তানিয়া ফেরদৌস
বন্ধুত্বের বন্ধন আসলে কাগজে লিখে বা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই যুগে যুগে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বহু কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। কোনো রকম রক্তের সম্পর্ক বা লেনদেনের বাধ্যবাধকতা ছাড়াই মানুষ বন্ধু হয় আরেক মানুষের। জাতপাত, ধর্ম, জাতি, শ্রেণি—এ ব্যাপারগুলো বন্ধুত্বে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারে না প্রায় সময়েই। বন্ধুত্ব এক মনের খেলা বলা যায়। কারণ, চাইলেও জোর করে বন্ধুত্ব হয় না। আবার খুব কম সময়েই হয়তো কারও সঙ্গে খুব গাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বিশ্বজনীন এই অবাক করা আত্মার সম্পর্কটি উদ্যাপন করতে আজকের বন্ধু দিবসের তাই আছে আলাদা গুরুত্ব।
গোড়ার কথা
বন্ধুত্ব ব্যাপারটি একেবারে নিঃস্বার্থ আর নির্লোভ বন্ধনের রূপ হলেও বন্ধু দিবসের প্রচলনটির পেছনে বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা ছিল—এমন অভিযোগ রয়েছে। সেই ১৯৩৫ সালে বিখ্যাত শুভেচ্ছা উপহার ও কার্ড কোম্পানি হলমার্ক বন্ধু দিবস পালনের প্রচলন ঘটায়। এ উপলক্ষে ফি বছর কার্ড আর স্মৃতিস্বরূপ বিভিন্ন উপহার আর বিশেষায়িত কার্ড বিক্রি করে রমরমা ব্যবসা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি বহু বছর ধরে। তবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাই ভাবুক না কেন, বন্ধুত্বের আবেদন আর গুরুত্ব সারা বিশ্বেই এত বেশি যে, এ বন্ধুত্ব আর বন্ধুদের ঘিরে বছরে একটি বিশেষ দিন উদ্যাপনের তাগিদ আসতই। তাই ২০১১ সাল থেকে খোদ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে ভারত, বাংলাদেশসহ অনেক দেশ দিবসটি পালন করে আগস্ট মাসের প্রথম রোববার। বন্ধু দিবসের প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র নাদুসনুদুস আদুরে ভালুক উইনি দ্য পুহ–কে।
বন্ধু কথাটির ব্যাপ্তি কিন্তু অত্যন্ত বিস্তৃত। সেই শৈশবের খেলার সাথি, স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী, প্রতিবেশী, খালাতো–চাচাতো ভাইবোন, কোথাও বেড়াতে গিয়ে দেখা হওয়া, বাসে আলাপ হওয়া–যে কেউ জীবনের অপরিহার্য, আত্মার বাঁধনে বাঁধা বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে মনের মিল হওয়াটা জরুরি খুব। আবার একই ধরনের শখ থাকলেও খুব দ্রুত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দুজনই ক্রিকেট পাগল হলে অথবা দুই বইপোকার বন্ধুত্ব জমে উঠতে দেরি লাগে না।
আবার পরিবারেই থাকে সবচেয়ে আপন, সবার চেয়ে বেশি শুভ চিন্তক বন্ধুস্বরূপ স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই, বোন। বর্তমান সময়ের নিরিখে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকাটা প্যারেন্টিং বা অভিভাবকত্বের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাবা–মা বন্ধুর মতো করে সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করলে, তাদের সঙ্গে সব ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করলে, ভরসার জায়গা হতে পারলে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন ধরনের বিপথগামিতা ঠেকানো যায় অনায়াসে—এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ।
সাইবার ক্রাইম, ইভ টিজিং বা যৌন নির্যাতনের মতো দুঃসহ পরিস্থিতি আসলে ভুক্তভোগী ছেলেমেয়েদের পরম বন্ধু আর বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে উঠতে পারেন বন্ধুরূপী বাবা, মা, ভাই, বোন। আর জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের মূল ভিত্তিটা বন্ধুত্ব হলে তা শক্ত শেকড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সম্পর্কের মহিরুহকে অবিচলভাবে বিকশিত করে তুলতে পারে। শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, বিশ্ব শান্তি, বৈশ্বিক কল্যাণে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্কের কোনো বিকল্প নেই।
বন্ধু দিবসে কার্ডের পাশাপাশি এক সময়ে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ডের খুব প্রচলন হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। তবে বন্ধু দিবসে নিজের ও বন্ধুর পছন্দমতো যেকোনো উপহারই দেওয়া যায়। বন্ধুত্বের মজার বা আবেগপূর্ণ মেসেজ লেখা জোড়া মগ, ফরমাশ দিয়ে নাম লিখিয়ে একই রকম লেখা বা কার্টুন সংবলিত টি–শার্ট, জোড়া লকেটের দুই অংশ জোড়া দিলে পূর্ণ মেসেজ পড়া যায়—এমন অভিনব সব আইডিয়ায় বন্ধু দিবসে প্রিয় বন্ধুর দিনটি অনন্য করে তোলা যায়।
বন্ধুদের নিয়ে সেই আগের আড্ডা, হৈ হুল্লোড়, বেড়াতে যাওয়া, একসঙ্গে মজার কিছু খাওয়া—এসব আনন্দঘন মুহূর্তগুলো করোনার থাবায় কেমন ম্লান হয়ে গেছে আজকাল। বন্ধু ও তার পরিবারের সবার কথা ভেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে উন্মুক্ত স্থানে দেখা করাই ভালো এ দুঃসময়ে। তবে অনলাইনে বন্ধুর প্রিয় কোনো খাবার ডেলিভারি দিয়ে তাকে চমকে দেওয়া যায়, প্রিয় কোনো ফুল, বই, শাড়ি, টি–শার্ট পাঠিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসে। আর দলগত ভিডিওকলের আড্ডায় বন্ধু দিবসের বিকেলটা মুখরিত করে তোলা তো যায়ই। হতে পারে অনলাইন আড্ডা, গানের আসর অথবা শুধুই এলোমেলো স্মৃতিচারণ।
বিপদেই বন্ধুর আসল পরিচয়, ছোটবেলায় ভালুক আর দুই বন্ধুর গল্পে শেখা সেই কথাটির বাস্তব রূপ এখন অহরহই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। করোনায় বিপর্যস্ত বন্ধুর পাশে নিজের জানমাল নিয়ে সাধ্যমতো দাঁড়ানোই এখন বন্ধুত্বের আসল রূপ। খাবারের ব্যবস্থা করে হোক, চিকিৎসার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে হোক, মনোবল বাড়াতে একটা ছোট্ট আন্তরিক খুদেবার্তা পাঠিয়ে হোক, বন্ধুর পাশে যেন এ সময়ে আমরা দাঁড়াই। রক্ত দিয়ে, অর্থ সাহায্য করে, অসুস্থতায় খাদ্য–পথ্য জুগিয়ে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সাহস দিয়ে যে–ই এখন আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে, সেই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।
আজকের বন্ধু দিবস তাই নিছক উপহার বিনিময়কেন্দ্রিক নয়, বরং মানবিকতা আর আন্তরিকতার কষ্টিপাথরে বন্ধুত্বের সত্যতা ও গভীরতা যাচাইয়ের নিরিখেই আমাদের সামনে এসেছে। বেঁচে থাক, সুস্থ থাক সবার বন্ধু। জয় হোক বিশ্বজনীন বন্ধুত্বের।
বন্ধুত্বের বন্ধন আসলে কাগজে লিখে বা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই যুগে যুগে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বহু কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। কোনো রকম রক্তের সম্পর্ক বা লেনদেনের বাধ্যবাধকতা ছাড়াই মানুষ বন্ধু হয় আরেক মানুষের। জাতপাত, ধর্ম, জাতি, শ্রেণি—এ ব্যাপারগুলো বন্ধুত্বে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারে না প্রায় সময়েই। বন্ধুত্ব এক মনের খেলা বলা যায়। কারণ, চাইলেও জোর করে বন্ধুত্ব হয় না। আবার খুব কম সময়েই হয়তো কারও সঙ্গে খুব গাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বিশ্বজনীন এই অবাক করা আত্মার সম্পর্কটি উদ্যাপন করতে আজকের বন্ধু দিবসের তাই আছে আলাদা গুরুত্ব।
গোড়ার কথা
বন্ধুত্ব ব্যাপারটি একেবারে নিঃস্বার্থ আর নির্লোভ বন্ধনের রূপ হলেও বন্ধু দিবসের প্রচলনটির পেছনে বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা ছিল—এমন অভিযোগ রয়েছে। সেই ১৯৩৫ সালে বিখ্যাত শুভেচ্ছা উপহার ও কার্ড কোম্পানি হলমার্ক বন্ধু দিবস পালনের প্রচলন ঘটায়। এ উপলক্ষে ফি বছর কার্ড আর স্মৃতিস্বরূপ বিভিন্ন উপহার আর বিশেষায়িত কার্ড বিক্রি করে রমরমা ব্যবসা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি বহু বছর ধরে। তবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাই ভাবুক না কেন, বন্ধুত্বের আবেদন আর গুরুত্ব সারা বিশ্বেই এত বেশি যে, এ বন্ধুত্ব আর বন্ধুদের ঘিরে বছরে একটি বিশেষ দিন উদ্যাপনের তাগিদ আসতই। তাই ২০১১ সাল থেকে খোদ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে ভারত, বাংলাদেশসহ অনেক দেশ দিবসটি পালন করে আগস্ট মাসের প্রথম রোববার। বন্ধু দিবসের প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র নাদুসনুদুস আদুরে ভালুক উইনি দ্য পুহ–কে।
বন্ধু কথাটির ব্যাপ্তি কিন্তু অত্যন্ত বিস্তৃত। সেই শৈশবের খেলার সাথি, স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী, প্রতিবেশী, খালাতো–চাচাতো ভাইবোন, কোথাও বেড়াতে গিয়ে দেখা হওয়া, বাসে আলাপ হওয়া–যে কেউ জীবনের অপরিহার্য, আত্মার বাঁধনে বাঁধা বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে মনের মিল হওয়াটা জরুরি খুব। আবার একই ধরনের শখ থাকলেও খুব দ্রুত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দুজনই ক্রিকেট পাগল হলে অথবা দুই বইপোকার বন্ধুত্ব জমে উঠতে দেরি লাগে না।
আবার পরিবারেই থাকে সবচেয়ে আপন, সবার চেয়ে বেশি শুভ চিন্তক বন্ধুস্বরূপ স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই, বোন। বর্তমান সময়ের নিরিখে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকাটা প্যারেন্টিং বা অভিভাবকত্বের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাবা–মা বন্ধুর মতো করে সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করলে, তাদের সঙ্গে সব ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করলে, ভরসার জায়গা হতে পারলে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন ধরনের বিপথগামিতা ঠেকানো যায় অনায়াসে—এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ।
সাইবার ক্রাইম, ইভ টিজিং বা যৌন নির্যাতনের মতো দুঃসহ পরিস্থিতি আসলে ভুক্তভোগী ছেলেমেয়েদের পরম বন্ধু আর বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে উঠতে পারেন বন্ধুরূপী বাবা, মা, ভাই, বোন। আর জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের মূল ভিত্তিটা বন্ধুত্ব হলে তা শক্ত শেকড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সম্পর্কের মহিরুহকে অবিচলভাবে বিকশিত করে তুলতে পারে। শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, বিশ্ব শান্তি, বৈশ্বিক কল্যাণে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্কের কোনো বিকল্প নেই।
বন্ধু দিবসে কার্ডের পাশাপাশি এক সময়ে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ডের খুব প্রচলন হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। তবে বন্ধু দিবসে নিজের ও বন্ধুর পছন্দমতো যেকোনো উপহারই দেওয়া যায়। বন্ধুত্বের মজার বা আবেগপূর্ণ মেসেজ লেখা জোড়া মগ, ফরমাশ দিয়ে নাম লিখিয়ে একই রকম লেখা বা কার্টুন সংবলিত টি–শার্ট, জোড়া লকেটের দুই অংশ জোড়া দিলে পূর্ণ মেসেজ পড়া যায়—এমন অভিনব সব আইডিয়ায় বন্ধু দিবসে প্রিয় বন্ধুর দিনটি অনন্য করে তোলা যায়।
বন্ধুদের নিয়ে সেই আগের আড্ডা, হৈ হুল্লোড়, বেড়াতে যাওয়া, একসঙ্গে মজার কিছু খাওয়া—এসব আনন্দঘন মুহূর্তগুলো করোনার থাবায় কেমন ম্লান হয়ে গেছে আজকাল। বন্ধু ও তার পরিবারের সবার কথা ভেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে উন্মুক্ত স্থানে দেখা করাই ভালো এ দুঃসময়ে। তবে অনলাইনে বন্ধুর প্রিয় কোনো খাবার ডেলিভারি দিয়ে তাকে চমকে দেওয়া যায়, প্রিয় কোনো ফুল, বই, শাড়ি, টি–শার্ট পাঠিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসে। আর দলগত ভিডিওকলের আড্ডায় বন্ধু দিবসের বিকেলটা মুখরিত করে তোলা তো যায়ই। হতে পারে অনলাইন আড্ডা, গানের আসর অথবা শুধুই এলোমেলো স্মৃতিচারণ।
বিপদেই বন্ধুর আসল পরিচয়, ছোটবেলায় ভালুক আর দুই বন্ধুর গল্পে শেখা সেই কথাটির বাস্তব রূপ এখন অহরহই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। করোনায় বিপর্যস্ত বন্ধুর পাশে নিজের জানমাল নিয়ে সাধ্যমতো দাঁড়ানোই এখন বন্ধুত্বের আসল রূপ। খাবারের ব্যবস্থা করে হোক, চিকিৎসার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে হোক, মনোবল বাড়াতে একটা ছোট্ট আন্তরিক খুদেবার্তা পাঠিয়ে হোক, বন্ধুর পাশে যেন এ সময়ে আমরা দাঁড়াই। রক্ত দিয়ে, অর্থ সাহায্য করে, অসুস্থতায় খাদ্য–পথ্য জুগিয়ে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সাহস দিয়ে যে–ই এখন আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে, সেই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।
আজকের বন্ধু দিবস তাই নিছক উপহার বিনিময়কেন্দ্রিক নয়, বরং মানবিকতা আর আন্তরিকতার কষ্টিপাথরে বন্ধুত্বের সত্যতা ও গভীরতা যাচাইয়ের নিরিখেই আমাদের সামনে এসেছে। বেঁচে থাক, সুস্থ থাক সবার বন্ধু। জয় হোক বিশ্বজনীন বন্ধুত্বের।
একেকটা মৌসুমে একেক ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়। আর এসব রোগবালাই থেকে বাঁচতে সে মৌসুমে যেসব ফলমূল ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়, সেসব খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কার্তিক মাসে চৌদ্দ শাক খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসাইকেল শুধু পরিবহন নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বে প্রায় ১ বিলিয়ন সাইকেল রয়েছে—এ সংখ্যা গাড়ির সংখ্যার দ্বিগুণ। করোনা মহামারির পর সাইকেল ব্যবহার আরও বেড়েছে। মানুষ এখন ব্যায়াম, অবসর ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও অসংখ্য সাইকেল চলাচল করে বটে...
৫ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন।
৬ ঘণ্টা আগেচলছে অক্টোবর মাস। এটি স্তন ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির মাস। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী এ মাসে স্তন ক্যানসারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জীবনের মানোন্নয়ন নিয়ে স্বাস্থ্যসেবকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রতিটি গল্প অনন্য, প্রতিটি যাত্রা মূল্যবান’।
৬ ঘণ্টা আগে