আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে বদলে যাবে চাকরির বাজার। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মতো ক্ষেত্রে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কিছু প্রচলিত চাকরি বিলুপ্তির মুখে পড়বে। এই পরিবর্তনের জন্য এখনই নিজেকে প্রস্তুত করা দরকার।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিবেদনে আগামী পাঁচ বছরে শ্রমবাজারে আসন্ন পরিবর্তনগুলো নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছে। এই প্রতিবেদন থেকেই নিজের কোন কোন দক্ষতা বাড়ানো দরকার তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই প্রতিবেদনটির নাম হলো ‘দ্য ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট ২০২৫ ’। ২৯০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বিশদভাবে তুলে ধরেছে ভবিষ্যতের চাকরি এবং দক্ষতার ধরন। রিপোর্টটি বিশ্লেষণ করলেই স্পষ্ট হয় যে, ক্যারিয়ার এবং কাজের পরিবেশে বিপ্লব আনবে এআই এবং প্রযুক্তি। এই প্রতিবেদনটির মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
১. চাকরি সৃষ্টি ও হ্রাস
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ কোটি ২০ লাখ মিলিয়ন কর্মসংস্থান বিলুপ্ত হবে। তবে ১৭ কোটি নতুন চাকরি তৈরি হবে। ফলে মোট ৭ কোটি ৮০ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে। এআই, এআই, ফিনটেক, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৌশল বিষয়ক চাকরি বাড়বে। এ ছাড়া কেয়ার ইকোনমি–ও (স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা সংশ্লিষ্ট কাজ) ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
২. নতুন দক্ষতা
২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩৯ শতাংশ দক্ষতা অপ্রচলিত হয়ে যাবে। এর মধ্যে এআই, বিগ ডেটা, নেটওয়ার্ক, এবং সাইবার সিকিউরিটি দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো—সফট স্কিল যেমন সৃজনশীলতা, এবং নমনীয়তার-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষার গুরুত্বও আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ নিয়োগকর্তা বিশ্লেষণমূলক দক্ষতা কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেন।
৩. দক্ষতা বৃদ্ধি ও পুনঃ প্রশিক্ষণ
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫৯ শতাংশ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন হবে। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে ২৯ শতাংশ কর্মীকে বর্তমান কাজের জন্য দক্ষতা বাড়ানো হবে, ১৯ শতাংশ কর্মীকে নতুন কাজের জন্য প্রশিক্ষণ এবং ১১ শতাংশ কর্মীকে কর্মসংস্থানের জন্য পুনঃ প্রশিক্ষণ করতে হবে।
৪. নিয়োগকর্তাদের কৌশল
নতুন কর্মী আকর্ষণের জন্য ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করবে। এ ছাড়া, বৈচিত্র্য, সমতা, এবং অন্তর্ভুক্তি—যার প্রভাব বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে—তাও ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৫. এআই-এর প্রভাব
এআই এর মাধ্যমে কিছু কাজ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে, তবে এটি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এআই-এর জন্য দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী নিয়োগ করবে। তবে মনে রাখতে হবে যে, এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও মানসিক দক্ষতা ছাড়াও, সফট স্কিল যেমন: যোগাযোগ, সৃজনশীলতা, এবং সমস্যা সমাধান দক্ষতা অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
এই প্রতিবেদনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে, তা হলো—বৃদ্ধ জনসংখ্যা আগামী বছরে স্বাস্থ্য সেবার চাকরি এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়াবে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত চাকরিগুলো বৃদ্ধি পাবে। যেমন: স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সিং।
এই প্রতিবেদন অনুসারে এআই যুগে চাকরি পেতে যেসব দক্ষতা লাগবেই, সেগুলো হলো—
স্পষ্ট যোগাযোগ: এআই-এর বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এআই এবং গ্রাহকের সঙ্গে স্পষ্ট যোগাযোগের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সৃজনশীলতা এবং কল্পনা: এআই প্রযুক্তি এবং ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই সৃজনশীলতা ও কল্পনা আপনার কাজকে আরও উদ্ভাবনী করে তুলবে। এই দক্ষতার মাধ্যমে আপনি নতুন ধারণা এবং সমাধান তৈরি করতে পারবেন।
প্যাটার্ন শনাক্তকরণ: আপনার মস্তিষ্ক খুব ভালোভাবে প্যাটার্ন শনাক্ত করতে পারে এবং এআই ব্যবহার করার পরও এই দক্ষতাটি হারানো উচিত নয়। এটি আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে।
জটিল চিন্তাভাবনা: এআই শুধুমাত্র একটি টুল—তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার কাজ। আপনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা আপনিই নেবেন। কারণ এআই আপনাকে কেবল তথ্য ও প্রক্রিয়া দেওয়ার জন্য সহায়ক।
ধৈর্য: এআই টুলগুলো যতই উন্নত হোক, আপনাকে আরও সঠিক ফলাফল পাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।
তথ্যসূত্র: জেডনেট
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে বদলে যাবে চাকরির বাজার। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মতো ক্ষেত্রে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কিছু প্রচলিত চাকরি বিলুপ্তির মুখে পড়বে। এই পরিবর্তনের জন্য এখনই নিজেকে প্রস্তুত করা দরকার।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিবেদনে আগামী পাঁচ বছরে শ্রমবাজারে আসন্ন পরিবর্তনগুলো নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছে। এই প্রতিবেদন থেকেই নিজের কোন কোন দক্ষতা বাড়ানো দরকার তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই প্রতিবেদনটির নাম হলো ‘দ্য ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট ২০২৫ ’। ২৯০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বিশদভাবে তুলে ধরেছে ভবিষ্যতের চাকরি এবং দক্ষতার ধরন। রিপোর্টটি বিশ্লেষণ করলেই স্পষ্ট হয় যে, ক্যারিয়ার এবং কাজের পরিবেশে বিপ্লব আনবে এআই এবং প্রযুক্তি। এই প্রতিবেদনটির মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
১. চাকরি সৃষ্টি ও হ্রাস
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ কোটি ২০ লাখ মিলিয়ন কর্মসংস্থান বিলুপ্ত হবে। তবে ১৭ কোটি নতুন চাকরি তৈরি হবে। ফলে মোট ৭ কোটি ৮০ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে। এআই, এআই, ফিনটেক, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৌশল বিষয়ক চাকরি বাড়বে। এ ছাড়া কেয়ার ইকোনমি–ও (স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা সংশ্লিষ্ট কাজ) ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
২. নতুন দক্ষতা
২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩৯ শতাংশ দক্ষতা অপ্রচলিত হয়ে যাবে। এর মধ্যে এআই, বিগ ডেটা, নেটওয়ার্ক, এবং সাইবার সিকিউরিটি দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো—সফট স্কিল যেমন সৃজনশীলতা, এবং নমনীয়তার-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষার গুরুত্বও আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ নিয়োগকর্তা বিশ্লেষণমূলক দক্ষতা কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেন।
৩. দক্ষতা বৃদ্ধি ও পুনঃ প্রশিক্ষণ
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫৯ শতাংশ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন হবে। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে ২৯ শতাংশ কর্মীকে বর্তমান কাজের জন্য দক্ষতা বাড়ানো হবে, ১৯ শতাংশ কর্মীকে নতুন কাজের জন্য প্রশিক্ষণ এবং ১১ শতাংশ কর্মীকে কর্মসংস্থানের জন্য পুনঃ প্রশিক্ষণ করতে হবে।
৪. নিয়োগকর্তাদের কৌশল
নতুন কর্মী আকর্ষণের জন্য ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করবে। এ ছাড়া, বৈচিত্র্য, সমতা, এবং অন্তর্ভুক্তি—যার প্রভাব বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে—তাও ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৫. এআই-এর প্রভাব
এআই এর মাধ্যমে কিছু কাজ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে, তবে এটি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এআই-এর জন্য দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী নিয়োগ করবে। তবে মনে রাখতে হবে যে, এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও মানসিক দক্ষতা ছাড়াও, সফট স্কিল যেমন: যোগাযোগ, সৃজনশীলতা, এবং সমস্যা সমাধান দক্ষতা অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
এই প্রতিবেদনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে, তা হলো—বৃদ্ধ জনসংখ্যা আগামী বছরে স্বাস্থ্য সেবার চাকরি এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়াবে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত চাকরিগুলো বৃদ্ধি পাবে। যেমন: স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সিং।
এই প্রতিবেদন অনুসারে এআই যুগে চাকরি পেতে যেসব দক্ষতা লাগবেই, সেগুলো হলো—
স্পষ্ট যোগাযোগ: এআই-এর বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এআই এবং গ্রাহকের সঙ্গে স্পষ্ট যোগাযোগের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সৃজনশীলতা এবং কল্পনা: এআই প্রযুক্তি এবং ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই সৃজনশীলতা ও কল্পনা আপনার কাজকে আরও উদ্ভাবনী করে তুলবে। এই দক্ষতার মাধ্যমে আপনি নতুন ধারণা এবং সমাধান তৈরি করতে পারবেন।
প্যাটার্ন শনাক্তকরণ: আপনার মস্তিষ্ক খুব ভালোভাবে প্যাটার্ন শনাক্ত করতে পারে এবং এআই ব্যবহার করার পরও এই দক্ষতাটি হারানো উচিত নয়। এটি আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে।
জটিল চিন্তাভাবনা: এআই শুধুমাত্র একটি টুল—তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার কাজ। আপনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা আপনিই নেবেন। কারণ এআই আপনাকে কেবল তথ্য ও প্রক্রিয়া দেওয়ার জন্য সহায়ক।
ধৈর্য: এআই টুলগুলো যতই উন্নত হোক, আপনাকে আরও সঠিক ফলাফল পাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।
তথ্যসূত্র: জেডনেট
জীবন বীমা কর্পোরেশনে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কর্পোরেশনের ৩ ধরনের শূন্য পদে মোট ৫৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৫ মিনিট আগেঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ ধরনের শূন্য পদে মোট ১৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগেঅর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা (পশ্চিম) কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৯ ধরনের শূন্য পদে মোট ৬৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৮ এপ্রিল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেরপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৪ ধরনের শূন্য পদে মোট ৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগে