ফিচার ডেস্ক
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও কিছু খাবার পুনরায় গরম করলে বিপদ হতে পারে এবং তা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে ১০টি খাবারের কথা বলা হলো যেগুলো পুনরায় মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়।
সেদ্ধ ডিম
ঠান্ডা সেদ্ধ ডিম মাইক্রোওয়েভে গরম করলে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ওভেনের ভেতর ডিম বিস্ফোরিত হওয়া বিপজ্জনক। ডিম গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে স্টোভ ব্যবহার করা ভালো। আর যদি মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করতে হয় তা হলে, ডিমের খোসা ফেলে দিয়ে ডিম ছোট টুকরো করে আবার গরম করা যেতে পারে।
শিশুদের ফর্মুলা দুধ
মাইক্রোওয়েভে শিশুদের ফর্মুলা দুধ গরম করা বিপজ্জনক। মাইক্রোওয়েভে কোনো খাবার সমান ভাবে গরম হয় না। এই অনিয়মিত তাপে গরম হওয়ার কারণে শিশুর গলা ও জিভ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বোতল গরম করার সময় ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংসে বেশি পরিমাণে প্রিজারভেটিভ এবং রাসায়নিক থাকে। মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করলে এই রাসায়নিকগুলোর বিক্রিয়া হতে পারে। এর ফলাফল বিপজ্জনক। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভে প্রক্রিয়াজাত মাংস গরম করলে তা কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া মাইক্রোওয়েভে গরম করা মাংস হৃদ্রোগের জন্য ক্ষতিকর উপাদান তৈরি করতে পারে।
ভাত
মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করলে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর কারণ ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামে একটি ব্যাকটেরিয়া। এটি ঠান্ডা ভাতে মধ্যে থাকে এবং তাপ সহ্য করতে পারে। ভাত যখন মাইক্রোওয়েভ থেকে বের করে রুম তাপমাত্রায় রাখা হয় তখন ব্যাকটেরিয়ার স্পোর বা ডিম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি দুই ধরনের বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে ডায়রিয়া এবং বমি ও বমি বোধ হতে পারে। তাই ঠান্ডা ভাত গরম পানিতে দিয়ে গরম করে নিন।
মুরগির মাংস
মাইক্রোওয়েভ সব সময় ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে না। সে কারণে কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকে এবং সেগুলো খাওয়ার ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা মুরগির মাংসে থেকে স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ায় ছড়াতে পারে। এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
শাক
পালং শাক শাক মাইক্রোওয়েভে গরম করলে তার মধ্যে নাইট্রেটের মতো গ্যাস তৈরি হতে পারে। এটি ক্যানসারের কারণ হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এগুলো গরম করার জন্য চুলায় বা স্টোভ ব্যবহার করুন।
বিট
বিটে মধ্যে থাকা নাইট্রেট মাইক্রোওয়েভে গরম করলে ক্ষতিকর পদার্থে রূপান্তরিত হতে পারে। যদিও বিট খাওয়া উপকারী। কিন্তু মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
লাল মরিচ
মাইক্রোওয়েভে লাল মরিচ থেকে ক্যাপসাইসিন নামক রাসায়নিক বেরিয়ে আসতে পারে। এ কারণে চোখ জ্বলতে পারে। এ ছাড়া এটি শ্বাসনালিতে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
ফল
যেকোনো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ছাড়া আঙুরের মতো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে প্লাজমা উৎপন্ন করে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আলু
আলু মাইক্রোওয়েভে গরম করা বিপজ্জনক। বিশেষত যদি তা ফয়েল পেপারে মোড়ানো থাকে। গরম হওয়ার পর এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
এই ১০টি খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে তা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সে জন্য এসব খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। অযথা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করলে খাবারের পুষ্টিগুণও নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: দ্য হেলদি
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও কিছু খাবার পুনরায় গরম করলে বিপদ হতে পারে এবং তা শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে ১০টি খাবারের কথা বলা হলো যেগুলো পুনরায় মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়।
সেদ্ধ ডিম
ঠান্ডা সেদ্ধ ডিম মাইক্রোওয়েভে গরম করলে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ওভেনের ভেতর ডিম বিস্ফোরিত হওয়া বিপজ্জনক। ডিম গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে স্টোভ ব্যবহার করা ভালো। আর যদি মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করতে হয় তা হলে, ডিমের খোসা ফেলে দিয়ে ডিম ছোট টুকরো করে আবার গরম করা যেতে পারে।
শিশুদের ফর্মুলা দুধ
মাইক্রোওয়েভে শিশুদের ফর্মুলা দুধ গরম করা বিপজ্জনক। মাইক্রোওয়েভে কোনো খাবার সমান ভাবে গরম হয় না। এই অনিয়মিত তাপে গরম হওয়ার কারণে শিশুর গলা ও জিভ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বোতল গরম করার সময় ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংসে বেশি পরিমাণে প্রিজারভেটিভ এবং রাসায়নিক থাকে। মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করলে এই রাসায়নিকগুলোর বিক্রিয়া হতে পারে। এর ফলাফল বিপজ্জনক। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভে প্রক্রিয়াজাত মাংস গরম করলে তা কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া মাইক্রোওয়েভে গরম করা মাংস হৃদ্রোগের জন্য ক্ষতিকর উপাদান তৈরি করতে পারে।
ভাত
মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করলে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর কারণ ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামে একটি ব্যাকটেরিয়া। এটি ঠান্ডা ভাতে মধ্যে থাকে এবং তাপ সহ্য করতে পারে। ভাত যখন মাইক্রোওয়েভ থেকে বের করে রুম তাপমাত্রায় রাখা হয় তখন ব্যাকটেরিয়ার স্পোর বা ডিম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি দুই ধরনের বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে ডায়রিয়া এবং বমি ও বমি বোধ হতে পারে। তাই ঠান্ডা ভাত গরম পানিতে দিয়ে গরম করে নিন।
মুরগির মাংস
মাইক্রোওয়েভ সব সময় ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে না। সে কারণে কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকে এবং সেগুলো খাওয়ার ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা মুরগির মাংসে থেকে স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ায় ছড়াতে পারে। এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
শাক
পালং শাক শাক মাইক্রোওয়েভে গরম করলে তার মধ্যে নাইট্রেটের মতো গ্যাস তৈরি হতে পারে। এটি ক্যানসারের কারণ হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এগুলো গরম করার জন্য চুলায় বা স্টোভ ব্যবহার করুন।
বিট
বিটে মধ্যে থাকা নাইট্রেট মাইক্রোওয়েভে গরম করলে ক্ষতিকর পদার্থে রূপান্তরিত হতে পারে। যদিও বিট খাওয়া উপকারী। কিন্তু মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
লাল মরিচ
মাইক্রোওয়েভে লাল মরিচ থেকে ক্যাপসাইসিন নামক রাসায়নিক বেরিয়ে আসতে পারে। এ কারণে চোখ জ্বলতে পারে। এ ছাড়া এটি শ্বাসনালিতে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। এর কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
ফল
যেকোনো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ছাড়া আঙুরের মতো ফল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে প্লাজমা উৎপন্ন করে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আলু
আলু মাইক্রোওয়েভে গরম করা বিপজ্জনক। বিশেষত যদি তা ফয়েল পেপারে মোড়ানো থাকে। গরম হওয়ার পর এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
এই ১০টি খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে তা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সে জন্য এসব খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। অযথা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করলে খাবারের পুষ্টিগুণও নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: দ্য হেলদি
আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ ঘণ্টা আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২ ঘণ্টা আগেঅফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে...
২ ঘণ্টা আগেশীত আসার আগে থেকে চুলে খুশকি দেখা দেয়। এর জন্য মাথার ত্বকে ব্যবহার করি অ্যালোভেরা। এ ছাড়া রোজই চুলে শ্যাম্পু করি, কিন্তু খুশকি থেকে কোনোভাবে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। কীভাবে সমস্যার সমাধান পেতে পারি?
২ ঘণ্টা আগে