আবদুল আযীয কাসেমি
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বুঝে হোক বা না বুঝে। তবে পবিত্র কোরআন বুঝে ও চিন্তাভাবনা করে পড়তে ইসলামে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতে কোরআনের মর্ম বোঝার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
তবে পবিত্র কোরআন না বুঝে তিলাওয়াত করলে কোনো লাভ নেই—এমন বক্তব্যও সঠিক নয়। কারণ, হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোরআন না বুঝে তিলাওয়াত করলে প্রতি অক্ষরে ১০টি করে নেকি পাওয়া যায়।
কোরআন নাজিলের মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো তা থেকে হেদায়েত ও শিক্ষা নেওয়া। আর তা চিন্তাভাবনা করে তিলাওয়াত করা ছাড়া অর্জিত হবে না।
আল্লাহ তাআলা ইসলামের মৌলিক বিষয়, যেমন তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত ইত্যাদি অত্যন্ত সহজ ও বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি এই কোরআনকে উপদেশ নেওয়ার জন্য সহজ করেছি। আছে কি কোনো শিক্ষাগ্রহণকারী?’ (সুরা কামার: ২২)
তবে এ আয়াত থেকে এই ভুল বার্তা নেওয়া মোটেও শোভন হবে না, সামান্য অনুবাদনির্ভর জ্ঞান থেকে আমি ইসলাম বিষয়ে মতামত পেশ করার যোগ্য হয়ে উঠেছি। বরং এ জন্য স্বতন্ত্রভাবে নীতিমালা রক্ষা করে কোরআনের শাস্ত্রীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোরআনের জ্ঞান যে কেউই অর্জন করতে পারেন। তবে অবশ্যই মূলনীতি ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে হবে।
পবিত্র কোরআন যখন গভীর বোধ ও মনন নিয়ে পাঠ করা হবে, তখন এর বহুমুখী আলো বান্দার হৃদয়জগতে উন্মোচিত হবে। আত্মা হবে পরিশুদ্ধ। মনোজগৎ হবে দীপ্তিমান। আল্লাহ তাআলা চিন্তাভাবনা করে কোরআন তিলাওয়াত না করার কারণে কাফের ও মুনাফিকদের ভর্ৎসনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা কি কোরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তর তালাযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে?’ (সুরা মুহাম্মদ: ২৪)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বুঝে হোক বা না বুঝে। তবে পবিত্র কোরআন বুঝে ও চিন্তাভাবনা করে পড়তে ইসলামে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতে কোরআনের মর্ম বোঝার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
তবে পবিত্র কোরআন না বুঝে তিলাওয়াত করলে কোনো লাভ নেই—এমন বক্তব্যও সঠিক নয়। কারণ, হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোরআন না বুঝে তিলাওয়াত করলে প্রতি অক্ষরে ১০টি করে নেকি পাওয়া যায়।
কোরআন নাজিলের মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো তা থেকে হেদায়েত ও শিক্ষা নেওয়া। আর তা চিন্তাভাবনা করে তিলাওয়াত করা ছাড়া অর্জিত হবে না।
আল্লাহ তাআলা ইসলামের মৌলিক বিষয়, যেমন তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত ইত্যাদি অত্যন্ত সহজ ও বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি এই কোরআনকে উপদেশ নেওয়ার জন্য সহজ করেছি। আছে কি কোনো শিক্ষাগ্রহণকারী?’ (সুরা কামার: ২২)
তবে এ আয়াত থেকে এই ভুল বার্তা নেওয়া মোটেও শোভন হবে না, সামান্য অনুবাদনির্ভর জ্ঞান থেকে আমি ইসলাম বিষয়ে মতামত পেশ করার যোগ্য হয়ে উঠেছি। বরং এ জন্য স্বতন্ত্রভাবে নীতিমালা রক্ষা করে কোরআনের শাস্ত্রীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোরআনের জ্ঞান যে কেউই অর্জন করতে পারেন। তবে অবশ্যই মূলনীতি ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে হবে।
পবিত্র কোরআন যখন গভীর বোধ ও মনন নিয়ে পাঠ করা হবে, তখন এর বহুমুখী আলো বান্দার হৃদয়জগতে উন্মোচিত হবে। আত্মা হবে পরিশুদ্ধ। মনোজগৎ হবে দীপ্তিমান। আল্লাহ তাআলা চিন্তাভাবনা করে কোরআন তিলাওয়াত না করার কারণে কাফের ও মুনাফিকদের ভর্ৎসনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা কি কোরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তর তালাযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে?’ (সুরা মুহাম্মদ: ২৪)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ পালনে এবার প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে সমবেত হয়েছেন। বুধবার আরাফাতের ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কেউ কেউ হেঁটেই সেখানে পৌঁছান। তাপমাত্রা তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত বছর বিদেশি হাজির সংখ্যা ছিল ১৬ লাখের বেশি।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজি (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন।’ (সুরা কাউসার: ২)
১১ ঘণ্টা আগেইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর পঞ্চমটি হলো হজ। ইমান, নামাজ, জাকাত ও রোজার পরই হজের অবস্থান। সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর হজ ফরজ। অনেকেই শারীরিক ও আর্থিক অপারগতার কারণে হজ করার সামর্থ্য রাখে না। হজে যেতে না পারলেও মুসলমানদের জন্য এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই হজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেআরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
১৪ ঘণ্টা আগে