সানজিদা সামরিন, ঢাকা
‘আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,
এই সংগীত-মুখরিত গগনে
তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহির ভুবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে…।’
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শীতের হিমেল হাওয়া একটু একটু করে থিতু হচ্ছে, বাতাসের তরঙ্গে বইতে শুরু করেছে বসন্তের প্রেম। আর মাত্র কটা দিন, তারপর এখানে-সেখানে স্বর্ণাভ রোদে ঝলমল করে উঠবে গাঁদা ফুলের রং। রঙের খেলায় মেতে উঠবে ঘাসফুল আর ফাল্গুনী ফুলেরা। প্রকৃতিতে যখন এমন দোল লাগে, তখন কি আর ঘরে বসে থাকা যায়? সময় এখন দরজার কপাট মেলার, বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠার!
আচ্ছা, বসন্তের রং কী বলুন তো? স্বর্ণরঙা রোদ, চারপাশে ফুটে থাকা কমলা-হলুদ ফুলের প্রাচুর্য যেন বলে দেয় বসন্তের উৎসবে শামিল হতে গায়ে বাসন্তী রঙের পোশাক।
অধিকাংশকেই এ রঙের পোশাক পরতে দেখা যায়। রং মিলিয়ে গায়ে শোভা পায় অলংকারও। তবে ঋতুটা এমনই যে এ সময় সব রঙের পোশাকই মানানসই। তাই বসন্তের প্রথম দিন উদ্যাপনে লাল, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, বেগুনি, সবুজ, কলাপাতার রংসহ আরও অনেক রঙের পোশাকই গায়ে তুলছেন তরুণ-তরুণীরা।
বসন্ত উপলক্ষে প্রায় সব দেশীয় ফ্যাশন হাউসেই এসেছে বর্ণিল পোশাক। ঋতু ও আবহাওয়ার জন্য উপযোগী করেই পোশাকের কাপড় ও রং নির্বাচন
করা হয়েছে।
ফুরফুরে কাপড়
ফ্যাশন ব্র্যান্ড সারা লাইফস্টাইলের হেড অব ডিজাইন শামীম রহমান বলেন, ‘বসন্ত থেকেই যেহেতু আবহাওয়া একটু গরমের দিকে যাবে, সে জন্য ফাল্গুনের বেশির ভাগ পোশাকই তৈরি হয়েছে সুতির কাপড়ে। এ ছাড়া মেয়েদের পোশাকে ভিসকস ফেব্রিক ও জর্জেটের কাপড় রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ছেলেদের পোশাক বেশির ভাগ সুতির।’
রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস জানান, বসন্তের আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখে পোশাকের কাপড় হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন সুতি, লিনেন, হাফসিল্ক, সেমি পিওর জর্জেট ও নেট কাপড়।
এ ছাড়া অনলাইনভিত্তিক পোশাকের বিভিন্ন পেজও নিয়ে এসেছে বসন্তের পোশাক। টাউন ফেভের স্বত্বাধিকারী মেশকাত শাওন জানান, উপলক্ষটা যেহেতু বাঙালিয়ানার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই সুতির শাড়ি করেছেন তাঁরা ফাল্গুনের জন্য। এ ছাড়া হাফসিল্ক, মিক্সড কটনের শাড়িও আছে তাঁদের সংগ্রহে। ফাল্গুনের জন্য ফ্লোরাল মোটিফের শাড়িতে কয়েক রং মিলিয়ে ব্লক প্রিন্টের কাজও আছে টাউন ফভে। আছে স্ক্রিন প্রিন্টের শাড়িও।
ফাগুনের রং লাগল গায়ে
শামীম আহমেদ বলেন, ‘সারায় ফাল্গুনের জন্য বাসন্তী রঙের পোশাক তো থাকেই। তার বাইরে পার্পল, বেবি পিংক, সাদা, হলুদ রংও ব্যবহার হয়েছে এবার। বসন্তের কালেকশনে ফ্লোরাল, অ্যাবস্ট্রাক্ট ও টিপিক্যাল মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে।’
রঙ বাংলাদেশের এবারের বসন্ত সংগ্রহে রয়েছে মনকাড়া সব উজ্জ্বল রং। সাদা, হলুদ, স্বর্ণাভ হলুদ, ম্যাজেন্টা, লাল, বাদামি, ক্রিম, নীল ও মেরুন। এ ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে কমলা, ধূসর, জলপাই ও পেষ্ট রং—যোগ করেন সৌমিক দাস।
কৃষ্ণকলির স্বত্বাধিকারী শারমিন সাথী জানান, এই বসন্তের জন্য তাঁতের সাদা বেইজের ওপর হলুদ ছাড়াও অন্যান্য হালকা রং—যেমন লেমন, সবুজ, কমলা, গোলাপি রঙের শাড়ি তৈরি করছেন তাঁরা।
যেহেতু তাঁদের অনলাইন শপ, তাই ফাল্গুন উপলক্ষে সারা দেশে ফ্রি ডেলিভারি অফার দিচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া থাকছে ফাল্গুন কালেকশনের ওপর ১০ শতাংশ ছাড়। যোগ করেন শারমিন সাথী।
কেনাকাটা
সরাসরি ফ্যাশন হাউসের আউটলেট থেকে কেনা যাবে যেকোনো পোশাক। তা ছাড়া হাউসগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ থেকে পোশাক অর্ডার করা যাবে। শাড়ি ও পোশাক ছাড়াও এখন বিভিন্ন পেজে নানা ডিজাইনের রেডিমেড ব্লাউজ পাওয়া যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে বসন্তবরণ হবে আরও রঙিন।
‘আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,
এই সংগীত-মুখরিত গগনে
তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহির ভুবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে…।’
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শীতের হিমেল হাওয়া একটু একটু করে থিতু হচ্ছে, বাতাসের তরঙ্গে বইতে শুরু করেছে বসন্তের প্রেম। আর মাত্র কটা দিন, তারপর এখানে-সেখানে স্বর্ণাভ রোদে ঝলমল করে উঠবে গাঁদা ফুলের রং। রঙের খেলায় মেতে উঠবে ঘাসফুল আর ফাল্গুনী ফুলেরা। প্রকৃতিতে যখন এমন দোল লাগে, তখন কি আর ঘরে বসে থাকা যায়? সময় এখন দরজার কপাট মেলার, বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠার!
আচ্ছা, বসন্তের রং কী বলুন তো? স্বর্ণরঙা রোদ, চারপাশে ফুটে থাকা কমলা-হলুদ ফুলের প্রাচুর্য যেন বলে দেয় বসন্তের উৎসবে শামিল হতে গায়ে বাসন্তী রঙের পোশাক।
অধিকাংশকেই এ রঙের পোশাক পরতে দেখা যায়। রং মিলিয়ে গায়ে শোভা পায় অলংকারও। তবে ঋতুটা এমনই যে এ সময় সব রঙের পোশাকই মানানসই। তাই বসন্তের প্রথম দিন উদ্যাপনে লাল, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, বেগুনি, সবুজ, কলাপাতার রংসহ আরও অনেক রঙের পোশাকই গায়ে তুলছেন তরুণ-তরুণীরা।
বসন্ত উপলক্ষে প্রায় সব দেশীয় ফ্যাশন হাউসেই এসেছে বর্ণিল পোশাক। ঋতু ও আবহাওয়ার জন্য উপযোগী করেই পোশাকের কাপড় ও রং নির্বাচন
করা হয়েছে।
ফুরফুরে কাপড়
ফ্যাশন ব্র্যান্ড সারা লাইফস্টাইলের হেড অব ডিজাইন শামীম রহমান বলেন, ‘বসন্ত থেকেই যেহেতু আবহাওয়া একটু গরমের দিকে যাবে, সে জন্য ফাল্গুনের বেশির ভাগ পোশাকই তৈরি হয়েছে সুতির কাপড়ে। এ ছাড়া মেয়েদের পোশাকে ভিসকস ফেব্রিক ও জর্জেটের কাপড় রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ছেলেদের পোশাক বেশির ভাগ সুতির।’
রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস জানান, বসন্তের আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখে পোশাকের কাপড় হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন সুতি, লিনেন, হাফসিল্ক, সেমি পিওর জর্জেট ও নেট কাপড়।
এ ছাড়া অনলাইনভিত্তিক পোশাকের বিভিন্ন পেজও নিয়ে এসেছে বসন্তের পোশাক। টাউন ফেভের স্বত্বাধিকারী মেশকাত শাওন জানান, উপলক্ষটা যেহেতু বাঙালিয়ানার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই সুতির শাড়ি করেছেন তাঁরা ফাল্গুনের জন্য। এ ছাড়া হাফসিল্ক, মিক্সড কটনের শাড়িও আছে তাঁদের সংগ্রহে। ফাল্গুনের জন্য ফ্লোরাল মোটিফের শাড়িতে কয়েক রং মিলিয়ে ব্লক প্রিন্টের কাজও আছে টাউন ফভে। আছে স্ক্রিন প্রিন্টের শাড়িও।
ফাগুনের রং লাগল গায়ে
শামীম আহমেদ বলেন, ‘সারায় ফাল্গুনের জন্য বাসন্তী রঙের পোশাক তো থাকেই। তার বাইরে পার্পল, বেবি পিংক, সাদা, হলুদ রংও ব্যবহার হয়েছে এবার। বসন্তের কালেকশনে ফ্লোরাল, অ্যাবস্ট্রাক্ট ও টিপিক্যাল মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে।’
রঙ বাংলাদেশের এবারের বসন্ত সংগ্রহে রয়েছে মনকাড়া সব উজ্জ্বল রং। সাদা, হলুদ, স্বর্ণাভ হলুদ, ম্যাজেন্টা, লাল, বাদামি, ক্রিম, নীল ও মেরুন। এ ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে কমলা, ধূসর, জলপাই ও পেষ্ট রং—যোগ করেন সৌমিক দাস।
কৃষ্ণকলির স্বত্বাধিকারী শারমিন সাথী জানান, এই বসন্তের জন্য তাঁতের সাদা বেইজের ওপর হলুদ ছাড়াও অন্যান্য হালকা রং—যেমন লেমন, সবুজ, কমলা, গোলাপি রঙের শাড়ি তৈরি করছেন তাঁরা।
যেহেতু তাঁদের অনলাইন শপ, তাই ফাল্গুন উপলক্ষে সারা দেশে ফ্রি ডেলিভারি অফার দিচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া থাকছে ফাল্গুন কালেকশনের ওপর ১০ শতাংশ ছাড়। যোগ করেন শারমিন সাথী।
কেনাকাটা
সরাসরি ফ্যাশন হাউসের আউটলেট থেকে কেনা যাবে যেকোনো পোশাক। তা ছাড়া হাউসগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ থেকে পোশাক অর্ডার করা যাবে। শাড়ি ও পোশাক ছাড়াও এখন বিভিন্ন পেজে নানা ডিজাইনের রেডিমেড ব্লাউজ পাওয়া যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে বসন্তবরণ হবে আরও রঙিন।
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
২ ঘণ্টা আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২ দিন আগে