ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব প্রাসঙ্গিক আলোচনাসহ তুলে ধরা হলো—
লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব
পার্থিব জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় হলো আর্থিক লেনদেন। লেনদেনের আরবি প্রতিশব্দ মুআমালাত। ইসলামে মুআমালাত তথা লেনদেনের গুরুত্ব অনেক বেশি। মহানবী (সা.)-এর জীবন ছিল পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষিত। লেনদেনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সততা ও স্বচ্ছতা তাঁকে ইসলামপূর্ব যুগে ‘আল-আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
এ বিষয়ে কিয়ামতের ময়দানে দুটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া কাউকে এক ধাপও সামনে যেতে দেওয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করা হবে—‘কীভাবে উপার্জন করেছ এবং কোথায় খরচ করেছ?’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানবসন্তানের পা ওঠাতে দেওয়া হবে না। এক. জীবন কীভাবে শেষ করেছ। দুই. যৌবন কীভাবে বিদায় করেছ। তিন. ধনসম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছ। চার. কোন পথে তা ব্যয় করেছ। পাঁচ. অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছ।’ (তিরমিজি: ২৪১৬)
অস্বচ্ছতা দোয়া কবুলের অন্তরায়
লেনদেনে অসততা ও অস্বচ্ছতার কারণে দোয়া ও ইবাদত কবুল হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) একজন লোকের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে—সে দীর্ঘ পথ সফর করে এসেছে। চুলগুলো এলোমেলো ও শরীর ধুলোয় ধূসরিত। আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করছে—হে আমার রব, হে আমার রব। অথচ তার খাদ্য-পানীয় হারাম, পোশাকপরিচ্ছদ হারাম; তাহলে কীভাবে তার দোয়া কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১০১৫)
একইভাবে অবৈধ উপার্জনকারীর ইবাদতও কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে, ‘অজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না আর আত্মসাৎ করা সম্পদের সদকাও কবুল হয় না।’ (মুসলিম: ২২৪)
অস্বচ্ছ ও হারাম সম্পদ দ্বারা গড়ে ওঠা শরীর জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম সম্পদ দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান’ (আহমাদ: ১৪৪৪১)
অস্বচ্ছতা ইবাদত নষ্ট করে
আর্থিক অস্বচ্ছতা ইবাদত-বন্দেগিতে প্রভাব ফেলে। পরকালীন জীবনে ইবাদতকে মূল্যহীন ও অন্তঃসারশূন্য করে তোলে। অর্থবিত্তসহ লেনদেনের সামগ্রিক অস্বচ্ছতা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো, দরিদ্র কে?’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আমাদের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যার কোনো অর্থ ও সম্পদ নেই।’ তিনি (রাসুল) বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, জাকাত নিয়ে আসবে। সে আরও নিয়ে আসবে—অন্যকে এই পরিমাণ গালি দিয়েছে, এই পরিমাণ মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এই পরিমাণ সম্পদ খেয়েছে, এই পরিমাণ রক্ত প্রবাহিত করেছে, অন্যকে এই পরিমাণ প্রহার করেছে। তার নেকি থেকে সেই পরিমাণ (ক্ষতিগ্রস্তকে) প্রদান করা হবে। তার দায় শেষ হওয়ার আগেই যদি তার নেকি শেষ হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাপ পাওনা অনুসারে ওই ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সে এই পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামে যাবে।’ (মুসলিম: ২৫৮১)
অসততার পথ খোলে যেভাবে
বিভিন্নভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা নষ্ট হয়। যেমন অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা, জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ দখল করা, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, ঋণ পরিশোধ না করা, অন্যের প্রাপ্ত অধিকার প্রদান না করা, চুরি বা সন্ত্রাসী করে অন্যের সম্পদ ভোগ করা ইত্যাদি। কোনো প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব ঠিক না রাখা, খাতওয়ারি অর্থ খরচ না করা এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করাও আর্থিক অসততার অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি যেকোনো পদ্ধতিতে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে নিজের দখলে নেওয়াই আর্থিক অসততা।
আর্থিক অসততা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-সুন্নাহতে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’(সুরা বাকারা: ১৮৮)
আবু হুররাহ আর-রক্কাশি (রহ.) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সাবধান! কারও ওপর জুলুম করবে না। সাবধান, কারও মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারও জন্য হালাল হবে না।’ (মিশকাত: ২৯৪৬)
পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহ মানুষকে পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল করে সৃষ্টি করেছেন। কোনো মানুষের পক্ষে জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য পরস্পরের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সততা ও পরিচ্ছন্নতা জরুরি। স্বচ্ছতা না থাকলে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের মতো ইবাদত-বন্দেগিও কোনো কাজে আসে না। কাজেই আর্থিক স্বচ্ছতাই ইবাদতের রক্ষাকবচ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব প্রাসঙ্গিক আলোচনাসহ তুলে ধরা হলো—
লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব
পার্থিব জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় হলো আর্থিক লেনদেন। লেনদেনের আরবি প্রতিশব্দ মুআমালাত। ইসলামে মুআমালাত তথা লেনদেনের গুরুত্ব অনেক বেশি। মহানবী (সা.)-এর জীবন ছিল পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষিত। লেনদেনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সততা ও স্বচ্ছতা তাঁকে ইসলামপূর্ব যুগে ‘আল-আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
এ বিষয়ে কিয়ামতের ময়দানে দুটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া কাউকে এক ধাপও সামনে যেতে দেওয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করা হবে—‘কীভাবে উপার্জন করেছ এবং কোথায় খরচ করেছ?’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানবসন্তানের পা ওঠাতে দেওয়া হবে না। এক. জীবন কীভাবে শেষ করেছ। দুই. যৌবন কীভাবে বিদায় করেছ। তিন. ধনসম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছ। চার. কোন পথে তা ব্যয় করেছ। পাঁচ. অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছ।’ (তিরমিজি: ২৪১৬)
অস্বচ্ছতা দোয়া কবুলের অন্তরায়
লেনদেনে অসততা ও অস্বচ্ছতার কারণে দোয়া ও ইবাদত কবুল হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) একজন লোকের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে—সে দীর্ঘ পথ সফর করে এসেছে। চুলগুলো এলোমেলো ও শরীর ধুলোয় ধূসরিত। আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করছে—হে আমার রব, হে আমার রব। অথচ তার খাদ্য-পানীয় হারাম, পোশাকপরিচ্ছদ হারাম; তাহলে কীভাবে তার দোয়া কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১০১৫)
একইভাবে অবৈধ উপার্জনকারীর ইবাদতও কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে, ‘অজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না আর আত্মসাৎ করা সম্পদের সদকাও কবুল হয় না।’ (মুসলিম: ২২৪)
অস্বচ্ছ ও হারাম সম্পদ দ্বারা গড়ে ওঠা শরীর জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম সম্পদ দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান’ (আহমাদ: ১৪৪৪১)
অস্বচ্ছতা ইবাদত নষ্ট করে
আর্থিক অস্বচ্ছতা ইবাদত-বন্দেগিতে প্রভাব ফেলে। পরকালীন জীবনে ইবাদতকে মূল্যহীন ও অন্তঃসারশূন্য করে তোলে। অর্থবিত্তসহ লেনদেনের সামগ্রিক অস্বচ্ছতা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো, দরিদ্র কে?’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আমাদের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যার কোনো অর্থ ও সম্পদ নেই।’ তিনি (রাসুল) বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, জাকাত নিয়ে আসবে। সে আরও নিয়ে আসবে—অন্যকে এই পরিমাণ গালি দিয়েছে, এই পরিমাণ মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এই পরিমাণ সম্পদ খেয়েছে, এই পরিমাণ রক্ত প্রবাহিত করেছে, অন্যকে এই পরিমাণ প্রহার করেছে। তার নেকি থেকে সেই পরিমাণ (ক্ষতিগ্রস্তকে) প্রদান করা হবে। তার দায় শেষ হওয়ার আগেই যদি তার নেকি শেষ হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাপ পাওনা অনুসারে ওই ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সে এই পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামে যাবে।’ (মুসলিম: ২৫৮১)
অসততার পথ খোলে যেভাবে
বিভিন্নভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা নষ্ট হয়। যেমন অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা, জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ দখল করা, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, ঋণ পরিশোধ না করা, অন্যের প্রাপ্ত অধিকার প্রদান না করা, চুরি বা সন্ত্রাসী করে অন্যের সম্পদ ভোগ করা ইত্যাদি। কোনো প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব ঠিক না রাখা, খাতওয়ারি অর্থ খরচ না করা এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করাও আর্থিক অসততার অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি যেকোনো পদ্ধতিতে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে নিজের দখলে নেওয়াই আর্থিক অসততা।
আর্থিক অসততা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-সুন্নাহতে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’(সুরা বাকারা: ১৮৮)
আবু হুররাহ আর-রক্কাশি (রহ.) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সাবধান! কারও ওপর জুলুম করবে না। সাবধান, কারও মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারও জন্য হালাল হবে না।’ (মিশকাত: ২৯৪৬)
পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহ মানুষকে পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল করে সৃষ্টি করেছেন। কোনো মানুষের পক্ষে জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য পরস্পরের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সততা ও পরিচ্ছন্নতা জরুরি। স্বচ্ছতা না থাকলে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের মতো ইবাদত-বন্দেগিও কোনো কাজে আসে না। কাজেই আর্থিক স্বচ্ছতাই ইবাদতের রক্ষাকবচ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব প্রাসঙ্গিক আলোচনাসহ তুলে ধরা হলো—
লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব
পার্থিব জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় হলো আর্থিক লেনদেন। লেনদেনের আরবি প্রতিশব্দ মুআমালাত। ইসলামে মুআমালাত তথা লেনদেনের গুরুত্ব অনেক বেশি। মহানবী (সা.)-এর জীবন ছিল পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষিত। লেনদেনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সততা ও স্বচ্ছতা তাঁকে ইসলামপূর্ব যুগে ‘আল-আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
এ বিষয়ে কিয়ামতের ময়দানে দুটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া কাউকে এক ধাপও সামনে যেতে দেওয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করা হবে—‘কীভাবে উপার্জন করেছ এবং কোথায় খরচ করেছ?’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানবসন্তানের পা ওঠাতে দেওয়া হবে না। এক. জীবন কীভাবে শেষ করেছ। দুই. যৌবন কীভাবে বিদায় করেছ। তিন. ধনসম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছ। চার. কোন পথে তা ব্যয় করেছ। পাঁচ. অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছ।’ (তিরমিজি: ২৪১৬)
অস্বচ্ছতা দোয়া কবুলের অন্তরায়
লেনদেনে অসততা ও অস্বচ্ছতার কারণে দোয়া ও ইবাদত কবুল হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) একজন লোকের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে—সে দীর্ঘ পথ সফর করে এসেছে। চুলগুলো এলোমেলো ও শরীর ধুলোয় ধূসরিত। আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করছে—হে আমার রব, হে আমার রব। অথচ তার খাদ্য-পানীয় হারাম, পোশাকপরিচ্ছদ হারাম; তাহলে কীভাবে তার দোয়া কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১০১৫)
একইভাবে অবৈধ উপার্জনকারীর ইবাদতও কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে, ‘অজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না আর আত্মসাৎ করা সম্পদের সদকাও কবুল হয় না।’ (মুসলিম: ২২৪)
অস্বচ্ছ ও হারাম সম্পদ দ্বারা গড়ে ওঠা শরীর জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম সম্পদ দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান’ (আহমাদ: ১৪৪৪১)
অস্বচ্ছতা ইবাদত নষ্ট করে
আর্থিক অস্বচ্ছতা ইবাদত-বন্দেগিতে প্রভাব ফেলে। পরকালীন জীবনে ইবাদতকে মূল্যহীন ও অন্তঃসারশূন্য করে তোলে। অর্থবিত্তসহ লেনদেনের সামগ্রিক অস্বচ্ছতা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো, দরিদ্র কে?’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আমাদের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যার কোনো অর্থ ও সম্পদ নেই।’ তিনি (রাসুল) বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, জাকাত নিয়ে আসবে। সে আরও নিয়ে আসবে—অন্যকে এই পরিমাণ গালি দিয়েছে, এই পরিমাণ মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এই পরিমাণ সম্পদ খেয়েছে, এই পরিমাণ রক্ত প্রবাহিত করেছে, অন্যকে এই পরিমাণ প্রহার করেছে। তার নেকি থেকে সেই পরিমাণ (ক্ষতিগ্রস্তকে) প্রদান করা হবে। তার দায় শেষ হওয়ার আগেই যদি তার নেকি শেষ হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাপ পাওনা অনুসারে ওই ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সে এই পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামে যাবে।’ (মুসলিম: ২৫৮১)
অসততার পথ খোলে যেভাবে
বিভিন্নভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা নষ্ট হয়। যেমন অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা, জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ দখল করা, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, ঋণ পরিশোধ না করা, অন্যের প্রাপ্ত অধিকার প্রদান না করা, চুরি বা সন্ত্রাসী করে অন্যের সম্পদ ভোগ করা ইত্যাদি। কোনো প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব ঠিক না রাখা, খাতওয়ারি অর্থ খরচ না করা এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করাও আর্থিক অসততার অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি যেকোনো পদ্ধতিতে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে নিজের দখলে নেওয়াই আর্থিক অসততা।
আর্থিক অসততা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-সুন্নাহতে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’(সুরা বাকারা: ১৮৮)
আবু হুররাহ আর-রক্কাশি (রহ.) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সাবধান! কারও ওপর জুলুম করবে না। সাবধান, কারও মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারও জন্য হালাল হবে না।’ (মিশকাত: ২৯৪৬)
পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহ মানুষকে পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল করে সৃষ্টি করেছেন। কোনো মানুষের পক্ষে জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য পরস্পরের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সততা ও পরিচ্ছন্নতা জরুরি। স্বচ্ছতা না থাকলে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের মতো ইবাদত-বন্দেগিও কোনো কাজে আসে না। কাজেই আর্থিক স্বচ্ছতাই ইবাদতের রক্ষাকবচ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব প্রাসঙ্গিক আলোচনাসহ তুলে ধরা হলো—
লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব
পার্থিব জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় হলো আর্থিক লেনদেন। লেনদেনের আরবি প্রতিশব্দ মুআমালাত। ইসলামে মুআমালাত তথা লেনদেনের গুরুত্ব অনেক বেশি। মহানবী (সা.)-এর জীবন ছিল পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষিত। লেনদেনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সততা ও স্বচ্ছতা তাঁকে ইসলামপূর্ব যুগে ‘আল-আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
এ বিষয়ে কিয়ামতের ময়দানে দুটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া কাউকে এক ধাপও সামনে যেতে দেওয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করা হবে—‘কীভাবে উপার্জন করেছ এবং কোথায় খরচ করেছ?’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানবসন্তানের পা ওঠাতে দেওয়া হবে না। এক. জীবন কীভাবে শেষ করেছ। দুই. যৌবন কীভাবে বিদায় করেছ। তিন. ধনসম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছ। চার. কোন পথে তা ব্যয় করেছ। পাঁচ. অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছ।’ (তিরমিজি: ২৪১৬)
অস্বচ্ছতা দোয়া কবুলের অন্তরায়
লেনদেনে অসততা ও অস্বচ্ছতার কারণে দোয়া ও ইবাদত কবুল হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) একজন লোকের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে—সে দীর্ঘ পথ সফর করে এসেছে। চুলগুলো এলোমেলো ও শরীর ধুলোয় ধূসরিত। আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করছে—হে আমার রব, হে আমার রব। অথচ তার খাদ্য-পানীয় হারাম, পোশাকপরিচ্ছদ হারাম; তাহলে কীভাবে তার দোয়া কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১০১৫)
একইভাবে অবৈধ উপার্জনকারীর ইবাদতও কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে, ‘অজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না আর আত্মসাৎ করা সম্পদের সদকাও কবুল হয় না।’ (মুসলিম: ২২৪)
অস্বচ্ছ ও হারাম সম্পদ দ্বারা গড়ে ওঠা শরীর জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম সম্পদ দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান’ (আহমাদ: ১৪৪৪১)
অস্বচ্ছতা ইবাদত নষ্ট করে
আর্থিক অস্বচ্ছতা ইবাদত-বন্দেগিতে প্রভাব ফেলে। পরকালীন জীবনে ইবাদতকে মূল্যহীন ও অন্তঃসারশূন্য করে তোলে। অর্থবিত্তসহ লেনদেনের সামগ্রিক অস্বচ্ছতা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো, দরিদ্র কে?’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আমাদের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যার কোনো অর্থ ও সম্পদ নেই।’ তিনি (রাসুল) বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, জাকাত নিয়ে আসবে। সে আরও নিয়ে আসবে—অন্যকে এই পরিমাণ গালি দিয়েছে, এই পরিমাণ মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এই পরিমাণ সম্পদ খেয়েছে, এই পরিমাণ রক্ত প্রবাহিত করেছে, অন্যকে এই পরিমাণ প্রহার করেছে। তার নেকি থেকে সেই পরিমাণ (ক্ষতিগ্রস্তকে) প্রদান করা হবে। তার দায় শেষ হওয়ার আগেই যদি তার নেকি শেষ হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাপ পাওনা অনুসারে ওই ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সে এই পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামে যাবে।’ (মুসলিম: ২৫৮১)
অসততার পথ খোলে যেভাবে
বিভিন্নভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা নষ্ট হয়। যেমন অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা, জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ দখল করা, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, ঋণ পরিশোধ না করা, অন্যের প্রাপ্ত অধিকার প্রদান না করা, চুরি বা সন্ত্রাসী করে অন্যের সম্পদ ভোগ করা ইত্যাদি। কোনো প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব ঠিক না রাখা, খাতওয়ারি অর্থ খরচ না করা এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করাও আর্থিক অসততার অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি যেকোনো পদ্ধতিতে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে নিজের দখলে নেওয়াই আর্থিক অসততা।
আর্থিক অসততা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-সুন্নাহতে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’(সুরা বাকারা: ১৮৮)
আবু হুররাহ আর-রক্কাশি (রহ.) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সাবধান! কারও ওপর জুলুম করবে না। সাবধান, কারও মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারও জন্য হালাল হবে না।’ (মিশকাত: ২৯৪৬)
পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহ মানুষকে পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল করে সৃষ্টি করেছেন। কোনো মানুষের পক্ষে জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য পরস্পরের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সততা ও পরিচ্ছন্নতা জরুরি। স্বচ্ছতা না থাকলে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের মতো ইবাদত-বন্দেগিও কোনো কাজে আসে না। কাজেই আর্থিক স্বচ্ছতাই ইবাদতের রক্ষাকবচ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত
২৫ আগস্ট ২০২৩
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মোত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
তাকওয়া অর্জনের সহজ তিনটি উপায় রয়েছে:
এক. ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করলে অন্তরে তাকওয়া আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর; যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ২১)
দুই. মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ফিকিরের মাধ্যমে হৃদয়ে তাকওয়া সৃষ্টি করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
তিন. নবীজি (সা.)-এর প্রতি নিরেট ভালোবাসা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে তাদের আওয়াজ নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তর তাকওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহাপুরস্কার।’ (সুরা হুজুরাত: ৩)
যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুসংবাদ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, যারা ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে আর আখিরাতেও। আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না, এটাই হলো বিরাট সাফল্য। (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া অর্জন করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দিন। আমিন।

তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মোত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
তাকওয়া অর্জনের সহজ তিনটি উপায় রয়েছে:
এক. ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করলে অন্তরে তাকওয়া আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর; যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ২১)
দুই. মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ফিকিরের মাধ্যমে হৃদয়ে তাকওয়া সৃষ্টি করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
তিন. নবীজি (সা.)-এর প্রতি নিরেট ভালোবাসা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে তাদের আওয়াজ নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তর তাকওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহাপুরস্কার।’ (সুরা হুজুরাত: ৩)
যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুসংবাদ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, যারা ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে আর আখিরাতেও। আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না, এটাই হলো বিরাট সাফল্য। (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া অর্জন করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দিন। আমিন।

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত
২৫ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত
২৫ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১৭ ঘণ্টা আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
আলমগীর দেওয়ান, সিলেট
আপনার ২৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তানহীনতার শূন্যতা পূরণে একটি শিশুকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ইসলাম আপনার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে শুধু অনুমোদনই করে না, বরং এতিম, গৃহহীন বা অসহায় শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তাকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে অত্যন্ত সওয়াবের কাজ হিসেবে উৎসাহিত করে। তবে শরিয়তের কিছু মৌলিক নীতিমালা মেনে এটি করতে হবে, যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দত্তক নিলে মানতে হবে যেসব বিধান
ইসলামে অন্য কারও সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ, মমতা, অন্ন, বস্ত্র ও শিক্ষা দিয়ে লালন-পালন করাকে কাফালাহ বা অভিভাবকত্ব গ্রহণ বলা হয়। এটি বৈধ, বলা যায় এটি একটি মহৎ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এতিম বা অসহায় শিশুর দায়িত্ব নেওয়াকে বিপুল সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন। (সহিহ বুখারি: ৬০০৫)
তবে সাধারণ অর্থে প্রচলিত দত্তক প্রথা ইসলাম সমর্থন করে না, যেখানে সন্তানের আসল পিতামাতার পরিচয় মুছে ফেলা হয় এবং তাকে জৈবিক সন্তানের মতো সকল আইনি অধিকার (উত্তরাধিকার ও পর্দা) দেওয়া হয়। বরং ইসলাম অনুমোদন করে কাফালাহ, যার মূল শর্ত হলো শিশুর আসল পিতৃপরিচয় বহাল রাখা।
ইসলামে কোনো স্বাধীন মানুষের প্রকৃত পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা সম্পূর্ণভাবে হারাম ও কবিরা গুনাহ। দত্তক নেওয়ার কারণে শিশুর আসল মা-বাবা ও বংশের সম্পর্ক কোনোভাবেই বিলুপ্ত হবে না। তাই শিশুর জন্মসনদ, শিক্ষাসনদ, ভোটার আইডি বা অন্য যেকোনো দাপ্তরিক দলিলে তার আসল পিতার নাম উল্লেখ করা আবশ্যক।
দত্তক নেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো পর্দার বিষয়টি। লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তানের রক্তের সম্পর্ক স্থাপিত হয় না। ফলে পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালক বাবার সঙ্গে শরিয়তের পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। পর্দার এই কঠোরতা এড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো—শিশুটিকে দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় (জন্মের পর প্রথম দুই বছরের মধ্যে) পালক নেওয়া মায়ের কোনো বোন বা মেয়ে দ্বারা এমনভাবে দুধ পান করানো, যাতে সে দুগ্ধ-সম্পর্কীয় মাহরাম হয়ে যায়। দুগ্ধ-সম্পর্ক তৈরি হলে তাদের মধ্যে পর্দা আর আবশ্যক থাকবে না। (সহিহ বুখারি: ২৬৪৫)
পালক সন্তান লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী (ওয়ারিশ) হিসেবে তাঁর সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। কারণ রক্তের সম্পর্ক না থাকায় সে মিরাসের হকদার হয় না। তবে, লালন-পালনকারী তাঁর জীবদ্দশায় স্নেহবশত পালক সন্তানকে সম্পত্তি দান বা হেবা করতে পারবেন। অথবা, তিনি তাঁর মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ থেকে পালক সন্তানের জন্য অসিয়ত (উইল) করে যেতে পারবেন।
পোষ্য সন্তানের তার লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবশত মা-বাবা বলে ডাকা জায়েজ। একইভাবে তাঁরাও সন্তানকে স্নেহ করে ছেলেমেয়ে ডাকতে পারবেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
আলমগীর দেওয়ান, সিলেট
আপনার ২৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তানহীনতার শূন্যতা পূরণে একটি শিশুকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ইসলাম আপনার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে শুধু অনুমোদনই করে না, বরং এতিম, গৃহহীন বা অসহায় শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তাকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে অত্যন্ত সওয়াবের কাজ হিসেবে উৎসাহিত করে। তবে শরিয়তের কিছু মৌলিক নীতিমালা মেনে এটি করতে হবে, যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দত্তক নিলে মানতে হবে যেসব বিধান
ইসলামে অন্য কারও সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ, মমতা, অন্ন, বস্ত্র ও শিক্ষা দিয়ে লালন-পালন করাকে কাফালাহ বা অভিভাবকত্ব গ্রহণ বলা হয়। এটি বৈধ, বলা যায় এটি একটি মহৎ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এতিম বা অসহায় শিশুর দায়িত্ব নেওয়াকে বিপুল সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন। (সহিহ বুখারি: ৬০০৫)
তবে সাধারণ অর্থে প্রচলিত দত্তক প্রথা ইসলাম সমর্থন করে না, যেখানে সন্তানের আসল পিতামাতার পরিচয় মুছে ফেলা হয় এবং তাকে জৈবিক সন্তানের মতো সকল আইনি অধিকার (উত্তরাধিকার ও পর্দা) দেওয়া হয়। বরং ইসলাম অনুমোদন করে কাফালাহ, যার মূল শর্ত হলো শিশুর আসল পিতৃপরিচয় বহাল রাখা।
ইসলামে কোনো স্বাধীন মানুষের প্রকৃত পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা সম্পূর্ণভাবে হারাম ও কবিরা গুনাহ। দত্তক নেওয়ার কারণে শিশুর আসল মা-বাবা ও বংশের সম্পর্ক কোনোভাবেই বিলুপ্ত হবে না। তাই শিশুর জন্মসনদ, শিক্ষাসনদ, ভোটার আইডি বা অন্য যেকোনো দাপ্তরিক দলিলে তার আসল পিতার নাম উল্লেখ করা আবশ্যক।
দত্তক নেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো পর্দার বিষয়টি। লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তানের রক্তের সম্পর্ক স্থাপিত হয় না। ফলে পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালক বাবার সঙ্গে শরিয়তের পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। পর্দার এই কঠোরতা এড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো—শিশুটিকে দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় (জন্মের পর প্রথম দুই বছরের মধ্যে) পালক নেওয়া মায়ের কোনো বোন বা মেয়ে দ্বারা এমনভাবে দুধ পান করানো, যাতে সে দুগ্ধ-সম্পর্কীয় মাহরাম হয়ে যায়। দুগ্ধ-সম্পর্ক তৈরি হলে তাদের মধ্যে পর্দা আর আবশ্যক থাকবে না। (সহিহ বুখারি: ২৬৪৫)
পালক সন্তান লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী (ওয়ারিশ) হিসেবে তাঁর সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। কারণ রক্তের সম্পর্ক না থাকায় সে মিরাসের হকদার হয় না। তবে, লালন-পালনকারী তাঁর জীবদ্দশায় স্নেহবশত পালক সন্তানকে সম্পত্তি দান বা হেবা করতে পারবেন। অথবা, তিনি তাঁর মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ থেকে পালক সন্তানের জন্য অসিয়ত (উইল) করে যেতে পারবেন।
পোষ্য সন্তানের তার লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবশত মা-বাবা বলে ডাকা জায়েজ। একইভাবে তাঁরাও সন্তানকে স্নেহ করে ছেলেমেয়ে ডাকতে পারবেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত
২৫ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে