ডয়চে ভেলে
স্পেনের সেভিয়া শহরে বসন্তকালের জনপ্রিয় উৎসব ‘ফেরিয়া দে আব্রিল'-এর প্রায় সব দর্শকই ঐতিহ্যবাহী ফ্লামেংকো পোশাক পরেন৷ সেখানে মাথা থেকে পা পর্যন্ত স্টাইলের ছোঁয়া দেখা যায়৷ ফ্লামেংকো শৈলির পোশাক ও চোখধাঁধানো আনুষঙ্গিক অ্যাক্সেসরির ক্ষেত্রে ‘আউরোরা গাবিনিয়ো’ নামের ব্র্যান্ড ট্রেন্ডসেটার হিসেবে পরিচিত৷
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আউরোরা গাবিনিয়ো নিজের দুই মেয়ে ভিক্টোরিয়া ও আউরোরার সঙ্গে মিলে স্পেনের দক্ষিণে সেভিয়া শহরের সদর দপ্তর থেকে প্রভাবশালী এই লেবেল পরিচালনা করেন৷ কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার আউরোরা গাবিনিয়ো বলেন, ‘সুন্দর ফ্লামেংকো পোশাকের একটা ইতিহাস রয়েছে৷ তবে আধুনিক নয়, শুধু ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য৷ আমার মা নিজস্ব লেবেল সৃষ্টি করেন, যা সে সময় থেকেই নির্দিষ্ট প্রবণতা স্থির করে আসছে৷ কোনো ফ্রামেংকো পোশাকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, সেটি আরামদায়ক হতে হবে৷ কারণ ফেরিয়ায় সেটা পরতে হয়, যেখানে মদ্যপান ও নাচ চলে৷ সেখানে স্বামী, বাবা বা প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হতে পারে৷ তাই নিখুঁত পোশাক থাকা চাই৷’
অত্যন্ত উঁচু মানের কাপড় দিয়ে ২৫ জনের এক টিম পোশাক সৃষ্টি করে৷ ২১ ও ২৩ বছরের দুই বোনও সেই টিমের অংশ৷ একই ছাদের নিচে সবকিছু সৃষ্টি করা হয়৷ ডিজাইন, সেলাই থেকে শুরু করে বুটিকে ঝোলানোর উপযুক্ত করে সাজানোর কাজ সেখানেই করা হয়৷ আউরোরা বলেন, ‘আমি পোশাকের নিচের ফ্রিল বা কুঁচি কাটছি৷ সেখানে বেশ কয়েক স্তরের কাপড় থাকবে৷ এটা বেশ বড়৷ আমাদের সেলাই করতে হবে৷ ফ্লাউন্সের ওপর কুঁচি থাকবে৷’
সূক্ষ্ম কাজের জন্য এই লেবেল বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে৷ আউরোরা গাবিনিয়ো মনে করেন, ‘শুধু আমার মা-ই এত বিস্তারিতভাবে সবকিছু করেন৷ বাকিরা শুধু তাঁর নকল করেন৷ ফ্রামেংকো আমার জীবন৷ আমি এর সঙ্গেই বড় হয়েছি৷ আমরা সব ধরনের হাতে তৈরি ফ্লামেংকো পোশাক বিক্রি করি৷ ফ্লামেংকোর সঙ্গে সবকিছু সম্ভব৷’
ঘড়িতে শনিবার মাঝরাতের ঘণ্টা বাজার জন্য মানুষের ভিড় অপেক্ষা করছে৷ তখন ফেরিয়ায় প্রবেশ তোরণের ২৫ হাজার বাতি জ্বলে উঠবে৷ এক সপ্তাহ ধরে বর্ণাঢ্য উৎসব চলবে৷ রোববার দুপুরে প্লাসা দে তোরোস চত্বরে ঘোড়ায় টানা গাড়ির প্যারেড উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ৷ অনেক নারী-পুরুষ সেখানে ঐতিহাসিক পোশাক পরে আসেন৷ ফেরিয়া প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে নারীরা পার্টির মেজাজে রয়েছেন৷
আউরোরা গাবিনিয়ো সেই উৎসবে অংশ নিতে ভালোবাসেন৷ কয়েকজন গ্রাহক বন্ধু এ বছর তাঁকে একটি ঘোড়ার গাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আউরোরা বলেন, ‘এটাই আমার গাবিনিয়ো লেবেলের বৈশিষ্ট্য৷ আমি হয় এখানে অথবা কোমরে বর্ডার লাগাতে পারি৷ আমার ক্রেতাদের সিংহভাগই স্বাধীন নারী৷ তারা জানে, তারা কী চায় এবং কী পছন্দ করে৷ সামাজিক নিয়মের তোয়াক্কা করে না৷’
১৮৪৭ সালে প্রথম ফেরিয়া উৎসব পালন করা হয়েছিল৷ এখন এটা আন্দালুসিয়া প্রদেশের সবচেয়ে বড় উৎসব হয়ে উঠেছে৷ কিছু মানুষ গোটা সপ্তাহের জন্য ক্যারেজ ভাড়া করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাত্রা করছেন৷ পার্টির অংশগ্রহণকারীরা অবশ্যই ফ্লামেংকোর তালে নাচেন৷ এসব নারীর জন্যই আউরোরা গাবিনিয়ো পোশাক তৈরি করেন৷
এবার দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শুধু ফেরিয়া উপভোগ করতে চান৷ সেই সঙ্গে নতুন ফ্লামেংকো ‘লুক'-এর আইডিয়াও সংগ্রহ করতে চান তিনি৷
স্পেনের সেভিয়া শহরে বসন্তকালের জনপ্রিয় উৎসব ‘ফেরিয়া দে আব্রিল'-এর প্রায় সব দর্শকই ঐতিহ্যবাহী ফ্লামেংকো পোশাক পরেন৷ সেখানে মাথা থেকে পা পর্যন্ত স্টাইলের ছোঁয়া দেখা যায়৷ ফ্লামেংকো শৈলির পোশাক ও চোখধাঁধানো আনুষঙ্গিক অ্যাক্সেসরির ক্ষেত্রে ‘আউরোরা গাবিনিয়ো’ নামের ব্র্যান্ড ট্রেন্ডসেটার হিসেবে পরিচিত৷
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আউরোরা গাবিনিয়ো নিজের দুই মেয়ে ভিক্টোরিয়া ও আউরোরার সঙ্গে মিলে স্পেনের দক্ষিণে সেভিয়া শহরের সদর দপ্তর থেকে প্রভাবশালী এই লেবেল পরিচালনা করেন৷ কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার আউরোরা গাবিনিয়ো বলেন, ‘সুন্দর ফ্লামেংকো পোশাকের একটা ইতিহাস রয়েছে৷ তবে আধুনিক নয়, শুধু ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য৷ আমার মা নিজস্ব লেবেল সৃষ্টি করেন, যা সে সময় থেকেই নির্দিষ্ট প্রবণতা স্থির করে আসছে৷ কোনো ফ্রামেংকো পোশাকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, সেটি আরামদায়ক হতে হবে৷ কারণ ফেরিয়ায় সেটা পরতে হয়, যেখানে মদ্যপান ও নাচ চলে৷ সেখানে স্বামী, বাবা বা প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হতে পারে৷ তাই নিখুঁত পোশাক থাকা চাই৷’
অত্যন্ত উঁচু মানের কাপড় দিয়ে ২৫ জনের এক টিম পোশাক সৃষ্টি করে৷ ২১ ও ২৩ বছরের দুই বোনও সেই টিমের অংশ৷ একই ছাদের নিচে সবকিছু সৃষ্টি করা হয়৷ ডিজাইন, সেলাই থেকে শুরু করে বুটিকে ঝোলানোর উপযুক্ত করে সাজানোর কাজ সেখানেই করা হয়৷ আউরোরা বলেন, ‘আমি পোশাকের নিচের ফ্রিল বা কুঁচি কাটছি৷ সেখানে বেশ কয়েক স্তরের কাপড় থাকবে৷ এটা বেশ বড়৷ আমাদের সেলাই করতে হবে৷ ফ্লাউন্সের ওপর কুঁচি থাকবে৷’
সূক্ষ্ম কাজের জন্য এই লেবেল বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে৷ আউরোরা গাবিনিয়ো মনে করেন, ‘শুধু আমার মা-ই এত বিস্তারিতভাবে সবকিছু করেন৷ বাকিরা শুধু তাঁর নকল করেন৷ ফ্রামেংকো আমার জীবন৷ আমি এর সঙ্গেই বড় হয়েছি৷ আমরা সব ধরনের হাতে তৈরি ফ্লামেংকো পোশাক বিক্রি করি৷ ফ্লামেংকোর সঙ্গে সবকিছু সম্ভব৷’
ঘড়িতে শনিবার মাঝরাতের ঘণ্টা বাজার জন্য মানুষের ভিড় অপেক্ষা করছে৷ তখন ফেরিয়ায় প্রবেশ তোরণের ২৫ হাজার বাতি জ্বলে উঠবে৷ এক সপ্তাহ ধরে বর্ণাঢ্য উৎসব চলবে৷ রোববার দুপুরে প্লাসা দে তোরোস চত্বরে ঘোড়ায় টানা গাড়ির প্যারেড উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ৷ অনেক নারী-পুরুষ সেখানে ঐতিহাসিক পোশাক পরে আসেন৷ ফেরিয়া প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে নারীরা পার্টির মেজাজে রয়েছেন৷
আউরোরা গাবিনিয়ো সেই উৎসবে অংশ নিতে ভালোবাসেন৷ কয়েকজন গ্রাহক বন্ধু এ বছর তাঁকে একটি ঘোড়ার গাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আউরোরা বলেন, ‘এটাই আমার গাবিনিয়ো লেবেলের বৈশিষ্ট্য৷ আমি হয় এখানে অথবা কোমরে বর্ডার লাগাতে পারি৷ আমার ক্রেতাদের সিংহভাগই স্বাধীন নারী৷ তারা জানে, তারা কী চায় এবং কী পছন্দ করে৷ সামাজিক নিয়মের তোয়াক্কা করে না৷’
১৮৪৭ সালে প্রথম ফেরিয়া উৎসব পালন করা হয়েছিল৷ এখন এটা আন্দালুসিয়া প্রদেশের সবচেয়ে বড় উৎসব হয়ে উঠেছে৷ কিছু মানুষ গোটা সপ্তাহের জন্য ক্যারেজ ভাড়া করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাত্রা করছেন৷ পার্টির অংশগ্রহণকারীরা অবশ্যই ফ্লামেংকোর তালে নাচেন৷ এসব নারীর জন্যই আউরোরা গাবিনিয়ো পোশাক তৈরি করেন৷
এবার দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শুধু ফেরিয়া উপভোগ করতে চান৷ সেই সঙ্গে নতুন ফ্লামেংকো ‘লুক'-এর আইডিয়াও সংগ্রহ করতে চান তিনি৷
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে উড়োজাহাজে চড়তে হবে, এমন কথা প্রচলিত আছে। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও ঘটতে দেখা যায় মাঝে মাঝে। তেমন ঘটনাই প্রমাণ করলেন ডেনমার্কের নাগরিক থর পেডারসেন। উড়োজাহাজে না চড়েই পৃথিবীর প্রতিটি দেশ দেখার বাসনা ছিল তাঁর। সে বাসনা পূরণ করতেই ২০১৩ সালে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন থর।
২ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ৬ হাজার ৪১৯ মিটার উঁচু চুলু ওয়েস্ট এবং ৬ হাজার ১৪৪ মিটার উঁচু থরং পর্বত। এ দুটি পর্বত অভিযানে যাচ্ছেন প্রকৌশলী, লেখক ও পর্বতারোহী কাওছার রূপক। এই অভিযানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ও বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে ইউনিটি...
২ ঘণ্টা আগেবীরদের কথা আমরা অনেক পড়েছি বইপত্রে। চলচ্চিত্রেও দেখেছি তাঁদের কর্মকাণ্ড। বাস্তবেও তেমন মানুষ আছেন, যাঁরা নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে অন্যের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে যান। কখনো কখনো তা করতে গিয়ে মারা যান; আবার কখনো বিজয়ী হয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু সৈয়দ আদিল হুসাইন শাহ ফিরতে পারেননি। সন্ত্রাসীদের বুলেট তাঁর শরীর...
২ ঘণ্টা আগেভ্রমণে গিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। রাস্তার ফুচকা, স্ট্রিট ফুড কিংবা বিদেশের কোনো রেস্তোরাঁ—যেখানেই কিছু খান না কেন, অসাবধানতার কারণে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে