো বদলে দিতে বললেন। ফ্রিদা তাঁর স্বামীকে নতি স্বীকার করতে মানা করলেন। তাতে রকফেলারের নির্দেশে ধ্বংস করে ফেলা হলো দিয়েগোর কীর্তি।
বিপ্লবের প্রতি ওঁরা দুজনেই ছিলেন বিশ্বস্ত। ১৯৩৬ সালে লিয়েভ ত্রোৎস্কির সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁদের। ত্রোৎস্কি তখন স্তালিনের রোষানলে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। মেক্সিকোতে স্ত্রী নাতালিয়া সেদোভায়াসহ ত্রোৎস্কিকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ফ্রিদা ও দিয়েগো। মেক্সিকোয় রুশ বিপ্লবের ‘খলনায়ক’কে অভ্যর্থনা জানানোর মতো কেউ ছিল না। এই দম্পতিই তাঁদের সঙ্গে সখ্য পাতিয়েছিল।

কনের মা–বাবা এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘হাতি আর কবুতর’। দেবেন না কেন, বর তো ছিল কনের চেয়ে ২১ বছরের বড়। ১০০ কিলোগ্রামের চেয়েও বেশি ছিল তাঁর ওজন। উচ্চতাও ছিল দেখার মতো।
তবে এ কথা সবাই স্বীকার করতেন যে, দিয়েগো রিভেরার ছিল এক রসিক মন, জীবনের আনন্দের প্রতি ছিল অপরিসীম আনুগত্য, আর হৃদয়টা ছিল খুবই স্পর্শকাতর আর কোমল।
১৯২২ সালেই মেক্সিকোর কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন তিনি। ১৯২৭–২৮ সালে গিয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নে, তার কিছুদিন আগে নিজ বাড়িতে আতিথ্য দান করেছিলেন সোভিয়েত কবি মায়াকোভ্স্কিকে। তিনি বিয়ে করেছিলেন ফ্রিদা কাহলোকে। ফ্রিদা তখনো খ্যাতি পাননি।
ফ্রিদার বাবা গুয়েরমো কাহলো ছিলেন হাঙ্গেরি থেকে আসা এক ইহুদি। ছবি তোলাই ছিল তাঁর পেশা। মা ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী মাতিলদা কালদেরন। দুই সন্তান ছিল তাঁদের সংসারে। বড়টিই ফ্রিদা। ফ্রিদার চেহারার সঙ্গে তাঁর মায়ের চেহারার ছিল অদ্ভুত মিল। বাবাও মেয়েটাকে ভালোবাসত হৃদয় দিয়ে। বুদ্ধিমতী ছিল মেয়েটি। স্কুলে মেয়েটা ছুটে বেড়াত, যেন এক রঙিন প্রজাপতি। যারা জানত, ছ’বছর বয়সে মেয়েটা পোলিও–আক্রান্ত হয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে, তারা ওর এই চঞ্চল চলাচলে অবাক হতো।
ফ্রিদার এই নান্দনিক ওড়াউড়ি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, যখন তাঁর বয়স সতেরো। যে বাসে করে ফ্রিদা যাচ্ছিল, তা অকস্মাৎ দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি ট্রামের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত হন ফ্রিদা। সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। কয়েক বছর ধরে চলে চিকিৎসা। তাঁর জীবনের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তীব্র ব্যথায় মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যেতে থাকেন ফ্রিদা। মোট ৩৩টি অস্ত্রোপচার হয় তাঁর শরীরে। বলা হয়ে থাকে, নিশ্বাস নেওয়া ছাড়া তাঁর শরীরের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এ সময়টি নিয়ে ফ্রিদা তাঁর মাকে বলেছিলেন পরে, ‘শুধু ছবি আঁকতাম বলেই সে সময় বেঁচে ছিলাম।’
ছবি আঁকার ঘটনাই ফ্রিদা আর দিয়েগো রিভেরার মধ্যে গড়ে দিয়েছিল সেতুবন্ধন। সেই যে স্কুলের দিনগুলোতে ফ্রিদা তন্ময় হয়ে দেখত শিক্ষক দিয়েগোকে, সে স্মৃতি মলিন হয়নি কখনো। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দেয়াল রাঙিয়ে দিতেন দিয়েগো তাঁর নান্দনিক হাতের আঁচড়ে। কয়েক বছর পর সেই শিক্ষকের কাছে নিজের আঁকা ছবি নিয়ে গেলেন ফ্রিদা। ভয় ছিল মনে, বড় শিল্পী হয়তো তাঁকে পাত্তা দেবেন না, তাড়িয়ে দেবেন। কিন্তু ঘটল একেবারে উল্টো ব্যাপার। খুবই আগ্রহ নিয়ে ফ্রিদার ছবিগুলো দেখলেন দিয়েগো। তবে এ কথা এখন আর স্পষ্ট নয়, কোন বিষয়টি ভালো লেগেছিল দিয়েগোর—ফ্রিদার আঁকা ছবি নাকি স্বয়ং ফ্রিদা। সে রহস্যের জট না খুললেও আমরা অচিরেই দেখতে পাচ্ছি, ফ্রিদাকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন দিয়েগো, ফ্রিদার বাবার কাছে। তাতে গুয়েরমো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। মেয়ের প্রায় দ্বিগুণ বয়সী মানুষকে বর হিসেবে মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু প্রগাঢ় ভালোবাসার কাছে পরাজিত হলেন বাবা। হার মানার আগে শুধু বললেন, ‘আমার মেয়ে সারা জীবন অসুস্থ থাকবে। এটা মেনে নিয়ে যদি বিয়ে করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারো, আমি রাজি আছি মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিতে।’
ফ্রিদা বিয়েতে দিলেন জমকালো সাজ। আগুন ছড়ানো কণ্ঠহার, বড় বড় কানের দুল, মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী গাউনে তাঁকে লাগছিল অসাধারণ। ফ্রিদার অপার সৌন্দর্যে দিয়েগোর আগের বউ লুপে মারিনের মনে জ্বলে উঠল ঈর্ষার আগুন। ফ্রিদার খোঁড়া পা নিয়ে বিদ্রূপ করলেন তিনি, ‘দেখ, কি এক দেশলাই–সদৃশ পায়ের কাছে আমার লোভনীয় পা পরাজিত হয়েছে!’
সেখানেই শুরু হয়ে গেল তর্কযুদ্ধ। অন্যদের তর্কের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়লেন ফ্রিদা আর দিয়েগোও। শেষে ফ্রিদা সটান চলে এলেন বাবা–মায়ের কাছে। শুধু কয়েক দিন বাদে দিয়েগো ফ্রিদাকে নিজ ঘরে নিয়ে যেতে পারলেন।
বিয়ের কয়েক দিন পর লুপে মারিন নতুন বউ–বরের বাড়ি এলেন। তীক্ষ্ণ চোখে পর্যবেক্ষণ করলেন বাড়ি। দেখলেন তা ঠিকভাবে সাজানো গোছানো হয়েছে কিনা। তারপর ফ্রিদাকে নিয়ে বাজারে গেলেন। তাঁকে নিয়েই কিনলেন রান্নার সরঞ্জাম, দিয়েগোর পছন্দের রান্না শিখিয়ে দিলেন ফ্রিদাকে। বললেন, ‘দিয়েগো কাজ করতে করতেই নাশতা করে। একটা ট্রেতে করে ঢাকা দিয়ে খাবার নিয়ে যেতে হয় সেখানে। যে কাপড়ে ঢাকা থাকবে খাবার, সে কাপড়ে লেখা থাকতে হবে, ‘আমি তোমাকে শ্রদ্ধা করি।’ লুপে এই ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন ম্যাক্সিকান চাষিদের কাছ থেকে।

নব্য দম্পতির জীবন এর পর থেকে সুখে–স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে গিয়েছিল, এমন কথা যারা ভাবছেন, তারা ভুল করছেন। খুব দ্রুতই তাঁদের মধ্যে শুরু হলো ঝগড়াঝাঁটি। দিয়েগো তাঁর বদভ্যাসগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারছিলেন না। পুরোনো বান্ধবীদের সঙ্গে ঘোরাফেরার উৎসাহ তাঁর বিন্দুমাত্র কমেনি। তিনি সমালোচনা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। আর ফ্রিদা নিজের নান্দনিক ঔৎসুক্যে জাজ্বল্যমান হয়ে স্বামীর পাপগুলো ধরিয়ে দিতে লাগলেন। দিয়েগো তা সহ্য করতে পারতেন না, হাতের তুলি ছুড়ে ফেলে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে যেতেন। যাওয়ার সময় গালাগাল করতেন ফ্রিদাকে। কিন্তু বাড়ি তো ফিরতেই হতো। ফেরার সময় তাঁর হাত ভরে থাকত উপহারে—দামি দামি কানের দুল, গলার হারসহ কত কিছুই না উপহার দিতেন ফ্রিদাকে। ফ্রিদা খুব পছন্দ করতেন অলংকার। দামি পাথরের অলংকার হোক, হোক সস্তা কাচের—সবটাই ছিল ফ্রিদার পছন্দের। ফ্রিদা ম্যাক্সিকান পোশাক পরতে পছন্দ করতেন, নানা রঙের সুতোয় জড়িয়ে রাখতেন নিজের চুল।
খ্যাতনামা চিত্রকর দিয়েগোকে ফ্রিদা দেখতেন বড় এক খোকা হিসেবে। তিনি তাঁর ছবিতে দিয়েগোকে আঁকতেন তাঁর কোলে বসে আছেন, এমনভাবে। বড় দুর্ঘটনার পর ফ্রিদার সন্তান হবে না বলে শঙ্কা ছিল। তাই দিয়েগোর প্রতি তাঁর এক ধরনের অপত্যস্নেহ কাজ করত। বাথটাবে অনেক খেলনা ছড়িয়ে রেখে তিনি দিয়েগোকে স্নান করাতেন।
ফ্রিদা তিনবার সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন, তিনবারই অ্যাবরশন হয়ে গিয়েছিল। সন্তানের আশায় দিয়েগো এবার ফ্রিদাকে নিয়ে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে।
ফ্রিদা যুক্তরাষ্ট্রকে ভালো বাসেননি। তিনি তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘অভিজাত সমাজ আমাকে স্বস্তি দেয় না। বড়লোকদের আমার ভালো লাগে না। কারণ, আমি দেখেছি হাজার হাজার মানুষ বাস করছে চরম দারিদ্রের মধ্যে, তাদের খাবার নেই, থাকার মতো বাড়ি নেই, এটা আমাকে দারুণ আহত করে। হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে বড়লোকেরা ফুর্তি করে বেড়ায়, যা আমাকে বিরক্ত করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে শিল্পের বিকাশ আমাকে মুগ্ধ করে। আমি দেখতে পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ভুগছে রুচির বিকারে...তারা যেন বাস করে মুরগির খোঁয়াড়ে, যা ময়লা আর অস্বস্তিতে ভরপুর। বাড়িগুলো যেন ওভেন, বাড়িগুলো সম্পর্কে যা বলা হয়, তা আসলে মিথ। হতে পারে আমি ভুল করছি, কিন্তু আমি সে কথাই বলছি, যা আমি অনুভব করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র–ভ্রমণ ফ্রিদার জন্য একেবারেই সুখকর হয়নি। ডেট্রয়েটে থাকাকালীন তিনি অসুখে পড়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তিনি আর মা হতে পারবেন না। এ সময় তিনি যে ছবিটি আঁকেন, তার নাম ছিল ‘হেনরি ফোর্ড হাসপাতাল, উড়ন্ত বিছানা’।
ফ্রিদার আঁকাআঁকিতে এ সময় লেগেছে নতুন হাওয়া। দিয়েগো এই সময়টি সম্পর্কে বলেছেন, ‘এ সময়ে ফ্রিদা যা এঁকেছে, তা এর আগে দেখেনি শিল্পের ইতিহাস—কঠোর সত্যের সামনে দাঁড়ানো নারীর ছবি।’
দিয়েগো রিভেরা অবশ্য হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি এ সময়। নেলসন রকফেলার তাঁকে রেডিও সিটিতে (এখন যা রকফেলার সেন্টার) ফ্রেসকো তৈরি করার কাজ দিয়েছেন। কিন্তু দিয়েগো কী আঁকলেন? তিনি প্রকাশ করলেন পুঁজিবাদকে সিফিলিসের শেষ অধ্যায় হিসেবে। আঁকলেন মার্ক্স, এঙ্গেলস, লেনিন, ত্রোৎস্কিসহ বিপ্লবের নায়কদের ছবি। ছবিগুলো, বিশেষ করে, লেনিনের ছবি দেখে খুবই বিরক্ত হলেন রকফেলার। তিনি ছবিগুলো বদলে দিতে বললেন। ফ্রিদা তাঁর স্বামীকে নতি স্বীকার করতে মানা করলেন। তাতে রকফেলারের নির্দেশে ধ্বংস করে ফেলা হলো দিয়েগোর কীর্তি।
বিপ্লবের প্রতি ওঁরা দুজনেই ছিলেন বিশ্বস্ত। ১৯৩৬ সালে লিয়েভ ত্রোৎস্কির সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁদের। ত্রোৎস্কি তখন স্তালিনের রোষানলে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। মেক্সিকোতে স্ত্রী নাতালিয়া সেদোভায়াসহ ত্রোৎস্কিকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ফ্রিদা ও দিয়েগো। মেক্সিকোয় রুশ বিপ্লবের ‘খলনায়ক’কে অভ্যর্থনা জানানোর মতো কেউ ছিল না। এই দম্পতিই তাঁদের সঙ্গে সখ্য পাতিয়েছিল।

আজ আপনার রাগের তেজ এতটা বাড়বে যে আপনি ভুল করে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটাই ডিলিট করে দিতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে পড়লে মনে হবে যেন পৃথিবীর সব গাড়ি একজোট হয়ে শুধু আপনার কাজেই বাগড়া দিতে এসেছে। আবেগের বশে আজ ভুলেও অনলাইনে কিছু অর্ডার করবেন না, কারণ আপনি এমন কিছু কিনে ফেলবেন, যা আসলে
১ ঘণ্টা আগে
তুক-অ-দামতুয়া নামটির মাঝেই রয়েছে অদ্ভুত এক রহস্য। তার ওপর এটি একটি ঝরনার নাম। এমনিতেই পাহাড়প্রেমীদের ছোট-বড় যেকোনো ঝরনার প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। সেটা যদি হয় দৈত্যাকার, তাহলে তো কথাই নেই।
১ দিন আগে
গত রোববার ১৯ অক্টোবর, সকাল ৯টা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। নিরাপত্তাপ্রহরীরা ইগল দৃষ্টিতে চারদিকে খেয়াল রাখছেন, পাহারা দিচ্ছেন। বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা সর্বত্র। তার মধ্যেই চুরি হয়ে গেল বিশ্বের এক নম্বর জাদুঘর প্যারিসের লুভর। তখন সকাল ৯টা ৩৭ মিনিট। মাত্র সাত মিনিটে চুরি...
১ দিন আগে
জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভি
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার রাগের তেজ এতটা বাড়বে যে আপনি ভুল করে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটাই ডিলিট করে দিতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে পড়লে মনে হবে যেন পৃথিবীর সব গাড়ি একজোট হয়ে শুধু আপনার কাজেই বাগড়া দিতে এসেছে। আবেগের বশে আজ ভুলেও অনলাইনে কিছু অর্ডার করবেন না। কারণ, আপনি এমন কিছু কিনে ফেলবেন, যা আসলে আপনার দরকার নেই। প্রেমের ক্ষেত্রেও ‘আমিই ঠিক’ এই মনোভাব ত্যাগ করুন, নইলে আজকের সন্ধ্যাটা সাইলেন্ট ট্রিটমেন্টে কাটবে। আজ আপনার রাগ নয়, আপনার মাউস এবং গাড়ির হর্ন কন্ট্রোল করুন।
বৃষ
আজ সারা দিন আপনার ডায়েট প্ল্যান আপনাকে ৫০ বার ফোন করবে, কিন্তু আপনি প্রতিবারই ফোন কেটে দিয়ে ফ্রিজের দিকে দৌড়াবেন। কাজকর্মে গতি খুবই কম থাকবে। ছুটির দিনেও আজ অফিস থাকলে আপনার বস মনে করবেন আপনি বুঝি ধ্যানে বসেছেন, কিন্তু আসলে আপনি ভাবছেন লাঞ্চে কী খাবেন। বিকেলে টাকাপয়সার একটা ভালো সুযোগ আসতে পারে, তবে সেটা এত ধীরে আসবে যে আপনি সেটাকে উপেক্ষা করে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। শুভ রং: আলুর চিপসের প্যাকেটের রং! আর হ্যাঁ, আজ কারও ধার শোধ করবেন না। কারণ, টাকাটা পকেটে কিছুক্ষণ রেখে নির্ভার অনুভব করাও জরুরি!
মিথুন
আপনার মস্তিষ্ক আজ দুটো চরম বুদ্ধি দেবে: এক, একটি পডকাস্ট শুরু করা; আর দুই, পুরো দিনটি ঘুমিয়ে কাটানো। দুঃখের খবর হলো, দুটোই আপনি করতে পারবেন না। সারা দিন শুধু ‘কী করব, কী করব না’ করে কাটিয়ে দেবেন। কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি কমপক্ষে তিনজন বন্ধুকে ফোন করে বিভ্রান্ত হবেন এবং শেষে গিয়ে প্রথম যে আইডিয়া এসেছিল, সেটাই করবেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা জমার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু কোন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতেই রাত কাবার হয়ে যাবে।
কর্কট
আজ আপনার ওভার থিংকিং ক্ষমতা তুঙ্গে! আপনি এক ঘণ্টা ধরে চিন্তা করবেন যে আপনার ঘরের মানিপ্ল্যান্টটা কেন বিষণ্ন দেখাচ্ছে, কিংবা পাঁচ বছর আগে বলা একটা কথার আসল মানে কী ছিল। কর্মক্ষেত্রে কেউ একটু কড়া কথা বললেই আপনি মনে করবেন, পৃথিবীর সবথেকে খারাপ লোক আপনিই! আবেগের এমন বাড়াবাড়ি হবে যে, আপনি হয়তো দুপুরের খাবারে সামান্য লবণ কম থাকার কারণে কেঁদেও ফেলতে পারেন। সমাধান একটাই: বালিশ জড়িয়ে ধরুন অথবা পছন্দের খাবার খান। পৃথিবীর সব দুঃখ আপনার একার নয়, আর রান্নাতেও সামান্য ভুল হতেই পারে।
সিংহ
আজকে স্পটলাইট আপনার দিকেই। যদি কেউ আপনার নতুন পোশাকটা লক্ষ না করে, তাহলে নাটকীয় ভঙ্গিতে একবার হোঁচট খান বা টেবিলের ওপর উঠে নাচতে শুরু করুন। নিশ্চিত থাকুন, মনোযোগ আপনার দিকে আসবেই! কর্মক্ষেত্রে আপনার ধারণাগুলো খুবই ভালো, কিন্তু সেগুলোকে এমন ভাবে পরিবেশন করবেন যেন আপনি কোনো হলিউড ব্লকবাস্টারের স্ক্রিপ্ট বলছেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও আজ সামান্য সমস্যাকে ‘টাইটানিক ডুবছে’ এমন রূপ দেবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত আলো মাঝে মাঝে চোখ ধাঁধিয়ে দেয়!
কন্যা
আপনি আজ রাস্তায় একটি টাইপো খুঁজে পাবেন এবং স্থানীয় পৌরসভার সঙ্গে সারা দিন সেটার বানান সংশোধন নিয়ে ঝগড়া করবেন। শান্ত হোন, মহাবিশ্বও আপনার ওয়ারড্রবের মতোই অগোছালো। আজকের দিনে আপনার স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত উদ্বেগ একটু বাড়বে। সামান্য কাশি হলেই গুগল করে ক্যানসারর বা দুর্লভ রোগের লক্ষণ খুঁজবেন। আর্থিক দিক দিয়ে আপনি খুব হিসাবি, কিন্তু সেই হিসাবের খাতা মেলাতে গিয়ে এত মানসিক চাপ হবে যে, এক প্যাকেট রসগোল্লা কিনে সেই স্ট্রেস কমাতে হবে।
তুলা
চা না কফি, এ নিয়েই ৪৫ মিনিট ধরে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন। এই তীব্র দ্বিধার ফলস্বরূপ যে তৃষ্ণা পাবে, সেটাই হবে আপনার আজকের দিনের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। কেউ ঝগড়া করলে মধ্যস্থতা করতে যাবেন, কিন্তু এমন নিরপেক্ষ হতে চাইবেন যে দুই পক্ষই আপনাকে ভুল বুঝবে। তাই অন্যের সমস্যা সমাধান নয়, বরং নিজের জীবনে সৌন্দর্য খুঁজুন। ধরুন, একটা নতুন পর্দা কিনবেন। ব্যস, নীল না সবুজ, এই ভাবতে ভাবতেই আপনার দিন শেষ! ভারসাম্য খুঁজুন, পানীয় বা রং নয়!
বৃশ্চিক
কেউ আপনার নামে আজ বাজে কথা বলার চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা জানে না, আপনার প্রতিশোধ নেওয়ার দরকার নেই। গ্রহ-নক্ষত্ররাই সেই কাজটা আপনার হয়ে গুছিয়ে দেবে। আপনি সারা দিন এমন এক গভীর চাহনি নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন যে সবাই আপনাকে দেখে ভাববে, আপনি হয় কোনো গুপ্তচর বা কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বসের ওপর রাগ হলে মুখে কিছু বলবেন না, শুধু ডায়েরিতে তার নামটা লিখে লাল কালিতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখুন। রহস্যময় থাকুন, চুপ থাকুন, আর মজা দেখুন। প্রেমিকার প্রশ্নের উত্তর দেবেন একটি রহস্যময় হাসি দিয়ে, তাহলেই কেল্লা ফতে!
ধনু
আজ আপনার মধ্যে উগান্ডাতে ফ্লাইট বুক করার এক নিয়ন্ত্রণহীন তাগিদ জন্মাবে! মানিব্যাগ হাতে নিয়ে একবার আকাশের দিকে তাকান—সে আপনাকে থামতে বলছে। আজ আপনার মন থাকবে চরম বোহেমিয়ান। হয় আপনি বিশ্বের সবথেকে অনুপ্রেরণামূলক দার্শনিক হয়ে উঠবেন, নয়তো গভীর রাতে পাড়ার মোড়ে ফুচকা খেতে যাবেন। সাবধান: বসের কাছে একদম সত্যি কথা বলতে যাবেন না। আপনার ‘সৎ’ মন্তব্য আজ বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
মকর
আরে বাবা, কাজপাগল মানুষ! একটা দিন বিশ্রাম নিন। আপনার বস আপনাকে আজ এই ছুটির দিনেও ই-মেইল করবে। আপনি রোববার উত্তর দিন। আজকের দিনটির একমাত্র চ্যালেঞ্জ—কাজ না করে বসে থাকা। যদি আপনি আজ কোনো পার্টির আমন্ত্রণ পান, আপনি সেখানেও নেটওয়ার্কিংয়ের চেষ্টা করবেন। আপনার মস্তিষ্ক ছুটি চায় না, সে শুধু প্রমোশনের কথা ভাবে। প্রেমিকার দেওয়া উপহারের দাম হিসাব করা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন, শুধু টাকা দিয়ে নয়, জীবনটা মাঝেমধ্যে একটু ‘ফালতু’ কাজ করেও উপভোগ করা যায়।
কুম্ভ
আপনার আজকের বিপ্লবী আইডিয়া হলো, পুরোনো মোজাগুলোকে থালা ধোয়ার কাজে লাগানো! এই ধরনের উদ্ভাবন আপাতত স্থগিত রাখুন। দয়া করে পরিষ্কার করার জন্য প্রচলিত জিনিস ব্যবহার করুন। আজ আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘এলিয়েন’ বলে ডাকলে অবাক হবেন না। কারণ, আপনার আইডিয়াগুলো আজকের দিনের তুলনায় ১০০ বছর এগিয়ে থাকবে! কারও সঙ্গে তর্ক হলে যুক্তি দিয়ে নয়, বরং আপনার উদ্ভট তত্ত্ব দিয়ে তাকে চুপ করিয়ে দেবেন। এটাই আপনার স্পেশালিটি!
মীন
আজ আপনি স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তব গুলিয়ে ফেলবেন। স্বপ্নে পাওয়া জাদুর আলু-পটোল দিয়ে মুদি দোকানের বিল মেটানোর চেষ্টা করবেন না। দিনের বেলায় দিবাস্বপ্ন দেখার জন্য আপনি নোবেল পুরস্কার পেলে পেতেও পারেন! আপনার মন আজ কল্পনার জগতে এমনভাবে ডুবে থাকবে যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের সময়ও হয়তো রংধনু দেখতে পাবেন। জরুরি ফোনকলের উত্তর দিন, কিন্তু ‘এই মুহূর্তে উড়ন্ত গালিচায় করে যাচ্ছিলাম’—দয়া করে এমন উদ্ভট কথা বলবেন না। বাস্তব জগতে ফিরে আসুন—আজকে কিছু বিল মেটাতে হবে।

মেষ
আজ আপনার রাগের তেজ এতটা বাড়বে যে আপনি ভুল করে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটাই ডিলিট করে দিতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে পড়লে মনে হবে যেন পৃথিবীর সব গাড়ি একজোট হয়ে শুধু আপনার কাজেই বাগড়া দিতে এসেছে। আবেগের বশে আজ ভুলেও অনলাইনে কিছু অর্ডার করবেন না। কারণ, আপনি এমন কিছু কিনে ফেলবেন, যা আসলে আপনার দরকার নেই। প্রেমের ক্ষেত্রেও ‘আমিই ঠিক’ এই মনোভাব ত্যাগ করুন, নইলে আজকের সন্ধ্যাটা সাইলেন্ট ট্রিটমেন্টে কাটবে। আজ আপনার রাগ নয়, আপনার মাউস এবং গাড়ির হর্ন কন্ট্রোল করুন।
বৃষ
আজ সারা দিন আপনার ডায়েট প্ল্যান আপনাকে ৫০ বার ফোন করবে, কিন্তু আপনি প্রতিবারই ফোন কেটে দিয়ে ফ্রিজের দিকে দৌড়াবেন। কাজকর্মে গতি খুবই কম থাকবে। ছুটির দিনেও আজ অফিস থাকলে আপনার বস মনে করবেন আপনি বুঝি ধ্যানে বসেছেন, কিন্তু আসলে আপনি ভাবছেন লাঞ্চে কী খাবেন। বিকেলে টাকাপয়সার একটা ভালো সুযোগ আসতে পারে, তবে সেটা এত ধীরে আসবে যে আপনি সেটাকে উপেক্ষা করে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। শুভ রং: আলুর চিপসের প্যাকেটের রং! আর হ্যাঁ, আজ কারও ধার শোধ করবেন না। কারণ, টাকাটা পকেটে কিছুক্ষণ রেখে নির্ভার অনুভব করাও জরুরি!
মিথুন
আপনার মস্তিষ্ক আজ দুটো চরম বুদ্ধি দেবে: এক, একটি পডকাস্ট শুরু করা; আর দুই, পুরো দিনটি ঘুমিয়ে কাটানো। দুঃখের খবর হলো, দুটোই আপনি করতে পারবেন না। সারা দিন শুধু ‘কী করব, কী করব না’ করে কাটিয়ে দেবেন। কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি কমপক্ষে তিনজন বন্ধুকে ফোন করে বিভ্রান্ত হবেন এবং শেষে গিয়ে প্রথম যে আইডিয়া এসেছিল, সেটাই করবেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা জমার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু কোন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতেই রাত কাবার হয়ে যাবে।
কর্কট
আজ আপনার ওভার থিংকিং ক্ষমতা তুঙ্গে! আপনি এক ঘণ্টা ধরে চিন্তা করবেন যে আপনার ঘরের মানিপ্ল্যান্টটা কেন বিষণ্ন দেখাচ্ছে, কিংবা পাঁচ বছর আগে বলা একটা কথার আসল মানে কী ছিল। কর্মক্ষেত্রে কেউ একটু কড়া কথা বললেই আপনি মনে করবেন, পৃথিবীর সবথেকে খারাপ লোক আপনিই! আবেগের এমন বাড়াবাড়ি হবে যে, আপনি হয়তো দুপুরের খাবারে সামান্য লবণ কম থাকার কারণে কেঁদেও ফেলতে পারেন। সমাধান একটাই: বালিশ জড়িয়ে ধরুন অথবা পছন্দের খাবার খান। পৃথিবীর সব দুঃখ আপনার একার নয়, আর রান্নাতেও সামান্য ভুল হতেই পারে।
সিংহ
আজকে স্পটলাইট আপনার দিকেই। যদি কেউ আপনার নতুন পোশাকটা লক্ষ না করে, তাহলে নাটকীয় ভঙ্গিতে একবার হোঁচট খান বা টেবিলের ওপর উঠে নাচতে শুরু করুন। নিশ্চিত থাকুন, মনোযোগ আপনার দিকে আসবেই! কর্মক্ষেত্রে আপনার ধারণাগুলো খুবই ভালো, কিন্তু সেগুলোকে এমন ভাবে পরিবেশন করবেন যেন আপনি কোনো হলিউড ব্লকবাস্টারের স্ক্রিপ্ট বলছেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও আজ সামান্য সমস্যাকে ‘টাইটানিক ডুবছে’ এমন রূপ দেবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত আলো মাঝে মাঝে চোখ ধাঁধিয়ে দেয়!
কন্যা
আপনি আজ রাস্তায় একটি টাইপো খুঁজে পাবেন এবং স্থানীয় পৌরসভার সঙ্গে সারা দিন সেটার বানান সংশোধন নিয়ে ঝগড়া করবেন। শান্ত হোন, মহাবিশ্বও আপনার ওয়ারড্রবের মতোই অগোছালো। আজকের দিনে আপনার স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত উদ্বেগ একটু বাড়বে। সামান্য কাশি হলেই গুগল করে ক্যানসারর বা দুর্লভ রোগের লক্ষণ খুঁজবেন। আর্থিক দিক দিয়ে আপনি খুব হিসাবি, কিন্তু সেই হিসাবের খাতা মেলাতে গিয়ে এত মানসিক চাপ হবে যে, এক প্যাকেট রসগোল্লা কিনে সেই স্ট্রেস কমাতে হবে।
তুলা
চা না কফি, এ নিয়েই ৪৫ মিনিট ধরে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন। এই তীব্র দ্বিধার ফলস্বরূপ যে তৃষ্ণা পাবে, সেটাই হবে আপনার আজকের দিনের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। কেউ ঝগড়া করলে মধ্যস্থতা করতে যাবেন, কিন্তু এমন নিরপেক্ষ হতে চাইবেন যে দুই পক্ষই আপনাকে ভুল বুঝবে। তাই অন্যের সমস্যা সমাধান নয়, বরং নিজের জীবনে সৌন্দর্য খুঁজুন। ধরুন, একটা নতুন পর্দা কিনবেন। ব্যস, নীল না সবুজ, এই ভাবতে ভাবতেই আপনার দিন শেষ! ভারসাম্য খুঁজুন, পানীয় বা রং নয়!
বৃশ্চিক
কেউ আপনার নামে আজ বাজে কথা বলার চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা জানে না, আপনার প্রতিশোধ নেওয়ার দরকার নেই। গ্রহ-নক্ষত্ররাই সেই কাজটা আপনার হয়ে গুছিয়ে দেবে। আপনি সারা দিন এমন এক গভীর চাহনি নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন যে সবাই আপনাকে দেখে ভাববে, আপনি হয় কোনো গুপ্তচর বা কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বসের ওপর রাগ হলে মুখে কিছু বলবেন না, শুধু ডায়েরিতে তার নামটা লিখে লাল কালিতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখুন। রহস্যময় থাকুন, চুপ থাকুন, আর মজা দেখুন। প্রেমিকার প্রশ্নের উত্তর দেবেন একটি রহস্যময় হাসি দিয়ে, তাহলেই কেল্লা ফতে!
ধনু
আজ আপনার মধ্যে উগান্ডাতে ফ্লাইট বুক করার এক নিয়ন্ত্রণহীন তাগিদ জন্মাবে! মানিব্যাগ হাতে নিয়ে একবার আকাশের দিকে তাকান—সে আপনাকে থামতে বলছে। আজ আপনার মন থাকবে চরম বোহেমিয়ান। হয় আপনি বিশ্বের সবথেকে অনুপ্রেরণামূলক দার্শনিক হয়ে উঠবেন, নয়তো গভীর রাতে পাড়ার মোড়ে ফুচকা খেতে যাবেন। সাবধান: বসের কাছে একদম সত্যি কথা বলতে যাবেন না। আপনার ‘সৎ’ মন্তব্য আজ বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
মকর
আরে বাবা, কাজপাগল মানুষ! একটা দিন বিশ্রাম নিন। আপনার বস আপনাকে আজ এই ছুটির দিনেও ই-মেইল করবে। আপনি রোববার উত্তর দিন। আজকের দিনটির একমাত্র চ্যালেঞ্জ—কাজ না করে বসে থাকা। যদি আপনি আজ কোনো পার্টির আমন্ত্রণ পান, আপনি সেখানেও নেটওয়ার্কিংয়ের চেষ্টা করবেন। আপনার মস্তিষ্ক ছুটি চায় না, সে শুধু প্রমোশনের কথা ভাবে। প্রেমিকার দেওয়া উপহারের দাম হিসাব করা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন, শুধু টাকা দিয়ে নয়, জীবনটা মাঝেমধ্যে একটু ‘ফালতু’ কাজ করেও উপভোগ করা যায়।
কুম্ভ
আপনার আজকের বিপ্লবী আইডিয়া হলো, পুরোনো মোজাগুলোকে থালা ধোয়ার কাজে লাগানো! এই ধরনের উদ্ভাবন আপাতত স্থগিত রাখুন। দয়া করে পরিষ্কার করার জন্য প্রচলিত জিনিস ব্যবহার করুন। আজ আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘এলিয়েন’ বলে ডাকলে অবাক হবেন না। কারণ, আপনার আইডিয়াগুলো আজকের দিনের তুলনায় ১০০ বছর এগিয়ে থাকবে! কারও সঙ্গে তর্ক হলে যুক্তি দিয়ে নয়, বরং আপনার উদ্ভট তত্ত্ব দিয়ে তাকে চুপ করিয়ে দেবেন। এটাই আপনার স্পেশালিটি!
মীন
আজ আপনি স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তব গুলিয়ে ফেলবেন। স্বপ্নে পাওয়া জাদুর আলু-পটোল দিয়ে মুদি দোকানের বিল মেটানোর চেষ্টা করবেন না। দিনের বেলায় দিবাস্বপ্ন দেখার জন্য আপনি নোবেল পুরস্কার পেলে পেতেও পারেন! আপনার মন আজ কল্পনার জগতে এমনভাবে ডুবে থাকবে যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের সময়ও হয়তো রংধনু দেখতে পাবেন। জরুরি ফোনকলের উত্তর দিন, কিন্তু ‘এই মুহূর্তে উড়ন্ত গালিচায় করে যাচ্ছিলাম’—দয়া করে এমন উদ্ভট কথা বলবেন না। বাস্তব জগতে ফিরে আসুন—আজকে কিছু বিল মেটাতে হবে।

কনের মা–বাবা এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘হাতি আর কবুতর’। দেবেন না কেন, বর তো ছিল কনের চেয়ে ২১ বছরের বড়। ১০০ কিলোগ্রামের চেয়েও বেশি ছিল তাঁর ওজন। উচ্চতাও ছিল দেখার মতো।
২১ জুলাই ২০২১
তুক-অ-দামতুয়া নামটির মাঝেই রয়েছে অদ্ভুত এক রহস্য। তার ওপর এটি একটি ঝরনার নাম। এমনিতেই পাহাড়প্রেমীদের ছোট-বড় যেকোনো ঝরনার প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। সেটা যদি হয় দৈত্যাকার, তাহলে তো কথাই নেই।
১ দিন আগে
গত রোববার ১৯ অক্টোবর, সকাল ৯টা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। নিরাপত্তাপ্রহরীরা ইগল দৃষ্টিতে চারদিকে খেয়াল রাখছেন, পাহারা দিচ্ছেন। বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা সর্বত্র। তার মধ্যেই চুরি হয়ে গেল বিশ্বের এক নম্বর জাদুঘর প্যারিসের লুভর। তখন সকাল ৯টা ৩৭ মিনিট। মাত্র সাত মিনিটে চুরি...
১ দিন আগে
জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভি
১ দিন আগেমুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

তুক-অ-দামতুয়া নামটির মাঝেই রয়েছে অদ্ভুত এক রহস্য। তার ওপর এটি একটি ঝরনার নাম। এমনিতেই পাহাড়প্রেমীদের ছোট-বড় যেকোনো ঝরনার প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। সেটা যদি হয় দৈত্যাকার, তাহলে তো কথাই নেই।
বান্দরবানের গহিনে থাকা তুক-অ-দামতুয়া ইদানীং সাধারণ পর্যটকদের ভ্রমণ তালিকায় উঠে এসেছে। সে কারণেই একদিন বন্ধুরা মিলে হাঁড়ি-পাতিল আর বোঁচকা নিয়ে রাতের গাড়িতে উঠে খুব ভোরে গিয়ে নামলাম চকরিয়া। তারপর চান্দের গাড়িতে আলীকদম উপজেলার সতেরো কিলো নামক জায়গায়। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে নাজেম নামের চালকটি হেলিকপ্টারের গতিতেই নিয়ে গেলেন আমাদের! আড়াই ঘণ্টার পথ চলতে কখনো কখনো মনে হয়েছে, এই বুঝি চান্দের গাড়ি উড়াল দিল আকাশে।
দশ কিলো থ্যিঙ্কু পাড়া এসে কষে ব্রেক করে দাঁড়াল আমাদের গাড়ি। আর্মি চেকপোস্ট। নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করে অনুমতি নেওয়া হলো। তারপর আবার ছুট। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম সতেরো কিলো। গাইড আগেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পরিচয় পর্ব শেষে তাঁর পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করলাম আমরা। যাচ্ছি আদু পাড়ার দিকে। পাড়ায় গিয়ে তাঁর ঘরে বাড়তি মালপত্র রেখে, পাহাড়ের পরম বন্ধু নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের বাঁশ নিয়ে সবাই ছুটলাম দামতুয়ার দিকে।
কথা সেই একটিই, দেখতে হলে হাঁটতে হবে। রীতিমতো মন ও দেহের সঙ্গে লড়াই করে হাঁটতে হচ্ছে। মাথার ওপর প্রখর রোদ। চোখের সামনে শুধুই উঁচু উঁচু পাহাড়। হাঁটছি, উঠছি, নামছি! মাঝেমধ্যে ঝিরির পানি চোখে-মুখে ছিটিয়ে জিরিয়ে নিচ্ছি।
দূর পাহাড়ের নয়ন জুড়ানো সৌন্দর্য মনের শক্তি বাড়িয়েছিল বহুগুণ। প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেকিং করার পর কানে ভেসে এল ঝরনার পানির শব্দ! কিন্তু চোখের সামনে বাঁশবন আর নানান গাছে ঘেরা খাড়া পিচ্ছিল পথ। নামতে হবে নিচের দিকে। একটু এদিক-সেদিক হলেই সুচালো বাঁশ দেহের কোথায় গিয়ে গেঁথে যাবে, কেউ জানে না। তবু পেতে হবে দামতুয়ার কোমল পরশ।
বহু কষ্টে নিচে নেমে চক্ষু একেবারে ছানাবড়া! বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম বিশালা ঝরনার দিকে, একেবারে হাঁ করে। দুপাশ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। একেবারে বুনো পরিবেশে দামতুয়া চোখের সামনে! নির্বাক হয়ে যাওয়ার আগে এর উচ্চতা মাপি মনে মনে।
নব্বই থেকে এক শ ফুট উঁচু না হয়েই যায় না দামতুয়া।
বর্ষা শেষে শরৎ পেরিয়ে হেমন্ত।
তুক-অ-দামতুয়ার উচ্ছলতা এখনো কমেনি। গাইড জানালেন, সারা বছর এ ঝরনায় পানির প্রবাহ থাকে। বেশ উচ্চতা আর অনেকখানি জায়গাজুড়ে প্রচণ্ড বেগে পানি নেমে আসে এখানে।
এই কারণে ঝরনার সামনে বিশাল জলাশয় তৈরি হয়েছে। সেই প্রাকৃতিক সুইমিংপুলে সাঁতার না কাটলে চলে! বান্দরবানের অন্যান্য ঝরনার চেয়ে দামতুয়ার ভৌগোলিক আকৃতি ভিন্ন রকম। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। মুরং ভাষা থেকে আসা ‘তুক-অ-দামতুয়া’ শব্দের অর্থটাও বেশ চমৎকার। তুক অর্থ ব্যাঙ, অ অর্থ ঝিরি আর দামতুয়া মানে খাড়া। অর্থাৎ এই খাড়া ঝিরির উজান ঠেলে ব্যাঙ বা মাছ ওপরের দিকে উঠতে পারে না বলে এই ঝরনার এমন নাম। আমাদের গাইড ছিলের মুরং সম্প্রদায়ের মানুষ। তিনিই জানালেন এসব।
ঝরনার উৎস দেখার পালা এবার। চরাই-উতরাই পেরিয়ে দেখা গেল এক সবুজে ঘেরা ঝিরি। বড় বড় কিছু পাথর পেরিয়ে একেবারে তার কাছে চলে গেলাম। বেশ চমৎকার একটা জায়গা। এই ঝিরির পানি দামতুয়া হয়ে ঝরে পড়ে নিচের প্রাকৃতিক সুইমিংপুলে।
এই ঝিরির নাম ব্যাঙ ঝিরি। সাধারণত ঝিরির নাম অনুসারে ঝরনাগুলোর নামকরণ হয়।
ব্যাঙ ঝিরির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সময়জ্ঞান প্রায় ভুলতে বসেছিলাম সবাই। গাইডের ডাকে আবার শুরু হলো ট্রেকিং। এই পাহাড়-জঙ্গলের গহিনে গাইডই তখন ক্যাপ্টেন। তাঁর নির্দেশ অমান্য করার উপায় নেই। আমরা আদুপাড়ার পথ ধরি। গাইড জানালেন, আবারও প্রায় নয় মাইল চড়াই-উতরাই পেরোতে হবে!
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। এমনিতেই পাহাড়ে সন্ধ্যা আসে ঝুপ করে। দুপুরে শুকনো দুই-চার পিস বিস্কুট ছাড়া তেমন কিছুই পড়েনি পেটে। তাই খিচুড়ির এন্তেজাম হবে রাতে। হাঁটছি ধীরে ধীরে, একেবারে উদ্দেশ্যপূর্ণ কারণে। আজ পূর্ণিমা। পাহাড়ের নির্জনতায় ভরা জোছনার আলো সঙ্গী করে হাঁটব। পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আমি মনে মনে কিছুটা উদ্দীপিত। এ রকম সুযোগ সব সময় মেলে না।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। আকাশছোঁয়া পাহাড় টপকে গোলাকার চাঁদ উঁকি দিল আকাশে। নিঝুম অন্ধকার পাহাড়ের চারপাশ আলোকিত হয়ে পড়ল। গাছের পাতাগুলো সবুজের মাঝে সোনালি বর্ণ ধারণ করল। অসাধারণ এক অনুভূতি। সবার মনে বিস্ময়ের দোলা। এখন আর কারও ফেরার তাড়া নেই। তবু ফিরতে হচ্ছে এই অলৌকিক রাতে।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবানের আলীকদমে বাস যায়। সেখান থেকে মোটরবাইক কিংবা চান্দের গাড়িতে যেতে হবে সতেরো কিলো এলাকায়। সেখানকার চা-দোকানিদের সহায়তা নিয়ে পেয়ে যাবেন গাইড। তাঁকে ছাড়া পাহাড়ে যাওয়া ঠিক হবে না।

তুক-অ-দামতুয়া নামটির মাঝেই রয়েছে অদ্ভুত এক রহস্য। তার ওপর এটি একটি ঝরনার নাম। এমনিতেই পাহাড়প্রেমীদের ছোট-বড় যেকোনো ঝরনার প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। সেটা যদি হয় দৈত্যাকার, তাহলে তো কথাই নেই।
বান্দরবানের গহিনে থাকা তুক-অ-দামতুয়া ইদানীং সাধারণ পর্যটকদের ভ্রমণ তালিকায় উঠে এসেছে। সে কারণেই একদিন বন্ধুরা মিলে হাঁড়ি-পাতিল আর বোঁচকা নিয়ে রাতের গাড়িতে উঠে খুব ভোরে গিয়ে নামলাম চকরিয়া। তারপর চান্দের গাড়িতে আলীকদম উপজেলার সতেরো কিলো নামক জায়গায়। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে নাজেম নামের চালকটি হেলিকপ্টারের গতিতেই নিয়ে গেলেন আমাদের! আড়াই ঘণ্টার পথ চলতে কখনো কখনো মনে হয়েছে, এই বুঝি চান্দের গাড়ি উড়াল দিল আকাশে।
দশ কিলো থ্যিঙ্কু পাড়া এসে কষে ব্রেক করে দাঁড়াল আমাদের গাড়ি। আর্মি চেকপোস্ট। নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করে অনুমতি নেওয়া হলো। তারপর আবার ছুট। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম সতেরো কিলো। গাইড আগেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পরিচয় পর্ব শেষে তাঁর পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করলাম আমরা। যাচ্ছি আদু পাড়ার দিকে। পাড়ায় গিয়ে তাঁর ঘরে বাড়তি মালপত্র রেখে, পাহাড়ের পরম বন্ধু নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের বাঁশ নিয়ে সবাই ছুটলাম দামতুয়ার দিকে।
কথা সেই একটিই, দেখতে হলে হাঁটতে হবে। রীতিমতো মন ও দেহের সঙ্গে লড়াই করে হাঁটতে হচ্ছে। মাথার ওপর প্রখর রোদ। চোখের সামনে শুধুই উঁচু উঁচু পাহাড়। হাঁটছি, উঠছি, নামছি! মাঝেমধ্যে ঝিরির পানি চোখে-মুখে ছিটিয়ে জিরিয়ে নিচ্ছি।
দূর পাহাড়ের নয়ন জুড়ানো সৌন্দর্য মনের শক্তি বাড়িয়েছিল বহুগুণ। প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেকিং করার পর কানে ভেসে এল ঝরনার পানির শব্দ! কিন্তু চোখের সামনে বাঁশবন আর নানান গাছে ঘেরা খাড়া পিচ্ছিল পথ। নামতে হবে নিচের দিকে। একটু এদিক-সেদিক হলেই সুচালো বাঁশ দেহের কোথায় গিয়ে গেঁথে যাবে, কেউ জানে না। তবু পেতে হবে দামতুয়ার কোমল পরশ।
বহু কষ্টে নিচে নেমে চক্ষু একেবারে ছানাবড়া! বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম বিশালা ঝরনার দিকে, একেবারে হাঁ করে। দুপাশ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। একেবারে বুনো পরিবেশে দামতুয়া চোখের সামনে! নির্বাক হয়ে যাওয়ার আগে এর উচ্চতা মাপি মনে মনে।
নব্বই থেকে এক শ ফুট উঁচু না হয়েই যায় না দামতুয়া।
বর্ষা শেষে শরৎ পেরিয়ে হেমন্ত।
তুক-অ-দামতুয়ার উচ্ছলতা এখনো কমেনি। গাইড জানালেন, সারা বছর এ ঝরনায় পানির প্রবাহ থাকে। বেশ উচ্চতা আর অনেকখানি জায়গাজুড়ে প্রচণ্ড বেগে পানি নেমে আসে এখানে।
এই কারণে ঝরনার সামনে বিশাল জলাশয় তৈরি হয়েছে। সেই প্রাকৃতিক সুইমিংপুলে সাঁতার না কাটলে চলে! বান্দরবানের অন্যান্য ঝরনার চেয়ে দামতুয়ার ভৌগোলিক আকৃতি ভিন্ন রকম। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। মুরং ভাষা থেকে আসা ‘তুক-অ-দামতুয়া’ শব্দের অর্থটাও বেশ চমৎকার। তুক অর্থ ব্যাঙ, অ অর্থ ঝিরি আর দামতুয়া মানে খাড়া। অর্থাৎ এই খাড়া ঝিরির উজান ঠেলে ব্যাঙ বা মাছ ওপরের দিকে উঠতে পারে না বলে এই ঝরনার এমন নাম। আমাদের গাইড ছিলের মুরং সম্প্রদায়ের মানুষ। তিনিই জানালেন এসব।
ঝরনার উৎস দেখার পালা এবার। চরাই-উতরাই পেরিয়ে দেখা গেল এক সবুজে ঘেরা ঝিরি। বড় বড় কিছু পাথর পেরিয়ে একেবারে তার কাছে চলে গেলাম। বেশ চমৎকার একটা জায়গা। এই ঝিরির পানি দামতুয়া হয়ে ঝরে পড়ে নিচের প্রাকৃতিক সুইমিংপুলে।
এই ঝিরির নাম ব্যাঙ ঝিরি। সাধারণত ঝিরির নাম অনুসারে ঝরনাগুলোর নামকরণ হয়।
ব্যাঙ ঝিরির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সময়জ্ঞান প্রায় ভুলতে বসেছিলাম সবাই। গাইডের ডাকে আবার শুরু হলো ট্রেকিং। এই পাহাড়-জঙ্গলের গহিনে গাইডই তখন ক্যাপ্টেন। তাঁর নির্দেশ অমান্য করার উপায় নেই। আমরা আদুপাড়ার পথ ধরি। গাইড জানালেন, আবারও প্রায় নয় মাইল চড়াই-উতরাই পেরোতে হবে!
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। এমনিতেই পাহাড়ে সন্ধ্যা আসে ঝুপ করে। দুপুরে শুকনো দুই-চার পিস বিস্কুট ছাড়া তেমন কিছুই পড়েনি পেটে। তাই খিচুড়ির এন্তেজাম হবে রাতে। হাঁটছি ধীরে ধীরে, একেবারে উদ্দেশ্যপূর্ণ কারণে। আজ পূর্ণিমা। পাহাড়ের নির্জনতায় ভরা জোছনার আলো সঙ্গী করে হাঁটব। পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আমি মনে মনে কিছুটা উদ্দীপিত। এ রকম সুযোগ সব সময় মেলে না।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। আকাশছোঁয়া পাহাড় টপকে গোলাকার চাঁদ উঁকি দিল আকাশে। নিঝুম অন্ধকার পাহাড়ের চারপাশ আলোকিত হয়ে পড়ল। গাছের পাতাগুলো সবুজের মাঝে সোনালি বর্ণ ধারণ করল। অসাধারণ এক অনুভূতি। সবার মনে বিস্ময়ের দোলা। এখন আর কারও ফেরার তাড়া নেই। তবু ফিরতে হচ্ছে এই অলৌকিক রাতে।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবানের আলীকদমে বাস যায়। সেখান থেকে মোটরবাইক কিংবা চান্দের গাড়িতে যেতে হবে সতেরো কিলো এলাকায়। সেখানকার চা-দোকানিদের সহায়তা নিয়ে পেয়ে যাবেন গাইড। তাঁকে ছাড়া পাহাড়ে যাওয়া ঠিক হবে না।

কনের মা–বাবা এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘হাতি আর কবুতর’। দেবেন না কেন, বর তো ছিল কনের চেয়ে ২১ বছরের বড়। ১০০ কিলোগ্রামের চেয়েও বেশি ছিল তাঁর ওজন। উচ্চতাও ছিল দেখার মতো।
২১ জুলাই ২০২১
আজ আপনার রাগের তেজ এতটা বাড়বে যে আপনি ভুল করে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটাই ডিলিট করে দিতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে পড়লে মনে হবে যেন পৃথিবীর সব গাড়ি একজোট হয়ে শুধু আপনার কাজেই বাগড়া দিতে এসেছে। আবেগের বশে আজ ভুলেও অনলাইনে কিছু অর্ডার করবেন না, কারণ আপনি এমন কিছু কিনে ফেলবেন, যা আসলে
১ ঘণ্টা আগে
গত রোববার ১৯ অক্টোবর, সকাল ৯টা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। নিরাপত্তাপ্রহরীরা ইগল দৃষ্টিতে চারদিকে খেয়াল রাখছেন, পাহারা দিচ্ছেন। বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা সর্বত্র। তার মধ্যেই চুরি হয়ে গেল বিশ্বের এক নম্বর জাদুঘর প্যারিসের লুভর। তখন সকাল ৯টা ৩৭ মিনিট। মাত্র সাত মিনিটে চুরি...
১ দিন আগে
জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভি
১ দিন আগেমইনুল হাসান, ফ্রান্স

গত রোববার ১৯ অক্টোবর, সকাল ৯টা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। অফিস পাড়ায় ভিড় নেই। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। সকালের ঠান্ডা এ সময়ে তীব্র নয়। পুব আকাশে তখনো সূর্য অনেকটাই রক্তিম। নগরজীবনের প্রাণচাঞ্চল্য প্রকৃতির উষ্ণতায় আচ্ছাদিত। চারদিকে সুনসান। সবেমাত্র ঐতিহাসিক লুভর জাদুঘরের প্রধান ফটক দর্শনার্থীর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে কৌতূহলী দর্শনার্থীরা অতীত ইতিহাসের বর্ণাঢ্য জগতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে নানান ভাষাভাষী দর্শনার্থীর ভিড় জমতে শুরু করেছে কাচ আর ইস্পাতে ঘেরা অনুপম পিরামিডের চৌদিকে, নেপোলিয়ন চত্বরে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরার চোখ সর্বত্র। নিরাপত্তাপ্রহরীরা ইগল দৃষ্টিতে চারদিকে খেয়াল রাখছেন, পাহারা দিচ্ছেন। বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা সর্বত্র।
বিশ্বের এক নম্বর জাদুঘর প্যারিসের এই লুভর। বলা যায় জাদুঘরের এক উজ্জ্বল আইকন। অনেক কিংবদন্তি আছে এই বিস্ময়কর রহস্যময় স্থাপত্য সৌকর্যের অনুপম দৃষ্টান্ত এই রাজপ্রাসাদ নিয়ে। ১৫৪৬ সালে ফরাসি রাজা প্রথম ফ্রঁসোয়া এই ভবন ফরাসি রাজাদের মূল বাসভবনে রূপান্তর করেন। এরপর বহুবার ভবনটি সম্প্রসারণ করা হলে বর্তমান রূপ পায়। ১৬৮২ সালে ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুই তাঁর বাসভবন ভার্সাই প্রাসাদে স্থানান্তর করেন। তখন এই প্রাসাদ রাজকীয় সংগ্রহশালার চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্যের প্রদর্শনী কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

ফরাসি বিপ্লবের চার বছর পর, ১৭৯৩ সালে ৫৩৭টি শিল্পকর্ম নিয়ে লুভর প্রাসাদটি ‘কেন্দ্রীয় শিল্পকলা জাদুঘর’ নামে উদ্বোধন করা হয়। সেই থেকে বর্তমান জাদুঘরের যাত্রা শুরু। এখানে রক্ষিত আছে মোট ৪ লাখ ৬০ হাজার বস্তু-প্রদর্শনী। এর মধ্যে হাজার পঁয়ত্রিশেক বস্তু দর্শনার্থীর প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে। একনাগাড়ে এর প্রতিটি বস্তু দেখতে ১০ সেকেন্ড করে ব্যয় করলেও শেষ করতে সময় লাগবে তিন থেকে চার দিন। লুভর প্রাসাদে কক্ষ আছে ৪০৩টি, মেঝের আয়তন ২৬ লাখ বর্গফুটের বেশি। সব কটি করিডর ঘুরে এলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ হাঁটা হবে। সিঁড়িতে আছে ১০ হাজার ধাপ এবং ৭০টির মতো লিফট। এই জাদুঘর পরিচালনায় আছেন প্রায় ২ হাজার কর্মচারী। তাঁদের মধ্যে শুধু নিরাপত্তাপ্রহরীর সংখ্যাই হচ্ছে ১ হাজার ৩৬৬ জন। এটি বর্তমান সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর হিসেবে বিখ্যাত। গত বছর প্রায় ৯০ লাখ দর্শনার্থী প্রবেশ করেছিল এই জাদুর জাদুঘরে।
তবে ১৯ অক্টোবর এই জাদুঘরে ঢুকেছিলেন দুজন বিশেষ ব্যক্তি। তাঁরা দর্শনার্থী ছিলেন না, ছিলেন না কোনো সাধারণ চোর। অনেকে বলেন, রাজরত্ন চুরি করতে সবার চোখে ধুলো দিয়ে প্রাসাদে প্রবেশ করেছিলেন ‘চোরের রাজা’ কিংবা ‘জাদুকর চোর’। ঘড়ির কাঁটা যখন সকাল ৯টার ঘরে, তখন সেন নদীর ডান তীরের রাস্তা ধরে ধীরে ধীরে বিশ্বের সেরা জাদুঘর লুভর প্রাসাদের দিকে এগিয়েছেন দুটি টিম্যাক্স ইয়ামাহা মোটরবাইকে করে দুজন চালক। আর তাঁদের পেছনে ধাতব মইবাহী একটি লরি। তাতে সাধারণ শ্রমিকের পোশাকে আরও দুজন ব্যক্তি। মই বহনকারী লরিটি রাস্তার পাশে, লুভর জাদুঘরের এক কোণ ঘেঁষে থামল। লরি থেকে মুখ ঢাকা দুজন ব্যক্তি নেমে এলেন। একজনের পরনে উজ্জ্বল হলুদ এবং অন্যজন গায়ে চড়িয়েছেন উজ্জ্বল কমলা রঙের পোশাক। নগরীর বিভিন্ন স্থানে এমন পোশাক পরা, কাজে ব্যস্ত শ্রমিকদের দেখতে সবাই অভ্যস্ত। তাই তাঁদের দেখে কেউ তেমন সন্দেহ করেনি। তখন ঠিক ৯টা ৩০ মিনিট।

দুজন তস্কর কাচ ও ইস্পাত কাটার যন্ত্র হাতে, মই দিয়ে তরতর করে উঠে গেলেন প্রথম তলায়। একটি জানালার কাচ আর গ্রিল কেটে ঢুকে গেলেন অ্যাপোলো গ্যালারিতে। সে সময়ে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন জনা দশেক দর্শনার্থী। তখন ৯টা ৩৪ মিনিট। প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতায় দুটি কাচের প্রদর্শনী বাক্স কেটে হাতিয়ে নেওয়া হলো ফরাসি রাজপরিবারের বহু পুরোনো বহুরত্নখচিত ৮টি অমূল্য অলংকার—নীলকান্তমণি, পান্না আর হীরার বহুপ্রাচীন সব গয়না। মোট ৮ হাজার হীরা ছিল তাতে! রানি মেরি-অ্যামেলির নেকলেসে ছিল ৮টি নীলকান্তমণি আর ৬৩১টি হীরা। তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী ইউজেনির মুকুটে খচিত ছিল ২ হাজার হীরা। এর মধ্যে সব থেকে বড় হীরা ১৪০ ক্যারেটের।
ইতিমধ্যে, জাদুঘরের বাইরে অপেক্ষমাণ ডিউটি টিম্যাক্স ইয়ামাহা মোটরবাইকের দুই স্মার্ট চালক অস্থির হয়ে উঠলেন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই, রাজরত্ন চুরি করে অতি নিপুণ, দুর্ধর্ষ চারজন তস্কর মোটরবাইকে করে লাপাত্তা হয়ে গেলেন। তীব্র শব্দে বেজে উঠল সতর্কসংকেত। সেই সংকেত সরাসরি পৌঁছে গেল ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। নগরীর শান্ত প্রভাতের নীরবতায় ছেদ ঘটিয়ে চারদিকে পুলিশের সাইরেন। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তখন সকাল ৯টা ৩৭ মিনিট। মাত্র সাত মিনিটে ঘটল শতাব্দীর সেরা চুরি!

ফরাসি জাতির ইতিহাসের অংশ অমূল্য ধন, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির এমন চুরির খবর আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়ল পৃথিবীর সব প্রান্তে। চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলো সংবাদমাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরব হলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিরমি খেলেন। রোববারে একটু আলস্য করবেন বলে ঠিক করেছিলেন সদা ব্যস্ত সংস্কৃতিমন্ত্রী। তা না করে ছুটে গেলেন ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে দেখতে। বাঘা বাঘা বিশেষজ্ঞ চুরি যাওয়া রত্ন ও অলংকারের অর্থমূল্য নির্ধারণ না করতে পেরে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘অমূল্য’—অর্থ দিয়ে কেনা যায় না ইতিহাস। সাংবাদিকদের প্রশ্নের বিষমাখা তির বিদ্ধ হয়ে কাতরাতে কাতরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশেষে স্বীকার করলেন, ‘সুবিশাল এই প্রাসাদের ৮ হাজার দরজা, জানালা পাহারা দেওয়া সত্যিই কঠিন কাজ’। তিনি আরও জানিয়েছেন, এর আগে যে চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল, তা সেই ১৯৯৮ সালে, আজ থেকে ২৭ বছর আগে। ক্যামিল কোরোতের একটি তেলচিত্র চুরি হয়েছিল। আজও তা উদ্ধার হয়নি।
দুর্ধর্ষ এই চুরির ঘটনা দেশটির রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বিরোধীরা এই ঘটনাকে ‘জাতির মুখে কালিমা লেপন’ বলে অভিহিত করে বর্তমান সরকারের পরনের কাপড় নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, অচিরেই তাঁর দক্ষ গোয়েন্দারা তস্করদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে এবং জড়িত সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ছাড়বেন। সরকার মোট ৬০ জন বাছাই করা তদন্তকারী গোয়েন্দাকে দায়িত্ব দিল চোরাই মালপত্রসহ চোরদের পাকড়াও করার। এসব গোয়েন্দার আছে সারমেয় নাসিকা আর তাঁদের হাতে আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ইতিমধ্যে তাঁদের হাতে অনেক আলামত জমা হয়েছে।

যাঁরা অপরাধজগতের খবর রাখেন, তাঁরা এমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উচ্চারণে আস্থা রাখতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যাঁরা চুরি করেছেন, তাঁরা কোনো সাধারণ চোর বা ডাকাত নন। অত্যন্ত ঝানু এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তস্কর। অঢেল সম্পদশালী কোনো সংগ্রাহক মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাঁদের ঐতিহাসিক অলংকার চুরি করার কাজে লাগিয়েছে। কিংবা বিদেশি কোনো রাষ্ট্র তাদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। হতে পারে, অলংকার থেকে হীরা, জহরত আলাদা করে, খুচরা বিক্রির জন্য চুরি করা হয়েছে। তাই যতই সময় গড়াবে, ততই এই রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে।
এদিকে এমন দুর্ধর্ষ চুরির কাহিনি নিয়ে বলিউড চলচিত্র নির্মাণ শুরু করলে, তাতে বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। সে ছায়াছবির শিরোনাম হতে পারে, ‘সাত মিনিটে চুরি হলো সাত রাজার ধন’।

গত রোববার ১৯ অক্টোবর, সকাল ৯টা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। অফিস পাড়ায় ভিড় নেই। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। সকালের ঠান্ডা এ সময়ে তীব্র নয়। পুব আকাশে তখনো সূর্য অনেকটাই রক্তিম। নগরজীবনের প্রাণচাঞ্চল্য প্রকৃতির উষ্ণতায় আচ্ছাদিত। চারদিকে সুনসান। সবেমাত্র ঐতিহাসিক লুভর জাদুঘরের প্রধান ফটক দর্শনার্থীর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে কৌতূহলী দর্শনার্থীরা অতীত ইতিহাসের বর্ণাঢ্য জগতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে নানান ভাষাভাষী দর্শনার্থীর ভিড় জমতে শুরু করেছে কাচ আর ইস্পাতে ঘেরা অনুপম পিরামিডের চৌদিকে, নেপোলিয়ন চত্বরে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরার চোখ সর্বত্র। নিরাপত্তাপ্রহরীরা ইগল দৃষ্টিতে চারদিকে খেয়াল রাখছেন, পাহারা দিচ্ছেন। বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা সর্বত্র।
বিশ্বের এক নম্বর জাদুঘর প্যারিসের এই লুভর। বলা যায় জাদুঘরের এক উজ্জ্বল আইকন। অনেক কিংবদন্তি আছে এই বিস্ময়কর রহস্যময় স্থাপত্য সৌকর্যের অনুপম দৃষ্টান্ত এই রাজপ্রাসাদ নিয়ে। ১৫৪৬ সালে ফরাসি রাজা প্রথম ফ্রঁসোয়া এই ভবন ফরাসি রাজাদের মূল বাসভবনে রূপান্তর করেন। এরপর বহুবার ভবনটি সম্প্রসারণ করা হলে বর্তমান রূপ পায়। ১৬৮২ সালে ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুই তাঁর বাসভবন ভার্সাই প্রাসাদে স্থানান্তর করেন। তখন এই প্রাসাদ রাজকীয় সংগ্রহশালার চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্যের প্রদর্শনী কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

ফরাসি বিপ্লবের চার বছর পর, ১৭৯৩ সালে ৫৩৭টি শিল্পকর্ম নিয়ে লুভর প্রাসাদটি ‘কেন্দ্রীয় শিল্পকলা জাদুঘর’ নামে উদ্বোধন করা হয়। সেই থেকে বর্তমান জাদুঘরের যাত্রা শুরু। এখানে রক্ষিত আছে মোট ৪ লাখ ৬০ হাজার বস্তু-প্রদর্শনী। এর মধ্যে হাজার পঁয়ত্রিশেক বস্তু দর্শনার্থীর প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে। একনাগাড়ে এর প্রতিটি বস্তু দেখতে ১০ সেকেন্ড করে ব্যয় করলেও শেষ করতে সময় লাগবে তিন থেকে চার দিন। লুভর প্রাসাদে কক্ষ আছে ৪০৩টি, মেঝের আয়তন ২৬ লাখ বর্গফুটের বেশি। সব কটি করিডর ঘুরে এলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ হাঁটা হবে। সিঁড়িতে আছে ১০ হাজার ধাপ এবং ৭০টির মতো লিফট। এই জাদুঘর পরিচালনায় আছেন প্রায় ২ হাজার কর্মচারী। তাঁদের মধ্যে শুধু নিরাপত্তাপ্রহরীর সংখ্যাই হচ্ছে ১ হাজার ৩৬৬ জন। এটি বর্তমান সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর হিসেবে বিখ্যাত। গত বছর প্রায় ৯০ লাখ দর্শনার্থী প্রবেশ করেছিল এই জাদুর জাদুঘরে।
তবে ১৯ অক্টোবর এই জাদুঘরে ঢুকেছিলেন দুজন বিশেষ ব্যক্তি। তাঁরা দর্শনার্থী ছিলেন না, ছিলেন না কোনো সাধারণ চোর। অনেকে বলেন, রাজরত্ন চুরি করতে সবার চোখে ধুলো দিয়ে প্রাসাদে প্রবেশ করেছিলেন ‘চোরের রাজা’ কিংবা ‘জাদুকর চোর’। ঘড়ির কাঁটা যখন সকাল ৯টার ঘরে, তখন সেন নদীর ডান তীরের রাস্তা ধরে ধীরে ধীরে বিশ্বের সেরা জাদুঘর লুভর প্রাসাদের দিকে এগিয়েছেন দুটি টিম্যাক্স ইয়ামাহা মোটরবাইকে করে দুজন চালক। আর তাঁদের পেছনে ধাতব মইবাহী একটি লরি। তাতে সাধারণ শ্রমিকের পোশাকে আরও দুজন ব্যক্তি। মই বহনকারী লরিটি রাস্তার পাশে, লুভর জাদুঘরের এক কোণ ঘেঁষে থামল। লরি থেকে মুখ ঢাকা দুজন ব্যক্তি নেমে এলেন। একজনের পরনে উজ্জ্বল হলুদ এবং অন্যজন গায়ে চড়িয়েছেন উজ্জ্বল কমলা রঙের পোশাক। নগরীর বিভিন্ন স্থানে এমন পোশাক পরা, কাজে ব্যস্ত শ্রমিকদের দেখতে সবাই অভ্যস্ত। তাই তাঁদের দেখে কেউ তেমন সন্দেহ করেনি। তখন ঠিক ৯টা ৩০ মিনিট।

দুজন তস্কর কাচ ও ইস্পাত কাটার যন্ত্র হাতে, মই দিয়ে তরতর করে উঠে গেলেন প্রথম তলায়। একটি জানালার কাচ আর গ্রিল কেটে ঢুকে গেলেন অ্যাপোলো গ্যালারিতে। সে সময়ে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন জনা দশেক দর্শনার্থী। তখন ৯টা ৩৪ মিনিট। প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতায় দুটি কাচের প্রদর্শনী বাক্স কেটে হাতিয়ে নেওয়া হলো ফরাসি রাজপরিবারের বহু পুরোনো বহুরত্নখচিত ৮টি অমূল্য অলংকার—নীলকান্তমণি, পান্না আর হীরার বহুপ্রাচীন সব গয়না। মোট ৮ হাজার হীরা ছিল তাতে! রানি মেরি-অ্যামেলির নেকলেসে ছিল ৮টি নীলকান্তমণি আর ৬৩১টি হীরা। তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী ইউজেনির মুকুটে খচিত ছিল ২ হাজার হীরা। এর মধ্যে সব থেকে বড় হীরা ১৪০ ক্যারেটের।
ইতিমধ্যে, জাদুঘরের বাইরে অপেক্ষমাণ ডিউটি টিম্যাক্স ইয়ামাহা মোটরবাইকের দুই স্মার্ট চালক অস্থির হয়ে উঠলেন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই, রাজরত্ন চুরি করে অতি নিপুণ, দুর্ধর্ষ চারজন তস্কর মোটরবাইকে করে লাপাত্তা হয়ে গেলেন। তীব্র শব্দে বেজে উঠল সতর্কসংকেত। সেই সংকেত সরাসরি পৌঁছে গেল ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। নগরীর শান্ত প্রভাতের নীরবতায় ছেদ ঘটিয়ে চারদিকে পুলিশের সাইরেন। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তখন সকাল ৯টা ৩৭ মিনিট। মাত্র সাত মিনিটে ঘটল শতাব্দীর সেরা চুরি!

ফরাসি জাতির ইতিহাসের অংশ অমূল্য ধন, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির এমন চুরির খবর আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়ল পৃথিবীর সব প্রান্তে। চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলো সংবাদমাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরব হলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিরমি খেলেন। রোববারে একটু আলস্য করবেন বলে ঠিক করেছিলেন সদা ব্যস্ত সংস্কৃতিমন্ত্রী। তা না করে ছুটে গেলেন ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে দেখতে। বাঘা বাঘা বিশেষজ্ঞ চুরি যাওয়া রত্ন ও অলংকারের অর্থমূল্য নির্ধারণ না করতে পেরে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘অমূল্য’—অর্থ দিয়ে কেনা যায় না ইতিহাস। সাংবাদিকদের প্রশ্নের বিষমাখা তির বিদ্ধ হয়ে কাতরাতে কাতরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশেষে স্বীকার করলেন, ‘সুবিশাল এই প্রাসাদের ৮ হাজার দরজা, জানালা পাহারা দেওয়া সত্যিই কঠিন কাজ’। তিনি আরও জানিয়েছেন, এর আগে যে চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল, তা সেই ১৯৯৮ সালে, আজ থেকে ২৭ বছর আগে। ক্যামিল কোরোতের একটি তেলচিত্র চুরি হয়েছিল। আজও তা উদ্ধার হয়নি।
দুর্ধর্ষ এই চুরির ঘটনা দেশটির রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বিরোধীরা এই ঘটনাকে ‘জাতির মুখে কালিমা লেপন’ বলে অভিহিত করে বর্তমান সরকারের পরনের কাপড় নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, অচিরেই তাঁর দক্ষ গোয়েন্দারা তস্করদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে এবং জড়িত সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ছাড়বেন। সরকার মোট ৬০ জন বাছাই করা তদন্তকারী গোয়েন্দাকে দায়িত্ব দিল চোরাই মালপত্রসহ চোরদের পাকড়াও করার। এসব গোয়েন্দার আছে সারমেয় নাসিকা আর তাঁদের হাতে আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ইতিমধ্যে তাঁদের হাতে অনেক আলামত জমা হয়েছে।

যাঁরা অপরাধজগতের খবর রাখেন, তাঁরা এমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উচ্চারণে আস্থা রাখতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যাঁরা চুরি করেছেন, তাঁরা কোনো সাধারণ চোর বা ডাকাত নন। অত্যন্ত ঝানু এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তস্কর। অঢেল সম্পদশালী কোনো সংগ্রাহক মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাঁদের ঐতিহাসিক অলংকার চুরি করার কাজে লাগিয়েছে। কিংবা বিদেশি কোনো রাষ্ট্র তাদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। হতে পারে, অলংকার থেকে হীরা, জহরত আলাদা করে, খুচরা বিক্রির জন্য চুরি করা হয়েছে। তাই যতই সময় গড়াবে, ততই এই রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে।
এদিকে এমন দুর্ধর্ষ চুরির কাহিনি নিয়ে বলিউড চলচিত্র নির্মাণ শুরু করলে, তাতে বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। সে ছায়াছবির শিরোনাম হতে পারে, ‘সাত মিনিটে চুরি হলো সাত রাজার ধন’।

কনের মা–বাবা এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘হাতি আর কবুতর’। দেবেন না কেন, বর তো ছিল কনের চেয়ে ২১ বছরের বড়। ১০০ কিলোগ্রামের চেয়েও বেশি ছিল তাঁর ওজন। উচ্চতাও ছিল দেখার মতো।
২১ জুলাই ২০২১
আজ আপনার রাগের তেজ এতটা বাড়বে যে আপনি ভুল করে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটাই ডিলিট করে দিতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে পড়লে মনে হবে যেন পৃথিবীর সব গাড়ি একজোট হয়ে শুধু আপনার কাজেই বাগড়া দিতে এসেছে। আবেগের বশে আজ ভুলেও অনলাইনে কিছু অর্ডার করবেন না, কারণ আপনি এমন কিছু কিনে ফেলবেন, যা আসলে
১ ঘণ্টা আগে
তুক-অ-দামতুয়া নামটির মাঝেই রয়েছে অদ্ভুত এক রহস্য। তার ওপর এটি একটি ঝরনার নাম। এমনিতেই পাহাড়প্রেমীদের ছোট-বড় যেকোনো ঝরনার প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। সেটা যদি হয় দৈত্যাকার, তাহলে তো কথাই নেই।
১ দিন আগে
জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভি
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভিসা ফি এবং বর্তমান পরিস্থিতিও তাঁরা বিবেচনায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে জাপানের ভিসা ফি অনেক কম।
এখন জাপানের একক এন্ট্রি ভিসার
ফি বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১ হাজার ৭০০ টাকা। মাল্টিপল ভিসা ফি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশের ভিসা ফির তুলনায় অনেক কম। জি-সেভেন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার গড় ভিসা চার্জের তুলনায় জাপানের ফি এখনো অনেক নিচে।
চলতি সময়ে জাপানে পর্যটকের ভিড় বেড়েছে ব্যাপক। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক জাপান ভ্রমণ করেছে। এটি ২০২৪ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা ৪০ মিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাবে।
ভিসা ফি বাড়ানোর পাশাপাশি জাপান ‘ডিপারচার ট্যাক্স’ বা আন্তর্জাতিক পর্যটক
ফি বাড়ানোর বিষয় নিয়েও ভাবছে। বর্তমানে এর পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০৫ টাকা। জাপানি নাগরিক ও বিদেশি পর্যটক উভয়কেই এই ফি দিতে হয়। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে জাপানে ভ্রমণ তুলনামূলক ব্যয়বহুল হতে পারে। কারণ, প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটকদের জাপানে প্রবেশ করতে এখনকার চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন দেশের পর্যটনশিল্পকে দুর্বল করবে না। জাপানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার কারণে পর্যটকেরা সব সময় দেশটি ভ্রমণে আগ্রহী থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাপানের বিশ্বমানের পর্যটন অভিজ্ঞতা ও নিরাপদ পরিবেশের কারণে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। এর পাশাপাশি, পর্যটন থেকে পাওয়া রাজস্বও বাড়বে, যা দেশটির জাতীয় অর্থনীতি ও পরিষেবা খাতকে আরও বড় করবে। ফলে জাপান অন্য অনেক দেশের মতো ব্যয়বহুল হলেও পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দে ঘাটতি পড়বে না।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভিসা ফি এবং বর্তমান পরিস্থিতিও তাঁরা বিবেচনায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে জাপানের ভিসা ফি অনেক কম।
এখন জাপানের একক এন্ট্রি ভিসার
ফি বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১ হাজার ৭০০ টাকা। মাল্টিপল ভিসা ফি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশের ভিসা ফির তুলনায় অনেক কম। জি-সেভেন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার গড় ভিসা চার্জের তুলনায় জাপানের ফি এখনো অনেক নিচে।
চলতি সময়ে জাপানে পর্যটকের ভিড় বেড়েছে ব্যাপক। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক জাপান ভ্রমণ করেছে। এটি ২০২৪ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা ৪০ মিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাবে।
ভিসা ফি বাড়ানোর পাশাপাশি জাপান ‘ডিপারচার ট্যাক্স’ বা আন্তর্জাতিক পর্যটক
ফি বাড়ানোর বিষয় নিয়েও ভাবছে। বর্তমানে এর পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০৫ টাকা। জাপানি নাগরিক ও বিদেশি পর্যটক উভয়কেই এই ফি দিতে হয়। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে জাপানে ভ্রমণ তুলনামূলক ব্যয়বহুল হতে পারে। কারণ, প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটকদের জাপানে প্রবেশ করতে এখনকার চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন দেশের পর্যটনশিল্পকে দুর্বল করবে না। জাপানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার কারণে পর্যটকেরা সব সময় দেশটি ভ্রমণে আগ্রহী থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাপানের বিশ্বমানের পর্যটন অভিজ্ঞতা ও নিরাপদ পরিবেশের কারণে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। এর পাশাপাশি, পর্যটন থেকে পাওয়া রাজস্বও বাড়বে, যা দেশটির জাতীয় অর্থনীতি ও পরিষেবা খাতকে আরও বড় করবে। ফলে জাপান অন্য অনেক দেশের মতো ব্যয়বহুল হলেও পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দে ঘাটতি পড়বে না।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

কনের মা–বাবা এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘হাতি আর কবুতর’। দেবেন না কেন, বর তো ছিল কনের চেয়ে ২১ বছরের বড়। ১০০ কিলোগ্রামের চেয়েও বেশি ছিল তাঁর ওজন। উচ্চতাও ছিল দেখার মতো।
২১ জুলাই ২০২১
আজ আপনার রাগের তেজ এতটা বাড়বে যে আপনি ভুল করে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটাই ডিলিট করে দিতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে পড়লে মনে হবে যেন পৃথিবীর সব গাড়ি একজোট হয়ে শুধু আপনার কাজেই বাগড়া দিতে এসেছে। আবেগের বশে আজ ভুলেও অনলাইনে কিছু অর্ডার করবেন না, কারণ আপনি এমন কিছু কিনে ফেলবেন, যা আসলে
১ ঘণ্টা আগে
তুক-অ-দামতুয়া নামটির মাঝেই রয়েছে অদ্ভুত এক রহস্য। তার ওপর এটি একটি ঝরনার নাম। এমনিতেই পাহাড়প্রেমীদের ছোট-বড় যেকোনো ঝরনার প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। সেটা যদি হয় দৈত্যাকার, তাহলে তো কথাই নেই।
১ দিন আগে
গত রোববার ১৯ অক্টোবর, সকাল ৯টা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। নিরাপত্তাপ্রহরীরা ইগল দৃষ্টিতে চারদিকে খেয়াল রাখছেন, পাহারা দিচ্ছেন। বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা সর্বত্র। তার মধ্যেই চুরি হয়ে গেল বিশ্বের এক নম্বর জাদুঘর প্যারিসের লুভর। তখন সকাল ৯টা ৩৭ মিনিট। মাত্র সাত মিনিটে চুরি...
১ দিন আগে