ইজাজুল হক
মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারাকেশে একসময় বারবার জাতির চাষিরা বসবাস করত। ১০৭০ সালে আল-মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে আমির আবু বকর ইবনে ওমর একে শহরে রূপান্তরিত করেন। লাল পাথরের বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন দালানে সজ্জিত শহরটি নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফ্রিকার মুসলিম বীর ইউসুফ বিন তাশফিন। এরপর তাঁর ছেলে আলি ইবনে ইউসুফ ১১২২ ও ১১২৩ সালে অসমাপ্ত কাজের পূর্ণতা দেন। ফলে তখন থেকেই শহরটি আল-মাদিনাতুল হামরা বা লাল শহর হিসেবে পরিচিতি পায়।
দ্রুত উন্নতি করা মারাকেশ অল্প সময়েই পতনের মুখ দেখে। তবে ১৬ শতকের গোড়ার দিকে সাদিয়ান রাজবংশের রাজধানী হওয়ার সুবাদে শহরটি ফের প্রাণ ফিরে পায়। সুলতান আবদুল্লাহ আল-গালিব ও আহমেদ আল-মানসুর একে দারুণ সব স্থাপত্যে সমৃদ্ধ করে তোলেন। ১৭ শতকের শুরুতে সুফিদের তীর্থস্থান হয়ে ওঠে মারাকেশ। ১৯১২ সালে মরক্কোয় ফরাসি উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
মারাকেশ বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শহর এবং আফ্রিকার ব্যস্ততম বাণিজ্যকেন্দ্র। ২১ শতকে মারাকেশ ইউরোপীয় পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। হোটেল ও আবাসনব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নও হয়। ফলে মারাকেশ শহরটি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে চমৎকার এক নগরে রূপ নেয়। স্থানীয় কারুশিল্প পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। মারাকেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও স্থাপনার কথা এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
জামা এল ফিনা: মারাকেশের কেন্দ্রে অবস্থিত জামা এল ফিনা স্কয়ার শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। মুরাবিতুন সাম্রাজ্য থেকে এটি বাজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে সাদিয়ান রাজবংশের আমলে এটি নতুনত্ব লাভ করে। ২০০১ সালে স্কয়ারটিকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।
কুতুবিয়া মসজিদ: মারাকেশের সবচেয়ে বড়, প্রাচীন ও আইকনিক স্থাপত্যের নাম কুতুবিয়া মসজিদ। ১১৪৭ সালে আল-মোহাদ সাম্রাজ্যের খলিফা আবদ আল-মুইন এটি নির্মাণ করেন। ১১৯৫ সালে খলিফা ইয়াকুব আল-মানসুর মসজিদের ২৫৩ ফুট উঁচু দৃষ্টিনন্দন মিনারটি তৈরি করেন, যা প্রায় পুরো মারাকেশ থেকে দেখা যায়।
বেন ইউসুফ মাদ্রাসা: বেন ইউসুফ মাদ্রাসা মারাকেশের একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের শিলালিপিতে ১২ শতকের আল-মুরাবিত সুলতান আলি ইবনে ইউসুফের একটি বাণী উৎকীর্ণ আছে। তিনিই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঐতিহাসিকদের ভাষ্যমতে, এটি একসময় মরক্কোর সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা ছিল।
এল বাদি প্রাসাদ: ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে থেকে আমদানি করা মূল্যবান পাথরে নির্মাণ করা হয়েছিল এল বাদি প্রাসাদ তথা প্যালেস অব ওয়ান্ডার। ১৫৭৮ সালে সুলতান আহমেদ মানসুর প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৭ শতকের শুরুতে প্রাসাদটি ধ্বংস হয় এবং এর মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে যায়।
বাব আগনাউ: এটি মারাকেশের একটি প্রাচীনতম ফটক। আলমোহাদ খলিফা আবু ইউসুফ ইয়াকুব আল-মানসুর ১১৯০ সালে নির্মাণ করেছিলেন। ফটকটি এখনো নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
মারাকেশ প্রাচীর: এটি শহরের সীমানাপ্রাচীর। ১১ শতকে যখন মারাকেশ নির্মাণ করা হচ্ছিল, তখন শহরের সীমান্তজুড়ে দীর্ঘ এই প্রাচীর নির্মিত হয়। এই প্রাচীরের রয়েছে অসংখ্য নান্দনিক ফটক।
ঐতিহ্যের শহর মারাকেশ ৮ সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লিখিত স্থাপনাগুলোও তাতে বাদ যায়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, কুতুবিয়া মসজিদ, মারাকেশ প্রাচীরসহ অনেক প্রাচীন স্থাপনা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারাকেশে একসময় বারবার জাতির চাষিরা বসবাস করত। ১০৭০ সালে আল-মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে আমির আবু বকর ইবনে ওমর একে শহরে রূপান্তরিত করেন। লাল পাথরের বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন দালানে সজ্জিত শহরটি নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফ্রিকার মুসলিম বীর ইউসুফ বিন তাশফিন। এরপর তাঁর ছেলে আলি ইবনে ইউসুফ ১১২২ ও ১১২৩ সালে অসমাপ্ত কাজের পূর্ণতা দেন। ফলে তখন থেকেই শহরটি আল-মাদিনাতুল হামরা বা লাল শহর হিসেবে পরিচিতি পায়।
দ্রুত উন্নতি করা মারাকেশ অল্প সময়েই পতনের মুখ দেখে। তবে ১৬ শতকের গোড়ার দিকে সাদিয়ান রাজবংশের রাজধানী হওয়ার সুবাদে শহরটি ফের প্রাণ ফিরে পায়। সুলতান আবদুল্লাহ আল-গালিব ও আহমেদ আল-মানসুর একে দারুণ সব স্থাপত্যে সমৃদ্ধ করে তোলেন। ১৭ শতকের শুরুতে সুফিদের তীর্থস্থান হয়ে ওঠে মারাকেশ। ১৯১২ সালে মরক্কোয় ফরাসি উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
মারাকেশ বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শহর এবং আফ্রিকার ব্যস্ততম বাণিজ্যকেন্দ্র। ২১ শতকে মারাকেশ ইউরোপীয় পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। হোটেল ও আবাসনব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নও হয়। ফলে মারাকেশ শহরটি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে চমৎকার এক নগরে রূপ নেয়। স্থানীয় কারুশিল্প পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। মারাকেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও স্থাপনার কথা এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
জামা এল ফিনা: মারাকেশের কেন্দ্রে অবস্থিত জামা এল ফিনা স্কয়ার শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। মুরাবিতুন সাম্রাজ্য থেকে এটি বাজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে সাদিয়ান রাজবংশের আমলে এটি নতুনত্ব লাভ করে। ২০০১ সালে স্কয়ারটিকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।
কুতুবিয়া মসজিদ: মারাকেশের সবচেয়ে বড়, প্রাচীন ও আইকনিক স্থাপত্যের নাম কুতুবিয়া মসজিদ। ১১৪৭ সালে আল-মোহাদ সাম্রাজ্যের খলিফা আবদ আল-মুইন এটি নির্মাণ করেন। ১১৯৫ সালে খলিফা ইয়াকুব আল-মানসুর মসজিদের ২৫৩ ফুট উঁচু দৃষ্টিনন্দন মিনারটি তৈরি করেন, যা প্রায় পুরো মারাকেশ থেকে দেখা যায়।
বেন ইউসুফ মাদ্রাসা: বেন ইউসুফ মাদ্রাসা মারাকেশের একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের শিলালিপিতে ১২ শতকের আল-মুরাবিত সুলতান আলি ইবনে ইউসুফের একটি বাণী উৎকীর্ণ আছে। তিনিই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঐতিহাসিকদের ভাষ্যমতে, এটি একসময় মরক্কোর সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা ছিল।
এল বাদি প্রাসাদ: ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে থেকে আমদানি করা মূল্যবান পাথরে নির্মাণ করা হয়েছিল এল বাদি প্রাসাদ তথা প্যালেস অব ওয়ান্ডার। ১৫৭৮ সালে সুলতান আহমেদ মানসুর প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৭ শতকের শুরুতে প্রাসাদটি ধ্বংস হয় এবং এর মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে যায়।
বাব আগনাউ: এটি মারাকেশের একটি প্রাচীনতম ফটক। আলমোহাদ খলিফা আবু ইউসুফ ইয়াকুব আল-মানসুর ১১৯০ সালে নির্মাণ করেছিলেন। ফটকটি এখনো নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
মারাকেশ প্রাচীর: এটি শহরের সীমানাপ্রাচীর। ১১ শতকে যখন মারাকেশ নির্মাণ করা হচ্ছিল, তখন শহরের সীমান্তজুড়ে দীর্ঘ এই প্রাচীর নির্মিত হয়। এই প্রাচীরের রয়েছে অসংখ্য নান্দনিক ফটক।
ঐতিহ্যের শহর মারাকেশ ৮ সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লিখিত স্থাপনাগুলোও তাতে বাদ যায়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, কুতুবিয়া মসজিদ, মারাকেশ প্রাচীরসহ অনেক প্রাচীন স্থাপনা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারাকেশে একসময় বারবার জাতির চাষিরা বসবাস করত। ১০৭০ সালে আল-মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে আমির আবু বকর ইবনে ওমর একে শহরে রূপান্তরিত করেন।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারাকেশে একসময় বারবার জাতির চাষিরা বসবাস করত। ১০৭০ সালে আল-মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে আমির আবু বকর ইবনে ওমর একে শহরে রূপান্তরিত করেন।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১০ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারাকেশে একসময় বারবার জাতির চাষিরা বসবাস করত। ১০৭০ সালে আল-মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে আমির আবু বকর ইবনে ওমর একে শহরে রূপান্তরিত করেন।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)
মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারাকেশে একসময় বারবার জাতির চাষিরা বসবাস করত। ১০৭০ সালে আল-মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে আমির আবু বকর ইবনে ওমর একে শহরে রূপান্তরিত করেন।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগে