Ajker Patrika

প্রয়োজনীয় স্মার্ট গ্যাজেট

আনিকা জীনাত, ঢাকা
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১০: ০৭
Thumbnail image

ডিহাইড্রেটর 
অফিসে বসে কাজ করছেন, মাথায় ঘুরছে খাওয়ার চিন্তা। কাজের চাপে খেতে যাওয়ারও উপায় নেই। এমন অবস্থায় হাতের কাছে রাখতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। বাজারে অনেক ধরনের ক্যানড ফুড পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলোয় প্রিজারভেটিভ থাকে বলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খেতে চাইলে নিজেকেই তৈরি করে নিতে হবে। এর জন্য দরকার শুধু বিশেষ এক যন্ত্র। ফলের পানি ও আর্দ্রতা শুষে নেওয়া ডিহাইড্রেটর দিয়ে সবজি, ফল ও মাংস সংরক্ষণ করা যায়। সবজি, ফল ও মাংসের ভেতরে পানি থাকে না বলে দীর্ঘদিন ভালো থাকে। আলাদা কোনো প্রিজারভেটিভ ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। জিপ লক ব্যাগে করে ফ্রিজে রেখে দিলেই চলে। মাছ বা গরুর মাংসের শুঁটকি তৈরিতেও ডিহাইড্রেটর কাজে লাগে।

যন্ত্রটিতে একটি হিটিং এলিমেন্ট, ইলেকট্রিক ফ্যান, এয়ার ভেন্ট ও ফুড ট্রে আছে। প্রথমে বাইরের বাতাস টেনে নেয় ফ্যান। সেই বাতাস গরম হয় হিটারের কয়েলের তাপে। এরপর ফুড ট্রের ওপর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হলে ফল ও সবজিতে থাকা পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। পুরো প্রক্রিয়া শেষে ফল বা সবজির মধ্যে মাত্র ৫ থেকে ২০ শতাংশ পানি থাকে।

চাইলে বিভিন্ন ধরনের হার্বের গুঁড়াও তৈরি করা যাবে। যেমন অরিগানো পাউডার বানাতে গাছ থেকে প্রথমে পাতা ছিঁড়ে ধুয়ে নিয়ে ট্রেতে বিছিয়ে দিন। ডিহাইড্রেটরে দিলেই পাতা শুকিয়ে যাবে। আলাদাভাবে অরিগানো গুঁড়া কেনার প্রয়োজন হবে না। ডিহাইড্রেটর থেকে বের করে গ্রাইন্ড করে নিলেই হয়ে যাবে অরিগানো গুঁড়া।

ডিহাইড্রেটরে পেঁপে, স্ট্রবেরি, কলা, আনারস, টমেটো, আপেল, আঙুর শুকানোর পর প্লাস্টিকের একটি ব্যাগে বা কাচের বয়ামে ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য রেখে দিন। প্রতিদিন নিয়ম করে ঝাঁকিয়ে নিন। এই ধাপ শেষে যদি প্লাস্টিকের ব্যাগ বা বয়াম ছোট ছোট পানির বিন্দু দিয়ে ঘোলা হয়ে যায়, তবে আবারও ডিহাইড্রেটরে দিয়ে ফলগুলো শুকিয়ে নিতে হবে।

শুকনো খাবারের ওপর জীবাণু জন্মে না বলে নষ্টও হয় না। ফল বা সবজি থেকে পানি শুষে নিলে ওজন ও পরিমাণও কমে যায়। দূরে কোথাও যাওয়ার সময় এগুলো সঙ্গে নেওয়া সুবিধাজনক।

দরদাম
ফুড হাইড্রেটর দেশের বাজারে পাওয়া যাবে। দাম পড়বে সাড়ে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।

ফ্রুট ডিহাইড্রেটর ডিহিউমিডিফায়ার 
অ্যালার্জি থেকে রেহাই পেতে চাইলে ঘরে আনতে পারেন ডিহিউমিডিফায়ার। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছত্রাক জন্মে। এই সমস্যার কারণে একদিকে যেমন হাঁচি-কাশি শুরু হয়, অন্য দিকে ফার্নিচারও নষ্ট হয়। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমানোর কাজ করে ডিহিউমিডিফায়ার। বাথরুম ও রান্নাঘরে আলো-বাতাসের চলাচল কম থাকে, সহজে শুষ্ক হয় না। এসব জায়গা স্যাঁতসেঁতে থাকলে যন্ত্রটি ঘরে আনতে পারেন। এতে চোখের চুলকানি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ফুসকুড়ি, হাঁচি-কাশি, শ্বাস নিতে সমস্যার মতো বিষয়গুলো এড়ানো যাবে। ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ দূর হবে, ফার্নিচার ভালো থাকবে, ধুলাবালুও কমবে।

তবে আপনার বাসায় আলো-বাতাস পর্যাপ্ত থাকলে আর্দ্রতা কমানোর কোনো প্রয়োজন নেই। বেশি শুষ্ক স্থানে থাকলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হতে পারে। বাইরের বাতাস ফ্যানের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে ঠান্ডা কয়েলের সংস্পর্শে আসে। এতে বাতাস ঠান্ডা হয় এবং বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি জমে ড্রিপ প্যানের ওপর পড়ে। অন্য দিকে বের হয় শুষ্ক বাতাস। চাইলে ড্রিপ প্যানটি সরানো যায়। পানি ভর্তি হয়ে গেলে ডিহিউমিডিটিফায়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অ্যাজমা রোগীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ফুসফুসের ওপর চাপ পড়ে। অ্যাজমার কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো কমাতে সহায়তা করে ডিহিউমিডিটিফায়ার।

দরদাম 
বিভিন্ন দামে পাওয়া যায় এটি। বাসায় ব্যবহারের জন্য নিতে চাইলে খরচ হবে ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।

সূত্র: দ্য ট্রেক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত