রিক্তা রিচি, ঢাকা
চলুন নব্বইয়ের দশকে ফিরে যাই, আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে আলিফ লায়লা, আলাদিন, সিন্দাবাদ কিংবা এ ধরনের সিরিজ দেখার জন্য টেলিভিশনের দিকে মুখিয়ে থাকত তখনকার ছোট-বড় সবাই। টান টান উত্তেজনা নিয়ে দেখত আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের উপকথা নিয়ে নির্মিত সিরিজ।
দেখা যেত নারী-পুরুষ সবাই একধরনের স্কার্ট-সালোয়ার পরতেন। এই পোশাক ছিল ছড়ানো। সালোয়ার ছিল কুঁচি ডিজাইনের এবং নিচের দিকে চাপানো। কিছু কিছু সালোয়ারে কুঁচি কম থাকত। সে সময় বেশ প্রচলিত ছিল এ ধরনের সালোয়ার। এটি হারেম স্কার্ট বা হারেম প্যান্ট নামে পরিচিত ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের প্যান্টের প্রচলন কমে গিয়েছিল।
কিন্তু ফ্যাশন যেন সময়ের স্রোতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন গতি পায়। এখন মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে আবারও হারেম স্কার্ট তথা হারেম প্যান্ট তৈরি করছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। কেউ কেউ হারেম প্যান্টকে ট্রাউজার প্যান্ট, পাতিয়ালা সালোয়ারও বলে থাকেন। এই প্যান্টগুলো খুব ঢোলা হয়। নিচের দিকে চাপানো থাকে। এ জন্য প্যান্টের অংশগুলো ভাঁজ ভাঁজ হয়ে থাকে।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড দেশাল নিয়ে এসেছে বিভিন্ন রঙের হারেম প্যান্ট। লাল, নীল, হলুদ, মেরুন, সাদা, গাঢ় নীল, কালো- মোটামুটি সব রঙেই পাওয়া যাচ্ছে এই প্যান্ট। এই প্যান্টগুলো লিলেন কাপড়ের তৈরি। ৩৪-৪০ যেকোনো আকারে পাওয়া যাচ্ছে প্যান্টগুলো।
হারেম প্যান্ট তথা পাতিয়ালা সালোয়ারের সঙ্গে মানিয়ে যায় লং টপস, ক্রপ টপ ও ফতুয়া। যেকোনো বয়সী নারীদের কাছে, বিশেষ করে তরুণীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এই প্যান্ট। দেশাল থেকে হারেম প্যান্ট কেনা যাবে ১ হাজার ২৭৯ টাকায়।
কারভি কিউ নিয়ে এসেছে টিউলিপ প্যান্ট, ধুতি, হারেম প্যান্টসহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ও রুচিশীল পোশাক। দামটাও সাধ্যের মধ্যে। কারভি কিউ থেকে প্যান্ট কেনা যাবে ৭৫০ টাকার মধ্যে।
ফ্রিডম বিডি শপেও পাওয়া যাচ্ছে হারেম প্যান্ট তথা পাতিয়ালা সালোয়ার। ছোট-বড় সবার জন্যই পাওয়া যাবে এগুলো। বড়দের প্যান্টগুলোর কোমরের মাপ ২৮ থেকে ৪৪ ইঞ্চি। এগুলো লম্বায় ৩৬-৪০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সারারাও দেখতে স্কার্টের মতো। তবে এটি স্কার্ট নয়। সারারার ওপরের দিকে চাপানো এবং নিচের দিকে রয়েছে ছড়ানো ও কুঁচি ডিজাইন। বেলবটম প্যান্টের ওপরের দিকে চাপানো ও নিচের দিকে ঢোলা। কিছু কিছু বেলবটম প্যান্টের নিচের দিকে ঢেউখেলানো ডিজাইন আছে। আর এই প্যান্টগুলোর সঙ্গে কামিজ, কুর্তি, টপস খুব সহজেই মানিয়ে যায়। একটি মাত্র প্যান্ট দিয়ে পরা যায় একাধিক পোশাক। এতে ফ্যাশনে আসে নতুনত্ব। কটন, মিক্সড কটন, লিলেন ইত্যাদি ফেব্রিক দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট।
তাকদীর ফ্যাশন ও ফ্রিডম বিডি শপের কর্ণধার উম্মে সাদিয়া জানান, কর্মজীবী নারীরা, বিশেষ করে যাঁরা ব্যাংকে চাকরি করেন এবং যাঁরা চিকিৎসাসেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট কেনেন। শিক্ষার্থীরা একটু কমই কেনেন। মূলত ফ্যাশন সচেতন নারীদের কাছে এই প্যান্টগুলোর চাহিদা বেশি।
যেকোনো টপস, কামিজ ও ফতুয়ার সঙ্গে পরা যায় এবং খুব আরামদায়ক বলেই ক্রেতারা প্যান্ট কেনেন বলেও জানান তিনি।
সাদিয়া বলেন, ‘প্যান্ট তৈরিতে আমরা গার্মেন্টস কটন ব্যবহার করি। যে কাপড়গুলো দেশের বাইরে যায়, সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করি। কটনের সঙ্গে ৫ শতাংশ অন্য মিক্সড ফেব্রিক ব্যবহার করি। কারণ শুধু কটন অনেক সময় ধুতে গেলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ধুতির ক্ষেত্রে আমরা মোলায়েম সিল্ক, জর্জেট কাপড় ব্যবহার করি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারেও প্যান্টের কাপড় ব্যবহার করা হয়।’
ফ্রিডম বিডি শপ থেকে বেলবটম প্যান্ট কেনা যাবে ৬৫০-৭০০ টাকায়, ধুতি কেনা যাবে ৫০০-৭০০ টাকায়, টিউলিপ প্যান্ট ও যেকোনো ফরমাল প্যান্ট কেনা যাবে ৬৫০ টাকায়, পালাজ্জো কেনা যাবে ৩৫০-৬০০ টাকার মধ্যে। ছোটদের ধুতি, প্যান্ট, সারারা পাওয়া যাবে ৫০০ টাকার মধ্যে।
এ ছাড়া দ্য আর্টিস্টিক, ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন, কইন্যা, এম বি কালেকশন, টুগুন ইত্যাদি পেইজ থেকে পছন্দের প্যান্ট কেনা যাবে।
চলুন নব্বইয়ের দশকে ফিরে যাই, আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে আলিফ লায়লা, আলাদিন, সিন্দাবাদ কিংবা এ ধরনের সিরিজ দেখার জন্য টেলিভিশনের দিকে মুখিয়ে থাকত তখনকার ছোট-বড় সবাই। টান টান উত্তেজনা নিয়ে দেখত আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের উপকথা নিয়ে নির্মিত সিরিজ।
দেখা যেত নারী-পুরুষ সবাই একধরনের স্কার্ট-সালোয়ার পরতেন। এই পোশাক ছিল ছড়ানো। সালোয়ার ছিল কুঁচি ডিজাইনের এবং নিচের দিকে চাপানো। কিছু কিছু সালোয়ারে কুঁচি কম থাকত। সে সময় বেশ প্রচলিত ছিল এ ধরনের সালোয়ার। এটি হারেম স্কার্ট বা হারেম প্যান্ট নামে পরিচিত ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের প্যান্টের প্রচলন কমে গিয়েছিল।
কিন্তু ফ্যাশন যেন সময়ের স্রোতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন গতি পায়। এখন মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে আবারও হারেম স্কার্ট তথা হারেম প্যান্ট তৈরি করছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। কেউ কেউ হারেম প্যান্টকে ট্রাউজার প্যান্ট, পাতিয়ালা সালোয়ারও বলে থাকেন। এই প্যান্টগুলো খুব ঢোলা হয়। নিচের দিকে চাপানো থাকে। এ জন্য প্যান্টের অংশগুলো ভাঁজ ভাঁজ হয়ে থাকে।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড দেশাল নিয়ে এসেছে বিভিন্ন রঙের হারেম প্যান্ট। লাল, নীল, হলুদ, মেরুন, সাদা, গাঢ় নীল, কালো- মোটামুটি সব রঙেই পাওয়া যাচ্ছে এই প্যান্ট। এই প্যান্টগুলো লিলেন কাপড়ের তৈরি। ৩৪-৪০ যেকোনো আকারে পাওয়া যাচ্ছে প্যান্টগুলো।
হারেম প্যান্ট তথা পাতিয়ালা সালোয়ারের সঙ্গে মানিয়ে যায় লং টপস, ক্রপ টপ ও ফতুয়া। যেকোনো বয়সী নারীদের কাছে, বিশেষ করে তরুণীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এই প্যান্ট। দেশাল থেকে হারেম প্যান্ট কেনা যাবে ১ হাজার ২৭৯ টাকায়।
কারভি কিউ নিয়ে এসেছে টিউলিপ প্যান্ট, ধুতি, হারেম প্যান্টসহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ও রুচিশীল পোশাক। দামটাও সাধ্যের মধ্যে। কারভি কিউ থেকে প্যান্ট কেনা যাবে ৭৫০ টাকার মধ্যে।
ফ্রিডম বিডি শপেও পাওয়া যাচ্ছে হারেম প্যান্ট তথা পাতিয়ালা সালোয়ার। ছোট-বড় সবার জন্যই পাওয়া যাবে এগুলো। বড়দের প্যান্টগুলোর কোমরের মাপ ২৮ থেকে ৪৪ ইঞ্চি। এগুলো লম্বায় ৩৬-৪০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সারারাও দেখতে স্কার্টের মতো। তবে এটি স্কার্ট নয়। সারারার ওপরের দিকে চাপানো এবং নিচের দিকে রয়েছে ছড়ানো ও কুঁচি ডিজাইন। বেলবটম প্যান্টের ওপরের দিকে চাপানো ও নিচের দিকে ঢোলা। কিছু কিছু বেলবটম প্যান্টের নিচের দিকে ঢেউখেলানো ডিজাইন আছে। আর এই প্যান্টগুলোর সঙ্গে কামিজ, কুর্তি, টপস খুব সহজেই মানিয়ে যায়। একটি মাত্র প্যান্ট দিয়ে পরা যায় একাধিক পোশাক। এতে ফ্যাশনে আসে নতুনত্ব। কটন, মিক্সড কটন, লিলেন ইত্যাদি ফেব্রিক দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট।
তাকদীর ফ্যাশন ও ফ্রিডম বিডি শপের কর্ণধার উম্মে সাদিয়া জানান, কর্মজীবী নারীরা, বিশেষ করে যাঁরা ব্যাংকে চাকরি করেন এবং যাঁরা চিকিৎসাসেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট কেনেন। শিক্ষার্থীরা একটু কমই কেনেন। মূলত ফ্যাশন সচেতন নারীদের কাছে এই প্যান্টগুলোর চাহিদা বেশি।
যেকোনো টপস, কামিজ ও ফতুয়ার সঙ্গে পরা যায় এবং খুব আরামদায়ক বলেই ক্রেতারা প্যান্ট কেনেন বলেও জানান তিনি।
সাদিয়া বলেন, ‘প্যান্ট তৈরিতে আমরা গার্মেন্টস কটন ব্যবহার করি। যে কাপড়গুলো দেশের বাইরে যায়, সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করি। কটনের সঙ্গে ৫ শতাংশ অন্য মিক্সড ফেব্রিক ব্যবহার করি। কারণ শুধু কটন অনেক সময় ধুতে গেলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ধুতির ক্ষেত্রে আমরা মোলায়েম সিল্ক, জর্জেট কাপড় ব্যবহার করি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারেও প্যান্টের কাপড় ব্যবহার করা হয়।’
ফ্রিডম বিডি শপ থেকে বেলবটম প্যান্ট কেনা যাবে ৬৫০-৭০০ টাকায়, ধুতি কেনা যাবে ৫০০-৭০০ টাকায়, টিউলিপ প্যান্ট ও যেকোনো ফরমাল প্যান্ট কেনা যাবে ৬৫০ টাকায়, পালাজ্জো কেনা যাবে ৩৫০-৬০০ টাকার মধ্যে। ছোটদের ধুতি, প্যান্ট, সারারা পাওয়া যাবে ৫০০ টাকার মধ্যে।
এ ছাড়া দ্য আর্টিস্টিক, ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন, কইন্যা, এম বি কালেকশন, টুগুন ইত্যাদি পেইজ থেকে পছন্দের প্যান্ট কেনা যাবে।
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৪ ঘণ্টা আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২ দিন আগে