রিক্তা রিচি, ঢাকা
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই
এমন রঙিন পাখা…
এ গানটি শুনতে শুনতে আমাদের শৈশব কেটেছে। কৈশোরের দিনগুলোতেও ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখতাম, ইশ্, যদি প্রজাপ্রতির মতো পাখা থাকত! যদি পরির পিছে পিছে প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াতে পারতাম! ধীরে ধীরে বড় হলাম। একসময় দেখা মিলল কাফতানের। কাফতান আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। ১৯৭০- এর দশকে আমাদের দেশে কাফতানের প্রচলন লক্ষ করা যায়। তবে সে সময় অতটা জনপ্রিয় ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ পোশাকটি গ্রহণ করতে শুরু করেন ফ্যাশনসচেতন নারীরা। আমাদের দেশে অনেক পরে কাফতানের প্রচলন লক্ষ করা গেলেও, মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পোশাকের শুরুটা অনেক আগে থেকে।
কাফতান-জাতীয় পোশাকের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় এ ধরনের পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়। সে সময় পুরুষদের গায়েও কাফতান শোভা পেত। অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানরা এমন পোশাক পরতেন। সময় গড়িয়েছে। পোশাকে এসেছে পরিবর্তন। কাট, নকশা, ডিজাইনে এসেছে ভিন্নতা। এখন কাফতান নারীদের পোশাক। নাটক, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও সব জায়গায় মডেলের গায়ে কাফতান পরার বিষয়টি লক্ষ করা যায়।
কাফতান আরামদায়ক পোশাক, বিশেষ করে গরমের দিনগুলোতে ঘরে ও বাইরে পরা যায় এটি। একে তো ঢিলেঢালা, অন্যদিকে ফ্যাশনেবলও। ক্লাস, অফিস, বন্ধুদের আড্ডা—সব পরিবেশেই মানিয়ে যায় কাফতান। রাতে ঘুমানো যায় এ পোশাক পরেই।
কাফতানের বিশেষত্ব হলো, এতে আরামদায়ক হাতা থাকে এবং কোমরের দিকে বাঁধার জন্য বেল্ট কিংবা রাবার দিয়ে আটকানো থাকে। কোমরের দিকে রাবার কিংবা বেল্ট থাকে বলেই এটি দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। নিচের দিকে সমান, অসমান অংশ এটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। কিছু কিছু কাফতানের নিচের অংশে থাকে কোনা আকৃতি।
কাফতানের কাটে আছে ভিন্নতা। শোল্ডার কাফতান, কেপ কাফতান, ড্রেপ কাফতান, ড্রেপ কওল কাফতান, সার্কেল কাফতান, ব্যাট উইং, বাটারফ্লাই ইত্যাদি কাট দেওয়া হয়ে থাকে কাফতানে।
নকশা ও ডিজাইন
প্রিন্টের কাফতান, এক রঙের কাপড়ে রঙিন আঁকিবুঁকি করা কাফতান, বাটিক ইত্যাদি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন ফুলের ডিজাইন, লতা-পাতা, জ্যামিতিক ডিজাইন স্থান পেয়েছে কাফতানে।
সারার প্রধান ডিজাইনার শামীম রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে ডিপ নেক কাফতান, ভি গলার স্কয়ার কাফতান, বিচ কাফতান ইত্যাদি আছে। কাপড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে জর্জেট কাপড়। রঙের ক্ষেত্রে আমরা প্রাধান্য দিয়েছি সবুজ, আকাশি ইত্যাদি রংকে।’ প্রিন্টের কাফতানগুলোই বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে বলেও জানান তিনি।
কইন্যার স্বত্বাধিকারী বাধন মাহমুদ বলেন, গরমে পরার জন্য আমরা সুতি কাফতান নিয়ে এসেছি। ডাই করা কাপড় যেমন টাই ডাই, মোম বাটিক করা কাফতান আছে। স্ক্রিনপ্রিন্ট যেমন লালনের মুখাবয়ব, জাত গেল জাত গেল ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করেছি। আমাদের কাফতানগুলোর দাম ৭০০-১০০০ টাকার মধ্যে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে পোশাক তৈরি করি।
ট্রু ট্রিয়েজার বাই তানিশায় প্রিন্টের ও শর্ট কাফতান আছে। প্রতিটি কাফতান অনন্য। জর্জেট, লিনেন, সিল্ক, সুইস কটন, সফট সিল্ক ইত্যাদি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন কাটের কাফতান—জানিয়েছেন ট্রু ট্রিয়েজার বাই তানিশার মডারেটর সাদিয়া সুলতানা।
কাফতান আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও ফ্যাশনেবল করে তুলবে। প্যান্ট, ল্যাগিংস কিংবা জ্যাগিংসের সঙ্গে এ পোশাকটি পরা যায়। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কিংবা সান্ধ্যকালীন যেকোনো পার্টিতে কাফতান পরা যায়। সে ক্ষেত্রে সিল্ক, শিফন, পাতলা ভেলভেটের কাফতান বাছাই করতে হবে। আপনাকে আরও বেশি রুচিশীল করে তুলতে পারে যদি পোশাকটিতে টার্সেল ও লেইসের ব্যবহার থাকে। তাই কেনার আগে ঠিক করে নিন ঘরে, বাইরে নাকি দাওয়াতে পরার জন্য কাফতান কিনবেন।
কোথায় পাওয়া যাবে
পছন্দের কাফতান কেনার জন্য ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কে ঢুঁ মারতে পারেন। অনলাইন থেকে কেনার জন্য সেইলর, প্রথা, দেশাল, হুর নুসরাত, কইন্যা, ভিয়োলা বাই ফারিহা, গ্রামীণ ইউনিক্লো, ট্রু ট্রিয়েজার বাই তানিশা ইত্যাদি পেজে চোখ রাখুন। ঢাকার বাইরের প্রায় প্রতিটি পোশাকের দোকানে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের কাফতান।
দরদাম
জনপ্রিয় বলেই যে কাফতানের দাম আকাশছোঁয়া, তা নয়। দাম একেবারেই সাধ্যের মধ্যে। কাফতান সাধারণত ৬০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ৫০০ টাকা বা তার কিছু বেশি টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। কাপড়, কাট ও নকশার ওপর দামের হেরফের হয়।
পছন্দমতো কাফতান বাসায় কিংবা টেইলরের কাছ থেকে বানিয়েও নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন গজ কাপড় লাগবে।
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই
এমন রঙিন পাখা…
এ গানটি শুনতে শুনতে আমাদের শৈশব কেটেছে। কৈশোরের দিনগুলোতেও ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখতাম, ইশ্, যদি প্রজাপ্রতির মতো পাখা থাকত! যদি পরির পিছে পিছে প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াতে পারতাম! ধীরে ধীরে বড় হলাম। একসময় দেখা মিলল কাফতানের। কাফতান আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। ১৯৭০- এর দশকে আমাদের দেশে কাফতানের প্রচলন লক্ষ করা যায়। তবে সে সময় অতটা জনপ্রিয় ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ পোশাকটি গ্রহণ করতে শুরু করেন ফ্যাশনসচেতন নারীরা। আমাদের দেশে অনেক পরে কাফতানের প্রচলন লক্ষ করা গেলেও, মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পোশাকের শুরুটা অনেক আগে থেকে।
কাফতান-জাতীয় পোশাকের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় এ ধরনের পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়। সে সময় পুরুষদের গায়েও কাফতান শোভা পেত। অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানরা এমন পোশাক পরতেন। সময় গড়িয়েছে। পোশাকে এসেছে পরিবর্তন। কাট, নকশা, ডিজাইনে এসেছে ভিন্নতা। এখন কাফতান নারীদের পোশাক। নাটক, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও সব জায়গায় মডেলের গায়ে কাফতান পরার বিষয়টি লক্ষ করা যায়।
কাফতান আরামদায়ক পোশাক, বিশেষ করে গরমের দিনগুলোতে ঘরে ও বাইরে পরা যায় এটি। একে তো ঢিলেঢালা, অন্যদিকে ফ্যাশনেবলও। ক্লাস, অফিস, বন্ধুদের আড্ডা—সব পরিবেশেই মানিয়ে যায় কাফতান। রাতে ঘুমানো যায় এ পোশাক পরেই।
কাফতানের বিশেষত্ব হলো, এতে আরামদায়ক হাতা থাকে এবং কোমরের দিকে বাঁধার জন্য বেল্ট কিংবা রাবার দিয়ে আটকানো থাকে। কোমরের দিকে রাবার কিংবা বেল্ট থাকে বলেই এটি দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। নিচের দিকে সমান, অসমান অংশ এটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। কিছু কিছু কাফতানের নিচের অংশে থাকে কোনা আকৃতি।
কাফতানের কাটে আছে ভিন্নতা। শোল্ডার কাফতান, কেপ কাফতান, ড্রেপ কাফতান, ড্রেপ কওল কাফতান, সার্কেল কাফতান, ব্যাট উইং, বাটারফ্লাই ইত্যাদি কাট দেওয়া হয়ে থাকে কাফতানে।
নকশা ও ডিজাইন
প্রিন্টের কাফতান, এক রঙের কাপড়ে রঙিন আঁকিবুঁকি করা কাফতান, বাটিক ইত্যাদি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন ফুলের ডিজাইন, লতা-পাতা, জ্যামিতিক ডিজাইন স্থান পেয়েছে কাফতানে।
সারার প্রধান ডিজাইনার শামীম রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে ডিপ নেক কাফতান, ভি গলার স্কয়ার কাফতান, বিচ কাফতান ইত্যাদি আছে। কাপড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে জর্জেট কাপড়। রঙের ক্ষেত্রে আমরা প্রাধান্য দিয়েছি সবুজ, আকাশি ইত্যাদি রংকে।’ প্রিন্টের কাফতানগুলোই বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে বলেও জানান তিনি।
কইন্যার স্বত্বাধিকারী বাধন মাহমুদ বলেন, গরমে পরার জন্য আমরা সুতি কাফতান নিয়ে এসেছি। ডাই করা কাপড় যেমন টাই ডাই, মোম বাটিক করা কাফতান আছে। স্ক্রিনপ্রিন্ট যেমন লালনের মুখাবয়ব, জাত গেল জাত গেল ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করেছি। আমাদের কাফতানগুলোর দাম ৭০০-১০০০ টাকার মধ্যে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে পোশাক তৈরি করি।
ট্রু ট্রিয়েজার বাই তানিশায় প্রিন্টের ও শর্ট কাফতান আছে। প্রতিটি কাফতান অনন্য। জর্জেট, লিনেন, সিল্ক, সুইস কটন, সফট সিল্ক ইত্যাদি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন কাটের কাফতান—জানিয়েছেন ট্রু ট্রিয়েজার বাই তানিশার মডারেটর সাদিয়া সুলতানা।
কাফতান আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও ফ্যাশনেবল করে তুলবে। প্যান্ট, ল্যাগিংস কিংবা জ্যাগিংসের সঙ্গে এ পোশাকটি পরা যায়। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কিংবা সান্ধ্যকালীন যেকোনো পার্টিতে কাফতান পরা যায়। সে ক্ষেত্রে সিল্ক, শিফন, পাতলা ভেলভেটের কাফতান বাছাই করতে হবে। আপনাকে আরও বেশি রুচিশীল করে তুলতে পারে যদি পোশাকটিতে টার্সেল ও লেইসের ব্যবহার থাকে। তাই কেনার আগে ঠিক করে নিন ঘরে, বাইরে নাকি দাওয়াতে পরার জন্য কাফতান কিনবেন।
কোথায় পাওয়া যাবে
পছন্দের কাফতান কেনার জন্য ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কে ঢুঁ মারতে পারেন। অনলাইন থেকে কেনার জন্য সেইলর, প্রথা, দেশাল, হুর নুসরাত, কইন্যা, ভিয়োলা বাই ফারিহা, গ্রামীণ ইউনিক্লো, ট্রু ট্রিয়েজার বাই তানিশা ইত্যাদি পেজে চোখ রাখুন। ঢাকার বাইরের প্রায় প্রতিটি পোশাকের দোকানে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের কাফতান।
দরদাম
জনপ্রিয় বলেই যে কাফতানের দাম আকাশছোঁয়া, তা নয়। দাম একেবারেই সাধ্যের মধ্যে। কাফতান সাধারণত ৬০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ৫০০ টাকা বা তার কিছু বেশি টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। কাপড়, কাট ও নকশার ওপর দামের হেরফের হয়।
পছন্দমতো কাফতান বাসায় কিংবা টেইলরের কাছ থেকে বানিয়েও নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন গজ কাপড় লাগবে।
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
১ ঘণ্টা আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২ দিন আগে