মইনুল হাসান

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, একটি বিশেষ বিমান কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে লন্ডনের পথে উড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সবার মুখেই বিষণ্নতার কালো ছায়া, কেউ তেমন কথা বলছেন না। পাইলট থেকে শুরু করে স্টুয়ার্টদের মুখের চিরাচরিত হাসি বিষণ্নতায় ঢাকা পড়েছে। বিমানের একটানা যান্ত্রিক আওয়াজ অনেকটা একঘেয়ে হয়ে এসেছে। সেই আওয়াজ ছাপিয়ে কান্নার মৃদু আওয়াজ পরিবেশকে আরও ভারী করে তুলেছে। ব্যক্তিগত কেবিনে, সবার চোখের আড়ালে পঁচিশ বছরের এক তরুণী কাঁদছেন। তিনি তাঁর পিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে লন্ডনে ফিরে যাচ্ছেন। শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যরাই নন, সমগ্র দেশবাসী অধীর আগ্রহে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। পিতা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর তিনিই সে দেশের এবং আরও ৩১টি সার্বভৌম রাজ্যের সিংহাসনের উত্তরসূরি। তাঁর পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্ড্রা ম্যারি। মা আদর করে ডাকতেন ‘লিলিবেট’।
লন্ডন বিমানবন্দরে পৌঁছালে কালো রঙের গালিচায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আরেক কিংবদন্তি, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল।
১৯৫৩ সালের ২ জুনের অভিষেক অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৮৬৮টি হীরকখচিত ১ কিলোগ্রাম বা ২ দশমিক ২ পাউন্ড ওজনের রাজমুকুট তাঁর মাথায় উঠলেও, ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঘড়ির কাঁটায় যখন বেলা ১১টা বেজে ১৫ মিনিট, তখন থেকে একনাগাড়ে সত্তর বছর রানির দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথা অনুসারে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে রানির অনুমোদন প্রয়োজন। তাঁর অনুমোদন প্রথম পেয়েছিলেন উইনস্টন চার্চিল, রানির চেয়ে বয়সে ৫২ বছরের বড়। চার্চিল থেকে এরপর এক এক করে মোট ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়েছে। মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে ৬ সেপ্টেম্বর হাসিমুখে অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে।
রাজতন্ত্রের প্রতি বিদ্বেষ ভাব থাকলেও ফরাসিরা পাশের দেশের রানিকে বেশ পছন্দ করে। রানি চমৎকার ফরাসি বলতে পারেন। সে কারণেও ফরাসি জনগণ সব সময়ই তাঁর প্রতি একধরনের নৈকট্য, আকর্ষণ অনুভব করত। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, নামকরা সব মানুষ রানির চমৎকার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, গভীর কর্তব্যবোধ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও উদারতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রশংসায় প্রায়ই পঞ্চমুখ হয়েছেন। অনেকটা অলিখিত প্রথার মতো ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—এ দুই দেশের প্রেসিডেন্টরা একবার হলেও তাঁর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছেন।
তাঁর রাজত্বকালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে বাস করেছেন। একমাত্র প্রেসিডেন্ট জনসন ছাড়া তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান থেকে আজকের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, একমাত্র তাঁরই সৌভাগ্য হয়েছিল রানির সঙ্গে ব্যালে নাচার। তাঁর সময়ে (১৯৭৪-১৯৭৭) যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার দ্বিশতবার্ষিকী উদ্যাপনে ১৯৭৬ সালে সম্মানিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউসে রানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ফোর্ড এমন বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট রেনে কোটি, শার্ল দ্য গোল থেকে শুরু করে আজকের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ মোট ৯ জন ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্মৃতির অ্যালবামে ইতিহাস হয়ে আছে রানির ঝলমলে সব ছবি। এর সঙ্গে আছে কিছু কিছু কাহিনি।
রানি শার্ল দ্য গোলকে খুব পছন্দ করতেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী ফ্রান্স দখল করে নিলে ১৯৪০ সালের ১৮ জুন লন্ডন থেকে জেনারেল দ্য গোল রেডিওতে ফরাসি জনগণকে শত্রুসৈন্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। সে সময় তাঁর রেডিও বার্তাটিতে বারুদের মতো জ্বলে উঠেছিল ফরাসি জনগণ। দখলদার বাহিনী হটিয়ে মাতৃভূমি উদ্ধারের জন্য দেশের আনাচে-কানাচে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়েছিল এবং নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। পরবর্তী সময়ে দ্য গোল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে রানির সঙ্গে দেখা করেন।
জর্জ পম্পিডু তখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (১৯৬৯-১৯৭৪)। এক অনুষ্ঠানে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পাশাপাশি সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছেন। এমন সময় রানির পা খানিকটা পিছলে গেলে জর্জ পম্পিডু তৎক্ষণাৎ রানির বাহু ধরে ফেলেন। প্রটোকল অনুসারে রানিকে কোনোভাবেই স্পর্শ করা যাবে না। রানি তাতে বিব্রত বা ক্ষুব্ধ হননি। তবে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সাংবাদিকেরা তাঁদের কলমের জন্য বেশ রসদ পেয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি জিস্কার-ডেসতাকে (১৯৭৪-১৯৮১) রানি তাঁর প্রিয় একটি কুকুর উপহার দিয়েছিলেন। রাতারাতি ভাগ্যবান কুকুরটির ছবি ফ্রান্সের সব কটি প্রচারমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। কুকুরটি কী বুঝেছিল, তা কেউ না বলতে পারলেও প্রেসিডেন্ট জিস্কার-ডেসতা খুব আনন্দিত এবং গর্বিত হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা দুই মেয়াদে ১৪ বছর (১৯৮১-১৯৯৫) ক্ষমতায় ছিলেন। মিতেরার সঙ্গে রানির বেশ সখ্য ছিল। তাঁদের অনেকবার দেখা হয়েছিল। ইতিহাস ছিল তাঁদের প্রিয় আলোচনার বিষয়।
এক ভোজসভায় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ (২০১২-২০১৭) রানিকে একা রেখে, একটু দূরে সরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপ জুড়ে দেন, যা ছিল সম্পূর্ণ শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। এ কারণে নিজ দেশেই ওলাঁদকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধান, যার সঙ্গে দেখা হয়েছে পৃথিবীর বহু নামকরা ব্যক্তির। তাঁর সামনে আচার-আচরণে সতর্ক হতে হতো অন্য সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের। রানির মতো জৌলুশ, সম্মান, অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ও আড়ম্বরপূর্ণ দীর্ঘ জীবন আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের ভাগ্যে জোটেনি।
মানুষের জন্ম হয় মৃত্যুকে মাথায় নিয়েই। তবে কে কত দিন পৃথিবীর আলো দেখবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তিনিও জন্মেছিলেন যেদিন, সেদিন থেকেই তাঁর মৃত্যু অবধারিত ছিল। গত ২১ এপ্রিল ৯৬ বছর পার করে আরও ১৩৯ দিন বেঁচে ছিলেন তিনি। খুব কম মানুষই ৯ দশকের বেশি আয়ু পায়। সে হিসাবে তাঁর এমন মৃত্যু, তাঁকে অনেক বেশি ভাগ্যবানদের দলেই ফেলেছে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনকালেই তিনি পরিণত হয়েছিলেন কিংবদন্তিতে। যে সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না, তিনি ছিলেন সেই সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আসীন একনাগাড়ে সত্তর বছর, গুনে গুনে সাত দশক। কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। সবচেয়ে ভালো মানুষটিরও খুঁত ধারার মানুষের অভাব হয় না। তার পরও লিলিবেট নামের আড়ালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অনেক বেশি নন্দিত। লিলিবেট মারা গেছেন পৃথিবী কাঁপিয়ে, কাঁদিয়ে।
লেখক : ফ্রান্সপ্রবাসী লেখক।

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, একটি বিশেষ বিমান কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে লন্ডনের পথে উড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সবার মুখেই বিষণ্নতার কালো ছায়া, কেউ তেমন কথা বলছেন না। পাইলট থেকে শুরু করে স্টুয়ার্টদের মুখের চিরাচরিত হাসি বিষণ্নতায় ঢাকা পড়েছে। বিমানের একটানা যান্ত্রিক আওয়াজ অনেকটা একঘেয়ে হয়ে এসেছে। সেই আওয়াজ ছাপিয়ে কান্নার মৃদু আওয়াজ পরিবেশকে আরও ভারী করে তুলেছে। ব্যক্তিগত কেবিনে, সবার চোখের আড়ালে পঁচিশ বছরের এক তরুণী কাঁদছেন। তিনি তাঁর পিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে লন্ডনে ফিরে যাচ্ছেন। শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যরাই নন, সমগ্র দেশবাসী অধীর আগ্রহে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। পিতা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর তিনিই সে দেশের এবং আরও ৩১টি সার্বভৌম রাজ্যের সিংহাসনের উত্তরসূরি। তাঁর পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্ড্রা ম্যারি। মা আদর করে ডাকতেন ‘লিলিবেট’।
লন্ডন বিমানবন্দরে পৌঁছালে কালো রঙের গালিচায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আরেক কিংবদন্তি, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল।
১৯৫৩ সালের ২ জুনের অভিষেক অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৮৬৮টি হীরকখচিত ১ কিলোগ্রাম বা ২ দশমিক ২ পাউন্ড ওজনের রাজমুকুট তাঁর মাথায় উঠলেও, ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঘড়ির কাঁটায় যখন বেলা ১১টা বেজে ১৫ মিনিট, তখন থেকে একনাগাড়ে সত্তর বছর রানির দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথা অনুসারে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে রানির অনুমোদন প্রয়োজন। তাঁর অনুমোদন প্রথম পেয়েছিলেন উইনস্টন চার্চিল, রানির চেয়ে বয়সে ৫২ বছরের বড়। চার্চিল থেকে এরপর এক এক করে মোট ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়েছে। মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে ৬ সেপ্টেম্বর হাসিমুখে অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে।
রাজতন্ত্রের প্রতি বিদ্বেষ ভাব থাকলেও ফরাসিরা পাশের দেশের রানিকে বেশ পছন্দ করে। রানি চমৎকার ফরাসি বলতে পারেন। সে কারণেও ফরাসি জনগণ সব সময়ই তাঁর প্রতি একধরনের নৈকট্য, আকর্ষণ অনুভব করত। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, নামকরা সব মানুষ রানির চমৎকার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, গভীর কর্তব্যবোধ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও উদারতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রশংসায় প্রায়ই পঞ্চমুখ হয়েছেন। অনেকটা অলিখিত প্রথার মতো ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—এ দুই দেশের প্রেসিডেন্টরা একবার হলেও তাঁর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছেন।
তাঁর রাজত্বকালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে বাস করেছেন। একমাত্র প্রেসিডেন্ট জনসন ছাড়া তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান থেকে আজকের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, একমাত্র তাঁরই সৌভাগ্য হয়েছিল রানির সঙ্গে ব্যালে নাচার। তাঁর সময়ে (১৯৭৪-১৯৭৭) যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার দ্বিশতবার্ষিকী উদ্যাপনে ১৯৭৬ সালে সম্মানিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউসে রানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ফোর্ড এমন বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট রেনে কোটি, শার্ল দ্য গোল থেকে শুরু করে আজকের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ মোট ৯ জন ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্মৃতির অ্যালবামে ইতিহাস হয়ে আছে রানির ঝলমলে সব ছবি। এর সঙ্গে আছে কিছু কিছু কাহিনি।
রানি শার্ল দ্য গোলকে খুব পছন্দ করতেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী ফ্রান্স দখল করে নিলে ১৯৪০ সালের ১৮ জুন লন্ডন থেকে জেনারেল দ্য গোল রেডিওতে ফরাসি জনগণকে শত্রুসৈন্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। সে সময় তাঁর রেডিও বার্তাটিতে বারুদের মতো জ্বলে উঠেছিল ফরাসি জনগণ। দখলদার বাহিনী হটিয়ে মাতৃভূমি উদ্ধারের জন্য দেশের আনাচে-কানাচে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়েছিল এবং নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। পরবর্তী সময়ে দ্য গোল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে রানির সঙ্গে দেখা করেন।
জর্জ পম্পিডু তখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (১৯৬৯-১৯৭৪)। এক অনুষ্ঠানে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পাশাপাশি সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছেন। এমন সময় রানির পা খানিকটা পিছলে গেলে জর্জ পম্পিডু তৎক্ষণাৎ রানির বাহু ধরে ফেলেন। প্রটোকল অনুসারে রানিকে কোনোভাবেই স্পর্শ করা যাবে না। রানি তাতে বিব্রত বা ক্ষুব্ধ হননি। তবে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সাংবাদিকেরা তাঁদের কলমের জন্য বেশ রসদ পেয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি জিস্কার-ডেসতাকে (১৯৭৪-১৯৮১) রানি তাঁর প্রিয় একটি কুকুর উপহার দিয়েছিলেন। রাতারাতি ভাগ্যবান কুকুরটির ছবি ফ্রান্সের সব কটি প্রচারমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। কুকুরটি কী বুঝেছিল, তা কেউ না বলতে পারলেও প্রেসিডেন্ট জিস্কার-ডেসতা খুব আনন্দিত এবং গর্বিত হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা দুই মেয়াদে ১৪ বছর (১৯৮১-১৯৯৫) ক্ষমতায় ছিলেন। মিতেরার সঙ্গে রানির বেশ সখ্য ছিল। তাঁদের অনেকবার দেখা হয়েছিল। ইতিহাস ছিল তাঁদের প্রিয় আলোচনার বিষয়।
এক ভোজসভায় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ (২০১২-২০১৭) রানিকে একা রেখে, একটু দূরে সরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপ জুড়ে দেন, যা ছিল সম্পূর্ণ শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। এ কারণে নিজ দেশেই ওলাঁদকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধান, যার সঙ্গে দেখা হয়েছে পৃথিবীর বহু নামকরা ব্যক্তির। তাঁর সামনে আচার-আচরণে সতর্ক হতে হতো অন্য সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের। রানির মতো জৌলুশ, সম্মান, অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ও আড়ম্বরপূর্ণ দীর্ঘ জীবন আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের ভাগ্যে জোটেনি।
মানুষের জন্ম হয় মৃত্যুকে মাথায় নিয়েই। তবে কে কত দিন পৃথিবীর আলো দেখবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তিনিও জন্মেছিলেন যেদিন, সেদিন থেকেই তাঁর মৃত্যু অবধারিত ছিল। গত ২১ এপ্রিল ৯৬ বছর পার করে আরও ১৩৯ দিন বেঁচে ছিলেন তিনি। খুব কম মানুষই ৯ দশকের বেশি আয়ু পায়। সে হিসাবে তাঁর এমন মৃত্যু, তাঁকে অনেক বেশি ভাগ্যবানদের দলেই ফেলেছে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনকালেই তিনি পরিণত হয়েছিলেন কিংবদন্তিতে। যে সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না, তিনি ছিলেন সেই সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আসীন একনাগাড়ে সত্তর বছর, গুনে গুনে সাত দশক। কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। সবচেয়ে ভালো মানুষটিরও খুঁত ধারার মানুষের অভাব হয় না। তার পরও লিলিবেট নামের আড়ালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অনেক বেশি নন্দিত। লিলিবেট মারা গেছেন পৃথিবী কাঁপিয়ে, কাঁদিয়ে।
লেখক : ফ্রান্সপ্রবাসী লেখক।
মইনুল হাসান

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, একটি বিশেষ বিমান কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে লন্ডনের পথে উড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সবার মুখেই বিষণ্নতার কালো ছায়া, কেউ তেমন কথা বলছেন না। পাইলট থেকে শুরু করে স্টুয়ার্টদের মুখের চিরাচরিত হাসি বিষণ্নতায় ঢাকা পড়েছে। বিমানের একটানা যান্ত্রিক আওয়াজ অনেকটা একঘেয়ে হয়ে এসেছে। সেই আওয়াজ ছাপিয়ে কান্নার মৃদু আওয়াজ পরিবেশকে আরও ভারী করে তুলেছে। ব্যক্তিগত কেবিনে, সবার চোখের আড়ালে পঁচিশ বছরের এক তরুণী কাঁদছেন। তিনি তাঁর পিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে লন্ডনে ফিরে যাচ্ছেন। শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যরাই নন, সমগ্র দেশবাসী অধীর আগ্রহে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। পিতা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর তিনিই সে দেশের এবং আরও ৩১টি সার্বভৌম রাজ্যের সিংহাসনের উত্তরসূরি। তাঁর পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্ড্রা ম্যারি। মা আদর করে ডাকতেন ‘লিলিবেট’।
লন্ডন বিমানবন্দরে পৌঁছালে কালো রঙের গালিচায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আরেক কিংবদন্তি, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল।
১৯৫৩ সালের ২ জুনের অভিষেক অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৮৬৮টি হীরকখচিত ১ কিলোগ্রাম বা ২ দশমিক ২ পাউন্ড ওজনের রাজমুকুট তাঁর মাথায় উঠলেও, ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঘড়ির কাঁটায় যখন বেলা ১১টা বেজে ১৫ মিনিট, তখন থেকে একনাগাড়ে সত্তর বছর রানির দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথা অনুসারে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে রানির অনুমোদন প্রয়োজন। তাঁর অনুমোদন প্রথম পেয়েছিলেন উইনস্টন চার্চিল, রানির চেয়ে বয়সে ৫২ বছরের বড়। চার্চিল থেকে এরপর এক এক করে মোট ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়েছে। মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে ৬ সেপ্টেম্বর হাসিমুখে অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে।
রাজতন্ত্রের প্রতি বিদ্বেষ ভাব থাকলেও ফরাসিরা পাশের দেশের রানিকে বেশ পছন্দ করে। রানি চমৎকার ফরাসি বলতে পারেন। সে কারণেও ফরাসি জনগণ সব সময়ই তাঁর প্রতি একধরনের নৈকট্য, আকর্ষণ অনুভব করত। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, নামকরা সব মানুষ রানির চমৎকার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, গভীর কর্তব্যবোধ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও উদারতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রশংসায় প্রায়ই পঞ্চমুখ হয়েছেন। অনেকটা অলিখিত প্রথার মতো ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—এ দুই দেশের প্রেসিডেন্টরা একবার হলেও তাঁর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছেন।
তাঁর রাজত্বকালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে বাস করেছেন। একমাত্র প্রেসিডেন্ট জনসন ছাড়া তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান থেকে আজকের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, একমাত্র তাঁরই সৌভাগ্য হয়েছিল রানির সঙ্গে ব্যালে নাচার। তাঁর সময়ে (১৯৭৪-১৯৭৭) যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার দ্বিশতবার্ষিকী উদ্যাপনে ১৯৭৬ সালে সম্মানিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউসে রানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ফোর্ড এমন বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট রেনে কোটি, শার্ল দ্য গোল থেকে শুরু করে আজকের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ মোট ৯ জন ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্মৃতির অ্যালবামে ইতিহাস হয়ে আছে রানির ঝলমলে সব ছবি। এর সঙ্গে আছে কিছু কিছু কাহিনি।
রানি শার্ল দ্য গোলকে খুব পছন্দ করতেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী ফ্রান্স দখল করে নিলে ১৯৪০ সালের ১৮ জুন লন্ডন থেকে জেনারেল দ্য গোল রেডিওতে ফরাসি জনগণকে শত্রুসৈন্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। সে সময় তাঁর রেডিও বার্তাটিতে বারুদের মতো জ্বলে উঠেছিল ফরাসি জনগণ। দখলদার বাহিনী হটিয়ে মাতৃভূমি উদ্ধারের জন্য দেশের আনাচে-কানাচে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়েছিল এবং নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। পরবর্তী সময়ে দ্য গোল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে রানির সঙ্গে দেখা করেন।
জর্জ পম্পিডু তখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (১৯৬৯-১৯৭৪)। এক অনুষ্ঠানে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পাশাপাশি সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছেন। এমন সময় রানির পা খানিকটা পিছলে গেলে জর্জ পম্পিডু তৎক্ষণাৎ রানির বাহু ধরে ফেলেন। প্রটোকল অনুসারে রানিকে কোনোভাবেই স্পর্শ করা যাবে না। রানি তাতে বিব্রত বা ক্ষুব্ধ হননি। তবে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সাংবাদিকেরা তাঁদের কলমের জন্য বেশ রসদ পেয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি জিস্কার-ডেসতাকে (১৯৭৪-১৯৮১) রানি তাঁর প্রিয় একটি কুকুর উপহার দিয়েছিলেন। রাতারাতি ভাগ্যবান কুকুরটির ছবি ফ্রান্সের সব কটি প্রচারমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। কুকুরটি কী বুঝেছিল, তা কেউ না বলতে পারলেও প্রেসিডেন্ট জিস্কার-ডেসতা খুব আনন্দিত এবং গর্বিত হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা দুই মেয়াদে ১৪ বছর (১৯৮১-১৯৯৫) ক্ষমতায় ছিলেন। মিতেরার সঙ্গে রানির বেশ সখ্য ছিল। তাঁদের অনেকবার দেখা হয়েছিল। ইতিহাস ছিল তাঁদের প্রিয় আলোচনার বিষয়।
এক ভোজসভায় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ (২০১২-২০১৭) রানিকে একা রেখে, একটু দূরে সরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপ জুড়ে দেন, যা ছিল সম্পূর্ণ শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। এ কারণে নিজ দেশেই ওলাঁদকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধান, যার সঙ্গে দেখা হয়েছে পৃথিবীর বহু নামকরা ব্যক্তির। তাঁর সামনে আচার-আচরণে সতর্ক হতে হতো অন্য সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের। রানির মতো জৌলুশ, সম্মান, অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ও আড়ম্বরপূর্ণ দীর্ঘ জীবন আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের ভাগ্যে জোটেনি।
মানুষের জন্ম হয় মৃত্যুকে মাথায় নিয়েই। তবে কে কত দিন পৃথিবীর আলো দেখবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তিনিও জন্মেছিলেন যেদিন, সেদিন থেকেই তাঁর মৃত্যু অবধারিত ছিল। গত ২১ এপ্রিল ৯৬ বছর পার করে আরও ১৩৯ দিন বেঁচে ছিলেন তিনি। খুব কম মানুষই ৯ দশকের বেশি আয়ু পায়। সে হিসাবে তাঁর এমন মৃত্যু, তাঁকে অনেক বেশি ভাগ্যবানদের দলেই ফেলেছে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনকালেই তিনি পরিণত হয়েছিলেন কিংবদন্তিতে। যে সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না, তিনি ছিলেন সেই সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আসীন একনাগাড়ে সত্তর বছর, গুনে গুনে সাত দশক। কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। সবচেয়ে ভালো মানুষটিরও খুঁত ধারার মানুষের অভাব হয় না। তার পরও লিলিবেট নামের আড়ালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অনেক বেশি নন্দিত। লিলিবেট মারা গেছেন পৃথিবী কাঁপিয়ে, কাঁদিয়ে।
লেখক : ফ্রান্সপ্রবাসী লেখক।

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, একটি বিশেষ বিমান কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে লন্ডনের পথে উড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সবার মুখেই বিষণ্নতার কালো ছায়া, কেউ তেমন কথা বলছেন না। পাইলট থেকে শুরু করে স্টুয়ার্টদের মুখের চিরাচরিত হাসি বিষণ্নতায় ঢাকা পড়েছে। বিমানের একটানা যান্ত্রিক আওয়াজ অনেকটা একঘেয়ে হয়ে এসেছে। সেই আওয়াজ ছাপিয়ে কান্নার মৃদু আওয়াজ পরিবেশকে আরও ভারী করে তুলেছে। ব্যক্তিগত কেবিনে, সবার চোখের আড়ালে পঁচিশ বছরের এক তরুণী কাঁদছেন। তিনি তাঁর পিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে লন্ডনে ফিরে যাচ্ছেন। শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যরাই নন, সমগ্র দেশবাসী অধীর আগ্রহে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। পিতা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর তিনিই সে দেশের এবং আরও ৩১টি সার্বভৌম রাজ্যের সিংহাসনের উত্তরসূরি। তাঁর পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্ড্রা ম্যারি। মা আদর করে ডাকতেন ‘লিলিবেট’।
লন্ডন বিমানবন্দরে পৌঁছালে কালো রঙের গালিচায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আরেক কিংবদন্তি, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল।
১৯৫৩ সালের ২ জুনের অভিষেক অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৮৬৮টি হীরকখচিত ১ কিলোগ্রাম বা ২ দশমিক ২ পাউন্ড ওজনের রাজমুকুট তাঁর মাথায় উঠলেও, ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঘড়ির কাঁটায় যখন বেলা ১১টা বেজে ১৫ মিনিট, তখন থেকে একনাগাড়ে সত্তর বছর রানির দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথা অনুসারে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে রানির অনুমোদন প্রয়োজন। তাঁর অনুমোদন প্রথম পেয়েছিলেন উইনস্টন চার্চিল, রানির চেয়ে বয়সে ৫২ বছরের বড়। চার্চিল থেকে এরপর এক এক করে মোট ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়েছে। মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে ৬ সেপ্টেম্বর হাসিমুখে অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে।
রাজতন্ত্রের প্রতি বিদ্বেষ ভাব থাকলেও ফরাসিরা পাশের দেশের রানিকে বেশ পছন্দ করে। রানি চমৎকার ফরাসি বলতে পারেন। সে কারণেও ফরাসি জনগণ সব সময়ই তাঁর প্রতি একধরনের নৈকট্য, আকর্ষণ অনুভব করত। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, নামকরা সব মানুষ রানির চমৎকার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, গভীর কর্তব্যবোধ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও উদারতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রশংসায় প্রায়ই পঞ্চমুখ হয়েছেন। অনেকটা অলিখিত প্রথার মতো ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—এ দুই দেশের প্রেসিডেন্টরা একবার হলেও তাঁর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছেন।
তাঁর রাজত্বকালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে বাস করেছেন। একমাত্র প্রেসিডেন্ট জনসন ছাড়া তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান থেকে আজকের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, একমাত্র তাঁরই সৌভাগ্য হয়েছিল রানির সঙ্গে ব্যালে নাচার। তাঁর সময়ে (১৯৭৪-১৯৭৭) যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার দ্বিশতবার্ষিকী উদ্যাপনে ১৯৭৬ সালে সম্মানিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউসে রানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ফোর্ড এমন বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট রেনে কোটি, শার্ল দ্য গোল থেকে শুরু করে আজকের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ মোট ৯ জন ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্মৃতির অ্যালবামে ইতিহাস হয়ে আছে রানির ঝলমলে সব ছবি। এর সঙ্গে আছে কিছু কিছু কাহিনি।
রানি শার্ল দ্য গোলকে খুব পছন্দ করতেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী ফ্রান্স দখল করে নিলে ১৯৪০ সালের ১৮ জুন লন্ডন থেকে জেনারেল দ্য গোল রেডিওতে ফরাসি জনগণকে শত্রুসৈন্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। সে সময় তাঁর রেডিও বার্তাটিতে বারুদের মতো জ্বলে উঠেছিল ফরাসি জনগণ। দখলদার বাহিনী হটিয়ে মাতৃভূমি উদ্ধারের জন্য দেশের আনাচে-কানাচে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়েছিল এবং নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। পরবর্তী সময়ে দ্য গোল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে রানির সঙ্গে দেখা করেন।
জর্জ পম্পিডু তখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (১৯৬৯-১৯৭৪)। এক অনুষ্ঠানে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পাশাপাশি সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছেন। এমন সময় রানির পা খানিকটা পিছলে গেলে জর্জ পম্পিডু তৎক্ষণাৎ রানির বাহু ধরে ফেলেন। প্রটোকল অনুসারে রানিকে কোনোভাবেই স্পর্শ করা যাবে না। রানি তাতে বিব্রত বা ক্ষুব্ধ হননি। তবে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সাংবাদিকেরা তাঁদের কলমের জন্য বেশ রসদ পেয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি জিস্কার-ডেসতাকে (১৯৭৪-১৯৮১) রানি তাঁর প্রিয় একটি কুকুর উপহার দিয়েছিলেন। রাতারাতি ভাগ্যবান কুকুরটির ছবি ফ্রান্সের সব কটি প্রচারমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। কুকুরটি কী বুঝেছিল, তা কেউ না বলতে পারলেও প্রেসিডেন্ট জিস্কার-ডেসতা খুব আনন্দিত এবং গর্বিত হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা দুই মেয়াদে ১৪ বছর (১৯৮১-১৯৯৫) ক্ষমতায় ছিলেন। মিতেরার সঙ্গে রানির বেশ সখ্য ছিল। তাঁদের অনেকবার দেখা হয়েছিল। ইতিহাস ছিল তাঁদের প্রিয় আলোচনার বিষয়।
এক ভোজসভায় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ (২০১২-২০১৭) রানিকে একা রেখে, একটু দূরে সরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপ জুড়ে দেন, যা ছিল সম্পূর্ণ শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। এ কারণে নিজ দেশেই ওলাঁদকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধান, যার সঙ্গে দেখা হয়েছে পৃথিবীর বহু নামকরা ব্যক্তির। তাঁর সামনে আচার-আচরণে সতর্ক হতে হতো অন্য সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের। রানির মতো জৌলুশ, সম্মান, অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ও আড়ম্বরপূর্ণ দীর্ঘ জীবন আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের ভাগ্যে জোটেনি।
মানুষের জন্ম হয় মৃত্যুকে মাথায় নিয়েই। তবে কে কত দিন পৃথিবীর আলো দেখবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তিনিও জন্মেছিলেন যেদিন, সেদিন থেকেই তাঁর মৃত্যু অবধারিত ছিল। গত ২১ এপ্রিল ৯৬ বছর পার করে আরও ১৩৯ দিন বেঁচে ছিলেন তিনি। খুব কম মানুষই ৯ দশকের বেশি আয়ু পায়। সে হিসাবে তাঁর এমন মৃত্যু, তাঁকে অনেক বেশি ভাগ্যবানদের দলেই ফেলেছে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনকালেই তিনি পরিণত হয়েছিলেন কিংবদন্তিতে। যে সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না, তিনি ছিলেন সেই সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আসীন একনাগাড়ে সত্তর বছর, গুনে গুনে সাত দশক। কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। সবচেয়ে ভালো মানুষটিরও খুঁত ধারার মানুষের অভাব হয় না। তার পরও লিলিবেট নামের আড়ালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অনেক বেশি নন্দিত। লিলিবেট মারা গেছেন পৃথিবী কাঁপিয়ে, কাঁদিয়ে।
লেখক : ফ্রান্সপ্রবাসী লেখক।

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
২ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৪ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৫ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, একটি বিশেষ বিমান কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে লন্ডনের পথে উড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সবার মুখেই বিষণ্নতার কালো ছায়া, কেউ তেমন কথা বলছেন না। পাইলট থেকে শুরু করে স্টুয়ার্টদের মুখের চিরাচরিত হাসি বিষণ্নতায়
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৪ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৫ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৮ ঘণ্টা আগেডা. নূরজাহান বেগম

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, একটি বিশেষ বিমান কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে লন্ডনের পথে উড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সবার মুখেই বিষণ্নতার কালো ছায়া, কেউ তেমন কথা বলছেন না। পাইলট থেকে শুরু করে স্টুয়ার্টদের মুখের চিরাচরিত হাসি বিষণ্নতায়
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৫ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, একটি বিশেষ বিমান কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে লন্ডনের পথে উড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সবার মুখেই বিষণ্নতার কালো ছায়া, কেউ তেমন কথা বলছেন না। পাইলট থেকে শুরু করে স্টুয়ার্টদের মুখের চিরাচরিত হাসি বিষণ্নতায়
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
২ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৪ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, একটি বিশেষ বিমান কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে লন্ডনের পথে উড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সবার মুখেই বিষণ্নতার কালো ছায়া, কেউ তেমন কথা বলছেন না। পাইলট থেকে শুরু করে স্টুয়ার্টদের মুখের চিরাচরিত হাসি বিষণ্নতায়
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
২ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৪ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৫ ঘণ্টা আগে