শাকিলা ববি, সিলেট
নাচেন ভালা সুন্দরী, পিন্ধেন
ভালা নেত
হেলিয়া দুলিয়া নাচে জালি
সুন্ধির বেত।
বালা নাচো তো দেখি…
সিলেট অঞ্চল মানে জালি সুন্ধি বেতের হেলেদুলে নাচ। বিভিন্ন প্রজাতির বেত দিয়ে এ অঞ্চলে তৈরি হয় আসবাব—সে বহুকাল আগে থেকে। এখনো দেশের বেতের পণ্যের সিংহভাগ জোগান দেওয়া হয় সিলেট থেকে। বেতের কাজ থেকে সিলেটের একটি এলাকার নাম বেতবাজার। একসময় বেতবাজার এলাকার নারী-পুরুষ সবাই বেতের কাজ করতেন। সে এলাকার বাসিন্দা ও বেতের আসবাবের কারিগর কামরুল হক (৪৫) শোনালেন কিংবদন্তির গল্প। প্রায় ২০০ বছর আগে ঘাসিটুলা মজুমদারপাড়া এলাকার কয়েকজন যুবক চীনে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, দেশে যে বেত পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে চীন দেশের মানুষ আসবাব তৈরি করছেন। কৌতূহল থেকে তাঁরা বেতের কাজ শেখেন এবং দেশে এসে ঘাসিটুলা এলাকায় প্রথম বেতের কাজ শুরু করেন।
এ গল্পে সত্য-মিথ্যা যা-ই থাক, বেতবাজারের সে স্বর্ণযুগ ফুরিয়েছে অনেক আগে। অবশ্য কালের বিবর্তনে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়েও বেতবাজারের কিছু বেতশিল্পী এখনো টিকে থাকার লড়াই করছেন।
একসময় বেত দিয়ে তৈরি হতো দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত দাঁড়িপাল্লা, খেরি, মোড়া, কুলা, ঝুড়ি, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি। তবে এখন কারিগরেরা সোফা সেট, খাট, বক্স খাট, ডাইনিং টেবিল, টি-টেবিল, টেলিফোন টেবিল, রিডিং টেবিল, রকিং চেয়ার, ফোল্ডিং চেয়ার, ইজি চেয়ার, গার্ডেন চেয়ার, আলনা, ওয়ার্ডরোব, দোলনা, বই রাখার র্যাক, ল্যাম্প, ম্যাগাজিন বাস্কেট, বাঙ্গি চেয়ার, পেপার বাস্কেট, কোট হ্যাঙ্গার, মোড়া, বেবি কট, বোতল রাখার জার, ফ্রেম, ফুলদানি, কলমদানি, ওয়ালম্যাট, ঘড়ি, আয়নার ফ্রেমসহ বিভিন্ন ধরনের শোপিস তৈরি করছেন।
গৃহসজ্জায় নান্দনিকতা আনতে বেতের আসবাবের জুড়ি নেই। একসময় অভিজাত মানুষেরা বেতের আসবাব ব্যবহার করতেন। এখন অনেকেই নান্দনিক গৃহসজ্জার জন্য বেতের আসবাব ও ঘর সাজানোর পণ্য ব্যবহার করছেন। এ উৎসবে আপনার ঘরও সেজে উঠুক বেতের ঐতিহ্যে।
দরদাম
সাধারণ এক সেট সোফার দাম ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা এবং নকশা করা সোফা সেট ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ওয়াল শেড আকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, রিকশা, নৌকাসহ বিভিন্ন শোপিসের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
বর্তমানে সিলেট নগরীর কানিশাইল, ঘাসিটুলা ও বেতবাজার এলাকায় ১৯টি পাইকারি ও খুচরা বেতের আসবাবের দোকান আছে।
তবে বেতের আসবাবের খুচরা বিপণনের বড় কেন্দ্র হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকা।
এ ছাড়া নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায়ও কিছু দোকানে বেতের আসবাব বিক্রি হয়।
নাচেন ভালা সুন্দরী, পিন্ধেন
ভালা নেত
হেলিয়া দুলিয়া নাচে জালি
সুন্ধির বেত।
বালা নাচো তো দেখি…
সিলেট অঞ্চল মানে জালি সুন্ধি বেতের হেলেদুলে নাচ। বিভিন্ন প্রজাতির বেত দিয়ে এ অঞ্চলে তৈরি হয় আসবাব—সে বহুকাল আগে থেকে। এখনো দেশের বেতের পণ্যের সিংহভাগ জোগান দেওয়া হয় সিলেট থেকে। বেতের কাজ থেকে সিলেটের একটি এলাকার নাম বেতবাজার। একসময় বেতবাজার এলাকার নারী-পুরুষ সবাই বেতের কাজ করতেন। সে এলাকার বাসিন্দা ও বেতের আসবাবের কারিগর কামরুল হক (৪৫) শোনালেন কিংবদন্তির গল্প। প্রায় ২০০ বছর আগে ঘাসিটুলা মজুমদারপাড়া এলাকার কয়েকজন যুবক চীনে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, দেশে যে বেত পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে চীন দেশের মানুষ আসবাব তৈরি করছেন। কৌতূহল থেকে তাঁরা বেতের কাজ শেখেন এবং দেশে এসে ঘাসিটুলা এলাকায় প্রথম বেতের কাজ শুরু করেন।
এ গল্পে সত্য-মিথ্যা যা-ই থাক, বেতবাজারের সে স্বর্ণযুগ ফুরিয়েছে অনেক আগে। অবশ্য কালের বিবর্তনে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়েও বেতবাজারের কিছু বেতশিল্পী এখনো টিকে থাকার লড়াই করছেন।
একসময় বেত দিয়ে তৈরি হতো দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত দাঁড়িপাল্লা, খেরি, মোড়া, কুলা, ঝুড়ি, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি। তবে এখন কারিগরেরা সোফা সেট, খাট, বক্স খাট, ডাইনিং টেবিল, টি-টেবিল, টেলিফোন টেবিল, রিডিং টেবিল, রকিং চেয়ার, ফোল্ডিং চেয়ার, ইজি চেয়ার, গার্ডেন চেয়ার, আলনা, ওয়ার্ডরোব, দোলনা, বই রাখার র্যাক, ল্যাম্প, ম্যাগাজিন বাস্কেট, বাঙ্গি চেয়ার, পেপার বাস্কেট, কোট হ্যাঙ্গার, মোড়া, বেবি কট, বোতল রাখার জার, ফ্রেম, ফুলদানি, কলমদানি, ওয়ালম্যাট, ঘড়ি, আয়নার ফ্রেমসহ বিভিন্ন ধরনের শোপিস তৈরি করছেন।
গৃহসজ্জায় নান্দনিকতা আনতে বেতের আসবাবের জুড়ি নেই। একসময় অভিজাত মানুষেরা বেতের আসবাব ব্যবহার করতেন। এখন অনেকেই নান্দনিক গৃহসজ্জার জন্য বেতের আসবাব ও ঘর সাজানোর পণ্য ব্যবহার করছেন। এ উৎসবে আপনার ঘরও সেজে উঠুক বেতের ঐতিহ্যে।
দরদাম
সাধারণ এক সেট সোফার দাম ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা এবং নকশা করা সোফা সেট ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ওয়াল শেড আকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, রিকশা, নৌকাসহ বিভিন্ন শোপিসের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
বর্তমানে সিলেট নগরীর কানিশাইল, ঘাসিটুলা ও বেতবাজার এলাকায় ১৯টি পাইকারি ও খুচরা বেতের আসবাবের দোকান আছে।
তবে বেতের আসবাবের খুচরা বিপণনের বড় কেন্দ্র হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকা।
এ ছাড়া নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায়ও কিছু দোকানে বেতের আসবাব বিক্রি হয়।
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
১৮ ঘণ্টা আগেটেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিংক, এক্সএআই ও দ্য বোরিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মাস্ককে ঘিরে রহস্যের কমতি নেই। এই বিশাল কর্মভারের মাঝেও তিনি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি চালু করছেন, সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তুলছেন, আবার কখনো হয়ে উঠছেন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তবে সবকিছু তিনি সামলান কীভাবে তা নিয়ে মনে প্রশ্ন
২ দিন আগেএবার বেশিরভাগ মানুষের ছুটির কোনো সমস্যা নেই। ঈদ শেষেও ছুটি হাতে থেকে যাবে। সেই থেকে যাওয়া ছুটিকে কাজে লাগাতে পারেন। এই ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মৌলভীবাজার।
২ দিন আগেঈদে দাওয়াত রক্ষা করতে যাওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বারবিকিউ পার্টি হবে না, সেটা ভাবা কষ্টকর। সেসব বিশেষ অনুষ্ঠানে খাবারের লিস্টে অনেকেই স্টেক রাখার কথা ভাবেন। স্টেকের স্বাদ তখনই সঠিকভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠে যখন এর সাইড ডিশগুলোও ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে মিলিয়ে এমন সাইড ডিশ বাছাই করত
৩ দিন আগে