
দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন। তাঁর রয়েছে ২৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। নিজের কর্মজীবন, গ্রামীণফোনের নিয়োগপ্রক্রিয়া এবং নতুনদের ক্যারিয়ারের সুযোগ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান।
আব্দুর রাজ্জাক খান

প্রশ্ন: অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: প্রায় ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা। নেসলে আমার প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেখানে দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে শিখেছি কীভাবে মানবসম্পদ দিয়ে ব্যবসায় অবদান রাখা যায়। নেসলের পর ব্যাংক, ব্র্যাক, লাফার্জ, ইউনিলিভারসহ বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে কাজ করেছি। যেখানেই কাজ করেছি, নতুন কিছু শেখা এবং নতুন কিছু করাই আমার মোটিভেশন ছিল।
প্রশ্ন: মানবসম্পদ বিষয়ে আগ্রহ কীভাবে তৈরি হলো?
উত্তর: শুরুতে এইচআর সম্পর্কে তেমন জানতাম না। নেসলেতে যোগ দেওয়ার সময় পরিচালক আমার ইন্টারভিউ নেন। তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কী কাজ করতে চাও?’ বলেছিলাম, ‘যেখানে মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারব, সেখানে কাজ করতে চাই।’ এরপর তিনি মানবসম্পদ বিভাগ ঠিক করে দেন। সে সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল। এখানে কখনো বিরক্ত হইনি। এখন এটাই আমার ফিল্ড। এখানে কর্মীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।
প্রশ্ন: আপনাকে নিয়ে আপনার মা-বাবার কী স্বপ্ন ছিল? আপনি নিজে কী হতে চাইতেন?
উত্তর: বাবার একটি লেদার ফ্যাক্টরি ছিল। তিনি চাইতেন আমি বিজ্ঞানে পড়াশোনা করি এবং লেদার টেকনোলজি শিখি। তাঁর স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য আমাকে ইতালি পাঠাবেন। কিন্তু আমি বাণিজ্যে চলে এলাম। সেই আশায় গুড়ে বালি। আমি মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। এখন এর জন্য কোনো আফসোস নেই। আমি নিশ্চিত, বাবা আমাকে নিয়ে গর্বিত যে কিছু একটা করতে পেরেছি। ছোটবেলা থেকে ভ্রমণের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। করপোরেট জগৎ নিয়ে তখনো কোনো স্বপ্ন ছিল না। তবে করপোরেট আমাকে ভ্রমণ করার সুযোগ দিয়েছে।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে নিয়োগপ্রক্রিয়া কেমন? প্রার্থী কীভাবে যাচাই করা হয়?
উত্তর: নিয়োগপ্রক্রিয়া পদের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়। এন্ট্রি-লেভেলে, অর্থাৎ নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামে আবেদন করলে প্রথমে একটি অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর দুই ধাপে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। হাজারো সিভি থেকে মাত্র ১৫-২০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। প্রার্থীরা প্রথমে বিজনেস কেস বিশ্লেষণ করেন। এর ভিত্তিতে প্রথম ইন্টারভিউ হয়। দ্বিতীয় ধাপে সিনিয়র লিডাররা ইন্টারভিউ নেন, এরপর সিএক্সওরা চূড়ান্ত নির্বাচন করেন।
মিড-লেভেলের নিয়োগপ্রক্রিয়াও পদের ওপর নির্ভর করে। কিছু পদের জন্য অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে হয় টেকনিক্যাল মূল্যায়ন। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পদের জন্য প্রার্থীকে প্রথমে দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পাওয়া যায়। আমাদের মূল্যায়নের নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। চূড়ান্ত মূল্যায়ন সেই অনুযায়ী হয়।
প্রশ্ন: নতুনদের কাছে প্রতিষ্ঠান কী প্রত্যাশা করে, তাদের আগ্রহ বেশি কী নিয়ে?
উত্তর: আমার অভিজ্ঞায়, শুধু গ্রামীণফোন নয়, বর্তমানে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কয়েকটি মৌলিক দক্ষতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। প্রথমত, শেখার ক্ষমতা এবং নিজেকে আপডেট রাখা। দ্বিতীয়ত, নতুন ধারণা গ্রহণ করার মানসিকতা এবং ইনোভেটিভ আইডিয়া বের করার সক্ষমতা। বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই নতুনদের চিন্তায় নতুনত্ব থাকা জরুরি। তৃতীয়ত, ক্যারিয়ার গড়তে হলে কঠোর পরিশ্রম অপরিহার্য।
এ সময়ের তরুণেরা শুধু চাকরি নয়; পারপাস-ড্রিভেন, অর্থাৎ উদ্দেশ্যনির্ভর কাজ করতে চায়। তারা জানতে চায়, প্রতিষ্ঠানটি কোন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না। পাশাপাশি তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগও খোঁজে, বিশেষ করে এআই ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রার্থীদের জানার আগ্রহ থাকবে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।
প্রশ্ন: বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ হয় এবং কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?
উত্তর: এটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। বিশেষভাবে নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামের নিয়োগ বছরের শেষ দিকে হয়। এ বছরের জন্য এ প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইনাল সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছি।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ কতটা এবং কী ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চাওয়া হয়?
উত্তর: শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি নির্ভর করে প্রার্থী কোন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন—টেকনোলজি, আইটি নাকি ফাইন্যান্সে। প্রতিটি বিভাগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। প্রার্থীদের মূল্যায়ন করার সময় বেশি গুরুত্ব দিই শেখার আগ্রহ, নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা এবং উদ্ভাবনী মনোভাবের ওপর। নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য। প্রতিবছর ১৫-২০ জন প্রার্থীকে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করি।
প্রশ্ন: প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং টেকনিক্যাল নাকি সফট স্কিল—কোন ধরনের দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়?
উত্তর: সফট ও হার্ড উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়। বর্তমানে টেকনিক্যাল স্কিল যেমন প্রয়োজন, তেমনি সফট স্কিলও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব কাজই কোলাবোরেটিভভাবে হয়। তাই সফট স্কিল না থাকলে কাজ সঠিকভাবে হয় না।
প্রশ্ন: আপনাদের বাছাইপ্রক্রিয়ায় যাঁরা বাদ পড়েন, তাঁদের কোথায় ঘাটতি পাওয়া যায় এবং তাঁদের জন্য পরামর্শ কী?
উত্তর: উদ্ভাবন ও শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। কারণ বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকতে হলে শুধু সিজিপিএ বা টেকনিক্যাল স্কিল নয়; সফট স্কিল, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং কোলাবোরেশন দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, এআই চলে এসেছে। শিক্ষার কারিকুলাম সময়ের সঙ্গে কি এগোচ্ছে?
উত্তর: কারিকুলামে নতুন বিষয় আনার জন্য প্রস্তুতি দরকার। টেলকো ইতিমধ্যে এআই ও অটোমেশন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন অনুভব করছে। আমরা ভাবছি, কীভাবে এআই ব্যবহার ও অটোমেশন উন্নত করা যায়। কারিকুলাম একটি বড় বিষয়, এটিকে চাইলেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে এআই ব্যবহার শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত, এটি নিয়ে কাজ হবে।
প্রশ্ন: কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে গ্রামীণফোন কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়?
উত্তর: আমাদের প্রচুর স্কিলভিত্তিক প্রশিক্ষণ হয়। আমরা টেলিনরের অংশ হওয়ায় উন্নত বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি আমাদের কাছে দ্রুত আসে এবং শিখতে পারি। নিয়মিত শেয়ারিং হয়। সুইডেন, নরওয়সহ অন্যান্য দেশের টিমের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় হয়। প্রকল্পভিত্তিক কাজের মাধ্যমে মিড-লেভেল ও ইয়াং জেনারেশনের কর্মীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছে। এসব তাদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
প্রশ্ন: লিডারশিপ বা ম্যানেজারিয়াল রোলে উন্নীত হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনে গাইডলাইন বা মেন্টরশিপ কেমন?
উত্তর: লেভেল অনুযায়ী এটি ভিন্ন হয়। গ্রামীণফোনে বিভিন্ন নিয়মিত ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম রয়েছে। সঙ্গে টেলিনরেরও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আছে, যেখানে আমরা নিয়মিত কর্মীদের পাঠাই। এ প্রশিক্ষণগুলো বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কর্মীদের লিডারশিপ ও ম্যানেজারিয়াল দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোন তরুণদের কীভাবে উৎসাহিত করছে বা সহযোগিতা করছে?
উত্তর: যারা নতুন নতুন স্টার্টআপ আইডিয়া নিয়ে আসছে। গ্রামীণফোন তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। টেকনোলজিক্যাল, প্রয়োজনীয় স্কিল বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করছে। আমাদের একটি প্রোগ্রাম আছে, জিপি এক্সিলারেটর। এটি স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়া জিপি একাডেমির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন ডলারে আয় করছেন।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা এবং কর্মপরিবেশকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
উত্তর: গ্রামীণফোন যে সুযোগ-সুবিধা দেয়, তা খুব কম প্রতিষ্ঠান দিতে পারে। যাতায়াত, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা—সবকিছুই নিশ্চিত করা হয়। অফিসের বাতাসও পিউরিফাই করা হয়, যেন আমরা ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে পারি। শুধু ইনস্যুরেন্স নয়, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং হেলথকেয়ারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত ও কোলাবোরেটিভ কর্মপরিবেশ। মায়েদের জন্য প্রোপার ডে কেয়ার আছে। অনেক বাবাও বাচ্চাদের রাখেন ডে কেয়ারে। এ ছাড়া জিম, হেলথকেয়ার সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে টেলিকম খাতের কোন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: আমরা এখন টেকনোলজির দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। পুরো দেশ ধীরে ধীরে এদিকে ঝুঁকছে। পরবর্তী ধাপে আমাদের ফোকাস থাকবে বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং অ্যাডভান্সড নলেজের ওপর।
প্রশ্ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাবিং ও বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে শিক্ষার্থীদের কতটা যুক্ত থাকা উচিত?
উত্তর: অনেক বেশি যুক্ত থাকা উচিত। নেটওয়ার্কিং ও কোলাবোরেশন শেখার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কার্যক্রম থেকে নেতৃত্বের দক্ষতাও বিকশিত হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে, ইভেন্ট আয়োজন করে—এসব অভিজ্ঞতা তাদের অনেক কিছু শেখায়।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর: আমি বলব, যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। শুধু ক্যারিয়ার কিংবা ওপরে ওঠা নয়। কারণ ভালো না লাগলে সে কাজ করে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। শেখার ইচ্ছা থাকতে হবে। এ ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন—শর্টকাট নয়।
প্রশ্ন: অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: প্রায় ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা। নেসলে আমার প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেখানে দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে শিখেছি কীভাবে মানবসম্পদ দিয়ে ব্যবসায় অবদান রাখা যায়। নেসলের পর ব্যাংক, ব্র্যাক, লাফার্জ, ইউনিলিভারসহ বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে কাজ করেছি। যেখানেই কাজ করেছি, নতুন কিছু শেখা এবং নতুন কিছু করাই আমার মোটিভেশন ছিল।
প্রশ্ন: মানবসম্পদ বিষয়ে আগ্রহ কীভাবে তৈরি হলো?
উত্তর: শুরুতে এইচআর সম্পর্কে তেমন জানতাম না। নেসলেতে যোগ দেওয়ার সময় পরিচালক আমার ইন্টারভিউ নেন। তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কী কাজ করতে চাও?’ বলেছিলাম, ‘যেখানে মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারব, সেখানে কাজ করতে চাই।’ এরপর তিনি মানবসম্পদ বিভাগ ঠিক করে দেন। সে সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল। এখানে কখনো বিরক্ত হইনি। এখন এটাই আমার ফিল্ড। এখানে কর্মীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।
প্রশ্ন: আপনাকে নিয়ে আপনার মা-বাবার কী স্বপ্ন ছিল? আপনি নিজে কী হতে চাইতেন?
উত্তর: বাবার একটি লেদার ফ্যাক্টরি ছিল। তিনি চাইতেন আমি বিজ্ঞানে পড়াশোনা করি এবং লেদার টেকনোলজি শিখি। তাঁর স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য আমাকে ইতালি পাঠাবেন। কিন্তু আমি বাণিজ্যে চলে এলাম। সেই আশায় গুড়ে বালি। আমি মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। এখন এর জন্য কোনো আফসোস নেই। আমি নিশ্চিত, বাবা আমাকে নিয়ে গর্বিত যে কিছু একটা করতে পেরেছি। ছোটবেলা থেকে ভ্রমণের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। করপোরেট জগৎ নিয়ে তখনো কোনো স্বপ্ন ছিল না। তবে করপোরেট আমাকে ভ্রমণ করার সুযোগ দিয়েছে।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে নিয়োগপ্রক্রিয়া কেমন? প্রার্থী কীভাবে যাচাই করা হয়?
উত্তর: নিয়োগপ্রক্রিয়া পদের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়। এন্ট্রি-লেভেলে, অর্থাৎ নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামে আবেদন করলে প্রথমে একটি অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর দুই ধাপে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। হাজারো সিভি থেকে মাত্র ১৫-২০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। প্রার্থীরা প্রথমে বিজনেস কেস বিশ্লেষণ করেন। এর ভিত্তিতে প্রথম ইন্টারভিউ হয়। দ্বিতীয় ধাপে সিনিয়র লিডাররা ইন্টারভিউ নেন, এরপর সিএক্সওরা চূড়ান্ত নির্বাচন করেন।
মিড-লেভেলের নিয়োগপ্রক্রিয়াও পদের ওপর নির্ভর করে। কিছু পদের জন্য অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে হয় টেকনিক্যাল মূল্যায়ন। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পদের জন্য প্রার্থীকে প্রথমে দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পাওয়া যায়। আমাদের মূল্যায়নের নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। চূড়ান্ত মূল্যায়ন সেই অনুযায়ী হয়।
প্রশ্ন: নতুনদের কাছে প্রতিষ্ঠান কী প্রত্যাশা করে, তাদের আগ্রহ বেশি কী নিয়ে?
উত্তর: আমার অভিজ্ঞায়, শুধু গ্রামীণফোন নয়, বর্তমানে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কয়েকটি মৌলিক দক্ষতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। প্রথমত, শেখার ক্ষমতা এবং নিজেকে আপডেট রাখা। দ্বিতীয়ত, নতুন ধারণা গ্রহণ করার মানসিকতা এবং ইনোভেটিভ আইডিয়া বের করার সক্ষমতা। বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই নতুনদের চিন্তায় নতুনত্ব থাকা জরুরি। তৃতীয়ত, ক্যারিয়ার গড়তে হলে কঠোর পরিশ্রম অপরিহার্য।
এ সময়ের তরুণেরা শুধু চাকরি নয়; পারপাস-ড্রিভেন, অর্থাৎ উদ্দেশ্যনির্ভর কাজ করতে চায়। তারা জানতে চায়, প্রতিষ্ঠানটি কোন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না। পাশাপাশি তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগও খোঁজে, বিশেষ করে এআই ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রার্থীদের জানার আগ্রহ থাকবে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।
প্রশ্ন: বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ হয় এবং কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?
উত্তর: এটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। বিশেষভাবে নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামের নিয়োগ বছরের শেষ দিকে হয়। এ বছরের জন্য এ প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইনাল সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছি।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ কতটা এবং কী ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চাওয়া হয়?
উত্তর: শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি নির্ভর করে প্রার্থী কোন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন—টেকনোলজি, আইটি নাকি ফাইন্যান্সে। প্রতিটি বিভাগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। প্রার্থীদের মূল্যায়ন করার সময় বেশি গুরুত্ব দিই শেখার আগ্রহ, নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা এবং উদ্ভাবনী মনোভাবের ওপর। নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য। প্রতিবছর ১৫-২০ জন প্রার্থীকে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করি।
প্রশ্ন: প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং টেকনিক্যাল নাকি সফট স্কিল—কোন ধরনের দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়?
উত্তর: সফট ও হার্ড উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়। বর্তমানে টেকনিক্যাল স্কিল যেমন প্রয়োজন, তেমনি সফট স্কিলও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব কাজই কোলাবোরেটিভভাবে হয়। তাই সফট স্কিল না থাকলে কাজ সঠিকভাবে হয় না।
প্রশ্ন: আপনাদের বাছাইপ্রক্রিয়ায় যাঁরা বাদ পড়েন, তাঁদের কোথায় ঘাটতি পাওয়া যায় এবং তাঁদের জন্য পরামর্শ কী?
উত্তর: উদ্ভাবন ও শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। কারণ বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকতে হলে শুধু সিজিপিএ বা টেকনিক্যাল স্কিল নয়; সফট স্কিল, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং কোলাবোরেশন দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, এআই চলে এসেছে। শিক্ষার কারিকুলাম সময়ের সঙ্গে কি এগোচ্ছে?
উত্তর: কারিকুলামে নতুন বিষয় আনার জন্য প্রস্তুতি দরকার। টেলকো ইতিমধ্যে এআই ও অটোমেশন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন অনুভব করছে। আমরা ভাবছি, কীভাবে এআই ব্যবহার ও অটোমেশন উন্নত করা যায়। কারিকুলাম একটি বড় বিষয়, এটিকে চাইলেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে এআই ব্যবহার শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত, এটি নিয়ে কাজ হবে।
প্রশ্ন: কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে গ্রামীণফোন কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়?
উত্তর: আমাদের প্রচুর স্কিলভিত্তিক প্রশিক্ষণ হয়। আমরা টেলিনরের অংশ হওয়ায় উন্নত বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি আমাদের কাছে দ্রুত আসে এবং শিখতে পারি। নিয়মিত শেয়ারিং হয়। সুইডেন, নরওয়সহ অন্যান্য দেশের টিমের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় হয়। প্রকল্পভিত্তিক কাজের মাধ্যমে মিড-লেভেল ও ইয়াং জেনারেশনের কর্মীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছে। এসব তাদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
প্রশ্ন: লিডারশিপ বা ম্যানেজারিয়াল রোলে উন্নীত হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনে গাইডলাইন বা মেন্টরশিপ কেমন?
উত্তর: লেভেল অনুযায়ী এটি ভিন্ন হয়। গ্রামীণফোনে বিভিন্ন নিয়মিত ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম রয়েছে। সঙ্গে টেলিনরেরও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আছে, যেখানে আমরা নিয়মিত কর্মীদের পাঠাই। এ প্রশিক্ষণগুলো বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কর্মীদের লিডারশিপ ও ম্যানেজারিয়াল দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোন তরুণদের কীভাবে উৎসাহিত করছে বা সহযোগিতা করছে?
উত্তর: যারা নতুন নতুন স্টার্টআপ আইডিয়া নিয়ে আসছে। গ্রামীণফোন তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। টেকনোলজিক্যাল, প্রয়োজনীয় স্কিল বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করছে। আমাদের একটি প্রোগ্রাম আছে, জিপি এক্সিলারেটর। এটি স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়া জিপি একাডেমির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন ডলারে আয় করছেন।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা এবং কর্মপরিবেশকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
উত্তর: গ্রামীণফোন যে সুযোগ-সুবিধা দেয়, তা খুব কম প্রতিষ্ঠান দিতে পারে। যাতায়াত, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা—সবকিছুই নিশ্চিত করা হয়। অফিসের বাতাসও পিউরিফাই করা হয়, যেন আমরা ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে পারি। শুধু ইনস্যুরেন্স নয়, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং হেলথকেয়ারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত ও কোলাবোরেটিভ কর্মপরিবেশ। মায়েদের জন্য প্রোপার ডে কেয়ার আছে। অনেক বাবাও বাচ্চাদের রাখেন ডে কেয়ারে। এ ছাড়া জিম, হেলথকেয়ার সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে টেলিকম খাতের কোন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: আমরা এখন টেকনোলজির দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। পুরো দেশ ধীরে ধীরে এদিকে ঝুঁকছে। পরবর্তী ধাপে আমাদের ফোকাস থাকবে বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং অ্যাডভান্সড নলেজের ওপর।
প্রশ্ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাবিং ও বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে শিক্ষার্থীদের কতটা যুক্ত থাকা উচিত?
উত্তর: অনেক বেশি যুক্ত থাকা উচিত। নেটওয়ার্কিং ও কোলাবোরেশন শেখার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কার্যক্রম থেকে নেতৃত্বের দক্ষতাও বিকশিত হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে, ইভেন্ট আয়োজন করে—এসব অভিজ্ঞতা তাদের অনেক কিছু শেখায়।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর: আমি বলব, যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। শুধু ক্যারিয়ার কিংবা ওপরে ওঠা নয়। কারণ ভালো না লাগলে সে কাজ করে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। শেখার ইচ্ছা থাকতে হবে। এ ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন—শর্টকাট নয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন। তাঁর রয়েছে ২৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। নিজের কর্মজীবন, গ্রামীণফোনের নিয়োগপ্রক্রিয়া এবং নতুনদের ক্যারিয়ারের সুযোগ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান।
আব্দুর রাজ্জাক খান

প্রশ্ন: অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: প্রায় ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা। নেসলে আমার প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেখানে দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে শিখেছি কীভাবে মানবসম্পদ দিয়ে ব্যবসায় অবদান রাখা যায়। নেসলের পর ব্যাংক, ব্র্যাক, লাফার্জ, ইউনিলিভারসহ বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে কাজ করেছি। যেখানেই কাজ করেছি, নতুন কিছু শেখা এবং নতুন কিছু করাই আমার মোটিভেশন ছিল।
প্রশ্ন: মানবসম্পদ বিষয়ে আগ্রহ কীভাবে তৈরি হলো?
উত্তর: শুরুতে এইচআর সম্পর্কে তেমন জানতাম না। নেসলেতে যোগ দেওয়ার সময় পরিচালক আমার ইন্টারভিউ নেন। তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কী কাজ করতে চাও?’ বলেছিলাম, ‘যেখানে মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারব, সেখানে কাজ করতে চাই।’ এরপর তিনি মানবসম্পদ বিভাগ ঠিক করে দেন। সে সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল। এখানে কখনো বিরক্ত হইনি। এখন এটাই আমার ফিল্ড। এখানে কর্মীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।
প্রশ্ন: আপনাকে নিয়ে আপনার মা-বাবার কী স্বপ্ন ছিল? আপনি নিজে কী হতে চাইতেন?
উত্তর: বাবার একটি লেদার ফ্যাক্টরি ছিল। তিনি চাইতেন আমি বিজ্ঞানে পড়াশোনা করি এবং লেদার টেকনোলজি শিখি। তাঁর স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য আমাকে ইতালি পাঠাবেন। কিন্তু আমি বাণিজ্যে চলে এলাম। সেই আশায় গুড়ে বালি। আমি মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। এখন এর জন্য কোনো আফসোস নেই। আমি নিশ্চিত, বাবা আমাকে নিয়ে গর্বিত যে কিছু একটা করতে পেরেছি। ছোটবেলা থেকে ভ্রমণের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। করপোরেট জগৎ নিয়ে তখনো কোনো স্বপ্ন ছিল না। তবে করপোরেট আমাকে ভ্রমণ করার সুযোগ দিয়েছে।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে নিয়োগপ্রক্রিয়া কেমন? প্রার্থী কীভাবে যাচাই করা হয়?
উত্তর: নিয়োগপ্রক্রিয়া পদের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়। এন্ট্রি-লেভেলে, অর্থাৎ নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামে আবেদন করলে প্রথমে একটি অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর দুই ধাপে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। হাজারো সিভি থেকে মাত্র ১৫-২০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। প্রার্থীরা প্রথমে বিজনেস কেস বিশ্লেষণ করেন। এর ভিত্তিতে প্রথম ইন্টারভিউ হয়। দ্বিতীয় ধাপে সিনিয়র লিডাররা ইন্টারভিউ নেন, এরপর সিএক্সওরা চূড়ান্ত নির্বাচন করেন।
মিড-লেভেলের নিয়োগপ্রক্রিয়াও পদের ওপর নির্ভর করে। কিছু পদের জন্য অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে হয় টেকনিক্যাল মূল্যায়ন। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পদের জন্য প্রার্থীকে প্রথমে দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পাওয়া যায়। আমাদের মূল্যায়নের নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। চূড়ান্ত মূল্যায়ন সেই অনুযায়ী হয়।
প্রশ্ন: নতুনদের কাছে প্রতিষ্ঠান কী প্রত্যাশা করে, তাদের আগ্রহ বেশি কী নিয়ে?
উত্তর: আমার অভিজ্ঞায়, শুধু গ্রামীণফোন নয়, বর্তমানে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কয়েকটি মৌলিক দক্ষতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। প্রথমত, শেখার ক্ষমতা এবং নিজেকে আপডেট রাখা। দ্বিতীয়ত, নতুন ধারণা গ্রহণ করার মানসিকতা এবং ইনোভেটিভ আইডিয়া বের করার সক্ষমতা। বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই নতুনদের চিন্তায় নতুনত্ব থাকা জরুরি। তৃতীয়ত, ক্যারিয়ার গড়তে হলে কঠোর পরিশ্রম অপরিহার্য।
এ সময়ের তরুণেরা শুধু চাকরি নয়; পারপাস-ড্রিভেন, অর্থাৎ উদ্দেশ্যনির্ভর কাজ করতে চায়। তারা জানতে চায়, প্রতিষ্ঠানটি কোন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না। পাশাপাশি তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগও খোঁজে, বিশেষ করে এআই ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রার্থীদের জানার আগ্রহ থাকবে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।
প্রশ্ন: বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ হয় এবং কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?
উত্তর: এটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। বিশেষভাবে নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামের নিয়োগ বছরের শেষ দিকে হয়। এ বছরের জন্য এ প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইনাল সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছি।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ কতটা এবং কী ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চাওয়া হয়?
উত্তর: শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি নির্ভর করে প্রার্থী কোন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন—টেকনোলজি, আইটি নাকি ফাইন্যান্সে। প্রতিটি বিভাগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। প্রার্থীদের মূল্যায়ন করার সময় বেশি গুরুত্ব দিই শেখার আগ্রহ, নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা এবং উদ্ভাবনী মনোভাবের ওপর। নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য। প্রতিবছর ১৫-২০ জন প্রার্থীকে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করি।
প্রশ্ন: প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং টেকনিক্যাল নাকি সফট স্কিল—কোন ধরনের দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়?
উত্তর: সফট ও হার্ড উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়। বর্তমানে টেকনিক্যাল স্কিল যেমন প্রয়োজন, তেমনি সফট স্কিলও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব কাজই কোলাবোরেটিভভাবে হয়। তাই সফট স্কিল না থাকলে কাজ সঠিকভাবে হয় না।
প্রশ্ন: আপনাদের বাছাইপ্রক্রিয়ায় যাঁরা বাদ পড়েন, তাঁদের কোথায় ঘাটতি পাওয়া যায় এবং তাঁদের জন্য পরামর্শ কী?
উত্তর: উদ্ভাবন ও শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। কারণ বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকতে হলে শুধু সিজিপিএ বা টেকনিক্যাল স্কিল নয়; সফট স্কিল, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং কোলাবোরেশন দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, এআই চলে এসেছে। শিক্ষার কারিকুলাম সময়ের সঙ্গে কি এগোচ্ছে?
উত্তর: কারিকুলামে নতুন বিষয় আনার জন্য প্রস্তুতি দরকার। টেলকো ইতিমধ্যে এআই ও অটোমেশন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন অনুভব করছে। আমরা ভাবছি, কীভাবে এআই ব্যবহার ও অটোমেশন উন্নত করা যায়। কারিকুলাম একটি বড় বিষয়, এটিকে চাইলেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে এআই ব্যবহার শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত, এটি নিয়ে কাজ হবে।
প্রশ্ন: কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে গ্রামীণফোন কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়?
উত্তর: আমাদের প্রচুর স্কিলভিত্তিক প্রশিক্ষণ হয়। আমরা টেলিনরের অংশ হওয়ায় উন্নত বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি আমাদের কাছে দ্রুত আসে এবং শিখতে পারি। নিয়মিত শেয়ারিং হয়। সুইডেন, নরওয়সহ অন্যান্য দেশের টিমের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় হয়। প্রকল্পভিত্তিক কাজের মাধ্যমে মিড-লেভেল ও ইয়াং জেনারেশনের কর্মীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছে। এসব তাদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
প্রশ্ন: লিডারশিপ বা ম্যানেজারিয়াল রোলে উন্নীত হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনে গাইডলাইন বা মেন্টরশিপ কেমন?
উত্তর: লেভেল অনুযায়ী এটি ভিন্ন হয়। গ্রামীণফোনে বিভিন্ন নিয়মিত ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম রয়েছে। সঙ্গে টেলিনরেরও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আছে, যেখানে আমরা নিয়মিত কর্মীদের পাঠাই। এ প্রশিক্ষণগুলো বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কর্মীদের লিডারশিপ ও ম্যানেজারিয়াল দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোন তরুণদের কীভাবে উৎসাহিত করছে বা সহযোগিতা করছে?
উত্তর: যারা নতুন নতুন স্টার্টআপ আইডিয়া নিয়ে আসছে। গ্রামীণফোন তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। টেকনোলজিক্যাল, প্রয়োজনীয় স্কিল বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করছে। আমাদের একটি প্রোগ্রাম আছে, জিপি এক্সিলারেটর। এটি স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়া জিপি একাডেমির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন ডলারে আয় করছেন।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা এবং কর্মপরিবেশকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
উত্তর: গ্রামীণফোন যে সুযোগ-সুবিধা দেয়, তা খুব কম প্রতিষ্ঠান দিতে পারে। যাতায়াত, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা—সবকিছুই নিশ্চিত করা হয়। অফিসের বাতাসও পিউরিফাই করা হয়, যেন আমরা ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে পারি। শুধু ইনস্যুরেন্স নয়, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং হেলথকেয়ারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত ও কোলাবোরেটিভ কর্মপরিবেশ। মায়েদের জন্য প্রোপার ডে কেয়ার আছে। অনেক বাবাও বাচ্চাদের রাখেন ডে কেয়ারে। এ ছাড়া জিম, হেলথকেয়ার সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে টেলিকম খাতের কোন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: আমরা এখন টেকনোলজির দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। পুরো দেশ ধীরে ধীরে এদিকে ঝুঁকছে। পরবর্তী ধাপে আমাদের ফোকাস থাকবে বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং অ্যাডভান্সড নলেজের ওপর।
প্রশ্ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাবিং ও বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে শিক্ষার্থীদের কতটা যুক্ত থাকা উচিত?
উত্তর: অনেক বেশি যুক্ত থাকা উচিত। নেটওয়ার্কিং ও কোলাবোরেশন শেখার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কার্যক্রম থেকে নেতৃত্বের দক্ষতাও বিকশিত হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে, ইভেন্ট আয়োজন করে—এসব অভিজ্ঞতা তাদের অনেক কিছু শেখায়।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর: আমি বলব, যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। শুধু ক্যারিয়ার কিংবা ওপরে ওঠা নয়। কারণ ভালো না লাগলে সে কাজ করে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। শেখার ইচ্ছা থাকতে হবে। এ ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন—শর্টকাট নয়।
প্রশ্ন: অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: প্রায় ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা। নেসলে আমার প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেখানে দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে শিখেছি কীভাবে মানবসম্পদ দিয়ে ব্যবসায় অবদান রাখা যায়। নেসলের পর ব্যাংক, ব্র্যাক, লাফার্জ, ইউনিলিভারসহ বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে কাজ করেছি। যেখানেই কাজ করেছি, নতুন কিছু শেখা এবং নতুন কিছু করাই আমার মোটিভেশন ছিল।
প্রশ্ন: মানবসম্পদ বিষয়ে আগ্রহ কীভাবে তৈরি হলো?
উত্তর: শুরুতে এইচআর সম্পর্কে তেমন জানতাম না। নেসলেতে যোগ দেওয়ার সময় পরিচালক আমার ইন্টারভিউ নেন। তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কী কাজ করতে চাও?’ বলেছিলাম, ‘যেখানে মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারব, সেখানে কাজ করতে চাই।’ এরপর তিনি মানবসম্পদ বিভাগ ঠিক করে দেন। সে সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল। এখানে কখনো বিরক্ত হইনি। এখন এটাই আমার ফিল্ড। এখানে কর্মীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।
প্রশ্ন: আপনাকে নিয়ে আপনার মা-বাবার কী স্বপ্ন ছিল? আপনি নিজে কী হতে চাইতেন?
উত্তর: বাবার একটি লেদার ফ্যাক্টরি ছিল। তিনি চাইতেন আমি বিজ্ঞানে পড়াশোনা করি এবং লেদার টেকনোলজি শিখি। তাঁর স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য আমাকে ইতালি পাঠাবেন। কিন্তু আমি বাণিজ্যে চলে এলাম। সেই আশায় গুড়ে বালি। আমি মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। এখন এর জন্য কোনো আফসোস নেই। আমি নিশ্চিত, বাবা আমাকে নিয়ে গর্বিত যে কিছু একটা করতে পেরেছি। ছোটবেলা থেকে ভ্রমণের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। করপোরেট জগৎ নিয়ে তখনো কোনো স্বপ্ন ছিল না। তবে করপোরেট আমাকে ভ্রমণ করার সুযোগ দিয়েছে।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে নিয়োগপ্রক্রিয়া কেমন? প্রার্থী কীভাবে যাচাই করা হয়?
উত্তর: নিয়োগপ্রক্রিয়া পদের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়। এন্ট্রি-লেভেলে, অর্থাৎ নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামে আবেদন করলে প্রথমে একটি অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর দুই ধাপে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। হাজারো সিভি থেকে মাত্র ১৫-২০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। প্রার্থীরা প্রথমে বিজনেস কেস বিশ্লেষণ করেন। এর ভিত্তিতে প্রথম ইন্টারভিউ হয়। দ্বিতীয় ধাপে সিনিয়র লিডাররা ইন্টারভিউ নেন, এরপর সিএক্সওরা চূড়ান্ত নির্বাচন করেন।
মিড-লেভেলের নিয়োগপ্রক্রিয়াও পদের ওপর নির্ভর করে। কিছু পদের জন্য অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে হয় টেকনিক্যাল মূল্যায়ন। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পদের জন্য প্রার্থীকে প্রথমে দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পাওয়া যায়। আমাদের মূল্যায়নের নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। চূড়ান্ত মূল্যায়ন সেই অনুযায়ী হয়।
প্রশ্ন: নতুনদের কাছে প্রতিষ্ঠান কী প্রত্যাশা করে, তাদের আগ্রহ বেশি কী নিয়ে?
উত্তর: আমার অভিজ্ঞায়, শুধু গ্রামীণফোন নয়, বর্তমানে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কয়েকটি মৌলিক দক্ষতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। প্রথমত, শেখার ক্ষমতা এবং নিজেকে আপডেট রাখা। দ্বিতীয়ত, নতুন ধারণা গ্রহণ করার মানসিকতা এবং ইনোভেটিভ আইডিয়া বের করার সক্ষমতা। বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই নতুনদের চিন্তায় নতুনত্ব থাকা জরুরি। তৃতীয়ত, ক্যারিয়ার গড়তে হলে কঠোর পরিশ্রম অপরিহার্য।
এ সময়ের তরুণেরা শুধু চাকরি নয়; পারপাস-ড্রিভেন, অর্থাৎ উদ্দেশ্যনির্ভর কাজ করতে চায়। তারা জানতে চায়, প্রতিষ্ঠানটি কোন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না। পাশাপাশি তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগও খোঁজে, বিশেষ করে এআই ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রার্থীদের জানার আগ্রহ থাকবে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।
প্রশ্ন: বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ হয় এবং কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?
উত্তর: এটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। বিশেষভাবে নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামের নিয়োগ বছরের শেষ দিকে হয়। এ বছরের জন্য এ প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইনাল সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছি।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ কতটা এবং কী ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চাওয়া হয়?
উত্তর: শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি নির্ভর করে প্রার্থী কোন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন—টেকনোলজি, আইটি নাকি ফাইন্যান্সে। প্রতিটি বিভাগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। প্রার্থীদের মূল্যায়ন করার সময় বেশি গুরুত্ব দিই শেখার আগ্রহ, নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা এবং উদ্ভাবনী মনোভাবের ওপর। নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য। প্রতিবছর ১৫-২০ জন প্রার্থীকে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করি।
প্রশ্ন: প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং টেকনিক্যাল নাকি সফট স্কিল—কোন ধরনের দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়?
উত্তর: সফট ও হার্ড উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়। বর্তমানে টেকনিক্যাল স্কিল যেমন প্রয়োজন, তেমনি সফট স্কিলও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব কাজই কোলাবোরেটিভভাবে হয়। তাই সফট স্কিল না থাকলে কাজ সঠিকভাবে হয় না।
প্রশ্ন: আপনাদের বাছাইপ্রক্রিয়ায় যাঁরা বাদ পড়েন, তাঁদের কোথায় ঘাটতি পাওয়া যায় এবং তাঁদের জন্য পরামর্শ কী?
উত্তর: উদ্ভাবন ও শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। কারণ বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকতে হলে শুধু সিজিপিএ বা টেকনিক্যাল স্কিল নয়; সফট স্কিল, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং কোলাবোরেশন দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, এআই চলে এসেছে। শিক্ষার কারিকুলাম সময়ের সঙ্গে কি এগোচ্ছে?
উত্তর: কারিকুলামে নতুন বিষয় আনার জন্য প্রস্তুতি দরকার। টেলকো ইতিমধ্যে এআই ও অটোমেশন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন অনুভব করছে। আমরা ভাবছি, কীভাবে এআই ব্যবহার ও অটোমেশন উন্নত করা যায়। কারিকুলাম একটি বড় বিষয়, এটিকে চাইলেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে এআই ব্যবহার শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত, এটি নিয়ে কাজ হবে।
প্রশ্ন: কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে গ্রামীণফোন কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়?
উত্তর: আমাদের প্রচুর স্কিলভিত্তিক প্রশিক্ষণ হয়। আমরা টেলিনরের অংশ হওয়ায় উন্নত বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি আমাদের কাছে দ্রুত আসে এবং শিখতে পারি। নিয়মিত শেয়ারিং হয়। সুইডেন, নরওয়সহ অন্যান্য দেশের টিমের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় হয়। প্রকল্পভিত্তিক কাজের মাধ্যমে মিড-লেভেল ও ইয়াং জেনারেশনের কর্মীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছে। এসব তাদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
প্রশ্ন: লিডারশিপ বা ম্যানেজারিয়াল রোলে উন্নীত হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনে গাইডলাইন বা মেন্টরশিপ কেমন?
উত্তর: লেভেল অনুযায়ী এটি ভিন্ন হয়। গ্রামীণফোনে বিভিন্ন নিয়মিত ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম রয়েছে। সঙ্গে টেলিনরেরও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আছে, যেখানে আমরা নিয়মিত কর্মীদের পাঠাই। এ প্রশিক্ষণগুলো বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কর্মীদের লিডারশিপ ও ম্যানেজারিয়াল দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোন তরুণদের কীভাবে উৎসাহিত করছে বা সহযোগিতা করছে?
উত্তর: যারা নতুন নতুন স্টার্টআপ আইডিয়া নিয়ে আসছে। গ্রামীণফোন তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। টেকনোলজিক্যাল, প্রয়োজনীয় স্কিল বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করছে। আমাদের একটি প্রোগ্রাম আছে, জিপি এক্সিলারেটর। এটি স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়া জিপি একাডেমির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন ডলারে আয় করছেন।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা এবং কর্মপরিবেশকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
উত্তর: গ্রামীণফোন যে সুযোগ-সুবিধা দেয়, তা খুব কম প্রতিষ্ঠান দিতে পারে। যাতায়াত, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা—সবকিছুই নিশ্চিত করা হয়। অফিসের বাতাসও পিউরিফাই করা হয়, যেন আমরা ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে পারি। শুধু ইনস্যুরেন্স নয়, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং হেলথকেয়ারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত ও কোলাবোরেটিভ কর্মপরিবেশ। মায়েদের জন্য প্রোপার ডে কেয়ার আছে। অনেক বাবাও বাচ্চাদের রাখেন ডে কেয়ারে। এ ছাড়া জিম, হেলথকেয়ার সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে টেলিকম খাতের কোন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: আমরা এখন টেকনোলজির দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। পুরো দেশ ধীরে ধীরে এদিকে ঝুঁকছে। পরবর্তী ধাপে আমাদের ফোকাস থাকবে বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং অ্যাডভান্সড নলেজের ওপর।
প্রশ্ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাবিং ও বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে শিক্ষার্থীদের কতটা যুক্ত থাকা উচিত?
উত্তর: অনেক বেশি যুক্ত থাকা উচিত। নেটওয়ার্কিং ও কোলাবোরেশন শেখার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কার্যক্রম থেকে নেতৃত্বের দক্ষতাও বিকশিত হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে, ইভেন্ট আয়োজন করে—এসব অভিজ্ঞতা তাদের অনেক কিছু শেখায়।
প্রশ্ন: গ্রামীণফোনে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর: আমি বলব, যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। শুধু ক্যারিয়ার কিংবা ওপরে ওঠা নয়। কারণ ভালো না লাগলে সে কাজ করে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। শেখার ইচ্ছা থাকতে হবে। এ ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন—শর্টকাট নয়।

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন। তোমরা যে ফলাফলই করো না কেন, দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিশ্রমই বড় অর্জন। যারা ভালো ফল করেছ, তাদের জন্য এটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় অনুপ্রেরণা। আর যারা প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ১ হাজার ৫৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরে ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ৪৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসিতে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে উপমহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক একটি পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৮ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেজেসমিন আক্তার

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন। তোমরা যে ফলাফলই করো না কেন, দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিশ্রমই বড় অর্জন। যারা ভালো ফল করেছ, তাদের জন্য এটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় অনুপ্রেরণা। আর যারা প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ অর্থাৎ অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি। তাই এখন প্রয়োজন নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করা।
ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও প্রস্তুতির সময়
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণামতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। অর্থাৎ হাতে সময় মাত্র এক মাস ৮ দিন। এই সময়কে কাজে লাগাতে হবে পরিকল্পিতভাবে। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে, ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে পড়াশোনা ও রিভিশন দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় তথ্য না পড়ে সিলেবাসভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর এবং বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি
মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে। এসএসসির জন্য ৫০ নম্বর এবং এইচএসসির জন্য ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। বাকি ১০০ নম্বর এমসিকিউ পরীক্ষা। বিষয়ভিত্তিক বিভাজন হলো জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ১৫। প্রতি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর, ভুল উত্তরে ০.২৫ নম্বর কাটা হয়।
সময় ব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষার কৌশল
পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। মোট ১০০ প্রশ্ন। প্রতি প্রশ্নে মাত্র ৩৬ সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়। যেসব প্রশ্ন একদম সহজ, সেগুলো আগে সমাধান করতে হবে আর বিশ্লেষণমূলক বা জটিল প্রশ্ন পরে করার কৌশল কাজে দেয়। মনোযোগ ধরে রাখতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি।
মৌলিক ধারণার গুরুত্ব ও মূল বইয়ের প্রয়োগ
ভালো প্রস্তুতির মূল চাবিকাঠি হলো মৌলিক ধারণা বা বেসিক জ্ঞান। মূল বইয়ের সঙ্গে প্রশ্নব্যাংক ও অতিরিক্ত বইয়ের কৌশলী ব্যবহার করলে দ্রুত ও কার্যকর প্রস্তুতি সম্ভব। উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য আবুল হাসান প্রাণিবিজ্ঞানের জন্য গাজী আজমল, পদার্থবিজ্ঞানের জন্য ইসহাক এবং রসায়নের জন্য হাজারী স্যারের বই অনুসরণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য আবদুল আলিম ও প্রাণিবিজ্ঞানের জন্য মাজেদা বেগমের বইও অতিরিক্ত হিসেবে রাখা যেতে পারে। কারণ বিগত বছরগুলোতে এখান থেকেও দু-তিনটি করে প্রশ্ন এসেছে। প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং বিগত বছরের প্রশ্নের ধরন বোঝার মাধ্যমে প্রস্তুতি অনেক সহজ হয়।
অনুশীলনীর গুরুত্ব ও অতিরিক্ত বইয়ের ব্যবহার
মূল বই ও অতিরিক্ত বইয়ের অনুশীলনীতে শতভাগ দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক। পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রশ্ন অনুশীলনী থেকে আসে। অতিরিক্ত বইয়ের তথ্য দরকার হলে তা কৌশলীভাবে পড়া উচিত—বিশেষ করে বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন ঘিরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো, যেমন শৈবাল ও ছত্রাক অধ্যায়। তবে অতিরিক্ত বইয়ের সব তথ্য পড়ার চেষ্টা করা উচিত নয়, যাতে মূল বইয়ের ভিত্তি দুর্বল না হয়।
সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি, মক টেস্ট
সাধারণ জ্ঞান ও ইংরেজি অংশকে অবহেলা করা উচিত নয়। এগুলো মোট ৩০টি প্রশ্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিলে মোট নম্বর অনেক বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত মক টেস্ট দিয়ে নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করা, ভুলগুলো সমাধান করা এবং সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পরীক্ষার চাপ কমায়।
অনেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় ঘুম ও শরীরের যত্নকে অবহেলা করে, যা পড়াশোনার মান ও স্মৃতিশক্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মনে রাখবে, ভালো ঘুম মানেই ভালো মনোযোগ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম শরীর ও মস্তিষ্ককে পুনরুজ্জীবিত করে, ক্লান্তি দূর করে এবং শেখার ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত পানি পান, অল্প ব্যায়াম ও নিয়মিত বিশ্রামও খুব দরকারি। শরীরই তোমার অধ্যবসায়ের বাহন, তাকে যত্নে রাখলে মস্তিষ্কও থাকবে প্রখর। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুধু একটি পরীক্ষা নয়—এটি তোমার অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রমের পরীক্ষা। ধৈর্য রাখো, নিয়মিত চর্চা চালিয়ে যাও, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো।
সর্বশেষে, সবার জন্য আমার শুভকামনা রইল। মনে রাখবে ‘যদি লক্ষ্য থাকে, অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে, হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ে।’
জেসমিন আক্তার, এমবিবিএস ৩য় বর্ষ, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন। তোমরা যে ফলাফলই করো না কেন, দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিশ্রমই বড় অর্জন। যারা ভালো ফল করেছ, তাদের জন্য এটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় অনুপ্রেরণা। আর যারা প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ অর্থাৎ অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি। তাই এখন প্রয়োজন নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করা।
ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও প্রস্তুতির সময়
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণামতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। অর্থাৎ হাতে সময় মাত্র এক মাস ৮ দিন। এই সময়কে কাজে লাগাতে হবে পরিকল্পিতভাবে। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে, ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে পড়াশোনা ও রিভিশন দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় তথ্য না পড়ে সিলেবাসভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর এবং বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি
মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে। এসএসসির জন্য ৫০ নম্বর এবং এইচএসসির জন্য ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। বাকি ১০০ নম্বর এমসিকিউ পরীক্ষা। বিষয়ভিত্তিক বিভাজন হলো জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ১৫। প্রতি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর, ভুল উত্তরে ০.২৫ নম্বর কাটা হয়।
সময় ব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষার কৌশল
পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। মোট ১০০ প্রশ্ন। প্রতি প্রশ্নে মাত্র ৩৬ সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়। যেসব প্রশ্ন একদম সহজ, সেগুলো আগে সমাধান করতে হবে আর বিশ্লেষণমূলক বা জটিল প্রশ্ন পরে করার কৌশল কাজে দেয়। মনোযোগ ধরে রাখতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি।
মৌলিক ধারণার গুরুত্ব ও মূল বইয়ের প্রয়োগ
ভালো প্রস্তুতির মূল চাবিকাঠি হলো মৌলিক ধারণা বা বেসিক জ্ঞান। মূল বইয়ের সঙ্গে প্রশ্নব্যাংক ও অতিরিক্ত বইয়ের কৌশলী ব্যবহার করলে দ্রুত ও কার্যকর প্রস্তুতি সম্ভব। উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য আবুল হাসান প্রাণিবিজ্ঞানের জন্য গাজী আজমল, পদার্থবিজ্ঞানের জন্য ইসহাক এবং রসায়নের জন্য হাজারী স্যারের বই অনুসরণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য আবদুল আলিম ও প্রাণিবিজ্ঞানের জন্য মাজেদা বেগমের বইও অতিরিক্ত হিসেবে রাখা যেতে পারে। কারণ বিগত বছরগুলোতে এখান থেকেও দু-তিনটি করে প্রশ্ন এসেছে। প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং বিগত বছরের প্রশ্নের ধরন বোঝার মাধ্যমে প্রস্তুতি অনেক সহজ হয়।
অনুশীলনীর গুরুত্ব ও অতিরিক্ত বইয়ের ব্যবহার
মূল বই ও অতিরিক্ত বইয়ের অনুশীলনীতে শতভাগ দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক। পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রশ্ন অনুশীলনী থেকে আসে। অতিরিক্ত বইয়ের তথ্য দরকার হলে তা কৌশলীভাবে পড়া উচিত—বিশেষ করে বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন ঘিরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো, যেমন শৈবাল ও ছত্রাক অধ্যায়। তবে অতিরিক্ত বইয়ের সব তথ্য পড়ার চেষ্টা করা উচিত নয়, যাতে মূল বইয়ের ভিত্তি দুর্বল না হয়।
সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি, মক টেস্ট
সাধারণ জ্ঞান ও ইংরেজি অংশকে অবহেলা করা উচিত নয়। এগুলো মোট ৩০টি প্রশ্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিলে মোট নম্বর অনেক বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত মক টেস্ট দিয়ে নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করা, ভুলগুলো সমাধান করা এবং সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পরীক্ষার চাপ কমায়।
অনেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় ঘুম ও শরীরের যত্নকে অবহেলা করে, যা পড়াশোনার মান ও স্মৃতিশক্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মনে রাখবে, ভালো ঘুম মানেই ভালো মনোযোগ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম শরীর ও মস্তিষ্ককে পুনরুজ্জীবিত করে, ক্লান্তি দূর করে এবং শেখার ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত পানি পান, অল্প ব্যায়াম ও নিয়মিত বিশ্রামও খুব দরকারি। শরীরই তোমার অধ্যবসায়ের বাহন, তাকে যত্নে রাখলে মস্তিষ্কও থাকবে প্রখর। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুধু একটি পরীক্ষা নয়—এটি তোমার অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রমের পরীক্ষা। ধৈর্য রাখো, নিয়মিত চর্চা চালিয়ে যাও, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো।
সর্বশেষে, সবার জন্য আমার শুভকামনা রইল। মনে রাখবে ‘যদি লক্ষ্য থাকে, অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে, হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ে।’
জেসমিন আক্তার, এমবিবিএস ৩য় বর্ষ, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন। তাঁর রয়েছে ২৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ১ হাজার ৫৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরে ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ৪৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসিতে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে উপমহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক একটি পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৮ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেচাকরি ডেস্ক

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ১ হাজার ৫৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: সাহায্যকারী।
পদসংখ্যা: ১৫৯৬টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সরকার অনুমোদিত কারিগরি ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি সমমানের কারিগরি ট্রেড কোর্স পাস হতে হবে।
বেতন: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা।
বয়সসীমা: ১৮-৩২ বছর। বয়সের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
আবেদন ফি: ৫৬ টাকা।
শর্তাবলি
প্রার্থীরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগের পর ২ বছর সময়ের মধ্যে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। ওই প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচিতে অর্জিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী তাঁদেরকে সাহায্যকারীর শূন্য পদের বিপরীতে নিয়মিত নিয়োগ প্রদান করা হবে। সরকারি বা আধা বা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদেরকে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক আবেদন করতে হবে।
প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে কোনো কাগজপত্র প্রেরণ করতে হবে না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ে আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাদির সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদির মূলকপি ও ১ সেট সত্যায়িত কপি দাখিল করতে হবে। প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যাদি অসত্য বা ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হলে নিয়োগপ্রক্রিয়ার যেকোনো পর্যায়ে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ১ হাজার ৫৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: সাহায্যকারী।
পদসংখ্যা: ১৫৯৬টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সরকার অনুমোদিত কারিগরি ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি সমমানের কারিগরি ট্রেড কোর্স পাস হতে হবে।
বেতন: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা।
বয়সসীমা: ১৮-৩২ বছর। বয়সের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
আবেদন ফি: ৫৬ টাকা।
শর্তাবলি
প্রার্থীরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগের পর ২ বছর সময়ের মধ্যে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। ওই প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচিতে অর্জিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী তাঁদেরকে সাহায্যকারীর শূন্য পদের বিপরীতে নিয়মিত নিয়োগ প্রদান করা হবে। সরকারি বা আধা বা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদেরকে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক আবেদন করতে হবে।
প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে কোনো কাগজপত্র প্রেরণ করতে হবে না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ে আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাদির সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদির মূলকপি ও ১ সেট সত্যায়িত কপি দাখিল করতে হবে। প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যাদি অসত্য বা ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হলে নিয়োগপ্রক্রিয়ার যেকোনো পর্যায়ে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন। তাঁর রয়েছে ২৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার।
১ দিন আগে
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন। তোমরা যে ফলাফলই করো না কেন, দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিশ্রমই বড় অর্জন। যারা ভালো ফল করেছ, তাদের জন্য এটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় অনুপ্রেরণা। আর যারা প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
৩৪ মিনিট আগে
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরে ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ৪৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসিতে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে উপমহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক একটি পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৮ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেচাকরি ডেস্ক

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরে ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ৪৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ)।
পদসংখ্যা: ৪৮৩টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
অন্যান্য দক্ষতা: সরকারি ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা লাইভস্টক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১ বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩’-এর তফসিল-২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।
আবেদন ফি: ১১২ টাকা।
বয়সসীমা: ১৮-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
মৌখিক পরীক্ষার সময় নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রের মূল কপি প্রদর্শনপূর্বক প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা থেকে সব সনদের সত্যায়িত ছায়ালিপি দাখিল করতে হবে। এগুলো হলো: অনলাইন আবেদনপত্রের হার্ডকপি; সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি; সব শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার সনদ; জাতীয় পরিচয়পত্র; সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র; ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র বা সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ ও জন্মনিবন্ধন সনদ।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রমাণক হিসেবে সরকারের সর্বশেষ নির্দেশনা মোতাবেক উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ; শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক বা সমমর্যাদাসম্পন্ন বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিবন্ধী সনদ এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত সনদের এবং প্রার্থী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত সনদের কপি।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরে ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ৪৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ)।
পদসংখ্যা: ৪৮৩টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
অন্যান্য দক্ষতা: সরকারি ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা লাইভস্টক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১ বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩’-এর তফসিল-২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।
আবেদন ফি: ১১২ টাকা।
বয়সসীমা: ১৮-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
মৌখিক পরীক্ষার সময় নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রের মূল কপি প্রদর্শনপূর্বক প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা থেকে সব সনদের সত্যায়িত ছায়ালিপি দাখিল করতে হবে। এগুলো হলো: অনলাইন আবেদনপত্রের হার্ডকপি; সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি; সব শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার সনদ; জাতীয় পরিচয়পত্র; সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র; ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র বা সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ ও জন্মনিবন্ধন সনদ।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রমাণক হিসেবে সরকারের সর্বশেষ নির্দেশনা মোতাবেক উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ; শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক বা সমমর্যাদাসম্পন্ন বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিবন্ধী সনদ এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত সনদের এবং প্রার্থী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত সনদের কপি।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন। তাঁর রয়েছে ২৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার।
১ দিন আগে
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন। তোমরা যে ফলাফলই করো না কেন, দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিশ্রমই বড় অর্জন। যারা ভালো ফল করেছ, তাদের জন্য এটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় অনুপ্রেরণা। আর যারা প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ১ হাজার ৫৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসিতে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে উপমহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক একটি পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৮ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেচাকরি ডেস্ক

রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসিতে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে উপমহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক একটি পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৮ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
পদের নাম: চিফ সিকিউরিটি অফিসার (সিএসও)।
পদ সংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতা: প্রার্থীকে সেনা/নৌ/বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার/কমোডর/এয়ার কমোডর পদমর্যাদার অবসরপ্রাপ্ত বা কর্মরত অফিসার হতে হবে। সামরিক বাহিনীতে কমপক্ষে ২৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (২ বছর)।
বয়সসীমা: ৪০–৫৫ বছর।
শর্তাবলি: প্রার্থীদের আইটি-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ত্বরিত প্রতিক্রিয়া গ্রহণে পারদর্শী হতে হবে। নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ (যদি থাকে)। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। বাংলা ও ইংরেজিতে বাচনিক স্বচ্ছন্দ হতে হবে। পরিশ্রমী হতে হবে। স্বাভাবিক ডিজিটাল কার্যক্রমে স্বচ্ছন্দ হতে হবে। আগন্তুক/গ্রাহকদের সাথে সীমিত কথোপকথনের যোগ্যতা থাকতে হবে।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।
সুযোগ–সুবিধা: ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য: আবেদনপত্রের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, অভিজ্ঞতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত এবং ২ কপি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: সরাসরি (হাতে হাতে) অথবা ডাক/কুরিয়ারযোগে ‘মহাব্যবস্থাপক (এইচআর), জনতা ব্যাংক পিএলসি, প্রধান কার্যালয়, ১১০ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০’ বরাবর পাঠাতে হবে। শুধু শর্টলিস্ট করা প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারে আহ্বান জানানো হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসিতে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে উপমহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক একটি পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৮ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
পদের নাম: চিফ সিকিউরিটি অফিসার (সিএসও)।
পদ সংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতা: প্রার্থীকে সেনা/নৌ/বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার/কমোডর/এয়ার কমোডর পদমর্যাদার অবসরপ্রাপ্ত বা কর্মরত অফিসার হতে হবে। সামরিক বাহিনীতে কমপক্ষে ২৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (২ বছর)।
বয়সসীমা: ৪০–৫৫ বছর।
শর্তাবলি: প্রার্থীদের আইটি-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ত্বরিত প্রতিক্রিয়া গ্রহণে পারদর্শী হতে হবে। নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ (যদি থাকে)। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। বাংলা ও ইংরেজিতে বাচনিক স্বচ্ছন্দ হতে হবে। পরিশ্রমী হতে হবে। স্বাভাবিক ডিজিটাল কার্যক্রমে স্বচ্ছন্দ হতে হবে। আগন্তুক/গ্রাহকদের সাথে সীমিত কথোপকথনের যোগ্যতা থাকতে হবে।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।
সুযোগ–সুবিধা: ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য: আবেদনপত্রের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, অভিজ্ঞতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত এবং ২ কপি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: সরাসরি (হাতে হাতে) অথবা ডাক/কুরিয়ারযোগে ‘মহাব্যবস্থাপক (এইচআর), জনতা ব্যাংক পিএলসি, প্রধান কার্যালয়, ১১০ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০’ বরাবর পাঠাতে হবে। শুধু শর্টলিস্ট করা প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারে আহ্বান জানানো হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন। তাঁর রয়েছে ২৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার।
১ দিন আগে
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন। তোমরা যে ফলাফলই করো না কেন, দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিশ্রমই বড় অর্জন। যারা ভালো ফল করেছ, তাদের জন্য এটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় অনুপ্রেরণা। আর যারা প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ১ হাজার ৫৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরে ১ ক্যাটাগরির পদে মোট ৪৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে