আবদুল আযীয কাসেমি

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।
আবদুল আযীয কাসেমি

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে