মইনুল হাসান

উদ্ভিদ সাম্রাজ্যে মাশরুম হচ্ছে এক ধরনের ছত্রাক। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মুখোরোচক খাবার হিসেবে অনেক গুণের আধার এই মাশরুমকে তাদের বিচিত্র খাবারের তালিকায় অনেকটা প্রাধান্য দিয়েই স্থান দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা।
এর কারণও আছে। মাশরুম ক্যালরি ও প্রচুর আঁশযুক্ত (বিটা গ্লুকান) সহজ পাচ্য ও প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন মুক্ত। এটি শরীরের জন্য উপকারী আমিষ, খাদ্যপ্রাণ অর্থাৎ ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ সমৃদ্ধ একটি চমৎকার খাবার। এতে শর্করা ও স্নেহ বা তেল জাতীয় উপাদান পরিমাণে খুব কম থাকে বলে যারা মোটেই মুটিয়ে যেতে চান না, তাঁরা নির্দ্বিধায় মাশরুমের মজার স্বাদ নিতে পারেন। তা ছাড়া এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) নিচের দিকে। মাশরুম পটাশিয়ামের ভালো উৎস। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা নিরাময়সহ হাড় ও দাঁতকে শক্ত করে। আর অকালে চুল পাকা ও চুলপড়া রোধ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। এক কথায় মাশরুমের যেমন রয়েছে চমৎকার পুষ্টিগুণ, ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আছে অসাধারণ ঔষধিগুণ।
বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে প্রায় ২০ প্রজাতির মাশরুমের চাষ হয়ে থাকে। তবে কিছু মাশরুম আছে, যা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা আজও সম্ভব হয়নি। আর তাই খাবার প্লেটে জোগান দিতে নির্ভর করতে হয় প্রকৃতির ওপর। স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিগুণে অতুলনীয় এমন পাঁচটি প্রাকৃতিক মাশরুমের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।
ট্রাফল
মাশরুমের জগতে বিস্ময় এ মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউবার মেলানোস্পোরাম’। আরেকটি নাম ‘কালো হিরা’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ইউরো (বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা)। দামের কারণেই এর এমন নাম হয়েছে। সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিরল এই মাশরুম ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালিতে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনেও পাওয়া যায় এটি। মাটির নিচে জন্মে। তাই ট্রাফল খোঁজার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বা শূকর ব্যবহার করা হয়। এ মাশরুমের বেশ কয়েকটি ধরন আছে। এর মধ্যে মাখন রঙা ট্রাফলের মূল্য আকাশচুম্বী—৫ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউরো প্রতি কিলোগ্রামের দাম। অভিজাত রেস্তোরাঁতে শেফরা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে কাঁচা অথবা রান্না করা ট্রাফল ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও সস ও স্যুপ তৈরি হয় এটি দিয়ে।
স্যান্টেরেল
বন্য মাশরুমের মধ্যে এটি জনপ্রিয়। গরমের দিনগুলোতে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বনে বাদাড়ে বেড়াতে গেলে উজ্জ্বল সোনালি রঙের এমন মাশরুমের দেখা মিলে যেতে পারে। ষোলো শতক থেকে ইউরোপে, বিশেষ করে ফরাসিদের খাবার টেবিলের দখল নিতে শুরু করে এটি। আঠারো শতকে অনেকটাই শৌখিন ও অভিজাত খাদ্য রসিকদের রসনার দখল নিয়ে ফেলে স্যান্টেরেল। এপ্রিকটের হালকা ঘ্রাণযুক্ত এ মাশরুম মাছ, মাংসের সঙ্গে রান্না করা যায়। তাতে খাবারে হালকা মিষ্টি একটি ঘ্রাণ হয়। রুচি বৃদ্ধির জন্য চমৎকার কাজ করে এটি। এ ছাড়াও স্যান্টেরেল পুষ্টিগুণে অনন্য। উজ্জ্বল কমলা-সোনালি রঙের কারণে অনেক শেফ নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য খাবার সাজাতে স্যান্টেরেল ব্যবহার করে থাকেন। ফরাসি রন্ধনশৈলীর অংশ হিসেবে বর্তমানে বহু দেশে সমাদৃত এটি।
মিষ্টি দাঁত বা মেষের পা
ইংরেজরা এ মাশরুমের নাম দিয়েছে ‘সুইট টুথ’। এদিকে ইংরেজরা যা করে ফরাসিরা প্রায়ই তার উল্টোটা করে। সে জন্য তারা এর নাম রেখেছে ‘মেষের পা’। নামের এমন বিবাদ ভঞ্জন করতে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘হাইডনাম রিপানডাম’। হালকা মিষ্টি এবং কিছুটা বাদামের মতো স্বাদের কমলা, হলুদ বা ট্যান রঙের ক্যাপের এ মাশরুম শরৎ কালে পাওয়া যায় ইউরোপে। মাছ-মাংসের সঙ্গে এ মাশরুমের স্বাদ আস্বাদন করতে অনেকেই খুব আগ্রহী হন। জলপাই তেলে হালকা ভাজিও খুব ভালো লাগবে।
ছেপ বা কিং মাশরুম
বিজ্ঞানীরা এর একটি খটমটো নাম দিয়েছেন—‘বোলেটাস এডুলিস’। একটি চমৎকার মাংসল মাশরুম। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে জন্মে। আর তাই ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে সুলভ না হলেও মোটেই দুর্লভ নয়। নাদুসনুদুস এবং ছাতার আকারের ক্যাপের জন্য সহজেই চেনা যায় একে। নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ সহজ বলে সব মৌসুমে কিনতে পাওয়া যায়।
খাদ্যপ্রাণ ছাড়াও চমৎকার সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, দস্তা, তামা, আয়োডিন ও মলিবডেনামের মতো খনিজ উপাদানের উৎস বলে ইউরোপীয়দের খুব প্রিয় এই ছেপ। খানিকটা পার্সলে আর রসুন বাটা দিয়ে অলিভ তেলে খুব সহজেই ভাজি করা যায়। ডিম ভাজিতে খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন। তা ছাড়া ছেপ দিয়ে বেশ কয়েক পদের মজাদার সস এবং স্যুপ তৈরি করা যায়।
মোরেল বা মোরচেলা
শেফদের খুব প্রিয় একটি মাশরুম। রন্ধনশৈলীকে আলাদা মাত্রা দিতে তাঁরা এই মাশরুমকে বেছে নেন। সুপার শপে, গ্রোসারিগুলোতে শুকনো সংরক্ষিত মোরেল পাওয়া যায়। মোরেল ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেখা যায়। রান্নার পর বেশ মোলায়েম স্বাদের হয় এটি, তবে মুখে দিলে গলে যায় না। ফলে বেশ তৃপ্তিদায়ক। চমৎকার ঘ্রাণের কারণে মোরেলকে আলাদা করা যায়। মাখন দিয়ে রান্না করা বাচ্চা গরু কিংবা মুরগির মাংসে আলাদা ব্যঞ্জনা জোগাতে মোরেলের জুড়ি মেলা ভার। অ্যাসপারাগাস বা বসন্তকালীন শাকসবজির সঙ্গে খানিকটা মাখন দিয়ে ভাজি করা তাজা মোরেলের স্বাদ অনেক দিন মনে থাকার কথা।
তবে মাশরুম চিনতে হবে। কিছু কিছু মাশরুম খুবই বিষাক্ত হয়ে থাকে। আর কিছু মাশরুম আছে মাদকের মতো কাজ করে, হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করে। তাই না জেনে, না চিনে মোটেই মাশরুম খাওয়া যাবে না।
মইনুল হাসান: ফ্রান্স প্রবাসী লেখক ও গবেষক

উদ্ভিদ সাম্রাজ্যে মাশরুম হচ্ছে এক ধরনের ছত্রাক। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মুখোরোচক খাবার হিসেবে অনেক গুণের আধার এই মাশরুমকে তাদের বিচিত্র খাবারের তালিকায় অনেকটা প্রাধান্য দিয়েই স্থান দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা।
এর কারণও আছে। মাশরুম ক্যালরি ও প্রচুর আঁশযুক্ত (বিটা গ্লুকান) সহজ পাচ্য ও প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন মুক্ত। এটি শরীরের জন্য উপকারী আমিষ, খাদ্যপ্রাণ অর্থাৎ ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ সমৃদ্ধ একটি চমৎকার খাবার। এতে শর্করা ও স্নেহ বা তেল জাতীয় উপাদান পরিমাণে খুব কম থাকে বলে যারা মোটেই মুটিয়ে যেতে চান না, তাঁরা নির্দ্বিধায় মাশরুমের মজার স্বাদ নিতে পারেন। তা ছাড়া এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) নিচের দিকে। মাশরুম পটাশিয়ামের ভালো উৎস। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা নিরাময়সহ হাড় ও দাঁতকে শক্ত করে। আর অকালে চুল পাকা ও চুলপড়া রোধ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। এক কথায় মাশরুমের যেমন রয়েছে চমৎকার পুষ্টিগুণ, ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আছে অসাধারণ ঔষধিগুণ।
বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে প্রায় ২০ প্রজাতির মাশরুমের চাষ হয়ে থাকে। তবে কিছু মাশরুম আছে, যা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা আজও সম্ভব হয়নি। আর তাই খাবার প্লেটে জোগান দিতে নির্ভর করতে হয় প্রকৃতির ওপর। স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিগুণে অতুলনীয় এমন পাঁচটি প্রাকৃতিক মাশরুমের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।
ট্রাফল
মাশরুমের জগতে বিস্ময় এ মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউবার মেলানোস্পোরাম’। আরেকটি নাম ‘কালো হিরা’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ইউরো (বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা)। দামের কারণেই এর এমন নাম হয়েছে। সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিরল এই মাশরুম ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালিতে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনেও পাওয়া যায় এটি। মাটির নিচে জন্মে। তাই ট্রাফল খোঁজার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বা শূকর ব্যবহার করা হয়। এ মাশরুমের বেশ কয়েকটি ধরন আছে। এর মধ্যে মাখন রঙা ট্রাফলের মূল্য আকাশচুম্বী—৫ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউরো প্রতি কিলোগ্রামের দাম। অভিজাত রেস্তোরাঁতে শেফরা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে কাঁচা অথবা রান্না করা ট্রাফল ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও সস ও স্যুপ তৈরি হয় এটি দিয়ে।
স্যান্টেরেল
বন্য মাশরুমের মধ্যে এটি জনপ্রিয়। গরমের দিনগুলোতে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বনে বাদাড়ে বেড়াতে গেলে উজ্জ্বল সোনালি রঙের এমন মাশরুমের দেখা মিলে যেতে পারে। ষোলো শতক থেকে ইউরোপে, বিশেষ করে ফরাসিদের খাবার টেবিলের দখল নিতে শুরু করে এটি। আঠারো শতকে অনেকটাই শৌখিন ও অভিজাত খাদ্য রসিকদের রসনার দখল নিয়ে ফেলে স্যান্টেরেল। এপ্রিকটের হালকা ঘ্রাণযুক্ত এ মাশরুম মাছ, মাংসের সঙ্গে রান্না করা যায়। তাতে খাবারে হালকা মিষ্টি একটি ঘ্রাণ হয়। রুচি বৃদ্ধির জন্য চমৎকার কাজ করে এটি। এ ছাড়াও স্যান্টেরেল পুষ্টিগুণে অনন্য। উজ্জ্বল কমলা-সোনালি রঙের কারণে অনেক শেফ নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য খাবার সাজাতে স্যান্টেরেল ব্যবহার করে থাকেন। ফরাসি রন্ধনশৈলীর অংশ হিসেবে বর্তমানে বহু দেশে সমাদৃত এটি।
মিষ্টি দাঁত বা মেষের পা
ইংরেজরা এ মাশরুমের নাম দিয়েছে ‘সুইট টুথ’। এদিকে ইংরেজরা যা করে ফরাসিরা প্রায়ই তার উল্টোটা করে। সে জন্য তারা এর নাম রেখেছে ‘মেষের পা’। নামের এমন বিবাদ ভঞ্জন করতে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘হাইডনাম রিপানডাম’। হালকা মিষ্টি এবং কিছুটা বাদামের মতো স্বাদের কমলা, হলুদ বা ট্যান রঙের ক্যাপের এ মাশরুম শরৎ কালে পাওয়া যায় ইউরোপে। মাছ-মাংসের সঙ্গে এ মাশরুমের স্বাদ আস্বাদন করতে অনেকেই খুব আগ্রহী হন। জলপাই তেলে হালকা ভাজিও খুব ভালো লাগবে।
ছেপ বা কিং মাশরুম
বিজ্ঞানীরা এর একটি খটমটো নাম দিয়েছেন—‘বোলেটাস এডুলিস’। একটি চমৎকার মাংসল মাশরুম। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে জন্মে। আর তাই ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে সুলভ না হলেও মোটেই দুর্লভ নয়। নাদুসনুদুস এবং ছাতার আকারের ক্যাপের জন্য সহজেই চেনা যায় একে। নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ সহজ বলে সব মৌসুমে কিনতে পাওয়া যায়।
খাদ্যপ্রাণ ছাড়াও চমৎকার সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, দস্তা, তামা, আয়োডিন ও মলিবডেনামের মতো খনিজ উপাদানের উৎস বলে ইউরোপীয়দের খুব প্রিয় এই ছেপ। খানিকটা পার্সলে আর রসুন বাটা দিয়ে অলিভ তেলে খুব সহজেই ভাজি করা যায়। ডিম ভাজিতে খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন। তা ছাড়া ছেপ দিয়ে বেশ কয়েক পদের মজাদার সস এবং স্যুপ তৈরি করা যায়।
মোরেল বা মোরচেলা
শেফদের খুব প্রিয় একটি মাশরুম। রন্ধনশৈলীকে আলাদা মাত্রা দিতে তাঁরা এই মাশরুমকে বেছে নেন। সুপার শপে, গ্রোসারিগুলোতে শুকনো সংরক্ষিত মোরেল পাওয়া যায়। মোরেল ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেখা যায়। রান্নার পর বেশ মোলায়েম স্বাদের হয় এটি, তবে মুখে দিলে গলে যায় না। ফলে বেশ তৃপ্তিদায়ক। চমৎকার ঘ্রাণের কারণে মোরেলকে আলাদা করা যায়। মাখন দিয়ে রান্না করা বাচ্চা গরু কিংবা মুরগির মাংসে আলাদা ব্যঞ্জনা জোগাতে মোরেলের জুড়ি মেলা ভার। অ্যাসপারাগাস বা বসন্তকালীন শাকসবজির সঙ্গে খানিকটা মাখন দিয়ে ভাজি করা তাজা মোরেলের স্বাদ অনেক দিন মনে থাকার কথা।
তবে মাশরুম চিনতে হবে। কিছু কিছু মাশরুম খুবই বিষাক্ত হয়ে থাকে। আর কিছু মাশরুম আছে মাদকের মতো কাজ করে, হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করে। তাই না জেনে, না চিনে মোটেই মাশরুম খাওয়া যাবে না।
মইনুল হাসান: ফ্রান্স প্রবাসী লেখক ও গবেষক
মইনুল হাসান

উদ্ভিদ সাম্রাজ্যে মাশরুম হচ্ছে এক ধরনের ছত্রাক। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মুখোরোচক খাবার হিসেবে অনেক গুণের আধার এই মাশরুমকে তাদের বিচিত্র খাবারের তালিকায় অনেকটা প্রাধান্য দিয়েই স্থান দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা।
এর কারণও আছে। মাশরুম ক্যালরি ও প্রচুর আঁশযুক্ত (বিটা গ্লুকান) সহজ পাচ্য ও প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন মুক্ত। এটি শরীরের জন্য উপকারী আমিষ, খাদ্যপ্রাণ অর্থাৎ ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ সমৃদ্ধ একটি চমৎকার খাবার। এতে শর্করা ও স্নেহ বা তেল জাতীয় উপাদান পরিমাণে খুব কম থাকে বলে যারা মোটেই মুটিয়ে যেতে চান না, তাঁরা নির্দ্বিধায় মাশরুমের মজার স্বাদ নিতে পারেন। তা ছাড়া এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) নিচের দিকে। মাশরুম পটাশিয়ামের ভালো উৎস। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা নিরাময়সহ হাড় ও দাঁতকে শক্ত করে। আর অকালে চুল পাকা ও চুলপড়া রোধ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। এক কথায় মাশরুমের যেমন রয়েছে চমৎকার পুষ্টিগুণ, ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আছে অসাধারণ ঔষধিগুণ।
বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে প্রায় ২০ প্রজাতির মাশরুমের চাষ হয়ে থাকে। তবে কিছু মাশরুম আছে, যা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা আজও সম্ভব হয়নি। আর তাই খাবার প্লেটে জোগান দিতে নির্ভর করতে হয় প্রকৃতির ওপর। স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিগুণে অতুলনীয় এমন পাঁচটি প্রাকৃতিক মাশরুমের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।
ট্রাফল
মাশরুমের জগতে বিস্ময় এ মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউবার মেলানোস্পোরাম’। আরেকটি নাম ‘কালো হিরা’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ইউরো (বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা)। দামের কারণেই এর এমন নাম হয়েছে। সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিরল এই মাশরুম ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালিতে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনেও পাওয়া যায় এটি। মাটির নিচে জন্মে। তাই ট্রাফল খোঁজার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বা শূকর ব্যবহার করা হয়। এ মাশরুমের বেশ কয়েকটি ধরন আছে। এর মধ্যে মাখন রঙা ট্রাফলের মূল্য আকাশচুম্বী—৫ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউরো প্রতি কিলোগ্রামের দাম। অভিজাত রেস্তোরাঁতে শেফরা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে কাঁচা অথবা রান্না করা ট্রাফল ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও সস ও স্যুপ তৈরি হয় এটি দিয়ে।
স্যান্টেরেল
বন্য মাশরুমের মধ্যে এটি জনপ্রিয়। গরমের দিনগুলোতে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বনে বাদাড়ে বেড়াতে গেলে উজ্জ্বল সোনালি রঙের এমন মাশরুমের দেখা মিলে যেতে পারে। ষোলো শতক থেকে ইউরোপে, বিশেষ করে ফরাসিদের খাবার টেবিলের দখল নিতে শুরু করে এটি। আঠারো শতকে অনেকটাই শৌখিন ও অভিজাত খাদ্য রসিকদের রসনার দখল নিয়ে ফেলে স্যান্টেরেল। এপ্রিকটের হালকা ঘ্রাণযুক্ত এ মাশরুম মাছ, মাংসের সঙ্গে রান্না করা যায়। তাতে খাবারে হালকা মিষ্টি একটি ঘ্রাণ হয়। রুচি বৃদ্ধির জন্য চমৎকার কাজ করে এটি। এ ছাড়াও স্যান্টেরেল পুষ্টিগুণে অনন্য। উজ্জ্বল কমলা-সোনালি রঙের কারণে অনেক শেফ নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য খাবার সাজাতে স্যান্টেরেল ব্যবহার করে থাকেন। ফরাসি রন্ধনশৈলীর অংশ হিসেবে বর্তমানে বহু দেশে সমাদৃত এটি।
মিষ্টি দাঁত বা মেষের পা
ইংরেজরা এ মাশরুমের নাম দিয়েছে ‘সুইট টুথ’। এদিকে ইংরেজরা যা করে ফরাসিরা প্রায়ই তার উল্টোটা করে। সে জন্য তারা এর নাম রেখেছে ‘মেষের পা’। নামের এমন বিবাদ ভঞ্জন করতে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘হাইডনাম রিপানডাম’। হালকা মিষ্টি এবং কিছুটা বাদামের মতো স্বাদের কমলা, হলুদ বা ট্যান রঙের ক্যাপের এ মাশরুম শরৎ কালে পাওয়া যায় ইউরোপে। মাছ-মাংসের সঙ্গে এ মাশরুমের স্বাদ আস্বাদন করতে অনেকেই খুব আগ্রহী হন। জলপাই তেলে হালকা ভাজিও খুব ভালো লাগবে।
ছেপ বা কিং মাশরুম
বিজ্ঞানীরা এর একটি খটমটো নাম দিয়েছেন—‘বোলেটাস এডুলিস’। একটি চমৎকার মাংসল মাশরুম। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে জন্মে। আর তাই ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে সুলভ না হলেও মোটেই দুর্লভ নয়। নাদুসনুদুস এবং ছাতার আকারের ক্যাপের জন্য সহজেই চেনা যায় একে। নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ সহজ বলে সব মৌসুমে কিনতে পাওয়া যায়।
খাদ্যপ্রাণ ছাড়াও চমৎকার সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, দস্তা, তামা, আয়োডিন ও মলিবডেনামের মতো খনিজ উপাদানের উৎস বলে ইউরোপীয়দের খুব প্রিয় এই ছেপ। খানিকটা পার্সলে আর রসুন বাটা দিয়ে অলিভ তেলে খুব সহজেই ভাজি করা যায়। ডিম ভাজিতে খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন। তা ছাড়া ছেপ দিয়ে বেশ কয়েক পদের মজাদার সস এবং স্যুপ তৈরি করা যায়।
মোরেল বা মোরচেলা
শেফদের খুব প্রিয় একটি মাশরুম। রন্ধনশৈলীকে আলাদা মাত্রা দিতে তাঁরা এই মাশরুমকে বেছে নেন। সুপার শপে, গ্রোসারিগুলোতে শুকনো সংরক্ষিত মোরেল পাওয়া যায়। মোরেল ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেখা যায়। রান্নার পর বেশ মোলায়েম স্বাদের হয় এটি, তবে মুখে দিলে গলে যায় না। ফলে বেশ তৃপ্তিদায়ক। চমৎকার ঘ্রাণের কারণে মোরেলকে আলাদা করা যায়। মাখন দিয়ে রান্না করা বাচ্চা গরু কিংবা মুরগির মাংসে আলাদা ব্যঞ্জনা জোগাতে মোরেলের জুড়ি মেলা ভার। অ্যাসপারাগাস বা বসন্তকালীন শাকসবজির সঙ্গে খানিকটা মাখন দিয়ে ভাজি করা তাজা মোরেলের স্বাদ অনেক দিন মনে থাকার কথা।
তবে মাশরুম চিনতে হবে। কিছু কিছু মাশরুম খুবই বিষাক্ত হয়ে থাকে। আর কিছু মাশরুম আছে মাদকের মতো কাজ করে, হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করে। তাই না জেনে, না চিনে মোটেই মাশরুম খাওয়া যাবে না।
মইনুল হাসান: ফ্রান্স প্রবাসী লেখক ও গবেষক

উদ্ভিদ সাম্রাজ্যে মাশরুম হচ্ছে এক ধরনের ছত্রাক। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মুখোরোচক খাবার হিসেবে অনেক গুণের আধার এই মাশরুমকে তাদের বিচিত্র খাবারের তালিকায় অনেকটা প্রাধান্য দিয়েই স্থান দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা।
এর কারণও আছে। মাশরুম ক্যালরি ও প্রচুর আঁশযুক্ত (বিটা গ্লুকান) সহজ পাচ্য ও প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন মুক্ত। এটি শরীরের জন্য উপকারী আমিষ, খাদ্যপ্রাণ অর্থাৎ ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ সমৃদ্ধ একটি চমৎকার খাবার। এতে শর্করা ও স্নেহ বা তেল জাতীয় উপাদান পরিমাণে খুব কম থাকে বলে যারা মোটেই মুটিয়ে যেতে চান না, তাঁরা নির্দ্বিধায় মাশরুমের মজার স্বাদ নিতে পারেন। তা ছাড়া এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) নিচের দিকে। মাশরুম পটাশিয়ামের ভালো উৎস। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা নিরাময়সহ হাড় ও দাঁতকে শক্ত করে। আর অকালে চুল পাকা ও চুলপড়া রোধ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। এক কথায় মাশরুমের যেমন রয়েছে চমৎকার পুষ্টিগুণ, ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আছে অসাধারণ ঔষধিগুণ।
বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে প্রায় ২০ প্রজাতির মাশরুমের চাষ হয়ে থাকে। তবে কিছু মাশরুম আছে, যা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা আজও সম্ভব হয়নি। আর তাই খাবার প্লেটে জোগান দিতে নির্ভর করতে হয় প্রকৃতির ওপর। স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিগুণে অতুলনীয় এমন পাঁচটি প্রাকৃতিক মাশরুমের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।
ট্রাফল
মাশরুমের জগতে বিস্ময় এ মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউবার মেলানোস্পোরাম’। আরেকটি নাম ‘কালো হিরা’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ইউরো (বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা)। দামের কারণেই এর এমন নাম হয়েছে। সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিরল এই মাশরুম ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালিতে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনেও পাওয়া যায় এটি। মাটির নিচে জন্মে। তাই ট্রাফল খোঁজার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বা শূকর ব্যবহার করা হয়। এ মাশরুমের বেশ কয়েকটি ধরন আছে। এর মধ্যে মাখন রঙা ট্রাফলের মূল্য আকাশচুম্বী—৫ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউরো প্রতি কিলোগ্রামের দাম। অভিজাত রেস্তোরাঁতে শেফরা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে কাঁচা অথবা রান্না করা ট্রাফল ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও সস ও স্যুপ তৈরি হয় এটি দিয়ে।
স্যান্টেরেল
বন্য মাশরুমের মধ্যে এটি জনপ্রিয়। গরমের দিনগুলোতে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বনে বাদাড়ে বেড়াতে গেলে উজ্জ্বল সোনালি রঙের এমন মাশরুমের দেখা মিলে যেতে পারে। ষোলো শতক থেকে ইউরোপে, বিশেষ করে ফরাসিদের খাবার টেবিলের দখল নিতে শুরু করে এটি। আঠারো শতকে অনেকটাই শৌখিন ও অভিজাত খাদ্য রসিকদের রসনার দখল নিয়ে ফেলে স্যান্টেরেল। এপ্রিকটের হালকা ঘ্রাণযুক্ত এ মাশরুম মাছ, মাংসের সঙ্গে রান্না করা যায়। তাতে খাবারে হালকা মিষ্টি একটি ঘ্রাণ হয়। রুচি বৃদ্ধির জন্য চমৎকার কাজ করে এটি। এ ছাড়াও স্যান্টেরেল পুষ্টিগুণে অনন্য। উজ্জ্বল কমলা-সোনালি রঙের কারণে অনেক শেফ নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য খাবার সাজাতে স্যান্টেরেল ব্যবহার করে থাকেন। ফরাসি রন্ধনশৈলীর অংশ হিসেবে বর্তমানে বহু দেশে সমাদৃত এটি।
মিষ্টি দাঁত বা মেষের পা
ইংরেজরা এ মাশরুমের নাম দিয়েছে ‘সুইট টুথ’। এদিকে ইংরেজরা যা করে ফরাসিরা প্রায়ই তার উল্টোটা করে। সে জন্য তারা এর নাম রেখেছে ‘মেষের পা’। নামের এমন বিবাদ ভঞ্জন করতে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘হাইডনাম রিপানডাম’। হালকা মিষ্টি এবং কিছুটা বাদামের মতো স্বাদের কমলা, হলুদ বা ট্যান রঙের ক্যাপের এ মাশরুম শরৎ কালে পাওয়া যায় ইউরোপে। মাছ-মাংসের সঙ্গে এ মাশরুমের স্বাদ আস্বাদন করতে অনেকেই খুব আগ্রহী হন। জলপাই তেলে হালকা ভাজিও খুব ভালো লাগবে।
ছেপ বা কিং মাশরুম
বিজ্ঞানীরা এর একটি খটমটো নাম দিয়েছেন—‘বোলেটাস এডুলিস’। একটি চমৎকার মাংসল মাশরুম। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে জন্মে। আর তাই ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে সুলভ না হলেও মোটেই দুর্লভ নয়। নাদুসনুদুস এবং ছাতার আকারের ক্যাপের জন্য সহজেই চেনা যায় একে। নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ সহজ বলে সব মৌসুমে কিনতে পাওয়া যায়।
খাদ্যপ্রাণ ছাড়াও চমৎকার সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, দস্তা, তামা, আয়োডিন ও মলিবডেনামের মতো খনিজ উপাদানের উৎস বলে ইউরোপীয়দের খুব প্রিয় এই ছেপ। খানিকটা পার্সলে আর রসুন বাটা দিয়ে অলিভ তেলে খুব সহজেই ভাজি করা যায়। ডিম ভাজিতে খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন। তা ছাড়া ছেপ দিয়ে বেশ কয়েক পদের মজাদার সস এবং স্যুপ তৈরি করা যায়।
মোরেল বা মোরচেলা
শেফদের খুব প্রিয় একটি মাশরুম। রন্ধনশৈলীকে আলাদা মাত্রা দিতে তাঁরা এই মাশরুমকে বেছে নেন। সুপার শপে, গ্রোসারিগুলোতে শুকনো সংরক্ষিত মোরেল পাওয়া যায়। মোরেল ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেখা যায়। রান্নার পর বেশ মোলায়েম স্বাদের হয় এটি, তবে মুখে দিলে গলে যায় না। ফলে বেশ তৃপ্তিদায়ক। চমৎকার ঘ্রাণের কারণে মোরেলকে আলাদা করা যায়। মাখন দিয়ে রান্না করা বাচ্চা গরু কিংবা মুরগির মাংসে আলাদা ব্যঞ্জনা জোগাতে মোরেলের জুড়ি মেলা ভার। অ্যাসপারাগাস বা বসন্তকালীন শাকসবজির সঙ্গে খানিকটা মাখন দিয়ে ভাজি করা তাজা মোরেলের স্বাদ অনেক দিন মনে থাকার কথা।
তবে মাশরুম চিনতে হবে। কিছু কিছু মাশরুম খুবই বিষাক্ত হয়ে থাকে। আর কিছু মাশরুম আছে মাদকের মতো কাজ করে, হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করে। তাই না জেনে, না চিনে মোটেই মাশরুম খাওয়া যাবে না।
মইনুল হাসান: ফ্রান্স প্রবাসী লেখক ও গবেষক

আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
৩৬ মিনিট আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
১ ঘণ্টা আগে
মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি
১৬ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ এখন আর ইবনে বতুতার যুগে পড়ে নেই। যতই সময় গেছে, ততই পৃথিবী হয়েছে ভ্রমণবান্ধব। এখন তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পর্যটনকে নিজেদের রাজস্ব বাড়ানোর উপায় হিসেবে দেখছে। ফলে চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কার মতো ভ্রমণবান্ধব দেশগুলো ভিসাব্যবস্থা করেছে সহজ। এতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে দেশগুলোতে। একই...
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ‘না’ বলতে শিখুন। বিশেষ করে যদি স্ত্রী আপনাকে রাতের বাসন ধুতে বলে।
বৃষ
দিনের শুরুতেই আপনার ব্যস্ততা শুরু। তবে কিসের ব্যস্ততা? আলমারি গোছানো বা অফিসের ফাইল নয়, আপনি আজ ঠিক করবেন কোন বিরল রেসিপিটা রান্না করবেন। রান্না শেষ হওয়ার আগেই সব এনার্জি শেষ! আর খরচ? বাজারে গিয়ে দুই টাকার ধনেপাতা কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চিপস কিনে ফেলবেন। দুপুরের মেনু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কের আশঙ্কা আছে। তাই আজ ডায়েটের কথা ভুলেও ভাববেন না।
মিথুন
আজ একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন—একদিকে নতুন চাকরি, অন্যদিকে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ফের যোগাযোগ। মন আপনাকে বলবে, ‘যা মন চায় কর!’ আর বুদ্ধি বলবে, ‘আগে দেখে নাও, কোথাও ঠকছো না তো!’ প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ সামান্য প্রতারণা পেতে পারেন। হয়তো তিনি কফি শপে এসে বলবেন, ‘তোমার কফির বিলটাও আমাকে দিতে হবে!’ মোবাইল চার্জে দিয়ে বিছানায় শুয়ে চ্যাট করবেন না। বিদ্যুতের বিল বাড়বে। জমি নিয়ে আজ ভাবুন। প্রেম নিয়ে কাল ভাবা যাবে।
কর্কট
আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে—এই চিন্তা মনকে এমন খারাপ করে দেবে যে হয়তো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। দিনের প্রথম ভাগ যাবে হতাশায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একটি ভালো খবর আসতে পারে। হতে পারে হারিয়ে যাওয়া রিমোট কন্ট্রোলটি আজ সোফার নিচ থেকে খুঁজে পাবেন। এটাই আপনার জন্য আর্থিক লাভ! দীর্ঘ ভ্রমণ পরিহার করুন। পাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত হাঁটাচলাও আজ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সিংহ
আজ আপনি রাজা। আপনার নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, কিন্তু আপনার রানি (জীবনসঙ্গী) হয়তো অভিযোগ করবেন যে রান্নাঘরের সিঙ্কটা কেন এখনো ঠিক হলো না! ফলে আপনার ‘রাজকীয় ঘোষণা’ ভেস্তে যাবে সামান্য গৃহস্থালির চাপে। শিশুদের উপহার কিনে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আজ বিপজ্জনক, এড়িয়ে চলুন। চুপ করে থাকুন। সুগারের রোগীরা আজ মিষ্টি দেখলে মাথা গরম করবেন না। নিজেকে সংযত রাখুন।
কন্যা
আপনার শান্ত মন আজ অনেক কাজ সহজে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো সহকর্মী সামান্য ভুল করলে আপনার ‘খুঁতখুঁতে’ স্বভাব আজ চাগাড় দেবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন অফিসের ক্যানটিনে খাবার অর্ডার দেবেন। দুর্ঘটনাবশত গাড়ির বদলে বাইকে বেশি গতি দিতে পারেন, তাই রাস্তায় সাবধানে থাকুন। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার চাদর ভাঁজ করা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই টাকা দিয়ে চটজলদি একটা নতুন ব্যাগ কিনে ফেলুন!
তুলা
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি কাজ করবে। অফিসে নতুন সুযোগ আসতেই পারে, কিন্তু পুরোনো স্থগিত পরিকল্পনাগুলো আপনাকে আজ তাড়া করবে। বসের কাছে বাহবা পাবেন, কিন্তু সহকর্মীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কপালে ভ্রমণ লেখা আছে; তবে সেটা হতে পারে ফ্রিজে কী আছে, তা দেখতে রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়া। প্রেমের জীবন মিষ্টি থাকবে, কিন্তু সঙ্গী মিষ্টি আনতে ভুলে যেতে পারেন। পরিবারের বিবাদ দেখে আজ চুপ করে থাকুন। শুধু পপকর্ন খান।
বৃশ্চিক
আপনার চিন্তাভাবনায় আজ স্বচ্ছতা আসবে। মনে হবে, আপনি যেন একটি নতুন গোয়েন্দা উপন্যাস লিখছেন! অপ্রয়োজনীয় রাগ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করবেন না; যেমন আপনার কলমটি কে ধার নিয়েছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করুন। পুরোনো বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। অবশ্যই সাহায্য করুন, তবে পরে যাতে সেই টাকা চাইতে গিয়ে আপনাকে ‘ডিটেকটিভ’ হতে না হয়! হিসাবের খাতায় যেন কোনো ভুল না হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। প্রচুর ছবি তুলুন।
ধনু
আজ একটি রোমাঞ্চকর দিন হতে চলেছে! আগের চেয়ে বেশি পজিটিভ বোধ করবেন। কিন্তু এই রোমাঞ্চ সম্ভবত নতুন কোনো সিরিজের প্রথম অ্যাপিসোড দেখার উত্তেজনা। পারিবারিক পরিবেশ সুখের হবে; হয়তো বাড়ির সবাই মিলে আজ একসঙ্গে চা খাবেন। পেশাগত জীবনে আপনার কাজ প্রশংসিত হবে, বিশেষত যদি আপনি সময়মতো টিফিন খেয়ে ফেলেন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দুপুরের খাবারের পর একটি পাওয়ার ন্যাপ। আজ কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করবেন না। হালকা থাকুন।
মকর
আজ কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাবেন। কাজের প্রতি আপনার সংকল্প এতটা দৃঢ় থাকবে যে মনে হবে ছুটি নিয়েও কাজ করছেন! পেশাগত জীবনে ভালো সুযোগ আসার সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি লক্ষ্য থেকে একটুও সরে যান, তাহলে কিন্তু আপনার মা অথবা স্ত্রী আজ আপনার কঠোর সমালোচনা করতে পারেন। লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বাড়ান। অন্যথায় ডিম ভাজতে গিয়ে সবজি কেটে ফেলবেন। আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন, মানে পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবেন না।
কুম্ভ
ধূর্ত লোকদের অযৌক্তিক যুক্তিতে আজ পা দেবেন না। তার মানে, যদি কেউ এসে বলে যে ডান পা আগে ফেললে আপনার কপাল খুলবে, আপনি তা হেসে উড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, বিশেষত অতিরিক্ত ওজন তোলা এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ দয়া করে বাজার থেকে একসঙ্গে তিন দিনের সবজি কিনে আনবেন না। পরিস্থিতি সামান্য চাপের হতে পারে, যখন আপনি বুঝবেন যে ফ্রিজে পছন্দের মিষ্টিটি নেই। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার বিপদ অপেক্ষা করছে। গরিবদের সাহায্য করুন, বিশেষত যারা আপনার কাছ থেকে চায়ের টাকা ধার নিয়েছে।
মীন
আজ আপনার মন মেঘে ভাসবে। কল্পনার জগৎ আজ বাস্তবের চেয়েও বেশি সুন্দর মনে হবে। যদি আর্ট, সাহিত্য বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আজ আপনার মস্তিষ্কের জট খুলে যাবে। কিন্তু সাবধান, আপনার এই ভাবুক স্বভাবের জন্য অফিসে নামডাক হলেও আপনি শুনতে পাবেন না। স্বপ্নের জগতে ডুব দেবেন, যা আপনার সঙ্গীকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। দিনে অন্তত একবার চোখ খুলে চারপাশটা দেখে নিন। বাস্তবের মাটিতে থাকুন।

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ‘না’ বলতে শিখুন। বিশেষ করে যদি স্ত্রী আপনাকে রাতের বাসন ধুতে বলে।
বৃষ
দিনের শুরুতেই আপনার ব্যস্ততা শুরু। তবে কিসের ব্যস্ততা? আলমারি গোছানো বা অফিসের ফাইল নয়, আপনি আজ ঠিক করবেন কোন বিরল রেসিপিটা রান্না করবেন। রান্না শেষ হওয়ার আগেই সব এনার্জি শেষ! আর খরচ? বাজারে গিয়ে দুই টাকার ধনেপাতা কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চিপস কিনে ফেলবেন। দুপুরের মেনু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কের আশঙ্কা আছে। তাই আজ ডায়েটের কথা ভুলেও ভাববেন না।
মিথুন
আজ একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন—একদিকে নতুন চাকরি, অন্যদিকে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ফের যোগাযোগ। মন আপনাকে বলবে, ‘যা মন চায় কর!’ আর বুদ্ধি বলবে, ‘আগে দেখে নাও, কোথাও ঠকছো না তো!’ প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ সামান্য প্রতারণা পেতে পারেন। হয়তো তিনি কফি শপে এসে বলবেন, ‘তোমার কফির বিলটাও আমাকে দিতে হবে!’ মোবাইল চার্জে দিয়ে বিছানায় শুয়ে চ্যাট করবেন না। বিদ্যুতের বিল বাড়বে। জমি নিয়ে আজ ভাবুন। প্রেম নিয়ে কাল ভাবা যাবে।
কর্কট
আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে—এই চিন্তা মনকে এমন খারাপ করে দেবে যে হয়তো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। দিনের প্রথম ভাগ যাবে হতাশায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একটি ভালো খবর আসতে পারে। হতে পারে হারিয়ে যাওয়া রিমোট কন্ট্রোলটি আজ সোফার নিচ থেকে খুঁজে পাবেন। এটাই আপনার জন্য আর্থিক লাভ! দীর্ঘ ভ্রমণ পরিহার করুন। পাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত হাঁটাচলাও আজ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সিংহ
আজ আপনি রাজা। আপনার নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, কিন্তু আপনার রানি (জীবনসঙ্গী) হয়তো অভিযোগ করবেন যে রান্নাঘরের সিঙ্কটা কেন এখনো ঠিক হলো না! ফলে আপনার ‘রাজকীয় ঘোষণা’ ভেস্তে যাবে সামান্য গৃহস্থালির চাপে। শিশুদের উপহার কিনে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আজ বিপজ্জনক, এড়িয়ে চলুন। চুপ করে থাকুন। সুগারের রোগীরা আজ মিষ্টি দেখলে মাথা গরম করবেন না। নিজেকে সংযত রাখুন।
কন্যা
আপনার শান্ত মন আজ অনেক কাজ সহজে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো সহকর্মী সামান্য ভুল করলে আপনার ‘খুঁতখুঁতে’ স্বভাব আজ চাগাড় দেবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন অফিসের ক্যানটিনে খাবার অর্ডার দেবেন। দুর্ঘটনাবশত গাড়ির বদলে বাইকে বেশি গতি দিতে পারেন, তাই রাস্তায় সাবধানে থাকুন। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার চাদর ভাঁজ করা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই টাকা দিয়ে চটজলদি একটা নতুন ব্যাগ কিনে ফেলুন!
তুলা
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি কাজ করবে। অফিসে নতুন সুযোগ আসতেই পারে, কিন্তু পুরোনো স্থগিত পরিকল্পনাগুলো আপনাকে আজ তাড়া করবে। বসের কাছে বাহবা পাবেন, কিন্তু সহকর্মীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কপালে ভ্রমণ লেখা আছে; তবে সেটা হতে পারে ফ্রিজে কী আছে, তা দেখতে রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়া। প্রেমের জীবন মিষ্টি থাকবে, কিন্তু সঙ্গী মিষ্টি আনতে ভুলে যেতে পারেন। পরিবারের বিবাদ দেখে আজ চুপ করে থাকুন। শুধু পপকর্ন খান।
বৃশ্চিক
আপনার চিন্তাভাবনায় আজ স্বচ্ছতা আসবে। মনে হবে, আপনি যেন একটি নতুন গোয়েন্দা উপন্যাস লিখছেন! অপ্রয়োজনীয় রাগ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করবেন না; যেমন আপনার কলমটি কে ধার নিয়েছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করুন। পুরোনো বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। অবশ্যই সাহায্য করুন, তবে পরে যাতে সেই টাকা চাইতে গিয়ে আপনাকে ‘ডিটেকটিভ’ হতে না হয়! হিসাবের খাতায় যেন কোনো ভুল না হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। প্রচুর ছবি তুলুন।
ধনু
আজ একটি রোমাঞ্চকর দিন হতে চলেছে! আগের চেয়ে বেশি পজিটিভ বোধ করবেন। কিন্তু এই রোমাঞ্চ সম্ভবত নতুন কোনো সিরিজের প্রথম অ্যাপিসোড দেখার উত্তেজনা। পারিবারিক পরিবেশ সুখের হবে; হয়তো বাড়ির সবাই মিলে আজ একসঙ্গে চা খাবেন। পেশাগত জীবনে আপনার কাজ প্রশংসিত হবে, বিশেষত যদি আপনি সময়মতো টিফিন খেয়ে ফেলেন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দুপুরের খাবারের পর একটি পাওয়ার ন্যাপ। আজ কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করবেন না। হালকা থাকুন।
মকর
আজ কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাবেন। কাজের প্রতি আপনার সংকল্প এতটা দৃঢ় থাকবে যে মনে হবে ছুটি নিয়েও কাজ করছেন! পেশাগত জীবনে ভালো সুযোগ আসার সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি লক্ষ্য থেকে একটুও সরে যান, তাহলে কিন্তু আপনার মা অথবা স্ত্রী আজ আপনার কঠোর সমালোচনা করতে পারেন। লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বাড়ান। অন্যথায় ডিম ভাজতে গিয়ে সবজি কেটে ফেলবেন। আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন, মানে পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবেন না।
কুম্ভ
ধূর্ত লোকদের অযৌক্তিক যুক্তিতে আজ পা দেবেন না। তার মানে, যদি কেউ এসে বলে যে ডান পা আগে ফেললে আপনার কপাল খুলবে, আপনি তা হেসে উড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, বিশেষত অতিরিক্ত ওজন তোলা এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ দয়া করে বাজার থেকে একসঙ্গে তিন দিনের সবজি কিনে আনবেন না। পরিস্থিতি সামান্য চাপের হতে পারে, যখন আপনি বুঝবেন যে ফ্রিজে পছন্দের মিষ্টিটি নেই। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার বিপদ অপেক্ষা করছে। গরিবদের সাহায্য করুন, বিশেষত যারা আপনার কাছ থেকে চায়ের টাকা ধার নিয়েছে।
মীন
আজ আপনার মন মেঘে ভাসবে। কল্পনার জগৎ আজ বাস্তবের চেয়েও বেশি সুন্দর মনে হবে। যদি আর্ট, সাহিত্য বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আজ আপনার মস্তিষ্কের জট খুলে যাবে। কিন্তু সাবধান, আপনার এই ভাবুক স্বভাবের জন্য অফিসে নামডাক হলেও আপনি শুনতে পাবেন না। স্বপ্নের জগতে ডুব দেবেন, যা আপনার সঙ্গীকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। দিনে অন্তত একবার চোখ খুলে চারপাশটা দেখে নিন। বাস্তবের মাটিতে থাকুন।

মাশরুমের জগতে বিস্ময় এ মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউবার মেলানোস্পোরাম’। আরেকটি নাম ‘কালো হিরা’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ইউরো (বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা)। দামের কারণেই এর এমন নাম হয়েছে। সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিরল এই মাশরুম ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালিত
১৬ জুলাই ২০২১
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
১ ঘণ্টা আগে
মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি
১৬ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ এখন আর ইবনে বতুতার যুগে পড়ে নেই। যতই সময় গেছে, ততই পৃথিবী হয়েছে ভ্রমণবান্ধব। এখন তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পর্যটনকে নিজেদের রাজস্ব বাড়ানোর উপায় হিসেবে দেখছে। ফলে চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কার মতো ভ্রমণবান্ধব দেশগুলো ভিসাব্যবস্থা করেছে সহজ। এতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে দেশগুলোতে। একই...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস। সব মিলিয়ে ত্বক যেন বাড়তি যত্নের আবদার করে। আর এটাই জানান দেওয়ার জন্য হয় শুষ্কতা ও চুলকানির মতন সমস্যাগুলো। যদিও লোশন ও ক্রিম দ্রুত সমাধান দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ ঘরোয়া প্রতিকার নিয়মিত ব্যবহার করলে শীতেও ত্বক থাকতে পারে কোমল, সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা
শীতকালীন ত্বকের যত্নে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যা সরাসরি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ ঠান্ডায় শরীর কোর টেম্পারেচার ধরে রাখতে রক্তনালি কিছুটা সংকুচিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ কমে যায়, ত্বক হয়ে পড়ে ডিহাইড্রেটেড।
নারকেল তেল: নারকেল তেল শীতকালীন যত্নে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এমনকি শীতকালে ঘরে ঘরে এর ব্যবহার বেড়ে যায় বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর সুবিধা পেতে, গোসলের ঠিক পরে উষ্ণ নারকেল তেল ত্বকে মালিশ করুন। উষ্ণতা আর্দ্রতা আটকে রাখে, ফলে ত্বক সারা দিন হাইড্রেটেড থাকে।
মধু: মধু শীতকালে ত্বকের জন্য চমৎকার, কারণ এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে। মধু পাতলা স্তরে মুখে বা শুষ্ক স্থানে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নরম এবং সতেজ অনুভূত হবে।
অ্যালোভেরা: শুষ্ক ও জ্বালা করা ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা উচিত। এটি শীতলতা প্রদান করে এবং প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বকের লালচে ভাব ও শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুবার, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ার পরে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

দুধের সর বা মালাই: ’মালাই’ বা দুধের তাজা সর শীতকালে শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। কসমেটোলজিস্টের মতে, মালাই-এ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা মৃত ত্বক সরাতে সাহায্য করে এবং এর ফ্যাট ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করে। এটি ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেললে ত্বক শিশুর মতো নরম হয়।
জলপাই তেল: রান্নার বাইরেও জলপাই তেল ত্বকের যত্নে দারুণ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই থাকে। স্নানের আগে সামান্য জলপাই তেল হালকা গরম করে আলতোভাবে ত্বকে মালিশ করতে পারেন। বাড়তি সুবিধার জন্য জলপাই তেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করে মৃত কোষ দূর করা যেতে পারে।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ: একটি স্প্রে বোতলে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলকানি শান্ত করতে এবং ত্বকে একটি সুন্দর আভা আনতে চমৎকার কাজ করে। রাতে মুখ, হাত ও পায়ে এটি ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকে।
অন্যান্য প্রতিকার
গোসল করার সময় বিশেষ কিছু পদ্ধতি বা উপকরণের ব্যবহার শীতে ত্বকের চুলকানি ও রুক্ষতা উপশম করতে পারে। শীতকালে ওটমিল দিয়ে গোসল করলে চুলকানিযুক্ত ত্বক শান্ত করতে সাহায্য করে। মিহিভাবে গুঁড়ো করা ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকানস জ্বালা কমায় এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। হালকা গরম পানিতে ১ কাপ ওটস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ত্বকে আরাম অনুভূত হয় এবং ত্বক মসৃণ থাকে। মধু, টকদই, পেঁপে বা কলার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। ৫-৭ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল করবেন না। গোসলের সময় এসএলএস বা এসএলইএস যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ক্রিম-বেসড বা লিপিড-রিপ্লেনিশিং বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
সূত্র: হেলথ শর্টস

শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস। সব মিলিয়ে ত্বক যেন বাড়তি যত্নের আবদার করে। আর এটাই জানান দেওয়ার জন্য হয় শুষ্কতা ও চুলকানির মতন সমস্যাগুলো। যদিও লোশন ও ক্রিম দ্রুত সমাধান দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ ঘরোয়া প্রতিকার নিয়মিত ব্যবহার করলে শীতেও ত্বক থাকতে পারে কোমল, সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা
শীতকালীন ত্বকের যত্নে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যা সরাসরি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ ঠান্ডায় শরীর কোর টেম্পারেচার ধরে রাখতে রক্তনালি কিছুটা সংকুচিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ কমে যায়, ত্বক হয়ে পড়ে ডিহাইড্রেটেড।
নারকেল তেল: নারকেল তেল শীতকালীন যত্নে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এমনকি শীতকালে ঘরে ঘরে এর ব্যবহার বেড়ে যায় বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর সুবিধা পেতে, গোসলের ঠিক পরে উষ্ণ নারকেল তেল ত্বকে মালিশ করুন। উষ্ণতা আর্দ্রতা আটকে রাখে, ফলে ত্বক সারা দিন হাইড্রেটেড থাকে।
মধু: মধু শীতকালে ত্বকের জন্য চমৎকার, কারণ এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে। মধু পাতলা স্তরে মুখে বা শুষ্ক স্থানে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নরম এবং সতেজ অনুভূত হবে।
অ্যালোভেরা: শুষ্ক ও জ্বালা করা ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা উচিত। এটি শীতলতা প্রদান করে এবং প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বকের লালচে ভাব ও শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুবার, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ার পরে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

দুধের সর বা মালাই: ’মালাই’ বা দুধের তাজা সর শীতকালে শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। কসমেটোলজিস্টের মতে, মালাই-এ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা মৃত ত্বক সরাতে সাহায্য করে এবং এর ফ্যাট ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করে। এটি ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেললে ত্বক শিশুর মতো নরম হয়।
জলপাই তেল: রান্নার বাইরেও জলপাই তেল ত্বকের যত্নে দারুণ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই থাকে। স্নানের আগে সামান্য জলপাই তেল হালকা গরম করে আলতোভাবে ত্বকে মালিশ করতে পারেন। বাড়তি সুবিধার জন্য জলপাই তেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করে মৃত কোষ দূর করা যেতে পারে।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ: একটি স্প্রে বোতলে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলকানি শান্ত করতে এবং ত্বকে একটি সুন্দর আভা আনতে চমৎকার কাজ করে। রাতে মুখ, হাত ও পায়ে এটি ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকে।
অন্যান্য প্রতিকার
গোসল করার সময় বিশেষ কিছু পদ্ধতি বা উপকরণের ব্যবহার শীতে ত্বকের চুলকানি ও রুক্ষতা উপশম করতে পারে। শীতকালে ওটমিল দিয়ে গোসল করলে চুলকানিযুক্ত ত্বক শান্ত করতে সাহায্য করে। মিহিভাবে গুঁড়ো করা ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকানস জ্বালা কমায় এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। হালকা গরম পানিতে ১ কাপ ওটস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ত্বকে আরাম অনুভূত হয় এবং ত্বক মসৃণ থাকে। মধু, টকদই, পেঁপে বা কলার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। ৫-৭ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল করবেন না। গোসলের সময় এসএলএস বা এসএলইএস যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ক্রিম-বেসড বা লিপিড-রিপ্লেনিশিং বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
সূত্র: হেলথ শর্টস

মাশরুমের জগতে বিস্ময় এ মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউবার মেলানোস্পোরাম’। আরেকটি নাম ‘কালো হিরা’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ইউরো (বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা)। দামের কারণেই এর এমন নাম হয়েছে। সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিরল এই মাশরুম ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালিত
১৬ জুলাই ২০২১
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
৩৬ মিনিট আগে
মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি
১৬ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ এখন আর ইবনে বতুতার যুগে পড়ে নেই। যতই সময় গেছে, ততই পৃথিবী হয়েছে ভ্রমণবান্ধব। এখন তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পর্যটনকে নিজেদের রাজস্ব বাড়ানোর উপায় হিসেবে দেখছে। ফলে চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কার মতো ভ্রমণবান্ধব দেশগুলো ভিসাব্যবস্থা করেছে সহজ। এতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে দেশগুলোতে। একই...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সুস্থতার একটি অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফল উৎপাদন বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি। মূলত উষ্ণ, সূর্যস্নাত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে চাষ করা ফলগুলো অনেক দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নগদ অর্থ উপার্জনকারী ফসল। যেগুলো কৃষকদের জীবনধারণ এবং রপ্তানি রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখে। বৈশ্বিক খাদ্যশিল্প বিশাল ও বৈচিত্র্যময় এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নির্দিষ্ট কিছু ফল এখন প্রচুর উৎপাদন করা হচ্ছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফলগুলোর নাম।
১. কলা
তালিকার এক নম্বরে আছে কলা। হ্যাঁ, বিশ্বব্যাপী যে ফল উৎপাদন হয়, তার প্রথমে রয়েছে এর নাম। এই ফল বছরে ১৪৮ মিলিয়ন টন উৎপাদন করা হয় সারা বিশ্বে। কলা যে অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, তাতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। এতে আছে ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স; সেই সঙ্গে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। কলার শীর্ষ উৎপাদক ভারত। দেশটিতে ৩৩ মিলিয়ন টনের বেশি কলা উৎপাদন হয় প্রতিবছর। এরপর রয়েছে যথাক্রমে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিল।
২. তরমুজ
বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদিত ফল তরমুজ। অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশে পরিমাণে কম উৎপাদন হলেও পুরো বিশ্বে এর উৎপাদন প্রায় ১১০ মিলিয়ন টন! উচ্চ জলীয় উপাদানের জন্য পরিচিত তরমুজে আছে ভিটামিন এ ও সি, লাইকোপিন এবং সিট্রুলিন। এ ফল উৎপাদনের শীর্ষে আছে চীন। দেশটি বৈশ্বিক উৎপাদনের ৬০ শতাংশ সরবরাহ করে। এরপর রয়েছে তুরস্ক, ভারত ও ব্রাজিল।
৩. আপেল
ফলটির র্যাঙ্কিং নিয়ে আপেলপ্রেমীরা আশাহত হতেই পারেন। খুব বেশি কষ্ট নেবেন না মনে। আপনার প্রিয় এই ফল সারা পৃথিবীতে উৎপাদিত হয় প্রায় ১০৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। এর প্রায় ৫৩ শতাংশ উৎপন্ন হয় আবার চীনে। তালিকায় এর পরের দেশগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও ভারত। এই সুস্বাদু ফলটিতে আছে প্রাকৃতিক চিনি ও ভিটামিন সি। এ ছাড়া এটি প্রদাহরোধী ও বার্ধক্যবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা।
৪. কমলা
এই শীতকালে বাজারে এর উপস্থিতি দেখে মনেই হয় না যে এটি উৎপাদনের সেরা তালিকায় আছে চার নম্বরে। তাই না? কিন্তু সেরাদের তালিকাতেই তো আছে, তাই চিন্তা করবেন না। না বললেও চলে যে কমলা অনেক উপকারী ফল। এতে আছে ভিটামিন সি, বি৯ (ফোলেট), পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৮৪ মিলিয়ন টনের বেশি কমলা উৎপাদিত হয়। এ ফল উৎপাদনে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। এরপর আছে ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৫. নারকেল
অনেকের কাছেই খুব অদ্ভুত মনে হতে পারে যে উৎপাদিত ফলের শীর্ষ তালিকায় নাম আছে নারকেলের! তাও আবার সেরা পাঁচে! বলে রাখা ভালো যে সমুদ্র তীরবর্তী প্রায় সব দেশের অন্যতম প্রধান ফল এটি। এটি আবার বিশ্বের অন্যতম পুষ্টিকর ফলও বটে। এতে সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট, সেই সঙ্গে ভিটামিন, মিনারেল এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। বিশ্বে প্রায় ৬৯ মিলিয়ন টন নারকেল উৎপাদিত হয় প্রতিবছর। এ ফল উৎপাদনে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর আছে ফিলিপাইন, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
৬. আম
হ্যাঁ, অনেক সংস্কৃতিতে ‘ফলের রাজা’ হিসেবে পরিচিত আম আমাদের কাছেও ফলের রাজা হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু উৎপাদনের পরিমাণের হিসাবে এই ফল পুরো বিশ্বের তালিকায় আছে ছয় নম্বরে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয়। আমের শীর্ষ উৎপাদক ভারত। মোট আম উৎপাদনের ৪০ শতাংশের বেশি ভারতে উৎপাদিত হয়। উৎপাদক দেশ হিসেবে এরপর আছে ইন্দোনেশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ডের নাম। আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কোনো কোনো দেশে এর ফলন হয়। আমে আছে ভিটামিন এ, বি৯, সি, বিটা-ক্যারোটিন, আঁশ এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফল
সেরা তালিকায় জায়গা না হলেও পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফল আছে। সেগুলোর মধ্যে আনারসের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৩২ মিলিয়ন টন। ফলটির শীর্ষ উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও কোস্টারিকা।
পিচ ও নেকটারিনের বার্ষিক উৎপাদন ২৯ মিলিয়ন টনের বেশি। মোট উৎপাদনের ৬৫ শতাংশই হয় চীনে। এ ছাড়া স্পেন ও তুরস্কে এসব ফল উৎপন্ন হয়।
পৃথিবীতে নাশপাতির বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২৯ মিলিয়ন টন। চীন, আর্জেন্টিনা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ফলের শীর্ষ উৎপাদক দেশ।
লেবু ও লাইমের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। মেক্সিকো, ভারত, চীন এর শীর্ষ উৎপাদক।
পেঁপের বার্ষিক উৎপাদন ১৫ মিলিয়ন টনের বেশি। বৈশ্বিক উৎপাদনের ৪০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ভারতে। এর পরে আছে ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ও মেক্সিকো।
আলুবোখারা ও স্লোর বার্ষিক উৎপাদন ১৩ মিলিয়ন টনের বেশি। এর শীর্ষ উৎপাদক দেশ চীন, রোমানিয়া ও সার্বিয়া।
জাম্বুরা ও গ্রেপফ্রুটের বার্ষিক উৎপাদন ১০ মিলিয়ন টনের বেশি। এ ফলের বৈশ্বিক উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ উৎপন্ন হয় চীনে। এর পরেই আছে মেক্সিকো।
খেজুরের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ১০ মিলিয়ন টন। মিসর, সৌদি আরব ও ইরান এ ফলের শীর্ষ উৎপাদক।
অ্যাভোকাডোর বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন। মেক্সিকো, কলম্বিয়া ও পেরু রয়েছে এর শীর্ষ উৎপাদক দেশের তালিকায়।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ইইউএফআইসি

মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সুস্থতার একটি অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফল উৎপাদন বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি। মূলত উষ্ণ, সূর্যস্নাত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে চাষ করা ফলগুলো অনেক দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নগদ অর্থ উপার্জনকারী ফসল। যেগুলো কৃষকদের জীবনধারণ এবং রপ্তানি রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখে। বৈশ্বিক খাদ্যশিল্প বিশাল ও বৈচিত্র্যময় এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নির্দিষ্ট কিছু ফল এখন প্রচুর উৎপাদন করা হচ্ছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফলগুলোর নাম।
১. কলা
তালিকার এক নম্বরে আছে কলা। হ্যাঁ, বিশ্বব্যাপী যে ফল উৎপাদন হয়, তার প্রথমে রয়েছে এর নাম। এই ফল বছরে ১৪৮ মিলিয়ন টন উৎপাদন করা হয় সারা বিশ্বে। কলা যে অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, তাতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। এতে আছে ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স; সেই সঙ্গে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। কলার শীর্ষ উৎপাদক ভারত। দেশটিতে ৩৩ মিলিয়ন টনের বেশি কলা উৎপাদন হয় প্রতিবছর। এরপর রয়েছে যথাক্রমে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিল।
২. তরমুজ
বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদিত ফল তরমুজ। অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশে পরিমাণে কম উৎপাদন হলেও পুরো বিশ্বে এর উৎপাদন প্রায় ১১০ মিলিয়ন টন! উচ্চ জলীয় উপাদানের জন্য পরিচিত তরমুজে আছে ভিটামিন এ ও সি, লাইকোপিন এবং সিট্রুলিন। এ ফল উৎপাদনের শীর্ষে আছে চীন। দেশটি বৈশ্বিক উৎপাদনের ৬০ শতাংশ সরবরাহ করে। এরপর রয়েছে তুরস্ক, ভারত ও ব্রাজিল।
৩. আপেল
ফলটির র্যাঙ্কিং নিয়ে আপেলপ্রেমীরা আশাহত হতেই পারেন। খুব বেশি কষ্ট নেবেন না মনে। আপনার প্রিয় এই ফল সারা পৃথিবীতে উৎপাদিত হয় প্রায় ১০৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। এর প্রায় ৫৩ শতাংশ উৎপন্ন হয় আবার চীনে। তালিকায় এর পরের দেশগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও ভারত। এই সুস্বাদু ফলটিতে আছে প্রাকৃতিক চিনি ও ভিটামিন সি। এ ছাড়া এটি প্রদাহরোধী ও বার্ধক্যবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা।
৪. কমলা
এই শীতকালে বাজারে এর উপস্থিতি দেখে মনেই হয় না যে এটি উৎপাদনের সেরা তালিকায় আছে চার নম্বরে। তাই না? কিন্তু সেরাদের তালিকাতেই তো আছে, তাই চিন্তা করবেন না। না বললেও চলে যে কমলা অনেক উপকারী ফল। এতে আছে ভিটামিন সি, বি৯ (ফোলেট), পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৮৪ মিলিয়ন টনের বেশি কমলা উৎপাদিত হয়। এ ফল উৎপাদনে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। এরপর আছে ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৫. নারকেল
অনেকের কাছেই খুব অদ্ভুত মনে হতে পারে যে উৎপাদিত ফলের শীর্ষ তালিকায় নাম আছে নারকেলের! তাও আবার সেরা পাঁচে! বলে রাখা ভালো যে সমুদ্র তীরবর্তী প্রায় সব দেশের অন্যতম প্রধান ফল এটি। এটি আবার বিশ্বের অন্যতম পুষ্টিকর ফলও বটে। এতে সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট, সেই সঙ্গে ভিটামিন, মিনারেল এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। বিশ্বে প্রায় ৬৯ মিলিয়ন টন নারকেল উৎপাদিত হয় প্রতিবছর। এ ফল উৎপাদনে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর আছে ফিলিপাইন, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
৬. আম
হ্যাঁ, অনেক সংস্কৃতিতে ‘ফলের রাজা’ হিসেবে পরিচিত আম আমাদের কাছেও ফলের রাজা হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু উৎপাদনের পরিমাণের হিসাবে এই ফল পুরো বিশ্বের তালিকায় আছে ছয় নম্বরে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয়। আমের শীর্ষ উৎপাদক ভারত। মোট আম উৎপাদনের ৪০ শতাংশের বেশি ভারতে উৎপাদিত হয়। উৎপাদক দেশ হিসেবে এরপর আছে ইন্দোনেশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ডের নাম। আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কোনো কোনো দেশে এর ফলন হয়। আমে আছে ভিটামিন এ, বি৯, সি, বিটা-ক্যারোটিন, আঁশ এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফল
সেরা তালিকায় জায়গা না হলেও পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফল আছে। সেগুলোর মধ্যে আনারসের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৩২ মিলিয়ন টন। ফলটির শীর্ষ উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও কোস্টারিকা।
পিচ ও নেকটারিনের বার্ষিক উৎপাদন ২৯ মিলিয়ন টনের বেশি। মোট উৎপাদনের ৬৫ শতাংশই হয় চীনে। এ ছাড়া স্পেন ও তুরস্কে এসব ফল উৎপন্ন হয়।
পৃথিবীতে নাশপাতির বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২৯ মিলিয়ন টন। চীন, আর্জেন্টিনা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ফলের শীর্ষ উৎপাদক দেশ।
লেবু ও লাইমের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। মেক্সিকো, ভারত, চীন এর শীর্ষ উৎপাদক।
পেঁপের বার্ষিক উৎপাদন ১৫ মিলিয়ন টনের বেশি। বৈশ্বিক উৎপাদনের ৪০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ভারতে। এর পরে আছে ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ও মেক্সিকো।
আলুবোখারা ও স্লোর বার্ষিক উৎপাদন ১৩ মিলিয়ন টনের বেশি। এর শীর্ষ উৎপাদক দেশ চীন, রোমানিয়া ও সার্বিয়া।
জাম্বুরা ও গ্রেপফ্রুটের বার্ষিক উৎপাদন ১০ মিলিয়ন টনের বেশি। এ ফলের বৈশ্বিক উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ উৎপন্ন হয় চীনে। এর পরেই আছে মেক্সিকো।
খেজুরের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ১০ মিলিয়ন টন। মিসর, সৌদি আরব ও ইরান এ ফলের শীর্ষ উৎপাদক।
অ্যাভোকাডোর বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন। মেক্সিকো, কলম্বিয়া ও পেরু রয়েছে এর শীর্ষ উৎপাদক দেশের তালিকায়।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ইইউএফআইসি

মাশরুমের জগতে বিস্ময় এ মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউবার মেলানোস্পোরাম’। আরেকটি নাম ‘কালো হিরা’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ইউরো (বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা)। দামের কারণেই এর এমন নাম হয়েছে। সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিরল এই মাশরুম ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালিত
১৬ জুলাই ২০২১
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
৩৬ মিনিট আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
১ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ এখন আর ইবনে বতুতার যুগে পড়ে নেই। যতই সময় গেছে, ততই পৃথিবী হয়েছে ভ্রমণবান্ধব। এখন তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পর্যটনকে নিজেদের রাজস্ব বাড়ানোর উপায় হিসেবে দেখছে। ফলে চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কার মতো ভ্রমণবান্ধব দেশগুলো ভিসাব্যবস্থা করেছে সহজ। এতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে দেশগুলোতে। একই...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ভ্রমণ এখন আর ইবনে বতুতার যুগে পড়ে নেই। যতই সময় গেছে, ততই পৃথিবী হয়েছে ভ্রমণবান্ধব। এখন তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পর্যটনকে নিজেদের রাজস্ব বাড়ানোর উপায় হিসেবে দেখছে। ফলে চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কার মতো ভ্রমণবান্ধব দেশগুলো ভিসাব্যবস্থা করেছে সহজ। এতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে দেশগুলোতে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশগুলোর রাজস্ব; কিন্তু এতে সমস্যাও বেড়েছে কিছু।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে দেখা দিয়েছে ওভার ট্যুরিজম বা অতিরিক্ত পর্যটন। এতে শহরগুলোতে ঘুরছেন ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক পর্যটক। ফলে চাপ বাড়ছে শহরের অবকাঠামো, পরিবেশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার ওপর। কয়েক বছর ধরে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছেন। ফলে সরকার বাধ্য হয়েছে ব্যবস্থা নিতে। কোনো কোনো শহরে ভ্রমণ কর বাড়ানো হয়েছে। কোথাও স্থায়ীভাবে হোটেল তৈরির ওপর দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কোনো কোনো ভ্রমণ গন্তব্যে প্রবেশ ফি বাড়ানো হয়েছে। কোথাও কোথাও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলো। এ সবকিছুই করা হয়েছে অতিরিক্ত পর্যটক ঠেকানোর জন্য।
প্রাচুর্য ও ঐতিহ্যের শহরে জনজোয়ারের ঢেউ ইউরোপজুড়ে।
ইউরোপ মহাদেশে ওভার ট্যুরিজমের সমস্যা প্রকট। সে অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ছোট শহর এবং বেশ কিছু দেশের রাজধানী পর্যটকের চাপে হিমশিম খাচ্ছে। ইতালির শহর ভেনিস ওভার ট্যুরিজমের’ পোস্টার চাইল্ড’ হিসেবে পরিচিত। এই ছোট দ্বীপ শহরে অতিরিক্ত ভিড় পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, কর্তৃপক্ষ এখন সব পর্যটকের জন্য পর্যটন কর আরোপ করেছে। বিশাল আকারের প্রমোদতরি বা ক্রুজ শিপগুলোর ডকিং নিষিদ্ধ করার জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে। স্পেনের বার্সেলোনাও অতিরিক্ত পর্যটনের কারণে মারাত্মকভাবে ভুগছে। শহরটি আকারে খুব বেশি বড় না হওয়ায় পর্যটকের বিপুল প্রবাহ সামলাতে পারছে না। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।

ভেনিস ও বার্সেলোনার মতো নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম অতিরিক্ত পর্যটনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। শহরটির সহনশীলতার সুনাম প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত পর্যটনকে আকর্ষণ করে সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছে। গ্রিসের রোমে পর্যটকদের খারাপ আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেমন ফোয়ারার ওপর ওঠা বা বসে থাকা, নির্দিষ্ট সময়ের পর মদপান ইত্যাদি। অন্যদিকে, এথেন্সে এয়ারবিএনবি ভাড়ার কারণে ভাড়া বাজারে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, যা স্থানীয়দের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এদিকে ক্রোয়েশিয়ার ডুব্রোভনিক ভুগছে খ্যাতির বিড়ম্বনায়। জনপ্রিয় টিভি শো ‘গেম অব থ্রোনস’-এর কারণে এই শহরে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ৪৩ হাজারেরও কম জনসংখ্যার একটি ছোট শহরের জন্য এটি এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।
লন্ডন বড় শহর হলেও প্রধান সড়ক, গণপরিবহন ও কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে তীব্র যানজট ও ভিড় সৃষ্টি হচ্ছে। প্যারিসে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে লুভর জাদুঘরের কর্মীরা ধর্মঘট করেছিলেন এবং শহর কর্তৃপক্ষ পর্যটন বাসকে সিটি সেন্টার থেকে নিষিদ্ধ করেছে। বার্লিনে লং উইকেন্ড পর্যটকদের কারণে শব্দদূষণ এবং এয়ারবিএনবি ভাড়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। লিসবন তুলনামূলকভাবে ছোট শহর, যেখানে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে ভাড়া বৃদ্ধি এবং জেন্ট্রিফিকেশন বা আভিজাত্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লোরেন্সে অনেক বাড়িওয়ালা পর্যটকদের কাছে বাড়িভাড়া দিয়ে বেশি টাকা উপার্জনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করেছে। এ ছাড়া ব্রুজেস, প্রাগ, ভিয়েনা, ডাবলিন, কোপেনহেগেন, অক্সফোর্ড এবং মাদ্রিদের মতো শহরগুলোতেও ক্রুজ শিপ ডকিং সীমিত করা হয়েছে। শহরগুলো পর্যটকদের খারাপ আচরণ নিয়ন্ত্রণ বা পর্যটন কর আরোপের মতো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
এশিয়ার সংস্কৃতি ও প্রকৃতি চাপের মুখে
এশিয়ার দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া শহরগুলোতে ওভার ট্যুরিজমের প্রভাব বাড়ছে, যা পরিবেশ ও সামাজিক কাঠামোকে আঘাত করছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় থাইল্যান্ডের কথা। পর্যটক আকর্ষণকারী শহরের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে ব্যাংকক। এর খাও সান রোডের মতো বিখ্যাত জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানে পর্যটকের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। কিছু পর্যটকের আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। টোকিওর অবস্থা এদিক থেকে বেশি বিপজ্জনক। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের অনেক বাসিন্দা তাদের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পর্যটকের ভিড় এবং আচরণ নিয়ে অসন্তুষ্ট। ফলে কিছু স্থানীয় মানুষ স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন বা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে ট্রেন স্ট্রিট নামে পরিচিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা অতিরিক্ত ভিড়ের সমস্যার কারণে পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উত্তর আমেরিকার বড় শহরগুলোতে ভবিষ্যতের উদ্বেগ
উত্তর আমেরিকার বড় শহরগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি ভবিষ্যতে বড় সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরটি ছোট ইউরোপীয় শহরগুলোর তুলনায় বেশি পর্যটক ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। তবে প্রতিবছর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকা পর্যটকের সংখ্যা ভবিষ্যতে বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নিউ অরলিন্স শহরে সৃষ্টি হয়েছে প্রচণ্ড ভিড়। সে সঙ্গে পর্যটকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ স্থানীয় বাসিন্দাদের অসন্তোষের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। হাওয়াই দ্বীপে অতিরিক্ত পর্যটকের আগমন স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যটন ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ওপর আঘাত
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নিকটবর্তী দ্বীপ এবং শহরগুলোতে প্রকৃতির ওপর পর্যটনের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আইসল্যান্ডকে বলা হয় প্রাকৃতিকভাবে অক্ষত দেশ। সেখানেও অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড় পরিবেশতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউনের সমুদ্রসৈকতগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় দেখা যাচ্ছে। পর্যটন বাড়ার কারণে সম্পত্তির দামও লক্ষণীয়ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন একটি সুন্দর এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা শহর। আর সে জন্যই এটি বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে। কিন্তু পর্যটকদের সম্পত্তি কেনা বা ভাড়া নেওয়ার কারণে অনেক স্থানীয় মানুষ আবাসন বাজার থেকে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবছর জনসংখ্যার প্রায় ৫ গুণ বেশি পর্যটক ভ্রমণ করে মাল্টার রাজধানী ভ্যালেটায়!
নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা
পর্যটন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনে। তবে এর নিয়ন্ত্রণহীন বৃদ্ধি পরিবেশ, অবকাঠামো এবং স্থানীয় জীবনযাত্রাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ইউরোপ হোক বা এশিয়া, সবখানেই এখন সেটা দেখা যাচ্ছে। অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়ে এখন পর্যুদস্ত অনেক শহর আর তার স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্তৃপক্ষ যদিও অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু কত দূর কী হচ্ছে, তা সময়ই বলে দেবে।
সূত্র: সিএনএন, দ্য লোকাল, দ্য ইনডিপেনডেন্ট

ভ্রমণ এখন আর ইবনে বতুতার যুগে পড়ে নেই। যতই সময় গেছে, ততই পৃথিবী হয়েছে ভ্রমণবান্ধব। এখন তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পর্যটনকে নিজেদের রাজস্ব বাড়ানোর উপায় হিসেবে দেখছে। ফলে চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কার মতো ভ্রমণবান্ধব দেশগুলো ভিসাব্যবস্থা করেছে সহজ। এতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে দেশগুলোতে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশগুলোর রাজস্ব; কিন্তু এতে সমস্যাও বেড়েছে কিছু।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে দেখা দিয়েছে ওভার ট্যুরিজম বা অতিরিক্ত পর্যটন। এতে শহরগুলোতে ঘুরছেন ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক পর্যটক। ফলে চাপ বাড়ছে শহরের অবকাঠামো, পরিবেশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার ওপর। কয়েক বছর ধরে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছেন। ফলে সরকার বাধ্য হয়েছে ব্যবস্থা নিতে। কোনো কোনো শহরে ভ্রমণ কর বাড়ানো হয়েছে। কোথাও স্থায়ীভাবে হোটেল তৈরির ওপর দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কোনো কোনো ভ্রমণ গন্তব্যে প্রবেশ ফি বাড়ানো হয়েছে। কোথাও কোথাও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলো। এ সবকিছুই করা হয়েছে অতিরিক্ত পর্যটক ঠেকানোর জন্য।
প্রাচুর্য ও ঐতিহ্যের শহরে জনজোয়ারের ঢেউ ইউরোপজুড়ে।
ইউরোপ মহাদেশে ওভার ট্যুরিজমের সমস্যা প্রকট। সে অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ছোট শহর এবং বেশ কিছু দেশের রাজধানী পর্যটকের চাপে হিমশিম খাচ্ছে। ইতালির শহর ভেনিস ওভার ট্যুরিজমের’ পোস্টার চাইল্ড’ হিসেবে পরিচিত। এই ছোট দ্বীপ শহরে অতিরিক্ত ভিড় পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, কর্তৃপক্ষ এখন সব পর্যটকের জন্য পর্যটন কর আরোপ করেছে। বিশাল আকারের প্রমোদতরি বা ক্রুজ শিপগুলোর ডকিং নিষিদ্ধ করার জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে। স্পেনের বার্সেলোনাও অতিরিক্ত পর্যটনের কারণে মারাত্মকভাবে ভুগছে। শহরটি আকারে খুব বেশি বড় না হওয়ায় পর্যটকের বিপুল প্রবাহ সামলাতে পারছে না। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।

ভেনিস ও বার্সেলোনার মতো নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম অতিরিক্ত পর্যটনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। শহরটির সহনশীলতার সুনাম প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত পর্যটনকে আকর্ষণ করে সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছে। গ্রিসের রোমে পর্যটকদের খারাপ আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেমন ফোয়ারার ওপর ওঠা বা বসে থাকা, নির্দিষ্ট সময়ের পর মদপান ইত্যাদি। অন্যদিকে, এথেন্সে এয়ারবিএনবি ভাড়ার কারণে ভাড়া বাজারে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, যা স্থানীয়দের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এদিকে ক্রোয়েশিয়ার ডুব্রোভনিক ভুগছে খ্যাতির বিড়ম্বনায়। জনপ্রিয় টিভি শো ‘গেম অব থ্রোনস’-এর কারণে এই শহরে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ৪৩ হাজারেরও কম জনসংখ্যার একটি ছোট শহরের জন্য এটি এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।
লন্ডন বড় শহর হলেও প্রধান সড়ক, গণপরিবহন ও কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে তীব্র যানজট ও ভিড় সৃষ্টি হচ্ছে। প্যারিসে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে লুভর জাদুঘরের কর্মীরা ধর্মঘট করেছিলেন এবং শহর কর্তৃপক্ষ পর্যটন বাসকে সিটি সেন্টার থেকে নিষিদ্ধ করেছে। বার্লিনে লং উইকেন্ড পর্যটকদের কারণে শব্দদূষণ এবং এয়ারবিএনবি ভাড়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। লিসবন তুলনামূলকভাবে ছোট শহর, যেখানে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে ভাড়া বৃদ্ধি এবং জেন্ট্রিফিকেশন বা আভিজাত্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লোরেন্সে অনেক বাড়িওয়ালা পর্যটকদের কাছে বাড়িভাড়া দিয়ে বেশি টাকা উপার্জনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করেছে। এ ছাড়া ব্রুজেস, প্রাগ, ভিয়েনা, ডাবলিন, কোপেনহেগেন, অক্সফোর্ড এবং মাদ্রিদের মতো শহরগুলোতেও ক্রুজ শিপ ডকিং সীমিত করা হয়েছে। শহরগুলো পর্যটকদের খারাপ আচরণ নিয়ন্ত্রণ বা পর্যটন কর আরোপের মতো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
এশিয়ার সংস্কৃতি ও প্রকৃতি চাপের মুখে
এশিয়ার দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া শহরগুলোতে ওভার ট্যুরিজমের প্রভাব বাড়ছে, যা পরিবেশ ও সামাজিক কাঠামোকে আঘাত করছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় থাইল্যান্ডের কথা। পর্যটক আকর্ষণকারী শহরের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে ব্যাংকক। এর খাও সান রোডের মতো বিখ্যাত জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানে পর্যটকের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। কিছু পর্যটকের আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। টোকিওর অবস্থা এদিক থেকে বেশি বিপজ্জনক। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের অনেক বাসিন্দা তাদের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পর্যটকের ভিড় এবং আচরণ নিয়ে অসন্তুষ্ট। ফলে কিছু স্থানীয় মানুষ স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন বা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে ট্রেন স্ট্রিট নামে পরিচিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা অতিরিক্ত ভিড়ের সমস্যার কারণে পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উত্তর আমেরিকার বড় শহরগুলোতে ভবিষ্যতের উদ্বেগ
উত্তর আমেরিকার বড় শহরগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি ভবিষ্যতে বড় সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরটি ছোট ইউরোপীয় শহরগুলোর তুলনায় বেশি পর্যটক ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। তবে প্রতিবছর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকা পর্যটকের সংখ্যা ভবিষ্যতে বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নিউ অরলিন্স শহরে সৃষ্টি হয়েছে প্রচণ্ড ভিড়। সে সঙ্গে পর্যটকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ স্থানীয় বাসিন্দাদের অসন্তোষের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। হাওয়াই দ্বীপে অতিরিক্ত পর্যটকের আগমন স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যটন ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ওপর আঘাত
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নিকটবর্তী দ্বীপ এবং শহরগুলোতে প্রকৃতির ওপর পর্যটনের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আইসল্যান্ডকে বলা হয় প্রাকৃতিকভাবে অক্ষত দেশ। সেখানেও অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড় পরিবেশতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউনের সমুদ্রসৈকতগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় দেখা যাচ্ছে। পর্যটন বাড়ার কারণে সম্পত্তির দামও লক্ষণীয়ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন একটি সুন্দর এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা শহর। আর সে জন্যই এটি বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে। কিন্তু পর্যটকদের সম্পত্তি কেনা বা ভাড়া নেওয়ার কারণে অনেক স্থানীয় মানুষ আবাসন বাজার থেকে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবছর জনসংখ্যার প্রায় ৫ গুণ বেশি পর্যটক ভ্রমণ করে মাল্টার রাজধানী ভ্যালেটায়!
নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা
পর্যটন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনে। তবে এর নিয়ন্ত্রণহীন বৃদ্ধি পরিবেশ, অবকাঠামো এবং স্থানীয় জীবনযাত্রাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ইউরোপ হোক বা এশিয়া, সবখানেই এখন সেটা দেখা যাচ্ছে। অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়ে এখন পর্যুদস্ত অনেক শহর আর তার স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্তৃপক্ষ যদিও অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু কত দূর কী হচ্ছে, তা সময়ই বলে দেবে।
সূত্র: সিএনএন, দ্য লোকাল, দ্য ইনডিপেনডেন্ট

মাশরুমের জগতে বিস্ময় এ মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউবার মেলানোস্পোরাম’। আরেকটি নাম ‘কালো হিরা’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ইউরো (বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা)। দামের কারণেই এর এমন নাম হয়েছে। সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিরল এই মাশরুম ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালিত
১৬ জুলাই ২০২১
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
৩৬ মিনিট আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
১ ঘণ্টা আগে
মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি
১৬ ঘণ্টা আগে