Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

চাকরিপ্রার্থীদের শেখার আগ্রহ থাকতে হবে

সৈয়দা তাহিয়া হোসেন

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন। তাঁর রয়েছে ২৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। নিজের কর্মজীবন, গ্রামীণফোনের নিয়োগপ্রক্রিয়া এবং নতুনদের ক্যারিয়ারের সুযোগ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান

আব্দুর রাজ্জাক খান
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ২১

প্রশ্ন: অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?

উত্তর: প্রায় ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা। নেসলে আমার প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেখানে দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে শিখেছি কীভাবে মানবসম্পদ দিয়ে ব্যবসায় অবদান রাখা যায়। নেসলের পর ব্যাংক, ব্র্যাক, লাফার্জ, ইউনিলিভারসহ বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে কাজ করেছি। যেখানেই কাজ করেছি, নতুন কিছু শেখা এবং নতুন কিছু করাই আমার মোটিভেশন ছিল।

প্রশ্ন: মানবসম্পদ বিষয়ে আগ্রহ কীভাবে তৈরি হলো?

উত্তর: শুরুতে এইচআর সম্পর্কে তেমন জানতাম না। নেসলেতে যোগ দেওয়ার সময় পরিচালক আমার ইন্টারভিউ নেন। তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কী কাজ করতে চাও?’ বলেছিলাম, ‘যেখানে মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারব, সেখানে কাজ করতে চাই।’ এরপর তিনি মানবসম্পদ বিভাগ ঠিক করে দেন। সে সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল। এখানে কখনো বিরক্ত হইনি। এখন এটাই আমার ফিল্ড। এখানে কর্মীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।

প্রশ্ন: আপনাকে নিয়ে আপনার মা-বাবার কী স্বপ্ন ছিল? আপনি নিজে কী হতে চাইতেন?

উত্তর: বাবার একটি লেদার ফ্যাক্টরি ছিল। তিনি চাইতেন আমি বিজ্ঞানে পড়াশোনা করি এবং লেদার টেকনোলজি শিখি। তাঁর স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য আমাকে ইতালি পাঠাবেন। কিন্তু আমি বাণিজ্যে চলে এলাম। সেই আশায় গুড়ে বালি। আমি মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। এখন এর জন্য কোনো আফসোস নেই। আমি নিশ্চিত, বাবা আমাকে নিয়ে গর্বিত যে কিছু একটা করতে পেরেছি। ছোটবেলা থেকে ভ্রমণের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। করপোরেট জগৎ নিয়ে তখনো কোনো স্বপ্ন ছিল না। তবে করপোরেট আমাকে ভ্রমণ করার সুযোগ দিয়েছে।

প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে নিয়োগপ্রক্রিয়া কেমন? প্রার্থী কীভাবে যাচাই করা হয়?

উত্তর: নিয়োগপ্রক্রিয়া পদের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়। এন্ট্রি-লেভেলে, অর্থাৎ নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামে আবেদন করলে প্রথমে একটি অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর দুই ধাপে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। হাজারো সিভি থেকে মাত্র ১৫-২০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। প্রার্থীরা প্রথমে বিজনেস কেস বিশ্লেষণ করেন। এর ভিত্তিতে প্রথম ইন্টারভিউ হয়। দ্বিতীয় ধাপে সিনিয়র লিডাররা ইন্টারভিউ নেন, এরপর সিএক্সওরা চূড়ান্ত নির্বাচন করেন।

মিড-লেভেলের নিয়োগপ্রক্রিয়াও পদের ওপর নির্ভর করে। কিছু পদের জন্য অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে হয় টেকনিক্যাল মূল্যায়ন। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পদের জন্য প্রার্থীকে প্রথমে দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পাওয়া যায়। আমাদের মূল্যায়নের নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। চূড়ান্ত মূল্যায়ন সেই অনুযায়ী হয়।

প্রশ্ন: নতুনদের কাছে প্রতিষ্ঠান কী প্রত্যাশা করে, তাদের আগ্রহ বেশি কী নিয়ে?

উত্তর: আমার অভিজ্ঞায়, শুধু গ্রামীণফোন নয়, বর্তমানে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কয়েকটি মৌলিক দক্ষতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। প্রথমত, শেখার ক্ষমতা এবং নিজেকে আপডেট রাখা। দ্বিতীয়ত, নতুন ধারণা গ্রহণ করার মানসিকতা এবং ইনোভেটিভ আইডিয়া বের করার সক্ষমতা। বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই নতুনদের চিন্তায় নতুনত্ব থাকা জরুরি। তৃতীয়ত, ক্যারিয়ার গড়তে হলে কঠোর পরিশ্রম অপরিহার্য।

এ সময়ের তরুণেরা শুধু চাকরি নয়; পারপাস-ড্রিভেন, অর্থাৎ উদ্দেশ্যনির্ভর কাজ করতে চায়। তারা জানতে চায়, প্রতিষ্ঠানটি কোন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না। পাশাপাশি তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগও খোঁজে, বিশেষ করে এআই ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রার্থীদের জানার আগ্রহ থাকবে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।

প্রশ্ন: বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ হয় এবং কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?

উত্তর: এটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। বিশেষভাবে নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামের নিয়োগ বছরের শেষ দিকে হয়। এ বছরের জন্য এ প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইনাল সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছি।

প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ কতটা এবং কী ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চাওয়া হয়?

উত্তর: শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি নির্ভর করে প্রার্থী কোন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন—টেকনোলজি, আইটি নাকি ফাইন্যান্সে। প্রতিটি বিভাগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। প্রার্থীদের মূল্যায়ন করার সময় বেশি গুরুত্ব দিই শেখার আগ্রহ, নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা এবং উদ্ভাবনী মনোভাবের ওপর। নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য। প্রতিবছর ১৫-২০ জন প্রার্থীকে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করি।

প্রশ্ন: প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং টেকনিক্যাল নাকি সফট স্কিল—কোন ধরনের দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়?

উত্তর: সফট ও হার্ড উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়। বর্তমানে টেকনিক্যাল স্কিল যেমন প্রয়োজন, তেমনি সফট স্কিলও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব কাজই কোলাবোরেটিভভাবে হয়। তাই সফট স্কিল না থাকলে কাজ সঠিকভাবে হয় না।

প্রশ্ন: আপনাদের বাছাইপ্রক্রিয়ায় যাঁরা বাদ পড়েন, তাঁদের কোথায় ঘাটতি পাওয়া যায় এবং তাঁদের জন্য পরামর্শ কী?

উত্তর: উদ্ভাবন ও শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। কারণ বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকতে হলে শুধু সিজিপিএ বা টেকনিক্যাল স্কিল নয়; সফট স্কিল, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং কোলাবোরেশন দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, এআই চলে এসেছে। শিক্ষার কারিকুলাম সময়ের সঙ্গে কি এগোচ্ছে?

উত্তর: কারিকুলামে নতুন বিষয় আনার জন্য প্রস্তুতি দরকার। টেলকো ইতিমধ্যে এআই ও অটোমেশন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন অনুভব করছে। আমরা ভাবছি, কীভাবে এআই ব্যবহার ও অটোমেশন উন্নত করা যায়। কারিকুলাম একটি বড় বিষয়, এটিকে চাইলেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে এআই ব্যবহার শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত, এটি নিয়ে কাজ হবে।

প্রশ্ন: কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে গ্রামীণফোন কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়?

উত্তর: আমাদের প্রচুর স্কিলভিত্তিক প্রশিক্ষণ হয়। আমরা টেলিনরের অংশ হওয়ায় উন্নত বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি আমাদের কাছে দ্রুত আসে এবং শিখতে পারি। নিয়মিত শেয়ারিং হয়। সুইডেন, নরওয়সহ অন্যান্য দেশের টিমের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় হয়। প্রকল্পভিত্তিক কাজের মাধ্যমে মিড-লেভেল ও ইয়াং জেনারেশনের কর্মীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছে। এসব তাদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে।

প্রশ্ন: লিডারশিপ বা ম্যানেজারিয়াল রোলে উন্নীত হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনে গাইডলাইন বা মেন্টরশিপ কেমন?

উত্তর: লেভেল অনুযায়ী এটি ভিন্ন হয়। গ্রামীণফোনে বিভিন্ন নিয়মিত ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম রয়েছে। সঙ্গে টেলিনরেরও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আছে, যেখানে আমরা নিয়মিত কর্মীদের পাঠাই। এ প্রশিক্ষণগুলো বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কর্মীদের লিডারশিপ ও ম্যানেজারিয়াল দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।

প্রশ্ন: গ্রামীণফোন তরুণদের কীভাবে উৎসাহিত করছে বা সহযোগিতা করছে?

উত্তর: যারা নতুন নতুন স্টার্টআপ আইডিয়া নিয়ে আসছে। গ্রামীণফোন তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। টেকনোলজিক্যাল, প্রয়োজনীয় স্কিল বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করছে। আমাদের একটি প্রোগ্রাম আছে, জিপি এক্সিলারেটর। এটি স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়া জিপি একাডেমির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন ডলারে আয় করছেন।

প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা এবং কর্মপরিবেশকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

উত্তর: গ্রামীণফোন যে সুযোগ-সুবিধা দেয়, তা খুব কম প্রতিষ্ঠান দিতে পারে। যাতায়াত, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা—সবকিছুই নিশ্চিত করা হয়। অফিসের বাতাসও পিউরিফাই করা হয়, যেন আমরা ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে পারি। শুধু ইনস্যুরেন্স নয়, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং হেলথকেয়ারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত ও কোলাবোরেটিভ কর্মপরিবেশ। মায়েদের জন্য প্রোপার ডে কেয়ার আছে। অনেক বাবাও বাচ্চাদের রাখেন ডে কেয়ারে। এ ছাড়া জিম, হেলথকেয়ার সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে টেলিকম খাতের কোন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর: আমরা এখন টেকনোলজির দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। পুরো দেশ ধীরে ধীরে এদিকে ঝুঁকছে। পরবর্তী ধাপে আমাদের ফোকাস থাকবে বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং অ্যাডভান্সড নলেজের ওপর।

প্রশ্ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাবিং ও বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে শিক্ষার্থীদের কতটা যুক্ত থাকা উচিত?

উত্তর: অনেক বেশি যুক্ত থাকা উচিত। নেটওয়ার্কিং ও কোলাবোরেশন শেখার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কার্যক্রম থেকে নেতৃত্বের দক্ষতাও বিকশিত হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে, ইভেন্ট আয়োজন করে—এসব অভিজ্ঞতা তাদের অনেক কিছু শেখায়।

প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

উত্তর: আমি বলব, যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। শুধু ক্যারিয়ার কিংবা ওপরে ওঠা নয়। কারণ ভালো না লাগলে সে কাজ করে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। শেখার ইচ্ছা থাকতে হবে। এ ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন—শর্টকাট নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাকায় ভূমিকম্পের গভীরতা ১০ কিলোমিটার কেন

মহাখালীতে চলন্ত বাসে দেওয়া হয় আগুন, হুড়োহুড়ি করে নেমে প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

বিমানবন্দরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ হজের মুয়াল্লিম গ্রেপ্তার

ট্রাম্প-মামদানির বৈঠকের পর ভারতের জন্য যে বার্তা দিলেন শশী থারুর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ