
ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।... জ্যোতিদাদা অম্লানবদনে এই কাপড় পরিয়া মধ্যাহ্নের প্রখর আলোকে গাড়িতে গিয়া উঠিতেন—আত্মীয় এবং বান্ধব, দ্বারী এবং সারথি সকলেই অবাক হইয়া তাকাইত, তিনি ভ্রূক্ষেপমাত্র করিতেন না।
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফিউশনধর্মী পোশাক নিয়ে ‘জীবনস্মৃতি’তে এ কথা লিখেছিলেন।]
ঠাকুরবাড়িতে নারী-পুরুষ সবার পোশাক নিয়ে বরাবরই নিরীক্ষা হয়েছে। আজকালকার যুগে যেটাকে ভেঙে বলা হয় কাস্টমাইজেশন ও ফিউশন; সেটা ওই যুগে ঠাকুরবাড়ির পুত্র-কন্যা-বউয়েরাও করে নিয়েছিলেন নিজেদের মতো করে।
পুরুষদের পোশাক-ভাবনা
রবীন্দ্রনাথের ওপরের উদ্ধৃতিতে জানা গেল, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ধুতি ও পায়জামার সংমিশ্রণে এক অভিনব পোশাক তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন, যা দেখতে পায়জামার মতো হলেও ধুতির মতো কুঁচি ছিল। তিনি এই দুই ধরনের পোশাককে ফিউশন করে সহজে পরার ও মানানসই পোশাক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন সেই স্বদেশি যুগে। তিনি যেমন পায়জামাতে ধুতির কুঁচি জুড়েছিলেন, তেমনি সোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির মিশ্রণও ঘটাতে দ্বিধা করেননি।
পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ফিউশনধর্মী পোশাক পরেছিলেন স্বয়ং রবিঠাকুরও। বলা ভালো, ফ্যাশনের দিক থেকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে তিনি গুরু মানতেন। রবীন্দ্রনাথের পোশাক-ভাবনা সে সময় স্বদেশি রাজনীতিতে যুক্ত তরুণদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। পোশাকের ব্যাপারে সে আমল থেকেই বেশ সাহসী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বড় বড় নিমন্ত্রণেও বিদেশি ধাঁচের পোশাক উপেক্ষা করে ধুতি, পাঞ্জাবি, চাদর ও চটি পরতেন কবি। যেতেন আগাগোড়া দেশি সাজে। সাদা থান ধুতি কোঁচা দিয়ে পরিপাটি করে পরতেন রবীন্দ্রনাথ। পায়ে গলাতেন নাগরা জুতো।
পরবর্তী সময়ে ঠাকুরবাড়ির ছেলেরা জাপানি আলখাল্লার নকশায় লম্বা জোব্বা পরতে শুরু করলে রবীন্দ্রনাথও এই ঢিলেঢালা জোব্বাকে সাদরে তুলে নেন তাঁর পোশাকের আলমারিতে। নানা রঙের জোব্বা ছিল তাঁর। কালো, ঘন নীল, খয়েরি, বাদামি, কমলা, গেরুয়া বাসন্তী, মেঘ-ছাইরঙের জোব্বা পরতেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঋতুর সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। এই যেমন ঝুম বর্ষায় তিনি পরতেন গাঢ় নীল রঙের জোব্বা আবার বসন্ত এলেই তাঁর জোব্বার রং হয়ে যেত বাসন্তী।
তবে ঠাকুরবাড়িতে এই ফিউশনধর্মী পোশাক যে কেবল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বা রবীন্দ্রনাথই পরা শুরু করেছিলেন, তা নয়। দ্বারকানাথের আমল থেকে ঠাকুর পরিবারের পোশাক-আশাকে মিশ্র ঘরানা দেখা যায়। আঙরাখা, পাঞ্জাবি বা বাঙালি ফতুয়ার সঙ্গে কোঁচানো ধুতির বদলে তিনি অনেক সময় পরতেন পাতলা সুতির চুড়ি পায়জামা বা ঢোলা পায়জামা। কাঁধে থাকত উত্তরীয়। কলকাতার অন্যান্য বিলাসী বাবুর মতো ঠাকুরবাড়ির বিলাসী বাবুরাও তখন পরতেন কালোপেড়ে ধুতি ও কেতাদুরস্ত পাঞ্জাবি।
দেবেন্দ্রনাথও কিন্তু দারুণ ফ্যাশনেবল ছিলেন। চাপদাড়ি রাখাটা একেবারে ট্রেন্ডে পরিণত করেছিলেন তিনি। জামাকাপড় নিয়ে খুঁতখুঁতে ছিলেন একেবারে শেষকাল পর্যন্ত। কোনো জামাকাপড়ই খুব বেশি দিন পরতেন না। জামা থেকে চটি পর্যন্ত—সবই হতে হতো ঝকঝকে তকতকে। এমনকি স্নানের সময় গা রগড়ানোর জন্যও তিনি গামছা বা তোয়ালের পরিবর্তে ব্যবহার করতেন মসলিনের কাপড়।
এক প্যাঁচে শাড়ি ও নারীদের সজ্জা
শুরুতে অন্যান্য বাড়ির নারীদের মতোই ঠাকুরবাড়ির মেয়ে-বউয়েরা বাড়ির সদর দরজা পেরোননি। ফলে তাঁদের গায়ে জড়ানো থাকত কেবল শাড়ি। পেটিকোট ও ব্লাউজের ব্যবহার তখনো শুরু হয়নি। শীত এলে কেবল একটা চাদর পরা হতো শাড়ির ওপর। তবে বাড়িতে যখন পণ্ডিত ডেকে মেয়ে-বউদের পড়ানোর কথা ভাবলেন দেবেন্দ্রনাথ, তখন পোশাকের ব্যাপারটিও ভাবাল তাঁকে। তখন পোশাক যেন আবরু রক্ষার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়, সে কথা ভেবে বাড়ির স্কুলগামী মেয়েদের জন্য কামিজ, ঘাগড়া, দোপাট্টা সহযোগে পোশাক তৈরি করে দেওয়ার কথা ভাবলেন। সৌদামিনী দেবীও এ ধরনের পোশাক পরে স্কুলে পড়তে গিয়েছিলেন। তবে তখনো এসব পোশাক কেবল বাড়ির বয়সে ছোট মেয়েরাই পরত। একটু বড় হলেই আবার শাড়ি পরতে হতো। এসব শাড়ির মধ্য়ে ছিল বালুচরি, নীলাম্বরী, সুতি, মসলিন, ঢাকাই ইত্যাদি।
ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের শাড়ি পরার ধরনে ও শাড়ি পরে যেন নিমন্ত্রণ বা ভদ্রসমাজে বের হওয়া যায়, সেদিক থেকে বড় ভূমিকা রাখেন ঠাকুরবাড়ির মেজ বউ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তিনি পারসি নারীদের গুছিয়ে শাড়ি পরার ধরনে আকৃষ্ট হন। সে ধরনটিকে জ্ঞানদা সাদরে গ্রহণও করেন। তিনি পুরোপুরিই যে পারসি নারীদের মতো করে শাড়ি পরতেন, তা নয়। তার সঙ্গে নিজের সৃজনশীলতা যোগ করে এক অভিনব শাড়ি পরার ধরনের প্রবর্তন করেন। এ নতুন ধরনে শাড়ির সঙ্গে পরা হতো কুঁচিওয়ালা ব্লাউজ, পেটিকোট, জুতা ও মোজা। এই নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে সেকালের বোম্বাই থেকে বাড়ি ফিরলে বাড়িসুদ্ধ তো বটেই, আশপাশের মেয়েরাও তা গ্রহণ করেন সাদরে।
শাড়ির সঙ্গে যেমন ব্লাউজ পরা শুরু হয়েছিল, তেমনি বাইরে বের হওয়ার সময় তখন অনেকে গাউন পরতেন। পাশাপাশি দেবেন্দ্রনাথের নকশা করা পোশাকগুলোও পরত বাড়ির বয়সে ছোট মেয়ে-বউয়েরা। রবীন্দ্রনাথের মেয়েরাও ছোটবেলায় ফ্রক পরত। দামি সিল্কের ফ্রকগুলোয় দেওয়া হতো কুঁচিওয়ালা লেইস। ঠাকুর পরিবারের মেয়েদের পোশাক নিয়ে যেমন ভেবেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তেমনি সৌদামিনী দেবীও দেখভাল করতেন মেয়েরা পরিপাটি হয়ে থাকছে কি না।
সূত্র: ঠাকুরবাড়ির রূপ-কথা, শান্তা শ্রীমানী ,ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব

ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।... জ্যোতিদাদা অম্লানবদনে এই কাপড় পরিয়া মধ্যাহ্নের প্রখর আলোকে গাড়িতে গিয়া উঠিতেন—আত্মীয় এবং বান্ধব, দ্বারী এবং সারথি সকলেই অবাক হইয়া তাকাইত, তিনি ভ্রূক্ষেপমাত্র করিতেন না।
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফিউশনধর্মী পোশাক নিয়ে ‘জীবনস্মৃতি’তে এ কথা লিখেছিলেন।]
ঠাকুরবাড়িতে নারী-পুরুষ সবার পোশাক নিয়ে বরাবরই নিরীক্ষা হয়েছে। আজকালকার যুগে যেটাকে ভেঙে বলা হয় কাস্টমাইজেশন ও ফিউশন; সেটা ওই যুগে ঠাকুরবাড়ির পুত্র-কন্যা-বউয়েরাও করে নিয়েছিলেন নিজেদের মতো করে।
পুরুষদের পোশাক-ভাবনা
রবীন্দ্রনাথের ওপরের উদ্ধৃতিতে জানা গেল, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ধুতি ও পায়জামার সংমিশ্রণে এক অভিনব পোশাক তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন, যা দেখতে পায়জামার মতো হলেও ধুতির মতো কুঁচি ছিল। তিনি এই দুই ধরনের পোশাককে ফিউশন করে সহজে পরার ও মানানসই পোশাক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন সেই স্বদেশি যুগে। তিনি যেমন পায়জামাতে ধুতির কুঁচি জুড়েছিলেন, তেমনি সোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির মিশ্রণও ঘটাতে দ্বিধা করেননি।
পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ফিউশনধর্মী পোশাক পরেছিলেন স্বয়ং রবিঠাকুরও। বলা ভালো, ফ্যাশনের দিক থেকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে তিনি গুরু মানতেন। রবীন্দ্রনাথের পোশাক-ভাবনা সে সময় স্বদেশি রাজনীতিতে যুক্ত তরুণদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। পোশাকের ব্যাপারে সে আমল থেকেই বেশ সাহসী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বড় বড় নিমন্ত্রণেও বিদেশি ধাঁচের পোশাক উপেক্ষা করে ধুতি, পাঞ্জাবি, চাদর ও চটি পরতেন কবি। যেতেন আগাগোড়া দেশি সাজে। সাদা থান ধুতি কোঁচা দিয়ে পরিপাটি করে পরতেন রবীন্দ্রনাথ। পায়ে গলাতেন নাগরা জুতো।
পরবর্তী সময়ে ঠাকুরবাড়ির ছেলেরা জাপানি আলখাল্লার নকশায় লম্বা জোব্বা পরতে শুরু করলে রবীন্দ্রনাথও এই ঢিলেঢালা জোব্বাকে সাদরে তুলে নেন তাঁর পোশাকের আলমারিতে। নানা রঙের জোব্বা ছিল তাঁর। কালো, ঘন নীল, খয়েরি, বাদামি, কমলা, গেরুয়া বাসন্তী, মেঘ-ছাইরঙের জোব্বা পরতেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঋতুর সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। এই যেমন ঝুম বর্ষায় তিনি পরতেন গাঢ় নীল রঙের জোব্বা আবার বসন্ত এলেই তাঁর জোব্বার রং হয়ে যেত বাসন্তী।
তবে ঠাকুরবাড়িতে এই ফিউশনধর্মী পোশাক যে কেবল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বা রবীন্দ্রনাথই পরা শুরু করেছিলেন, তা নয়। দ্বারকানাথের আমল থেকে ঠাকুর পরিবারের পোশাক-আশাকে মিশ্র ঘরানা দেখা যায়। আঙরাখা, পাঞ্জাবি বা বাঙালি ফতুয়ার সঙ্গে কোঁচানো ধুতির বদলে তিনি অনেক সময় পরতেন পাতলা সুতির চুড়ি পায়জামা বা ঢোলা পায়জামা। কাঁধে থাকত উত্তরীয়। কলকাতার অন্যান্য বিলাসী বাবুর মতো ঠাকুরবাড়ির বিলাসী বাবুরাও তখন পরতেন কালোপেড়ে ধুতি ও কেতাদুরস্ত পাঞ্জাবি।
দেবেন্দ্রনাথও কিন্তু দারুণ ফ্যাশনেবল ছিলেন। চাপদাড়ি রাখাটা একেবারে ট্রেন্ডে পরিণত করেছিলেন তিনি। জামাকাপড় নিয়ে খুঁতখুঁতে ছিলেন একেবারে শেষকাল পর্যন্ত। কোনো জামাকাপড়ই খুব বেশি দিন পরতেন না। জামা থেকে চটি পর্যন্ত—সবই হতে হতো ঝকঝকে তকতকে। এমনকি স্নানের সময় গা রগড়ানোর জন্যও তিনি গামছা বা তোয়ালের পরিবর্তে ব্যবহার করতেন মসলিনের কাপড়।
এক প্যাঁচে শাড়ি ও নারীদের সজ্জা
শুরুতে অন্যান্য বাড়ির নারীদের মতোই ঠাকুরবাড়ির মেয়ে-বউয়েরা বাড়ির সদর দরজা পেরোননি। ফলে তাঁদের গায়ে জড়ানো থাকত কেবল শাড়ি। পেটিকোট ও ব্লাউজের ব্যবহার তখনো শুরু হয়নি। শীত এলে কেবল একটা চাদর পরা হতো শাড়ির ওপর। তবে বাড়িতে যখন পণ্ডিত ডেকে মেয়ে-বউদের পড়ানোর কথা ভাবলেন দেবেন্দ্রনাথ, তখন পোশাকের ব্যাপারটিও ভাবাল তাঁকে। তখন পোশাক যেন আবরু রক্ষার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়, সে কথা ভেবে বাড়ির স্কুলগামী মেয়েদের জন্য কামিজ, ঘাগড়া, দোপাট্টা সহযোগে পোশাক তৈরি করে দেওয়ার কথা ভাবলেন। সৌদামিনী দেবীও এ ধরনের পোশাক পরে স্কুলে পড়তে গিয়েছিলেন। তবে তখনো এসব পোশাক কেবল বাড়ির বয়সে ছোট মেয়েরাই পরত। একটু বড় হলেই আবার শাড়ি পরতে হতো। এসব শাড়ির মধ্য়ে ছিল বালুচরি, নীলাম্বরী, সুতি, মসলিন, ঢাকাই ইত্যাদি।
ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের শাড়ি পরার ধরনে ও শাড়ি পরে যেন নিমন্ত্রণ বা ভদ্রসমাজে বের হওয়া যায়, সেদিক থেকে বড় ভূমিকা রাখেন ঠাকুরবাড়ির মেজ বউ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তিনি পারসি নারীদের গুছিয়ে শাড়ি পরার ধরনে আকৃষ্ট হন। সে ধরনটিকে জ্ঞানদা সাদরে গ্রহণও করেন। তিনি পুরোপুরিই যে পারসি নারীদের মতো করে শাড়ি পরতেন, তা নয়। তার সঙ্গে নিজের সৃজনশীলতা যোগ করে এক অভিনব শাড়ি পরার ধরনের প্রবর্তন করেন। এ নতুন ধরনে শাড়ির সঙ্গে পরা হতো কুঁচিওয়ালা ব্লাউজ, পেটিকোট, জুতা ও মোজা। এই নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে সেকালের বোম্বাই থেকে বাড়ি ফিরলে বাড়িসুদ্ধ তো বটেই, আশপাশের মেয়েরাও তা গ্রহণ করেন সাদরে।
শাড়ির সঙ্গে যেমন ব্লাউজ পরা শুরু হয়েছিল, তেমনি বাইরে বের হওয়ার সময় তখন অনেকে গাউন পরতেন। পাশাপাশি দেবেন্দ্রনাথের নকশা করা পোশাকগুলোও পরত বাড়ির বয়সে ছোট মেয়ে-বউয়েরা। রবীন্দ্রনাথের মেয়েরাও ছোটবেলায় ফ্রক পরত। দামি সিল্কের ফ্রকগুলোয় দেওয়া হতো কুঁচিওয়ালা লেইস। ঠাকুর পরিবারের মেয়েদের পোশাক নিয়ে যেমন ভেবেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তেমনি সৌদামিনী দেবীও দেখভাল করতেন মেয়েরা পরিপাটি হয়ে থাকছে কি না।
সূত্র: ঠাকুরবাড়ির রূপ-কথা, শান্তা শ্রীমানী ,ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব

ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।... জ্যোতিদাদা অম্লানবদনে এই কাপড় পরিয়া মধ্যাহ্নের প্রখর আলোকে গাড়িতে গিয়া উঠিতেন—আত্মীয় এবং বান্ধব, দ্বারী এবং সারথি সকলেই অবাক হইয়া তাকাইত, তিনি ভ্রূক্ষেপমাত্র করিতেন না।
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফিউশনধর্মী পোশাক নিয়ে ‘জীবনস্মৃতি’তে এ কথা লিখেছিলেন।]
ঠাকুরবাড়িতে নারী-পুরুষ সবার পোশাক নিয়ে বরাবরই নিরীক্ষা হয়েছে। আজকালকার যুগে যেটাকে ভেঙে বলা হয় কাস্টমাইজেশন ও ফিউশন; সেটা ওই যুগে ঠাকুরবাড়ির পুত্র-কন্যা-বউয়েরাও করে নিয়েছিলেন নিজেদের মতো করে।
পুরুষদের পোশাক-ভাবনা
রবীন্দ্রনাথের ওপরের উদ্ধৃতিতে জানা গেল, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ধুতি ও পায়জামার সংমিশ্রণে এক অভিনব পোশাক তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন, যা দেখতে পায়জামার মতো হলেও ধুতির মতো কুঁচি ছিল। তিনি এই দুই ধরনের পোশাককে ফিউশন করে সহজে পরার ও মানানসই পোশাক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন সেই স্বদেশি যুগে। তিনি যেমন পায়জামাতে ধুতির কুঁচি জুড়েছিলেন, তেমনি সোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির মিশ্রণও ঘটাতে দ্বিধা করেননি।
পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ফিউশনধর্মী পোশাক পরেছিলেন স্বয়ং রবিঠাকুরও। বলা ভালো, ফ্যাশনের দিক থেকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে তিনি গুরু মানতেন। রবীন্দ্রনাথের পোশাক-ভাবনা সে সময় স্বদেশি রাজনীতিতে যুক্ত তরুণদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। পোশাকের ব্যাপারে সে আমল থেকেই বেশ সাহসী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বড় বড় নিমন্ত্রণেও বিদেশি ধাঁচের পোশাক উপেক্ষা করে ধুতি, পাঞ্জাবি, চাদর ও চটি পরতেন কবি। যেতেন আগাগোড়া দেশি সাজে। সাদা থান ধুতি কোঁচা দিয়ে পরিপাটি করে পরতেন রবীন্দ্রনাথ। পায়ে গলাতেন নাগরা জুতো।
পরবর্তী সময়ে ঠাকুরবাড়ির ছেলেরা জাপানি আলখাল্লার নকশায় লম্বা জোব্বা পরতে শুরু করলে রবীন্দ্রনাথও এই ঢিলেঢালা জোব্বাকে সাদরে তুলে নেন তাঁর পোশাকের আলমারিতে। নানা রঙের জোব্বা ছিল তাঁর। কালো, ঘন নীল, খয়েরি, বাদামি, কমলা, গেরুয়া বাসন্তী, মেঘ-ছাইরঙের জোব্বা পরতেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঋতুর সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। এই যেমন ঝুম বর্ষায় তিনি পরতেন গাঢ় নীল রঙের জোব্বা আবার বসন্ত এলেই তাঁর জোব্বার রং হয়ে যেত বাসন্তী।
তবে ঠাকুরবাড়িতে এই ফিউশনধর্মী পোশাক যে কেবল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বা রবীন্দ্রনাথই পরা শুরু করেছিলেন, তা নয়। দ্বারকানাথের আমল থেকে ঠাকুর পরিবারের পোশাক-আশাকে মিশ্র ঘরানা দেখা যায়। আঙরাখা, পাঞ্জাবি বা বাঙালি ফতুয়ার সঙ্গে কোঁচানো ধুতির বদলে তিনি অনেক সময় পরতেন পাতলা সুতির চুড়ি পায়জামা বা ঢোলা পায়জামা। কাঁধে থাকত উত্তরীয়। কলকাতার অন্যান্য বিলাসী বাবুর মতো ঠাকুরবাড়ির বিলাসী বাবুরাও তখন পরতেন কালোপেড়ে ধুতি ও কেতাদুরস্ত পাঞ্জাবি।
দেবেন্দ্রনাথও কিন্তু দারুণ ফ্যাশনেবল ছিলেন। চাপদাড়ি রাখাটা একেবারে ট্রেন্ডে পরিণত করেছিলেন তিনি। জামাকাপড় নিয়ে খুঁতখুঁতে ছিলেন একেবারে শেষকাল পর্যন্ত। কোনো জামাকাপড়ই খুব বেশি দিন পরতেন না। জামা থেকে চটি পর্যন্ত—সবই হতে হতো ঝকঝকে তকতকে। এমনকি স্নানের সময় গা রগড়ানোর জন্যও তিনি গামছা বা তোয়ালের পরিবর্তে ব্যবহার করতেন মসলিনের কাপড়।
এক প্যাঁচে শাড়ি ও নারীদের সজ্জা
শুরুতে অন্যান্য বাড়ির নারীদের মতোই ঠাকুরবাড়ির মেয়ে-বউয়েরা বাড়ির সদর দরজা পেরোননি। ফলে তাঁদের গায়ে জড়ানো থাকত কেবল শাড়ি। পেটিকোট ও ব্লাউজের ব্যবহার তখনো শুরু হয়নি। শীত এলে কেবল একটা চাদর পরা হতো শাড়ির ওপর। তবে বাড়িতে যখন পণ্ডিত ডেকে মেয়ে-বউদের পড়ানোর কথা ভাবলেন দেবেন্দ্রনাথ, তখন পোশাকের ব্যাপারটিও ভাবাল তাঁকে। তখন পোশাক যেন আবরু রক্ষার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়, সে কথা ভেবে বাড়ির স্কুলগামী মেয়েদের জন্য কামিজ, ঘাগড়া, দোপাট্টা সহযোগে পোশাক তৈরি করে দেওয়ার কথা ভাবলেন। সৌদামিনী দেবীও এ ধরনের পোশাক পরে স্কুলে পড়তে গিয়েছিলেন। তবে তখনো এসব পোশাক কেবল বাড়ির বয়সে ছোট মেয়েরাই পরত। একটু বড় হলেই আবার শাড়ি পরতে হতো। এসব শাড়ির মধ্য়ে ছিল বালুচরি, নীলাম্বরী, সুতি, মসলিন, ঢাকাই ইত্যাদি।
ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের শাড়ি পরার ধরনে ও শাড়ি পরে যেন নিমন্ত্রণ বা ভদ্রসমাজে বের হওয়া যায়, সেদিক থেকে বড় ভূমিকা রাখেন ঠাকুরবাড়ির মেজ বউ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তিনি পারসি নারীদের গুছিয়ে শাড়ি পরার ধরনে আকৃষ্ট হন। সে ধরনটিকে জ্ঞানদা সাদরে গ্রহণও করেন। তিনি পুরোপুরিই যে পারসি নারীদের মতো করে শাড়ি পরতেন, তা নয়। তার সঙ্গে নিজের সৃজনশীলতা যোগ করে এক অভিনব শাড়ি পরার ধরনের প্রবর্তন করেন। এ নতুন ধরনে শাড়ির সঙ্গে পরা হতো কুঁচিওয়ালা ব্লাউজ, পেটিকোট, জুতা ও মোজা। এই নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে সেকালের বোম্বাই থেকে বাড়ি ফিরলে বাড়িসুদ্ধ তো বটেই, আশপাশের মেয়েরাও তা গ্রহণ করেন সাদরে।
শাড়ির সঙ্গে যেমন ব্লাউজ পরা শুরু হয়েছিল, তেমনি বাইরে বের হওয়ার সময় তখন অনেকে গাউন পরতেন। পাশাপাশি দেবেন্দ্রনাথের নকশা করা পোশাকগুলোও পরত বাড়ির বয়সে ছোট মেয়ে-বউয়েরা। রবীন্দ্রনাথের মেয়েরাও ছোটবেলায় ফ্রক পরত। দামি সিল্কের ফ্রকগুলোয় দেওয়া হতো কুঁচিওয়ালা লেইস। ঠাকুর পরিবারের মেয়েদের পোশাক নিয়ে যেমন ভেবেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তেমনি সৌদামিনী দেবীও দেখভাল করতেন মেয়েরা পরিপাটি হয়ে থাকছে কি না।
সূত্র: ঠাকুরবাড়ির রূপ-কথা, শান্তা শ্রীমানী ,ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব

ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।... জ্যোতিদাদা অম্লানবদনে এই কাপড় পরিয়া মধ্যাহ্নের প্রখর আলোকে গাড়িতে গিয়া উঠিতেন—আত্মীয় এবং বান্ধব, দ্বারী এবং সারথি সকলেই অবাক হইয়া তাকাইত, তিনি ভ্রূক্ষেপমাত্র করিতেন না।
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফিউশনধর্মী পোশাক নিয়ে ‘জীবনস্মৃতি’তে এ কথা লিখেছিলেন।]
ঠাকুরবাড়িতে নারী-পুরুষ সবার পোশাক নিয়ে বরাবরই নিরীক্ষা হয়েছে। আজকালকার যুগে যেটাকে ভেঙে বলা হয় কাস্টমাইজেশন ও ফিউশন; সেটা ওই যুগে ঠাকুরবাড়ির পুত্র-কন্যা-বউয়েরাও করে নিয়েছিলেন নিজেদের মতো করে।
পুরুষদের পোশাক-ভাবনা
রবীন্দ্রনাথের ওপরের উদ্ধৃতিতে জানা গেল, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ধুতি ও পায়জামার সংমিশ্রণে এক অভিনব পোশাক তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন, যা দেখতে পায়জামার মতো হলেও ধুতির মতো কুঁচি ছিল। তিনি এই দুই ধরনের পোশাককে ফিউশন করে সহজে পরার ও মানানসই পোশাক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন সেই স্বদেশি যুগে। তিনি যেমন পায়জামাতে ধুতির কুঁচি জুড়েছিলেন, তেমনি সোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির মিশ্রণও ঘটাতে দ্বিধা করেননি।
পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ফিউশনধর্মী পোশাক পরেছিলেন স্বয়ং রবিঠাকুরও। বলা ভালো, ফ্যাশনের দিক থেকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে তিনি গুরু মানতেন। রবীন্দ্রনাথের পোশাক-ভাবনা সে সময় স্বদেশি রাজনীতিতে যুক্ত তরুণদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। পোশাকের ব্যাপারে সে আমল থেকেই বেশ সাহসী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বড় বড় নিমন্ত্রণেও বিদেশি ধাঁচের পোশাক উপেক্ষা করে ধুতি, পাঞ্জাবি, চাদর ও চটি পরতেন কবি। যেতেন আগাগোড়া দেশি সাজে। সাদা থান ধুতি কোঁচা দিয়ে পরিপাটি করে পরতেন রবীন্দ্রনাথ। পায়ে গলাতেন নাগরা জুতো।
পরবর্তী সময়ে ঠাকুরবাড়ির ছেলেরা জাপানি আলখাল্লার নকশায় লম্বা জোব্বা পরতে শুরু করলে রবীন্দ্রনাথও এই ঢিলেঢালা জোব্বাকে সাদরে তুলে নেন তাঁর পোশাকের আলমারিতে। নানা রঙের জোব্বা ছিল তাঁর। কালো, ঘন নীল, খয়েরি, বাদামি, কমলা, গেরুয়া বাসন্তী, মেঘ-ছাইরঙের জোব্বা পরতেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঋতুর সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। এই যেমন ঝুম বর্ষায় তিনি পরতেন গাঢ় নীল রঙের জোব্বা আবার বসন্ত এলেই তাঁর জোব্বার রং হয়ে যেত বাসন্তী।
তবে ঠাকুরবাড়িতে এই ফিউশনধর্মী পোশাক যে কেবল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বা রবীন্দ্রনাথই পরা শুরু করেছিলেন, তা নয়। দ্বারকানাথের আমল থেকে ঠাকুর পরিবারের পোশাক-আশাকে মিশ্র ঘরানা দেখা যায়। আঙরাখা, পাঞ্জাবি বা বাঙালি ফতুয়ার সঙ্গে কোঁচানো ধুতির বদলে তিনি অনেক সময় পরতেন পাতলা সুতির চুড়ি পায়জামা বা ঢোলা পায়জামা। কাঁধে থাকত উত্তরীয়। কলকাতার অন্যান্য বিলাসী বাবুর মতো ঠাকুরবাড়ির বিলাসী বাবুরাও তখন পরতেন কালোপেড়ে ধুতি ও কেতাদুরস্ত পাঞ্জাবি।
দেবেন্দ্রনাথও কিন্তু দারুণ ফ্যাশনেবল ছিলেন। চাপদাড়ি রাখাটা একেবারে ট্রেন্ডে পরিণত করেছিলেন তিনি। জামাকাপড় নিয়ে খুঁতখুঁতে ছিলেন একেবারে শেষকাল পর্যন্ত। কোনো জামাকাপড়ই খুব বেশি দিন পরতেন না। জামা থেকে চটি পর্যন্ত—সবই হতে হতো ঝকঝকে তকতকে। এমনকি স্নানের সময় গা রগড়ানোর জন্যও তিনি গামছা বা তোয়ালের পরিবর্তে ব্যবহার করতেন মসলিনের কাপড়।
এক প্যাঁচে শাড়ি ও নারীদের সজ্জা
শুরুতে অন্যান্য বাড়ির নারীদের মতোই ঠাকুরবাড়ির মেয়ে-বউয়েরা বাড়ির সদর দরজা পেরোননি। ফলে তাঁদের গায়ে জড়ানো থাকত কেবল শাড়ি। পেটিকোট ও ব্লাউজের ব্যবহার তখনো শুরু হয়নি। শীত এলে কেবল একটা চাদর পরা হতো শাড়ির ওপর। তবে বাড়িতে যখন পণ্ডিত ডেকে মেয়ে-বউদের পড়ানোর কথা ভাবলেন দেবেন্দ্রনাথ, তখন পোশাকের ব্যাপারটিও ভাবাল তাঁকে। তখন পোশাক যেন আবরু রক্ষার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়, সে কথা ভেবে বাড়ির স্কুলগামী মেয়েদের জন্য কামিজ, ঘাগড়া, দোপাট্টা সহযোগে পোশাক তৈরি করে দেওয়ার কথা ভাবলেন। সৌদামিনী দেবীও এ ধরনের পোশাক পরে স্কুলে পড়তে গিয়েছিলেন। তবে তখনো এসব পোশাক কেবল বাড়ির বয়সে ছোট মেয়েরাই পরত। একটু বড় হলেই আবার শাড়ি পরতে হতো। এসব শাড়ির মধ্য়ে ছিল বালুচরি, নীলাম্বরী, সুতি, মসলিন, ঢাকাই ইত্যাদি।
ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের শাড়ি পরার ধরনে ও শাড়ি পরে যেন নিমন্ত্রণ বা ভদ্রসমাজে বের হওয়া যায়, সেদিক থেকে বড় ভূমিকা রাখেন ঠাকুরবাড়ির মেজ বউ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তিনি পারসি নারীদের গুছিয়ে শাড়ি পরার ধরনে আকৃষ্ট হন। সে ধরনটিকে জ্ঞানদা সাদরে গ্রহণও করেন। তিনি পুরোপুরিই যে পারসি নারীদের মতো করে শাড়ি পরতেন, তা নয়। তার সঙ্গে নিজের সৃজনশীলতা যোগ করে এক অভিনব শাড়ি পরার ধরনের প্রবর্তন করেন। এ নতুন ধরনে শাড়ির সঙ্গে পরা হতো কুঁচিওয়ালা ব্লাউজ, পেটিকোট, জুতা ও মোজা। এই নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে সেকালের বোম্বাই থেকে বাড়ি ফিরলে বাড়িসুদ্ধ তো বটেই, আশপাশের মেয়েরাও তা গ্রহণ করেন সাদরে।
শাড়ির সঙ্গে যেমন ব্লাউজ পরা শুরু হয়েছিল, তেমনি বাইরে বের হওয়ার সময় তখন অনেকে গাউন পরতেন। পাশাপাশি দেবেন্দ্রনাথের নকশা করা পোশাকগুলোও পরত বাড়ির বয়সে ছোট মেয়ে-বউয়েরা। রবীন্দ্রনাথের মেয়েরাও ছোটবেলায় ফ্রক পরত। দামি সিল্কের ফ্রকগুলোয় দেওয়া হতো কুঁচিওয়ালা লেইস। ঠাকুর পরিবারের মেয়েদের পোশাক নিয়ে যেমন ভেবেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তেমনি সৌদামিনী দেবীও দেখভাল করতেন মেয়েরা পরিপাটি হয়ে থাকছে কি না।
সূত্র: ঠাকুরবাড়ির রূপ-কথা, শান্তা শ্রীমানী ,ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১১ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
১৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৪ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।...
০৬ মে ২০২৪
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
১৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৪ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেডা. নূরজাহান বেগম

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।...
০৬ মে ২০২৪
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১১ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৪ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।...
০৬ মে ২০২৪
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১১ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
১৩ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।...
০৬ মে ২০২৪
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১১ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
১৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৪ ঘণ্টা আগে