সানজিদা সামরিন, ঢাকা
৫ মে, ২০১০। জেইম ব্ল্যাক নামে কানাডার এক আদিবাসী শিল্পী সে দেশের উইনিপেগ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন লাল রঙের পোশাক দিয়ে। নিখোঁজ ও খুন হয়ে যাওয়া কানাডিয়ান আদিবাসী নারীদের স্মরণে এ আয়োজন করেছিলেন তিনি। পরে এটি ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে। লাল রঙের পোশাক হয়ে ওঠে শ্রদ্ধা, স্মরণ আর প্রতিবাদের মাধ্যম। ফ্যাশনজগতে এমন বহু ঘটনা আছে, যেখানে পেছনের মহৎ উদ্দেশ্যের কারণে একেকটি ইভেন্ট নিজেই হয়ে উঠেছে অনন্য। পোশাক অথবা তার রং তখন আর চোখধাঁধানো ফ্যাশন দুনিয়ায় আবদ্ধ থাকেনি। হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।
একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য রক্তক্ষয়ের গর্বিত ইতিহাস। এ জন্য দিনটি স্মরণ করতে সাদা-কালোর যে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট আমরা তৈরি করেছি, তাতে নকশা হিসেবে বরাবরই বর্ণমালার মোটিফ ব্যবহার করা হয়। শিল্পী ও পোশাকের নকশাকারেরা খুব সচেতনভাবেই এটি করে আসছেন। তবে হ্যাঁ, সব সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হতে থাকা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো কিছুই স্থির নয় যেহেতু, তাই এবার নকশার মোটিফে এসেছে পরিবর্তন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রঙেও তার ছাপ পড়েছে। ফ্যাশন হাউসগুলো জনরুচি আর ইতিহাসের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে এ ক্ষেত্রে বেশ মুনশিয়ানার সঙ্গে। বর্ণমালা আর শহীদ মিনারের জনপ্রিয় মোটিফের সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলা কবি ও কবিতা, দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি। সঙ্গে মাধ্যম হিসেবে সুচিশিল্প, ব্লক, অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিন বা এমব্রয়ডারির কাজও দেখা যায় এখন।
অনেক বছর ধরে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো একুশে ফেব্রুয়ারিকে মুখ্য রেখে পোশাকে সাদা-কালো রংকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। এখন সেগুলোর সঙ্গে অফ হোয়াইট ও ধূসর রংও ব্যবহার করা হচ্ছে। সহকারী রং হিসেবে যোগ হচ্ছে সবুজ, হলুদ, নীল, খয়েরি ও লাল। কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির প্রাধান্য থাকলেও হাফসিল্ক, মসলিন, জর্জেট, সিল্ক প্রভৃতির ব্যবহারও চোখে পড়ে। আর শাড়ি-ব্লাউজ বা পাঞ্জাবি-পায়জামাতেই এখন আর আটকে নেই একুশের ফ্যাশন।
এবারের মাতৃভাষা দিবসে দেশীয় ফ্যাশন হাউস সাদাকালো কবি তোফাজ্জল হোসেনের লেখা একুশে ফেব্রুয়ারির কবিতা ‘একুশের গান’ বেছে নিয়েছে পোশাকের নকশা পরিকল্পনায়। এই কবিতার পঙ্ক্তি দিয়ে তারা তৈরি করেছে পোশাকের নকশা। এর পাশাপাশি ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্টে বাংলা বর্ণমালা দিয়েও করা হয়েছে পোশাকের নকশা।
একুশে ফেব্রুয়ারির শ্রদ্ধা নিবেদন হিসেবে পোশাকের ব্র্যান্ড নিত্য উপহার নিয়ে এসেছে বড় ও ছোটদের জন্য় নতুন টি-শার্ট। বাংলা আমার বচন, ভাষার মিনার, একুশের সকাল-২, বাল্যশিক্ষা ও তরুণ অশান্ত শিরোনামে টি-শার্টগুলো নকশা করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর ও অনুপম সরকার।
এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কুইন্স ক্লোজেট বিশেষ কয়েকটি শাড়ি এনেছে। যেগুলোর মোটিফে ব্যবহার করা হয়েছে শহীদ মিনার, বর্ণমালা ও একুশের প্রতিনিধিত্ব করে—এমন সব মোটিফ। কুইন্স ক্লোজেটের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার বিথী সরকার বলেন, ‘এক দিনের উপলক্ষকে কেন্দ্র করে সাধারণত সুতি, অ্যান্ডি কটন ও হাফসিল্কের শাড়ি নকশা করা হয়েছে। এ ধরনের শাড়ি বিশেষ দিন উপলক্ষে পরা যায়। তা ছাড়া, এগুলো পরে চলাফেরা সহজ, আবার দেখতেও ভালো লাগে। দামও হাতের নাগালে রাখা যায়।’
কোলাজ, ঐতিহ্যবাহী বা জ্যামিতিক নকশার সৃজনশীল অলংকরণেও কোনো কোনো ফ্যাশন হাউস এবার তৈরি করেছে তাদের পোশাক। কেক্র্যাফট ও রঙ বাংলাদেশের একুশের পোশাকে মোটিফ হিসেবে শহীদ মিনার ও বর্ণমালার বিন্যাস ছাড়াও সৃজনশীল অলংকরণ দেখা যাচ্ছে এবার।
পোশাক
প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে একুশের পোশাক হিসেবে পাওয়া যাবে পায়জামা, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, পরিবারের সবার জন্য একই নকশার পোশাক, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, উত্তরীয় ইত্যাদি।
কেনাকাটা ও দরদাম
প্রতিটি ফ্যাশন হাউসের নিজস্ব আউটলেট আছে। এ ছাড়া আছে ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেজ। আউটলেট বা অনলাইন থেকে কেনা যাবে প্রতিটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পুরো দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকে। তা ছাড়া, অনলাইনে কেনাকাটার জন্য কিছু সুবিধাও দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো।
একুশের পোশাকের জন্য আলাদাভাবে মূল্য নির্ধারিত হয় না। ফলে স্বাভাবিক দামেই কেনা যাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পোশাক।
৫ মে, ২০১০। জেইম ব্ল্যাক নামে কানাডার এক আদিবাসী শিল্পী সে দেশের উইনিপেগ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন লাল রঙের পোশাক দিয়ে। নিখোঁজ ও খুন হয়ে যাওয়া কানাডিয়ান আদিবাসী নারীদের স্মরণে এ আয়োজন করেছিলেন তিনি। পরে এটি ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে। লাল রঙের পোশাক হয়ে ওঠে শ্রদ্ধা, স্মরণ আর প্রতিবাদের মাধ্যম। ফ্যাশনজগতে এমন বহু ঘটনা আছে, যেখানে পেছনের মহৎ উদ্দেশ্যের কারণে একেকটি ইভেন্ট নিজেই হয়ে উঠেছে অনন্য। পোশাক অথবা তার রং তখন আর চোখধাঁধানো ফ্যাশন দুনিয়ায় আবদ্ধ থাকেনি। হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।
একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য রক্তক্ষয়ের গর্বিত ইতিহাস। এ জন্য দিনটি স্মরণ করতে সাদা-কালোর যে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট আমরা তৈরি করেছি, তাতে নকশা হিসেবে বরাবরই বর্ণমালার মোটিফ ব্যবহার করা হয়। শিল্পী ও পোশাকের নকশাকারেরা খুব সচেতনভাবেই এটি করে আসছেন। তবে হ্যাঁ, সব সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হতে থাকা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো কিছুই স্থির নয় যেহেতু, তাই এবার নকশার মোটিফে এসেছে পরিবর্তন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রঙেও তার ছাপ পড়েছে। ফ্যাশন হাউসগুলো জনরুচি আর ইতিহাসের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে এ ক্ষেত্রে বেশ মুনশিয়ানার সঙ্গে। বর্ণমালা আর শহীদ মিনারের জনপ্রিয় মোটিফের সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলা কবি ও কবিতা, দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি। সঙ্গে মাধ্যম হিসেবে সুচিশিল্প, ব্লক, অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিন বা এমব্রয়ডারির কাজও দেখা যায় এখন।
অনেক বছর ধরে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো একুশে ফেব্রুয়ারিকে মুখ্য রেখে পোশাকে সাদা-কালো রংকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। এখন সেগুলোর সঙ্গে অফ হোয়াইট ও ধূসর রংও ব্যবহার করা হচ্ছে। সহকারী রং হিসেবে যোগ হচ্ছে সবুজ, হলুদ, নীল, খয়েরি ও লাল। কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির প্রাধান্য থাকলেও হাফসিল্ক, মসলিন, জর্জেট, সিল্ক প্রভৃতির ব্যবহারও চোখে পড়ে। আর শাড়ি-ব্লাউজ বা পাঞ্জাবি-পায়জামাতেই এখন আর আটকে নেই একুশের ফ্যাশন।
এবারের মাতৃভাষা দিবসে দেশীয় ফ্যাশন হাউস সাদাকালো কবি তোফাজ্জল হোসেনের লেখা একুশে ফেব্রুয়ারির কবিতা ‘একুশের গান’ বেছে নিয়েছে পোশাকের নকশা পরিকল্পনায়। এই কবিতার পঙ্ক্তি দিয়ে তারা তৈরি করেছে পোশাকের নকশা। এর পাশাপাশি ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্টে বাংলা বর্ণমালা দিয়েও করা হয়েছে পোশাকের নকশা।
একুশে ফেব্রুয়ারির শ্রদ্ধা নিবেদন হিসেবে পোশাকের ব্র্যান্ড নিত্য উপহার নিয়ে এসেছে বড় ও ছোটদের জন্য় নতুন টি-শার্ট। বাংলা আমার বচন, ভাষার মিনার, একুশের সকাল-২, বাল্যশিক্ষা ও তরুণ অশান্ত শিরোনামে টি-শার্টগুলো নকশা করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর ও অনুপম সরকার।
এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কুইন্স ক্লোজেট বিশেষ কয়েকটি শাড়ি এনেছে। যেগুলোর মোটিফে ব্যবহার করা হয়েছে শহীদ মিনার, বর্ণমালা ও একুশের প্রতিনিধিত্ব করে—এমন সব মোটিফ। কুইন্স ক্লোজেটের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার বিথী সরকার বলেন, ‘এক দিনের উপলক্ষকে কেন্দ্র করে সাধারণত সুতি, অ্যান্ডি কটন ও হাফসিল্কের শাড়ি নকশা করা হয়েছে। এ ধরনের শাড়ি বিশেষ দিন উপলক্ষে পরা যায়। তা ছাড়া, এগুলো পরে চলাফেরা সহজ, আবার দেখতেও ভালো লাগে। দামও হাতের নাগালে রাখা যায়।’
কোলাজ, ঐতিহ্যবাহী বা জ্যামিতিক নকশার সৃজনশীল অলংকরণেও কোনো কোনো ফ্যাশন হাউস এবার তৈরি করেছে তাদের পোশাক। কেক্র্যাফট ও রঙ বাংলাদেশের একুশের পোশাকে মোটিফ হিসেবে শহীদ মিনার ও বর্ণমালার বিন্যাস ছাড়াও সৃজনশীল অলংকরণ দেখা যাচ্ছে এবার।
পোশাক
প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে একুশের পোশাক হিসেবে পাওয়া যাবে পায়জামা, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, পরিবারের সবার জন্য একই নকশার পোশাক, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, উত্তরীয় ইত্যাদি।
কেনাকাটা ও দরদাম
প্রতিটি ফ্যাশন হাউসের নিজস্ব আউটলেট আছে। এ ছাড়া আছে ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেজ। আউটলেট বা অনলাইন থেকে কেনা যাবে প্রতিটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পুরো দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকে। তা ছাড়া, অনলাইনে কেনাকাটার জন্য কিছু সুবিধাও দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো।
একুশের পোশাকের জন্য আলাদাভাবে মূল্য নির্ধারিত হয় না। ফলে স্বাভাবিক দামেই কেনা যাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পোশাক।
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
১ ঘণ্টা আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২ দিন আগে