মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

প্রশ্ন: সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
মিজানুর রহমান, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
উত্তর: মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
উল্লিখিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি দিয়ে বর্ণিত পরিমাণ অনুযায়ী দান করলে সর্বসম্মতিক্রমে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সরাসরি খাদ্য না দিয়ে তার বাজারমূল্য দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিয়ি ও আহমদ (রহ.)-এর মতে মূল্য দেওয়া যাবে না, সরাসরি খাদ্যপণ্য দিতে হবে। (আল মুগনি, কিতাবুল ফুরু)
তবে ইমাম আবু হানিফাসহ হানাফি মাজহাবের সব ফকিহ, হাসান বসরি, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, সুফইয়ান সাওরি, ইমাম বুখারি (রহ.)সহ অসংখ্য ইমামের মতে, হাদিসে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্যসমূহের মূল্য দিয়েও সদকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা উত্তম। (ফিকহুল ইবাদাত আলাল মাজহাবিল হানাফিয়ি)
আরেক দল আলিম বলেন, সাধারণ অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু গরিবদের যদি খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে নগদ টাকাপয়সার জরুরত বেশি হয়, তখন টাকা দিয়ে আদায় করা জায়েজ। এটাই ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর মত। (হুকমু ইখরাজি জাকাতিল ফিতরি নকদান)
বোঝা গেল, অনেক আলিমের মতে, টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় সঠিক। এ বিষয়ে তাঁরা কয়েকটি প্রমাণ পেশ করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
সহিহ বুখারির শিরোনামে এসেছে, মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামেনবাসীদের বললেন, ‘তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে সদকাস্বরূপ নিয়ে আসো। এটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদিনায় নবী (সা.)-এর সাহাবিগণের জন্যও উত্তম।’ এ কথার ব্যাখ্যায় বুখারি শরিফের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, ‘মূল্য দিয়ে জাকাত ও সদাকাতুল ফিতর দেওয়া জায়েজ হওয়ার পক্ষে এই বর্ণনা আমাদের ইমামগণের দলিল। এ জন্যই ইবনে রুশাইদ (রহ.) বলেন, হানাফি মাজহাবের সঙ্গে অনেক মাসআলায় ইমাম বুখারির মতানৈক্য থাকলেও দলিলের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় এই মাসআলায় তিনি হানাফি মাজহাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’ (উমদাতুল কারি)
বিভিন্ন বর্ণনা ও মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, মুআজ (রা.) এমনটি করেছিলেন রাসুল (সা.)-এর জীবদ্দশাতেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১০৫৩৮; কিতাবুল আমওয়াল, আবু উবাইদ, পৃ-৪৫৬; তাহকিকুল আমাল ফি ইখরাজি জাকাতিল ফিতির বিল মাল, আহমাদ আলগুমারি, পৃ-৫২)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস কুররা (রহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)-এর ফরমান পৌঁছেছে যে সদকাতুল ফিতর হচ্ছে প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) ব্যক্তির পক্ষ হতে অর্ধ সা গম কিংবা তার মূল্য হিসাবে অর্ধ দিরহাম প্রদান করা।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
বিশিষ্ট তাবেয়ি আবু ইসহাক (রহ.) যিনি ৩০-এরও অধিক সাহাবি থেকে সরাসরি হাদিস বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (সাহাবা-তাবেয়িগণকে) খাবারের মূল্য দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে দেখেছি।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
উল্লিখিত প্রমাণসমূহ এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় হানাফি মাজহাবের বাইরেরও অনেক গবেষক আলেম টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উত্তর দিয়েছেন: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
মিজানুর রহমান, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
উত্তর: মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
উল্লিখিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি দিয়ে বর্ণিত পরিমাণ অনুযায়ী দান করলে সর্বসম্মতিক্রমে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সরাসরি খাদ্য না দিয়ে তার বাজারমূল্য দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিয়ি ও আহমদ (রহ.)-এর মতে মূল্য দেওয়া যাবে না, সরাসরি খাদ্যপণ্য দিতে হবে। (আল মুগনি, কিতাবুল ফুরু)
তবে ইমাম আবু হানিফাসহ হানাফি মাজহাবের সব ফকিহ, হাসান বসরি, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, সুফইয়ান সাওরি, ইমাম বুখারি (রহ.)সহ অসংখ্য ইমামের মতে, হাদিসে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্যসমূহের মূল্য দিয়েও সদকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা উত্তম। (ফিকহুল ইবাদাত আলাল মাজহাবিল হানাফিয়ি)
আরেক দল আলিম বলেন, সাধারণ অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু গরিবদের যদি খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে নগদ টাকাপয়সার জরুরত বেশি হয়, তখন টাকা দিয়ে আদায় করা জায়েজ। এটাই ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর মত। (হুকমু ইখরাজি জাকাতিল ফিতরি নকদান)
বোঝা গেল, অনেক আলিমের মতে, টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় সঠিক। এ বিষয়ে তাঁরা কয়েকটি প্রমাণ পেশ করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
সহিহ বুখারির শিরোনামে এসেছে, মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামেনবাসীদের বললেন, ‘তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে সদকাস্বরূপ নিয়ে আসো। এটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদিনায় নবী (সা.)-এর সাহাবিগণের জন্যও উত্তম।’ এ কথার ব্যাখ্যায় বুখারি শরিফের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, ‘মূল্য দিয়ে জাকাত ও সদাকাতুল ফিতর দেওয়া জায়েজ হওয়ার পক্ষে এই বর্ণনা আমাদের ইমামগণের দলিল। এ জন্যই ইবনে রুশাইদ (রহ.) বলেন, হানাফি মাজহাবের সঙ্গে অনেক মাসআলায় ইমাম বুখারির মতানৈক্য থাকলেও দলিলের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় এই মাসআলায় তিনি হানাফি মাজহাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’ (উমদাতুল কারি)
বিভিন্ন বর্ণনা ও মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, মুআজ (রা.) এমনটি করেছিলেন রাসুল (সা.)-এর জীবদ্দশাতেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১০৫৩৮; কিতাবুল আমওয়াল, আবু উবাইদ, পৃ-৪৫৬; তাহকিকুল আমাল ফি ইখরাজি জাকাতিল ফিতির বিল মাল, আহমাদ আলগুমারি, পৃ-৫২)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস কুররা (রহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)-এর ফরমান পৌঁছেছে যে সদকাতুল ফিতর হচ্ছে প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) ব্যক্তির পক্ষ হতে অর্ধ সা গম কিংবা তার মূল্য হিসাবে অর্ধ দিরহাম প্রদান করা।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
বিশিষ্ট তাবেয়ি আবু ইসহাক (রহ.) যিনি ৩০-এরও অধিক সাহাবি থেকে সরাসরি হাদিস বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (সাহাবা-তাবেয়িগণকে) খাবারের মূল্য দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে দেখেছি।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
উল্লিখিত প্রমাণসমূহ এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় হানাফি মাজহাবের বাইরেরও অনেক গবেষক আলেম টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উত্তর দিয়েছেন: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

প্রশ্ন: সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
মিজানুর রহমান, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
উত্তর: মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
উল্লিখিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি দিয়ে বর্ণিত পরিমাণ অনুযায়ী দান করলে সর্বসম্মতিক্রমে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সরাসরি খাদ্য না দিয়ে তার বাজারমূল্য দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিয়ি ও আহমদ (রহ.)-এর মতে মূল্য দেওয়া যাবে না, সরাসরি খাদ্যপণ্য দিতে হবে। (আল মুগনি, কিতাবুল ফুরু)
তবে ইমাম আবু হানিফাসহ হানাফি মাজহাবের সব ফকিহ, হাসান বসরি, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, সুফইয়ান সাওরি, ইমাম বুখারি (রহ.)সহ অসংখ্য ইমামের মতে, হাদিসে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্যসমূহের মূল্য দিয়েও সদকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা উত্তম। (ফিকহুল ইবাদাত আলাল মাজহাবিল হানাফিয়ি)
আরেক দল আলিম বলেন, সাধারণ অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু গরিবদের যদি খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে নগদ টাকাপয়সার জরুরত বেশি হয়, তখন টাকা দিয়ে আদায় করা জায়েজ। এটাই ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর মত। (হুকমু ইখরাজি জাকাতিল ফিতরি নকদান)
বোঝা গেল, অনেক আলিমের মতে, টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় সঠিক। এ বিষয়ে তাঁরা কয়েকটি প্রমাণ পেশ করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
সহিহ বুখারির শিরোনামে এসেছে, মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামেনবাসীদের বললেন, ‘তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে সদকাস্বরূপ নিয়ে আসো। এটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদিনায় নবী (সা.)-এর সাহাবিগণের জন্যও উত্তম।’ এ কথার ব্যাখ্যায় বুখারি শরিফের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, ‘মূল্য দিয়ে জাকাত ও সদাকাতুল ফিতর দেওয়া জায়েজ হওয়ার পক্ষে এই বর্ণনা আমাদের ইমামগণের দলিল। এ জন্যই ইবনে রুশাইদ (রহ.) বলেন, হানাফি মাজহাবের সঙ্গে অনেক মাসআলায় ইমাম বুখারির মতানৈক্য থাকলেও দলিলের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় এই মাসআলায় তিনি হানাফি মাজহাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’ (উমদাতুল কারি)
বিভিন্ন বর্ণনা ও মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, মুআজ (রা.) এমনটি করেছিলেন রাসুল (সা.)-এর জীবদ্দশাতেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১০৫৩৮; কিতাবুল আমওয়াল, আবু উবাইদ, পৃ-৪৫৬; তাহকিকুল আমাল ফি ইখরাজি জাকাতিল ফিতির বিল মাল, আহমাদ আলগুমারি, পৃ-৫২)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস কুররা (রহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)-এর ফরমান পৌঁছেছে যে সদকাতুল ফিতর হচ্ছে প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) ব্যক্তির পক্ষ হতে অর্ধ সা গম কিংবা তার মূল্য হিসাবে অর্ধ দিরহাম প্রদান করা।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
বিশিষ্ট তাবেয়ি আবু ইসহাক (রহ.) যিনি ৩০-এরও অধিক সাহাবি থেকে সরাসরি হাদিস বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (সাহাবা-তাবেয়িগণকে) খাবারের মূল্য দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে দেখেছি।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
উল্লিখিত প্রমাণসমূহ এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় হানাফি মাজহাবের বাইরেরও অনেক গবেষক আলেম টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উত্তর দিয়েছেন: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
মিজানুর রহমান, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
উত্তর: মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
উল্লিখিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি দিয়ে বর্ণিত পরিমাণ অনুযায়ী দান করলে সর্বসম্মতিক্রমে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সরাসরি খাদ্য না দিয়ে তার বাজারমূল্য দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিয়ি ও আহমদ (রহ.)-এর মতে মূল্য দেওয়া যাবে না, সরাসরি খাদ্যপণ্য দিতে হবে। (আল মুগনি, কিতাবুল ফুরু)
তবে ইমাম আবু হানিফাসহ হানাফি মাজহাবের সব ফকিহ, হাসান বসরি, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, সুফইয়ান সাওরি, ইমাম বুখারি (রহ.)সহ অসংখ্য ইমামের মতে, হাদিসে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্যসমূহের মূল্য দিয়েও সদকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা উত্তম। (ফিকহুল ইবাদাত আলাল মাজহাবিল হানাফিয়ি)
আরেক দল আলিম বলেন, সাধারণ অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু গরিবদের যদি খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে নগদ টাকাপয়সার জরুরত বেশি হয়, তখন টাকা দিয়ে আদায় করা জায়েজ। এটাই ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর মত। (হুকমু ইখরাজি জাকাতিল ফিতরি নকদান)
বোঝা গেল, অনেক আলিমের মতে, টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় সঠিক। এ বিষয়ে তাঁরা কয়েকটি প্রমাণ পেশ করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
সহিহ বুখারির শিরোনামে এসেছে, মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামেনবাসীদের বললেন, ‘তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে সদকাস্বরূপ নিয়ে আসো। এটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদিনায় নবী (সা.)-এর সাহাবিগণের জন্যও উত্তম।’ এ কথার ব্যাখ্যায় বুখারি শরিফের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, ‘মূল্য দিয়ে জাকাত ও সদাকাতুল ফিতর দেওয়া জায়েজ হওয়ার পক্ষে এই বর্ণনা আমাদের ইমামগণের দলিল। এ জন্যই ইবনে রুশাইদ (রহ.) বলেন, হানাফি মাজহাবের সঙ্গে অনেক মাসআলায় ইমাম বুখারির মতানৈক্য থাকলেও দলিলের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় এই মাসআলায় তিনি হানাফি মাজহাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’ (উমদাতুল কারি)
বিভিন্ন বর্ণনা ও মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, মুআজ (রা.) এমনটি করেছিলেন রাসুল (সা.)-এর জীবদ্দশাতেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১০৫৩৮; কিতাবুল আমওয়াল, আবু উবাইদ, পৃ-৪৫৬; তাহকিকুল আমাল ফি ইখরাজি জাকাতিল ফিতির বিল মাল, আহমাদ আলগুমারি, পৃ-৫২)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস কুররা (রহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)-এর ফরমান পৌঁছেছে যে সদকাতুল ফিতর হচ্ছে প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) ব্যক্তির পক্ষ হতে অর্ধ সা গম কিংবা তার মূল্য হিসাবে অর্ধ দিরহাম প্রদান করা।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
বিশিষ্ট তাবেয়ি আবু ইসহাক (রহ.) যিনি ৩০-এরও অধিক সাহাবি থেকে সরাসরি হাদিস বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (সাহাবা-তাবেয়িগণকে) খাবারের মূল্য দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে দেখেছি।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
উল্লিখিত প্রমাণসমূহ এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় হানাফি মাজহাবের বাইরেরও অনেক গবেষক আলেম টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উত্তর দিয়েছেন: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

প্রশ্ন: সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই। মিজানুর রহমান, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
২৯ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রশ্ন: সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই। মিজানুর রহমান, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
২৯ মার্চ ২০২৪
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১৫ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

প্রশ্ন: সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই। মিজানুর রহমান, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
২৯ মার্চ ২০২৪
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

প্রশ্ন: সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই। মিজানুর রহমান, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
২৯ মার্চ ২০২৪
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে