তামান্না-ই-জাহান
বন্ধু চল রোদ্দুরে
মন কেমন মাঠ জুড়ে
খেলব আজ ওই ঘাসে
তোর টিমে তোর পাশে…
অনুপম রায়ের গাওয়া এই গানটা শুনলেই বন্ধুদের জন্য মন কেমন করে ওঠে। আমরা যত বড়ই হই না কেন, ঘুরেফিরে ভাবনাহীন শৈশব আর কৈশোরেই ফিরে যেতে চাই। আর সেই সোনালি সময়টার বড় অংশজুড়ে থাকে ছোট্টবেলার খেলার সাথি, বন্ধুরা।
জীবনের নানা অধ্যায়ে, বিভিন্ন বয়সে, ভিন্ন কর্মকাণ্ডে বারবারই সামনে আসে বন্ধুত্ব। মন খারাপ কিংবা ভালো, দুঃখ ভাগ কিংবা সুখ উদ্যাপনে কিংবা দুর্দিনে পরিবারের পর নিঃস্বার্থভাবে পাশে থাকতে পারে এই বন্ধু নামক মানুষটি।
সত্যি বলতে বন্ধুদের জন্য আলাদা কোনো দিনক্ষণ হয় না। তবুও একটু বিশেষভাবে বন্ধুতা উদ্যাপন উপভোগ্যই বটে। আর এ জন্য একটি বিশেষ দিনও রয়েছে। যা ফ্রেন্ডশিপ ডে বা বন্ধু দিবস হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘ ঘোষিত সেই দিনটি ৩০ জুলাই।
যদিও বন্ধু দিবস পৃথিবীর একেক অঞ্চলে একেক দিনে উদ্যাপিত হয়। আমেরিকা মহাদেশের অনেক দেশে ফেব্রুয়ারিতে উদ্যাপন করা হয় বন্ধু দিবস। এশিয়ার অনেক দেশে আবার আগস্ট মাসের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস। বাংলাদেশেও বন্ধুত্বের এই দিনটি উদ্যাপন করা হয় আগস্টের প্রথম রোববার। বন্ধু দিবসে ফুল, কার্ড, রিস্ট ব্যান্ড ইত্যাদি উপহার দিয়ে বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপন করা হয়। অনেকে আবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে, পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটান।
বন্ধু দিবসের শুরুটা ১৯২০-এর দশকে, কার্ড কোম্পানি হলমার্কের হাত ধরে। হলমার্ক কার্ডস ইনকরপোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল বন্ধু দিবসের গোড়াপত্তন করেছিলেন। ওই সময় এই দিবস চালুর পেছনে একটা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যও খুঁজে পাওয়া যায়। শুরুর পর অনেক বছর শুধু কার্ড আদান-প্রদানের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময়ই ছিল বন্ধু দিবসের মূল আয়োজন। সেই ঐতিহ্য এখনো আছে।
১৯৫৮ সালে বন্ধু দিবস উদ্যাপনের ক্ষেত্রে একটি আনুষ্ঠানিক সংগঠনের জন্ম হয়। র্যামন আরতেমিও ব্রাচো নামের এক ব্যক্তি প্যারাগুয়েতে গড়ে তোলেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড’ নামের একটি ফাউন্ডেশন। গঠনের পর থেকেই এই ফাউন্ডেশন বন্ধু দিবসের একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চালাতে থাকে। র্যামন ও তাঁর সতীর্থরা চেয়েছিলেন বন্ধুত্বের শক্তিকে উদ্যাপন করতে। এর মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংস্কৃতি সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য ছিল তাঁদের। ওই সময় এই ফাউন্ডেশন ‘ফ্রেন্ডশিপ উইক’ আয়োজন করত। সেই বিশেষ সপ্তাহটি শেষ হতো ৩০ জুলাই।
অবশেষে দীর্ঘ ৫৩ বছরের চেষ্টার পর ২০১১ সালে জাতিসংঘ প্রতি বছরের ৩০ জুলাইকে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস (ইন্টারন্যাশনাল ডে অব ফ্রেন্ডশিপ) হিসেবে ঘোষণা দেয়। এভাবেই বন্ধুত্ব উদ্যাপনের আয়োজন পায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
এ তো গেল আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবসের ইতিহাস। এবার না হয় বন্ধু দিবস ঘিরে নিজের পরিকল্পনা সাজানো যাক। সময় থাকলে বন্ধুরা মিলে বেরিয়ে পড়তে পারেন কাছেপিঠে কোথাও। কিংবা পছন্দের কোনো উপহার দিয়ে চমকে দিলেন প্রিয় বন্ধুকে। যাপিত জীবনের নানা ব্যস্ততার মধ্যেও দিনটি কাটান একটু অন্যভাবে। উদ্যাপন করুন বন্ধুত্ব। অকারণ হাসি আর আনন্দে কাটুক সবার বন্ধু দিবস।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস, জাতিসংঘ, নিউইয়র্ক টাইমস
বন্ধু চল রোদ্দুরে
মন কেমন মাঠ জুড়ে
খেলব আজ ওই ঘাসে
তোর টিমে তোর পাশে…
অনুপম রায়ের গাওয়া এই গানটা শুনলেই বন্ধুদের জন্য মন কেমন করে ওঠে। আমরা যত বড়ই হই না কেন, ঘুরেফিরে ভাবনাহীন শৈশব আর কৈশোরেই ফিরে যেতে চাই। আর সেই সোনালি সময়টার বড় অংশজুড়ে থাকে ছোট্টবেলার খেলার সাথি, বন্ধুরা।
জীবনের নানা অধ্যায়ে, বিভিন্ন বয়সে, ভিন্ন কর্মকাণ্ডে বারবারই সামনে আসে বন্ধুত্ব। মন খারাপ কিংবা ভালো, দুঃখ ভাগ কিংবা সুখ উদ্যাপনে কিংবা দুর্দিনে পরিবারের পর নিঃস্বার্থভাবে পাশে থাকতে পারে এই বন্ধু নামক মানুষটি।
সত্যি বলতে বন্ধুদের জন্য আলাদা কোনো দিনক্ষণ হয় না। তবুও একটু বিশেষভাবে বন্ধুতা উদ্যাপন উপভোগ্যই বটে। আর এ জন্য একটি বিশেষ দিনও রয়েছে। যা ফ্রেন্ডশিপ ডে বা বন্ধু দিবস হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘ ঘোষিত সেই দিনটি ৩০ জুলাই।
যদিও বন্ধু দিবস পৃথিবীর একেক অঞ্চলে একেক দিনে উদ্যাপিত হয়। আমেরিকা মহাদেশের অনেক দেশে ফেব্রুয়ারিতে উদ্যাপন করা হয় বন্ধু দিবস। এশিয়ার অনেক দেশে আবার আগস্ট মাসের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস। বাংলাদেশেও বন্ধুত্বের এই দিনটি উদ্যাপন করা হয় আগস্টের প্রথম রোববার। বন্ধু দিবসে ফুল, কার্ড, রিস্ট ব্যান্ড ইত্যাদি উপহার দিয়ে বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপন করা হয়। অনেকে আবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে, পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটান।
বন্ধু দিবসের শুরুটা ১৯২০-এর দশকে, কার্ড কোম্পানি হলমার্কের হাত ধরে। হলমার্ক কার্ডস ইনকরপোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল বন্ধু দিবসের গোড়াপত্তন করেছিলেন। ওই সময় এই দিবস চালুর পেছনে একটা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যও খুঁজে পাওয়া যায়। শুরুর পর অনেক বছর শুধু কার্ড আদান-প্রদানের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময়ই ছিল বন্ধু দিবসের মূল আয়োজন। সেই ঐতিহ্য এখনো আছে।
১৯৫৮ সালে বন্ধু দিবস উদ্যাপনের ক্ষেত্রে একটি আনুষ্ঠানিক সংগঠনের জন্ম হয়। র্যামন আরতেমিও ব্রাচো নামের এক ব্যক্তি প্যারাগুয়েতে গড়ে তোলেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড’ নামের একটি ফাউন্ডেশন। গঠনের পর থেকেই এই ফাউন্ডেশন বন্ধু দিবসের একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চালাতে থাকে। র্যামন ও তাঁর সতীর্থরা চেয়েছিলেন বন্ধুত্বের শক্তিকে উদ্যাপন করতে। এর মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংস্কৃতি সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য ছিল তাঁদের। ওই সময় এই ফাউন্ডেশন ‘ফ্রেন্ডশিপ উইক’ আয়োজন করত। সেই বিশেষ সপ্তাহটি শেষ হতো ৩০ জুলাই।
অবশেষে দীর্ঘ ৫৩ বছরের চেষ্টার পর ২০১১ সালে জাতিসংঘ প্রতি বছরের ৩০ জুলাইকে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস (ইন্টারন্যাশনাল ডে অব ফ্রেন্ডশিপ) হিসেবে ঘোষণা দেয়। এভাবেই বন্ধুত্ব উদ্যাপনের আয়োজন পায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
এ তো গেল আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবসের ইতিহাস। এবার না হয় বন্ধু দিবস ঘিরে নিজের পরিকল্পনা সাজানো যাক। সময় থাকলে বন্ধুরা মিলে বেরিয়ে পড়তে পারেন কাছেপিঠে কোথাও। কিংবা পছন্দের কোনো উপহার দিয়ে চমকে দিলেন প্রিয় বন্ধুকে। যাপিত জীবনের নানা ব্যস্ততার মধ্যেও দিনটি কাটান একটু অন্যভাবে। উদ্যাপন করুন বন্ধুত্ব। অকারণ হাসি আর আনন্দে কাটুক সবার বন্ধু দিবস।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস, জাতিসংঘ, নিউইয়র্ক টাইমস
শেষের কবিতায় রবীন্দ্রনাথ কেতকী, মানে কেটি মিত্রকে নিয়ে বলেছেন, ‘জীবনের আদ্যলীলায় কেটির কালো চোখের ভাবটি ছিল স্নিগ্ধ, প্রথম বয়সে ঠোঁট দুটিতে সরল মাধুর্য ছিল।’ আর পরবর্তী বয়সে? সেই সরল ঠোঁটকে খানিকটা অতিরঞ্জিত করতেই বাড়তি প্রসাধন ব্যবহার করত সে। কোমর ছাড়িয়ে যাওয়া চুলে সে চালিয়ে দিয়েছিল কাঁচি..
১ ঘণ্টা আগেঅফিসে কাজের চাপ থাকবেই। তবে মাঝে মাঝে কাজের চাপ সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আর পরবর্তী সময়ে তা হয়ে দাঁড়ায় মানসিক চাপের কারণ। কিন্তু রোজ যে কাজগুলো করতেই হবে, সেগুলো নিয়ে মানসিক চাপে থাকলে নিজের ভালো থাকাটাও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে কয়েকটা উপায় যদি অবলম্বন করা হয়...
১ ঘণ্টা আগেবৈশাখের তপ্ত দিনে ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলঘরে কী রান্না হতো? প্রশ্নটা রবীন্দ্রপ্রেমীদের মনে জাগতেই পারে। ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা রোদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ত্বকের যেভাবে যত্ন নিতেন, তা থেকে ধারণা করা যায়, তাঁরা এই সময়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও ছিলেন সচেতন। পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে থাকছে ‘ঠাকুরবাড়ির রান্না...
১ ঘণ্টা আগেআজ ৪ মে, কিংবদন্তি তারকা অড্রে হেপবার্নের জন্মদিন। অড্রে কেবল একজন চলচ্চিত্র তারকাই নন, তিনি ছিলেন সৌন্দর্য ও শৈলীর জীবন্ত প্রতিমা। তাঁর চপলতা, কোমলতা ও সহজাত সৌন্দর্য আজও সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। এই সৌন্দর্যের জন্য কী করতেন তিনি? খুব বেশি কিছু নয়, বেশ কয়েকটি ভালো অভ্যাসই তাঁকে এত
১৭ ঘণ্টা আগে