সানজিদা সামরিন, ঢাকা
চোখ বন্ধ করে নব্বইয়ের দশকের কোনো তরুণের ঘরে ঢুঁ দিয়ে দেখুন তো! দরজায় ম্যাডোনা বা মাইকেল জ্যাকসনের পোস্টার লাগানো। মায়ের শত বকুনি খেয়েও ছেঁড়াফাটা ডেনিম প্যান্ট পরে মডার্ন টকিংয়ের ‘ব্রাদার লুই লুই’ গান শুনতে শুনতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে কাঁধ অবধি লম্বা চুলের ছেলেটা। গল্প আরও আছে, সে সময়ে সমবয়সী ভাইয়ের সাদা বা নীলরঙা ডেনিম প্যান্টের হাঁটুর অংশে কাঁচি চালিয়ে ডিসস্ট্রেসড প্যান্ট বানিয়ে কোমর গলিয়েছে। বদ্ধ দরজার ওপারে বাড়ির অন্তর্মুখী মেয়েটিও নেচেছে ম্যাডোনার ‘লা ইসলা বনিতা’ গানের সঙ্গে।
সেই থেকে আজ অবধি ডেনিমের প্যান্ট, শার্ট, জ্যাকেট, স্কার্ট জায়গা দখল করে রয়েছে স্টাইলিশ তরুণ-তরুণীর আলমারিতে। সকালবেলার তাড়াহুড়োয় যখন মনমতো কোনো কাপড়ই আর খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন ওই ডেনিমই ভরসা। ইস্তিরি করারও অত দরকার হয় না। ঘুরেফিরে ডেনিমের পুরোনো স্টাইল তো এসেছেই, পাশাপাশি এসেছে প্রিন্টের ডেনিমের মতো নতুন প্যান্ট, শার্ট, টপস, এমনকি শালও।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইয়েলোর ডিজাইনার এ কে ওয়াসিম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শীতে পোশাকের কালেকশনের প্রায় ৫০ শতাংশই থাকে ডেনিম। নারী-পুরুষ সবার জন্যই এখন ডেনিম দিয়ে পোশাক তৈরি হচ্ছে। এর ফিডব্যাকও অনেক ভালো। যেহেতু এই কাপড় একটু ভারী, ফলে ক্যাজুয়ালি পরার জন্য আদর্শ। ডেনিমের শার্ট ও প্যান্ট একটু মোটা হয় বলে ঠান্ডা প্রতিরোধ করতে পারে। অন্যদিকে ঠান্ডার মাত্রা বুঝে এর ওপরে চাইলে আলাদা জ্যাকেট পরলেও ভালো দেখায়।’
এ কে ওয়াসিম উদ্দীন আহমেদ জানান, এখন নারীরাও অনেক বেশি পছন্দ করছেন ডেনিম। ডেনিমের একটা ফ্রকের ওপর একটা হালকা শাল বা চাদর জড়িয়েই বের হতে পারছেন তাঁরা। শীতও প্রতিরোধ হচ্ছে আবার স্মার্ট লুকটাও বজায় থাকছে।
অন্যদিকে ফ্যাশন ব্র্যান্ড সারা লাইফস্টাইলের হেড অব ডিজাইন শামীম রহমান বলেন, ‘স্টাইলিশ হওয়ায় ডেনিম বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়েই ভীষণ জনপ্রিয় ফ্যাশন আইটেম। আমাদের দেশে ব্র্যান্ডগুলো বর্তমানে সব ঋতুতেই তাদের সব কালেকশনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ডেনিম আইটেম রাখছে। ডেনিম আইটেম শীতে একটু বেশি থাকে। তরুণদের কাছে এটি বরাবরই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কারণ একই সঙ্গে এটি ফ্যাশনেবল, আরামদায়ক ও অনেক বেশি টেকসই।’
বাংলাদেশে শতভাগ সুতি ডেনিমের ধারাটি সব সময়ই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে সব বয়সীদের কাছে। পাশাপাশি এখানে স্ট্রেচ ডেনিমের ভালো চাহিদা রয়েছে। দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডেনিম আইটেম তৈরি হচ্ছে। যেমন প্যান্ট, শার্ট, জ্যাকেট, শর্টস, মাস্ক, শাল ইত্যাদি। সারা লাইফস্টাইল ডেনিমের প্যান্ট, শর্টস, শার্ট, জ্যাকেট, ব্লেজার, কুর্তি, টপস ও শাল তৈরি করে। তা ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন ডেনিমের মাস্ক বা কিচেন অ্যাপ্রোনও পাওয়া যায় সেখানে।
শীতে কেমন ডেনিম
ঋতু বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে আলমারি গোছানোর ধরনও পাল্টে যায়। এই যে শীত পড়েছে, সামনে আরও পড়বে। ফলে আলমারিতে প্রাধান্য পাবে সোয়েটার, গেঞ্জি, টি-শার্টসহ গরম কাপড়। সেদিক থেকে বলতে গেলে ডেনিমের প্যান্ট এই সবগুলোর সঙ্গে পরিধানযোগ্য।
শামীম রহমান বলেন, ‘বর্তমানে স্ট্রেট কাট, স্লিম ফিট, হাই রাইজ প্যাটার্ন, লাইট ওয়াশড বা মিডিয়াম ওয়াশের ডেনিম প্যান্ট খুব চলছে। পাশাপাশি রঙিন ডেনিম প্যান্ট তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া কনট্রাস্ট স্টাইলও চলছে।’
এ সময়ে জনপ্রিয় ডেনিম প্যান্ট
চোখ বন্ধ করে নব্বইয়ের দশকের কোনো তরুণের ঘরে ঢুঁ দিয়ে দেখুন তো! দরজায় ম্যাডোনা বা মাইকেল জ্যাকসনের পোস্টার লাগানো। মায়ের শত বকুনি খেয়েও ছেঁড়াফাটা ডেনিম প্যান্ট পরে মডার্ন টকিংয়ের ‘ব্রাদার লুই লুই’ গান শুনতে শুনতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে কাঁধ অবধি লম্বা চুলের ছেলেটা। গল্প আরও আছে, সে সময়ে সমবয়সী ভাইয়ের সাদা বা নীলরঙা ডেনিম প্যান্টের হাঁটুর অংশে কাঁচি চালিয়ে ডিসস্ট্রেসড প্যান্ট বানিয়ে কোমর গলিয়েছে। বদ্ধ দরজার ওপারে বাড়ির অন্তর্মুখী মেয়েটিও নেচেছে ম্যাডোনার ‘লা ইসলা বনিতা’ গানের সঙ্গে।
সেই থেকে আজ অবধি ডেনিমের প্যান্ট, শার্ট, জ্যাকেট, স্কার্ট জায়গা দখল করে রয়েছে স্টাইলিশ তরুণ-তরুণীর আলমারিতে। সকালবেলার তাড়াহুড়োয় যখন মনমতো কোনো কাপড়ই আর খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন ওই ডেনিমই ভরসা। ইস্তিরি করারও অত দরকার হয় না। ঘুরেফিরে ডেনিমের পুরোনো স্টাইল তো এসেছেই, পাশাপাশি এসেছে প্রিন্টের ডেনিমের মতো নতুন প্যান্ট, শার্ট, টপস, এমনকি শালও।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইয়েলোর ডিজাইনার এ কে ওয়াসিম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শীতে পোশাকের কালেকশনের প্রায় ৫০ শতাংশই থাকে ডেনিম। নারী-পুরুষ সবার জন্যই এখন ডেনিম দিয়ে পোশাক তৈরি হচ্ছে। এর ফিডব্যাকও অনেক ভালো। যেহেতু এই কাপড় একটু ভারী, ফলে ক্যাজুয়ালি পরার জন্য আদর্শ। ডেনিমের শার্ট ও প্যান্ট একটু মোটা হয় বলে ঠান্ডা প্রতিরোধ করতে পারে। অন্যদিকে ঠান্ডার মাত্রা বুঝে এর ওপরে চাইলে আলাদা জ্যাকেট পরলেও ভালো দেখায়।’
এ কে ওয়াসিম উদ্দীন আহমেদ জানান, এখন নারীরাও অনেক বেশি পছন্দ করছেন ডেনিম। ডেনিমের একটা ফ্রকের ওপর একটা হালকা শাল বা চাদর জড়িয়েই বের হতে পারছেন তাঁরা। শীতও প্রতিরোধ হচ্ছে আবার স্মার্ট লুকটাও বজায় থাকছে।
অন্যদিকে ফ্যাশন ব্র্যান্ড সারা লাইফস্টাইলের হেড অব ডিজাইন শামীম রহমান বলেন, ‘স্টাইলিশ হওয়ায় ডেনিম বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়েই ভীষণ জনপ্রিয় ফ্যাশন আইটেম। আমাদের দেশে ব্র্যান্ডগুলো বর্তমানে সব ঋতুতেই তাদের সব কালেকশনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ডেনিম আইটেম রাখছে। ডেনিম আইটেম শীতে একটু বেশি থাকে। তরুণদের কাছে এটি বরাবরই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কারণ একই সঙ্গে এটি ফ্যাশনেবল, আরামদায়ক ও অনেক বেশি টেকসই।’
বাংলাদেশে শতভাগ সুতি ডেনিমের ধারাটি সব সময়ই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে সব বয়সীদের কাছে। পাশাপাশি এখানে স্ট্রেচ ডেনিমের ভালো চাহিদা রয়েছে। দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডেনিম আইটেম তৈরি হচ্ছে। যেমন প্যান্ট, শার্ট, জ্যাকেট, শর্টস, মাস্ক, শাল ইত্যাদি। সারা লাইফস্টাইল ডেনিমের প্যান্ট, শর্টস, শার্ট, জ্যাকেট, ব্লেজার, কুর্তি, টপস ও শাল তৈরি করে। তা ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন ডেনিমের মাস্ক বা কিচেন অ্যাপ্রোনও পাওয়া যায় সেখানে।
শীতে কেমন ডেনিম
ঋতু বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে আলমারি গোছানোর ধরনও পাল্টে যায়। এই যে শীত পড়েছে, সামনে আরও পড়বে। ফলে আলমারিতে প্রাধান্য পাবে সোয়েটার, গেঞ্জি, টি-শার্টসহ গরম কাপড়। সেদিক থেকে বলতে গেলে ডেনিমের প্যান্ট এই সবগুলোর সঙ্গে পরিধানযোগ্য।
শামীম রহমান বলেন, ‘বর্তমানে স্ট্রেট কাট, স্লিম ফিট, হাই রাইজ প্যাটার্ন, লাইট ওয়াশড বা মিডিয়াম ওয়াশের ডেনিম প্যান্ট খুব চলছে। পাশাপাশি রঙিন ডেনিম প্যান্ট তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া কনট্রাস্ট স্টাইলও চলছে।’
এ সময়ে জনপ্রিয় ডেনিম প্যান্ট
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৫ ঘণ্টা আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২ দিন আগে