ফিচার ডেস্ক
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও কিছু খাবার পুনরায় গরম করলে বিপদ হতে পারে এবং তা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে ১০টি খাবারের কথা বলা হলো যেগুলো পুনরায় মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়।
সেদ্ধ ডিম
ঠান্ডা সেদ্ধ ডিম মাইক্রোওয়েভে গরম করলে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ওভেনের ভেতর ডিম বিস্ফোরিত হওয়া বিপজ্জনক। ডিম গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে স্টোভ ব্যবহার করা ভালো। আর যদি মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করতে হয় তা হলে, ডিমের খোসা ফেলে দিয়ে ডিম ছোট টুকরো করে আবার গরম করা যেতে পারে।
শিশুদের ফর্মুলা দুধ
মাইক্রোওয়েভে শিশুদের ফর্মুলা দুধ গরম করা বিপজ্জনক। মাইক্রোওয়েভে কোনো খাবার সমান ভাবে গরম হয় না। এই অনিয়মিত তাপে গরম হওয়ার কারণে শিশুর গলা ও জিভ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বোতল গরম করার সময় ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংসে বেশি পরিমাণে প্রিজারভেটিভ এবং রাসায়নিক থাকে। মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করলে এই রাসায়নিকগুলোর বিক্রিয়া হতে পারে। এর ফলাফল বিপজ্জনক। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভে প্রক্রিয়াজাত মাংস গরম করলে তা কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া মাইক্রোওয়েভে গরম করা মাংস হৃদ্রোগের জন্য ক্ষতিকর উপাদান তৈরি করতে পারে।
ভাত
মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করলে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর কারণ ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামে একটি ব্যাকটেরিয়া। এটি ঠান্ডা ভাতে মধ্যে থাকে এবং তাপ সহ্য করতে পারে। ভাত যখন মাইক্রোওয়েভ থেকে বের করে রুম তাপমাত্রায় রাখা হয় তখন ব্যাকটেরিয়ার স্পোর বা ডিম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি দুই ধরনের বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে ডায়রিয়া এবং বমি ও বমি বোধ হতে পারে। তাই ঠান্ডা ভাত গরম পানিতে দিয়ে গরম করে নিন।
মুরগির মাংস
মাইক্রোওয়েভ সব সময় ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে না। সে কারণে কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকে এবং সেগুলো খাওয়ার ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা মুরগির মাংসে থেকে স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ায় ছড়াতে পারে। এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
শাক
পালং শাক শাক মাইক্রোওয়েভে গরম করলে তার মধ্যে নাইট্রেটের মতো গ্যাস তৈরি হতে পারে। এটি ক্যানসারের কারণ হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এগুলো গরম করার জন্য চুলায় বা স্টোভ ব্যবহার করুন।
বিট
বিটে মধ্যে থাকা নাইট্রেট মাইক্রোওয়েভে গরম করলে ক্ষতিকর পদার্থে রূপান্তরিত হতে পারে। যদিও বিট খাওয়া উপকারী। কিন্তু মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
লাল মরিচ
মাইক্রোওয়েভে লাল মরিচ থেকে ক্যাপসাইসিন নামক রাসায়নিক বেরিয়ে আসতে পারে। এ কারণে চোখ জ্বলতে পারে। এ ছাড়া এটি শ্বাসনালিতে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
ফল
যেকোনো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ছাড়া আঙুরের মতো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে প্লাজমা উৎপন্ন করে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আলু
আলু মাইক্রোওয়েভে গরম করা বিপজ্জনক। বিশেষত যদি তা ফয়েল পেপারে মোড়ানো থাকে। গরম হওয়ার পর এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
এই ১০টি খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে তা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সে জন্য এসব খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। অযথা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করলে খাবারের পুষ্টিগুণও নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: দ্য হেলদি
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও কিছু খাবার পুনরায় গরম করলে বিপদ হতে পারে এবং তা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে ১০টি খাবারের কথা বলা হলো যেগুলো পুনরায় মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়।
সেদ্ধ ডিম
ঠান্ডা সেদ্ধ ডিম মাইক্রোওয়েভে গরম করলে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ওভেনের ভেতর ডিম বিস্ফোরিত হওয়া বিপজ্জনক। ডিম গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে স্টোভ ব্যবহার করা ভালো। আর যদি মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করতে হয় তা হলে, ডিমের খোসা ফেলে দিয়ে ডিম ছোট টুকরো করে আবার গরম করা যেতে পারে।
শিশুদের ফর্মুলা দুধ
মাইক্রোওয়েভে শিশুদের ফর্মুলা দুধ গরম করা বিপজ্জনক। মাইক্রোওয়েভে কোনো খাবার সমান ভাবে গরম হয় না। এই অনিয়মিত তাপে গরম হওয়ার কারণে শিশুর গলা ও জিভ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বোতল গরম করার সময় ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংসে বেশি পরিমাণে প্রিজারভেটিভ এবং রাসায়নিক থাকে। মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করলে এই রাসায়নিকগুলোর বিক্রিয়া হতে পারে। এর ফলাফল বিপজ্জনক। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভে প্রক্রিয়াজাত মাংস গরম করলে তা কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া মাইক্রোওয়েভে গরম করা মাংস হৃদ্রোগের জন্য ক্ষতিকর উপাদান তৈরি করতে পারে।
ভাত
মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করলে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর কারণ ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামে একটি ব্যাকটেরিয়া। এটি ঠান্ডা ভাতে মধ্যে থাকে এবং তাপ সহ্য করতে পারে। ভাত যখন মাইক্রোওয়েভ থেকে বের করে রুম তাপমাত্রায় রাখা হয় তখন ব্যাকটেরিয়ার স্পোর বা ডিম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি দুই ধরনের বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে ডায়রিয়া এবং বমি ও বমি বোধ হতে পারে। তাই ঠান্ডা ভাত গরম পানিতে দিয়ে গরম করে নিন।
মুরগির মাংস
মাইক্রোওয়েভ সব সময় ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে না। সে কারণে কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকে এবং সেগুলো খাওয়ার ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা মুরগির মাংসে থেকে স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ায় ছড়াতে পারে। এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
শাক
পালং শাক শাক মাইক্রোওয়েভে গরম করলে তার মধ্যে নাইট্রেটের মতো গ্যাস তৈরি হতে পারে। এটি ক্যানসারের কারণ হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এগুলো গরম করার জন্য চুলায় বা স্টোভ ব্যবহার করুন।
বিট
বিটে মধ্যে থাকা নাইট্রেট মাইক্রোওয়েভে গরম করলে ক্ষতিকর পদার্থে রূপান্তরিত হতে পারে। যদিও বিট খাওয়া উপকারী। কিন্তু মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
লাল মরিচ
মাইক্রোওয়েভে লাল মরিচ থেকে ক্যাপসাইসিন নামক রাসায়নিক বেরিয়ে আসতে পারে। এ কারণে চোখ জ্বলতে পারে। এ ছাড়া এটি শ্বাসনালিতে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
ফল
যেকোনো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ছাড়া আঙুরের মতো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে প্লাজমা উৎপন্ন করে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আলু
আলু মাইক্রোওয়েভে গরম করা বিপজ্জনক। বিশেষত যদি তা ফয়েল পেপারে মোড়ানো থাকে। গরম হওয়ার পর এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
এই ১০টি খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে তা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সে জন্য এসব খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। অযথা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করলে খাবারের পুষ্টিগুণও নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: দ্য হেলদি
ফিচার ডেস্ক
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও কিছু খাবার পুনরায় গরম করলে বিপদ হতে পারে এবং তা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে ১০টি খাবারের কথা বলা হলো যেগুলো পুনরায় মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়।
সেদ্ধ ডিম
ঠান্ডা সেদ্ধ ডিম মাইক্রোওয়েভে গরম করলে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ওভেনের ভেতর ডিম বিস্ফোরিত হওয়া বিপজ্জনক। ডিম গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে স্টোভ ব্যবহার করা ভালো। আর যদি মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করতে হয় তা হলে, ডিমের খোসা ফেলে দিয়ে ডিম ছোট টুকরো করে আবার গরম করা যেতে পারে।
শিশুদের ফর্মুলা দুধ
মাইক্রোওয়েভে শিশুদের ফর্মুলা দুধ গরম করা বিপজ্জনক। মাইক্রোওয়েভে কোনো খাবার সমান ভাবে গরম হয় না। এই অনিয়মিত তাপে গরম হওয়ার কারণে শিশুর গলা ও জিভ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বোতল গরম করার সময় ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংসে বেশি পরিমাণে প্রিজারভেটিভ এবং রাসায়নিক থাকে। মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করলে এই রাসায়নিকগুলোর বিক্রিয়া হতে পারে। এর ফলাফল বিপজ্জনক। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভে প্রক্রিয়াজাত মাংস গরম করলে তা কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া মাইক্রোওয়েভে গরম করা মাংস হৃদ্রোগের জন্য ক্ষতিকর উপাদান তৈরি করতে পারে।
ভাত
মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করলে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর কারণ ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামে একটি ব্যাকটেরিয়া। এটি ঠান্ডা ভাতে মধ্যে থাকে এবং তাপ সহ্য করতে পারে। ভাত যখন মাইক্রোওয়েভ থেকে বের করে রুম তাপমাত্রায় রাখা হয় তখন ব্যাকটেরিয়ার স্পোর বা ডিম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি দুই ধরনের বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে ডায়রিয়া এবং বমি ও বমি বোধ হতে পারে। তাই ঠান্ডা ভাত গরম পানিতে দিয়ে গরম করে নিন।
মুরগির মাংস
মাইক্রোওয়েভ সব সময় ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে না। সে কারণে কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকে এবং সেগুলো খাওয়ার ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা মুরগির মাংসে থেকে স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ায় ছড়াতে পারে। এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
শাক
পালং শাক শাক মাইক্রোওয়েভে গরম করলে তার মধ্যে নাইট্রেটের মতো গ্যাস তৈরি হতে পারে। এটি ক্যানসারের কারণ হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এগুলো গরম করার জন্য চুলায় বা স্টোভ ব্যবহার করুন।
বিট
বিটে মধ্যে থাকা নাইট্রেট মাইক্রোওয়েভে গরম করলে ক্ষতিকর পদার্থে রূপান্তরিত হতে পারে। যদিও বিট খাওয়া উপকারী। কিন্তু মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
লাল মরিচ
মাইক্রোওয়েভে লাল মরিচ থেকে ক্যাপসাইসিন নামক রাসায়নিক বেরিয়ে আসতে পারে। এ কারণে চোখ জ্বলতে পারে। এ ছাড়া এটি শ্বাসনালিতে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
ফল
যেকোনো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ছাড়া আঙুরের মতো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে প্লাজমা উৎপন্ন করে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আলু
আলু মাইক্রোওয়েভে গরম করা বিপজ্জনক। বিশেষত যদি তা ফয়েল পেপারে মোড়ানো থাকে। গরম হওয়ার পর এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
এই ১০টি খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে তা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সে জন্য এসব খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। অযথা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করলে খাবারের পুষ্টিগুণও নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: দ্য হেলদি
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও কিছু খাবার পুনরায় গরম করলে বিপদ হতে পারে এবং তা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে ১০টি খাবারের কথা বলা হলো যেগুলো পুনরায় মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়।
সেদ্ধ ডিম
ঠান্ডা সেদ্ধ ডিম মাইক্রোওয়েভে গরম করলে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ওভেনের ভেতর ডিম বিস্ফোরিত হওয়া বিপজ্জনক। ডিম গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে স্টোভ ব্যবহার করা ভালো। আর যদি মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করতে হয় তা হলে, ডিমের খোসা ফেলে দিয়ে ডিম ছোট টুকরো করে আবার গরম করা যেতে পারে।
শিশুদের ফর্মুলা দুধ
মাইক্রোওয়েভে শিশুদের ফর্মুলা দুধ গরম করা বিপজ্জনক। মাইক্রোওয়েভে কোনো খাবার সমান ভাবে গরম হয় না। এই অনিয়মিত তাপে গরম হওয়ার কারণে শিশুর গলা ও জিভ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বোতল গরম করার সময় ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংসে বেশি পরিমাণে প্রিজারভেটিভ এবং রাসায়নিক থাকে। মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করলে এই রাসায়নিকগুলোর বিক্রিয়া হতে পারে। এর ফলাফল বিপজ্জনক। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভে প্রক্রিয়াজাত মাংস গরম করলে তা কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া মাইক্রোওয়েভে গরম করা মাংস হৃদ্রোগের জন্য ক্ষতিকর উপাদান তৈরি করতে পারে।
ভাত
মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করলে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর কারণ ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামে একটি ব্যাকটেরিয়া। এটি ঠান্ডা ভাতে মধ্যে থাকে এবং তাপ সহ্য করতে পারে। ভাত যখন মাইক্রোওয়েভ থেকে বের করে রুম তাপমাত্রায় রাখা হয় তখন ব্যাকটেরিয়ার স্পোর বা ডিম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি দুই ধরনের বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে ডায়রিয়া এবং বমি ও বমি বোধ হতে পারে। তাই ঠান্ডা ভাত গরম পানিতে দিয়ে গরম করে নিন।
মুরগির মাংস
মাইক্রোওয়েভ সব সময় ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে না। সে কারণে কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকে এবং সেগুলো খাওয়ার ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা মুরগির মাংসে থেকে স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ায় ছড়াতে পারে। এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
শাক
পালং শাক শাক মাইক্রোওয়েভে গরম করলে তার মধ্যে নাইট্রেটের মতো গ্যাস তৈরি হতে পারে। এটি ক্যানসারের কারণ হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এগুলো গরম করার জন্য চুলায় বা স্টোভ ব্যবহার করুন।
বিট
বিটে মধ্যে থাকা নাইট্রেট মাইক্রোওয়েভে গরম করলে ক্ষতিকর পদার্থে রূপান্তরিত হতে পারে। যদিও বিট খাওয়া উপকারী। কিন্তু মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
লাল মরিচ
মাইক্রোওয়েভে লাল মরিচ থেকে ক্যাপসাইসিন নামক রাসায়নিক বেরিয়ে আসতে পারে। এ কারণে চোখ জ্বলতে পারে। এ ছাড়া এটি শ্বাসনালিতে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
ফল
যেকোনো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ছাড়া আঙুরের মতো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে প্লাজমা উৎপন্ন করে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আলু
আলু মাইক্রোওয়েভে গরম করা বিপজ্জনক। বিশেষত যদি তা ফয়েল পেপারে মোড়ানো থাকে। গরম হওয়ার পর এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
এই ১০টি খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে তা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সে জন্য এসব খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। অযথা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করলে খাবারের পুষ্টিগুণও নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: দ্য হেলদি
দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে...
১২ মিনিট আগেহেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
১৪ ঘণ্টা আগেরুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
১৯ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
দক্ষিণ কোরিয়া এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য। এমনকি পর্যটকদের ভিড়ে এ বছর সেখানকার এক অঞ্চলে কারফিউ পর্যন্ত জারি করতে হয়েছিল। বিশেষ করে দেশটির কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে গেলে ভ্রমণ হবে ঝামেলামুক্ত।
রেজিস্ট্রেশন দরকার
বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের নাগরিকেরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে অনলাইনে কোরিয়ান ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ওয়েবসাইটে ভ্রমণের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি করতে খুব বেশি সময় লাগে না এবং একবার অনুমোদন পেলে দুই বছর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকে।
কোথায় থাকবেন
দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকার অনেক ধরনের জায়গা রয়েছে। ব্যাকপ্যাকার হোস্টেল ও গেস্টহাউস থেকে শুরু করে বিলাসবহুল হোটেল—সবকিছুই পাওয়া যায়। স্থানীয় অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে ঐতিহ্যবাহী হনোক অতিথিশালায় থাকতে পারেন। সেখানে কাঠের মেঝে, ফুতন বিছানা ও কোরিয়ান পরিবেশ পাবেন। এ ছাড়া বৌদ্ধ মঠেও থাকা সম্ভব অনুমতি সাপেক্ষে।
কখন যাবেন
মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত জেজু দ্বীপ থেকে শুরু করে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে চেরি ফুলের রঙিন আভা। আবার অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত সোনালি গিঙ্কো পাতায় সাজে সিউলসহ বিভিন্ন শহর। এ দুই সময়ে তো যেতে পারেনই, বছরের অন্য সময়গুলোতে গেলে অভিজ্ঞতা খারাপ হবে না। তবে পরামর্শ হলো, ছুটির সময়গুলো এড়িয়ে চলুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি বড় উৎসব হলো লুনার নিউ ইয়ার ও ছুসক। এ সময় দেশজুড়ে মানুষ নিজেদের গ্রামে চলে যায়। ফলে ট্রেন বা বাসের টিকিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময় এই দুই উৎসবের তারিখ দেখে নিন। যদি ওই সময় যেতেই হয়, তবে সিউল বা বুসানে থাকা ভালো।
সেরা গণপরিবহন
দক্ষিণ কোরিয়ার মেট্রো, বাস ও ট্রেন সেবা বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ব্যবস্থা। ১ ডলারেরও কম ভাড়ায় সিউলে যাতায়াত করা যায়। ভ্রমণের শুরুতেই একটি টি-মানি কার্ড কিনে নিন। এটি বাস, ট্রেন, এমনকি ট্যাক্সিতেও ব্যবহার করা যায়। দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য হাইস্পিড ট্রেনে দ্রুত যাতায়াত করা যায়।
দরকারি অ্যাপ রাখুন মোবাইল ফোনে
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় সবখানে ওয়াই-ফাই পাওয়া যায়। তবুও পর্যটকেরা চাইলে এয়ারপোর্ট থেকেই স্থানীয় সিম বা ই-সিম নিতে পারেন।
ভ্রমণে কাজে লাগবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ—
নাভের ম্যাপ: গুগল ম্যাপ সেবায় বেশি কাজে দেয়।
সাবওয়ে কোরিয়া: মেট্রো রুট ও সময় জানার জন্য।
কাকাও টি: ট্যাক্সি ভাড়ার অ্যাপ।
গ্রামে ঘুরুন
সিউল নিঃসন্দেহে আধুনিক ও প্রাণচঞ্চল শহর ও জনপ্রিয় গন্তব্য। কিন্তু কোরিয়ার আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে গ্রামে। পাহাড় ও নদীর মনোরম পরিবেশে এসব অঞ্চল বেশ শান্ত। শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে অন্তত একবার ঘুরে আসুন এই ঐতিহ্যবাহী কোরিয়া।
কোরিয়ানদের সামাজিক অভ্যাস সম্পর্কে জেনে যান
কোরিয়ানরা সাধারণত হালকা করে মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানায়। হাত মেলায় আলতোভাবে। অপরিচিত মানুষও অনেক সময় আপনার বয়স, পেশা বা বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাইতে পারে। এমন প্রশ্নে বিরক্ত না হয়ে ভদ্রভাবে উত্তর দিন। চাইলে পাল্টা প্রশ্নও করতে পারেন।
পোশাকে সংযম রাখুন
কোরিয়ানরা পোশাকে বেশ আধুনিক। তবে কিছু বিষয়ে রক্ষণশীল। মন্দিরে গেলে শর্টস চললেও ট্যাংক টপ বা ছোট স্কার্ট পরা ঠিক হবে না। সৈকতে মেয়েরা সাধারণত টি-শার্ট পরে, আর পুরুষদের সাঁতারের পোশাক। ট্যাটু থাকলে কিছু পাবলিক বাথ হাউসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।
নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস থাকলে সতর্ক থাকুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিরামিষ বা ভেগান খাবার এখনো তেমন প্রচলিত নয়। অনেক খাবারেই মাছের ঝোল বা ফারমেন্টেড চিংড়ির পেস্ট ব্যবহার করা হয়। তবে বিবিমবাপ, জাপচে বা সবজি প্যানকেক নিরামিষভোজীদের জন্য ভালো বিকল্প খাবার। বৌদ্ধমন্দিরগুলোতেও পাওয়া যায় চমৎকার নিরামিষ খাবার।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট
দক্ষিণ কোরিয়া এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য। এমনকি পর্যটকদের ভিড়ে এ বছর সেখানকার এক অঞ্চলে কারফিউ পর্যন্ত জারি করতে হয়েছিল। বিশেষ করে দেশটির কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে গেলে ভ্রমণ হবে ঝামেলামুক্ত।
রেজিস্ট্রেশন দরকার
বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের নাগরিকেরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে অনলাইনে কোরিয়ান ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ওয়েবসাইটে ভ্রমণের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি করতে খুব বেশি সময় লাগে না এবং একবার অনুমোদন পেলে দুই বছর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকে।
কোথায় থাকবেন
দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকার অনেক ধরনের জায়গা রয়েছে। ব্যাকপ্যাকার হোস্টেল ও গেস্টহাউস থেকে শুরু করে বিলাসবহুল হোটেল—সবকিছুই পাওয়া যায়। স্থানীয় অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে ঐতিহ্যবাহী হনোক অতিথিশালায় থাকতে পারেন। সেখানে কাঠের মেঝে, ফুতন বিছানা ও কোরিয়ান পরিবেশ পাবেন। এ ছাড়া বৌদ্ধ মঠেও থাকা সম্ভব অনুমতি সাপেক্ষে।
কখন যাবেন
মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত জেজু দ্বীপ থেকে শুরু করে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে চেরি ফুলের রঙিন আভা। আবার অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত সোনালি গিঙ্কো পাতায় সাজে সিউলসহ বিভিন্ন শহর। এ দুই সময়ে তো যেতে পারেনই, বছরের অন্য সময়গুলোতে গেলে অভিজ্ঞতা খারাপ হবে না। তবে পরামর্শ হলো, ছুটির সময়গুলো এড়িয়ে চলুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি বড় উৎসব হলো লুনার নিউ ইয়ার ও ছুসক। এ সময় দেশজুড়ে মানুষ নিজেদের গ্রামে চলে যায়। ফলে ট্রেন বা বাসের টিকিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময় এই দুই উৎসবের তারিখ দেখে নিন। যদি ওই সময় যেতেই হয়, তবে সিউল বা বুসানে থাকা ভালো।
সেরা গণপরিবহন
দক্ষিণ কোরিয়ার মেট্রো, বাস ও ট্রেন সেবা বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ব্যবস্থা। ১ ডলারেরও কম ভাড়ায় সিউলে যাতায়াত করা যায়। ভ্রমণের শুরুতেই একটি টি-মানি কার্ড কিনে নিন। এটি বাস, ট্রেন, এমনকি ট্যাক্সিতেও ব্যবহার করা যায়। দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য হাইস্পিড ট্রেনে দ্রুত যাতায়াত করা যায়।
দরকারি অ্যাপ রাখুন মোবাইল ফোনে
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় সবখানে ওয়াই-ফাই পাওয়া যায়। তবুও পর্যটকেরা চাইলে এয়ারপোর্ট থেকেই স্থানীয় সিম বা ই-সিম নিতে পারেন।
ভ্রমণে কাজে লাগবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ—
নাভের ম্যাপ: গুগল ম্যাপ সেবায় বেশি কাজে দেয়।
সাবওয়ে কোরিয়া: মেট্রো রুট ও সময় জানার জন্য।
কাকাও টি: ট্যাক্সি ভাড়ার অ্যাপ।
গ্রামে ঘুরুন
সিউল নিঃসন্দেহে আধুনিক ও প্রাণচঞ্চল শহর ও জনপ্রিয় গন্তব্য। কিন্তু কোরিয়ার আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে গ্রামে। পাহাড় ও নদীর মনোরম পরিবেশে এসব অঞ্চল বেশ শান্ত। শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে অন্তত একবার ঘুরে আসুন এই ঐতিহ্যবাহী কোরিয়া।
কোরিয়ানদের সামাজিক অভ্যাস সম্পর্কে জেনে যান
কোরিয়ানরা সাধারণত হালকা করে মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানায়। হাত মেলায় আলতোভাবে। অপরিচিত মানুষও অনেক সময় আপনার বয়স, পেশা বা বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাইতে পারে। এমন প্রশ্নে বিরক্ত না হয়ে ভদ্রভাবে উত্তর দিন। চাইলে পাল্টা প্রশ্নও করতে পারেন।
পোশাকে সংযম রাখুন
কোরিয়ানরা পোশাকে বেশ আধুনিক। তবে কিছু বিষয়ে রক্ষণশীল। মন্দিরে গেলে শর্টস চললেও ট্যাংক টপ বা ছোট স্কার্ট পরা ঠিক হবে না। সৈকতে মেয়েরা সাধারণত টি-শার্ট পরে, আর পুরুষদের সাঁতারের পোশাক। ট্যাটু থাকলে কিছু পাবলিক বাথ হাউসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।
নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস থাকলে সতর্ক থাকুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিরামিষ বা ভেগান খাবার এখনো তেমন প্রচলিত নয়। অনেক খাবারেই মাছের ঝোল বা ফারমেন্টেড চিংড়ির পেস্ট ব্যবহার করা হয়। তবে বিবিমবাপ, জাপচে বা সবজি প্যানকেক নিরামিষভোজীদের জন্য ভালো বিকল্প খাবার। বৌদ্ধমন্দিরগুলোতেও পাওয়া যায় চমৎকার নিরামিষ খাবার।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
১৪ ঘণ্টা আগেরুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
১৯ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেসানজিদা সামরিন, ঢাকা
হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়। তবে সমাধানের পথ জানার আগে জেনে নিন সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ কীভাবে হয়।
সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ যেভাবে হয়
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে ত্বক রক্ষার জন্য শরীরের একটি প্রাকৃতিক উপায় হলো ট্যানিং। ত্বকে মেলানিন তৈরির জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যখন ত্বকের নিচের এপিডার্মিস স্তরগুলোতে প্রবেশ করে, তখন এটি ঘটে। মেলানিন উৎপাদন বেড়ে গেলে ত্বকের প্রাকৃতিক রং পরিবর্তিত হয়ে গাঢ় হয়ে যায়। সাধারণত মুখ, হাত ও ঘাড়ে রোদ বেশি পড়ে বলে সেসব জায়গায় সানট্যান বেশি হয়।
কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা জানিয়েছেন, রোদে পোড়া দাগ এড়াতে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে এসপিএফ যুক্ত পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে এখন এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরযুক্ত ক্রিম, লোশন, পাউডার, লিপ বাম, স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার শুরু করুন এ ঋতু থেকেই। এ ছাড়া সঙ্গে রাখুন ছাতা ও সানগ্লাস।
মুখ ও হাতে রোদে পোড়া গভীর দাগ থেকে থাকলে প্রাকৃতিক উপায়েও তা সারানো সম্ভব। যেসব প্রাকৃতিক উপাদান রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সহায়তা করে, সেগুলো হলো—
জাফরান
ঘরোয়াভাবে রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য জাফরান অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ব্রণ, ব্রণের কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ এবং ত্বকের অসমান রঙের মতো সমস্যা সমাধানের জন্য জাফরানের ব্যবহার রয়েছে। ৫ চা-চামচ দুধে জাফরানের ২টি কেশর ভিজিয়ে রাখুন। দুধের রং পরিবর্তন হলে নেড়ে নিন। এবার তুলার বল সেই দুধে ভিজিয়ে রোদে পোড়া দাগের ওপর বুলিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি সানট্যান রিমুভাল ফেসপ্যাক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এই উপাদান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। এই প্যাক ব্যবহারে রোমকূপের গভীরে জমা হওয়া ময়লাও অপসারিত হয়। মুখ ও হাত থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চা-চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে রোদে পোড়া জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
নারকেল দুধ
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
লেবুর রস
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রসও। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবুমিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
টক দই
মুখ থেকে ট্যান দূর করতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে উচ্চ মাত্রার ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে বলে রোদে পোড়া ত্বকের রং হালকা করে ও আরাম দেয়। এ ছাড়া এই অ্যাসিড ত্বক নরম করে তোলে। চাইলে শসা, কমলা বা টমেটোর মতো অন্যান্য উপাদান বেটে তার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গায় মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শসা
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে ও পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। এ ছাড়া ত্বকের রং হালকা করতে এটি কার্যকর। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তুলার বল দিয়ে সে রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বক থেকে সানট্যান প্রতিরোধের কিছু টিপস
রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায় তো জানলেন, এবার জেনে নিন কী করে সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ থেকে ত্বক বাঁচাবেন।
সূত্র: বাইওয়াও ও অন্যান্য
হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়। তবে সমাধানের পথ জানার আগে জেনে নিন সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ কীভাবে হয়।
সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ যেভাবে হয়
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে ত্বক রক্ষার জন্য শরীরের একটি প্রাকৃতিক উপায় হলো ট্যানিং। ত্বকে মেলানিন তৈরির জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যখন ত্বকের নিচের এপিডার্মিস স্তরগুলোতে প্রবেশ করে, তখন এটি ঘটে। মেলানিন উৎপাদন বেড়ে গেলে ত্বকের প্রাকৃতিক রং পরিবর্তিত হয়ে গাঢ় হয়ে যায়। সাধারণত মুখ, হাত ও ঘাড়ে রোদ বেশি পড়ে বলে সেসব জায়গায় সানট্যান বেশি হয়।
কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা জানিয়েছেন, রোদে পোড়া দাগ এড়াতে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে এসপিএফ যুক্ত পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে এখন এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরযুক্ত ক্রিম, লোশন, পাউডার, লিপ বাম, স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার শুরু করুন এ ঋতু থেকেই। এ ছাড়া সঙ্গে রাখুন ছাতা ও সানগ্লাস।
মুখ ও হাতে রোদে পোড়া গভীর দাগ থেকে থাকলে প্রাকৃতিক উপায়েও তা সারানো সম্ভব। যেসব প্রাকৃতিক উপাদান রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সহায়তা করে, সেগুলো হলো—
জাফরান
ঘরোয়াভাবে রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য জাফরান অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ব্রণ, ব্রণের কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ এবং ত্বকের অসমান রঙের মতো সমস্যা সমাধানের জন্য জাফরানের ব্যবহার রয়েছে। ৫ চা-চামচ দুধে জাফরানের ২টি কেশর ভিজিয়ে রাখুন। দুধের রং পরিবর্তন হলে নেড়ে নিন। এবার তুলার বল সেই দুধে ভিজিয়ে রোদে পোড়া দাগের ওপর বুলিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি সানট্যান রিমুভাল ফেসপ্যাক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এই উপাদান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। এই প্যাক ব্যবহারে রোমকূপের গভীরে জমা হওয়া ময়লাও অপসারিত হয়। মুখ ও হাত থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চা-চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে রোদে পোড়া জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
নারকেল দুধ
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
লেবুর রস
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রসও। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবুমিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
টক দই
মুখ থেকে ট্যান দূর করতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে উচ্চ মাত্রার ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে বলে রোদে পোড়া ত্বকের রং হালকা করে ও আরাম দেয়। এ ছাড়া এই অ্যাসিড ত্বক নরম করে তোলে। চাইলে শসা, কমলা বা টমেটোর মতো অন্যান্য উপাদান বেটে তার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গায় মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শসা
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে ও পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। এ ছাড়া ত্বকের রং হালকা করতে এটি কার্যকর। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তুলার বল দিয়ে সে রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বক থেকে সানট্যান প্রতিরোধের কিছু টিপস
রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায় তো জানলেন, এবার জেনে নিন কী করে সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ থেকে ত্বক বাঁচাবেন।
সূত্র: বাইওয়াও ও অন্যান্য
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে...
১২ মিনিট আগেরুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
১৯ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।
পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।
এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।
বোলানি, আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।
লাভাশ, আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
লুচি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
শাওবিং, চীন
চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।
পরোটা, ভারত
ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।
সানগাক, ইরান
ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।
কারে পান, জাপান
জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা
চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।
মালাওয়াচ, ইয়েমেন
মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।
হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
সূত্র: সিএনএন
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।
পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।
এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।
বোলানি, আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।
লাভাশ, আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
লুচি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
শাওবিং, চীন
চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।
পরোটা, ভারত
ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।
সানগাক, ইরান
ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।
কারে পান, জাপান
জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা
চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।
মালাওয়াচ, ইয়েমেন
মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।
হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
সূত্র: সিএনএন
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে...
১২ মিনিট আগেহেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
১৪ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালি
লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।
রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালি
লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে...
১২ মিনিট আগেহেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
১৪ ঘণ্টা আগেরুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
১৯ ঘণ্টা আগে